× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Why the complexity of birth registration to make a unique ID
google_news print-icon

ইউনিক আইডি করতে জন্ম নিবন্ধনের জটিলতা কেন

ইউনিক-আইডি-করতে-জন্ম-নিবন্ধনের-জটিলতা-কেন
প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি করা হচ্ছে স্কুলগুলোয়। এটি করতে গিয়ে অনেক অভিভাবকই ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে জানা গেছে। মূল সমস্যাটি দেখা দিচ্ছে শিশুর অনলাইন জন্ম নিবন্ধন নিয়ে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মা-বাবার জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজন পড়ছে।

দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর জন্য ‘ইউনিক আইডি’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত সব তথ্য থাকবে। কিন্তু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ইউনিক আইডি ফরম পূরণে পড়ছেন নানা জটিলতায়। বিশেষ করে শিশুর জন্ম নিবন্ধনের পাশাপাশি মা-বাবার জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট চাওয়া হচ্ছে।

এ অবস্থায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রশ্ন: কী হবে এই ‘ইউনিক আইডি’ দিয়ে?

প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এক জায়গায় রাখার জন্য ইউনিক আইডি তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান এ প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক শামসুল আলম।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রত্যেক নাগরিককে একটি আইডি দিয়ে চিহ্নিত করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বিশ্বের ১১টি দেশের সঙ্গে সরকার এ বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর নাম দেয়া হয়েছে সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস (সিআরভিএস)।

শামসুল আলম জানান, এর আওতায় দেশের বেসিক স্ট্যাটিসটিকস তৈরি হবে। অফিস অফ রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয় বর্তমানে কোনো শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করছে। আর যারা ১৮ বছরের ওপরে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে। এই দুই স্তরে আইডেন্টিফিকেশন নম্বর আছে। কিন্তু মাঝখানে বাদ পড়ে যাচ্ছে প্রি-প্রাইমারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে। এদের আইডেন্টিফিকেশনের আওতায় আনার জন্যই ইউনিক আইডি তৈরি করা হচ্ছে।

১৮ বছর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সব ধরনের সেবা ইউনিক আইডির মাধ্যমে পাবে জানিয়ে তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থীর সব ধরনের সেবা, যেমন বই নেয়া থেকে শুরু করে ফল প্রকাশ, রেজিস্ট্রেশন, বৃত্তি, উপবৃত্তির অর্থ নেয়া অর্থাৎ যত ধরনের নাগরিক সেবা আছে সবই দেয়া হবে এই আইডির মাধ্যমে। আর যখন শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তখন নির্বাচন কমিশন সচিবালয় তাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে এই ইউনিক আইডিই জাতীয় পরিচয়পত্রে রূপান্তর করবে।

শামসুল আলম আরও বলেন, ‘এই ইউনিক আইডির মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের খুঁজে পাব, তারা কোথায় লেখাপড়া করছে, ঝরে পড়ল কি না, অথবা তারা কোন লেভেলে পড়াশোনা করছে, চাকরি পেল কি না ইত্যাদি।’

ইউনিক আইডি চালু হলে অনেক ক্ষেত্রে সরকারের অপচয়ও বন্ধ হবে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সঠিক পরিসংখ্যান না থাকায় অনেক সময় আমরা চাহিদার চেয়ে বেশি পরিমাণ বই ছাপাচ্ছি। এতে অনেক টাকা অপচয় হচ্ছে। যখন ইউনিক আইডি তৈরি হয়ে যাবে, তখন কোনো ডুপ্লিকেট শিক্ষার্থী থাকবে না। কারণ তখন শিক্ষার্থীর সঠিক পরিসংখ্যান সরকারের হাতে থাকবে।

ফরমে যেসব তথ্য দিতে হয়

স্ট্যাবলিশমেন্ট অফ ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইইআইএমএস) প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা চার পৃষ্ঠার ফরমে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

ফরমে শিক্ষার্থীর নাম, জন্ম নিবন্ধন নম্বর, জন্মস্থান, জেন্ডার, জাতীয়তা, ধর্ম, অধ্যয়নরত শ্রেণি, রোল নম্বর, বৈবাহিক অবস্থা, প্রতিবন্ধিতা (ডিজ-অ্যাবিলিটি), রক্তের গ্রুপ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কি না, মা-বাবার নামসহ বেশ কিছু তথ্যের ঘর রয়েছে।

বৈবাহিক অবস্থার অপশন হিসেবে অবিবাহিত, বিবাহিত, বিধবা, বিপত্নীক ছাড়াও স্বামী-স্ত্রী পৃথক বসবাস, তালাকপ্রাপ্ত, বিবাহবিচ্ছেদের ঘরও রয়েছে ফরমে।

ইউনিক আইডির তথ্য ভুল হলে তা সংশোধনের কোনো সুযোগ আছে কি না- এমন প্রশ্নে প্রকল্প পরিচালক শামসুল আলম বলেন, ‘শিক্ষার্থী এবং বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে আমরা বেশির ভাগ তথ্য নেব। সেখানে যদি কোনো ভুল থাকে, তাহলে আমাদের কিছুই করার নেই। সংশোধন করতে হলে আগে জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র ঠিক করতে হবে।

‘জন্ম নিবন্ধনে শিক্ষার্থীর নাম, বাবা-মার নাম মিল থাকার বিষয়টি সবাইকে খেয়াল করার অনুরোধ করছি। এই নির্দেশনা মানলে আর কোনো সমস্যা হবার কথা নয়।’

ইউনিক আইডির ফরমে যেসব তথ্য শিক্ষার্থীরা দিচ্ছেন, তা যেন কোনোভাবে অন্যের হাতে না যায় তা নিশ্চিতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক শামসুল আলম। বলেন, ‘শিক্ষার্থীর তথ্য সুরক্ষায় আমরা বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে, যেন তথ্য বেহাত না হয়। এর বেশি বলা সম্ভব নয়।’

ইউনিক আইডি করতে জন্ম নিবন্ধনের জটিলতা কেন

ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর জন্য ‘ইউনিক আইডি’ তৈরি করতে তথ্য সংগ্রহের ফরম। ছবি: নিউজবাংলা

জন্ম নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি

রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত প্রভাতী উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ইউনিক আইডির কাগজপত্র নিয়ে স্কুলে এসেছেন অভিভাবক রাবেয়া সুলতানা। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে জানায়, শিক্ষার্থীর ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধনের সঙ্গে অভিভাবকের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধনও লাগবে। তা না হলে তার ইউনিক আইডির কাগজ জমা নেয়া হবে না।

একই অভিযোগ করলেন রাজধানীর একাধিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা। তেমনই একজন স্বপ্না রাণী। তিনি বলেন, ‘বাচ্চার ইউনিক আইডির জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন চাওয়া হচ্ছে। আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে। তাহলে কেন আবার জন্ম নিবন্ধন লাগবে?’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিক আইডির প্রকল্প পরিচালক শামসুল আলম বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে এখন জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। তাই আমরা ধরে নিতেই পারি, সব শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন আছে। যারা স্কুলে ভর্তিই হয়নি, তাদের জন্ম নিবন্ধন নাও থাকতে পারে।

‘সমস্যা হলো জন্ম নিবন্ধনের কোনোটা ম্যানুয়াল, কোনোটা ডিজিটাল। যেসব শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন ম্যানুয়াল, তাদের ডিজিটাল অর্থাৎ অনলাইনে এন্ট্রি দেয়া জন্ম নিবন্ধন লাগবে। কারণ ইউনিক আইডি দেয়ার অন্যতম শর্ত হলো শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের সঙ্গে মিল থাকতে হবে শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধনের।

‘যদি কোনো শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকে তাহলে সে ইউনিক আইডি পাবে না। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের তথ্যগুলো পাঠাব অফিস অফ রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে। তারপর সেখান থেকে যাবে নির্বাচন কমিশনে। এরপর তারা ইউনিক আইডি তৈরি করবে। এটাই সিস্টেম। এ জন্য কোনো শিক্ষার্থীর যদি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন না থাকে তাহলে সে ইউনিক আইডি পাবে না।’

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করতে কিছু শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকের নানা ভোগান্তিতে পড়ার কথা স্বীকার করেন শামসুল আলম। বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আসলে আমাদের কিছুই করার নেই। জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে এন্ট্রি দেয়ার জন্য অফিস অফ রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় অনেক আগেই অফিস আদেশ জারি করেছে।’

শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধনে বাবা-মার জন্ম নিবন্ধন কেন প্রয়োজন হয়- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করতে গেলে শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন আগে করে নিতে হবে। এটা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন-২০১৯ অনুযায়ী করা হচ্ছে। সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। যদি কেউ তা না করে তাহলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’

যেসব শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন নেই, তাদের করণীয় কী- এমন প্রশ্নে শামসুল আলম বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থীর অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ইতিমধ্যে করা আছে, তাদের বাবা-মায়ের শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই শিক্ষার্থী ইউনিক আইডি পাবে। আর যেসব শিক্ষার্থীর অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন এখনও করা হয়নি, তাদের জন্ম নিবন্ধন করতেও বাবা-মায়ের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন লাগবে। এটা আইনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে।’

শিক্ষার্থীরা ইউনিক আইডি পাবে কবে?

প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের আশা, আগামী বছরের শুরুতে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ১ কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেয়া সম্ভব হবে ইউনিক আইডি।

জানতে চাইলে মাধ্যমিক পর্যায়ের ইউনিক আইডির প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক মো. শামসুল আলম বলেন, ‘আগামী ৩০ নভেম্বর শেষ হবে ইউনিক আইডির ফরম পূরণের কার্যক্রম। এরপর ডাটা এন্ট্রি দেয়া হবে। আশা করছি, আগামী বছরের শুরুতেই পর্যায়ক্রমে ১ কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে ইউনিক আইডি তুলে দেয়া সম্ভব হবে। তবে এর আগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ডিসেম্বরে আমরা কিছু উপজেলায় ইউনিক আইডি বিতরণের পরিকল্পনা করছি।’

জানা গেছে, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিক আইডির ডাটা এন্ট্রির সফটওয়্যার তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। আশা করা হচ্ছে, আগামী মাস থেকে ডাটা এন্ট্রি দেয়া শুরু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে তৈরি হবে ২ কোটির বেশি ইউনিক আইডি।

প্রাথমিকের ইউনিক আইডির প্রকল্প পরিচালক মো. মঞ্জুরুল আলম প্রধান বলেন, ‘প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরির জন্য বিদ্যালয় পর্যায়ে আগামী মাস থেকে সফটওয়্যারে ডাটা এন্ট্রি শুরু হবে। এ জন্য সফটওয়্যার তৈরির কাজ শেষপর্যায়ে। এরপর পাইলটিং হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানের ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরি করা হবে। এরপর সেটি সফল হলে পুরোদমে শুরু হবে কাজ।’

আরও পড়ুন:
স্কুলশিক্ষার্থীদের গণটিকা শুরু ৩০ অক্টোবর
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ বর্ষের ‘বিশেষ পরীক্ষা’ ডিসেম্বরে
আলিম পরীক্ষা শুরু ২ ডিসেম্বর
‘স্কুলে এসেই করোনার প্রমাণ নেই’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
BUET Vice Chancellor Prof Dr ABM Badruzzaman was elected a Fellow of Bangladesh Science Academy

বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমীর ফেলো নির্বাচিত হলেন বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম বদরুজ্জামান

বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমীর ফেলো নির্বাচিত হলেন বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম বদরুজ্জামান

বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ একাডেমি অফ সায়েন্স গত ১৮ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে, ১৬ তম কাউন্সিল সভায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য, অধ্যাপক ড. এ. বি. এম. বদরুজ্জামানকে ফেলো হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন। এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা প্রকৌশলবিদ্যায় তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং বাংলাদেশ ও দেশের বাইরে তাঁর প্রকৌশল ও বৈজ্ঞানিক মেধাকে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের ডিসটিংগুইশড অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল পরিবেশ বিজ্ঞান। তিনি আর্সেনিক কন্টামিনেশন, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, সারফেস এন্ড গ্রাউন্ড ওয়াটার কোয়ালিটি মডেলিং, এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, হেভি মেটাল স্পিসিয়েশন ও ট্রান্সপোর্টেশান ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা করেন। গ্রাউন্ড ওয়াটারের আর্সেনিক দূষণ এবং প্রতিরোধের মডেলের উপর বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০১২ সালে প্রিন্স সুলতান বিন আব্দুল আজিজ পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি মালয়েশিয়ান ইনভেনশন এন্ড ডিজাইন সোসাইটি কর্তৃক প্রদত্ত আইটেক্স গোল্ড মেডেল লাভ করেন। প্রফেসর বদরুজ্জামান বৈজ্ঞানিক জার্নালগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রকাশনা করেছেন যা তাঁর গবেষণার ক্ষেত্রে একজন উদীয়মান গবেষক হিসেবে তাঁর পান্ডিত্য নির্দেশ করে। তিনি এখন পর্যন্ত মোট ইমপেক্ট ফ্যাক্টর স্কোর ৪২৫, ৬,০৭৩ টি সাইটেশন, এইচ সূচক ৩১, আই ১০ সূচক ৪৮ সহ চিত্তাকর্ষক মেট্রিকস অর্জন করেছেন। বৈজ্ঞানিক ও প্রকৌশল অনুসন্ধানে তাঁর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব এবং পরামর্শ কেবল প্রকৌশল বিদ্যাকে সমৃদ্ধি করেনি বরং গবেষকদের একটি নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান এবং আবিষ্কারের সন্ধান শুরু করতে অনুপ্রাণিত করেছে। প্রফেসর বদরুজ্জামান বিভিন্ন কনফারেন্স সেমিনার I ওয়ার্কশপে e³…Zv প্রদানের মাধ্যমে তাঁর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে থাকেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটিতে, এবং ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট অস্টিন-এ ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Students from 6 months of postgraduate results from 6 months of uncertainty
চবি পরিসংখ্যান বিভাগ

স্নাতকোত্তর ফলাফল ৬ মাস থেকে আটকা, অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা

স্নাতকোত্তর ফলাফল ৬ মাস থেকে আটকা, অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা

দীর্ঘদিন থেকে চরম অনিশ্চয়তা ও হতাশার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমএস পরীক্ষার ফোলাফল প্রকাশ করা হয়নি ছয় মাসেও। ফলে উচ্চশিক্ষা, চাকরি ও স্কলারশিপের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক শিক্ষার্থী। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিভাগীয় সভাপতির অসহযোগিতা ও প্রশাসনিক জটিলতাকে কেন্দ্র করে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে এবং বিভাগজুড়ে তৈরি হয়েছে এক ধরনের অস্থিরতা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, স্নাতকোত্তর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমএস পরীক্ষা ২০২২ শুরু হয় ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর এবং শেষ ১ ডিসেম্বর। এই পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক ড. সোমা চৌধুরী বিশ্বাস।

কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. রোকনুজ্জামান এবং সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ভূঞা। পরীক্ষা শেষে চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘লিভ প্রিপারেটরি টু রিটায়ারমেন্ট’ (এলপিআরে) গমন করেন অধ্যাপক ড. সোমা চৌধুরী বিশ্বাস। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরীক্ষা কমিটির সভাপতির পদটি শূন্য হয়ে যায়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী, অ্যাকাডেমিক কমিটির মাধ্যমে নতুন সভাপতি নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে কমিটির অন্য সদস্যরা দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক চন্দন কুমার পোদ্দারকে একাধিকবার অনুরোধ করেন বিষয়টি অ্যাকাডেমিক কমিটির সভায় আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। তবে তিনি তা করতে অস্বীকৃতি জানান। সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ২৪ এপ্রিল এক জরুরি সভায় পরীক্ষা কমিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ও কমিটির সদস্য অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে মনোনীত করে ফল চূড়ান্তকরণের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি দায়িত্ব পালন করে যথানিয়মে ফলাফল প্রস্তুতও করেন। তবে তা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে জমা দিলে, অ্যাকাডেমিক কমিটির অনুমোদন ছাড়া সভাপতি মনোনীত হওয়ায় পরীক্ষার ফলাফল গ্রহণ ও প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। এতে শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম দুরবস্থায়।

একাধিক শিক্ষার্থী জানান, তারা উচ্চশিক্ষা, চাকরি ও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারছেন না। অনেকে দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও শুধু ফলাফল না পাওয়ার কারণে সুযোগ হারাচ্ছেন। এছাড়া পূর্ববর্তী ব্যাচের ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফরম পূরণ এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষাও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসনিক জটিলতায় তাদের পড়াশোনার স্বাভাবিক অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে, যা মানসিক চাপে ফেলে দিচ্ছে তাদের। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী হৃদয় আহমেদ বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অবসরে যাওয়ার পর পদটি শূন্য হয়ে পড়ে। ফলে বাকি সদস্যরা আমাদের ফলাফল প্রকাশ করতে পারছিলেন না। অন্যদিকে, চেয়ারম্যান স্যার জানিয়েছেন, সিনিয়র কোনো সদস্য চাইলে ফল প্রকাশ করতে পারেন; কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ফলে ফলাফল না হওয়ায় শুধু আমাদের ব্যাচ নয়,

পরবর্তী ব্যাচগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সোহেল মিয়া নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের ফল প্রকাশে দীর্ঘবিলম্বের মূল কারণ চেয়ারম্যান স্যারের অসহযোগিতা। পরীক্ষা কমিটি প্রায় দুই মাস আগে ফলাফল প্রস্তুত করলেও তা এখনো প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। কারণ, চেয়ারম্যান স্যার অ্যাকাডেমিক মিটিংয়ের মাধ্যমে নতুন পরীক্ষা কমিটি পুনর্গঠন করেননি। মেহরাব সাকিব নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ চাকরির আবেদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। পাশাপাশি এক ধরনের মানসিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে সময় পার করছি। শিক্ষক ও প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে

দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরীক্ষা কমিটির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. সোমা চৌধুরী বিশ্বাস বলেন, ‘আমি এলপিআরে ‘অবসর পূর্ব ছুটি’ যাওয়ার সময় পরীক্ষা কমিটির অন্য সদস্যদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছি। সিনিয়র সদস্য হিসেবে আমি মনিরুল ইসলাম স্যারকে ফলাফলে স্বাক্ষরের অনুরোধ করি। তবে তিনি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি না পাওয়া পর্যন্ত স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান। শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, তা এড়ানো যেত যদি বিভাগীয় সভাপতি সময়মতো অ্যাকাডেমিক কমিটির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন।’ বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ও কমিটির সদস্য অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘অধ্যাপক চন্দন কুমার পোদ্দারকে একাধিকবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি অ্যাকাডেমিক কমিটির সভা আহ্বান করেননি। তিনি নতুন সভাপতি নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণে ইচ্ছাকৃতভাবে অবহেলা করেছেন। যার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি-বিধান লঙ্ঘন করেছেন। তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হওয়ায় ফল প্রকাশে অনিবার্যভাবে বিলম্বিত হয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি শিক্ষার্থীদের কল্যাণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্বের প্রতি অসচেতনতা প্রদর্শন করেছেন। আমাদের ইচ্ছে থাকার পরও আমরা ফলাফল প্রকাশ করতে পারিনি। কারণ ভবিষ্যতে আইনি জটিলতা দেখা দিতে পারে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The 5th BCSs written exam schedule is published

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার (আবশ্যিক ও পদসংশ্লিষ্ট বিষয়) পুনর্নির্ধারিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৪ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত আবশ্যিক বিষয় এবং ১০ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত পদ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষাগুলো ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানায় পিএসসি। এর আগে ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা ৮ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পরে পরীক্ষার্থীদের দাবির মুখে তা স্থগিত করা হয়। গত ৯ মে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশিত হয়। এতে ১০ হাজার ৬৩৮ জন উত্তীর্ণ হন।

২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ বিসিএসে ৩ হাজার ১৪০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন, শিক্ষা ক্যাডারে শিক্ষায় ৫২০ জন, প্রশাসন ক্যাডারে ২৭৪ জন, পররাষ্ট্রে ১০ জন, পুলিশে ৮০ জন, আনসারে ১৪ জন, মৎস্যে ২৬ জন ও গণপূর্তে ৬৫ জনকে নেওয়া হবে। মোট ৩ হাজার ১৪০ শূন্য পদের বিপরীতে ৩ লাখ ৩৮ হাজার আবেদন জমা পড়ে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
No more than 1 SIM per customer

গ্রাহকপ্রতি ১০টির বেশি সিম নয়

গ্রাহকপ্রতি ১০টির বেশি সিম নয় ছবি: সংগৃহীত

এখন থেকে একজন গ্রাহক সর্বাধিক ১০টি মোবাইল ফোন সিম ব্যবহার করতে পারবেন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল শনিবার বিটিআরসির এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আগে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করতে পারতেন। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে সর্বোচ্চ ১০টি সিমই নিবন্ধন করা যাবে।

বিটিআরসি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক অনুশীলন এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ বিবেচনা করে একজন গ্রাহকের নামে সর্বোচ্চ নিবন্ধনযোগ্য সিম সংখ্যা ১৫ থেকে দশে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি আরও জানায়, সর্বোচ্চ ১০টি ব্যক্তিগত সিম নিবন্ধনের সীমা নির্ধারণ করা হলে প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের মোট ৬৭ লাখ সিম বন্ধ করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
NIT Academy Global A trusted associate in the way of higher education abroad

এনআইটি একাডেমি গ্লোবাল: বিদেশে উচ্চশিক্ষার পথে এক বিশ্বস্ত সহযোগী

এনআইটি একাডেমি গ্লোবাল: বিদেশে উচ্চশিক্ষার পথে এক বিশ্বস্ত সহযোগী

বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জনের স্বপ্ন অনেকেরই থাকে, কিন্তু এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রয়োজন হয় সঠিক দিকনির্দেশনা ও দক্ষ সহযোগিতার। ঠিক এখানেই NiT Academy Global তার অনন্য ভূমিকা রাখছে। রাজশাহী ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার সুযোগ করে দিচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য। তারা শুধুমাত্র ভিসা প্রসেসিং বা অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং একজন শিক্ষার্থীর পুরো উচ্চশিক্ষা যাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে।

এনআইটি একাডেমি গ্লোবাল: বিদেশে উচ্চশিক্ষার পথে এক বিশ্বস্ত সহযোগী


NiT Academy Global শিক্ষার্থীদের প্রথমে উপযুক্ত কোর্স ও বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিতে সহায়তা করে, যা তাদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এরপর শুরু হয় আবেদন প্রক্রিয়া, যেখানে প্রতিটি ডকুমেন্ট প্রস্তুত থেকে শুরু করে আবেদনপত্র সঠিকভাবে জমা দেওয়ার বিষয়েও তারা সহায়তা করে। এছাড়া ভিসা প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সহায়তা, সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি এবং প্রয়োজনীয় কনসালটেন্সি সরবরাহ করা হয়। যারা আর্থিকভাবে কিছুটা পিছিয়ে আছেন, তাদের জন্য রয়েছে বৃত্তি সংক্রান্ত পরামর্শ ও সহায়তা।


বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য NiT Academy Global শিক্ষার্থীদের পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, জাপান, চীন, ফিনল্যান্ড, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (বিশেষ করে দুবাই)।


NiT Academy Global শুধু একাডেমিক সাপোর্টেই সীমাবদ্ধ নয়, তারা প্রাক-ভ্রমণ সহায়তা, এয়ার টিকেট বুকিং, এয়ারপোর্ট পিকআপ ও হোস্টেল/বাসস্থানের ব্যবস্থাও করে থাকে। এক কথায়, বিদেশে যাওয়ার শুরু থেকে সেখানকার স্থায়ীভাবে থিতু হওয়ার পর্যায় পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে তারা শিক্ষার্থীদের পাশে থাকে।


প্রতিষ্ঠানটির সেবা গ্রহণ করে অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যেই বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য স্থান পেয়েছেন। কেউ যুক্তরাজ্যে, কেউ কানাডায়, কেউবা আবার জাপান কিংবা অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন। তাদের সাফল্যই NiT Academy Global-এর কার্যক্রমের সফলতা প্রমাণ করে।

যোগাযোগ:
ফোন: +8801612751894
ইমেইল: [email protected]
ঠিকানা: হাউস-১২২, প্রতিতির রান্নাঘর বিল্ডিং, গণকপাড়া, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Foreign student admissions stopped at Harvard University

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার অনুমতি বাতিল করেছে এবং বর্তমানে ভর্তি থাকা শিক্ষার্থীদের অন্যত্র স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যথায় তারা যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অবস্থান হারাতে পারে বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস)। হার্ভার্ড এ সিদ্ধান্তকে অবৈধ ও প্রতিশোধমূলক বলে আখ্যা দিয়েছে।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিব ক্রিস্টি নোয়েম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম (এসইভিপি) প্রত্যয়ন বাতিলের নির্দেশ দেন।

ডিএইচএসের বিবৃতিতে বলা হয়, হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিষয়ে আগেই চাওয়া কিছু তথ্য সরবরাহে ব্যর্থ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নোয়েম বলেন, ‘এই প্রশাসন হার্ভার্ডকে জবাবদিহির আওতায় আনছে- যেহেতু তারা সহিংসতা ও ইহুদিবিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এবং ক্যাম্পাসে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সমন্বয় করছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ কোনো অধিকার নয়, বরং একটি সুবিধা, যা তারা অধিক টিউশন ফি নিয়ে বহু বিলিয়ন ডলারের তহবিল ফুলিয়ে তোলার কাজে ব্যবহার করে।’

হার্ভার্ড পাল্টা বিবৃতিতে জানায়, ‘সরকারের এই পদক্ষেপ অবৈধ। আমরা হার্ভার্ডে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও গবেষকদের উপস্থিতি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা এসব মানুষ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও পুরো জাতিকে অসামান্যভাবে সমৃদ্ধ করেন।’ হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।

এই সিদ্ধান্তকে ট্রাম্প প্রশাসনের হার্ভার্ডবিরোধী অভিযানের একটি বড় ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই ম্যাসাচুসেটসের এই আইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ‘বামপন্থি’ বা ‘মার্কসবাদী’ আদর্শ ছড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করে আসছেন। গত মাসে হার্ভার্ড একটি ২.২ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল তহবিল বরাদ্দ স্থগিতাদেশের মুখে পড়ে, কারণ তারা হোয়াইট হাউসের দেওয়া একগুচ্ছ শর্ত প্রত্যাখ্যান করে।

এসব শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কাঠামো, নিয়োগ নীতি ও ভর্তি পদ্ধতিতে পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছিল, যার মধ্যে ছিল বৈচিত্র্য সংক্রান্ত দপ্তরগুলো বন্ধ করা এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্ক্রিনিংয়ে অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা। হার্ভার্ড পরে এই বরাদ্দ স্থগিতাদেশ ঠেকাতে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DIU and JB will work together to improve research and education

গবেষণা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে এক সঙ্গে কাজ করবে ডিআইইউ ও জাবি

গবেষণা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে এক সঙ্গে কাজ করবে ডিআইইউ ও জাবি

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) যৌথভাবে গবেষণা ও শিক্ষার মান উন্নয়নে একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওএ) স্বাক্ষর করেছে। বিশেষ করে পিএইচডি ( ডক্টর অব ফিলোসোফি), এমফিল (মাস্টার অব ফিলোসোফি) ও এম এস (মাস্টার অব সায়েন্স) শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানের ক্ষেত্রে এ চুক্তি সহায়ক হবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠান দুইটি।

মঙ্গলবার (২০ মে, ২০২৫) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি আন্তরিক পরিবেশে এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রবসহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথি ও কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পক্ষে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মাহবুব উল হক মজুমদার, ফ্যাকাল্টি অব ইনফরমেশন টেকনোলজির ডিন প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ আকতার হোসেন, ব্যবসা ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন অনুষদের ডিন প্রফেসর ডক্টর মাসুম ইকবাল, স্বাস্থ্য ও জীবন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ডক্টর বিলাল হোসেন, মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক লিজা শারমীন, স্নাতকোত্তর অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. কবিরুল ইসলাম, এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মিজানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এই চুক্তির আওতায় উভয় বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে একাডেমিক কার্যক্রমে একযোগে কাজ করবে, যার মধ্যে রয়েছে ল্যাব সুবিধা, অনলাইন ডাটা বেস, তথ্য বিশ্লেষণ ব্যবস্থা এবং ভৌত অবকাঠামোর ব্যবহার; যা ভর্তি ও সমাবর্তনের সময় উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্য সহায়ক হবে। সমঝোতা স্মারকে উচ্চমানের গবেষণা পরিচালনা, যুগ্মভাবে আন্তর্জাতিক মানের জার্নাল প্রবন্ধ প্রকাশ, যৌথ গবেষণা সম্মেলন আয়োজন এবং পেটেন্টসহ মেধাস্বত্ব উন্নয়নের দিক নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়ও শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষক বিনিময় কর্মসূচিও গবেষণা শিক্ষার্তীদের যৌথ তত্ত্বাবধানকে উৎসাহিত করা হবে বলে জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এই উদ্যোগের জন্য প্রশংসা প্রকাশ করেন এবং বলেন- "এ ধরনের সহযোগিতা ফলপ্রসূ গবেষণার পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের এইচ -ইনডেক্স সম্পন্ন জার্নালে প্রকাশনা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।"
তাছাড়া ডিআইইউ-এর উপ-উপাচার্য এই চুক্তি যথাসময়ে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন যাতে উভয় প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ও গবেষণাগত কার্যক্রমের মানোন্নয়নের পরিধি বৃদ্ধি পায়।

মন্তব্য

p
উপরে