দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর জন্য ‘ইউনিক আইডি’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত সব তথ্য থাকবে। কিন্তু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ইউনিক আইডি ফরম পূরণে পড়ছেন নানা জটিলতায়। বিশেষ করে শিশুর জন্ম নিবন্ধনের পাশাপাশি মা-বাবার জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট চাওয়া হচ্ছে।
এ অবস্থায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রশ্ন: কী হবে এই ‘ইউনিক আইডি’ দিয়ে?
প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এক জায়গায় রাখার জন্য ইউনিক আইডি তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান এ প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক শামসুল আলম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রত্যেক নাগরিককে একটি আইডি দিয়ে চিহ্নিত করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বিশ্বের ১১টি দেশের সঙ্গে সরকার এ বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর নাম দেয়া হয়েছে সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস (সিআরভিএস)।
শামসুল আলম জানান, এর আওতায় দেশের বেসিক স্ট্যাটিসটিকস তৈরি হবে। অফিস অফ রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয় বর্তমানে কোনো শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করছে। আর যারা ১৮ বছরের ওপরে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে। এই দুই স্তরে আইডেন্টিফিকেশন নম্বর আছে। কিন্তু মাঝখানে বাদ পড়ে যাচ্ছে প্রি-প্রাইমারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে। এদের আইডেন্টিফিকেশনের আওতায় আনার জন্যই ইউনিক আইডি তৈরি করা হচ্ছে।
১৮ বছর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সব ধরনের সেবা ইউনিক আইডির মাধ্যমে পাবে জানিয়ে তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থীর সব ধরনের সেবা, যেমন বই নেয়া থেকে শুরু করে ফল প্রকাশ, রেজিস্ট্রেশন, বৃত্তি, উপবৃত্তির অর্থ নেয়া অর্থাৎ যত ধরনের নাগরিক সেবা আছে সবই দেয়া হবে এই আইডির মাধ্যমে। আর যখন শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তখন নির্বাচন কমিশন সচিবালয় তাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে এই ইউনিক আইডিই জাতীয় পরিচয়পত্রে রূপান্তর করবে।
শামসুল আলম আরও বলেন, ‘এই ইউনিক আইডির মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের খুঁজে পাব, তারা কোথায় লেখাপড়া করছে, ঝরে পড়ল কি না, অথবা তারা কোন লেভেলে পড়াশোনা করছে, চাকরি পেল কি না ইত্যাদি।’
ইউনিক আইডি চালু হলে অনেক ক্ষেত্রে সরকারের অপচয়ও বন্ধ হবে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সঠিক পরিসংখ্যান না থাকায় অনেক সময় আমরা চাহিদার চেয়ে বেশি পরিমাণ বই ছাপাচ্ছি। এতে অনেক টাকা অপচয় হচ্ছে। যখন ইউনিক আইডি তৈরি হয়ে যাবে, তখন কোনো ডুপ্লিকেট শিক্ষার্থী থাকবে না। কারণ তখন শিক্ষার্থীর সঠিক পরিসংখ্যান সরকারের হাতে থাকবে।
ফরমে যেসব তথ্য দিতে হয়
স্ট্যাবলিশমেন্ট অফ ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইইআইএমএস) প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা চার পৃষ্ঠার ফরমে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
ফরমে শিক্ষার্থীর নাম, জন্ম নিবন্ধন নম্বর, জন্মস্থান, জেন্ডার, জাতীয়তা, ধর্ম, অধ্যয়নরত শ্রেণি, রোল নম্বর, বৈবাহিক অবস্থা, প্রতিবন্ধিতা (ডিজ-অ্যাবিলিটি), রক্তের গ্রুপ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কি না, মা-বাবার নামসহ বেশ কিছু তথ্যের ঘর রয়েছে।
বৈবাহিক অবস্থার অপশন হিসেবে অবিবাহিত, বিবাহিত, বিধবা, বিপত্নীক ছাড়াও স্বামী-স্ত্রী পৃথক বসবাস, তালাকপ্রাপ্ত, বিবাহবিচ্ছেদের ঘরও রয়েছে ফরমে।
ইউনিক আইডির তথ্য ভুল হলে তা সংশোধনের কোনো সুযোগ আছে কি না- এমন প্রশ্নে প্রকল্প পরিচালক শামসুল আলম বলেন, ‘শিক্ষার্থী এবং বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে আমরা বেশির ভাগ তথ্য নেব। সেখানে যদি কোনো ভুল থাকে, তাহলে আমাদের কিছুই করার নেই। সংশোধন করতে হলে আগে জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র ঠিক করতে হবে।
‘জন্ম নিবন্ধনে শিক্ষার্থীর নাম, বাবা-মার নাম মিল থাকার বিষয়টি সবাইকে খেয়াল করার অনুরোধ করছি। এই নির্দেশনা মানলে আর কোনো সমস্যা হবার কথা নয়।’
ইউনিক আইডির ফরমে যেসব তথ্য শিক্ষার্থীরা দিচ্ছেন, তা যেন কোনোভাবে অন্যের হাতে না যায় তা নিশ্চিতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক শামসুল আলম। বলেন, ‘শিক্ষার্থীর তথ্য সুরক্ষায় আমরা বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে, যেন তথ্য বেহাত না হয়। এর বেশি বলা সম্ভব নয়।’
জন্ম নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি
রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত প্রভাতী উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ইউনিক আইডির কাগজপত্র নিয়ে স্কুলে এসেছেন অভিভাবক রাবেয়া সুলতানা। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে জানায়, শিক্ষার্থীর ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধনের সঙ্গে অভিভাবকের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধনও লাগবে। তা না হলে তার ইউনিক আইডির কাগজ জমা নেয়া হবে না।
একই অভিযোগ করলেন রাজধানীর একাধিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা। তেমনই একজন স্বপ্না রাণী। তিনি বলেন, ‘বাচ্চার ইউনিক আইডির জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন চাওয়া হচ্ছে। আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে। তাহলে কেন আবার জন্ম নিবন্ধন লাগবে?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিক আইডির প্রকল্প পরিচালক শামসুল আলম বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে এখন জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। তাই আমরা ধরে নিতেই পারি, সব শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন আছে। যারা স্কুলে ভর্তিই হয়নি, তাদের জন্ম নিবন্ধন নাও থাকতে পারে।
‘সমস্যা হলো জন্ম নিবন্ধনের কোনোটা ম্যানুয়াল, কোনোটা ডিজিটাল। যেসব শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন ম্যানুয়াল, তাদের ডিজিটাল অর্থাৎ অনলাইনে এন্ট্রি দেয়া জন্ম নিবন্ধন লাগবে। কারণ ইউনিক আইডি দেয়ার অন্যতম শর্ত হলো শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের সঙ্গে মিল থাকতে হবে শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধনের।
‘যদি কোনো শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকে তাহলে সে ইউনিক আইডি পাবে না। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের তথ্যগুলো পাঠাব অফিস অফ রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে। তারপর সেখান থেকে যাবে নির্বাচন কমিশনে। এরপর তারা ইউনিক আইডি তৈরি করবে। এটাই সিস্টেম। এ জন্য কোনো শিক্ষার্থীর যদি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন না থাকে তাহলে সে ইউনিক আইডি পাবে না।’
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করতে কিছু শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকের নানা ভোগান্তিতে পড়ার কথা স্বীকার করেন শামসুল আলম। বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আসলে আমাদের কিছুই করার নেই। জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে এন্ট্রি দেয়ার জন্য অফিস অফ রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় অনেক আগেই অফিস আদেশ জারি করেছে।’
শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধনে বাবা-মার জন্ম নিবন্ধন কেন প্রয়োজন হয়- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করতে গেলে শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন আগে করে নিতে হবে। এটা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন-২০১৯ অনুযায়ী করা হচ্ছে। সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। যদি কেউ তা না করে তাহলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
যেসব শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন নেই, তাদের করণীয় কী- এমন প্রশ্নে শামসুল আলম বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থীর অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ইতিমধ্যে করা আছে, তাদের বাবা-মায়ের শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই শিক্ষার্থী ইউনিক আইডি পাবে। আর যেসব শিক্ষার্থীর অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন এখনও করা হয়নি, তাদের জন্ম নিবন্ধন করতেও বাবা-মায়ের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন লাগবে। এটা আইনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে।’
শিক্ষার্থীরা ইউনিক আইডি পাবে কবে?
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের আশা, আগামী বছরের শুরুতে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ১ কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেয়া সম্ভব হবে ইউনিক আইডি।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক পর্যায়ের ইউনিক আইডির প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক মো. শামসুল আলম বলেন, ‘আগামী ৩০ নভেম্বর শেষ হবে ইউনিক আইডির ফরম পূরণের কার্যক্রম। এরপর ডাটা এন্ট্রি দেয়া হবে। আশা করছি, আগামী বছরের শুরুতেই পর্যায়ক্রমে ১ কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে ইউনিক আইডি তুলে দেয়া সম্ভব হবে। তবে এর আগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ডিসেম্বরে আমরা কিছু উপজেলায় ইউনিক আইডি বিতরণের পরিকল্পনা করছি।’
জানা গেছে, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিক আইডির ডাটা এন্ট্রির সফটওয়্যার তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। আশা করা হচ্ছে, আগামী মাস থেকে ডাটা এন্ট্রি দেয়া শুরু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে তৈরি হবে ২ কোটির বেশি ইউনিক আইডি।
প্রাথমিকের ইউনিক আইডির প্রকল্প পরিচালক মো. মঞ্জুরুল আলম প্রধান বলেন, ‘প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরির জন্য বিদ্যালয় পর্যায়ে আগামী মাস থেকে সফটওয়্যারে ডাটা এন্ট্রি শুরু হবে। এ জন্য সফটওয়্যার তৈরির কাজ শেষপর্যায়ে। এরপর পাইলটিং হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানের ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরি করা হবে। এরপর সেটি সফল হলে পুরোদমে শুরু হবে কাজ।’
আরও পড়ুন:দেশজুড়ে চলমান দাবদাহের কারণে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’
গত কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে দাবদাহ। কোনো কোনো জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র দাবদাহ।
ভারত সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন বাস্তবতায় দৈনন্দিন কাজকর্ম করা কঠিন হয়ে গেছে বিভিন্ন বয়সীদের।
মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রকাশনা প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে মহাসমারোহে বাংলা বর্ষবরণ পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাড়ম্বরে পালিত হয় বাংলা নববর্ষ-১৪৩১।
বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে জবি ক্যাম্পাস থেকে সকাল সাড়ে নয়টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার ঘুরে ভিক্টোরিয়া পার্ক হয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসে।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, জবি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করেন।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া ‘রিকশাচিত্র’কে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন/ মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে এ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে।
শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘের মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ শোভাযাত্রায় স্থান পায়। মঙ্গল শোভাযাত্রাটির আয়োজনের দায়িত্বে ছিল চারুকলা অনুষদ।
আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সকাল সোয়া দশটার দিকে আলোচনা সভা শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় না হওয়া সত্ত্বেও সীমিত অবকাঠামো ও স্বল্প পরিসর নিয়েও সকলের সহযোগিতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যায়ের মূল প্রাণ হচ্ছে শিক্ষার্থী। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা তুলে ধরতে পারছে।
‘পশ্চিমবঙ্গ, পূর্ববঙ্গ, পূর্ব পাকিস্তান ও তারপর বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্য। বঙ্গবন্ধুর এই অবদান যেন আমাদের নতুন প্রজন্ম তাদের চিন্তা চেতনায় ধারণ করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতন করতে পারি। পারিবারিকভাবেই নারী-পুরুষের সমতা, নারীকে মানুষ ভাবার মানসিকতার শিক্ষা দিতে হবে, নতুন প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে লিখতে হবে, বলতে হবে।’
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির সভাপতি প্রমুখ।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও বিকেলে জবি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠির পরিবেশনা এবং জবি ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ব্যান্ড সংগীত পরিবেশিত হয়।
এ সময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলে আনন্দে নেচে গেয়ে উদ্বেলিত ও উৎফুল্ল হয়ে বর্ষবরণকে আনন্দবহ করে তোলেন।
প্রকাশনা প্রদর্শনী
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহিদ রফিক ভবনের নীচতলায় দিনব্যাপী ‘প্রকাশনা প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ, জার্নাল, সাময়িকী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বার্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ স্থান পায়।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ-২০১১ এর শিক্ষার্থীরা দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ঈদুল ফিতরের পরদিন শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সকাল ১১টায় গান-বাজনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে নানা অনুষ্ঠান। দুপুরে ছিল ভুরিভোজের আয়োজন। বিকেলে ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম হোসেন। সভাপতিত্ব করেন নবগঠিত বিদ্যালয় পরিচালনা অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মাহবুব উল আলম খান।
আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষিকা রেহেনা জাহান খান, সিনিয়র শিক্ষকমণ্ডলী এবং সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনেকে।
প্রসঙ্গত, ঘাটাইল উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের সাইটশৈলা গ্রামে বিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৩ সালে। এটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও সময় পরিক্রমায় প্রয়োজনের তাগিদে এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের বাবা অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৯ এপ্রিল)।
অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান নিয়ে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৫১ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৫৬ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ইউনেস্কো দিল্লির বিজ্ঞান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ফলিত রসায়ন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির সভাপতি।
অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১ আগস্ট বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির কুমিল্লা জেলার কুঞ্জ শ্রীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবদুল আজিজ চৌধুরী একজন শিক্ষাবিদ, মাতা আফিফা খাতুন।
বরেণ্য এ অধ্যাপকের মেয়ে হয়েছেন বাবার মতো গুণী। অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিজেদের আইডিতে প্রবেশ করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। পাশাপাশি তাদের আসন বিন্যাসও দেখতে পারবেন।
এছাড়াও যেসব ভর্তিচ্ছুর ছবি বা সেলফি কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন অনুযায়ী আপলোড করা হয়নি, তাদেরকেও সোমবারের মধ্যে সংশোধিত ছবি বা সেলফি আপলোডের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার সোমবার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার বলেন, ‘২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের সুযোগ আজই (সোমবার) শেষ হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ২৩ মার্চ এটি উন্মুক্ত করা হয়।
‘যেসব আবেদনকারীর ছবি বা সেলফি অথবা উভয়টি জিএসটির ফটো গাইডলাইন অনুযায়ী গৃহীত হয়নি, তারা সোমবার রাত ১০টার মধ্যে অবশ্যই জিএসটির ফটো গাইডলাইন অনুসরণ করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ছবি বা সেলফি অথবা উভয়টি আপলোড সম্পন্ন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে। না হলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না।’
উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার জানান, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে।
এ বছর প্রায় ২১ হাজার আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬। এবার প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে গড়ে ১৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।
আগামী ২৭ এপ্রিল শনিবার (এ ইউনিট-বিজ্ঞান), ৩ মে শুক্রবার (বি ইউনিট-মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার (সি ইউনিট-বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা এবং অন্য দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষার সব তথ্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে (https://gstadmission.ac.bd) পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর হলের সিট ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
সোমবার এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছে।
এর আগে রোববার ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
রিটে বুয়েটের উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে ইমতিয়াজের হলে সিট ফেরত দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। সোমবার ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ নিজেই রিটের পক্ষে শুনানি করেন।
জানা যায়, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বুয়েট ক্যাম্পাসে ২৭ মার্চ বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে নেতা-কর্মীদের একটি দল প্রবেশ করে। এর প্রতিবাদে ২৯ মার্চ বেলা আড়াইটা থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে বুধবার মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেনকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল (আবাসিকতা) বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
পরে ২৯ মার্চ রাতে বুয়েটের উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদারের নির্দেশে ইমতিয়াজ হোসেনের হলের আসন বাতিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন বুয়েটের রেজিস্ট্রার মো. ফোরকান উদ্দিন।
একইসঙ্গে জানানো হয়, সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশ দেয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এদিকে ১ এপ্রিল বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলতে বাধা নেই বলে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেয়। ২০১৯ সালে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করে তা স্থগিত করে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে অসহায়-ছিন্নমূল ৭০০ পরিবারের মাঝে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু। পুরো রমজান মাসজুড়ে অসহায়-ছিন্নমূল মানুষের মাঝে সেহেরি বিতরণ করছেন তিনি।
রোববার ওই ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে সজল কুন্ডু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুরকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আবহমানকাল থেকে এখানে সব ধর্মের মানুষ একত্রে বসবাস করছে। এই সম্প্রীতি আমাদের জাতিগত ঐতিহ্য। 'ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই উক্তি আজ দেশের সর্বমহলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে ধর্মীয় উৎসব পালন করছে। আমাদের মাঝে কোনো ভেদাভেদ নাই। সবসময় আমাদের এই ভাতৃত্বের বন্ধন অটুট থাকবে।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো সংকটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। আগামী ২০৪১ সালের উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
মন্তব্য