বাংলাদেশে বিদেশি মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ একটুও বাড়িয়ে বলা হয়নি বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করেই সব সময় রিজার্ভের হিসাব করে থাকে বাংলাদেশ। এখানে কোনো ধরনের অনিয়ম বা ভুল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) অযথাই রিজার্ভ বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে বলে প্রশ্ন তুলে অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আইএমএফের এই প্রশ্নে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, ‘রিজার্ভ কীভাবে বাড়িয়ে বলা সম্ভব! এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। হঠাৎ আইএমএফ রিজার্ভ নিয়ে কথা বলছে কেন, সেটাই তো আমি বুঝতে পারছি না।’
২০২১ সালের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সুরক্ষা মূল্যায়নের একটি খসড়া প্রতিবেদনে আইএমএফ বিদেশি সম্পদের ভুল শ্রেণীকরণ চিহ্নিত করেছে। এই ভুল শ্রেণীকরণের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের আকার বড় হয়েছে বলে দাবি করেছে আইএমএফ।
আইএমএফ বলেছে, চলতি বছরের জুনের শেষ দিকে বাংলাদেশে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ থাকার যে কথা বলা হয়েছিল, তা আসলে ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে বলা হয়েছে। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, প্রকৃতপক্ষে রিজার্ভ হবে ৩৯ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভ-বহির্ভূত সম্পদ অন্তর্ভুক্ত করে রিজার্ভ ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আইএমএফের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করেই সব সময় রিজার্ভের হিসাব করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। স্পর্শকাতর এই সূচকটির বিষয়ে সব সময় সঠিক মানদণ্ড অনুসরণ করে হিসাব-নিকাশ করে রিজার্ভের হিসাব করা হয়। এখানে কোনো ধরনের অনিয়ম বা ভুল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা (কেন্দ্রীয় ব্যাংক) আইএমএফের এই হিসাব মোটেই আমলে নিচ্ছি না। আইএমএফ তাদের কথা বলেছে, বলুক। আমরা তো জানি, আমাদের কোনো ভুল নেই। আমরা যে মেকানিজমে, যে সংজ্ঞার মাধ্যমে যেটাকে রিজার্ভ হিসেবে ট্রিট করি, সে ব্যাখ্যা কিন্তু আইএমএফকে জানানো আছে। আইএমএফ এখন সেটা যাচাই-বাছাই করে দেখুক। যেহেতু তারা প্রশ্ন তুলেছে, তাদের প্রশ্নের ভিত্তি আছে কি না, তারাই এখন দেখুক।’
তিনি বলেন, ‘আইএমএফ কিন্তু জানে, বাংলাদেশ ব্যাংক কোন কোন বিষয় রিজার্ভের সঙ্গে দেখায়। তারা এখন পর্যালোচনা করে দেখুক, তারা কী মতামত দেয় দেখি। তখন আবার আমরা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব।
‘তবে, আমি আবারও বলছি, রিজার্ভ একটুও বাড়িয়ে বলা হয়নি। এটা বাড়িয়ে বলার কোনো সুযোগ নেই।’
রিজার্ভ বাড়িয়ে বলা বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ডলারের দর ওঠা-নামার ওপর এটা রিজারভেশন (রিজার্ভ) হয়। ডলারের দর বাড়লে বা কমলে সেটা সমন্বয় করা হয়। এটাকে গেইন অর লস বলে। কিন্তু এটা তো মূল রিজার্ভ না।’
সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পে রিজার্ভ থেকে ঋণ দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঋণ পেমেন্ট করলে একটা ভ্যালু ডেট থাকে। যারা ঋণ নেয়, তারা সেটা না তোলা পর্যন্ত রিজার্ভ হিসেবে থাকবে।’
সালেহউদ্দিন বলেন, ‘হঠাৎ আইএমএফ রিজার্ভ নিয়ে কথা বলছে কেন, সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎপর হওয়া দরকার। আগ বাড়িযে এসব কেন বলছে, সেটা খতিয়ে দেখা উচিত। হুট করে একটা স্টেটমেন্ট দিলে তো হবে না।’
অন্য দেশকে ঋণ দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একটা দেশের তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো বিদেশি মুদ্রা মজুত থাকতে হয়। কিন্তু বর্তমানে আমাদের রিজার্ভ দিয়ে ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। শ্রীলঙ্কাকে খুব সামান্য ঋণ দেয়া হয়েছে। যেহেতু রিজার্ভ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত হবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা। বাংলাদেশ ব্যাংককে রিজার্ভের খাত সম্পর্কে আইএমএফকে আরও স্পষ্ট করতে হবে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আইএমএফ রিজার্ভ থেকে পায়রা বন্দরসহ বড় অবকাঠামো প্রকল্পে অর্থায়ন না করতে অনেক আগে থেকেই বলে আসছিল। তাদের সেই আপত্তি উপেক্ষা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভার অনুমোদন নিয়ে বন্দর এবং বিদ্যুৎ খাতের অবকাঠামো প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য সরকারের গঠন করা বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে (বিআইডিএফ) রিজার্ভ থেকে ২ বিলিয়ন ডলার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই তহবিল থেকে প্রথম ঋণ দেয়া হয়েছে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে। ঋণের পরিমাণ ৫ হাজার ৪১৭ কোটি টাকার সমান, যা দেয়া হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক মুদ্রা ইউরোয়।
‘আইএমএফের কথা না শুনে রিজার্ভ থেকে ঋণ দেয়া হচ্ছে, সে কারণেই তারা নাখোশ হয়ে হঠাৎ করে রিজার্ভের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে থাকতে পারে।
‘রিজার্ভ থেকে যে ঋণ বা বিনিয়োগ করা হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক নিয়মকানুনের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ডসভার অনুমোদন সাপেক্ষে যথার্থভাবে করা হয়েছে। এসব বিনিয়োগের গ্যারান্টি আছে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। আইএমএফও সেটা ভালোভাবে জানে। এরপরও এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর বলে আমি মনে করি।’
স্পর্শকাতর বিষয়ে সবকিছু ভালোভাবে জেনেবুঝে বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা।
শনিবার একটি জাতীয় দৈনিকে ‘বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৭.২ বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে বলা হয়েছে: আইএমএফ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএমএফ বলেছে যে, রিজার্ভের একটি অংশ অর্থায়ন, রেসিডেন্ট ব্যাংকগুলোতে আমানত, নন-ইনভেস্টমেন্ট গ্রেড বন্ডে বিনিয়োগ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক বোর্ড ও এর বিনিয়োগ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। তবু কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব রিজার্ভ-বহির্ভূত সম্পদকে রিজার্ভের পারফরম্যান্স ও ঝুঁকি বিশ্লেষণে অন্তর্ভুক্ত করে চলেছে।
আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে এ রকম অতিরঞ্জন করলে রিজার্ভের পরিমাণ সম্পর্কে ভুল ধারণার সৃষ্টি হয়।’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের দক্ষতা এবং আইটি সক্ষমতা দুটোই সীমিত পর্যায়ের।
আইএমএফ সুপারিশ করেছে, বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য ও সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির অবমূল্যায়ন এড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত রিজার্ভ-বহির্ভূত সম্পদ থেকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে আলাদা রাখা এবং স্বচ্ছতা বজায় রেখে রিপোর্ট করা।
শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বৈদেশিক মুদ্রা সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৫০ মিলিয়ন ডলার দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের বিপরীতে গ্যারান্টি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে সমপরিমাণ শ্রীলঙ্কান রুপি ডিপোজিট করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ দিলে তার জামিন হিসেবে ওই একই মুদ্রায় লেনদেন করা উচিত।
আইএমএফ যেসব রিজার্ভ-বহির্ভূত সম্পদ চিহ্নিত করেছে সেগুলো হলো, স্থানীয় ব্যাংকগুলোকে বিদেশি মুদ্রায় দেয়া ঋণ ৬ হাজার ১৯৮ মিলিয়ন ডলার, স্থানীয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে ডিপোজিট ৬৫১ মিলিয়ন ডলার; আইটিএফসিতে (আইডিবি গ্রুপ) ডিপোজিট ২৮৮ মিলিয়ন ডলার এবং বিনিয়োগ গ্রেডের নিচে ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ ৬০ মিলিয়ন ডলার।
পায়রা বন্দরসহ সরকারের অগ্রাধিকারমূলক অবকাঠামো প্রকল্পের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ২ বিলিয়ন ডলার ব্যবহারের বিষয়েও আপত্তি তুলেছে আইএমএফ।
আইএমএফ বলেছে, অপর্যাপ্ত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কারণে বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পগুলোকে প্রায়শই ভুগতে হয় এবং তাৎক্ষণিক ক্ষতির ভার সাধারণত অর্থ প্রদানকারীই বহন করে। ফলে রিজার্ভ কমে যাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক ক্ষতিরও আশঙ্কা রয়েছে।
প্রতিবেদনে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, পেমেন্ট ব্যালেন্সের চাপ এবং রেমিট্যান্স ও বাণিজ্যের অস্থিতিশীলতার কথা বিবেচনা করে অবকাঠামো প্রকল্পে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়ার আগে রিজার্ভ কোন পর্যায়ে আছে, তা যেন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সোমবার দিনের শুরুতে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৬ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার।
গত ২৪ আগস্ট আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ১৪৪ কোটি ৮০ লাখ (প্রায় ১.৪৫ বিলিয়ন) ডলার এসডিআর (স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস) ঋণ রিজার্ভে যোগ হওয়ায় এক লাফে রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে।
সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই-আগস্ট মেয়াদের আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।
এর পর থেকে তা কমতে কমতে গত সপ্তাহে প্রায় ৪৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল। গত কয়েক দিনে খানিকটা বেড়ে রোববার ৪৬ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন:দুর্গাপূজা সামনে রেখে দেশের শীর্ষ ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর একটি টুয়েলভ (Twelve) উন্মোচন করেছে তাদের সমৃদ্ধ Puja Collection 2025। এ বছর শুধু পোশাকের নকশা ও বৈচিত্র্যেই নয়, প্রচারণাতেও এসেছে অভিনবত্ব। টুয়েলভ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহার করেছে AI-জেনারেটেড অনলাইন ভিডিও কমার্শিয়াল (AI OVC), যা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ব্র্যান্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি এই বিজ্ঞাপন কন্টেন্ট ফ্যাশনপ্রেমী গ্রাহকদের সামনে কালেকশনের সারমর্ম তুলে ধরছে একেবারেই নতুনভাবে। ফলে টুয়েলভ কেবল একটি পোশাক ব্র্যান্ড নয়, বরং ফ্যাশনে প্রযুক্তি ব্যবহারের পথিকৃৎ হিসেবেও নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করছে।
ট্রেন্ড আর ট্র্যাডিশনের মিলন
টুয়েলভের পূজা কালেকশনে এ বছর সমন্বিত হয়েছে সমকালীন ট্রেন্ড ও বাঙালির শিকড়-গাঁথা ঐতিহ্য। নারী, পুরুষ ও শিশুসহ সব বয়সী ও রুচির গ্রাহকদের জন্য আলাদা আলাদা রেঞ্জ থাকলেও আরাম, নিখুঁত ফিট ও ডিজাইনের নিখাদ শৈল্পিকতার আলোকে এগুলোকে এক সুতোয় গেঁথেছে টুয়েলভ।
পোশাকগুলোতে ব্যবহৃত হয়েছে কটন, মিক্সড কটন, ব্লেন্ডেড সিল্ক, জর্জেটসহ আরামদায়ক নানা ফ্যাব্রিক। পাশাপাশি ডিজিটাল প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট, সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারি, সিকুইন ও কারচুপির মতো বড়সর ডিজাইনের কাজ এনে দিয়েছে বাড়তি আভিজাত্য।
নারী-পুরুষ-শিশুর জন্য বৈচিত্র্যময় আয়োজন
কালেকশনের নারীদের ক্যাটাগরিতে রয়েছে ৩ পিস, ২ পিস, গাউন, কুর্তি, টপ, শারারা বটম ও ওড়না। প্রতিটি পোশাকেই সমসাময়িক কাট ও ফিটের পাশাপাশি রয়েছে উৎসবের আবহ।
পুরুষদের জন্য এসেছে বেসিক ও এমব্রয়ডারি পাঞ্জাবির পাশাপাশি রেডিমেড ধুতি, যা বিশেষভাবে জনপ্রিয়তা পাওয়ার প্রত্যাশা করছে ব্র্যান্ডটি। কারণ ঐতিহ্যবাহী ধুতি পরতে ঝামেলার কারণে অনেকেই তা এড়িয়ে যান; এবার টুয়েলভের রেডিমেড ধুতি উৎসবে এনে দেবে সহজ সমাধান।
শিশুদের জন্য রয়েছে বয়েজ পাঞ্জাবি এবং গার্লস ২ পিস ও ফ্রক। একই ডিজাইন ও রংয়ের মিল রাখা হয়েছে শিশুদের পোশাকে, যাতে পরিবারসহ সহজেই তৈরি হয় কমপ্লিমেন্টারি লুক।
ফ্যামিলি কম্বো: একসঙ্গে উৎসবের রঙ
টুয়েলভ বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে ফ্যামিলি কম্বো কালেকশন-এ। একই মোটিফ ও রঙে নারী, পুরুষ ও শিশুদের জন্য পোশাক রাখা হয়েছে, যা পরিবারকে উৎসবে এনে দেবে ভিন্ন মাত্রার ঐক্য ও আনন্দ। বর্তমান সময়ে গ্রুপ বা পারিবারিক ফ্যাশন ট্রেন্ডকে মাথায় রেখে এই উদ্যোগ নিয়েছে ব্র্যান্ডটি।
প্রযুক্তির সংযোজন: AI OVC
এবারের পূজা কালেকশনের সবচেয়ে বড় আলোচ্য বিষয় হচ্ছে AI OVC। বাংলাদেশে এটাই প্রথমবার, যখন কোনো ফ্যাশন ব্র্যান্ড তাদের ক্যাম্পেইনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা তৈরি ভিডিও কন্টেন্ট ব্যবহার করেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই উদ্যোগ বিজ্ঞাপন প্রক্রিয়াকে করেছে দ্রুততর, ব্যয়সাশ্রয়ী ও আরও আকর্ষণীয়।
ভিডিওগুলো টুয়েলভের ফেসবুক, ইউটিউবসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে। ফলে অনলাইনে ব্র্যান্ডের উপস্থিতি যেমন জোরদার হয়েছে, তেমনি গ্রাহকরাও পাচ্ছেন নতুন ধরণের ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা।
গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত
দেশব্যাপী সব টুয়েলভ আউটলেটে ইতোমধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে Puja Collection 2025। গ্রাহকরা নিকটস্থ শোরুমে এসে ট্রাই করে নিতে পারবেন নিজেদের পছন্দের আউটফিট। এছাড়া অনলাইনে পুরো কালেকশন দেখতে পাবেন www.twelvebd.com ওয়েবসাইটে।
শেষকথা
ফ্যাশন জগতে প্রযুক্তির সংযোজনকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেল টুয়েলভের এবারের পূজা কালেকশন। ট্রেন্ড আর ট্র্যাডিশনের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ পোশাক লাইনআপের সঙ্গে AI-ভিত্তিক ভিজ্যুয়াল স্টোরিটেলিং নিঃসন্দেহে দেশীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিকে দিয়েছে ভিন্নমাত্রার উদ্ভাবন। এবারের পূজা তাই শুধু রঙিন পোশাকেই নয়, ফ্যাশনের প্রযুক্তি-নবায়নেও হয়ে উঠছে বিশেষ সৌন্দর্যের অধিকারী।
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. এর নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৫৬তম সভা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, গুলশান-১, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মুঃ ফরীদ উদ্দীন আহমদ। সভায় পর্ষদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মোঃ হুমায়ুন কবীর, নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব শেখ জাহিদুল ইসলাম, এফসিএ, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম জাহীদ, জনাব মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ ইকবাল এবং জনাব মিজানুর রহমান কার্যপোলক্ষ্যে সভায় যোগদান করেন। সভায় ব্যাংকের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও গ্রাহকসেবার মান বৃদ্ধিকল্পে ইস্যুভিত্তিক বিশদ পর্যালোচনান্তে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য দেশে থাকা প্রিয়জনের কাছে রেমিটেন্স পাঠানো আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ করলো কাতারের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গালফ এক্সচেঞ্জ এবং বাংলাদেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ।
এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে কাতারে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা সরাসরি দেশে থাকা প্রিয়জনের বিকাশ ওয়ালেটে রেমিটেন্স পাঠাতে পারবেন। ফলে, পরিবারের প্রয়োজনে যেকোনো সময়ই তাৎক্ষণিক টাকা পাঠাতে পারবেন তাঁরা। তাদের পাঠানো রেমিটেন্স বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকে নিষ্পত্তি হয়ে বিকাশ-এর নিরাপদ ডিজিটাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সরাসরি প্রিয়জনের হাতে পৌঁছে যাবে মুহূর্তেই। ভালো বিনিময় হার, দ্রুত টাকা পৌঁছানোর নিশ্চয়তা এবং সহজে ব্যবহারের সুবিধা থাকায় এটি প্রবাসী ও তাদের প্রিয়জন – উভয়ের জন্যই নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হবে।
সম্প্রতি, কাতারের রাজধানী দোহায় গালফ এক্সচেঞ্জ-এর প্রধান কার্যালয়ে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এসময় গালফ এক্সচেঞ্জ এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আহমাদ আলী আল-সারাফ, বিকাশ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আহমাদ আলী আল-সারাফ বলেন, “বিকাশ-এর মতো বিশ্বস্ত ও বহুল ব্যবহৃত প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়ে আমরা আমাদের বাংলাদেশি গ্রাহকদের জন্য দেশে টাকা পাঠানোর আরও দ্রুত, নিরাপদ ও সুবিধাজনক উপায় এনেছি। এর মাধ্যমে উদ্ভাবনী ও গ্রাহককেন্দ্রিক আর্থিক সেবা দেয়ার আমাদের প্রতিশ্রুতি আরও শক্তিশালী হলো।”
বিকাশ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, “গালফ এক্সচেঞ্জ-এর সঙ্গে এই পার্টনারশিপ বিশ্বব্যাপী আমাদের রেমিট্যান্স নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করবে। আমরা চাই, বিদেশে থাকা লাখো বাংলাদেশি যেন আরও সহজে আর্থিক সেবা গ্রহণ করতে পারেন। এই নতুন রেমিটেন্স চ্যানেলের ফলে তাদের পাঠানো টাকা মুহূর্তেই পৌঁছে যাবে পরিবারের কাছে, যা শুধু তাদের পরিবারকে সাহায্যই করবে না, বরং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
সিলেটের হাওর অঞ্চল সুনামগঞ্জে পাঁচ’শ পরিবারের দারিদ্র্য বিমোচন সহায়তায় যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল ও মেটলাইফ ফাউন্ডেশন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দারিদ্র্য মোকাবিলায় পরিবারগুলোকে আয় বাড়ানোর কাজে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদান করা হবে।
এই প্রকল্পে অংশ নেওয়া পরিবারগুলোকে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি পালন, সেলাই, মাছ চাষ, ক্ষুদ্র ব্যবসা, নৌকা ও জাল দিয়ে মাছ ধরা এবং বাণিজ্যিকভাবে সবজি চাষের মত কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে যেন তারা নিজেরাই এ থেকে আয় করে স্বাবলম্বী হতে পারে।
এ উদ্যোগ সম্পর্কে হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনালের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, “দারিদ্র পীড়িত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো এবং সমাজে দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের সাথে যৌথ উদ্যোগে পাঁচ শ’ পরিবারের জীবনে পরিবর্তন আনার এই উদ্যোগ, আমাদের সে লক্ষ্য পূরণে বড় একটি সুযোগ ও শক্তিশালী যৌথ প্রয়াসের প্রতিফলন।”
মেটলাইফ বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমদ বলেন, “মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের তহবিলের মাধ্যমে আমরা এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারছি, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখছে। এই প্রকল্প শুধু পাঁচ’শ পরিবারের ক্ষমতায়নেই সহায়তা করবে না, একইসাথে জাতীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক অবদান রাখবে।”
বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, আর্থিক সক্ষমতা ও পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে মেটলাইফ ফাউন্ডেশন। কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এ ফাউন্ডেশন দেশের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় সেবা ও অর্থনৈতিক সুযোগ সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে, যা একটি সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ তৈরিতে অবদান রাখছে।
প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেট রিয়েলস্টেট প্রতিষ্ঠান এবিবিসি রিয়ের এস্টেট লিমিটেড-এর সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বে যুক্ত হয়েছে। এই সহযোগিতার মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকরা প্রিমিয়াম আবাসন সল্যুশন উপভোগ করতে পারবেন। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে ব্যাংকের কর্পোরেট অফিসে আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকরা আবাসন চাহিদা মেটাতে এবিসি রিয়েল এস্টেট লিমিটেড থেকে আকর্ষণীয় সুবিধা ও কাস্টমাইজড অফার উপভোগ করবেন।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসি-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজিম এ. চৌধুরী এবং এবিসি রিয়েল এস্টেট লিমিটেড-এর ডিরেক্টর সৌগত ঘোষ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের ইভিপি ও হেড অব কার্ডস এবং রিটেইল অ্যাসেট জোয়াদ্দার তানভীর ফায়সাল এবং এবিসি রিয়েল এস্টেট লিমিটেড-এর জেনারেল ম্যানেজার, সেলস মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচীর অংশ হিসেবে, সমাজের সুবিধা বঞ্চিত গরীব ও অসহায় মানুষদের আশ্রয় প্রদানের লক্ষ্যে নাটোরের লালপুুরে নির্মাণাধীন গ্রিন ভ্যালী ওল্ড এজ হোম এন্ড অরফানেজ-কে ব্যাংকের সিএসআর তহবিল থেকে ৫.০০ (পাঁচ) লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং তারিখে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের করপোরেট প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ গ্রিন ভ্যালী ওল্ড এজ হোম এন্ড অরফানেজ এর সভাপতি মো: আলমগীর কবীর এর নিকট উক্ত অনুদানের চেক প্রদান করেন। উক্ত চেক প্রদানকালে অন্যান্যদের মধ্যে ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এম. সাইফুল ইসলাম, ব্যাংকের এসএভিপি মো: জাকির হোসেন এবং ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগ ও ব্যাংক ফাউন্ডেশনের ইনচার্জ কে. এম. হারুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
নাটোরের লালপুরে নির্মাণাধীন এই গ্রিন ভ্যালী ওল্ড এজ হোম এন্ড অরফানেজে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত এতিম ও অসহায় লোকজন বসবাস করবে। দুই একর জমির উপর নির্মিত হতে যাচ্ছে এই গ্রিন ভ্যালী ওল্ড এজ হোম এন্ড অরফানেজ, যেখানে সব ধরণের আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকবে। এই গ্রিন ভ্যালী ওল্ড এজ হোম এন্ড অরফানেজে শুধুমাত্র আশ্রয় কেন্দ্র নয়, তার পাশাপাশি এটি পরিণত হবে একটি শিক্ষা কেন্দ্রে, যেখানে বৃদ্ধরা অসহায় এতিম বাচ্চাদের আদর যত্নে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করবেন। উপর্যুক্ত শিক্ষা ও দক্ষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজের আশ্রিত ও সুবিধা বঞ্চিত ছোট ছেলেমেয়েরা একদিন সমাজে যোগ্য মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা পোষণ করছে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল বিনোদন প্ল্যাটফর্ম বাংলালিংকের টফি এর ব্যবহারকারীদের জন্য সাবস্ক্রিপশন কেনাকে আরও সুবিধাজনক করার লক্ষ্যে নতুন পেমেন্ট অপশন চালু করেছে। এখন থেকে বাংলালিংকের গ্রাহকেরা তাদের মোবাইল ব্যালেন্স দিয়ে সহজেই টফি সাবস্ক্রিপশন কিনতে পারবেন। নতুন এই পদ্ধতি সাবস্ক্রিপশন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও ঝামেলামুক্ত করবে।
নতুন এই ফিচারটি গ্রাহকদের জন্য পুরো প্রক্রিয়াটিকে করেছে আরও সহজ। টফির সকল ব্যবহারকারী লাইভ স্পোর্টস, টেলিভিশনের অনুষ্ঠান, সিনেমা ও এক্সক্লুসিভ কনটেন্টের বিশাল সংগ্রহ সহজেই তাদের মোবাইল ব্যালেন্স দিয়ে কিনে উপভোগ করতে পারবেন।
এ বিষয়ে বাংলালিংকের চিফ ডিজিটাল অফিসার গোলাম কিবরিয়া বলেন, “বাংলালিংকে আমরা ব্যবহারকারীদের জন্য ডিজিটাল বিনোদন আরও সহজলভ্য এবং সুবিধাজনক করে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। মোবাইল ব্যালেন্স দিয়ে সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে এখন টফি ব্যবহারকারীরা মাত্র কয়েকটি ক্লিকেই, যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় প্রিমিয়াম কনটেন্ট উপভোগ করতে পারবেন। এ সুবিধা যে শুধুমাত্র ব্যবহারকারীদের স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধি করবে, তা-ই নয়; পাশাপাশি, এর মাধ্যমে কোটি মানুষ আরও সহজে বিনোদন ও শিক্ষামূলক কনটেন্ট উপভোগ করতে পারবেন। টফি বাংলাদেশের সবচেয়ে সহজলভ্য ডিজিটাল বিনোদন প্ল্যাটফর্ম; এবং এ পদক্ষেপ ব্যবহারকারীদের জন্য আনন্দ, শিক্ষা ও বিনোদনের সুযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দেশের ডিজিটাল যাত্রার অংশ হিসেবে আমাদের ধারাবাহিক প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।”
বিনোদনের সুযোগ তৈরির বাইরেও, এ উদ্যোগ ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে বাংলালিংকের বিস্তৃত লক্ষ্যের প্রতিফলন। যেকোন সময়, যেকোন জায়গা থেকে মানসম্পন্ন কনটেন্ট উপভোগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে কনটেন্টের গণতান্ত্রায়নের লক্ষ্য নিয়ে টফি ব্যবহারকারীদের শুধুমাত্র বিনোদনই নয়, পাশাপাশি জ্ঞান, তথ্য ও শিক্ষামূলক কনটেন্ট উপভোগেরও সুযোগ তৈরি করছে, যা তাদের প্রতিদিনের জীবনকে সমৃদ্ধ করে তুলতে ভূমিকা রাখছে। বাংলালিংকের এসব উদ্যোগ ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি ব্যক্তি ও কমিউনিটির ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে এবং ডিজিটাল অর্থনীতিতে তাদের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।
মন্তব্য