× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Disoriented investors are protesting as the capital market is falling
google_news print-icon

পুঁজিবাজার পড়ছেই, বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভে

পুঁজিবাজার-পড়ছেই-বিনিয়োগকারীরা-বিক্ষোভে
পতন দিয়েই শুরু হয় সোমবারের লেনদেন। একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সূচক ১৬৪ পয়েন্ট হারিয়ে ফেলে। সে সময় কেবল ১৭টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল, পড়ে যায় প্রায় সাড়ে তিনশ কোম্পানির দর। তবে এরপর শেয়ারগুলো হারিয়ে ফেলা দর কিছুটা ফিরে পেতে শুরু করে। বেলা ২টা নাগাদ হারিয়ে ফেলা সূচক থেকে ৮০ পয়েন্ট ফিরে পায় পুঁজিবাজার। কিন্তু এরপর আবার পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত ১২০ পয়েন্ট সূচকের পতনে শেষ হয় লেনদেন।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নজরদারি, সতর্কতা, বাজারে তারল্য বাড়ানো উদ্যোগ বা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ- কাজে আসছে না কিছুই। পুঁজিবাজারে টানা দরপতন থামছে না। বরং দুই দিনে প্রায় ২০০ পয়েন্ট সূচকের পতনে বিনিয়োগকারীদের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা।

১০ কর্মদিবসের মধ্যে ৯ দিনের পতনে সূচক প্রায় ৫০০ পয়েন্ট কমে যাওয়ার পর মতিঝিলে বিক্ষোভে নামে বিনিয়োগকারীরা।

দরপতনে এখন কোম্পানির শেয়ারদর কমছে যাচাইবাছাই ছাড়াই। ভালো কোম্পানি, দুর্বল কোম্পানি, নির্বিশেষে পতন হচ্ছে। দরপতনের শতকরা হার ভাবিয়ে তুলছে বিনিয়োগকারীদের।

গত ১১ থেকে ১৯ অক্টোবর টানা সাত কর্মদিবস দরপতনের পর বিএসইসির কার্যালয়ে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন অংশীজনদের মধ্যে বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে নানা বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি বাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়ানোর পাশাপাশি বাজারে ছড়িয়ে পড়া নানা গুজবের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়া হয়।

সে সময় পুঁজিবাজারে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। আরও জানানো হয়, একটি ব্রোকারেজ হাউসের সেল প্রেসারের কারণে বাজারে সেদিন বড় দরপতন হয়েছিল। নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, এখন নজরদারি অনেক শক্তিশালী। বাজারে কারসাজি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

এই বক্তব্যের পর তিন কর্মদিবসে পুঁজিবাজারের আচরণে স্পষ্ট হয় যে, সেদিনের বৈঠক শেষে যা বলা হয়, পুঁজিবাজারে পতনে আরও কারণ আছে আর তার সমাধান হয়নি।

এই বৈঠক ও বক্তব্যের পর দিন বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান হলেও সেদিনও বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতনের কারণে উৎকণ্ঠা রয়েই গিয়েছিল। রোববার সপ্তাহের প্রথম দিনের লেনদেনের চিত্র ভয় ছড়ায় বিনিয়োগকারীদের মনে।

৭০ পয়েন্ট সূচকের পতনে ১০ শতাংশের বেশি ২টির, ৯ শতাংশের বেশি ৭টির, ৮ শতাংশের বেশি ৫টির, ৭ শতাংশের বেশি ৯টির, ৬ শতাংশের বেশি ২০টির, ৫ শতাংশের বেশি ২৪টির, ৪ শতাংশের বেশি ২৯টির, ৩ শতাংশের বেশি দর হারায় ৪২টি কোম্পানি।

সোমবারের চিত্রটা একপর্যায়ে ছিল আরও বেশি ভীতি জাগানিয়া। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দর সংশোধন শুরু হওয়ার পর থেকে যেদিন যেদিন সূচক কমেছে, তার প্রায় সব দিন লেনদেনের শুরুটা উত্থান নিয়ে শুরু হয়ে শেষ হয় পতন দিয়ে।

কিন্তু এদিন পতন দিয়েই শুরু হয় লেনদেন। আর একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সূচক ১৬৪ পয়েন্ট হারিয়ে ফেলে। সে সময় কেবল ১৭টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল, পড়ে যায় প্রায় সাড়ে তিনশ কোম্পানির দর।

তবে এরপর শেয়ারগুলো হারিয়ে ফেলা দর কিছুটা ফিরে পেতে শুরু করে। বেলা ২টা নাগাদ হারিয়ে ফেলা সূচক থেকে ৮০ পয়েন্ট ফিরে পায় পুঁজিবাজার, কিন্তু এরপর আবার পড়তে থাকে।

পুঁজিবাজার পড়ছেই, বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভে
সোমবার লেনদেন শুরুই হয় সূচক পতনের মধ্য দিয়ে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে পতনের হার।

শেষ পর্যন্ত ১২০ পয়েন্ট সূচকের পতনে শেষ হয় লেনদেন। আর এর মধ্য দিয়ে দুই দিনেই পড়ল ১৯০ পয়েন্ট। আর গত ১১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া টানা পতনের পর সূচক পড়ল ৪৮২ পয়েন্ট।

কেবল সূচক পতন দিয়ে বিনিয়োগকারীদের আর্থিক ক্ষতি বোঝানো যাবে না। স্বল্প মূলধনি ও লোকসানি বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারগুলো এই সোয়া এক মাসে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।

শেষ পর্যন্ত দুটি কোম্পানির শেয়ারদর ৯ শতাংশের বেশি, ৬টির দর ৮ শতাংশের বেশি, ৭টির দর ৭ শতাংশের বেশি, ১৬টির দর ৬ শতাংশের বেশি, ২৭টির দর ৫ শতাংশের বেশি, ৩৬টি কোম্পানির শেয়ারদর কমে ৪ শতাংশের বেশি।

দিন শেষে শেয়ারদর বাড়ে ৪৭টি কোম্পানির। বিপরীতে দর হারায় ৩০৭টি। আর দর ধরে রাখতে পারে ২২টি কোম্পানি। বড় পতনেও লেনদেনে খুব একটা প্রভাব দেখা যায়নি। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১ হাজার ৪৭১ কোটি ৪ লাখ টাকা। সেখান থেকে সামান্য কমে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সূচকের পতন বিনিয়োগকারীদের মনস্তাত্ত্বিক চাপে ফেলে। ভালো একটি বাজার যে এভাবে পতনের মুখে পড়বে এটা হয়ত অনেক বিনিয়োকারী আন্দাজ করতে পারেনি।’

বাজার আবার ঠিক হয়ে যাবে বলে আশাবাদী তিনি। বলেন, ‘লেনদেন যদিও বলা হচ্ছে কমে যাচ্ছে, তারপরও কিন্ত হাজার কোটি টাকা হাতবদল হয়েছে। এটিকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। ফলে বিনিয়োগকারীরা ধৈর্য ধরতে পারে, আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি না করে অপেক্ষা করতে পারে।’

এই দরপতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, বেক্সিমকো লিমিটেড, ওয়ালটন, সামিট পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, গ্রামীণ ফোন, ইউনাইটেড পাওয়ার ও রবি।

পুঁজিবাজার পড়ছেই, বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভে
সূচক টেনে নামানোয় প্রধান ভূমিকায় ছিল এই ১০টি কোম্পানি

এই ১০টি কোম্পানিই কেবল সূচক ফেলেছে ৬৮ পয়েন্ট।

বিপরীতে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ফরচুন সুজ, ডেল্টা লাইফ, রেনাটা, সোনালী পেপার, বিবিএস ক্যাবলস, ওরিয়ন ফার্মা, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, শেফার্ড ও ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস সূচকে যোগ করেছে ১০.৭৮ পয়েন্ট।

হতাশা থেকে বিক্ষোভে বিনিয়োগকারীরা

সোমবার সূচকের শতক পতনে আতঙ্কে রাস্তায় নেমেছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সঙ্গে ছিল বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

সকালের সূচকের পতনের থাক্কা যখন দেড়শ পয়েন্টের কাছাকাছি তখন মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল ফটকের সামনে মানববন্ধনে দাঁড়ান বিনিয়োগকারীরা।

এ সময় প্রায় অর্ধশতাধিক বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারের এমন পতনকে অস্বাভাবিক হিসেবে উল্লেখ করেন। তাদের বক্তব্য, পুঁজিবাজার ভালো ছিল। একটি মহল ইচ্ছাকৃতভাবে পুঁজিবাজার থেকে মুনাফা উত্তলনের নামে সূচকের পতন ত্বরান্বিত করছে।

বর্তমান কমিশনের আন্তরিকতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তারা বলেন, বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারের প্রতি আন্তরিক ছিল বলেই ৪ হাজার সূচক ৭ হাজারে উঠেছে। কমিশন নানা উদ্যোগে এখনও লেনদেন হাজার কোটি টাকায় বিদ্যমান আছে। তারপরও একটি মহল পুঁজিবাজারকে খারাপ অবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কমিশনের উচিত হবে, তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে শান্তির আওতায় আনা।

এর আগে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার যখন পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছিল তখন ডিএসইর স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বৈঠক করে বিএসইসি। যেখানে একটি ব্রোকারেজ হাউজকে চিহিৃত করা হয়, যারা এককভাবে শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে সূচকের পতনে ভূমিকা রেখেছিল।

বৈঠক শেষে এও জানানো হয়েছিল, পরবর্তী কার্যদিবসে পুঁজিবাজার আবারও গতি পাবে। পেয়েও ছিল। টানা ছয় দিন সূচক পতনের পর বৃহস্পতিবার উত্থানে ফেরে পুঁজিবাজার।

তারপর চলতি সপ্তাহের শুরুতে আবার সেই পতন। রোববার ৭০ পয়েন্ট আর সোমবার ১২০ পয়েন্ট পতনে সূচকে এসে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৮৫ পয়েন্টে।

আন্দোলন সম্পর্কে ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক নিউজবাংলাকে বলেন, ভালো একটি পুঁজিবাজার ছিল। সূচক ও লেনদেনের বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীরাও এতদিন যে হতাশার মধ্যে ছিল সেখান থেকে বের হয়ে আসছিল। কিন্তু আমাদের মনে হচ্ছে বর্তমান বাজার ইনসাইডার ট্রেডিং হচ্ছে। পুঁজিবাজারে আরও পতন হবে এমন গুজব ছড়িয়ে বিনিয়োগাকারীদের শেয়ার বিক্রিতে উৎসাহী করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, কমিশন যেভাবে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল তাতে আতঙ্কের কিছু ছিল না। কিন্তু এখন যে অবস্থার মধ্যে আছে সেখান থেকে দ্রুত উত্তরণ হওয়া উচিত। তা না হলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিনিয়োগ হারানোর আতঙ্ক আরও প্রকট হবে।

দর পতন ছুঁয়েছে সব খাতে

রোববারের যেন পুরাবৃত্তি হয়েছে সোমবার। সূচকের পতনের হার কম থাকলেও সোমবার আরও বেশি কমেছে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। এমন অবস্থায় রেহায় পায়নি কোনো খাত।

বস্ত্র খাতে ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ৪৯টির, বেড়েছে কেবল নয়টির। লেনদেন হয়েছে ৯৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

অন্যদিকে আর্থিক খাতে দর বেড়েছে একটির, কমেছে ২১টির দর। লেনদেন হয়েছে ৬৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৯ কোটি ১১ লাখ টাকা।

বস্ত্র খাতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের। শেয়ার দর ২৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা ৬০ পয়সা। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর ২ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯.৬৭ শতাংশ বেড়েছে।

এ খাতের দর বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় স্থানে আছে মালেক স্পিনিং, যার শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৪.৮৬ শতাংশ। মতিন স্পিনিং মিলসের শেয়ার দর বেড়েছে ৪.০৬ শতাংশ।

অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে ড্রাগন সোয়েটার লিমিটেডের ৮.৯০ শতাংশ।

তুং হাইয়ের দর কমেছে ৮.১৯ শতাংশ। এ ছাড়া, এ খাতের তাল্লু স্পিনিংয়ের ৭.৪০, জাহিন স্পিনিংয়ের ৭.২২ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।

আর্থিক খাতে একমাত্র কোম্পানি হিসেবে ন্যাশনাল হাইজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে দশমকি ৪৫ শতাংশ। আগের দিন রোববারও এ খাতের মাত্র একটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছিল, সেটি ছিল আইডিএলসি।

প্রকৌশল খাতে ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ৩৮টি। বেড়েছে ৩টির দর আর দর ধরে রাখতে পেরেছে একটি। লেনদেন হয়েছে ৮৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এই খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে অলিম্পিক এক্সসোসরিজ লিমিটেড ৯.৯১ শতাংশ। শেয়ার দর ১১ টাকা ১০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১০ টাকা। এস আলম কোল্ড স্টোরিজ লিমিটেডের শেয়ার দর কমেছে ৭.২৬ শতাংশ। গোল্ডেন সনের শেয়ার দর ১৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৬.৫৮ শতাংশ কমে হয়েছে ১৭ টাকা।

এ কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল বিবিএস ক্যাবলের শেয়ারে। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৪.৭১ শতাংশ। এ ছাড়া, ইস্টার্ন ক্যাবলের দর বেড়েছে ১ টাকা ৫১ পয়সা বা দশমিক ৬৫ শতাংশ।

লেনদেন কমার পাশাপাশি শেয়ার প্রতি দরও কমেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের। এই খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে কেবল ৭টির, কমেছে ২৩টির দর। লেনদেন হয়েছে ২১৩ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৩১ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

এ খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ওরিয়ান ফার্মার ১.৮৯ শতাংশ। আগের দিন রোববারও এই কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছিল ৪.৪৩ শতাংশ। লেনদেনে ওরিয়ান ফার্মার শেয়ার দর ১১০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১২ টাকা ৭০ পয়সা।

তারপরই ছিল বিকনফার্মা, যার শেয়ার প্রতি দর ১ টাকা ৫০ পয়সা বা দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ার দর ২০৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১১ টাকা। ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার দর বেড়েছে দশমিক ৪৫ শতাংশ।

এই খাতের সবচেয়ে বেশি ৬.৬০ শতাংশ দর হারিয়েছে গ্লোবাল হ্যাভি কেমিক্যাল। এ ছাড়া এম্বিফার্মার শেয়ার দর কমেছে ৫.৬৩ শতাংশ। কেয়া কসমেটিক্সের শেয়ার দর কমেছে ৫.৫৫ শতাংশ।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১টি কোম্পানির দর বৃ্দ্ধির বিপরীতে কমেছে ১০টির দর। লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৩৬টির মধ্যে ৩টির দাম বেড়েছে। কমেছে ২৩টি ফান্ডের। এই খাতে হাতবদল হয়েছে কেবল ১৮ কোটি টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১০ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আর আগের দিন বৃহস্পতিবার হাতবদল হয়েছিল ৯ কোটি ২০ লাখ টাকা।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ২০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯টির, কমেছে ১১টির। এই খাতে লেনদেন হয়েছে ৭৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।

সূচক ও লেনদেন

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১২০ দশমিক ৪১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৮৫ দশমিক ২৯ পয়েন্টে।

শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ২২ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৬৫ দশমিক ৬০ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৫৩ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৪৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে।

দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
ডাচ্-বাংলার দারুণ আয়
আয় কমে গেল ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের
আয় কমে গেল ইসলামিক ফাইন্যান্সের
প্রিমিয়ারে গত বছরের চেয়ে বেশি আয় ৯ মাসেই
আয় বাড়লেও তৃতীয় প্রান্তিকে ওয়ান ব্যাংকেরও ‘হোঁচট’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Capital Market Index is increasing transactions

পুঁজিবাজার : সূচক বেড়ে চলছে লেনদেন

পুঁজিবাজার : সূচক বেড়ে চলছে লেনদেন

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।

সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।

অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।

এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Transaction is going on in the capital market of Dhaka Chittagong

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
At the end of the holidays the capital market starts with the big ups

ছুটি শেষে বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে

ছুটি শেষে বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে

তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the first hour of the capital market the rise in the index has risen to most companies

পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।

দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The government will form a committee to find a long term financing way from the capital market

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।

তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।

সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

p
উপরে