× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Fishermen ready to catch hilsa at the end of the ban
google_news print-icon

নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরতে প্রস্তুত জেলেরা

নিষেধাজ্ঞা-শেষে-ইলিশ-ধরতে-প্রস্তুত-জেলেরা
নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে নামার আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। ছবি: নিউজবাংলা
নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে দেখে ভোলা, চাঁদপুর, বরগুনা, ঝালকাঠিসহ দেশের ইলিশের স্পটগুলোর জেলেদের মাঝে বিরাজ করছে উন্মাদনা। নিষেধাজ্ঞার এই সময়টায় তারা নৌকা, জাল মেরামতের কাজ সেরে রেখেছেন। ঘড়ির কাঁটা কখন সোমবার রাত ১২টায় পৌঁছাবে এখন শুধু সেই অপেক্ষা।

মা ইলিশ রক্ষায় সরকারের দেয়া ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ। ফের ইলিশ শিকারে নদীতে নামতে তর সইছে না জেলেদের। সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তারা।

ভোলা, চাঁদপুর, বরগুনা, ঝালকাঠিসহ দেশের ইলিশের স্পটগুলোর জেলেদের মাঝে বিরাজ করছে উন্মাদনা। নিষেধাজ্ঞার এই সময়টায় তারা নৌকা, জাল মেরামতের কাজ সেরে রেখেছেন। ঘড়ির কাঁটা কখন সোমবার রাত ১২টায় পৌঁছাবে এখন শুধু সেই অপেক্ষা।

নদীতে নামতে প্রস্তুত ভোলার দুই লক্ষাধিক জেলে। আগে থেকেই তারা জাল, নৌকাসহ ইলিশ ধরার অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত রেখেছেন।

মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ফের সরগরম হয়ে উঠবে মৎস্যঘাটগুলো। খুলবে বন্ধ থাকা বরফকল। জেলেপল্লিও হয়ে উঠবে মুখর। জেলে, মৎস্যজীবী ও আড়তদারদের হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে উঠবে আড়তগুলো।

ভোলার তুলাতলী, নাছির মাছি, ভোলার খাল, ইলিশা, শিবপুরসহ ঘাটে ঘাটে ইলিশ ধরার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কেউ জাল বুনছেন, কেউ নৌকায় রং দিচ্ছেন, কেউ বা নৌকা-ট্রলার মেরামত করছেন।

এ বিষয়ে কথা হয় তুলাতলী ঘাটের জেলে বশির মাঝি, হারুনসহ অন্যদের সঙ্গে। তারা জানালেন, এত দিন মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ছিল, ধারদেনা করে চলতে হয়েছে। আবার মাছ ধরা শুরু হচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ মাছ পেলে ধারের টাকা শোধ করবেন তারা।

ভোলা জেলা সমিতির সভাপতি মো. এরশাদ ফরাজি বলেন, ‘ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনেক জেলে নদীতে যায়নি, এই সময়ে সরকারের অভিযান ছিল। এত দিন জেলেরা অপেক্ষায় ছিল, কবে থেকে মাছ ধরা শুরু হবে। তাদের সেই প্রতীক্ষার পালা শেষ। তারা এখন নদীতে নামার প্রস্তুতি নিয়েছেন। জাল নৌকা নিয়ে জেলেরা নেমে পড়বেন মাছ শিকারে।

জেলা মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, ২১ দিনে জেলায় ৩৪২টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৯৯ জেলের জেল-জরিমানা করা হয়েছে। ১১৮ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ২৮১ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৭ লাখ ৫৭ হাজার মিটার জাল এবং ২ হাজার ১৫৩ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১১ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ৪ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরা বন্ধ ছিল। ২৬ অক্টোবর থেকে মাছ ধরা শুরু হচ্ছে। এখন জেলেদের মাছ ধরতে কোনো বাধা নেই। মৎস্য বিভাগের অভিযানে নদীতে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। আশা করি, এ বছর ইলিশের উৎপাদন আগের চেয়ে অনেক বাড়বে।’

রাত ১২টার বাজার অপেক্ষায় আছেন বরগুনার জেলেরাও। ইতিমধ্যে জাল, ট্রলার, নৌকা মেরামত করে প্রস্তুত করে রেখেছেন তারা। প্রস্তুত সাগরযাত্রার জন্য। ট্রলারগুলোতে বাজার-সওদা আর বরফ ভর্তি করে অপেক্ষা করছেন। মধ্য রাতেই ছুটবেন।

জেলেরা জানান, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় তারা আর্থিক অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে পার করেছেন। কমবেশি সব জেলেই ঋণগ্রস্ত হয়েছেন।

আবারও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় বরগুনা সদর, আমতলী, পাথরঘাটা, তালতলী উপজেলার জেলেপাড়াগুলো। দীর্ঘদিন সাগরে মাছ আহরণ বন্ধ থাকায় এবার বেশি মাছ পাবেন বলে আশাবাদী জেলেরা।

সোমবার বরগুনা সদরের নিশানবাড়িয়া এলাকায় বিষখালী নদীসংলগ্ন জেলেপল্লিতে বেশ কয়েকজন জেলের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, ইলিশ ধরতে সাগরে যাওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি শেষ তাদের। জেলে শ্রমিকসহ আড়তদার, পাইকার ও ট্রলারের মালিকদের মুখে এখন হাসি। স্থানীয় মুদি-মনিহারি ব্যবসায়ীদের মধ্যেও আনন্দ বিরাজ করছে।

বরগুনা সদর উপজেলার নিশানবাড়িয়া এলাকার জেলে হারুন মিয়া বলেন, ‘২২ দিনের অবরোধ শেষ। এহন আবার সাগরে যাওনের পালা। দেহি যদি আল্লায় মুখ তুইল্লা চায়।’

নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরতে প্রস্তুত জেলেরা

পাথরঘাটা উপজেলার মঠের খাল এলাকার জেলে জাফর হাওলাদার বলেন, ‘সরকারের আইনের প্রতি সম্মান রাইক্কা শত কষ্টেও সাগরে ইলিশ শিকারে যাইনি। খাইয়া না খাইয়া কোনো রহম দিন কাডাইছি, ধারদেনা কইরা কোনো রহম সংসার চলছে। এখন দেখি আল্লাহ কী রাখছে।’

তালতলী উপজেলার সোনাকাটা গ্রামের জেলে শামীম বলেন, ‘মোগো মাছ ধরা ছাড়া কামাই নাই, মাছ ধরা বন্ধ থাকলে খাওনও বন্ধ অইয়া যায়, ২২টা দিন কবে শ্যাষ অইবে খালি অপেক্ষা হরি, আইজ নামমু রাইত ১২টার পর, আল্লায় দেলে মাছ পাইলে আবার কামাই অইবে।’

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলতে থাকলে উপকূলের জেলেরা নিঃস্ব হয়ে পড়ে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশে অবরোধের সময়সীমা একসঙ্গে নির্ধারণ করে যাতে অবরোধ সময়সূচি করা হয়, সরকারের প্রতি আমরা এই দাবি জানাই।’

মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, এ বছর যত ইলিশ ধরা হয়েছে তার দ্বিগুণ ধরা পড়বে নিষেধাজ্ঞার সময় শেষে।

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ‘বরগুনায় জেলেরা সরকারের আইন মেনে নিষেধাজ্ঞাকালীন ইলিশ শিকার বন্ধ রেখেছে। আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই। জেলেদের খাদ্য সহায়তার জন্য চাল পৌঁছে দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, দক্ষিণ উপকূলে এবার প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে।’

নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে দেখে উৎসব উৎসব ভাব চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরের জেলেদের মাঝেও। জেলেরা নৌকা নিয়ে ভাসবেন মাছ ধরতে। তাই তারা সেরে নিচ্ছেন শেষ সময়ের প্রস্তুতি।

চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাট এলাকার জেলে ইদ্রিস মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোমবার রাইতে শেষ অইব নিষেধাজ্ঞা। অহন আমরা জাল সিলাই কইরা ঠিক করতাছি। নিষেধাজ্ঞা শেষ অইলেই গাঙ্গো নাইমা যামু। যদি কিসমতে থাকে তয় মাছ পামু।’

নিষেধাজ্ঞার সময়টায় চলতে ফিরতে খুব কষ্ট হয়েছে বলে জানালেন অনেক জেলে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাঁদপুরের একজন জেলে বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় মাত্র ২০ কেজি কইরা চাউল দিবে কইছিল, কিন্তু আমরা তাও পাই নাই। ১৪ জনে ১৫ কেজি পাইছি। এই দিয়া কি সংসার চলে? সংসারের খরচ চালাইতে গিয়া বিভিন্ন এনজিও আর মহাজনের কাছ তনে ঋণ নিছি। জীবনের ঝুঁকি লইয়া গাঙ্গে গিয়া মাছ ধরছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘জেলেদের যদি আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা করত, তয় কেউ আর নিষেধাজ্ঞা ভাইঙা গাঙ্গে যাইত না মাছ ধরতে। জরিমানাও দিতে হইত না, মা ইলিশও বাঁচত।’

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান নিউজবাংলাকে জানান, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন চাঁদপুরের নদীতে মাছ ধরার কাজে নিবন্ধিত ৪৪ হাজার ৩৫ জন জেলেকে ২০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। এরপরও মাছ ধরতে যাওয়া দুই শতাধিক জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা করাসহ প্রায় ১ কোটি মিটার কারেন্ট জাল ও এক টন ইলিশ জব্দ করেছে প্রশাসন।

নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরতে প্রস্তুত জেলেরা

এই কর্মকর্তার দাবি, মা ইলিশ রক্ষা অভিযান সফল হয়েছে। আগামীতেও ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

পাশ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলায় প্রায় ৫২ হাজার জেলের মধ্যে ৪২ হাজারের নিবন্ধন রয়েছে। তারা সবাই মেঘনা নদীতে মাছ ধরে সংসার চালান।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন এ পর্যন্ত নদীতে ২৫৫টি অভিযান পরিচালনা করে ১৭ জন জেলেকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ৩ লাখ মিটার জাল।

আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযান সফল হওয়ায় গত বছরের চেয়ে পাঁচ হাজার টন ইলিশ উৎপাদন বেশি হবে। এবারের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৫ হাজার টন।’

লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, ‘প্রশাসন, পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযানে এবারের অভিযান সফল হয়েছে। আশা করছি, এবার ইলিশের উৎপাদন বেশি হবে।’

সাধারণত আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে প্রায় ১৫ থেকে ১৭ দিনের মধ্যে ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ে। এই সময়ে সাগরের নোনা জল ছেড়ে নদীমুখে ছুটে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ।

মা ইলিশ রক্ষায় ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ শিকার বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ সময় সারা দেশে ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুত ও বিনিময়ও নিষিদ্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

আরও পড়ুন:
‘নিষেধাজ্ঞা শেষ অইলেই গাঙ্গো নাইমা যামু’
‘গ্রামগঞ্জে পৌঁছাবে ইলিশের স্বাদ’
নিষেধাজ্ঞায়ও থেমে নেই ইলিশ ধরা
পদ্মার চরে তাবু টানিয়ে ইলিশ বেচাকেনা
মেঘনায় জেলেদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ৫ পুলিশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Democracy must work unitedly to restore Tareq Rahman

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: তারেক রহমান

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: তারেক রহমান

বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালিত হয়ে আসছে। গণতন্ত্রের সারবত্তা ও এর অন্তর্নিহিত শক্তি সম্পর্কে বিশ্বসম্প্রদায়ের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যেই এই দিবসটি পালিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে গণতন্ত্র চর্চার লক্ষ্যে প্রচলিত একটি বিশেষ দিন। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর শ্রদ্ধা ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি, আহতদের সমবেদনা জানাচ্ছি। সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’
তিনি আরো বলেন, ‘মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন একদলীয় বাকশালের আগ্রাসী থাবা থেকে।
তার কালজয়ী দর্শন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মর্মমূলে ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র। আর প্রকৃত গণতন্ত্রের ভিত্তিই হচ্ছে মানবিক মর্যাদা, ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার ও সাম্য। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অগ্রগামী করেছিলেন শহীদ জিয়ার চিন্তা ও দর্শনকে। আর এ জন্য তাকে সহ্য করতে হয়েছে বিভিন্ন সময়ের স্বৈরতন্ত্রের হিংস্র আক্রমণ।
বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকেই বারবার স্বৈরতন্ত্র হানা দিয়েছে। রাজনৈতিক দল ও সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করা, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা, ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন করা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা ইত্যাদি অনাচার করা হয়েছে রাষ্ট্রশক্তিকে হাতের মুঠোয় নিয়ে। একটি ভীতিকর ও কর্তৃত্ববাদী পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছিল ক্ষমতাকে চিরস্থায়ীভাবে ধরে রাখার স্বপ্নে বিভোর হয়ে। গত দেড় দশক আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আত্মপ্রকাশে গণতন্ত্র ছিল অবরুদ্ধ, বন্দি রাখা হয়েছিল সারা জাতিকে। গণতন্ত্রের নীতিমালা প্রচার ও সমুন্নত রাখার যেকোনো প্রচেষ্টাকেই পতিত আওয়ামী সরকার নির্দয়ভাবে প্রতিহত করেছে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘এবারের আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের মূল প্রতিপাদ্য, ‘অ্যাচিভিং জেন্ডার ইকুইলিটি অ্যাকশন বাই অ্যাকশন’, অর্থাৎ পদক্ষেপের পর পদক্ষেপ গ্রহণ করে লিঙ্গ সমতা অর্জন করতে হবে। গণতন্ত্রে নারী-পুরুষ বা অন্য যেকোনো লিঙ্গের মানুষ লিঙ্গ-নির্বিশেষে সবার সমান সুযোগ ও মর্যাদা লাভ করে। এটি একটি মূল মানবাধিকার। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র-সমাজে কেউ বঞ্চনার শিকার হলে জোরালো প্রতিবাদের পরিবেশ থাকে, সে কারণে নারী-পুরুষ বা অন্য যেকোনো লিঙ্গের ভেদরেখা তীব্র হতে পারে না এবং ক্রমান্বয়ে সমানাধিকার নিশ্চিত হওয়ার পথে অগ্রসর হয়।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র হলো একটি সর্বজনীন মূল্যবোধ ও রাজনৈতিক পদ্ধতি, জনগণের নিজস্ব রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিসর নির্ধারণে স্বাধীনভাবে প্রকাশিত ইচ্ছা এবং জীবনের সব ক্ষেত্রে তাদের পূর্ণ অংশগ্রহণের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার এক নজিবিহীন গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ইতিহাসে এক ভয়ংকর স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। এখন তাই ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আমাদের একযোগে কাজ করে যেতে হবে। আমাদের রাষ্ট্র মেরামতের ভিত্তি হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন; বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সব মূলনীতির প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োগ। ইনশাআল্লাহ আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যেখানে নিশ্চিত হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সমৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদার রাজনৈতিক পরিবেশ এবং সামাজিক স্থিতি ও ন্যায়পরায়ণতা।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Implementation of 5 percent recommendations of the Reform Commission by December is possible Asif Nazrul

ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কার কমিশনের ৭০ ভাগ সুপারিশ বাস্তবায়ন সম্ভব: আসিফ নজরুল

ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কার কমিশনের ৭০ ভাগ সুপারিশ বাস্তবায়ন সম্ভব: আসিফ নজরুল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ফাইল ছবি

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য টিম হিসেবে কাজ করছে। এরই মধ্যে সুপারিশের প্রায় অর্ধেক বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

রোববার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ছয়টি সংস্কার কমিশনের তাৎক্ষণিক কার্যকর করার মতো প্রায় ৭০ ভাগ সুপারিশ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, প্রথম যে ছয়টি কমিশন গঠিত হয়, তাদের প্রস্তাবিত সুপারিশের মধ্যে থেকে আশু বাস্তবায়নযোগ্যগুলো বাছাই করে ইতোমধ্যেই অর্ধেকের মত বাস্তবায়ন করেছি। আমাদের ইচ্ছা, ডিসেম্বরের মধ্যেই অন্তত ৭০ শতাংশ সম্পন্ন করে যেতে পারব।

তিনি আরও বলেন, যে সকল সংস্কার প্রস্তাব সংবিধান সংশ্লিষ্ট, সেসব বিষয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন। অধ্যাদেশ বা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে আমরা সংবিধান পরিবর্তন করতে পারি না।

উপদেষ্টা জানান, কিছু প্রস্তাব সংবিধান সংশ্লিষ্ট হিসেবে উপস্থাপিত হলেও বাস্তবে তা তেমন নয়। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কমিশনের সভাপতির সঙ্গেও আলোচনা করেছি। উদাহরণস্বরূপ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান কে হবেন, তা কেবল কার্যপ্রণালীর বিধি পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব; সংবিধান সংশোধনের দরকার নেই।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, কিছু প্রস্তাবের পুনরাবৃত্তি ছিল, কিছু তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় বলে মনে হয়েছে।

আবার কিছু প্রস্তাবে নিয়মিত কার্যক্রমের কথা উল্লেখ রয়েছে, যেমন দুর্নীতি দমন বিষয়ক কৌশলপত্র তৈরি।

আইন উপদেষ্টা জানান, বাকি পাঁচটি কমিশনের কোন সুপারিশগুলো বাস্তবায়নযোগ্য তা নিরূপণে বিদ্যুৎ,
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে কাজ চলছে। কিছু সুপারিশের বাস্তবায়ন ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।

সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্তে অবিচল রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, একবার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে গেলে আর কোন আইনি সংশোধন আনা যাবে না, কারণ তা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। সে কারণেই প্রয়োজনীয় সব আইনি সংস্কার ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের কথা আমাকে খুব আশাবাদী করেছে। সবাই ঐক্যমত্যের ওপর ভিত্তি করে একটি ভালো সমাধান চায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মানুষের নিয়ত। আমাদের নিয়ত যদি গণভ্যুত্থানের ঐক্য সংরক্ষণ করা, দেশে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার সুযোগ না দেওয়া এবং নিজেদের বিপদমুক্ত রাখা হয়, তাহলে সমাধান কঠিন হবে না, ইনশাআল্লাহ।

‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও সভায় অংশ নেন।

জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় জড়িত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সভাটি পরিচালনা করেন।

সভায় কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া।

বিএনপি, এনসিপি, জামায়াত ইসলামী, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Coast Guard has arrested 4 deer hunters including about 5 kg of deer meat in Khulna and deer hunting traps

খুলনার কয়রায় প্রায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড

খুলনার কয়রায় প্রায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড

সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সোমবার মধ্যরাত ১ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন কয়রা কর্তৃক খুলনার কয়রা থানাধীন ছোট অংটিহারা এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকা হতে ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, ১টি হরিণের মাথা এবং প্রায় ৩০০ মিটার দীর্ঘ হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করা হয়।

পরবর্তীতে জব্দকৃত হরিণের মাংস, মাথা, শিকারের ফাঁদ এবং আটককৃত ব্যক্তির আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কয়রার আন্দারমানিক ফরেস্ট অফিসের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচার রোধে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Give information to the BGB to prevent the infiltration of illegal weapons

অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবিকে তথ্য দেওয়ার আহবান

অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবিকে তথ্য দেওয়ার আহবান

সম্প্রতি জানা যায় যে, কিছু অসাধুচক্র দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র অনুপ্রবেশ করানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিজিবির নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ০৩ মাসে বিজিবি ১৬টি দেশি-বিদেশি পিস্তল, ০২টি রিভলভার, ০২টি এসএমজি, ০৫টি রাইফেল, ১৬টি দেশীয় বন্দুক, ০৩টি শর্টগান, ০৩টি মর্টার শেল, ০৮টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ২৭টি অন্যান্য অস্ত্র, ২১টি ম্যাগাজিন এবং ১০০৩ রাউন্ড বিভিন্ন অস্ত্রের গোলাবারুদ জব্দ করেছে।

সীমান্ত দিয়ে দেশে অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মাঠ পর্যায়ে বিজিবির গোয়েন্দা তৎপরতা ও আভিযানিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবির টোল ফ্রি ০১৭৬৯৬০০৫৫৫ নাম্বারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করা যাচ্ছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Chief Advisor awarded the Youth Volunteer Award to 12 youths 

প্রধান উপদেষ্টা ১২ তরুণকে ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করলেন 

প্রধান উপদেষ্টা ১২ তরুণকে ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করলেন 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ ১২ তরুণকে ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ প্রদান করেছেন। স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ ও তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণামূলক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ বছর পাঁচটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে তরুণদের এই সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারও রয়েছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Madaripur Sadar Parapur is making public suffering from the sandy sand business

মাদারীপুর সদরের পেয়ারপুরে জনদূর্ভোগ তৈরী করে চলছে রমরমা স্তূপকৃত বালুর ব্যবসা

মাদারীপুর সদরের পেয়ারপুরে জনদূর্ভোগ তৈরী করে চলছে রমরমা স্তূপকৃত বালুর ব্যবসা

মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের রাস্তার পাশে জনবসতি এলাকায় বালুর স্তূপ করে চলছে রমরমা ব্যবসা। সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের প্রভাবশালী, অর্থ-বিত্ত-বৈভবের মালিক ইলিয়াস ব্যাপারী গং এ ব্যবসা চালিয়ে জনদূর্ভোগ তৈরী করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটা থেকে শুরু করে বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় অনেক পরিবার গৃহহীণ হওয়ার উপক্রম। এ পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

​পেয়ারপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী ইলিয়াস ব্যাপারী জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বালু বিক্রি করছেন। এর ফলে আঞ্চলিক সড়কগুলো বালুর স্তূপে বেশীরভাগ সময় অবরুদ্ধ থাকে, যা পথচারী ও যানবাহন চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এ সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করে। ​ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ নুরুল হক জমাদ্দার জানান, বালু ব্যবসাস্থলের জমি নিয়ে আমাদের আদালতে মামলা চলছে, বালু ব্যবসার আড়ালে বেরিকেড, কাদাপানি সহ বিভিন্ন সমস্যা তৈরী করে কৌশলে আমাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করার জন্য বাড়ির সামনে বালুর স্তূপ করে রেখে রমরমা অবৈধ ব্যবসা চালাচ্ছেন ইলিয়াস ব্যাপারী গং। এ কারণে চলাফেরা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। বালুর স্তূপ করে চলাচলের রাস্তা টুকু বন্ধ্ করে দেয়া হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বালুর সাথে পানি মিশে কাদা হয়ে যায় এবং পানি সরাসরি আমাদের ঘরে ঢুকে যায়। পানির কারনে আমাদের বাড়ি-ঘর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। উক্ত এলাকায় আরেকজন বাসিন্দা আঃ আজিজ জমাদ্দার বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা ঠিকঠাকমতো স্কুলে যেতে পারে না, কারণ রাস্তা পুরোটাই পানি ও বালুতে ভরা থাকে। আমরা একাধিকবার আমাদের অসহনীয় দূর্ভোগের কথা স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি, তারা এখানে এলে সাময়িকভাবে তা বন্ধ করা হয় এবং চলে গেলে আবার তা চালু করা হয়। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আদালতের কাছে আইনি প্রতিকার চেয়েছি।

​ তারা অবিলম্বে এ অবৈধ বালু বিক্রি ও দূর্ভোগ তৈরীকারী ব্যবসা বন্ধ বা অন্যত্র সরিয়ে নিতে আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এলাকার মানুষের দাবি বালুর ব্যাবসা বন্ধ করে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেয়া হোক।

​এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং আদালতের নির্দেশনা পেলে সে মোতাবেক দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

​স্থানীয়রা এখন তাকিয়ে আছেন আদালতের দিকে। কেননা আদালত তাদের আস্থার ও ন্যায়বিচার পাওয়ার স্থল- যেখানে তাদের আশা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তারা এ দুঃসহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবেন। উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে বালু ব্যবসায়ী ইলিয়াস ব্যাপারী কাছে এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে মুঠোফোনে কল করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In Madhabpur the locals were injured in the bite of the mad dog

মাধবপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ৬, আতঙ্কে এলাকাবাসী!

মাধবপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ৬, আতঙ্কে এলাকাবাসী!

হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক পাগলা কুকুরের কামড়ে এ পর্যন্ত অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন।উপজেলার চৌমুহনি ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে শিশুসহ পুরো গ্রামবাসীর মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শিশু-কিশোররা ভয়ে স্কুলে যেতেও সাহস পাচ্ছে না।এ নিয়ে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় একটি মসজিদে পাগাল কুকুরটি থেকে সাবধান থাকতে ও একে নিধন করতে মসজিদে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়।

আহতদের মধ্যে মিলাদ মিয়া ও মনোয়ারা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ এক কুকুর গ্রামে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি কামড়ে একের পর এক মানুষকে আহত করে। আতঙ্কের মাত্রা বাড়তে থাকায় গ্রামবাসীকে সতর্ক করতে মসজিদে মাইকিং করা হয়। তবে কুকুরটিকে এখনও আটক বা নিধন করা যায়নি।

স্থানীয় সেলিম মিয়া বলেন, “পাগলা কুকুরের ভয়ে আমাদের বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না।কুকুরটির লাল বর্ণের কুকুরি। আমরা মসজিদ থেকে মাইকিং করেছি। সরকারি উদ্যোগে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।”

এ বিষয়ে মাধবপুরের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিঠুন সরকার জানান, “কুকুরকে ধরে র‌্যাবিস টিকা দেয়ার প্রযুক্তি আমাদের নেই। এটি বন বিভাগ করলে করতে পারে। আপাতত এলাকাবাসীকেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”

এদিকে গ্রামবাসী দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ ও স্থায়ী সমাধান দাবি করেছেন।

মন্তব্য

p
উপরে