লেনদেনের প্রায় চার ভাগের একভাগ একটি কোম্পানিতেই। এমন অবিশ্বাস্য চিত্র দেখা গেল দেশের পুঁজিবাজারে।
রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৭১ কোটি ৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেডেরই ৩৪২ কোটি ১৯ লাখ টাকা হাতবদল হয়েছে। অর্থাৎ মোট লেনদেনের ২৩.২৬ শতাংশ।
এই হুলুস্থুল হলো কোম্পানিটির লভ্যাংশ ঘোষণার পর।
২০১০ সালের মহাধসের পর কোম্পানিটি প্রথমবারের মতো ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করল এবার। শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭ টাকা ৫৩ পয়সা। আগের বছর আয় ছিল ৫১ পয়সা।
গত দেড় বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৩ টাকা থেকে বেড়ে দিন শেষে দাঁড়িয়েছে ১৬৭ টাকা ৭০ পয়সা। তবে এক পর্যায়ে দাম ১৮০ টাকা উঠে গিয়েছিল। এত বেশি হারে কোনো শেয়ারের দাম বাড়েনি দেশের পুঁজিবাজারে।
মূল্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেক্সিমকোর শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহও বাড়ছে। গত জুলাইয়ে কোম্পানিটির চার কোটির বেশি আর আগস্টে সাত কোটি শেয়ার কিনেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।
এই এক বছরে বেশিরভাগ দিনই লেনদেনের শীর্ষে ছিল এই কোম্পানিটি। মাঝে কেবল দুই একদিন ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, গত মাসে লাফার্ম হোলমিস, ওরিয়ন ফার্মা বেক্সিমকোকে ঠেলে নিচে নামিয়েছে। তবে শেয়ারদর বৃদ্ধি থামেনি।
তবে এক এক বছরে কোনো কোম্পানির তিনশ কোটি টাকার বেশি লেনদেনর চিত্র দেখা যায়নি। আজ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়া ওরিয়ন ফার্মাও হাতবদল হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার চার ভাগের এক ভাগের কম। এই কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ৭৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পিপিই পার্ক ছাড়াও আরও একটি কারণে বেক্সিমকোর শেয়ারদর ক্রমেই বাড়ছে। কোম্পানিটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেক্সি পাওয়ার দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে কাজ পেয়েছে। এর মধ্যে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নে একটি ২৮০ মেগাওয়াট ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় নির্মিত হচ্ছে ৫৫ মেগাওয়াটের আরও একটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র।
এর মধ্যে গাইবান্ধার কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে তিস্তা সোলার লিমিটেড আর পঞ্চগড়েরটি নির্মাণ করছে করতোয়া সোলার লিমিটেড নামে কোম্পানি। এই দুটি কোম্পানির ৭৫ শতাংশের মালিক বেক্সিমকোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেক্সি পাওয়ার। বেক্সি পাওয়ারের ৭৫ শতাংশের মালিক আবার বেক্সিমকো লিমিটেড।
এই দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে উৎপাদনে আসবে।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের অর্থায়নের জন্য বেক্মিমকো তিন হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড ছেড়েছে।
লভ্যাংশ ঘোষণা হওয়া অন্য কোম্পানির চিত্র কী
রোববার লভ্যাংশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ১৪টি কোম্পানির কোনো মূল্যসীমা ছিল না। এর মধ্যে বেক্সিমকোর মতো চিত্র অন্য কোনো কোম্পানিতে দেখা যায়নি।
বেক্সিমকোর প্রায় দ্বিগুণ লভ্যাংশ ঘোষণা করা স্কয়ার ফার্মার শেয়ারদর কমেছে। কোম্পানিটি এবার শেয়ার প্রতি ৬ টাকা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই ঘোষণায় শেয়ারদর ২৩৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ২২৬ টাকা ২০ পয়সা।
শেয়ার প্রতি দুই টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করা একই গ্রুপের স্কয়ার টেক্সটাইলের শেয়ারদর ২ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে ৪৯ টাকা ৮০ পয়সা থেকে হয়েছে ৫১ টাকা ৯০ পয়সা।
বেক্সিমকো লিমিটেডের সমান লভ্যাংশ ঘোষণা করা একই গ্রুপের বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারদরও কমেছে। সাড়ে তিন টাকা লভ্যাংশ ঘোষণার প্রভাবে শেয়ারদর ২২৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৩ টাকা ৪০ পয়সা কমে হয়েছে ২২৬ টাকা ২০ পয়সা।
একই গ্রুপের আরেক কোম্পানি শাইনপুকুর সিরামিক শেয়ার প্রতি ২৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণার পর শেয়ার দর কমেছে ১ টাকা ৬০ পয়সা। ৩৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৩৫ টাকা ৩০ পয়সা।
শেয়ারে ১৪ টাকা ৫০ পয়সা ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার ঘোষণায়রেনাটার কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা। দাম এক হাজার ৪৪০ টাকা ১০ পয়সা থেকে হয়েছে ১ হাজার ৪৪১ টাকা ৩০ পয়সা।
শেয়ার প্রতি ২০ পয়সা অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করা মেরিকোর শেয়ারদর বেড়েছে ৭ টাকা ২০ পয়সা। শেয়ারদর দুই হাজার ৩০৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৩১৫ টাকা ৫০ পয়সা।
শেয়ার প্রতি ৫ টাকা (এর মধ্যে ১ টাকা এসেছিল অন্তর্বর্তী, চূড়ান্ত লভ্যাংশ ৪ টাকা) লভ্যাংশ ঘোষণা করা বিএসআরএম লিমিটেডের দর ১১৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১৯ টাকা।
একই গ্রুপের আরেক কোম্পানি বিএসআরএম স্টিল শেয়ার প্রতি ৪ টাকা (এর মধ্যে ১ টাকা এসেছিল অন্তর্বর্তী, চূড়ান্ত লভ্যাংশ ৩ টাকা) লভ্যাংশ ঘোষণার পর শেয়ারদর ২ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে ৬৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে হয়েছে ৭২ টাকা।
শেয়ার প্রতি ১ টাকা ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করা প্রকৌশল খাতের বিসিএস ক্যাবলস দর হারিয়েছে ৪ টাকা ৭০ পয়সা। ৬৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে শেয়ারদর নেমে এসেছে ৬১ টাকা ৫০ পয়সা।
লোকসান দেয়ার পরও রিজার্ভ থেকে শেয়ার প্রতি ২০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা বিবিএস দর হারিয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। শেয়ারদর ১৮ টাকা ৪০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১৬ টাকা ৫০ পয়সা। দাম কমেছে ১০.৩২ শতাংশ।
প্রকৌশল খাতেরই আরেক কোম্পানি ন্যাশনাল পলিমার শেয়ারে এক টাকা লভ্যাংশ ঘোষণার পর দর হারিয়েছে ৩ টাকা ৭০ পয়সা। শেয়ারদর ৫৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৫২ টাকা ৯০ পয়সা।
দ্বিগুণ আয় করার পর শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৭০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা বাংলাদেশ সাবমেরিন কোম্পানি লিমিটেড দর হারিয়েছে ১ টাকা ৯০ পয়সা। শেয়ারদর ২১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ২১০ টাকা ৬০ পয়সা।
শেয়ার প্রতি ২০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা বস্ত্র খাতের আনলিমা ইয়ার্ন দর হারিয়েছে ৩ টাকা ১০ পয়সা। শেয়ারদর ৩৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে নেমে এসেছে ৩৫ টাকা ৬০ পয়সায়।
দিনের সবচেয়ে বেশি পতন হওয়া কোম্পানিটির নাম ফাস ফাইন্যান্স। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে ১০ টাকার শেয়ারে ১৪ টাকার বেশি লোকসান করার কারণে লভ্যাংশ না দেয়া কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১০.৬৬ শতাংশ। শেয়ারদর ৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য