× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
One who has had a thousand kidney transplants
google_news print-icon

এক হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন যিনি

এক-হাজার-কিডনি-প্রতিস্থাপন-করেছেন-যিনি
ডা. কামরুল ইসলাম জানালেন, তার প্রতিষ্ঠিত সিকেডি অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালটি মূলত গরিব মানুষের সেবা দেয়ার জন্য। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘গত এক বছরে করোনার মধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে ১৪৯টি। এর মধ্যে মাত্র সাতটি কিডনি কাজ করেনি। সে অনুযায়ী সফলতার হার অনেক ভালো। প্রতিস্থাপনের পর মাত্র ৪ শতাংশ কিডনি বিকল হয়েছে, সফলতা ৯৬ শতাংশ।’

এক হাজার কিডনি প্রতিস্থাপনের মাইলফলক ছুঁয়েছেন অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম ও তার প্রতিষ্ঠান শ্যামলীর সিকেডি অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতাল। গরিব রোগীদের কমমূল্যে কিডনি প্রতিস্থাপনের লক্ষ্য নিয়ে ২০১১ সালে এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন ডা. কামরুল ইসলাম।

করোনাকালেও বন্ধ ছিল না কিডনি প্রতিস্থাপনের কার্যক্রম। অতিমারির দেড় বছরে তিন শতাধিক কিডনি প্রতিস্থাপন সফলভাবে করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে চারটি করে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে এ হাসপাতালে।

নিউজবাংলা কথা বলেছে অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলামের সঙ্গে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। তার বাবা আমিনুল ইসলাম স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হন।

নিউজবাংলা: কিডনি প্রতিস্থাপনে খরচ কেমন?

ডা. কামরুল ইসলাম: ২ লাখ ১০ হাজার টাকার প্যাকেজ মূল্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় সিকেডি অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে। এই সেবায় ১৫ দিনের এ প্যাকেজের মধ্যে আছে দুজনের অস্ত্রোপচার খরচ (রোগী ও ডোনার), বেড ভাড়া এবং ওষুধ খরচ। এর চেয়ে কম খরচে দেশের বেসরকারি হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব নয়। আমাদের পাশের দেশেও কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য খরচ ১৫ লাখ টাকার বেশি। তবে উন্নত বিশ্বের মতোই সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে এমন কাজ করা হচ্ছে।

স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বাবার সম্মানে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য আমি স্বল্প পারিশ্রমিক নেই। প্রতিস্থাপনের আগে ডায়ালাইসিস প্রয়োজন হলে এই হাসপাতালে ব্যবস্থা রয়েছে। সিকেডি অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে আছে ২২ বেডের ডায়ালাইসিস ইউনিট। মাত্র ১ হাজার ৫০০ টাকায় ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা আছে। আইসিইউ বেডের খরচ ৭ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকা।

নিউজবাংলা: কিডনি প্রতিস্থাপনে আপনাদের সাফল্যের হার কেমন?

ডা. কামরুল ইসলাম: চিকিৎসাসেবায় ১৪ বছরের মধ্যে ১ হাজার ২টি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। গত এক বছরে করোনার মধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে ১৪৯টি। এর মধ্যে মাত্র সাতটি কিডনি কাজ করেনি। সে অনুযায়ী সফলতার হার অনেক ভালো। প্রতিস্থাপনের পর মাত্র ৪ শতাংশ কিডনি বিকল হয়েছে, সফলতা ৯৬ শতাংশ। এ ছাড়া কিডনি প্রতিস্থাপনের পর করোনা আক্রান্ত হয়ে দুজন মারা গেছেন। কিডনি প্রতিস্থাপনের দুই দিন পর হার্ট অ্যাটাক হয়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। কিডনি প্রতিস্থাপনের পর অনেক বেশি সাবধান হতে হয়। রোগীর এ সময় বাইরের খাবার না খাওয়া ভালো।

প্রতিস্থাপনের পর রোগীর প্রতিনিয়ত ওষুধ খাওয়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওষুধ খাওয়ানো যদি এদিক-সেদিক হয়, তাহলে কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। তবে আমরা দেখেছি প্রতিস্থাপনের পর অনেক সময় অর্থনৈতিক কারণে রোগীরা ঠিকমতো ওষুধ খান না। এমন সমস্যা বেশি দেখা দেয় নারী রোগীর ক্ষেত্রে। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিদেশি ওষুধ সময়মতো দেশে পৌঁছেনি, এতে কিডনি রোগীর সমস্যা হয়েছে। দীর্ঘ সময় ওষুধ না পাওয়ায় ভালো কিডনি অনেক সময় নষ্ট হওয়ার ঘটনাও ঘটছে।

এক হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন যিনি
পরিবারের সঙ্গে অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম

নিউজবাংলা: করোনার মধ্যে কীভাবে ৩০০ কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হলো?

ডা. কামরুল ইসলাম: করোনার মধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন সাহসী সিদ্ধান্তের কারণে সম্ভব হয়েছে। দেশে যখন প্রথম করোনা মহামারি দেখা দিল, তখন সবাই ঝুঁকির মধ্যে ছিল। কীভাবে এই সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়, এ বিষয়ে তেমন কারও জানা ছিল না। রোগী ও চিকিৎসক সবাই আতঙ্কে ছিলেন। যে কারণে অনেক চিকিৎসক চেম্বার করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

করোনার মধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়তো ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, তবে রোগীদের সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে দেশে যখন প্রথম লকডাউন শুরু হলো, সেদিন বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কী করব। করোনার মধ্যে আমি ডায়ালাইসিস বন্ধ রাখতে পারব না। ডায়ালাইসিসের কাজে সংশ্লিষ্ট যে স্বাস্থ্যকর্মী, তাদের কাছে জানতে চাইলাম কী করতে চান। স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেছিলেন, যদি সুরক্ষা উপকরণ থাকে, আমাদের দায়িত্ব পালন করতে কোনো আপত্তি নেই।

তখন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, ‍কিডনি প্রতিস্থাপন চলমান থাকবে। কারণ কিডনি প্রতিস্থাপন এক মাস পিছিয়ে গেলে ৫০ হাজার টাকা বাড়তি খরচ হবে। সে কারণে আমাদের ১২ সদস্যের টিমের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে করোনার মধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। এভাবে ৩০০ কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।

নিউজবাংলা: গরিব রোগীদের বিশেষ কী ছাড় দেয়া হয়?

ডা. কামরুল ইসলাম: সিকেডি অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালটি মূলত গরিব মানুষের সেবা দেয়ার জন্য। আমার হাসপাতালগুলো কিন্তু এভারকেয়ার, স্কয়ার, ল্যাবএইডের মতো না। আমার লক্ষ্য, আমি এখানে চিকিৎসাসেবা ভালো দিব, কিন্তু হাসপাতালের পরিবেশ এত ভালো দিতে পারব না। দেশীয় সব উপকরণ দিয়েই আমার হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। ভালো চিকিৎসা দেয়া প্রধান লক্ষ্য, দ্বিতীয় লক্ষ্য খরচ কম নেয়া। আমাদের হাসপাতালে ২ লাখ ১০ হাজার টাকায় কিডনি প্রতিস্থাপন করা যায়, সেটি অন্যান্য দেশে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকায় করতে হয়। তারা যে ওষুধ ব্যবহার করে, যে সুতা ব্যবহার করে, এমনকি তারা যে যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে, আমরাও তা-ই ব্যবহার করি। আমাদের ফলাফল ও তাদের ফলাফল একই। আমাদের লক্ষ্য গরিব ও অসহায় রোগীদের অল্প খরচে কিডনি প্রতিস্থাপন। আমরা তা করে যাচ্ছি। এটাই আমাদের সাফল্য।

এক হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন যিনি
সহকর্মীদের সঙ্গে অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম

নিউজবাংলা: রোগীদের ফলোআপ পরীক্ষা বিনা মূল্যে?

ডা. কামরুল ইসলাম: এ পর্যন্ত যে ১ হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, সব রোগীর ফলোআপ পরীক্ষা বিনা মূল্যে করা হয়েছে। প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ৬০০ রোগী আসেন ফলোআপ পরীক্ষার জন্য। তাদের সবার ফলোআপ বিনা মূল্যে করানো হয়। রোগীপ্রতি পরীক্ষার খরচ আসে ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা। এমনকি রিপোর্ট দেখতে কোনো ফি নেয়া হয় না। এই ফলোআপের কারণে রোগীর কিডনি অনেক দিন সুস্থ থাকে। যদি ফলোআপ পরীক্ষার জন্য টাকা নেয়া হতো, তাহলে রোগীদের বড় একটি অংশ প্রতিস্থাপনের পর ফলোআপ পরীক্ষা করতে আসত না। তাতে অনেকেরই কিডনি নষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকত।

আগামী দিনে কিডনিদাতাদের মধ্যে কিডনি রোগ দেখা দিলে তাদেরও ফ্রি চিকিৎসা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া যারা কিডনিদাতা তাদের এক বছরের কিডনি ফলোআপ পরীক্ষা ফ্রি করা হবে। এমনকি তাদের যদি কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়, সেটিও ফ্রি করার পরিকল্পনা রয়েছে।

নিউজবাংলা: দেশে প্রতিবছর ৪০ হাজার মানুষের কিডনি পুরোপুরি অকেজো হচ্ছে। এমন উদ্বেগজনক হার কমাতে করণীয় কী?

ডা. কামরুল ইসলাম: দেশে কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে তিন প্রধান রোগ রয়েছে: ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও ইউরিন সমস্যার। এ ছাড়া অনেক কারণে কিডনি রোগ দেখা দিতে পারে। বাচ্চাদের জন্মগত ত্রুটি রয়েছে। বাইরের পচা-বাসি খাবার খেলেও এই রোগ দেখা দিতে পারে। কিডনি রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে।

আরও পড়ুন:
রাজশাহীতে করোনায় চিকিৎসকের মৃত্যু
বিসিএস না দিয়ে চিকিৎসক জয়দেব কি আত্মহত্যা করেছেন?
করোনায় প্রাণ দিয়েছেন ২০০ চিকিৎসক: শিক্ষামন্ত্রী
মাইক্রোবাসে এসে চিকিৎসককে কোপাল দুর্বৃত্তরা
ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্যসচিবকে আইনি নোটিশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
3 more people

আরো ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

আরো ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে কেউ মারা যায়নি। আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ দিন প্রতি ১০০ নমুনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ‘২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু ২৯ হাজার ৫২১ জন। এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। এছাড়া ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে মোট শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ১২৭ জন। এর মধ্যে গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫৮২ জন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The number of people in the dengue is increasing

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে

একদিনে রেকর্ড ৪২৯ জন শনাক্ত, চলতি বছর ১০ হাজার ছাড়াল
ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

এডিশ মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সারা দেশে মশা নিধন কার্যক্রমের দুর্বলতার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মোড় নিয়েছে। চলতি বছরের মে মাসের তুলনায় জুন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বছরের শুরুর দিকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। জানুয়ারিতে ১,১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬ এবং এপ্রিলে ৭০১ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে মে মাস থেকে পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে এবং জুনে এসে তা ভয়াবহ রূপ নেয়। আশঙ্কার বিষয় হলো, ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে, বিশেষ করে বরগুনায়, ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেশি।

এদিকে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ২৯৬ জনে পৌঁছেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৪২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে
অঞ্চলভেদে নতুন শনাক্ত ৪২৯ জন ডেঙ্গু রোগীর তালিকা:

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন শনাক্ত ৪২৯ জন ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে— বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪৯ জন; চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৭ জন; ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬১ জন; ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৪২ জন; ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৪৫ জন; খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১ জন ও রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৫৮ জন রোগী। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৮৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং নারী ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে কোনো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৪২ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে একজন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এডিস মশার বিস্তার এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। বিশেষ করে রাজধানীর বাইরের এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, 'মে মাসের তুলনায় জুনে আক্রান্তের সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে জুলাইয়ে এ সংখ্যা চার থেকে পাঁচগুণ এবং আগস্টে দশগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে।'

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৯৬ জনে। এর আগে ২০২৩ সালের পুরো বছরে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন। ২০২৪ সালের পুরো বছরের (১ জানুয়ারি–৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) সর্বমোট হিসাব অনুযায়ী, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ৫৭৫ জন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The body of 20 more people in the country

দেশে আরও ২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

দেশে আরও ২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের মধ্যে দেশে আরও ২১ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।

রবিবার (২৯ জুন) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব শনাক্ত হয়েছে। তবে, নতুন করে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি এই সময়ের মধ্যে।

সোমবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৫২ হাজার ১১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২২ জন। আর দেশে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫২১ জনের।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dengue death of 5 more people in a day

একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৮৩ জন রোগী। এসব রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩৬ জন আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৮, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২৮, খুলনা বিভাগে ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৩৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৩৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮ হাজার ৭২৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৯ হাজার ৮৬৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের।

মন্তব্য

সিলেটে করোনায় একজনের মৃত্যু

সিলেটে করোনায় একজনের মৃত্যু

সারাদেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পর সিলেট এ ভাইরাসে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার দুপরে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন করে করোনার আক্রমন শুরুর পর সিলেটে প্রথম এই কোন রোগী মারা গেলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনায় আক্রান্ত ৬৯ বছর বয়েসি পুরুষ ১৯ জুন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান তিনি। এছাড়া সিলেটে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ জন বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মো. মিজানুর রহমান জানান, নিহত ব‍্যক্তির বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়। তিনি করোনা ছাড়াও আরও অন‍্যান‍্য জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
One more death in Karona in Chittagong is the new identification

চট্টগ্রামে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬

চট্টগ্রামে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে; গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ছয়জন। এ নিয়ে চলতি জুন মাসেই জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা সাতজনে দাঁড়াল।

২৮ জুন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলার মিরসরাই উপজেলার বাসিন্দা সালেহা বেগম (৪০) নামে এক নারী শুক্রবার নগরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকেই তিনি হৃদরোগসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

এদিকে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৯১টি নমুনা পরীক্ষা করে ছয়জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন নগরের এবং দুজন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে নগরের শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চারজন এবং এভারকেয়ার হাসপাতালে দুজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে চলতি জুন মাসে মোট ১৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৬ জন পুরুষ, ৬৩ জন নারী ও একজন শিশু রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two more deaths in Barisal Dengue

বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

নতুন আক্রান্ত ১০৫
বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

মশাবাহীত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের দুই জেলায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় গোটা বিভাগের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ১০৫ জন আক্রান্ত রোগী। এ নিয়ে বর্তমানে বিভাগের ছয় জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৩৫ জন। মৃত্যুবরণ করা দুজন হলেন- বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কালিকাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আ. করিম (৫০) ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রাজপাড়া এলাকার মো. ইউসুফ খন্দকার (৭২)। এর মধ্যে আ. করিম বরিশাল শেরইবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ও বৃদ্ধ মো. ইউসুফ খন্দকার কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উদ্বেগ ও আশঙ্কাজনক। এ পরিস্থিতি থেকে বেরোতে হবে। চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ জরুরি। তাই মশার বিস্তার রোধ করতে বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৩০৫ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৩৫ জন।

বরগুনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মৃত ১১ জনের মধ্যে ছয়জনেরই বরগুনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। শুধু মৃত্যুই নয় এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি, বরগুনা জেলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬৩২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

মন্তব্য

p
উপরে