× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The government does not care what people eat Fakhrul
google_news print-icon

মানুষ কী খাবে সরকারের খেয়াল নেই: ফখরুল

মানুষ-কী-খাবে-সরকারের-খেয়াল-নেই-ফখরুল
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: নিউজবাংলা
সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা কথা দিয়েছিল ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। এখন চাল খাওয়াচ্ছে ৭০ টাকায়। এক সপ্তাহের মধ্যে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৬০ টাকা। চিনির দাম বেড়েছে, লবণের দাম বেড়েছে, সবজির দাম বেড়েছে, ডালের দাম বেড়েছে। মানুষ কী খাবে সেদিকে সরকারের খেয়াল নাই। তারা খেতে পারলেই হলো।’

দেশ পরিচালনা করতে আওয়ামী লীগ সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, এই সরকার মানুষের খাওয়া-পরার দাম কমাতে পারে না; জনগণ কী খেয়ে বাঁচবে তাতেও খেয়াল নেই।

দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শনিবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা কথা দিয়েছিল ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। এখন চাল খাওয়াচ্ছে ৭০ টাকায়। এক সপ্তাহের মধ্যে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৬০ টাকা। চিনির দাম বেড়েছে, লবণের দাম বেড়েছে, সবজির দাম বেড়েছে, ডালের দাম বেড়েছে। মানুষ কী খাবে সেদিকে সরকারের খেয়াল নাই।

‘তারা খেতে পারলেই হলো। আওয়ামী লীগ খাবে পেট মোটা করবে, শরীর মোটা করবে আর দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করে বিদেশে বাড়িঘর তৈরি করবে। অর্থাৎ এই সরকার দেশ পরিচালনা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিবের মতে, এই সরকার একদিকে যেমন নিত্য পণ্যের দাম কমাতে ব্যর্থ হয়েছে, গরীব মানুষকে অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান দিতে ব্যর্থ হয়েছে অন্যদিকে দেশে সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি বলেন, আজকে পুলিশ প্রশাসন দিয়ে পুজামণ্ডপে কোনো প্রকার নিরাপত্তা দেয়া হয় না এবং সরকারের মদদেই এই সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এর একটাই কারণ, সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা। এই সরকার মানুষের অধিকারগুলোকে হরণ করছে; ধ্বংস করে দিচ্ছে।

মানুষ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষ এখন তাদের অধিকার চায়, ভোটের অধিকার চায়, দেশনেত্রীকে মুক্ত দেখতে চায়, আমাদের ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে যে মামলা তা প্রত্যাহার চায়, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা তা প্রত্যাহার চায়।

‘আমাদের মনে রাখতে হবে কেন আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম, একটা স্বাধীন গণতান্ত্রিক মুক্ত বাংলাদেশের জন্য। সেই বাংলাদেশকে এই সরকার ধ্বংস করেছে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে। তারা একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল গঠন করতে চায়। আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, অবিলম্বে গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। তার বিরুদ্ধে থাকা সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। চাল, ডাল ও তেলের দাম কমাতে হবে।’

সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারকে বলব, দয়া করে মানুষের ওপর অত্যাচার বন্ধ করে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে দায়িত্ব দিন, যারা একটি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

আরও পড়ুন:
বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৬ নেতা কারাগারে
বিএনপি অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের অসাম্প্রদায়িক দল : মির্জা আব্বাস
বিলুপ্তির ২৭ মাস পর লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির কমিটি অনুমোদন
মণ্ডপ ঘুরে ঘুরে পূজার শুভেচ্ছা জানালেন ফখরুল
জামিন খালেদার প্রাপ্য: ফখরুল 

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The anti discrimination student movement will hold a mass rally in Gulistan tomorrow

গুলিস্তানে কাল গণজমায়েত করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

গুলিস্তানে কাল গণজমায়েত করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
গুলিস্তানের জিরোপয়েন্ট মোড়ে রোববার দুপুর ১২টা থেকে গণজমায়েতের ঘোষণা দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর আগে শনিবার শহিদ নূর হোসেনের স্মরণে ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে একই দিন বিকেল ৩টায় নুর হোসেন চত্বর থেকে কর্মসূচির ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ।

পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচার দাবিতে গুলিস্তানে গণজমায়েত করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আগামীকাল রোববার দুপুর ১২টা থেকে গুলিস্তানের জিরোপয়েন্ট মোড়ে এই গণজমায়েত শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে শনিবার শহিদ নূর হোসেনের স্মরণে ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে রোববার জিরো পয়েন্টে জমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। এদিন বিকেল ৩টায় নুর হোসেন চত্বর থেকে তাদের এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

আওয়ামী লীগের এই ঘোষণার পর পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

ঢাবি ছাত্রদলের কর্মসূচি

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলকে বিদেশে হেনস্থার প্রতিবাদ এবং ১৫ বছরে বিভিন্ন হামলায় জড়িতদের বিচারসহ তিন দফা দাবিতে রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।

মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে শেষ হবে।

শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

ছাত্রদলের দাবিগুলো হলো-

ড. আসিফ নজরুলের ওপর বিদেশের মাটিতে হামলা ও হেনস্থার অপচেষ্টাকারী বিদেশে পলাতক ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুষ্কৃতকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

বিগত ১৫ বছর ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনকারী ও ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় নিয়ে আসা।

আওয়ামী সরকারের আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনা।

আরও পড়ুন:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি, আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত ১৫৮১, আহত ৩১ হাজার
ছররা গুলি কেড়ে নিয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষের চোখের আলো
মাদারীপুরে ছাত্র আন্দোলনের সংগীতানুষ্ঠানে ‘বহিরাগতদের’ হামলা, আহত ৩
খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিখোঁজ কর্মীকে উদ্ধার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Nothing good is possible if accountability is not ensured Tariq Rahman

জবাবদিহি নিশ্চিত না হলে ভালো কিছু সম্ভব নয়: তারেক রহমান

জবাবদিহি নিশ্চিত না হলে ভালো কিছু সম্ভব নয়: তারেক রহমান কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শনিবার কৃষক দলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারলে ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া যাবে না। ভোট যাতে হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারলে ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া যাবে না। আর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে না পারলে ভালো কিছু করা সম্ভব নয়। ভোট যাতে হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শনিবার কৃষক দলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির দ্বিতীয় শীর্ষ এই নেতা লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ১০ নভেম্বর থেকে আগামী তিন মাস প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশের ঘোষণা দেন।

কৃষক দলকে কৃষকনির্ভর করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তারেক রহমান বলেন, কৃষক সমাবেশে কৃষকদের সমস্যা শুনতে হবে। তারপর সেই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে।

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় গেলে শহীদ জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচি শুরু করা হবে। আমাদের দেশে অনেক এলাকা আছে যেখানে কৃষক প্রয়োজনীয় পানি পায় না। ফসল উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়। খাল খননের মাধ্যমে শহীদ জিয়া পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। যেখানে একটি ফসল হতো সেখানে পানি সরবরাহ সুবিধার কারণে দুটি হয়েছিল, দুটি ফসলের জায়গায় তিনটি ফসল হয়েছিল।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ২০ কোটি মানুষের জন্য খাদ্য উৎপাদন করতে হলে কৃষির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এতো মানুষের জন্য খাদ্য আমদানি করা সম্ভব নয়। তাই মৌলিক খাদ্য দেশেই উৎপাদন করতে হবে। তাই কীভাবে কৃষিজমি বাড়ানো যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কিছু পদক্ষেপ আছে যেগুলো নিলে কৃষিজমি বাড়ানো যাবে। আর তা করা সম্ভব একমাত্র ক্ষমতায় গেলে।

তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীদের বড় একটা অংশ কৃষির সঙ্গে জড়িত। তাই কৃষির প্রতি নজর দিতে হবে। আমরা প্রতিবার চেষ্টা করেছি কৃষি সমস্যার প্রতি নজর দিতে।

‘খালেদা জিয়ার সময়ে সরকার পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ মওকুফ করে দিয়েছিল। ফসলের মৌসুমে বিদ্যুৎ বিল সরকার বহন করত। এসবের মধ্য দিয়ে কৃষকদের কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
বিদেশে আসিফ নজরুলকে অসম্মান দেশের মর্যাদায় আঘাত: তারেক রহমান
বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্বাধীনতা বিপন্ন হবে না: তারেক
পরাজিত অপশক্তি দেশকে সাম্প্রদায়িক পরিচিতি দেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত: তারেক রহমান
চাঁদাবাজির মামলা থেকে তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ
জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করবে এমন সংস্কার চায় বিএনপি: তারেক রহমান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A leagues call to gather to restore democracy
নূর হোসেন দিবস

‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ সমবেত হওয়ার ডাক আ.লীগের

‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ সমবেত হওয়ার ডাক আ.লীগের
স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেন দিবসে রোববার রাজধানীর জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন চত্বরে নেতাকর্মীদের সমবেত হতে বলেছে আওয়ামী লীগ। শনিবার দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই ডাক দেয়া হয়েছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।

স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেন দিবসে ‌‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ সবাইকে সমবেত হওয়ার ডাক দিয়েছে দলটি। আগামীকাল রোববার রাজধানীর জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন চত্বরে নেতাকর্মীদের সমবেত হতে বলেছে আওয়ামী লীগ।

শনিবার আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই ডাক দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি একটি পোস্টারের ছবিও শেয়ার করা হয়েছে।

তাতে লেখা হয়েছে, ‘১০ নভেম্বর আসুন জিরো পয়েন্টে, নূর হোসেন চত্বরে। আমাদের প্রতিবাদ দেশের মানুষের অধিকার হরণের বিরুদ্ধে; আমাদের প্রতিবাদ মৌলবাদী শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে; আমাদের প্রতিবাদ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে।

‘অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আপনিও অংশ নিন।’

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এরপর থেকে তিনি নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন।

প্রসঙ্গত, প্রতিবছর ১০ নভেম্বর নূর হোসেন দিবস পালিত হয়। ১৯৮৭ সালের এই দিনে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকালে নূর হোসেন পুলিশের গুলিতে নিহত হন।

তবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন যে কর্মসূচির অনুমতি দেয়া হবে না। কারণ আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট দলে পরিণত হয়েছে। দলটি বাধা না মেনে কর্মসূচি পালন করতে চাইলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

আরও পড়ুন:
স্বল্প সময়ের জন্যও বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের স্থান নেই: ড. ইউনূস
আওয়ামী লীগসহ ১১ দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ চেয়ে রিট প্রত্যাহার
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিধিনিষেধ চেয়ে রিট
জাতীয় দিবস বাতিল প্রতিহিংসামূলক: আ.লীগ
দেশবাসীকে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা আওয়ামী লীগের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If this opportunity is missed our existence as a nation will be endangered Fakhrul

এবার সুযোগ হাতছাড়া হলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে: ফখরুল

এবার সুযোগ হাতছাড়া হলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক কথার কারণে ফ্যাসিবাদীরা ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাচ্ছে। কোনো কোনো মিডিয়া সেটিকে আবার প্রমোট করছে। এটা বন্ধ করতে হবে। অবাক হয়ে যাই, এই মিডিয়া! তারা এই সরকারের কোনো সাফল্য দেখতে পায় না। অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই, সরকার তিন মাসে অনেক কাজ করেছে।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সংস্কার অর্থবহ হবে না। আর তা হতে হবে সংসদীয় ব্যবস্থায়। সে জন্য নির্বাচন দরকার। এবার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা যেন আমরা হাতছাড়া না করি। এই সুযোগ হারিয়ে গেলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে।’

হাইকোর্ট অডিটোরিয়ামে শনিবার বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন যারা রাষ্ট্রের দায়িত্বে আছেন তাদের আমরাই সমর্থন দিয়েছি। ছাত্ররা, রাজনীতিবিদরা- আমরা সবাই। এই প্রত্যাশায় সমর্থন দিয়েছি, ১৫ বছর আওয়ামী লীগ যে জঞ্জাল সৃষ্টি করে গেছে তারা সেগুলো সরিয়ে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই তরুণ-যুবকদের যে চাওয়া- নতুন বাংলাদেশ, সেই বাংলাদেশ যেন আমরা তৈরি করতে পারি।’

তরুণদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তিন মাসের মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকার অনেক কাজ করেছে। এই সরকারকে সময় দিতে হবে। সংস্কারের জন্য অনেক কমিশন করেছে, ফ্যাসিবাদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে। এই সুযোগ আমাদের হাতছাড়া করা যাবে না।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক কথার কারণে ফ্যাসিবাদীরা ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাচ্ছে। কোনো কোনো মিডিয়া সেটিকে আবার প্রমোট করছে। এটা বন্ধ করতে হবে। অবাক হয়ে যাই, এই মিডিয়া! তারা এই সরকারের কোনো সাফল্য দেখতে পায় না। অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই, সরকার তিন মাসে অনেক কাজ করেছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “অনেকে জিজ্ঞাসা করেন- ‘আপনারা এত নির্বাচন-নির্বাচন করেন কেন।’ আমি বরাবরই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একজন মানুষ। আমি বিশ্বাস করি, জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সংস্কার বা উদ্যোগ কখনও সম্ভব হতে পারে না। নির্বাচিত প্রতিনিধি জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই সম্ভব।

“সমস্যা ওই জায়গায়, দেশে গণতন্ত্র চর্চা না হওয়ায় যে সংস্কৃতি, সেটি গড়ে উঠেছে। প্রত্যেকের মধ্যে একটা স্বৈরাচারী ও কর্তৃত্ববাদী চিন্তা-ভাবনা একেবারে বাসা বেঁধে আছে। আমরা দ্রুত অসহনশীল হয়ে যাই। গণতন্ত্র মানেই সহনশীলতা।”

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ কিছু কিছু জায়গায় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। দুর্ভাগ্য, কিছু মিডিয়া তাদের প্রমোট করছে। এটি জনগণের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। এ ধরনের প্রচারণা চালানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।’

আরও পড়ুন:
আধিপত্যবাদী শক্তি রুখতে নতুন করে শপথ নিয়েছি: ফখরুল
দেশকে আবারও বিপদে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে: ফখরুল
অতি দ্রুত নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন: সরকারকে ফখরুল
ফ্যাস্টিস্টদের আর কখনও গ্রহণ করা হবে না: ফখরুল
নিষিদ্ধ করার আমরা কারা, সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ: জাপা প্রসঙ্গে ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chhatra League cannot be allowed to return Press Secretary  

ছাত্রলীগকে ফিরতে দেয়া যাবে না: প্রেস সচিব  

ছাত্রলীগকে ফিরতে দেয়া যাবে না: প্রেস সচিব   বাংলাদেশ ছাত্রলীগের লোগো। ফাইল ছবি
শফিকুল আলম বলেন, ‘সুষ্ঠু পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ছাত্রলীগকে আর ফিরতে দেয়া যাবে না। ক্যাম্পাস সন্ত্রাসীমুক্ত রাখতে হবে। এ জন্য দরকার সুস্থ ধারার কার্যক্রম পরিচালিত করা।’

শিক্ষাঙ্গনগুলোতে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে ছাত্রলীগকে আর ফিরতে দেয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার ‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’ শিরোনামে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ছাত্রলীগ কেন নিষিদ্ধ হয়েছে, অনুষ্ঠানে সে ব্যাখ্যা দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে কিছু লোক প্রশ্ন তুলেছেন, সমালোচনাও করেছেন।

তিনি ছাত্রলীগের গত ১২ বছরের সন্ত্রাসী কার্যক্রম তুলে ধরে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

ওই সময় শফিকুল আলম বলেন, ‘এই গবেষণাই প্রমাণ করে ছাত্রলীগ কেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কতটা উগ্র ছিল।’

তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ছাত্রলীগকে আর ফিরতে দেয়া যাবে না। ক্যাম্পাস সন্ত্রাসীমুক্ত রাখতে হবে। এ জন্য দরকার সুস্থ ধারার কার্যক্রম পরিচালিত করা।’

শফিকুল বলেন, নতুন করে রাষ্ট্র মেরামত করতে হলে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস দূর করতে হবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার।

গত ২৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

আরও পড়ুন:
সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি
ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার নেত্রকোণা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাওন
ক্যাম্পাসে এসে তোপের মুখে ইবি ছাত্রলীগের দুই নেতা
চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতা ভারতে পালানোর সময় নওগাঁয় আটক
শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
State reform BNP will hold a seminar on 31 points

রাষ্ট্র সংস্কার: ৩১ দফা নিয়ে সেমিনার করবে বিএনপি

রাষ্ট্র সংস্কার: ৩১ দফা নিয়ে সেমিনার করবে বিএনপি বিএনপির লোগো। ফাইল ছবি
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শুক্রবার রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘আমি সেমিনারের বিষয়ে শুনেছি।’

রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে প্রণীত ৩১ দফা নিয়ে সেমিনার করবে বিএনপি।

আগামী ২৩ নভেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে এ সেমিনার হচ্ছে।

সেমিনারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্যরাসহ

যুগপৎ আন্দোলন ও নির্বাচন বর্জন রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিশিষ্টজনরা অংশ নেবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শুক্রবার রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘আমি সেমিনারের বিষয়ে শুনেছি।’

যুগপৎ আন্দোলনের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে গত বছরের ১৩ জুলাই সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ‘রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা’ ঘোষণা করে বিএনপি।

গণতন্ত্র মঞ্চসহ অন্য দলগুলোর সঙ্গে যুগপৎভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী শক্তিগুলোর প্রতি বিএনপির প্রতিশ্রুতি ছিল এই ৩১ দফা।

এর আগে ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ ঘোষণা করেন।

তারও আগে ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে খালেদা জিয়া ‘ভিশন-২০৩০’ উপস্থাপন করেন, তবে তার রাজনৈতিক ঘোষণাটি মূলত আসে আগেই ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে।

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত সেই সম্মেলনে খালেদা জিয়া জানিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে তার দল জাতীয় সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা নিরসনে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা হবে। রাষ্ট্রের এককেন্দ্রিক ক্ষমতা দূর করতে সংসদে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে।

তিনি বলেছিলেন, ‘জাতীয় সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বিএনপি।’

বিএনপির ৩১ দফায় এসব সংস্কারের কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন:
জন্মসূত্রে আর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নয়
আধিপত্যবাদী শক্তি রুখতে নতুন করে শপথ নিয়েছি: ফখরুল
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রাষ্ট্রপতি মো, সাহাবুদ্দিনের অভিনন্দন
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফল সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব ফেলবে না: বদিউল আলম
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের পিস্তল উদ্ধার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If the court wants it will hand over Sheikh Hasina to the law and order forces
নীলফামারীতে কর্মী সম্মেলনে ভারতের প্রতি জামায়াত আমির

বিচারালয় চাইলে শেখ হাসিনাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন

বিচারালয় চাইলে শেখ হাসিনাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন নীলফামারীদতে শুক্রবার কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি ক্ষমতায় বসেই ৫৭জন চৌকস, সাহসী ও দেশপ্রেমিক সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে। তারা হত্যা করেছিল নির্মমভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের। রাতে বাতি নিভিয়ে দিয়ে ঘাতকদের পিলখানা থেকে পালানোর সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছিল।’

বিগত সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম ও নির্যাতনের সমালোচনা করে দেশে বৈষম্যহীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিুর রহমান।

শুক্রবার সকালে নীলফামারীর বড় মাঠে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।

ডা. শফিকুর বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সাড়ে ১৫ বছরে দেশবাসীর শান্তি কেড়ে নিয়েছিল। সব ধরনের, সব বর্ণের মানুষ তাদের কাছে নির্যাতিত হয়েছিল। সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

‘তারা জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের কার্যালয়গুলো সিলগালা করে দিয়েছিল। ঘরে বসেও জামায়াতের নেতাকর্মীরা শান্তি পায়নি। ঘর থেকে তুলে নিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দেয়া হয়েছে। শীর্ষ নেতাদের নামে যুদ্ধাপরাধীর মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে বিচারের নামে খুন করা হয়েছে।’

জামায়াত প্রধান বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি ক্ষমতায় বসার পরই ঝাল মিটিয়েছিল আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ওপর। তারা তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে ৫৭জন চৌকস, সাহসী ও দেশপ্রেমিক সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে। হত্যা করেছিল নির্মমভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের।’

তিনি বলেন, ‘রাতে বাতি নিভিয়ে দিয়ে ঘাতকদের পিলখানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ সুষ্টি করা হয়েছিল। ঘাতকদের পরিচয় জাতিকে জানতে দেয়া হয়নি। সেনাবাহিনীর নিজস্ব তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করতে দেয়া হয়নি। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকারীদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল।’

জামায়াত আমির বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী টার্গেট ছিল জামায়াতে ইসলামী। মিথ্যা মামলায় তাদের শীর্ষ ১১ নেতাকে যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগে হত্যার অভিযোগ করেন ডা. শফিকুর।

তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবের শাসনামলে ১৯৭১ সালে যারা বিভিন্ন অপরাধ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। যুদ্ধপারাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যে মামলা হয়েছিল, সেখানে একটি মামলাও তাদের বিরুদ্ধে ছিল না।

‘এছাড়া শেখ মুজিব সরকার সে সময় যাচাই-বাচাই করে ১৯৫ জনের যে তালিকা করেছিল তাদের মধ্যে বর্তমান বাংলাদেশের সীমানার ভেতরের কোনো নাগরিক ছিল না।’

ডা. শফিকুর বলেন, ‘৫ আগস্ট যখন পরিবর্তন এলো আমরা সঙ্গে সঙ্গে দেশবাসীকে অনুরোধ করেছি ধৈর্য্য ধরার জন্য। দেশবাসী আমাদের কথা শুনেছে।

‘আওয়ামী লীগ নির্দয় হতে পারে, খুনি হতে পারে। কিন্তু দেশের ১৮ কোটি মানুষ অত্যন্ত দায়িত্বশীল ও দেশপ্রেমিক।’

জামায়াত আমির বলেন, শেখ হাসিনা বলেছিলেন পালাবেন না। তিনি চলে গেলেন তার প্রিয় দেশে। তারা আমাদের প্রতিবেশী। আমরা তাদের সম্মান করি। আমরা আমাদের প্রতিবেশীকে অনুরোধ করব- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫০টির অধিক মামলা হয়েছে। আমাদের বিচারালয় যখন তাকে চাইবে তখন তাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।’

জামায়াত প্রধান বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে আমরা দুর্নীতি করব না, কাউকে দুর্নীতি করতে দেবো না। আমরা ঘুষ খাবো না, কাউকে খেতেও দেবো না। আমরা এমন একটি সমাজ গড়তে চাই- যে সমাজে লেখাপড়া করার পর ‘আমরা শিক্ষিত বেকার’ শব্দটি আমাদের কানে আসবে না।

‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সমাজের উন্নয়নে নারীরা অবদান রাখতে পারেন। নারীরা নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ও মর্যাদার সঙ্গে জাতি গঠনে অবদান রাখবেন।’

নীলফামারী জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন জেলা সেক্রেটারি আন্তাজুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী অঞ্চল পরিচালক মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান বেলাল প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন: জামায়াত আমির
৭ নভেম্বরের চেতনা ও ৫ আগস্টের বিপ্লব একসূত্রে গাঁথা: গোলাম পরওয়ার
শহীদদের স্বপ্নের দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে চায় জামায়াত: ডা. শফিকুর
বিপ্লবের চেতনায় জাতীয় ঐক্যের ডাক জামায়াত আমিরের
জামায়াতের জেলা ও মহানগর আমিরদের নাম ঘোষণা

মন্তব্য

p
উপরে