টানা সাত কর্মদিবস পতনের পর অবশেষে উত্থান হলো পুঁজিবাজারে। তবে যতসংখ্যক শেয়ারের দর বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি শেয়ারের দরপতনের কারণে অস্বস্তি রয়ে গেছে।
এই উত্থানের পুরোটাই অবশ্য হয়েছে লেনদেনের শেষ এক ঘণ্টায়। তার আগ পর্যন্ত ওঠানামা করতে করতে একপর্যায়ে সূচক ৭ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যাওয়ার পর আতঙ্ক আরও চেপে বসেছিল।
শেষ বেলায় বেক্সিমকো গ্রুপের উত্থানের পাশাপাশি দর হারিয়ে ফেলা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ও আরও বেশ কিছু কোম্পানি কিছুটা দাম ফিরে পাওয়ায় গত ১০ অক্টোবরের পর প্রথমবারের মতো সূচব বাড়ল পুঁজিবাজারে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধন এক মাস পর টানা পতনে পরিণত হয় গত ১০ অক্টোবর। দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো টানা সাত কর্মদিবস বাজার পড়ে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত।
সেদিন সন্ধ্যায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কার্যালয়ে পুঁজিবাজারের নানা অংশীজনের মধ্যে বৈঠক বসে। বাজারে তারল্য বাড়ানোসহ নানা বিষয়ে কথা হয়। পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় গঠিত তহবিল আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর বিষয়ে জানান বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
এই পতনের পেছনে একটি গুজব কাজ করেছিল। ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল যে, বিএসইসির চেয়ারম্যান পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। তবে এর কোনো ভিত্তি নেই বলে জানান শাসমুদ্দিন।
সেদিন বিএসইসি কার্যালয়ে বৈঠকের পরদিন ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটিতে বুধবার বন্ধ ছিল পুঁজিবাজারের লেনদেন।
সপ্তাহের শেষ দিন বাজার উত্থানে ফিরবে-এমন আশাবাদের মধ্যে লেনদেনের শুরুতে ১০ মিনিটেই সূচক বেড়ে যায় ৭৪ পয়েন্ট। তবে তাতে অস্বস্তি কাটেনি।
এর কারণ, বাজার সংশোধনের সোয়া এক মাসে প্রায় প্রতিদিনই সূচক বেড়ে গিয়ে পড়ে কমেছে। আর সেই বিষয়টি আবার ঘটতে থাকে। বেলা ১০টা ৩৭ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে আরও ৩৬ পয়েন্ট পড়ে যায়। গত ২ সেপ্টেম্বরের পর প্রথম তা সাত হাজারের নিচে নামে।
এরপর উঠানামা করতে করতে বেলা ১টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত সূচক ৭ হাজার পয়েন্টের নিচেই থাকে। শেষ এক ঘণ্টা ৬ মিনিটে টানা বাড়ে বাজার।
এই উত্থানে প্রধান ভূমিকায় ছিল বেক্সিমকো গ্রুপ। বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারদর এক দিনে যত বাড়া সম্ভব, ততটাই বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ২০.২৭ পয়েন্ট। একই গ্রুপের আরেক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মার দর বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৫.৬৯ পয়েন্ট।
দাম বেড়েছে একই গ্রুপের আরেক কোম্পানি শাইনপুকুর সিরামিকের। তবে এর পরিশোধিত মূলধন বেশি নয় বলে সূচকে এর প্রভাব খুব একটা বেশি নয়। গ্রুপের আরেক কোম্পানি আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ারদর অবশ্য ১০ পয়সা কমেছে।
বেক্সিমকো গ্রুপের দুই কোম্পানি ছাড়াও গ্রামীণ ফোন, আইসিবি, স্কয়ার ফার্মা, এনআরবিসি ব্যাংক, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, ওয়ালটন, ইউনাইটেড পাওয়ার ও সাবমেরিন কোম্পানি লিমেটেড সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ করেছে।
সূচকে এই ১০টি কোম্পানির অবদানই ৫৮.৫২ পয়েন্ট।
অন্যদিকে দিনের প্রথম ভাগে সূচক ফেলে দেয়ার প্রধান ভূমিকায় ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি। আগের দিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৭২৫ টাকা। এক পর্যায়ে তা ৬৯৫ টাকা ৩০ পয়সায় নেমে যাওয়ায় সূচক পড়ে যায় ৫০ পয়েন্টের মতো। পরে অবশ্য সেখান থেকে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে লেনদেন শেষ হয় ৭১৭ টাকা ৩০ পয়সায়। এই একটি কোম্পানিই সূচক ফেলেছে ৭.০৭ পয়েন্ট।
এছাড়া বিএসআরএম লিমিটেড, রবি, বিএসআইরএম স্টিল, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, পূবালী ব্যাংক, ডাচবাংলা ব্যাংক, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বার্জার পেইন্টস ও সাউথইস্ট ব্যাংকের কারণে সূচক পড়েছে সবচেয়ে বেশি। এই ১০টি কোম্পানিই সূচক ফেলেছে ১৭.১৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের ২২ শতাংশই বেক্সিমকো লিমেটেডের
সূচক বাড়ার দিন লেনদেন কমে গেলেও বেক্সিমকো লিমেটেডে দেখা গেছে অভাবনীয় দৃশ্য। মোট লেনদেনের ২১.৭৮ শতাংশই এই একটি কোম্পানিতে হয়েছে।
কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দিনে ১৩ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে ১৫৬ টাকা হয়ে যাওয়ার দিন লেনদেন হয়েছে ২৮৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
এক দিনে ১ কোটি ৮৮ লাখের বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৪৫ লাখের বেশি।
সব মিলিয়ে মোট লেনদেনের ৩০.০৪ শতাংশ হাতবদল হয়েছে বেক্সিমকো এই গ্রুপে।
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০টি কোম্পানিতে একই গ্রুপের আরও দুটি কোম্পানি আছে এই গ্রুপে। এর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আইএফআইস ব্যাংকে ৬৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং অষ্টম অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মায় লেনদেন হয়েছে ৩৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
গ্রুপের অন্য কোম্পানি শাইনপুকুর সিরামিকে লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
বেক্সিমকো লিমিটেডে ভর করে বহুদিন পর লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বিবিধ খাত। এই খাতে হাতবদল হয়েছে মোট ২৮৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৮৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
স্বল্পমূলধনিতে আগ্রহ
বৃহস্পতিবার লেনদেনে স্বল্পমূলধনি কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের বাড়তি আগ্রহ দেখা গেছে। ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিচ হ্যাচারির শেয়ার দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ ৯.৪৩ শতাংশ। এছাড়া জিলবাংলা সুগার মিলেরর শেয়ার দর বেড়েছে ৫.১২ শতাংশ। জুট স্পিনার্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৩.৯৯ শতাংশ।
এছাড়া বিডি অটোস, বিডি ওয়েল্ডিং, সিভিও পেট্টো, এইচআর টেক্সটাইল, দুলামিয়া কটন, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, রংপুর ফাউন্ড্রির শেয়ার দর বেড়েছে দেড় শতাংশ পর্যন্ত।
লেনদেনে আগ্রহ ব্যাংক খাতও
এই খাতের দুই কোম্পানি এনআরবিসি ও সাউথবাংলা আবার উত্থানে ফেরার পর গোটা খাত লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় অবস্থান করে নিয়েছে আবার।
আগের দিনের তুলনায় লেনদেন একশ কোটি টাকার মতো কমলেও তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে এই খাতটিই।
দিনের সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া এনআরবিসির শেয়ারদর বেড়েছে ৯.৮৪ শতাংশ, যার দর আগের কর্মদিবসে কমেছিল সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে ছিল এটি, যার ৫৯ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
সব মিলিয়ে এই খাতের ১১টি কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৭টির, অপরিবর্তিত ছিল বাকি চারটির।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬.৭৩ শতাংশ দাম বেড়েছে সাউথবাংলা ব্যাংকের। তৃতীয় সর্বোচ্চ দাম বেড়েছে ট্রাস্ট ব্যাংকের ১.৮০ শতাংশ। বাকিগুলোর দাম বৃদ্ধি ও পতনের হার খুব বেশি নয়।
লেনদেন কমেছে প্রায় সব খাতেই
বস্ত্র ও বিমা খাতে খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৮১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৩২ কোটি ২০ লাখ টাকা।
লেনদেনে বস্ত্র খাতের ২৩টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। আর কমেছে ৩১টি কোম্পানির।
এই খাতে ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলসের শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৭৫ শতাংশ। কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২১ নভেম্বর।
সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলসের শেয়ার দর ৪.৪০ শতাংশ, অ্যাপেক্স স্পিনিংয়ের দর ৩.৯১ শতাংশ, মালেক স্পিনিংয়ের দর ৩.১৪ শতাংশ, মুন্নু ফেব্রিক্সের দর ৩.১১ শতাংশ, ঢাকা ডাইংয়ের দর ২.৮৭ শতাংশ আর তামিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলসের দর বেড়েছে ২.৮০ শতাংশ।
বিমা খাতেও একই ধরনের তিম্র দেখা গেছে। এই খাতে ২০টি কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে ২৬টির, অপরিবর্তিত ছিল বাকি ৫টির।
লেনদেন কমে নেমেছে একশ কোটি টাকার নিচে। হাতবদল হয়েছে ৯৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
সব মিলিয়ে হাতবদল হয়েছে ১৭৫ কোটি টাকা, আগের দিন যা ছিল ২৬৪ কোটি টাকা, যা আগের দিন ছিল ১৭৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
এ খাতের শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, ২.৯৬ শতাংশ। এছাড়া স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের দর ২.৫০ শতাংশ, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ২.২৫ শতাংশ।
ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমে গেছে। হাতবদল হয়েছে ১৬৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১৭৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
এই খাতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ১২টির। এই খাতের কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯.০২ শতাংশ বেড়েছে অ্যাডভেন্ট ফার্মার দর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩.৩৭ শতাংশ বেড়েছে বেক্সিমকো ফার্মার দর। ইন্দোবাংলা ফার্মার দর বেড়েছে ২.৮৪ শতাংশ।
শেয়ারদর বাড়লেও লেনদেন কমেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেও। এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮টির। কমেছে বাকি ৫টির। হাতবদল হয়েছে মোট ৮৩ কোটি ১১ লাখ টাকা। আগের দিন দরপতনের মধ্যেও এই খাতে লেনদেন ছিল ১০৬ কোটি ৬ লাখ টাকা। সেদিন ৭টি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছিল ১৪টির দর।
এই খাতে সবচেয়ে বেশি ৪.৯৪ শতাংশ বেড়েছে শাহজিবাজার পাওয়ারের দর। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বিডিওয়েল্ডিংয়ের দর বেড়েছে ৩.৩৩ শতাংশ।
প্রকৌশল খাতের লেনদেনও শত কোটি টাকার নিচে নেমেছে। আগের দিন ১১৫ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হলেও সেটি কমে হয়েছে ৭৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
আগেরদিন ৬টি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছিল ৩৬টির দর। সেখান থেকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে বেড়েছে ১৮টির দর, কমেছে ২২টির।
এই খাতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে গোল্ডেনসনের দর। আগের দিনের দামের সঙ্গে যোগ হয়েছে ৭.৫৫ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর বাড়া এসএস স্টিলের দর বেড়েছে ৩.৮৬ শতাংশ, বিডিঅটোকারের দাম বেড়েছে ৩.৭৭ শতাংশ।
সপ্তাহ দুয়েক আগে লাফার্জের শেয়ারে আগ্রহ ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকলে লেনদেনের শীর্ষতালিকায় উঠে আসা সিমেন্ট খাতে লেনদেন আরও কমে গেছে।
এই খাতে হাতবদল হয়েছে ৫৫ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৬৫ কোটি। তবে আগের কর্মদিবসে একটি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির বিপরীতে ৬টি দর হারালেও এদিন চারটি কোম্পনির দর বেড়েছে।
আর্থিক খাতে লেনদেন আগের দিন ৬১ কোটি ৩ লাখ টাকা থেমে কমে হয়েছে ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ৮টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ১০টির।
মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত ঘুম থেকে গেছে গভীর ঘুমে। এই খাতে লেনদেন ১০ কোটি টাকারও নিচে নেমে গেছে। সব মিলিয়ে হাতবদল হয়েছে ৯ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বেড়েছে ৮টি ফান্ডের দর, কমেছে ১১টির।
দুই খাতে লেনদেন বেড়েছে
সব খাতের লেনদেন কমলেও বিপরীত চিত্র দেখা গেছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে। আগের দিন ৫৪ কোটি ৯ লাখ টাকা লেনদেন হলেও লেনদেন কমে যাওয়ার দিন হাতবদল হয়েছে ৫৮ কোটি ১০ লাখ টাকা।
এই খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮টির, কমেছে ১০টির। দুটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
লেনদেন সামান্য বেড়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৪২ কোটি ১০ লাখ টাকা। ২০ লাখ টাকা বেড়ে আজ হাতবদল হয়েছে ৪২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
আগের দিন একটি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ১০টির দাম কমলেও এদিন বেড়েছে ৭টির দর, কমেছে ৩টির, একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৫ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭৬ দশমিক ২৩ পয়েন্টে।
শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১৩ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫১৮ দশমিক ১৬ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৪৩ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৯৯ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে।
দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩১০ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য