× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Crystal Earth and Bruce Cathys Strange Theory
google_news print-icon

‘ক্রিস্টাল পৃথিবীতে’ ব্যাখ্যাতীত সব রহস্যের সমাধান!

ক্রিস্টাল-পৃথিবীতে-ব্যাখ্যাতীত-সব-রহস্যের-সমাধান-
পেন্টাডোডেকাহেড্রন আকৃতির ক্রিস্টাল। ছবি: সংগৃহীত
পৃথিবীর ব্যাখ্যাতীত ঘটনাগুলোকে ব্যাখ্যার জন্যে অদ্ভুত এক গাণিতিক তত্ত্ব উদ্ভাবন করেছেন নিউজিল্যান্ডের এক সৌখিন গণিতবিদ ব্রুস ক্যাথি। তার তত্ত্বের তিনি নাম দিয়েছেন হারমোনিক গ্রিড। তার এ তত্ত্বকে বিজ্ঞান হিসেবে মানতে অনেকে নারাজ, তবে কৌতুহলীও অনেকে।

আন-আইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট বা ইউএফও নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। নিরন্তর গবেষণা চলছে কথিত এইসব ভিনগ্রহবাসীদের বাহনগুলো নিয়ে। নিউজল্যান্ডের সাবেক এক শখের গণিতবিদ ছক কষে বের করেছিলেন ইউএফও দেখা যাওয়ার প্যাটার্ন। তার ওই তত্ত্ব টেনে এনেছে বহু প্রাচীন একটি ধারণাকে - ক্রিস্টাল পৃথিবীর ধারণা। পেন্টাডোডেকাহেড্রন ও হারমোনিক গ্রিড নিয়ে বিশেষ এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ভিত্তিক সাইট ‘ভাইস’নিউজবাংলা পাঠকদের জন্য সেটি অবলম্বনে লিখেছেন রুবাইদ ইফতেখার।

১৯৭৩ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের ‘কেমিস্ট্রি অ্যান্ড লাইফ’ জার্নালে চমকপ্রদ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়; শিরোনাম ছিল ‘পৃথিবী কি একটি বিশাল ক্রিস্টাল (স্ফটিক)?’

প্রতিবেদনে বেশ গভীর অনুসন্ধান করা হয়। সেটা অনেকটা এমন ছিল: পিথাগোরাস পেন্টাডোডেকাহেড্রন নামের একটি মিশ্র-জ্যামিতিক আকার নিয়ে মজে ছিলেন। এ বিখ্যাত গ্রিক দার্শনিক একে বলতেন ‘মহাজাগতিক গোলক’। প্লেটোও এই আকৃতি নিয়ে আগ্রহী হন ও এর নাম দেন ‘আসল পৃথিবী’। মহাবিশ্ব সৃষ্টির ভিত্তি হিসেবে এ জ্যামিতিক আকারটিকে ধরে নিয়েছিলেন দুজন। পিথাগোরাস, প্লেটো ও তাদের পরবর্তী প্রজন্মের বুদ্ধিজীবীর পাশাপাশি ও অতিন্দ্রীয়বাদের (মিসটিসিজমের) অনেকগুলো ধারায় এই পেন্টাডোডেকাহেড্রনের আসল শক্তিকে গোপন রাখার বিষয়ে জোর দেয়া হয়।

রাশিয়ার প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয় যে, সৃষ্টির শুরুতে পৃথিবী ছিল পেন্টাডোডেকাহেড্রনের কৌণিক মাত্রার একটি বৃহৎ ক্রিস্টাল। কালক্রমে গ্রহটি শেষ ক্ষয়ে ক্ষয়ে একটি গোলকের আকার নেয়। প্রতিবেদনে এই তত্ত্ব দেয়া হয়, ‘পৃথিবী নিজেই একটি জ্যামিতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত দ্বৈত গ্রিড তৈরি করে।’ প্রথম গ্রিড ১২টি পঞ্চভুজাকৃতির খণ্ড দিয়ে তৈরি। দ্বিতীয়টি ২০টি সমবাহু ত্রিভুজের সমন্বয়ে তৈরি।

রাশিয়ান গবেষণায় বের করা হয় যে এই স্ফটিক গ্রিডটি পৃথিবীর সমুদ্রের তলের উঁচু-নিচু, ফাটল ও মহাসাগরের নিচে পর্বতসারির সঙ্গে কোনো কোনো জায়গায় মিলে গেছে। মজার বিষয় হলো, ত্রিভুজের একটি শীর্ষবিন্দু গিয়ে পড়েছে কুখ্যাত বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে। কয়েকটি গেছে প্রাচীন পেরুতে, ইস্টার আইল্যান্ডে ও গিজার পিরামিডে। এই ছেদবিন্দুগুলোতে ভূমিকম্প/আগ্নেয়গিরি, আজব আজব সব জন্তুজানোয়ারের বিচরণস্থল, চরম বায়ুমণ্ডলীয় চাপ, খনিজ আকরিক ও লোহার সঞ্চয় ও স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চতর চুম্বকত্বসহ অন্যান্য অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণের দৃষ্টান্ত দেখা যায়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘পৃথিবীর জৈবমণ্ডলের অংশ হিসেবে মানুষও ক্রিস্টাল পৃথিবীর প্রভাবমুক্ত নয়’।

এ রকম একটি অদ্ভুত ধারণার ক্ষেত্রে রাশিয়ান ভূতত্ত্ববিদরা একা ছিলেন না। অর্ধেক পৃথিবী দূরত্বে থাকা ব্রুস ক্যাথি নামে নিউজিল্যান্ডের এক ব্যক্তি একই ধরণের গ্রিড তত্ত্ব নিয়ে কাজ করছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, তার এই তত্ত্ব দিয়ে প্রায় সব কিছু ব্যাখ্যা করা সম্ভব।

ইউএফও দেখা যাওয়ার নির্দিষ্ট প্যাটার্ন

ক্যাথি একাধারে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের একটি এয়ারলাইনের পাইলট, শখের গণিতবিদ ও ইউএফও তত্ত্বের একজন বিশ্বাসী। ১৯৬৮ সালে একটি অদ্ভূত পর্যবেক্ষণ হাজির করেন তিনি। বিশ্বজুড়ে ইউএফও দেখার রিপোর্ট যাচাই করার পর ক্যাথি নিশ্চিত হন যে তিনি এগুলোর দেখা যাওয়ার স্থানের একটি ভৌগোলিক প্যাটার্ন সনাক্ত করেছেন।

তার জনপ্রিয় কয়েকটি বই ‘হারমোনিক সিক্সনাইনটিফাইভ’, ‘দ্য এনার্জি গ্রিড’ ও ‘দ্য পালস অফ দ্য ইউনিভার্স’-এ তিনি লেখেন, ‘প্রথমে ইউএফওর কেসগুলো এত ছড়ানো-ছিটানো ছিল যে, তাদেরকে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটা ছকে আনা প্রায় অসম্ভব ছিল।’ তবে ক্যাথি নিশ্চিত ছিলেন যে একটা প্যাটার্ন অবশ্যই আছে। যে কারণে তিনি তার তত্ত্ব নিয়ে অগ্রসর হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি আশা করছিলেন জ্যামিতিক পয়েন্টের জটলার মধ্যে ইউএফও কার্যকলাপের অন্তর্নিহিত কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে।

‘ক্রিস্টাল পৃথিবীতে’ ব্যাখ্যাতীত সব রহস্যের সমাধান!
নিউজিল্যান্ডের শখের গণিতবিদ ব্রুস ক্যাথি। ছবি: সংগৃহীত

আধুনিক কম্পিউটারের সাহায্য ছাড়াই তিনি ইউএফও দেখার স্থানগুলোর প্রক্রিয়ার একটি প্যাটার্ন বের করেন। প্রথমে তিনি পৃথিবীর একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের একটি প্যাটার্ন প্রতিষ্ঠান করেন, যাকে মূল ধরে তার পক্ষে ‘অনুলিপি বা অনুমানের ভিত্তিতে বাকিগুলোকেও খুঁজে বের করা সম্ভব’ হবে। তবে কাজটি সঠিকভাবে শুরু করতে ক্যাথির দরকার পড়ে প্রচুর ডেটা।

দ্য এনার্জি গ্রিড বইতে ক্যাথি জানান, ১৯৬৫ সালের এপ্রিলে তিনি ইউএফও দেখার এক ‘স্বর্ণখনির’ সন্ধান পান। তিনি পত্রিকায় দেখতে পান, নিউজিল্যান্ড সায়েন্টিফিক অ্যান্ড স্পেস রিসার্চ নামের এক সংস্থা নতুন সদস্য খুঁজছে। তিনি ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ও দেখেন তাদের কাছে প্রচুর পরিমাণ তথ্য অত্যন্ত চমৎকারভাবে গোছানো আছে। ক্যাথি তাদের কাছে ১২ বছর ধরে সংগ্রহ করা ২৫টি দেশের তথ্য পান। ক্যাথিকে তারা অবসর সময়ে এগুলো নিয়ে গবেষণার জন্য আমন্ত্রণ জানায়।

নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে একই ধরনের ইউএফওর দেখা যাওয়ার বর্ণনা আছে এমন সব রিপোর্টের তালিকা নিয়ে ক্যাথি দ্রুত কাজ শুরু করেন। ইউএফওগুলো দেখা যাবার সময়কে আরও ছোট করে আনেন ক্যাথি। স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১০টা থেকে পরের ১৫ মিনিটের তথ্য বাছাই করেন তিনি। হাতে থাকা এই ডেটা পয়েন্টগুলোর সঙ্গে ক্যাথি টানা কয়েক সপ্তাহ ইউএফও ট্র্যাক লাইন হিসেব করেন ও সারা বিশ্বে অন্যান্য গবেষণার সঙ্গে তার হিসেবকে ক্রস-রেফারেন্স করেন।

নিউজিল্যান্ডের মানচিত্রের ওপর ক্যাথি একটি গ্রিড কল্পনা করেন। গ্রিডে উত্তর দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম দিকে ৩০ মিনিটের চাপ হিসেবে করে অক্ষাংশ নেয়া হয়। এর অর্থ হচ্ছে, পৃথিবী পৃষ্ঠের বক্রতার সঙ্গে সমান্তরালে থেকে কেউ ৩০ মিনিটে নির্দিষ্ট দিকে যেটুকু দূরত্ব অতিক্রম করবেন সেইটুকু। হতবাক হয়ে তিনি লক্ষ্য করেন যে, তার ডেটা সেটের ১৬টি স্থির ও ১৭টি চলমান। ইউএফওর দেখা যাওয়ার সবগুলো স্থান তার কল্পিত গ্রিডের ছেদ বিন্দুতে নিঁখুতভাবে বসে গেছে।

ক্যাথি তার তত্ত্ব নিয়ে আরও অনেক দূর যেতে চেয়েছিলেন। তার লক্ষ্য ছিল, এই গ্রিডটিকে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া এবং ইতিহাসের প্রতিটি ইউএফও দর্শনের ঘটনাকে ট্র্যাক করা।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ও রাশিয়ান রিপোর্ট থেকে আংশিক অনুপ্রাণিত হয়ে ক্যাথি তার গ্রিডের হিসেবে মিলে যাওয়া প্রাকৃতিক ঘটনাগুলির তথ্য জোগাড় করেন। তার কাজগুলো একেবারে প্রান্তিক, এমনকি ইউএফও কমিউনিটিতেও এটি প্রান্তিক হিসেবে বিবেচিত। কীভাবে রাশিয়ান ওই গবেষণাটি বিজ্ঞানী সমাজ ও এর বাইরের গবেষকদের প্রভাবিত করেছে, সেটা বোঝা যায় ক্যাথির কাহিনী থেকে। তার কাজ থেকে এটাও প্রমাণ হয় যে অপ্রচলিত ধারার বিজ্ঞান থেকেও চমকপ্রদ সত্যের টুকরো বেরিয়ে আসতে পারে।

মহাসাগরের একটি অদ্ভূত আবিষ্কার ক্যাথিকে তার গবেষণা চালিয়ে নেয়ার এক নতুন পথের সন্ধান দেয়।

১৯৬৪ সালের ২৯ আগস্ট আমেরিকার একটি জাহাজ ‘এলটানিন’ দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলবর্তী সমুদ্র তলদেশের গবেষণা কাজে ব্যস্ত ছিল। ওই সফরে পানির নিচের বেশ কিছু ছবি নেয়া হয় ও পরে ডেভেলপ করা হয়। ওই ছবিগুলোর একটিতে অনেকগুলো ক্রসবারসহ একটি সঠিক মাপের অ্যান্টেনা দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় দেখা যায়।

বস্তুটির অবস্থান ছিল অক্ষাংশ 59°08' দক্ষিণ, দ্রাঘিমাংশ 105° পশ্চিমে। ক্যাথির মতে সমুদ্রপৃষ্ঠের সাড়ে ১৩ হাজার ফুট নিচে এই ‘লোহার কারিগরি’ কোনো মানুষের পক্ষে বসানো সম্ভব না। দ্য নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড পত্রিকা একে দ্য এলটানিন অ্যান্টেনা নাম দেয়। পরবর্তীতে এই নামটিই পরিচিত হয়ে ওঠে।

এটা উল্লেখ করা দরকার যে, এলটানিন অ্যান্টেনার সঙ্গে বিরল প্রজাতির এক ধরনের সামুদ্রিক মাংশাসী স্পঞ্জ ক্ল্যাডরজিয়ার (Cladorhiza concrescens) অদ্ভূত মিল রয়েছে। ক্যাথি নিজেও এই মিলের কথা স্বীকার করেছেন, তবে ২০১৩ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বিশ্বাস করতেন যে, আসল সত্যকে ঢাকতেই এই স্পঞ্জের কথা বারবার বলা হচ্ছে।

‘ক্রিস্টাল পৃথিবীতে’ ব্যাখ্যাতীত সব রহস্যের সমাধান!
এলটানিন জাহাজের তোলা ‘অ্যান্টেনার’ ছবি। ছবি: সংগৃহীত

দ্য এনার্জি গ্রিড বইতে ক্যাথি বলেন, এই আবিষ্কারে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি এলটানিন অ্যান্টেনার কো-অরডিনেট, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ইউএফও দেখতে পাওয়া ও তার নিজের তৈরি গ্রিডের সমন্বয় ঘটানোর চেষ্টা শুরু করেন। তার এই গবেষণার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে সহায়তা আসতে থাকে।

সহায়তার বড় একটা অংশ আসে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও নিউজিল্যান্ডের অন্য পাইলটদের কাছ থেকে। এলটানিনের মতো একই মাপের অপরিচিত কিছু রেডিও ট্র্যান্সমিটারের কথা তারা রিপোর্ট করেন। অচেনা ধরনের ট্র্যান্সমিটারগুলোতে জালের মতো কাঠামো রয়েছে ও প্রতিটা বাহুর শেষে গোলাকার বৃত্ত।

ক্যাথি তখন এই অচেনা অ্যান্টেনাগুলো তার নিউজিল্যান্ডের ইউএফও মানচিত্রে যোগ করেন। ইউএফও দেখার জায়গাগুলোর সঙ্গে যোগ হয় মানুষের তৈরি ট্র্যান্সমিটিং স্টেশন, তালিকার বাইরের স্টেশন ও আমেরিকার সায়েন্টিফিক বেজ।

বাড়তে থাকা অ্যান্টেনার রিপোর্টের নেটওয়ার্কের সঙ্গে প্রতি অঞ্চলের হ্যাম রেডিও ইয়ারবুকের মিল খুঁজে পেলেও ক্যাথি কোনোভাবেই সরকারিভাবে এই ট্র্যান্সমিটারগুলো ব্যবহার বা বসানোর উদ্দেশ্য সম্বন্ধে কিছু জানতে পারেননি। তিনি তার বইয়ে লেখেন, ‘এই মুহূর্তে আমাকে শেষ পর্যন্ত স্বীকার করতেই হচ্ছে যে, একদল ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার গ্রিড সিস্টেম সম্বন্ধে আমার চেয়ে অনেক বেশি জানে।’

ক্যাথির জন্য পুরো বিষয়টা পরিষ্কার ছিল: গোপনে একটা ছোট গ্রুপ এরই মধ্যে এই গ্রিডের খোঁজ পেয়েছে ও একে অজানা কোনো কারণে ব্যবহার করছে। তার ধারণা পুরোপুরি ভুল ছিল না।

ক্রিস্টাল পেন্টাডোডেকাহেড্রন হিসেবে পৃথিবী

পৃথিবীর ব্যাখ্যাতীত ঘটনাগুলোর জন্য দায়ী গ্রিড সিস্টেম নিয়ে গবেষণায় কোনো ত্রুটি রাখেননি ক্যাথি। তার বিশেষ আগ্রহ ছিল রাশিয়ান প্রতিবেদনটি নিয়ে, আরও নির্দিষ্ট করে ধরলে ক্রিস্টাল গ্রিডের একটি ‘সংযোগস্থলে’, যেখানে গ্যাবনের ফ্রান্সেসভিল শহরের কাছে ওকলো এলাকায় একটি ‘প্রাকৃতিক পারমাণবিক রিয়্যাক্টর’ আছে।

ফরাসি পদার্থবিদ ফ্রান্সিস পেরিঁ ১৯৭৩ সালে ভূগর্ভস্থ আইসোটোপের অনুপাতের হিসেব করে এই বিশেষ জায়গা খুঁজে বের করেন। ওকলোতে ১৬টি এমন স্থান রয়েছে, যেখানে ১৭০ কোটি বছর আগে স্বনির্ভর পারমাণবিক ফিশন ঘটেছিল এবং কয়েক লাখ বছর ধরে চলেছে এই প্রক্রিয়া। পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হওয়া পারমাণবিক রিয়্যাক্টর এটি।

ওকলোতে প্রাকৃতিক রিয়্যাকটর আবিষ্কার ও রাশিয়ান প্রতিবেদনে গ্রিড তত্ত্বের সমর্থন পাওয়ায় ক্যাথি নিজের গবেষণা আরও অপ্রচলিত ধারায় করা শুরু করেন। এবার তিনি কাজ শুরু করেন পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের পূর্বাভাস দেয়া নিয়ে।

‘ক্রিস্টাল পৃথিবীতে’ ব্যাখ্যাতীত সব রহস্যের সমাধান!
নিউজিল্যান্ডের মানচিত্রের ওপর বসানো ব্রস ক্যাথির উদ্ভাবিত গ্রিড। ছবি: সংগৃহীত

ক্যাথি একটা বিষয়ে তার পুরো গবেষণায় অনড় থাকেন। তা হচ্ছে ‘পারমাণবিক কণার আপেক্ষিক গতির কারণে ভূ-পৃষ্ঠের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত একটা নির্দিষ্ট জ্যামিতিক বিন্দুতে একটা নির্দিষ্ট সময়ে’ পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব। ক্যাথি আরও যোগ করেন, ‘পৃথিবী ও সূর্যের আপেক্ষিক গতি যে কোনো নির্দিষ্ট মুহূর্তে বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ইউরেনিয়াম, প্লুটোনিয়াম, কোবাল্ট বা অন্যান্য যে কোনো পর্দার্থের অস্থায়ী কণাগুলোকে ব্যহত করবে।’

ক্যাথি তার পদ্ধতি ব্যবহার করে অনুকূল পারমাণবিক বিস্ফোরণের অবস্থা শনাক্ত করার জন্য ভবিষ্যতের পরীক্ষার স্থানগুলোকে নিয়ে বেশ কিছু পূর্বাভাস দেন, শুরুতে যার কয়েকটি মিলেও যায়। ১৯৬৮ সালের আগস্টে ইউএফও গবেষণা উপস্থাপনের জন্য তাকে অকল্যান্ডের রয়্যাল অ্যারোনটিক্যাল সোসাইটিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। উপস্থাপনার আগের দিন তিনি সোসাইটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে এক ডিনারে দেখা করেন। ওই সন্ধ্যায় কিছুক্ষণ পর তারা ক্যাথির পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

ক্যাথির সঙ্গে যারা ওই দিন ডিনারে ছিলেন, তারা এই তত্ত্বে খুব একটা বিশ্বাস করেননি। চ্যালেঞ্জ হিসেবে ক্যাথিকে তারা ফ্রান্সের পরবর্তী পারমাণবিক বোমা পরীক্ষার তারিখের ভবিষ্যদ্বাণী করতে বলেন। টেবিলে বসেই ক্যাথি হিসেব করে বের করেন যে পরবর্তী পরীক্ষা করা হবে ওই মাসেরই ২৪ তারিখে। ওই মাসের ২৪ তারিখে ফ্রান্সের প্যাসিফিক ক্যারিয়ার ব্যাটল গ্রুপ অপারেশন ক্যানোপাস পরিচালনা করে। এতে ফ্রান্স থার্মোনিউক্লিয়ার ডিভাইস (হাইড্রোজেন বোমা) বিস্ফোরণ ঘটানো বিশ্বের পঞ্চম পারমাণবিক শক্তি ক্ষমতাধর দেশে পরিণত হয়।

ক্যাথি তার নিজস্ব ধাঁচে পূর্বাভাসগুলো শঙ্কা ও আশ্বাসের মিশ্রণ হিসেবে প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বোমা বিস্ফোরণের জন্য প্রয়োজনীয় সৌর জ্যামিতি নির্দিষ্ট সময় না থাকলে রাশিয়ার কোনো টার্গেটে মিসাইল ছোড়া সফল করতে বহু ঘণ্টা, দিন ও সপ্তাহ লেগে যাবে।’

ক্যাথির জন্য পারমাণবিক বোমা আসলে একটি ‘স্পেসটাইম নির্ভর জ্যামিতিক ডিভাইস’। এর সফল বিস্ফোরণের জন্য প্রয়োজন মানচিত্র, পদার্থবিজ্ঞান ও ত্রিকোনোমিতি নির্ভর হিসেব।

বিশেষ করে ক্যাথি সব কিছুকে এক সুরে গাঁথার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন, প্রক্রিয়াটিকে ক্যাথি বলছেন হারমোনিক্স। কোনো জায়গার ‘হারমোনিক ভ্যালু’ সেখানে পারমাণবিক বিস্ফোরণ সম্ভব করে তোলে। শুধু পারমাণবিক বিস্ফোরণও নয়, এই তত্ত্ব দিয়ে ক্যাথির মতে পৃথিবীর সব ব্যাখ্যাতীত ঘটনাকে ব্যাখ্যা করা যাবে।

হারমোনিক গ্রিড

ক্যাথির মতে ইউএফওর দেখা যাওয়া ও প্রতিটা সফল পারমাণবিক বিস্ফোরণ আসলে কতগুলো ফ্রিকোয়েন্সির কারণে হয়, যেটার নাম তিনি দিয়েছেন হারমোনিক গ্রিড। এই ফ্রিকোয়েন্সিগুলো স্পেসটাইমের নির্দিষ্ট কোনো বিন্দুর আলো, অভিকর্ষ ও ভরের বৈচিত্র্যের ওপর নির্ভরশীল, যে কারণে পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় নির্দিষ্ট সময়ে একেবারে অনন্য একটি কম্পণের স্বাক্ষর সৃষ্টি হয়, যাকে বলা হয় হারমোনিক।

ক্যাথি শত শত পৃষ্ঠা খরচ করেছেন এই হারমোনিক গ্রিডের মান বের করার জন্যে। তার গাণিতিক হিসাব নিয়ে বিভিন্ন ফোরামে নানা তর্ক-বিতর্ক হলেও তার চিন্তার উৎস নিয়ে সবাই মোটামুটি পরিষ্কার। ক্যাথি মূলত অনুমান, হার, দূরত্ব এ রকম ভিন্ন ধরনের পরিমাপের ওপর নির্ভর ফরমুলাগুলো থেকে হিসেব করে একটা একক সংখ্যার ফল বের করতে চাচ্ছিলেন। আলোর গতি, অভিকর্ষের শক্তি ও ভর পরিমাপ করে কোনো একক পরিমাপে নিয়ে আসা ছোটখাট কোনো বিষয় নয়। এই সব বিচ্ছিন্ন ও ভিন্ন মানগুলিকে গড়ের মধ্যে নিয়ে আসার সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায় হচ্ছে হারমোনিক মিন ব্যবহার করা। একে সহজভাবে বোঝাতে গেলে বলতে হবে, হারমোনিক মিন হচ্ছে সম্পূরকের গড়ের সম্পূরক।

ক্যাথির হিসেবে লাইটের হারমোনিক ১৪,৩৯৯; পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের হারমোনিক ২,৫৪৫.৫ ও পৃথিবীর ভরের হারমোনিক ১৭,০২৫।

মূল বিষয়গুলো ঘটে হারমোনিকের ছেদবিন্দুগুলোতে। ওই বিন্দুগুলোতে:

১। স্পেস-টাইমের ভেতর এক বিন্দু থেকে আরেক বিন্দুতে ভর স্থানান্তর করতে পারে।

২। ভর বেশি থেকে হ্রাসকৃত অবস্থায় পরিবর্তিত হতে পারে

৩। সঠিক প্রযুক্তি পেলে সময়ের সংকোচন ও প্রসারণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব

ঋণাত্মক বাস্তবতা

ক্যাথির দাবি, এই হারমোনিক পয়েন্টগুলো আসলে ঋণাত্মক বাস্তবতার একেকটি উৎসবিন্দু। বিষয়টা বুঝতে হলে ক্যাথির অ্যান্টি-ম্যাটার নিয়ে ভাবনাটা বুঝতে হবে। মহাশূন্যে একই ইলেকট্রনের ধনাত্মক ও ঋণাত্মক পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে ম্যাটার ও অ্যান্টি-ম্যাটার সৃষ্টি হয়। মহাশূন্যে তরঙ্গ সর্পিলাকার গতিতে ঋণাত্মক ও ধণাত্মক পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যায়। ধনাত্মক পর্যায় যেটি পালস হিসেবে পরিচিত, সেখানে ম্যাটার তৈরি হয়। আর ঋণাত্মক পালসের ক্ষেত্রে তৈরি হয় অ্যান্টি-ম্যাটার।

আমাদের চেতনার সঙ্গে ম্যাটার ও অ্যান্টি-ম্যাটারের সম্পর্ক বোঝানোর জন্য সিনেমার তুলনা দিয়েছেন ক্যাথি। সিনেমার ফিল্মে প্রতিটি স্থির চিত্রকে তিনি বলছেন আমাদের শারীরিক অস্তিত্বের একক পালস। দুটি ফ্রেমের মাঝের পার্থক্যকে তিনি বলছেন অ্যান্টি-ম্যাটারের পালস। ফিল্মটিকে কোন প্রজেক্টর দিয়ে চালালে আমদের জন্য গতি ও সময় প্রক্ষেপণের বিভ্রম তৈরি হয়।

সিনেমা পর্দায় প্রজেকশনের কম্পাঙ্কের কারণে আমরা দুটি স্থিরচিত্রের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পাই না। তবে প্রজেক্টরের গতি বাড়িয়ে কমিয়ে আমরা সিনেমার প্রদর্শিত ঘটনার সময় বাড়াতে বা কমাতে পারি। এই রূপকে আমাদের চেতনা হচ্ছে ফিল্ম প্রজেক্টর। ক্যাথির দাবি, মানুষ আসলে ‘দ্বৈত ধারার চেতনা’র অধিকারী।

ক্যাথির হিসেবে হারমোনিক গ্রিডের ছেদবিন্দুর বৈদ্যুতিক পালসের কম্পাঙ্ক বদলাতে থাকে। এটি আমাদের স্পেস-টাইমের অভিজ্ঞতায় প্রভাব ফেলার জন্য যথেষ্ট। আমাদের বাস্তবতার ধারণা এক বিন্দু থেকে আরেক বিন্দুতে স্থানান্তর হয়। ক্যাথির মতে, ‘আমরা স্পেসে এক বিন্দু থেকে আরেক বিন্দুতে স্থানান্তরিত হই, কিন্তু আমরা সেটা শারীরিকভাবে বুঝতে পারি না।’

বিতর্ক

ক্যাথির তত্ত্বকে প্রত্যাখানকারীদের সংখ্যা কম নয়, বরং সময়ের সঙ্গে সে সংখ্যা বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করেন গণিত সমাজ। যারা ক্যাথির কাজকে পদার্থবিজ্ঞান কম ও ‘অদ্ভুতূড়ে গণিত’ বলে উড়িয়ে দেন। ক্যাথির কাজ নিয়ে আরেকটি সমালোচনা হচ্ছে যে তার গবেষণায়, ‘বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের চেয়ে দাবি বেশি’।

ইউএফওনেট ডটআইটি তার হারমোনিক্স তত্ত্বকে বলেছে ‘তুচ্ছ কিছু সংখ্যাভিত্তিক খেলা, যেটার কোনো তাৎপর্য নেই।’ সফল পারমাণবিক বিস্ফোরণের জন্য ক্যাথির স্পেস-টাইমের শর্তগুলি সম্পূর্ণরূপে এখন অপ্রাসঙ্গিক। এই মুহূর্তে এটা বলা নিরাপদ যে, পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে ভূগোল কোনো নির্ধারক ভূমিকা পালন করে না।

আরও পড়ুন:
খুদে জ্যোতির্বিজ্ঞানী অলিভেইরা
পদার্থবিজ্ঞানী হারুন-অর-রশীদের জীবনাবসান
আলো থেকে তৈরি হলো পদার্থ!

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
APO reduced the price of three phones

তিন ফোনের দাম কমালো অপো

তিন ফোনের দাম কমালো অপো

উদ্ভাবনী স্মার্টফোনের জন্য সুপরিচিত বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো বছরের মাঝামাঝি বাংলাদেশে তাদের জনপ্রিয় এ সিরিজের স্মার্টফোনে ছাড় ঘোষণা করেছে। অপো এ৫ প্রো (৮ জিবি + ২৫৬ জিবি) এখন পাওয়া যাচ্ছে ২৪,৯৯০ টাকায়, এর আগের দাম ছিল ২৬,৯৯০ টাকা; অপো এ৩ (৬ জিবি + ১২৮ জিবি) এখন মাত্র ১৮,৯৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, এর আগের দাম ছিল ১৯,৯৯০ টাকা; আর অপো এ৩এক্স (৪ জিবি + ৬৪ জিবি) এখন ১২,৯৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, আগে এর দাম ছিল ১৩,৯৯০ টাকা। এই অফারগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের জন্য অপো’র পারফরম্যান্স, ডিউরেবিলিটি ও ডিজাইন আরও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে।

যারা শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও টেকসই ডিজাইন চান, তাদের জন্য অপো এ৫ প্রো এক দারুণ বিকল্প। কঠিন পরিবেশে টিকে থাকার সক্ষমতা রয়েছে এই ফোনের। এতে ব্যবহার করা হয়েছে আইপি৬৯ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিজট্যান্স, মিলিটারি গ্রেড শক রেজিজট্যান্স এবং সর্বাধুনিক এআই ক্যামেরা সিস্টেম। এর ইন্টেলিজেন্ট ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপে রয়েছে এআই সিন রিকগনিশন, এআই পোর্ট্রেট রিটাচিং ও এইচডিআর ইমেজিং; যা আলো কম বা বেশি যাই থাক না কেন, নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি তোলা নিশ্চিত করে।

যারা প্রতিদিনের ব্যবহারে নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর স্মার্টফোন চান, তাদের জন্যই এই অপো এ৩ নিয়ে আসা হয়েছে। মিলিটারি গ্রেড শক রেজিজট্যান্স, মাল্টিপল লিকুইড রেজিজট্যান্স এবং ১,০০০ নিটস আল্ট্রা ব্রাইট ডিসপ্লের কারণে এটি টাফনেস ও ক্ল্যারিটি নিশ্চিত করতে পারে। এর শক্তিশালী ৪৫ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জ ও ৫১০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী ও নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। এর ৬.৬৭ ইঞ্চির ডিসপ্লে ও অপ্টিমাজড প্রসেসিং পাওয়ার কাজ ও বিনোদন উভয়ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।

এদিকে, অপো এ৩এক্স সাশ্রয়ী দামে শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও ডিউরেবিলিটি নিশ্চিত করে। এর নির্ভরযোগ্য ফিচার ও কমপ্যাক্ট ডিজাইন কাজ ও খেলার মধ্যে নিখুঁত ভারসাম্য নিশ্চিত করে; যার প্রতিদিনের ব্যবহারে স্মার্টফোনের ওপর নির্ভর করতে চান, তাদের জন্য এটি একদম যথার্থ হবে।

এ সম্পর্কে অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়ং বলেন, “অপোতে আমরা সর্বাধুনিক স্মার্টফোন প্রযুক্তি আরও সহজলভ্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অপো এ৩, এ৫ প্রো ও এ৩এক্স-এর ওপর এই ছাড়গুলো আমাদের এই প্রতিশ্রুতি পূরণেরই প্রতিফলন; যেখানে আমরা বাংলাদেশের ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে মানসম্মত ও ডিউরেবল স্মার্টফোন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

দেশজুড়ে সকল অনুমোদিত অপো স্টোরে এখন নতুন দামে এই ডিভাইসগুলো পাওয়া যাবে। আরও বিস্তারিত জানতে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh অথবা ওয়েবসাইট www.oppo.com/bd ভিজিট করুন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Trump is going to sit in the discussion to buy tickets

টিকটক কিনতে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

টিকটক কিনতে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

সামাজিকমাধ্যম টিকটকের মালিকানা পেতে চলতি সপ্তাহেই চীনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি চুক্তি অনেকটাই এগিয়েছে বলে দাবি তার।

শুক্রবার (৪ জুলাই) মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘সোমবার বা মঙ্গলবার সম্ভবত প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বা তার কোনো প্রতিনিধির সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবো। তবে, আমাদের চুক্তি অনেকটাই চূড়ান্ত।-খবর দ্য গার্ডিয়ানের

তিনি জানান, এ বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি নিজে চীন সফর করতে পারেন কিংবা শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারেন। গত মাসে দুই নেতা পরস্পরকে নিজ নিজ দেশে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

গত মাসে, ট্রাম্প টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান চীনভিত্তিক বাইটড্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদগুলো বিক্রির জন্য তিনি ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে এ চুক্তির জন্য চীনের সম্মতি নিতে হবে।

চুক্তি নিয়ে বেইজিংয়ের ওপর কতটা আস্থা রয়েছে—এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি খুব একটা আত্মবিশ্বাসী নই, তবে মনে করি হবে। প্রেসিডেন্ট শি এবং আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। এ চুক্তি চীনের জন্যও ভালো, আমাদের জন্যও ভালো।’

গত জুনে ট্রাম্প তৃতীয় দফায় নির্বাহী আদেশ দিয়ে টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের সময় বাড়ান। এর ফলে বাইটড্যান্সের হাতে আরও ৯০ দিন সময় আছে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সম্পদ বিক্রি করার জন্য, অন্যথায় টিকটক মার্কিন বাজারে নিষিদ্ধ হবে।

চলতি বসন্তে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র শাখাকে একটি নতুন মার্কিন প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার আলোচনা চলছিল। সেখানে নিয়ন্ত্রণ ও মালিকানা মার্কিন বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকার কথা ছিল। তবে, ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলে বেইজিং এ পরিকল্পনায় আপত্তি জানায় এবং আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার তিন দিন পর সুপ্রিম কোর্ট টিকটক নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার রায় দিলে তিনি প্রথম নির্বাহী আদেশে সময়সীমা বাড়ান। দ্বিতীয় নির্বাহী আদেশ আসে এপ্রিল মাসে। তখন বিক্রি বা নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ছিল ১৯ জুন। এখন তা বাড়িয়ে সেপ্টেম্বর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Satellite methansat lost in space

মহাকাশে হারিয়ে গেল উপগ্রহ ‘মিথেনস্যাট’

মহাকাশে হারিয়ে গেল উপগ্রহ ‘মিথেনস্যাট’ কৃত্রিম উপগ্রহ। ছবি: সংগৃহীত

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার চেষ্টায় বড় ধাক্কা খেয়েছে বৈশ্বিক বিজ্ঞান ও গবেষণা মহল। তেল ও গ্যাস খাতসহ বিভিন্ন উৎস থেকে নির্গত মিথেন গ্যাস শনাক্ত করতে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা প্রায় ১০৩৬ কোটি টাকা মূল্যের (৮ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার) উপগ্রহ মিথেনস্যাট এখন আর কক্ষপথে সাড়া দিচ্ছে না। এই ঘটনায় পরিবেশবিজ্ঞানী ও গবেষকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

গত বছর ইলন মাস্কের স্পেসএক্স রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল উপগ্রহটি। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করে গুগল, জেফ বেজোস এবং আরও কয়েকটি প্রভাবশালী সংস্থা ও ব্যক্তি। পাঁচ বছরব্যাপী এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের নির্গমন উৎস শনাক্ত করে দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া।

উপগ্রহটির তত্ত্বাবধানকারী সংস্থা এনভায়রনমেন্ট ডিফেন্স ফান্ড (ইডিএফ) জানিয়েছে, দশ দিন আগে মিথেনস্যাটের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, উপগ্রহটি শক্তি হারিয়েছে এবং পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা নেই। তবে এখনো বিষয়টি তদন্তাধীন।

ইডিএফ জানিয়েছে, কিছু সফটওয়্যার ভবিষ্যতে পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে নতুন করে আরেকটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসেনি।

মিথেন একটি অতি শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস, যা ১০০ বছরের ব্যবধানে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের চেয়ে প্রায় ২৮ গুণ বেশি প্রভাব ফেলে। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার মতে, যদিও ২০৩০ সালের মধ্যে মিথেন নির্গমন ৩০ শতাংশ কমানোর আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তারপরও প্রতি বছর এর মাত্রা বাড়ছেই।

মিথেন নির্গমনের প্রধান উৎসগুলো হলো তেল ও গ্যাস উৎপাদন, কৃষি এবং ল্যান্ডফিলে (ভাগাড়) উচ্ছিষ্ট খাবারের পচন। বর্তমানে মিথেন পর্যবেক্ষণকারী অনেক উপগ্রহ বেসরকারিভাবে পরিচালিত হয়, যার ফলে মিথেন নির্গমনের জন্য দায়ী প্রধান উৎসগুলো চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব দেখা যায়।

মিথেনস্যাট উপগ্রহের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত করার কথা ছিল। যাতে সরকার ও গবেষকরা দূষণকারীদের শনাক্ত করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন। গুগল তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি দিয়ে এ তথ্য ব্যবহার করে বৈশ্বিক মিথেন মানচিত্র তৈরিরও পরিকল্পনা করেছিল।

উপগ্রহটিতে যুক্ত ছিল বিশ্বের অন্যতম সংবেদনশীল যন্ত্র, যা ছোট থেকে বড় সব ধরনের মিথেন নির্গমন শনাক্ত করতে সক্ষম। বিশেষভাবে কৃষিভিত্তিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নির্গমন উৎস শনাক্তে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত।

বর্তমানে মিথেন পর্যবেক্ষণে অন্যতম উৎস হলো কার্বনম্যাপার (CarbonMapper) এবং ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির সেন্টিনেল-৫পি উপগ্রহের TROPOMI যন্ত্র। তবে সেন্টিনেল-৫পি-এর সাত বছর মেয়াদি মিশন চলতি বছরের অক্টোবরে শেষ হওয়ার কথা। এরপর গ্রিনহাউস গ্যাস নিরীক্ষণের বৈশ্বিক প্রচেষ্টা আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

ইডিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় সাহসী পদক্ষেপ ও ঝুঁকি নেওয়া জরুরি। মিথেনস্যাট ছিল সেই সাহসী উদ্যোগের একটি প্রতীক।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Why is there no life on Mars? NASA Rover indicates the mystery Veda

মঙ্গলে কেন প্রাণ নেই? রহস্য ভেদের ইঙ্গিত দিল নাসার রোভার

মঙ্গলে কেন প্রাণ নেই? রহস্য ভেদের ইঙ্গিত দিল নাসার রোভার

পৃথিবীর মতোই অনুরূপ বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও মঙ্গল গ্রহে কেন প্রাণের অস্তিত্ব নেই, যেখানে পৃথিবীতে প্রাণ ফুলে-ফেঁপে উঠেছে? নাসার এক রোভার সম্প্রতি এমন একটি সূত্র খুঁজে পেয়েছে, যা এই প্রশ্নের জবাবের একটি সম্ভাব্য দিক উন্মোচন করেছে।

প্যারিস থেকে এএফপি জানায়, নতুন গবেষণা বলছে, মঙ্গলে এক সময় অল্প সময়ের জন্য নদী ও হ্রদ প্রবাহিত হলেও পুরো গ্রহটি মূলত মরুভূমিতেই পরিণত হয়েছিল। ফলে প্রাণ বিকাশের সম্ভাবনা স্থায়ী হয়নি।

মঙ্গল গ্রহে প্রাণ সৃষ্টির উপাদানগুলোর অনেকটাই থাকলেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তরল পানি সম্ভবত দীর্ঘসময় ছিল না। অথচ প্রাচীন নদী ও হ্রদের নিদর্শনে বোঝা যায়, এক সময় এখানে পানি প্রবাহিত হয়েছিল।

চলতি বছরের শুরুতে, নাসার কিউরিওসিটি রোভার এমন কিছু শিলা আবিষ্কার করে, যেগুলোতে কার্বনেট খনিজের উপস্থিতি রয়েছে। পৃথিবীতে এরকম খনিজ, যেমন লাইমস্টোন, বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে শিলায় আটকে রাখে।

বুধবার ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এই কার্বনেট শিলার প্রভাব মডেল করে দেখিয়েছেন যে, কীভাবে এটি মঙ্গলের আবহাওয়া ও জলবায়ুর গতিপথকে বদলে দিতে পারে।

গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ও শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রহবিজ্ঞানী এডউইন কাইট বলেন, ‘মঙ্গল গ্রহে কিছু নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বসবাসযোগ্য পরিবেশ ছিল।’ তবে এই ‘ওএসিস’গুলো ছিল ব্যতিক্রম, নিয়ম নয়।

পৃথিবীতে কার্বন ডাইঅক্সাইড আবহাওয়া উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে, যা পরে শিলায় জমা হয় এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে আবার বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু ভারসাম্য বজায় থাকে। কিন্তু মঙ্গলে আগ্নেয়গিরির গ্যাস নিঃসরণের হার তুলনামূলকভাবে খুবই কম, ফলে এই প্রাকৃতিক চক্রটি ব্যাহত হয়েছে।

মডেল অনুযায়ী, মঙ্গলে তরল পানির সংক্ষিপ্ত উপস্থিতির পর প্রায় ১০ কোটি বছরব্যাপী তা মরুভূমিতে রূপ নেয়, যা প্রাণ টিকে থাকার জন্য অত্যন্ত দীর্ঘ ও কঠিন সময়।

কাইট বলেন, এখনও মঙ্গলের গভীরে তরল পানির অস্তিত্ব থাকতে পারে, যা আমরা আবিষ্কার করতে পারিনি। নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার ২০২১ সালে মঙ্গলের একটি প্রাচীন ডেল্টায় অবতরণ করে এবং সেখানে কার্বনেটের চিহ্ন খুঁজে পায়।

বিজ্ঞানীরা এখন আরো বেশি কার্বনেট খুঁজে পেতে চান, যার সেরা উপায় হলো মঙ্গলের শিলা পৃথিবীতে এনে পরীক্ষা করা। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন আগামী এক দশকের মধ্যেই এ লক্ষ্যে প্রতিযোগিতায় রয়েছে।

এই অনুসন্ধানের মূল প্রশ্ন- পৃথিবীর মতো প্রাণ বহনকারী গ্রহ কি বিরল? ১৯৯০ এর দশকের পর থেকে বিজ্ঞানীরা আমাদের সৌরজগতের বাইরের প্রায় ৬ হাজার গ্রহ আবিষ্কার করেছেন। তবে কেবল পৃথিবী ও মঙ্গলেই এমন শিলা পাওয়া যায়, যা দিয়ে তাদের অতীত বোঝা সম্ভব।

কাইট বলেন, যদি প্রমাণ হয় যে মঙ্গলের পানিপূর্ণ যুগেও কোনো প্রাণ জন্ম নেয়নি, তাহলে বোঝা যাবে, মহাবিশ্বে প্রাণ সৃষ্টির প্রক্রিয়া বেশ কঠিন। আর যদি প্রাচীন প্রাণের কোনো নিদর্শন পাওয়া যায়, তাহলে তা হবে সুস্পষ্ট বার্তা: ‘গ্রহ পর্যায়ে প্রাণ সৃষ্টি অনেক সহজ’।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Old video is a recent propaganda identified Banglafact

পুরোনো ভিডিওকে সাম্প্রতিক বলে অপপ্রচার: শনাক্ত বাংলাফ্যাক্টের

পুরোনো ভিডিওকে সাম্প্রতিক বলে অপপ্রচার: শনাক্ত বাংলাফ্যাক্টের

রাজধানীতে বাসে অগ্নিসংযোগের একটি পুরোনো ভিডিওকে সাম্প্রতিক ঘটনা হিসেবে প্রচারের গুজব শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)’র ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম ‘বাংলাফ্যাক্ট’।

বাংলাফ্যাক্টের অনুসন্ধান টিম জানায়, রাজধানীতে বাসে অগ্নিসংযোগের পুরোনো ভিডিওটি সাম্প্রতিক বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে এর সত্যতা যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছি এটি পুরোনো ঘটনা।

প্রতিষ্ঠানটির অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্বৃত্তরা বাসে অগ্নিসংযোগ করে। সে সময় এসব ঘটনার প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। অথচ সম্প্রতি ওই ঘটনার ভিডিও বর্তমান সময়ের হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।

বাংলাফ্যাক্ট বলছে, বাংলাদেশে চলমান গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনসাধারণকে যাচাইকৃত সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Lag free gaming guarante 

ল্যাগ-ফ্রি গেমিং নিশ্চয়তায় রিয়েলমি ১৪ ৫জি স্মার্টফোন 

ল্যাগ-ফ্রি গেমিং নিশ্চয়তায় রিয়েলমি ১৪ ৫জি স্মার্টফোন 

স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই ডিজিটাল লাইফস্টাইলের নির্বিঘ্ন অভিজ্ঞতা চান। সেরা পারফরম্যান্সের নিশ্চয়তা চান। এসব ব্যবহারকারীদের জন্য পাওয়ারহাউজ’ স্মার্টফোন ‘রিয়েলমি ১৪ ৫জি’এনেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড রিয়েলমি। সম্প্রতি দেশের বাজারে আসা এই স্মার্টফোনটি গ্রাহকদের দেবে ‘আল্টিমেট’ স্পিড ও ইফিশিয়েন্সি। এই ডিভাইসের মাধ্যমে গ্রাহকরা পাবেন নির্বিঘ্ন ডাউনলোড, ‘ল্যাগ-ফ্রি’ গেমিং নিশ্চয়তা। রয়েছে স্মুথ স্ট্রিমিং, ব্লেজিং-ফাস্ট ৫জি কানেক্টিভিটি। আরো আছে উভয় সিম স্লটে ‘ডুয়েল-মুড ৫জি’ ফিচারসহ সবকিছুতেই দ্রুতগতির ‘নেক্সট-জেনারেশন’ এক্সপেরিয়েন্স। জেনে নেয়া যাক এই স্মার্টফোনের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলো।

শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট: রিয়েলমি ১৪ ৫জি স্মার্টফোনের শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন ৬ জেন ৪ ৫জি চিপসেট ব্যতিক্রমী ও অসাধারণ প্রসেসিং পাওয়ার প্রদান করে। এতে করে চাহিদা অনুযায়ী নিত্যদিনের রুটিনমাফিক কাজসহ গ্রাফিক্স-ইনটেনসিভ গেমস দারুণ স্বাচ্ছন্দ্যে খেলা যায়। একইসঙ্গে সম্ভব হয় নির্বিঘ্ন মাল্টিটাস্কিং ও রেসপন্সিভ পারফরম্যান্স।

ব্যাটারি: রিয়েলমি ১৪ ৫জি স্মার্টফোনটিতে রয়েছে- ৪৫ওয়াট ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি ও ৬০০০এমএএইচ টাইটান ব্যাটারি যা দ্রুতই স্মার্টফোনকে পূর্ণ চার্জ হতে সাহায্য করে। এতে ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে যাবার ভাবনা ছাড়াই নিশ্চিন্তে গ্রাহকরা ডিভাইসটি ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যামোলেড ই-স্পোর্টস ডিসপ্লে: স্মার্টফোনটির ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট এর ৬.৬৭ ইঞ্চির অ্যামোলেড ই-স্পোর্টস ডিসপ্লে গ্রাহকদের আল্ট্রা-স্মুথ স্ক্রলিং এবং প্রাণবন্ত ভিজুয়্যাল এর অভিজ্ঞতা দেবে। ব্যবহারকারীরা আরো উপভোগ করতে পারবেন- ফ্লুইড এনিমেশন, রেসপন্সিভ টাচ এক্সপেরিয়েন্স, আইডিয়াল মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড গেমিং।

ক্যামেরা: নান্দনিক সব ছবি ক্যামেরাবন্দি করতেও সিদ্ধহস্ত ‘রিয়েলমি ১৪ ৫জি’। এই ডিভাইসের ‘ভার্সেটাইল’ ৫০ মেগাপিক্সেল এআই ক্যামেরা স্পষ্ট ও নিখুঁত ছবি উপহার দেয় এবং বাড়তি লেন্স ও ইন্টেলিজেন্ট এআই ফিচার স্মার্টফোনপ্রেমীদের সৃজনশীলতা প্রকাশে সহায়তা করে।

স্থায়িত্ব: ডিভাইসটিতে রয়েছে- অ্যান্ডয়েড ১৫ ভিত্তিক রিয়েলমি ইউআই ৬.০, যা ব্যবহারকারীদের স্মুথ ও কাস্টমাইজেবল এক্সপেরিয়েন্স দেয়। এছাড়া ডিভাইসটিতে আরো রয়েছে- সেরা মানের আইপি৬৯, আইপি৬৮ এবং আইপি৬৬ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিস্ট্যান্স, যা কি না স্মার্টফোনকে অভাবনীয় স্থায়িত্ব প্রদান করে।

দাম: ডাইনামিক র‌্যাম এক্সপ্যানশনের মাধ্যমে গ্রাহকের মাল্টিটাস্কিং অভিজ্ঞতা প্রদানে সক্ষম ‘রিয়েলমি ১৪ ৫জি’বাজারমূল্য ৪১,৯৯৯ টাকা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Royal Bengal AI is offering internships at home on AI

এআইয়ের উপর ঘরে বসে ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিচ্ছে রয়েল বেঙ্গল এআই

এআইয়ের উপর ঘরে বসে ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিচ্ছে রয়েল বেঙ্গল এআই

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এর উপর ঘরে বসে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রয়েল বেঙ্গল এআই। প্রতিষ্ঠানটি শুধু মাত্র উচ্চ মাধ্যামিক বা কলেজ শিক্ষার্থীদের এই সুযোগ দিচ্ছে। কোডিং না জানলেও শুধু মাত্র এআইয়ের উপর আগ্রহী এমন কর্মীই খুঁজছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানটি ৩ জনকে শিক্ষার্থীকে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দেবে। সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করত, পাশাপাশি মাসে ১০০ ডলার সম্মানি।

কোডিং জানার প্রয়োজন নেই, কোনও পূর্ববর্তী চাকরির অভিজ্ঞতাও দরকার নেই। সাবলীল ইংরেজির প্রয়োজন নেই শুধু মাত্র এআই সম্পর্কে কৌতূহলী এবং শিখতে, গবেষণা করতে এবং ধারণা সংগঠিত করতে আগ্রহী এমন প্রার্থীকেই খুঁজছে প্রতিষ্ঠানটি।

ঘরে বসেই এআইয়ের উপর অভিজ্ঞ মানুষদের সাথে কাজ পাশাপাশি থাকবে সার্টিফিকেট, এআইয়ের উপর বাস্তব-বিশ্বের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ।

আবেদনের শেষ তারিখ ৪ জুলাই ২০২৫। আবেদন করতে https://shorturl.at/2o8Uc লিংকে প্রবেশ করুণ।

মন্তব্য

p
উপরে