আন-আইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট বা ইউএফও নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। নিরন্তর গবেষণা চলছে কথিত এইসব ভিনগ্রহবাসীদের বাহনগুলো নিয়ে। নিউজল্যান্ডের সাবেক এক শখের গণিতবিদ ছক কষে বের করেছিলেন ইউএফও দেখা যাওয়ার প্যাটার্ন। তার ওই তত্ত্ব টেনে এনেছে বহু প্রাচীন একটি ধারণাকে - ক্রিস্টাল পৃথিবীর ধারণা। পেন্টাডোডেকাহেড্রন ও হারমোনিক গ্রিড নিয়ে বিশেষ এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ভিত্তিক সাইট ‘ভাইস’। নিউজবাংলা পাঠকদের জন্য সেটি অবলম্বনে লিখেছেন রুবাইদ ইফতেখার।
১৯৭৩ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের ‘কেমিস্ট্রি অ্যান্ড লাইফ’ জার্নালে চমকপ্রদ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়; শিরোনাম ছিল ‘পৃথিবী কি একটি বিশাল ক্রিস্টাল (স্ফটিক)?’
প্রতিবেদনে বেশ গভীর অনুসন্ধান করা হয়। সেটা অনেকটা এমন ছিল: পিথাগোরাস পেন্টাডোডেকাহেড্রন নামের একটি মিশ্র-জ্যামিতিক আকার নিয়ে মজে ছিলেন। এ বিখ্যাত গ্রিক দার্শনিক একে বলতেন ‘মহাজাগতিক গোলক’। প্লেটোও এই আকৃতি নিয়ে আগ্রহী হন ও এর নাম দেন ‘আসল পৃথিবী’। মহাবিশ্ব সৃষ্টির ভিত্তি হিসেবে এ জ্যামিতিক আকারটিকে ধরে নিয়েছিলেন দুজন। পিথাগোরাস, প্লেটো ও তাদের পরবর্তী প্রজন্মের বুদ্ধিজীবীর পাশাপাশি ও অতিন্দ্রীয়বাদের (মিসটিসিজমের) অনেকগুলো ধারায় এই পেন্টাডোডেকাহেড্রনের আসল শক্তিকে গোপন রাখার বিষয়ে জোর দেয়া হয়।
রাশিয়ার প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয় যে, সৃষ্টির শুরুতে পৃথিবী ছিল পেন্টাডোডেকাহেড্রনের কৌণিক মাত্রার একটি বৃহৎ ক্রিস্টাল। কালক্রমে গ্রহটি শেষ ক্ষয়ে ক্ষয়ে একটি গোলকের আকার নেয়। প্রতিবেদনে এই তত্ত্ব দেয়া হয়, ‘পৃথিবী নিজেই একটি জ্যামিতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত দ্বৈত গ্রিড তৈরি করে।’ প্রথম গ্রিড ১২টি পঞ্চভুজাকৃতির খণ্ড দিয়ে তৈরি। দ্বিতীয়টি ২০টি সমবাহু ত্রিভুজের সমন্বয়ে তৈরি।
রাশিয়ান গবেষণায় বের করা হয় যে এই স্ফটিক গ্রিডটি পৃথিবীর সমুদ্রের তলের উঁচু-নিচু, ফাটল ও মহাসাগরের নিচে পর্বতসারির সঙ্গে কোনো কোনো জায়গায় মিলে গেছে। মজার বিষয় হলো, ত্রিভুজের একটি শীর্ষবিন্দু গিয়ে পড়েছে কুখ্যাত বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে। কয়েকটি গেছে প্রাচীন পেরুতে, ইস্টার আইল্যান্ডে ও গিজার পিরামিডে। এই ছেদবিন্দুগুলোতে ভূমিকম্প/আগ্নেয়গিরি, আজব আজব সব জন্তুজানোয়ারের বিচরণস্থল, চরম বায়ুমণ্ডলীয় চাপ, খনিজ আকরিক ও লোহার সঞ্চয় ও স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চতর চুম্বকত্বসহ অন্যান্য অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণের দৃষ্টান্ত দেখা যায়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘পৃথিবীর জৈবমণ্ডলের অংশ হিসেবে মানুষও ক্রিস্টাল পৃথিবীর প্রভাবমুক্ত নয়’।
এ রকম একটি অদ্ভুত ধারণার ক্ষেত্রে রাশিয়ান ভূতত্ত্ববিদরা একা ছিলেন না। অর্ধেক পৃথিবী দূরত্বে থাকা ব্রুস ক্যাথি নামে নিউজিল্যান্ডের এক ব্যক্তি একই ধরণের গ্রিড তত্ত্ব নিয়ে কাজ করছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, তার এই তত্ত্ব দিয়ে প্রায় সব কিছু ব্যাখ্যা করা সম্ভব।
ইউএফও দেখা যাওয়ার নির্দিষ্ট প্যাটার্ন
ক্যাথি একাধারে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের একটি এয়ারলাইনের পাইলট, শখের গণিতবিদ ও ইউএফও তত্ত্বের একজন বিশ্বাসী। ১৯৬৮ সালে একটি অদ্ভূত পর্যবেক্ষণ হাজির করেন তিনি। বিশ্বজুড়ে ইউএফও দেখার রিপোর্ট যাচাই করার পর ক্যাথি নিশ্চিত হন যে তিনি এগুলোর দেখা যাওয়ার স্থানের একটি ভৌগোলিক প্যাটার্ন সনাক্ত করেছেন।
তার জনপ্রিয় কয়েকটি বই ‘হারমোনিক সিক্সনাইনটিফাইভ’, ‘দ্য এনার্জি গ্রিড’ ও ‘দ্য পালস অফ দ্য ইউনিভার্স’-এ তিনি লেখেন, ‘প্রথমে ইউএফওর কেসগুলো এত ছড়ানো-ছিটানো ছিল যে, তাদেরকে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটা ছকে আনা প্রায় অসম্ভব ছিল।’ তবে ক্যাথি নিশ্চিত ছিলেন যে একটা প্যাটার্ন অবশ্যই আছে। যে কারণে তিনি তার তত্ত্ব নিয়ে অগ্রসর হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি আশা করছিলেন জ্যামিতিক পয়েন্টের জটলার মধ্যে ইউএফও কার্যকলাপের অন্তর্নিহিত কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে।
আধুনিক কম্পিউটারের সাহায্য ছাড়াই তিনি ইউএফও দেখার স্থানগুলোর প্রক্রিয়ার একটি প্যাটার্ন বের করেন। প্রথমে তিনি পৃথিবীর একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের একটি প্যাটার্ন প্রতিষ্ঠান করেন, যাকে মূল ধরে তার পক্ষে ‘অনুলিপি বা অনুমানের ভিত্তিতে বাকিগুলোকেও খুঁজে বের করা সম্ভব’ হবে। তবে কাজটি সঠিকভাবে শুরু করতে ক্যাথির দরকার পড়ে প্রচুর ডেটা।
দ্য এনার্জি গ্রিড বইতে ক্যাথি জানান, ১৯৬৫ সালের এপ্রিলে তিনি ইউএফও দেখার এক ‘স্বর্ণখনির’ সন্ধান পান। তিনি পত্রিকায় দেখতে পান, নিউজিল্যান্ড সায়েন্টিফিক অ্যান্ড স্পেস রিসার্চ নামের এক সংস্থা নতুন সদস্য খুঁজছে। তিনি ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ও দেখেন তাদের কাছে প্রচুর পরিমাণ তথ্য অত্যন্ত চমৎকারভাবে গোছানো আছে। ক্যাথি তাদের কাছে ১২ বছর ধরে সংগ্রহ করা ২৫টি দেশের তথ্য পান। ক্যাথিকে তারা অবসর সময়ে এগুলো নিয়ে গবেষণার জন্য আমন্ত্রণ জানায়।
নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে একই ধরনের ইউএফওর দেখা যাওয়ার বর্ণনা আছে এমন সব রিপোর্টের তালিকা নিয়ে ক্যাথি দ্রুত কাজ শুরু করেন। ইউএফওগুলো দেখা যাবার সময়কে আরও ছোট করে আনেন ক্যাথি। স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১০টা থেকে পরের ১৫ মিনিটের তথ্য বাছাই করেন তিনি। হাতে থাকা এই ডেটা পয়েন্টগুলোর সঙ্গে ক্যাথি টানা কয়েক সপ্তাহ ইউএফও ট্র্যাক লাইন হিসেব করেন ও সারা বিশ্বে অন্যান্য গবেষণার সঙ্গে তার হিসেবকে ক্রস-রেফারেন্স করেন।
নিউজিল্যান্ডের মানচিত্রের ওপর ক্যাথি একটি গ্রিড কল্পনা করেন। গ্রিডে উত্তর দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম দিকে ৩০ মিনিটের চাপ হিসেবে করে অক্ষাংশ নেয়া হয়। এর অর্থ হচ্ছে, পৃথিবী পৃষ্ঠের বক্রতার সঙ্গে সমান্তরালে থেকে কেউ ৩০ মিনিটে নির্দিষ্ট দিকে যেটুকু দূরত্ব অতিক্রম করবেন সেইটুকু। হতবাক হয়ে তিনি লক্ষ্য করেন যে, তার ডেটা সেটের ১৬টি স্থির ও ১৭টি চলমান। ইউএফওর দেখা যাওয়ার সবগুলো স্থান তার কল্পিত গ্রিডের ছেদ বিন্দুতে নিঁখুতভাবে বসে গেছে।
ক্যাথি তার তত্ত্ব নিয়ে আরও অনেক দূর যেতে চেয়েছিলেন। তার লক্ষ্য ছিল, এই গ্রিডটিকে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া এবং ইতিহাসের প্রতিটি ইউএফও দর্শনের ঘটনাকে ট্র্যাক করা।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ও রাশিয়ান রিপোর্ট থেকে আংশিক অনুপ্রাণিত হয়ে ক্যাথি তার গ্রিডের হিসেবে মিলে যাওয়া প্রাকৃতিক ঘটনাগুলির তথ্য জোগাড় করেন। তার কাজগুলো একেবারে প্রান্তিক, এমনকি ইউএফও কমিউনিটিতেও এটি প্রান্তিক হিসেবে বিবেচিত। কীভাবে রাশিয়ান ওই গবেষণাটি বিজ্ঞানী সমাজ ও এর বাইরের গবেষকদের প্রভাবিত করেছে, সেটা বোঝা যায় ক্যাথির কাহিনী থেকে। তার কাজ থেকে এটাও প্রমাণ হয় যে অপ্রচলিত ধারার বিজ্ঞান থেকেও চমকপ্রদ সত্যের টুকরো বেরিয়ে আসতে পারে।
মহাসাগরের একটি অদ্ভূত আবিষ্কার ক্যাথিকে তার গবেষণা চালিয়ে নেয়ার এক নতুন পথের সন্ধান দেয়।
১৯৬৪ সালের ২৯ আগস্ট আমেরিকার একটি জাহাজ ‘এলটানিন’ দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলবর্তী সমুদ্র তলদেশের গবেষণা কাজে ব্যস্ত ছিল। ওই সফরে পানির নিচের বেশ কিছু ছবি নেয়া হয় ও পরে ডেভেলপ করা হয়। ওই ছবিগুলোর একটিতে অনেকগুলো ক্রসবারসহ একটি সঠিক মাপের অ্যান্টেনা দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় দেখা যায়।
বস্তুটির অবস্থান ছিল অক্ষাংশ 59°08' দক্ষিণ, দ্রাঘিমাংশ 105° পশ্চিমে। ক্যাথির মতে সমুদ্রপৃষ্ঠের সাড়ে ১৩ হাজার ফুট নিচে এই ‘লোহার কারিগরি’ কোনো মানুষের পক্ষে বসানো সম্ভব না। দ্য নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড পত্রিকা একে দ্য এলটানিন অ্যান্টেনা নাম দেয়। পরবর্তীতে এই নামটিই পরিচিত হয়ে ওঠে।
এটা উল্লেখ করা দরকার যে, এলটানিন অ্যান্টেনার সঙ্গে বিরল প্রজাতির এক ধরনের সামুদ্রিক মাংশাসী স্পঞ্জ ক্ল্যাডরজিয়ার (Cladorhiza concrescens) অদ্ভূত মিল রয়েছে। ক্যাথি নিজেও এই মিলের কথা স্বীকার করেছেন, তবে ২০১৩ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বিশ্বাস করতেন যে, আসল সত্যকে ঢাকতেই এই স্পঞ্জের কথা বারবার বলা হচ্ছে।
দ্য এনার্জি গ্রিড বইতে ক্যাথি বলেন, এই আবিষ্কারে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি এলটানিন অ্যান্টেনার কো-অরডিনেট, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ইউএফও দেখতে পাওয়া ও তার নিজের তৈরি গ্রিডের সমন্বয় ঘটানোর চেষ্টা শুরু করেন। তার এই গবেষণার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে সহায়তা আসতে থাকে।
সহায়তার বড় একটা অংশ আসে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও নিউজিল্যান্ডের অন্য পাইলটদের কাছ থেকে। এলটানিনের মতো একই মাপের অপরিচিত কিছু রেডিও ট্র্যান্সমিটারের কথা তারা রিপোর্ট করেন। অচেনা ধরনের ট্র্যান্সমিটারগুলোতে জালের মতো কাঠামো রয়েছে ও প্রতিটা বাহুর শেষে গোলাকার বৃত্ত।
ক্যাথি তখন এই অচেনা অ্যান্টেনাগুলো তার নিউজিল্যান্ডের ইউএফও মানচিত্রে যোগ করেন। ইউএফও দেখার জায়গাগুলোর সঙ্গে যোগ হয় মানুষের তৈরি ট্র্যান্সমিটিং স্টেশন, তালিকার বাইরের স্টেশন ও আমেরিকার সায়েন্টিফিক বেজ।
বাড়তে থাকা অ্যান্টেনার রিপোর্টের নেটওয়ার্কের সঙ্গে প্রতি অঞ্চলের হ্যাম রেডিও ইয়ারবুকের মিল খুঁজে পেলেও ক্যাথি কোনোভাবেই সরকারিভাবে এই ট্র্যান্সমিটারগুলো ব্যবহার বা বসানোর উদ্দেশ্য সম্বন্ধে কিছু জানতে পারেননি। তিনি তার বইয়ে লেখেন, ‘এই মুহূর্তে আমাকে শেষ পর্যন্ত স্বীকার করতেই হচ্ছে যে, একদল ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার গ্রিড সিস্টেম সম্বন্ধে আমার চেয়ে অনেক বেশি জানে।’
ক্যাথির জন্য পুরো বিষয়টা পরিষ্কার ছিল: গোপনে একটা ছোট গ্রুপ এরই মধ্যে এই গ্রিডের খোঁজ পেয়েছে ও একে অজানা কোনো কারণে ব্যবহার করছে। তার ধারণা পুরোপুরি ভুল ছিল না।
ক্রিস্টাল পেন্টাডোডেকাহেড্রন হিসেবে পৃথিবী
পৃথিবীর ব্যাখ্যাতীত ঘটনাগুলোর জন্য দায়ী গ্রিড সিস্টেম নিয়ে গবেষণায় কোনো ত্রুটি রাখেননি ক্যাথি। তার বিশেষ আগ্রহ ছিল রাশিয়ান প্রতিবেদনটি নিয়ে, আরও নির্দিষ্ট করে ধরলে ক্রিস্টাল গ্রিডের একটি ‘সংযোগস্থলে’, যেখানে গ্যাবনের ফ্রান্সেসভিল শহরের কাছে ওকলো এলাকায় একটি ‘প্রাকৃতিক পারমাণবিক রিয়্যাক্টর’ আছে।
ফরাসি পদার্থবিদ ফ্রান্সিস পেরিঁ ১৯৭৩ সালে ভূগর্ভস্থ আইসোটোপের অনুপাতের হিসেব করে এই বিশেষ জায়গা খুঁজে বের করেন। ওকলোতে ১৬টি এমন স্থান রয়েছে, যেখানে ১৭০ কোটি বছর আগে স্বনির্ভর পারমাণবিক ফিশন ঘটেছিল এবং কয়েক লাখ বছর ধরে চলেছে এই প্রক্রিয়া। পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হওয়া পারমাণবিক রিয়্যাক্টর এটি।
ওকলোতে প্রাকৃতিক রিয়্যাকটর আবিষ্কার ও রাশিয়ান প্রতিবেদনে গ্রিড তত্ত্বের সমর্থন পাওয়ায় ক্যাথি নিজের গবেষণা আরও অপ্রচলিত ধারায় করা শুরু করেন। এবার তিনি কাজ শুরু করেন পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের পূর্বাভাস দেয়া নিয়ে।
ক্যাথি একটা বিষয়ে তার পুরো গবেষণায় অনড় থাকেন। তা হচ্ছে ‘পারমাণবিক কণার আপেক্ষিক গতির কারণে ভূ-পৃষ্ঠের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত একটা নির্দিষ্ট জ্যামিতিক বিন্দুতে একটা নির্দিষ্ট সময়ে’ পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব। ক্যাথি আরও যোগ করেন, ‘পৃথিবী ও সূর্যের আপেক্ষিক গতি যে কোনো নির্দিষ্ট মুহূর্তে বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ইউরেনিয়াম, প্লুটোনিয়াম, কোবাল্ট বা অন্যান্য যে কোনো পর্দার্থের অস্থায়ী কণাগুলোকে ব্যহত করবে।’
ক্যাথি তার পদ্ধতি ব্যবহার করে অনুকূল পারমাণবিক বিস্ফোরণের অবস্থা শনাক্ত করার জন্য ভবিষ্যতের পরীক্ষার স্থানগুলোকে নিয়ে বেশ কিছু পূর্বাভাস দেন, শুরুতে যার কয়েকটি মিলেও যায়। ১৯৬৮ সালের আগস্টে ইউএফও গবেষণা উপস্থাপনের জন্য তাকে অকল্যান্ডের রয়্যাল অ্যারোনটিক্যাল সোসাইটিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। উপস্থাপনার আগের দিন তিনি সোসাইটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে এক ডিনারে দেখা করেন। ওই সন্ধ্যায় কিছুক্ষণ পর তারা ক্যাথির পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
ক্যাথির সঙ্গে যারা ওই দিন ডিনারে ছিলেন, তারা এই তত্ত্বে খুব একটা বিশ্বাস করেননি। চ্যালেঞ্জ হিসেবে ক্যাথিকে তারা ফ্রান্সের পরবর্তী পারমাণবিক বোমা পরীক্ষার তারিখের ভবিষ্যদ্বাণী করতে বলেন। টেবিলে বসেই ক্যাথি হিসেব করে বের করেন যে পরবর্তী পরীক্ষা করা হবে ওই মাসেরই ২৪ তারিখে। ওই মাসের ২৪ তারিখে ফ্রান্সের প্যাসিফিক ক্যারিয়ার ব্যাটল গ্রুপ অপারেশন ক্যানোপাস পরিচালনা করে। এতে ফ্রান্স থার্মোনিউক্লিয়ার ডিভাইস (হাইড্রোজেন বোমা) বিস্ফোরণ ঘটানো বিশ্বের পঞ্চম পারমাণবিক শক্তি ক্ষমতাধর দেশে পরিণত হয়।
ক্যাথি তার নিজস্ব ধাঁচে পূর্বাভাসগুলো শঙ্কা ও আশ্বাসের মিশ্রণ হিসেবে প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বোমা বিস্ফোরণের জন্য প্রয়োজনীয় সৌর জ্যামিতি নির্দিষ্ট সময় না থাকলে রাশিয়ার কোনো টার্গেটে মিসাইল ছোড়া সফল করতে বহু ঘণ্টা, দিন ও সপ্তাহ লেগে যাবে।’
ক্যাথির জন্য পারমাণবিক বোমা আসলে একটি ‘স্পেসটাইম নির্ভর জ্যামিতিক ডিভাইস’। এর সফল বিস্ফোরণের জন্য প্রয়োজন মানচিত্র, পদার্থবিজ্ঞান ও ত্রিকোনোমিতি নির্ভর হিসেব।
বিশেষ করে ক্যাথি সব কিছুকে এক সুরে গাঁথার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন, প্রক্রিয়াটিকে ক্যাথি বলছেন হারমোনিক্স। কোনো জায়গার ‘হারমোনিক ভ্যালু’ সেখানে পারমাণবিক বিস্ফোরণ সম্ভব করে তোলে। শুধু পারমাণবিক বিস্ফোরণও নয়, এই তত্ত্ব দিয়ে ক্যাথির মতে পৃথিবীর সব ব্যাখ্যাতীত ঘটনাকে ব্যাখ্যা করা যাবে।
হারমোনিক গ্রিড
ক্যাথির মতে ইউএফওর দেখা যাওয়া ও প্রতিটা সফল পারমাণবিক বিস্ফোরণ আসলে কতগুলো ফ্রিকোয়েন্সির কারণে হয়, যেটার নাম তিনি দিয়েছেন হারমোনিক গ্রিড। এই ফ্রিকোয়েন্সিগুলো স্পেসটাইমের নির্দিষ্ট কোনো বিন্দুর আলো, অভিকর্ষ ও ভরের বৈচিত্র্যের ওপর নির্ভরশীল, যে কারণে পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় নির্দিষ্ট সময়ে একেবারে অনন্য একটি কম্পণের স্বাক্ষর সৃষ্টি হয়, যাকে বলা হয় হারমোনিক।
ক্যাথি শত শত পৃষ্ঠা খরচ করেছেন এই হারমোনিক গ্রিডের মান বের করার জন্যে। তার গাণিতিক হিসাব নিয়ে বিভিন্ন ফোরামে নানা তর্ক-বিতর্ক হলেও তার চিন্তার উৎস নিয়ে সবাই মোটামুটি পরিষ্কার। ক্যাথি মূলত অনুমান, হার, দূরত্ব এ রকম ভিন্ন ধরনের পরিমাপের ওপর নির্ভর ফরমুলাগুলো থেকে হিসেব করে একটা একক সংখ্যার ফল বের করতে চাচ্ছিলেন। আলোর গতি, অভিকর্ষের শক্তি ও ভর পরিমাপ করে কোনো একক পরিমাপে নিয়ে আসা ছোটখাট কোনো বিষয় নয়। এই সব বিচ্ছিন্ন ও ভিন্ন মানগুলিকে গড়ের মধ্যে নিয়ে আসার সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায় হচ্ছে হারমোনিক মিন ব্যবহার করা। একে সহজভাবে বোঝাতে গেলে বলতে হবে, হারমোনিক মিন হচ্ছে সম্পূরকের গড়ের সম্পূরক।
ক্যাথির হিসেবে লাইটের হারমোনিক ১৪,৩৯৯; পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের হারমোনিক ২,৫৪৫.৫ ও পৃথিবীর ভরের হারমোনিক ১৭,০২৫।
মূল বিষয়গুলো ঘটে হারমোনিকের ছেদবিন্দুগুলোতে। ওই বিন্দুগুলোতে:
১। স্পেস-টাইমের ভেতর এক বিন্দু থেকে আরেক বিন্দুতে ভর স্থানান্তর করতে পারে।
২। ভর বেশি থেকে হ্রাসকৃত অবস্থায় পরিবর্তিত হতে পারে
৩। সঠিক প্রযুক্তি পেলে সময়ের সংকোচন ও প্রসারণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব
ঋণাত্মক বাস্তবতা
ক্যাথির দাবি, এই হারমোনিক পয়েন্টগুলো আসলে ঋণাত্মক বাস্তবতার একেকটি উৎসবিন্দু। বিষয়টা বুঝতে হলে ক্যাথির অ্যান্টি-ম্যাটার নিয়ে ভাবনাটা বুঝতে হবে। মহাশূন্যে একই ইলেকট্রনের ধনাত্মক ও ঋণাত্মক পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে ম্যাটার ও অ্যান্টি-ম্যাটার সৃষ্টি হয়। মহাশূন্যে তরঙ্গ সর্পিলাকার গতিতে ঋণাত্মক ও ধণাত্মক পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যায়। ধনাত্মক পর্যায় যেটি পালস হিসেবে পরিচিত, সেখানে ম্যাটার তৈরি হয়। আর ঋণাত্মক পালসের ক্ষেত্রে তৈরি হয় অ্যান্টি-ম্যাটার।
আমাদের চেতনার সঙ্গে ম্যাটার ও অ্যান্টি-ম্যাটারের সম্পর্ক বোঝানোর জন্য সিনেমার তুলনা দিয়েছেন ক্যাথি। সিনেমার ফিল্মে প্রতিটি স্থির চিত্রকে তিনি বলছেন আমাদের শারীরিক অস্তিত্বের একক পালস। দুটি ফ্রেমের মাঝের পার্থক্যকে তিনি বলছেন অ্যান্টি-ম্যাটারের পালস। ফিল্মটিকে কোন প্রজেক্টর দিয়ে চালালে আমদের জন্য গতি ও সময় প্রক্ষেপণের বিভ্রম তৈরি হয়।
সিনেমা পর্দায় প্রজেকশনের কম্পাঙ্কের কারণে আমরা দুটি স্থিরচিত্রের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পাই না। তবে প্রজেক্টরের গতি বাড়িয়ে কমিয়ে আমরা সিনেমার প্রদর্শিত ঘটনার সময় বাড়াতে বা কমাতে পারি। এই রূপকে আমাদের চেতনা হচ্ছে ফিল্ম প্রজেক্টর। ক্যাথির দাবি, মানুষ আসলে ‘দ্বৈত ধারার চেতনা’র অধিকারী।
ক্যাথির হিসেবে হারমোনিক গ্রিডের ছেদবিন্দুর বৈদ্যুতিক পালসের কম্পাঙ্ক বদলাতে থাকে। এটি আমাদের স্পেস-টাইমের অভিজ্ঞতায় প্রভাব ফেলার জন্য যথেষ্ট। আমাদের বাস্তবতার ধারণা এক বিন্দু থেকে আরেক বিন্দুতে স্থানান্তর হয়। ক্যাথির মতে, ‘আমরা স্পেসে এক বিন্দু থেকে আরেক বিন্দুতে স্থানান্তরিত হই, কিন্তু আমরা সেটা শারীরিকভাবে বুঝতে পারি না।’
বিতর্ক
ক্যাথির তত্ত্বকে প্রত্যাখানকারীদের সংখ্যা কম নয়, বরং সময়ের সঙ্গে সে সংখ্যা বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করেন গণিত সমাজ। যারা ক্যাথির কাজকে পদার্থবিজ্ঞান কম ও ‘অদ্ভুতূড়ে গণিত’ বলে উড়িয়ে দেন। ক্যাথির কাজ নিয়ে আরেকটি সমালোচনা হচ্ছে যে তার গবেষণায়, ‘বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের চেয়ে দাবি বেশি’।
ইউএফওনেট ডটআইটি তার হারমোনিক্স তত্ত্বকে বলেছে ‘তুচ্ছ কিছু সংখ্যাভিত্তিক খেলা, যেটার কোনো তাৎপর্য নেই।’ সফল পারমাণবিক বিস্ফোরণের জন্য ক্যাথির স্পেস-টাইমের শর্তগুলি সম্পূর্ণরূপে এখন অপ্রাসঙ্গিক। এই মুহূর্তে এটা বলা নিরাপদ যে, পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে ভূগোল কোনো নির্ধারক ভূমিকা পালন করে না।
দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে বড় ধরনের একটি পরিবর্তন আনার লক্ষ্য নিয়ে আজ, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ইং তারিখে যাত্রা শুরু করলো ল্যাবএইড গ্রুপের নতুন কনসার্ন ‘ল্যাবএইড এআই’। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-এর সাহায্যে আরও সহজে ও দ্রুত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। রোগীর সেবাকে সহজ করতে এবং চিকিৎসকদের সক্ষমতা বাড়াতে দেশের অন্যতম পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টার আজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলো ‘ল্যাবএইড এআই’-এর। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যপ্রযুক্তি প্রবেশ করলো এক নতুন যুগে, যার লক্ষ্য মানবিক সহানুভূতি ও এআই-এর বুদ্ধিদীপ্ততার সমন্বয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া।
ল্যাবএইড এআই-এর এই ঐতিহাসিক যাত্রায় মূল আকর্ষণ হিসেবে বাজারে আসছে দুটি যুগান্তকারী সমাধান— চিকিৎসকদের জন্য LABAID-GPT এবং সর্বক্ষেত্রিক এআই এসিস্ট্যান্ট (সহকারী) LUNA।
ল্যাবএইড এআই প্রবর্তিত LABAID-GPT হলো ডাক্তারদের জন্য তৈরি করা একটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল এসিস্ট্যান্ট। এটি চিকিৎসার আন্তর্জাতিক গাইডলাইন এবং অসংখ্য ক্লিনিক্যাল ডেটা বিশ্লেষণ করে চিকিৎসকদের দ্রুত প্রমাণ-ভিত্তিক (Evidence-based) ফলাফল দিতে সক্ষম। কঠিন রোগ নির্ণয়ের সময় চিকিৎসকদের মধ্যে যে দ্বিধা বা সংশয় তৈরি হয়, LABAID-GPT সেখানে নির্ভুল তথ্য দিয়ে তাঁদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে সহজ করে তুলবে। এই প্রযুক্তির কারণে রোগ নির্ণয়ের সময় লাঘব হবে, যা সরাসরি রোগীদের জন্য বড় সুবিধা নিয়ে আসবে। এর মাধ্যমে ল্যাবএইড এআই নিশ্চিত করতে চায়, যেন কোনো রোগীই ভুল রোগ নির্ণয় বা প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে ভোগান্তির শিকার না হন। LABAID-GPT চিকিৎসকদের কাজকে আরও সহজ করে তাঁদের মূল্যবান সময় বাঁচাবে, যাতে তারা রোগীর সেবায় আরও বেশি মনোযোগ দিতে পারেন। এছাড়াও, ল্যাবএইড জিপিটি ব্যবহার করে রোগীরাও পাবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যথাযথ সুবিধা।
অন্যদিকে ল্যাবএইড এআই-এর আরেকটি বৈপ্লবিক উদ্ভাবন হলো LUNA, যা বৃহত্তর দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ইতিহাসে এক বিরল উদ্যোগ। এটি একটি বহুমুখী (Multi-domain) এআই চ্যাটবট এবং ব্যক্তিগত সহকারী, যা শুধুমাত্র চিকিৎসা সেবার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। LUNA-এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো এটি একইসাথে আটটি ভিন্ন চরিত্রে কাজ করতে পারে। LUNA একজন নার্স, একজন ডাক্তার সহকারী, একজন ব্যাংকার, একজন কর্পোরেট বিশেষজ্ঞ বা একজন আইনজীবীর মতো চরিত্র ধারণ করে আপনাকে আপনার কাজ সম্পন্ন করতে সহায়তা করবে। যেমন, একজন ডাক্তার সহকারী হিসেবে LUNA প্রেসক্রিপশনের তথ্য ব্যাখ্যা করবে এবং একজন ব্যাংকার হিসেবে আর্থিক প্রশ্নের জবাব দেবে। এই উদ্ভাবনী পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে এটি নিশ্চিতভাবেই বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হতে যাচ্ছে, যারা এমন বহুমুখী এবং চরিত্রভিত্তিক AI এসিস্ট্যান্ট নিয়ে এলো। LUNA-এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবনে প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরামর্শ পাওয়া এখন হাতের মুঠোয়।
এই ঐতিহাসিক উদ্ভাবনের নেপথ্যে রয়েছেন তরুণ প্রজন্মের পথদ্রষ্টা ও অনুপ্রেরণা, উদ্ভাবক, সফল উদ্যোক্তা এবং ল্যাবএইডের কর্ণধার, ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব সাকিফ শামীম। দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে তার অবদান সুদূরপ্রসারী। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে প্রথম ডেডিকেটেড ক্যান্সার হাসপাতাল, ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টার তৈরি হয়, যা চিকিৎসা সেবার এই কঠিন দিকটিকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে। একইসঙ্গে, ঘরে বসে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন টেলিমেডিসিন পরিষেবা লাইফপ্লাস বাংলাদেশ (Lifeplus Bangladesh)।
সাকিফ শামীমের সবচেয়ে গৌরবময় ও অনন্য অর্জন হলো—তিনি বৃহত্তর দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে প্রথম ব্যক্তি, যিনি স্বাস্থ্যসেবা খাতে এআই-এর ব্যবহারকে এই নজিরবিহীন স্তরে নিয়ে এসেছেন। আটটি পেটেন্টসহ লঞ্চ করা ল্যাবএইড এআই দক্ষিন এশীয় অঞ্চল তো বতেই, গোটা বিশ্বে এক বিরল অবস্থানে নিয়ে গেছে এবং ল্যাবএইড এআই-এর যাত্রার আগেই এই বিপুল উদ্ভাবনী অর্জন এক নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। জনাব শামীমের এই দূরদর্শী নেতৃত্বই বাংলাদেশের চিকিৎসা প্রযুক্তিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার পথ দেখাচ্ছে।
ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালটি সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব সাকিফ শামীম এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে তাঁর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, “আমাদের লক্ষ্য খুব সহজ। আমরা চাই উন্নত প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে মানুষের জন্য সহজে গুণগত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে। LUNA এবং LABAID-GPT-এর মাধ্যমে আমরা ডাক্তারদেরকে আরও শক্তিশালী করতে চাই, যাতে তাঁরা দ্রুত ও নির্ভুলভাবে সেবা দিতে পারেন। অপরদিকে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারী রোগীও তার প্রেসক্রিপশনের তথ্য ও যাবতীয় ব্যখ্যাসহ রোগ সংক্রান্ত সকল প্রকারের সমস্যার অতি দ্রুত সমাধান পাওয়ার মাধ্যমে উপকৃত হবেন। এটি কেবল শুরু, বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবার ভবিষ্যৎ তৈরি করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।”
তাপ নিঃসরণ (হিট ডিসিপেশন), নেটওয়ার্ক স্থিতিশীলতা ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ডিউরেবিলিটিতে শীর্ষ পারফরম্যান্সের জন্য আসন্ন অপো এ৬ প্রো ডিভাইসটি আনুষ্ঠানিকভাবে বুয়েটের (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) স্বীকৃতি পেয়েছে বলে জানিয়েছে অপো বাংলাদেশ। পরীক্ষাটি প্রযুক্তিগত নেতৃত্বের প্রতি অপোর অব্যাহত প্রতিশ্রুতি ও ব্যবহারকারীদের প্রতিদিনের জীবনে পরিবর্তন আনতে উদ্ভাবনের প্রতি অঙ্গীকারকে পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বুয়েটের পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, এ৬ প্রো’র কুলিং সিস্টেম এর পূর্বসূরির তুলনায় বেশ ভালোভাবে আপগ্রেডেড। ডিভাইসটিতে একটি ৪,৩০০ বর্গ মিলিমিটার ভিসি ভেপর চেম্বার ও এক্সপান্ডেড গ্রাফাইট লেয়ার ব্যবহার করা হয়েছে, যা মোট তাপ নিঃসরণের এলাকা ২০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি করে। ফলে, ডিভাইসটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করলেও এর তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ে মাত্র। এর মানে এখন ব্যবহারকারীরা ডিভাইস অতিরিক্ত গরম হওয়া ছাড়াই আরও দীর্ঘ সময় গেমিং, স্ট্রিমিং বা মাল্টিটাস্কিংয়ের ক্ষেত্রে স্মুথ পারফরম্যান্স পাবেন।
নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টেবিলিটির ক্ষেত্রেও অপো এ৬ প্রো বিশেষভাবে অনন্য। এআই ইন্টেলিজেন্ট নেটওয়ার্ক সিলেকশন থাকা এই ডিভাইসটি ভিড়যুক্ত এলাকা, বেসমেন্টের দুর্বল সিগনাল, সাবওয়ে বা হাই-স্পিড রেলের মতো দ্রুতগতির মতো বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করতে এবং তাতে স্থিতিশীল সংযোগ নিশ্চিত করতে সক্ষম। সিগন্যাল কাভারেজ অ্যান্ড প্যানেট্রেশনকে আরও শক্তিশালী করে এর সিমেট্রিক্যাল লো-ফ্রিকোয়েন্সি গেইন অ্যান্টেনা; এটি এমনকি চ্যালেঞ্জিং অবস্থাতে আরও ভালো পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। গেমারদের জন্য, এআই গেম অ্যান্টেনা প্রযুক্তি ও এআই গেম ব্যাটল অ্যাক্সিলারেশন নিয়ে এসেছে অপো, যা দুর্বল বা জনবহুল নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রেও গেমিং ট্রাফিককে এগিয়ে রাখে। এই ফিচারগুলো এমনকি চ্যালেঞ্জিং পরিবেশেও স্মুথ ও নিরবচ্ছিন্ন গেমিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
ব্যাটারি স্থায়িত্ব এ৬ প্রো’র আরেকটি প্রধান বিষয়। ডিভাইসটিতে সুবিশাল ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে, যা সাধারণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে একবার চার্জে প্রায় তিনদিন চলতে সক্ষম। এতে রয়েছে ৮০ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জ, যা স্ট্যান্ডার্ড ফাস্ট চার্জিংয়ের তুলনায়ও চার্জিং সময়কে কমিয়ে আনে। ঘরের বাইরে বেশি থাকতে হয় এমন ব্যবহারকারীদের জন্য এটি একদম যথার্থ। এছাড়াও, ফোনটির ৫ বছরেরও বেশি স্থায়ী ব্যাটারি পারফরম্যান্স রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বুয়েট; মানে, এর ব্যাটারি বছরের পর বছর ধরে উচ্চ সক্ষমতা বজায় রাখবে। এই দীর্ঘস্থায়ী নির্ভরযোগ্যতা কেবল মানসিক শান্তিই নিশ্চিত করে না, বরং ব্যবহারকারীদের ব্যাটারি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন কমিয়ে অর্থও সাশ্রয় করে।
আরও বৈচিত্র্য যোগ করতে এ৬ প্রোতে নিয়ে আসা হয়েছে রিভার্স চার্জিং। এর মাধ্যমে এটি পোর্টেবল পাওয়ার ব্যাংক হিসেবে কাজ করতে সক্ষম। এতে করে ব্যবহারকারীরা মিনি ফ্যান, পোর্টেবল লাইট বা এয়ার পিউরিফায়ারের মতো ছোট ইলেকট্রনিক্স বা অন্যান্য স্মার্টফোনও চার্জ করতে পারবেন, যা তাদের জন্য আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করবে।
এ বিষয়ে বুয়েটের প্রফেসর ড. মাহবুব আলম বলেন, “আমাদের পরীক্ষা থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, তাপ নিঃসরণ, নেটওয়ার্ক নির্ভরযোগ্যতা ও ব্যাটারি স্থায়িত্ব, এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে শক্তিশালী পারফরম্যান্স দেখিয়েছে অপো এ৬ প্রো। বাস্তব জগতে এটি চমৎকার ফলাফল দেখিয়েছে, যা এটিকে ব্যবহারকারীদের কাছে আরও বেশি নির্ভরযোগ্য করে তুলবে।”
এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “বুয়েট-কর্তৃক অপো এ৬ প্রোকে শীর্ষ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি দেওয়ায় আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। এই অর্জন আমাদের চলমান মিশনকে প্রতিফলিত করে; একইসাথে, যা ক্রেতাদের জন্য অর্থপূর্ণ উদ্ভাবন নিয়ে আসার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতি। এ৬ প্রো কেবল অত্যাধুনিক ডিজাইনই নয়; বরং, নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স ও দীর্ঘস্থায়ী মান নিশ্চিত করে।”
বুয়েটের এই স্বীকৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে অন্যতম টেকসই ও নির্ভরযোগ্য স্মার্টফোন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলো অপো এ৬ প্রো। সর্বাধুনিক কুলিং ও স্থিতিশীল সংযোগ থেকে শুরু করে আলট্রা-ডিউরেবল ব্যাটারি লাইফ ও রিভার্স চার্জিং বৈচিত্র্য, সবক্ষেত্রেই প্রতিদিনের জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করবে এমন প্রযুক্তি নিয়ে আসার অপোর দৃষ্টিভঙ্গিকে তুলে ধরে অপো এ৬ প্রো।
পৃথিবীর কাছের কক্ষপথে নতুন একটি কোয়াসি চাঁদের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, কোয়াসি চাঁদ সাধারণ চাঁদের মতো নয়। এসব চাঁদ সরাসরি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার পরিবর্তে সূর্যের চারপাশে এমন একটি কক্ষপথ অনুসরণ করে যা দেখে মনে হয় চাঁদটি আমাদের গ্রহের সঙ্গে অবস্থান পরিবর্তন করছে। নতুন এই কোয়াসি চাঁদের নাম দেওয়া হয়েছে ‘২০২৫ পিএন৭’।
প্ল্যানেটারি সোসাইটির তথ্যমতে, কোয়াসি চাঁদ বা আধা চাঁদ মূলত গ্রহাণু। স্থায়ী চাঁদের মতো আমাদের গ্রহকে প্রদক্ষিণ করছে বলে মনে হলেও কোয়াসি চাঁদ আসলে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। এ সময় অস্থায়ীভাবে আমাদের গ্রহের পাশাপাশি সৌরজগতের মধ্য দিয়ে চলাচল করে। নতুন কোয়াসি চাঁদ আবিষ্কারের বিষয়ে স্পেনের মাদ্রিদের কমপ্লুটেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী কার্লোস দে লা ফুয়েন্তে মার্কোস জানান, এই ক্ষুদ্র গ্রহাণু পৃথিবীর সাতটি পরিচিত কোয়াসি চাঁদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ও সবচেয়ে কম স্থিতিশীল।
নতুন কোয়াসি চাঁদের ব্যাস প্রায় ৬২ ফুট বা ১৯ মিটার। বেশ ছোট এই কোয়াসি চাঁদকে দেখতে বেশ ক্ষীণ বলে শুধু উচ্চমানের টেলিস্কোপ ব্যবহার করেই দেখা যায়। কোয়াসি চাঁদ সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর মতো একটি কক্ষপথ অনুসরণ করছে। পৃথিবী থেকে ২৮ লাখ থেকে ৩৭ লাখ মাইল দূরে অবস্থান করছে চাঁদটি।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, সীমিত দৃশ্যমানের কারণে নতুন কোয়াসি চাঁদটি ছয় দশক ধরে পর্যবেক্ষণের বাইরে ছিল। সম্ভবত আরও ৬০ বছর ধরে বর্তমানের মতোই থাকবে। ২০২৫ পিএন৭ নামের কোয়াসি চাঁদের আবিষ্কারের ফলাফল সম্প্রতি আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির রিসার্চ নোটস সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নিউ এনার্জি ভেহিকল (এনইভি) প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডি বাংলাদেশের বাজারে তাদের জনপ্রিয় ইলেকট্রিক গাড়ি বিওয়াইডি অ্যাটো ৩-এর নতুন আপগ্রেডেড ভার্সন উন্মোচন করেছে। শনিবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত তাদের ফ্ল্যাগশিপ শোরুমে গাড়িটি উন্মোচন করা হয়।
বিওয়াইডি অ্যাটো ৩-তে ইন্ডাস্ট্রির সেরা লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্লেড ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে, যা ডিসি ফাস্ট চার্জারের মাধ্যমে মাত্র ৩০ মিনিটে ৩০ থেকে ৮০ শতাংশ চার্জ করতে সক্ষম। গাড়িটিতে পারফরম্যান্স, নিরাপত্তা ও ইন্টেলিজেন্স বাড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে ই-প্ল্যাটফর্ম ৩.০। ইউরো এনসিএপি ৫-স্টার সেফটি রেটিং সহ এই গাড়িটিতে আরও রয়েছে ৭টি এয়ারব্যাগ, ভেন্টিলেটেড ফ্রন্ট সিট ও সর্বাধুনিক অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্স সিস্টেমের (এডিএএস) মতো উন্নত নিরাপত্তা ফিচার।
নতুন আপগ্রেডেড বিওয়াইডি অ্যাটো ৩-তে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে। এর রি-ডিজাইন করা প্রিমিয়াম থমাস ব্ল্যাক ইন্টেরিয়র সহ ভেন্টিলেডেড ফ্রন্ট সিট স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করবে। অন্যদিকে, এর নতুন কালো রঙের হেডলাইট, ১৮ ইঞ্চি টায়ার সহ বোল্ড রিম ডিজাইন ও স্পোর্টিয়ার স্টাইলিং এক্সটেরিয়রকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আপডেটেড এই ভার্সনটিতে আরও রয়েছে সমৃদ্ধ ১২ভি লো-ভোল্টেজ লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারি।
ক্রেতারা এখন দুটি ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে গাড়িটি পছন্দ করার সুযোগ পাবেন। একটা হলো স্ট্যান্ডার্ড রেঞ্জ ভার্সন; মাত্র ৪৯.৯০ লাখ টাকা দামের এই গাড়িটি একবার সম্পূর্ণ চার্জে ৩৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে সক্ষম। আরেকটি হলো এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ ভার্সন; মাত্র ৫৫.৯০ লাখ টাকা দামের এই গাড়িটি একবার চার্জে ৪২০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে সক্ষম। এই আপগ্রেডের সাথে সমন্বয় করে বিওয়াইডি বাংলাদেশ বিস্তৃত ওয়ারেন্টি পলিসি নিয়ে এসেছে। যেখানে ট্র্যাকশন ব্যাটারির জন্য ৮ বছর বা ১,৬০,০০০ কিলোমিটার, মোটর ও মোটর কন্ট্রোলারের জন্য ৮ বছর বা ১,৫০,০০০ কিলোমিটার ও পুরো গাড়ির জন্য ৬ বছর বা ১,৫০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওয়ারেন্টি পাবেন ক্রেতারা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিজি রানার বিডি লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান। এছাড়াও, আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিওয়াইডি বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার ইমতিয়াজ নওশের, হেড অব সেলস ফাহমিদ ফেরদৌস প্রমুখ। আনুষ্ঠানিক উন্মোচনের আগে অতিথিদের স্বাগত জানানোর পাশাপাশি, উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন বিওয়াইডি বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ডিজিটাল ম্যানেজার শাহনুমা শারমিন।
এ বিষয়ে বিওয়াইডি বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার ইমতিয়াজ নওশের বলেন, “বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ভেহিকল গাড়ি ব্যবহারে প্রস্তুত। একইসাথে, বিওয়াইডি বাংলাদেশ সারাদেশে চার্জিং নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে অংশীদার, স্টেকহোল্ডার ও নীতিনির্ধারকদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিওয়াইডিতে আমরা বিশ্বাস করি, দেশে ইলেকট্রিক ভেহিকলের ব্যবহার বাড়াতে চার্জিং স্টেশন আরও সহজলভ্য হওয়া প্রয়োজন।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিদের জন্য লাইভ ডেমো ও ইন্টারেকটিভ সেশনের ব্যবস্থা করেন বিওয়াইডি বিশেষজ্ঞরা। ফলে, নতুন এই বিওয়াইডি অ্যাটো ৩ সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানার সুযোগ পান অতিথিরা। এর মাধ্যমে টেকসই ও জ্বালানি সাশ্রয়ী স্মার্ট ড্রাইভিং সল্যুশনের দিকে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিওয়াইডি বাংলাদেশ।
২১ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিওয়াইডি বাংলাদেশ আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘অ্যাটো ৩ উইক’, যেখানে অতিথিরা আপগ্রেডেড অ্যাটো ৩-এর অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবেন।
বিশ্বজুড়ে ব্যবসার ধরন বদলে দিচ্ছে এআই (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এবং আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) ভিত্তিক সেবা ও বিবিধ পণ্য। আগে ব্যবসা মানেই উৎপাদন, ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এবং সেলস বুঝালেও এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ছাড়া আধুনিক ব্যবসা কল্পনাই করা যায় না। তাই প্রতিটি ব্যবসা ডিজিটাল রূপান্তরের পথে হাঁটছে, যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আইওটি সার্ভিসগুলো। বাজারে এ ধরনের সল্যুশনের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আইওটি কনসালটেন্সি কেন্দ্রিক সেবা চালু করেছে ‘সার্ভিসিং২৪’।
বলাই বাহুল্য যে- বর্তমানে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে ডেটার ব্যবহার সর্বত্র। গ্রাহক ও ব্যবসার বৃহৎ ডেটা ভাণ্ডার কাজে লাগিয়ে এআই এবং আইওটি বিভিন্ন প্রযুক্তি ডিভাইস ও সিস্টেমকে রিয়েল-টাইমে মনিটর করে স্মার্ট ডিসিশন নেওয়া, ব্যবসার বিকাশ, অধিক মুনাফা অর্জনে সাহায্য করছে।
তবে একটি প্রতিষ্ঠান চাইলেই এআই এবং আইওটি বিষয়ক সেবার পূর্ণ বেনিফিট নিতে পারে না বরং কিছু প্রস্তুতি নিতে হয়। যেমন- ডেটা সংগ্রহ ও ম্যানেজমেন্টে দক্ষতা অর্জন, সঠিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (সার্ভার, স্টোরেজ, নেটওয়ার্ক) তৈরি, কর্মীদের ডিজিটাল স্কিল উন্নয়ন, সাইবার সিকিউরিটি আপগ্রেড ইত্যাদি।
ব্যবসায়িক ডিজিটালাইজেশনে ইতিবাচক দিক অনেক। কাস্টমার বিহেভিয়ার থেকে শুরু করে প্রোডাকশন প্ল্যান, সবকিছুতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া, অটোমেশনের মাধ্যমে অল্প জনবল দিয়েই বড় আকারের কাজ সম্পন্ন ইত্যাদি করা সম্ভব। এতে খরচ সাশ্রয় হয় – ম্যানুয়াল ত্রুটি কমে, উৎপাদনশীলতা বাড়ে, সিকিউরিটি শক্তিশালী হয় এবং সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধ সহজ হয়। সবমিলিয়ে কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স উন্নত হবার পাশাপাশি গ্রাহক পান নিরবচ্ছিন্ন সেবা।
‘সার্ভিসিং২৪’ এর নতুন চালু এই করা সেবা- ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন পরিকল্পনা তৈরি, এআই-ভিত্তিক ডেটা অ্যানালাইসিস ও অটোমেশন গড়ে তোলা, আইওটি ইন্টিগ্রেশন এর মাধ্যমে সার্ভার, স্টোরেজ ও নেটওয়ার্ককে স্মার্টভাবে সংযুক্ত করা, সাইবার সিকিউরিটি শক্তিশালী করা, ক্লাউড ও হাইব্রিড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজমেন্ট সহজ করা, রিয়েল-টাইমে সিস্টেম ট্র্যাক করা এবং দ্রুত সাপোর্ট ও সমাধান ইত্যাদি বিষয়ে সাহায্য করবে।
এ সম্পর্কে সার্ভিসিং২৪-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাসির ফিরোজ বলেন, “এআই এবং আইওটি কনসালটেন্সি সেবার মাধ্যমে আমরা আমাদের গ্রাহকদের ব্যবসার পরিধি বিস্তারে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারব বলে আশা করি। এতে তাদের খরচ কমে যাবে, মুনাফা বৃদ্ধি পাবে। ফলে ব্যবসা হয়ে উঠবে ফিউচার-রেডি ও প্রতিযোগিতামূলক। নতুন নতুন সেবার মাধ্যমে আমরা সবসময় গ্রাহকদের পাশে থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
মহাবিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ‘ব্ল্যাক হোল’ আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। শক্তিশালী জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি) থেকে প্রাপ্ত ডেটা বিশ্লেষণ করে তারা জানান, এমন একটি ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্বের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, যার জন্ম হতে পারে বিগ ব্যাংয়ের মাত্র এক সেকেন্ডেরও কম সময় পরে।
এটি যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে এটিই হবে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে প্রাচীন ব্ল্যাক হোল বা সম্ভবত ‘প্রাইমর্ডিয়াল ব্ল্যাক হোল’ বা আদিম ব্ল্যাক হোলের প্রথম প্রত্যক্ষ প্রমাণ। এই ধরনের ব্ল্যাক হোল বিজ্ঞানীদের মধ্যে বহু দশক ধরে বিতর্কের জন্ম দিয়ে আসছে।
আমরা জানি, ব্ল্যাক হোল সাধারণভাবে তৈরি হয় বৃহৎ তারার বিস্ফোরণ বা সুপারনোভা ঘটনার মাধ্যমে। তবে প্রাইমর্ডিয়াল ব্ল্যাক হোলের ধারণা বলে, এই ব্ল্যাক হোলগুলো জন্ম নিয়েছিল মহাবিস্ফোরণের পর পরই, এমন সময়ে যখন কোনো তারা বা গ্যালাক্সি গঠিত হয়নি।
এই ব্ল্যাক হোলগুলো আধুনিক ব্ল্যাক হোলের তুলনায় অনেক ছোট হতে পারে, কোনো গ্রহ বা এমনকি একটি পরমাণুর সমান আকারেরও।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ‘মহাবিশ্বের শুরুর দিকে যদি কিছু অঞ্চলে পদার্থ অন্য অংশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি ঘনভাবে জমা হয়ে থাকত, সেখান থেকেই এমন ব্ল্যাক হোলের জন্ম হতে পারে।’
এই ‘আদিম’ ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্ব যদি সত্য হয়, তাহলে তা শুধু আমাদের ব্ল্যাক হোল সম্পর্কে ধারণা পাল্টাবে না, পুরো মহাবিশ্বের বিবর্তন নিয়েই ভাবনার ধারা বদলে দেবে।
নতুন এই আবিষ্কারটি উঠে এসেছে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশবিদ রোবার্তো মাইওলিনো-র নেতৃত্বাধীন একটি গবেষণা থেকে। তিনি যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান–কে বলেন, ‘এই ব্ল্যাক হোলটি প্রায় নগ্ন। এর চারপাশে কোনো গ্যালাক্সির অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। এটি প্রচলিত তত্ত্বগুলোকে চ্যালেঞ্জ করছে।’
তবে গবেষকেরা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারা ব্ল্যাক হোলটিকে সরাসরি বিগ ব্যাংয়ের মুহূর্তে দেখেননি। বরং, তারা এটি দেখতে পেয়েছেন বিগ ব্যাংয়ের আনুমানিক ৭০ কোটি বছর পরের অবস্থায়—যা তুলনামূলকভাবে খুবই প্রাচীন।
এই প্রাচীন ব্ল্যাক হোলটির অবস্থান পাওয়া গেছে ‘QSO1’ নামের একটি ‘ছোট লাল বিন্দুতে’। এটি এমন এক ধরনের বস্তু, যেগুলো প্রথম শনাক্ত হয় জেমস ওয়েব চালু হওয়ার পর। এদের দেখা যায় মহাবিশ্বের সেই সময় থেকে, যখন তার বয়স ছিল ১০০ বছরেরও কম।
বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন, এই লাল বিন্দুগুলো আসলে কী। কেউ বলেন, এটি ক্ষুদ্র, ঘন গ্যালাক্সি হতে পারে। আবার কারও মতে, এগুলো সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল, যেগুলো আশপাশের পদার্থ গ্রাস করছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গ্র্যাভিটেশনাল লেন্সিং-এর মাধ্যমে QSO 1 এর পদার্থের গতির একটি ঘূর্ণন-বক্রতা (rotation curve) নিরূপণ করতে সক্ষম হন। সেখান থেকে হিসাব করে দেখা যায়, এর কেন্দ্রে থাকা ব্ল্যাক হোলের ভর প্রায় ৫ কোটি সৌর ভর—অর্থাৎ সূর্যের ভরের ৫০ লাখ গুণ!
বিস্ময়করভাবে, এর আশপাশের বস্তুর চেয়ে এই ব্ল্যাক হোলটির ভর দ্বিগুণ বেশি। মাইওলিনো বলেন, ‘আমাদের ছায়াপথে মহাবিশ্বে (যেমন: মিল্কিওয়ে), কেন্দ্রীয় ব্ল্যাক হোল গ্যালাক্সির তুলনায় প্রায় হাজার গুণ ছোট। তবে এখানে সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র।’
মাইওলিনোর পূর্ববর্তী এক গবেষণায় দেখা গেছে, QSO 1 এর আশপাশের পদার্থে কেবল হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম আছে—মহাবিশ্বের প্রথম দিকের মৌল উপাদান। ভারী মৌলগুলো তারার বিস্ফোরণে তৈরি হয়েছিল অনেক পরে।
তাই আশপাশে যদি কোনো গ্যালাক্সির অস্তিত্ব না থাকে, আর কেবল আদিম মৌল থাকে, তবে ধারণা করা যায় এই ব্ল্যাক হোলটি গঠিত হয়েছে গ্যালাক্সির আগে—যা প্রচলিত তত্ত্বে আগে কখনো শোনা যায়নি।
ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশবিদ অ্যান্ড্রু পন্টজেন অবশ্য সাবধান করে বলেছেন, ‘এখনো এটা কোনো চূড়ান্ত প্রমাণ নয়। গবেষকেরা নতুন ডেটা ব্যবহার করে প্রাইমর্ডিয়াল ব্ল্যাক হোলের ব্যাখ্যাকে জোরালো করছেন, তবে এটি পরোক্ষ যুক্তির ওপর দাঁড়ানো।’
পন্টজেন আশাবাদী যে, আগামী দশকে পরবর্তী প্রজন্মের মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গ শনাক্তকরণ যন্ত্রসমূহ সারা মহাবিশ্ব জুড়ে ব্ল্যাক হোল খুঁজে বের করতে সক্ষম হবে। আর এভাবে বিতর্কের অবসান ঘটাবে।
তিনি বলেন, ‘দশ বছর পর আমরা হয়তো নিশ্চিতভাবে জানতে পারব, আদিম ব্ল্যাক হোল আসলেই আছে কি না।’
ঢাকা, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ – বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো তাদের আল্টিমেট ডিউরেবিলিটি চ্যাম্পিয়ন স্মার্টফোন অপো এ৫ এর নতুন ৮ জিবি + ১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে। আগের ভ্যারিয়েন্টে ব্যবহারকারীদের অনন্য সাড়া পেয়ে অসাধারণ শক্তি, দীর্ঘমেয়াদী সক্ষমতা ও চমৎকার পারফরম্যান্সের নতুন এই সংস্করণটি নিয়ে আসা হয়। ডিভাইসটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২১,৯৯০ টাকা মাত্র; এবং এটি দেশের সকল অনুমোদিত অপো স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে।
পানি, ধুলা বা প্রতিদিনের দুর্ঘটনা এড়িয়ে প্রতিকূল পরিবেশের জন্য আরও সক্ষম করে তুলতে অপো এ৫-এ আইপি৬৫ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিজট্যান্স ব্যবহার করা হয়েছে। এটি কঠিন পরিবেশে টিকে থাকার উপযোগী করে ডিজাইন করা হয়েছে, যা প্রতিদিনের ব্যবহারে আপনার উপযুক্ত সঙ্গী হতে পারে। অপো এ৫ ডিভাইসটির মূলে রয়েছে এর অপ্রতিদ্বন্দ্বী টেকসই গঠন। এর ১৪-স্টার মিলিটারি-গ্রেড শক রেজিস্ট্যান্স হুট করে ফোন পড়ে যাওয়া বা এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করে; আর এসজিএস গোল্ড সার্টিফিকেশন নিশ্চিত করে উচ্চমানের বিল্ড কোয়ালিটি। ফোনটি কেবল কঠিন মুহূর্তে টিকে থাকার জন্য তৈরি করা হয়নি; বরং একইসাথে, চমৎকার পারফরম্যান্স নিশ্চিত করার জন্যও নিয়ে আসা হয়েছে।
দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্সের জন্য ডিজাইন করা এই ডিভাইসটি কোনো প্রকার ঘাটতি বা ক্ষতি ছাড়াই ৫ বছর পর্যন্ত কর্মক্ষম থাকতে সক্ষম। এতে রয়েছে ৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের সুবিশাল ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তি; যা মাত্র ১৯ মিনিটে ৩০% এবং ৩৬ মিনিটে ৫০% চার্জ নিশ্চিত করতে সক্ষম। ফলে, ব্যবহারকারীরা এখন আরও কম সময়ে বেশি গেমিং, স্ট্রিমিং বা কাজের সুযোগ পাবেন।
অপো এ৫ এর সর্বাধুনিক এআই ক্যামেরা সিস্টেম মোবাইল ফটোগ্রাফির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ফোনটিতে মাত্র কয়েক ট্যাপে অনাকাঙ্ক্ষিত বস্তু সরাতে সহায়তা করবে এআই ইরেজার ২.০; জুম বা ক্রপ করার সময় যেন কোনো ডিটেইল না হারিয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করা হয়েছে এআই ক্ল্যারিটি এনহেন্সার; পাশাপাশি, ছবি কাটা, সম্পাদনা করা বা একত্রিত করাকে আরও দ্রুত ও নিখুঁত করতে রয়েছে এআই স্মার্ট ইমেজ ম্যাটিং ২.০। এই সর্বাধুনিক এআই ফটোগ্রাফি অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে ফোনটিতে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে, যা অত্যন্ত নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি ধারণ করে। একইসাথে, এতে ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে, যা পোর্ট্রেটে পেশাদার মানের ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার যোগ করে। পাশাপাশি, এর ৫ মেগাপিক্সেল এআই সেলফি ক্যামেরা আরও উজ্জ্বল, নিখুঁত ও ভারসাম্যপূর্ণ সেলফি নিশ্চিত করে।
মিলিটারি-গ্রেড সক্ষমতার পাশাপাশি, স্টাইলের ক্ষেত্রেও কোনো ছাড় দেয়নি অপো এ৫ (৮ জিবি + ১২৮ জিবি)। এর ১,০০০ নিট আলট্রা-ব্রাইট ডিসপ্লে প্রখর সূর্যালোকেও চমৎকার ও প্রাণবন্ত ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। অনন্য ও স্লিক এই স্মার্টফোনটি এখন মিস্ট হোয়াইট ও অরোরা গ্রিন এই দুইটি চমৎকার রঙে পাওয়া যাচ্ছে।
নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “অপোতে আমরা চাই, আমাদের ব্যবহারকারীরা পারফরম্যান্স বা টেকসই গুণগত মানে কোনো প্রকার ছাড় না দিয়েও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন ব্যবহার করুক। অপো এ৫ এর আগের ভ্যারিয়েন্টে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, তা এবার আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ডিভাইসটি কেবল আরেকটি স্মার্টফোন নয়; এটি শক্তি ও সহনশীলতার নতুন মানদণ্ড স্থাপন করছে।”
কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ব্যস্ত পেশাজীবী ও প্রতিদিনের স্মার্ট ব্যবহারের জন্য একদম উপযুক্ত ডিভাইস অপো এ৫ (৮ জিবি + ১২৮ জিবি) এখন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২১,৯৯০ টাকায়। আরও বিস্তারিত জানতে অপো বাংলাদেশের ফেসবুক পেজ facebook.com/OPPOBangladesh বা https://www.oppo.com/bd/smartphones/series-a/a5/ ভিজিট করুন।
মন্তব্য