যত সংখ্যক শেয়ারের দর বেড়েছে, পতন হওয়া কোম্পানির সংখ্যা তার প্রায় ১০ গুণ। এক বছরের বেশি সময় ধরে চাঙা থাকা পুঁজিবাজারে হঠাৎ করেই যে পতন শুরু, সেখান থেকে বের হওয়ার যেন কোনো নাম নেই।
গত ফেব্রুয়ারির মতো টানা ছয় দিনের পতনের দিনে সোমবার এক পর্যায়ে সূচক একশ পয়েন্টের বেশি পড়ে গেলেও দিনের শেষ বেলায় অবশ্য কিছুটা উঠে।
তার পরেও ৮৯ পয়েন্ট সূচকের পতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চিড় ধরা আত্মবিশ্বাস আরেকটু নড়বড়ে হলো।
গত ১১ অক্টোবর থেকে টানা যে পতন শুরু হলো, তাতে ছয় দিনেই পড়ল ২৭০ পয়েন্ট। গত ১৬ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারিও এত বেশি সূচক পড়েনি। সে সময় ৬ দিনে সূচক পড়েছিল ২২৮ পয়েন্ট।
কেবল শেয়ার দর না, সেই সঙ্গে কমছে লেনদেন। গত ২৯ জুনের পর সোমবারই সবচেয়ে কম সংখ্যক শেয়ার হাতবদল হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে।
দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৯২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ২৯ জুন এর চেয় কম লেনদেন ছিল ১ হাজার ১৪৮ কোটি ৮ লাখ টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে কেবল ৩৩টির দর। বিপরীতে কমেছে ৩২৪টির।
গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণার পর আগের দিন আতঙ্কে যে পতন হয়েছিল, এরপর এমন দিন আর আসেনি। সেদিন কেবল ৬টি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছিল। তবে এত বেশি শেয়ারের দরপতন হয়নি। এর কারণ, সে সময় ফ্লোর প্রাইস থাকায় শতাধিক কোম্পানির শেয়ারের দাম একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের বেশি কমা সম্ভব ছিল না। কিন্তু এখন ফ্লোর প্রাইস না থাকায় শেয়ার দর কমার কোনো সীমা নেই।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে যখন দর সংশোধন শুরু হয়, প্রথমে দুর্বল ও লোকসানি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বেশি কমছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে বড় মূলধনি, কোম্পানিগুলোও দর হারাতে থাকে। টানা পরপতন অব্যাহত থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
সোমবারের পতনের বিষয়ে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারে যে পতন হয়েছে স্বল্প সময়ের জন্য এমনটি হতে পারে। তবে সূচকের পতনটি কিছুটা সময় নিয়ে হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। আর সূচক শত পয়েন্টের বেশি নেমে আসলে স্বাভাবিকভাবেই সেটিকে অস্বাভাবিক মনে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সচেতনতাটি তৈরি হওয়া উচিত। তারা যেন আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি না করে। তাহলে আল্টিমেটলি পুঁজিবাজার ভালো হওয়ার চেয়ে খারাপই হবে।’
আগের দিন একই ৩০ পয়েন্টের বেশি সূচক বাড়ানো ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানির শেয়ারদর কমায় সূচক কমেছে ১১.৭৫ পয়েন্ট। বড় মূলধনি অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে গ্রামীণ ফোরন, ওয়ালটন, স্কয়ার ফার্মা, আইসিবি, বেক্সিমকো ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক, পাওয়ার গ্রিড, শাহজিবাজার পাওয়া ও তিতাস গ্যাসের কারণে সূচক কমেছে সবচেয়ে বেশি।
এই ১০টি কোম্পানির কারণেই সূচক পড়েছে ৪৯.১৭ পয়েন্ট।
অন্যদিকে যে ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে সেগুলো হলো ইউনাইটেড পাওয়ার, বিএসআরএম লিমিটেড, রবি, সাউথবাংলা ব্যাংক, ওরিয়ন ফার্মা, সোনালী পেপার, এনআরবিসি, হেইডেলবার্গ সিমেন্ট, ফরচুর সুজ ও ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স। তবে এসব শেয়ারের দর বৃদ্ধির হার ও শেয়ার সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকায় এই ১০ কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে কেবল ১২.১৪ পয়েন্ট।
এদিন দর বৃদ্ধিতে এগিয়ে ছিল মৌলভিত্তির ‘এ‘ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলো।
তবে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে গোল্ডেনসন, যেটি গত কয়েকবছর লোকসানের বৃত্ত ভেঙে এবার মুনাফার মুখ দেখছি। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৯.৭৫ শতাংশ।
এছাড়া সাউথবাংলা ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ৫.২৩ শতাংশ। বিএসআরএম এর শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৪৭ শতাংশ।
চার খাতে শতভাগ শেয়ারের পতন
চার খাতের একটি কোম্পানির শেয়ার দরও বাড়েনি। এরমধ্যে আছে খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক, সিরামিক, ভ্রমন ও অবকাশ, পাট খাত।
খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির সবগুলোর দর পতন সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায়নি।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮.১০ শতাংশ দর হারিয়েছে মেঘনা কনডেনসড মিল্ক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ দর হারিয়েছে এমারেল্ড অয়েলের দর। এপেক্স ফুডের দর কমেছে ৪.৬০ শতাংশ। জেমিনি সি ফুডের দর কমেছে ৪.১০ শতাংশ, মেঘনা পেটের ৪ শতাংশ।
ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের তালিকাভুক্ত আছে তিনটি কোম্পানি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে পেনিনসুলার ১.৯৯ শতাংশ। শেয়ার দর ৩০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ২৯ টাকা ৪০ পয়সা।
তারপরই আছে ইউনিক হোটেল, যার শেয়ার দর কমেছে ১.৮৫ শতাংশ। সি পার্ল হোটেলের শেয়ার দর কমেছে দশমিক ২১ শতাংশ।
পাট খাতে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে ‘জেড‘ ক্যাটাগরির জুট স্পিনার্স। ২.৯৮ শতাংশ কমেছে এর দর। এছাড়া নর্দনা জুন ২.৫০ ও সোনালী আশ ২.৫৪ শতাংশ শেয়ার দর হারিয়েছে।
সূচকের বড় পতনে নিভু আলো ব্যাংক বিমায়
অন্য খাতের যেখানে কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি নিয়ে টানাটানি সেখানে এমন পতনে মুখেও ব্যাংক ও বিমা খাতের শেয়ার দর বৃদ্ধিতে কিছুটা আশার আলো দেখা গেছে।
এদিন ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৭টির। দর হারিয়েছে ১৯টি কোম্পানি। তবে পতনের হার বেশ কম।
এ খাতের সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ২.৫৭ শতাংশ। আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২.১৩ শতাংশ। আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১.৭৬ শতাংশ।
অপরদিকে দর বেড়েছে সাউথবাংলা, এমটিবি, এনআরবিসি, সাউথইস্ট, ইউসিবি, উত্তরা, সিটি ব্যাংক।
বিমা খাতের লেনদেনে জীবন বিমা খাতের কোনো কোম্পানির শেয়ার দর বাড়েনি। যে চারটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে সবগুলোই সাধারণ বিমা খাতের।
লেনদেনে ৪৬টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।
দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে আছে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক, রূপালী ইন্স্যুরেন্স ও সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮৯ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৯৭ দশমিক ২৭ পয়েন্টে।
শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ২১ দশমিক ১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫২৫ দশমিক ১৭ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২৬ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৭৮ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে।
দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য