করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার পর বেড়ে চলা পণ্যমূল্যের কারণে বিপাকে পড়া মানুষকে আরও বেশি খরচ করতে হবে খাদ্য তৈরিতে। কারণ, খুচরা বাজারে ভোজ্যতেলের দাম আরেক দফা বাড়তে যাচ্ছে।
খোলা ও বোতলজাত উভয় ধরনের সয়াবিনের দাম লিটার প্রতি ৭ টাকা বাড়ানোর একটি প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কত বাড়বে, তার চাবি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির হাতে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে মন্ত্রণালয় যে প্রস্তাব তৈরি করেছে, তাতে এক লিটার খোলা সয়াবিন বাজারে বিক্রি হবে ১৩৬ টাকা। অনুরূপভাবে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হবে ১৬০ টাকা এবং পাঁচ লিটারের দাম পড়বে ৭৬০ টাকা।
রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোজ্যতেল ও চিনি ব্যবসায়ীদের এক বৈঠকে প্রাথমিকভাবে প্রস্তাব তৈরি করা হয়। তবে গত ১৪ অক্টোর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ১০ শতাংশ শুল্ক কমানোর ঘোষণায় চিনির দাম বাড়ানোর বিষয়ে বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।
চিনির ওপর আরোপিত শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোয় কেজিপ্রতি দাম কমবে সাড়ে তিন টাকা। কিন্তু শুল্ক প্রত্যহারের সুবিধা বাজারে সহসাই পড়বে না। কারণ শুল্ক সুবিধায় যে চিনি আমদানি হবে সে চিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করতে সময় লাগে আরও দেড় থেকে দুই মাস।
অন্যদিকে বিশ্ববাজারে পণ্যটির কাঁচামালের অব্যাহত দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে দেশে যে চিনি বিক্রি হচ্ছে তার ক্রয়মূল্যও বেশি। ফলে নতুন করে দাম পুনঃনির্ধারণ করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সাড়ে তিন টাকা শুল্ক কমানোর বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া সত্ত্বেও নতুনভাবে চিনির দাম পুনঃনির্ধারণের ক্ষেত্রে সেটি ৮০ টাকার কম হবে না।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর লিটারে তেলে দাম বাড়ানো হয় ৪ টাকা। ওই দাম বাজারে কার্যকর হওয়ার পর বর্তমানে বোতলজাত সয়াবিনের দাম নির্ধারিত আছে লিটারপ্রতি ১৫৩ টাকা এবং পাঁচ লিটারের দাম ৭২৮ টাকা। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছিল ১২৯ টাকা।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আমদানি) এএইচএম সফিকুজ্জামান বৈঠকে সভাপত্বি করেন। এতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সদস্য প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এর উত্থাপিত দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে প্রাথমিক সম্মতি দেয়া হয়েছে। তবে দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মন্ত্রী বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দাম বাড়ানোয় সম্মতিও দিতে পারেন কিংবা সুপারিশকৃত বর্ধিত দাম আরও কিছু সংশোধন করতে পারেন অথবা সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে আরও কিছু দিন বর্তমান নির্ধারিত দামেই সয়াবিন তেল বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করতে পারেন।
তবে সেটি কতটা ফলপ্রসূ হবে সেটি নিয়ে যেমন সংশয় রয়েছে। একইভাবে ভোজ্যতেলে শুল্ক না কমালে এবং আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতির অবনতি না হলে দাম বাড়ানো ছাড়াও বিকল্প কোনো পথ খোলা থাকবে না। সব কিছু কাল সোমবার পরিষ্কার হতে পারে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠকের পর মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এখন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বৈঠকে বসেছেন।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনে চলছে রুশ সামরিক অভিযান। পশ্চিমা বাধা উপেক্ষা করে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোতে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েছে রাশিয়া।
এমন পরিস্থিতিতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০০ বছরেরও বেশি সময় পর এই প্রথমবারের মতো বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে দেশটি।
রোববারের মধ্যে রাশিয়ার ১০০ মিলিয়ন ডলার শোধ করার কথা ছিল।
ঋণখেলাপ এড়াতে সংকল্পবদ্ধ ছিল রাশিয়া- এমনটাই জানিয়ে ক্রেমলিন বলছে, ‘এটি রাশিয়ার মর্যাদার ওপর আঘাত।’
রুশ কর্তৃপক্ষ বলছে, রাশিয়ার কাছে অর্থ রয়েছে এবং ঋণ পরিশোধের জন্য দেশটি অর্থ প্রদান করতে ইচ্ছুক। কিন্তু নিষেধাজ্ঞাগুলো আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের অর্থ প্রদান করা অসম্ভব করে তুলেছে।
রুশ অর্থমন্ত্রী এন্তোন সিলুয়ানভ এই পরিস্থিতিকে একটি প্রহসন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
রাশিয়ার বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন ডলার। এদিকে রাশিয়া জ্বালানি সরবরাহ করে দৈনিক ১ বিলিয়ন ডলার আয় করছে।
এমন পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী সিলুয়ানভ জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে আর কোনো বৈদেশিক ঋণ নেবে না রাশিয়া।
শেষবার রাশিয়া বৈদেশিক ঋণখেলাপি হয়েছিল ১৯১৮ সালে। বলশেভিক বিপ্লবের সময় নতুন কমিউনিস্ট নেতা ভ্লাদিমির লেনিন রুশ সাম্রাজ্যের ঋণ পরিশোধ করতে অস্বীকার করেছিলেন।
১৯৯৮ সালেও দেশটি একবার অভ্যন্তরীণ ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলেও সে সময়ও দেশটির বৈদেশিক ঋণখেলাপ হয়নি।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞায় বৈশ্বিক ব্যাংকিং সিস্টেম সুইফট থেকে ছিটকে পড়ে রাশিয়া। সে সময়েই রাশিয়ার ঋণখেলাপি হওয়া অনিবার্য বলে মনে ধরে নেয়া হচ্ছিল।
ইউক্রেন আক্রমণের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে রাশিয়া ডিফল্টের একটি অনিবার্য পথে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
রাশিয়া প্রতিদিন ১ বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি রপ্তানি করছে এবং ভবিষ্যতে তাদের ঋণ নেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে দেশটির কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন:যানবাহনের প্রচলিত অ্যাসিড ব্যাটারির মেয়াদকাল ছয় মাস থেকে এক বছর। এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। অথচ একটি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি চলে পাঁচ থেকে ছয় বছর। এটি যানবাহন চালানোর খরচ কমিয়ে দেয়। পরিবেশও বাঁচায়।
এমন দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির থ্রি হুইলার বাজারে আনছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ‘বাঘ মোটরস’। আগামী জুলাইয়ে উৎপাদনে যাবে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী কাজী জসিমুল ইসলাম বাপ্পি জানান, দেশে এটি হবে প্রথম ইকো থ্রি-হুইলার ট্যাক্সি। এর নাম রাখা হচ্ছে ‘বাঘ’। গাজীপুরের নিজস্ব কারখানায় উৎপাদন শুরু হবে।
জসিমুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবেশ বাঁচাতে আমাদের তেলের বিকল্প নিয়ে ভাবতেই হবে। শুধু থ্রি-হুইলারই নয়, আগামী তিন বছরে বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহনও যুক্ত হবে বাঘ মোটরসের বহরে।’
গত মার্চে এ বাহনটিকে চলাচলের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। উচ্চ নিরাপত্তা ফিচার, কম খরচ ও উন্নত প্রযুক্তির এই গাড়ির দাম ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। বাঘ মোটরস জানিয়েছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকলেও তাদের থ্রি হুইলারে তেমন গরম অনুভূত হয় না।
জসিমুল ইসলাম বলেন, ‘বাঘ মোটরস প্রথম কোনো বাংলাদেশি কোম্পানি নিজস্ব প্যাটেন্ট দিয়ে, নিজস্ব ডিজাইনে নিজস্ব প্রকৌশলে দেশে গাড়ি উৎপাদন করছে। বর্তমানে দেশে অন্যরা যেসব গাড়ি উৎপাদন করছে, সেগুলো প্রযুক্তিসহ সব কিছুই অন্য দেশের। এখানে শুধু উৎপাদন হচ্ছে। আর আমাদের পেটেন্ট থেকে শুরু করে সবকিছুই নিজস্ব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এ পরিবহন শতভাগ পরিবেশবান্ধব, কোনো দূষণ নাই, সৌরশক্তিতে চলে, গ্রিন এনার্জি ব্যবহার হয়। এমন হাজারটা কারণ আছে, যাতে মানুষ আমাদের এই বাঘ ইকো মোটরসের ইকো ট্যাক্সি ব্যবহার করবে।’
অ্যাসিড ব্যাটারির কারণে দেশে প্রায় ২ কোটি লিটার অ্যাসিড নির্গত হয়ে পরিবেশের ক্ষতি করছে। ফলে বিদ্যুৎচালিত যানবাহন উৎসাহিত করার সময় এসেছে।
জসিমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এই ইকো থ্রি-হুইলারের ডিজাইন-ড্রইং করে পেটেন্ট করেছি। এটা পৃথিবীর প্রথম সোলার ইকো থ্রি-হুইলার, যেটা লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে চলে। এটির পারমিশন পেতে আমাদের প্রায় ৩০ মাস সময় লেগেছে।’
এটির দাম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘একটা সিএনজি অটোরিকশার দাম এখন প্রায় ১৮ লাখ টাকা, সেখানে আমরা একটা ইকো থ্রি-হুইলার ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকায় দিচ্ছি। আমাদের একটা ব্যাটারি ৬ বছর পর্যন্ত পরিবর্তন করতে হয় না। প্রচলিত যেসব অ্যাসিড ব্যাটারি আছে, ছয় বছরে সেখানে ১২টি ব্যাটারি প্রয়োজন হয়।’
২০২০ সালের এপ্রিলে বাঘ মোটরস ১১টি যান তৈরি করে। ডুয়াল পাওয়ার-ব্যাটারি এবং সৌরচালিত এ থ্রি-হুইলারে যাত্রীর নিরাপত্তায় বেশ কিছু ফিচার যুক্ত হয়েছে। এর একটি হচ্ছে যাত্রীর সিটের সঙ্গে ‘প্যানিক বাটন’ রাখা রয়েছে। এই বাটনে চাপ দিলে গাড়ির গতি মুহূর্তেই ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটারে নেমে আসবে। এরপর ২০ মিনিটের জন্য গাড়িটি অচল হয়ে যাবে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সতর্কবার্তাও পাঠাবে। এতে কর্তৃপক্ষ ট্যাক্সির কার্যকারিতা নিষ্ক্রিয় করতে পারবে।
এতে থাকবে নিরাপত্তা ক্যামেরা, যা একটি কেন্দ্রীয় সার্ভারে যুক্ত থাকবে। সব ধরনের ভিডিও রেকর্ড ও সংরক্ষণ থাকবে সার্ভারে। থাকবে এমবেড করা রিয়াল-টাইম জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম, যা থ্রি-হুইলারের রিয়াল-টাইম অবস্থান দেখাবে। চুরি ঠেকাতে থাকবে আলাদা প্রযুক্তিও।
গাড়িগুলোতে উচ্চমানের ইস্পাত ব্যবহার করা হচ্ছে, যা সাধারণত বাস-কারে ব্যবহৃত হয়।
জসিমুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের গাড়ি শতভাগ মেটাল বডির তৈরি। পুরো বডিই মোটরগাড়ির মতো করে তৈরি, যা যাত্রীকে অধিক নিরাপত্তা দেবে। ব্রেক ও লাইট ছাড়া পুরো গাড়ির দুই বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি থাকবে। গাড়িতে ওয়াইফাই সিস্টেম থাকবে, মোবাইল চার্জিং সিস্টেম থাকবে, জিপিএস থাকবে, মনিটর থাকবে।’
২০২৫ সালের পর বিশ্বে কোনো ডিজেলচালিত গাড়ি তৈরি হবে না। ২০৩০ সাল থেকে তৈরি হবে না কোনো অকটেন গাড়িও। সব গাড়িই বিদ্যুৎচালিত গাড়িতে পরিণত হবে।
নিজস্ব রাইড শেয়ারিং অ্যাপের মাধ্যমে একটি ট্যাক্সি সার্ভিস হিসেবে কাজ করবে এই ইকো ট্যাক্সি। এর বাইরে ব্যক্তিগতভাবেও এটি কেনা যাবে।
সাধারণ সিএনজিচালিত থ্রি-হুইলার এবং হিউম্যান-হলারের চেয়ে বড় চাকা থাকবে বাঘ ইকো ট্যাক্সিতে। পাশাপাশি অ্যান্টি-লক ব্রেক সিস্টেম (এবিএস)-সহ একটি হাইড্রোলিক ব্রেক সিস্টেমও থাকবে। গাড়ির ছাদে থাকবে সোলার প্যানেল। এতে ব্যবহৃত একটি ৪৮০ ওয়াটের সোলার প্যানেল দিনের বেলায় ৪০ শতাংশ চার্জ হবে ব্যাটারিতে। যার ফলে অতিরিক্ত ৪০ কিলোমিটার যেতে পারবে গাড়িটি।
প্রতি কিলোমিটারে এটি চলার খরচ হতে পারে ১ দশমিক ৩৩ টাকার মতো। সম্পূর্ণ চার্জে ১৫০০ ওয়াটের গাড়িটি ৯০ কিলোমিটার চলতে পারে। এতে চালকের দিনে খরচ হবে ১২০ টাকা। ব্যাটারির চার্জ শেষ হলেও চিন্তা নেই। ৬০ ভোল্টের ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হতে মাত্র ১৫ মিনিট সময় লাগবে।
বিভিন্ন স্থানে নিজস্ব চার্জিং পয়েন্টও বসানো হবে। চার্জিং পোর্টে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-সহ একটি মাইক্রো চিপ ইনস্টল করা থাকবে। একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে পোর্টটি খোলা হবে। গাড়ির মালিক নির্দেশ দিলেই চার্জ শুরু হবে।
আরও পড়ুন:প্রত্যাশা করা হয়েছিল, রোজার ঈদের মতো কোরবানির ঈদের আগের মাস জুনেও বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসবে। কিন্তু তেমনটা লক্ষ করা যাচ্ছে না।
এই মাসের ২৩ দিনের তথ্য রোববার প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে দেখা যায়, বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ মাস জুনের ১ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত ১২৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এ হিসাবে প্রতিদিন রেমিট্যান্স এসেছে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। মাসের বাকি সাত দিনে এই হারে রেমিট্যান্স এলে দাঁড়াবে ১৬৭ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, যা হবে গত তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।
গত ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল ২০২১-২২ অর্থবছরের ১১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। মার্চে আসে ১৮৬ কোটি ডলার।
গত ৩ মে মাসে দেশে রোজার ঈদ উদযাপিত হয়। ঈদ সামনে রেখে এপ্রিলে ২০১ কোটি (২.০১ বিলিয়ন) ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, একক মাসের হিসাবে যা ছিল ১১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
ঈদের পরের মাসেও মোটামুটি ভালোই এসেছিল। মে মাসে ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ (১.৮৮ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন তারা।
প্রতি বছরই দুই ঈদ সামনে রেখে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারতে পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি অর্থ দেশে পাঠান প্রবাসীরা। কিন্তু দুই ঈদের পরের এক-দুই মাস রেমিট্যান্স বেশ কম আসে। কিন্তু রোজার ঈদের পর মে মাসে তেমনটি হয়নি।
৯ অথবা ১০ জুলাই দেশে কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। সেই উৎসবকে কেন্দ্র করে জুন মাসে এপ্রিলের মতো ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসবে বলে আশা করা হচ্ছিল। ১৬ দিনের (১ থেকে ১৬ জুন) তথ্যে তেমন আভাসও পাওয়া যাচ্ছিল; ৯৬ কোটি ৪২ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। কিন্তু পরের সপ্তাহে অর্থাৎ ১৭ থেকে ২৩ জুন এসেছে ৩২ কোটি ৬ লাখ ডলার। এই সাত দিনে গড়ে ৪ কোটি ৫৮ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
জুনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসতে হলে মাসের বাকি সাত দিনে (২৪ থেকে ৩০ জুন) প্রতিদিন ১০ কোটি ডলারের বেশি আসতে হবে; সেটা কখনই আসেনি দেশে।
২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অর্থবছর বা বছরে আসা সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স। তার আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এসেছিল ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে আসে ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এসেছিল ১৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরের ১১ মাস ২৩ দিনে (২০২১ সালের ১ জুলাই-থেকে ২০২২ সালের ২৩ জুন) মোট ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৬ শতাংশের মতো কম।
বিদায়ী অর্থবছরে আগের বছরের চেয়ে রেমিট্যান্স কমার কারণ জানতে চাইলে অর্থনীতির গবেষক পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্সে হঠাৎ যে উল্লম্ফন হয়েছিল, তার একটি ভিন্ন পেক্ষাপট ছিল। ওই বছরের পুরোটা সময় কোভিডের কারণে গোটা পৃথিবী বন্ধই ছিল বলা চলে। সে কারণে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোও বন্ধ ছিল। প্রবাসীরা সব টাকা পাঠিয়েছিলেন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে। সে কারণেই রেমিট্যান্স বেড়েছিল।’
‘আমার বিবেচনায় বাংলাদেশে রেমিট্যান্সের পরিমাণ আসলে ১৬ থেকে ১৮ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরে এর চেয়ে বেশি যে রেমিট্যান্স এসেছিল সেটা আসলে হুন্ডি বন্ধ থাকার কারণেই এসেছিল। কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় এবং কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম বেশি থাকায় এখন আগের মতো অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা।
‘এর পরও বিদায়ী অর্থবছরের সাত দিন বাকি থাকতেই সাড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্সকে আমি খুবই ইতিবাচক মনে করছি।’
টানা পাঁচ মাস কমার পর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বেড়েছিল অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে ফের হোঁচট খায়। ওই মাসে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। মার্চে এসেছিল ১৮৬ কোটি ডলার।
ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে এসেছিল যথাক্রমে ১৬৩ কোটি ৬ লাখ ও ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিন হওয়ায় ওই মাসে রেমিট্যান্সপ্রবাহ কমেছিল বলে জানায় ব্যাংকগুলো।
তবে মার্চে এই সূচকে ফের গতি ফেরে; ১৮৮ কোটি ডলার পাঠান প্রবাসীরা। ওই মাসে ফেব্রুয়ারির চেয়ে ২৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, জুন মাসের ২৩ দিনে যে রেমিট্যান্স এসেছে, তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২০ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ২০ লাখ ডলার। ৪২টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০৪ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। আর পাঁচটি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬২ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
আরও পড়ুন:আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নিম্নমুখি হওয়ার পর দেশেও কমানো হলো দাম। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম যতটা কমেছে, সেই তুলনায় দেশে দাম কমেছে অনেকটাই কম।
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৬ টাকা কমিয়ে করা হয়েছে ১৯৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয়েছে ১৮০ টাকা।
৫ লিটারের বোতলের দাম ঠিক করা হয়েছে ৯৮০ টাকা। অর্থাৎ ৫ লিটারের বোতলে প্রতি লিটারে দাম পড়ে ১৯৬ টাকা।
সোমবার থেকে এই দাম কার্যকর হবে।
রোববার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানায়।
অর্থাৎ তেলের দাম লিটারে কমেছে ৩ শতাংশেরও কম। কিন্তু বিশ্ববাজারে দাম ২৬ শতাংশের মতো কমেছে বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব।
গত ৯ জুন বাজেট ঘোষণার দিন সব শেষ তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। সেদিন লিটারে ৭ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত তেলের দাম ঠিক করা হয় লিটারে ২০৫ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয় ১৮৫ টাকা।
এক বছর আগেও বোতলজাত তেলের লিটার ছিল ১৩৪ টাকা করে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তা নির্ধারণ করা হয় ১৬৮ টাকা। ব্যবসায়ীরা মার্চ থেকে লিটারে আরও ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৮০ টাকা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকার রাজি না হলে সেদিন থেকে বাজারে সরবরাহে দেখা দেয় ঘাটতি।
এরপর সরকার ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বিক্রির ওপর থেকে ভ্যাট পুরোপুরি আর আমদানিতে ৫ শতাংশ রেখে বাকি সব ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেয়। পরে গত ২০ মার্চ লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয় ১৬০ টাকা।
সেদিন পাঁচ লিটারের বোতল ৭৯৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৭৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিনের দাম ১৪৩ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এরপর ৫ মে তেলের দাম লিটারে এক লাফে ৩৮ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ১৯৮ টাকা।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ক্রমেই বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে দাম ক্রমাগত বৃদ্ধির মধ্যে দুই সপ্তাহ ধরে বিশ্ববাজারে দাম অনেকটাই পড়তির দিকে।
ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্যাব গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে তেলের দাম পুনর্নির্ধারণের দাবি জানায়। তারা জানায়, বিশ্ববাজারে অশোধিত তেলের দাম ২৬ শতাংশ কমেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৯ সালে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের গড় মূল্য ছিল টনপ্রতি ৭৬৫ ডলার। ২০২০ সালে দাম ছিল ৮৩৮ ডলার এবং ২০২১ সালে সয়াবিনের টনপ্রতি দাম ছিল ১ হাজার ৩৮৫ ডলার।
চলতি বছরের মার্চে বিশ্ববাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম হয় ১ হাজার ৯৫৬ ডলার। এপ্রিলে তা কমে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম হয় ১ হাজার ৯৪৭ ডলার। আর বর্তমানে টনপ্রতি ১ হাজার ৪৬৪ ডলারে বিক্রি হচ্ছে।
অর্থাৎ এক মাসে তেলের দাম কমেছে ২৬ শতাংশ।
তবে যে হারে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে কমানোর ক্ষেত্রে এতো কমহারে সন্তুষ্ট নয় ভোক্তারা। এ বিষয়ে ভোক্তাদের জন্য সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান কিছুটা নাখোশ বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘হ্রাসকৃত হারটি আরও বাড়তে পারতো। আশা করি সরকার দাম কমানোর এই হারটি পুনর্বিবেচনা করবেন। একইভাবে ডলারের দাম উঠা-নামায় যাতে তেলের মূল্যে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে না পারে সে জন্য সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন।’
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দাম কমেছে ২৬ শতাংশের মতো। এর বিপরীতে দেশে সয়াবিনের দাম কমেছে মাত্র ৩ শতাংশ।
তেলের দাম কমানোর এই হারে সন্তুষ্ট নন ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেন, ‘আশা করি সরকার দাম কমানোর এই হারটি পুনর্বিবেচনা করবে। একইভাবে ডলারের দাম উঠামা যাতে তেলের মুল্যে তেমন কোনো প্রভাব ফেরতে না পারে সে জন্য সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন।’
দাম এত কম কমল কেন- জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সয়াবিন আমদানি হয়ে থাকে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার মতো দূরপ্রপাচ্যের দেশগুলো থেকে। ওই সব বাজার থেকে তেল আনতে ৪০ থেকে ৫০ দিন সময় লাগে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও দেশে তার প্রভাব পড়তে দেরি হয়। আবার দেশে যখন কমে আসে তার সুফল পেতে না পেতেই দেখা যায় আন্তর্জাতিকবাজার আবারও বেড়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘এবার দাম কম হারে কমানোর অন্যতম কারণ হচ্ছে ডলারের দামে অস্থিরতা। আগে এক ডলারে যে টাকা পাওয়া যেত, এখন তার চাইতে আরও বেশি পরিশোধ করতে হচ্ছে। এর প্রভাব এই তেলের মূল্যে পড়েছে। ফলে দাম আশানুরূপ হারে কমানো সম্ভব হয়নি।’
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আগামীতেও তেলের দাম হ্রাস-বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার নজর রাখবে বলেও জানান সচিব।
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতু প্রকল্পের দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক, সার্ভিস এরিয়া, টোল প্লাজা, নদীশাসনসহ বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল দেশীয় প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেড। স্বপ্নের এই সেতুর ৫টি প্রকল্পের ৩টিই করেছে বাংলাদেশের নির্মাণ শিল্পের পথিকৃৎ এই প্রতিষ্ঠানটি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিরলসভাবে যুক্ত ছিল একমাত্র দেশীয় প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেড। ঐতিহাসিক এই যাত্রায় জাতির স্বপ্ন বাস্তবায়নের গর্বিত অংশীদার প্রতিষ্ঠানটি। পুরো প্রকল্পে সেতুর গুনগত মান ঠিক রাখতে প্রায় এক কোটি আমেরিকান ডলার খরচ করে জার্মানি থেকে দুটি মেশিন নিয়ে আসার পাশাপাশি অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতেও আব্দুল মোনেম লিমিটেড বিনিয়োগ করেছে।’
আবদুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনউদ্দিন মোনেম বলেন, ‘পদ্মা সেতুর ৫টি প্রকল্পের ৩টিই করেছি আমরা। এই প্রকল্পে একনিষ্ঠভাবে কাজ করতে গিয়ে আমরা আমাদের সক্ষমতা সম্পর্কে আরও একবার নিশ্চিত হয়েছি। ভবিষ্যতে দেশের আরও যেকোনো বড় প্রকল্পে আরও দক্ষতার সাথে অবদান রাখতে পারব বলে বিশ্বাস করে।’
আমাদের ওপর আস্থা রাখার জন্য এবং জাতির স্বপ্ন বাস্তবায়নের ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জনের গর্বিত অংশীদার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
চলতি বছর দেশে এএমএল অ্যান্ড সিএফটি পরিপালনের দুই দশক পূর্তি হচ্ছে। পাশাপাশি বছরটি মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর গৌরবোজ্জ্বল দুই দশক পূর্তি উদযাপিত হচ্ছে।
এর অংশ হিসেবে পদ্মা ব্যাংকের কর্মী ও গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে রোববার পদ্মা ব্যাংকের মিরপুর ট্রেনিং ইনিস্টিউটে এএমএল অ্যান্ড সিএফটি সচেতনতা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক রিয়াজ খান।
ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সপ্তাহব্যাপী গ্রাহকদের এএমএল অ্যান্ড সিএফটি বিষয়ক বিশেষ বার্তা, ব্যাংকের ৫৯ শাখায় এএমএল অ্যান্ড সিএফটি সচেতনতা বিষয়ক ভিডিও প্রদর্শন, মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা, পদ্মা ব্যাংকের বিভিন্ন লোকেশনে ব্যানার ও ড্যাঙ্গলারের মাধ্যমে সচেতনতা বিষয়ক বার্তা প্রদর্শন করা হবে।
এ ছাড়া শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগগুলোতে সপ্তাহব্যাপী ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিম ও এএমএল অ্যান্ড সিএফটি ডিভিশনের কর্মকর্তাদের পরিদর্শন ও অবস্থানসহ আরও নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অ্যান্টি-মানিলন্ডারিং কমপ্লায়েন্স অফিসার জাবেদ আমিন, মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান এসইভিপি এম আহসান উল্লাহ খান, এসইভিপি ও আরএমডি অ্যান্ড ল হেড ফিরোজ আলম, এসইভিপি ও হেড অব করপোরেট লায়াবিলিটি মার্কেটিং সাব্বির মোহাম্মদ সায়েম, ডেপুটি চিফ অ্যান্টি-মানিলন্ডারিং কমপ্লায়েন্স অফিসার ও ভিপি রাশেদুল করিম-সহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ব্যাংকের ঢাকার শাখাগুলোর ব্যামেলকোরা স্বশরীরে ও বাইরের শাখার ব্যামেলকো ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আরও পড়ুন:সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) হিসেবে যোগ দিয়েছেন হাবিবুর রহমান।
এর আগে তিনি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ছিলেন বলে এসবিএসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এএনজেড গ্রিনলেজ ব্যাংকে যোগদানের মাধ্যমে তিনি ব্যাংকিং জীবন শুরু করেন। বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২৭ বছরের ব্যাংকিং জীবন তার। সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, এইচএসবিসি এবং কানাডার টরেন্টো ডমিনিয়ন ব্যাংকে চাকুরি করেন হাবিবুর রহমান।
তিনি ঋণ ব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকি বিষয়কসহ পেশাগত স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অথনীতি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বেলজিয়ামের ব্রাসেলস থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওমেগা নামক প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফাইড ক্রেডিট প্রফেসনালস ডিগ্রি অর্জন করেনিএই ব্যাংকার।
মন্তব্য