আগের সপ্তাহে টানা চার কর্মদিবসের পর পুঁজিবাজারে নতুন সপ্তাহের শুরুটাও হলো বাজে। দিনের অর্ধেক সময় বাজার ইতিবাচক থাকলেও শেষ পর্যন্ত বড় পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো লেনদেন।
সামগ্রিক পতনের মধ্যেও সবচেয়ে বড় বাজার মূলধনের ব্যাংক খাতে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট হওয়ার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হলো। বহু বছর পর লেনদেনের শীর্ষে উঠে এলো ব্যাংক খাত।
সামগ্রিকভাবে লেনদেন কমলেও এই খাতে লেনদেন বেড়েছে ৯০ কোটি টাকার মতো। মোট লেনদেনের ১৮ শতাংশের মতো হাতবদল হলো একটি খাতে।
আগের সপ্তাহে টানা চার কর্মদিবসে সূচক পড়েছিল ১২৫ পয়েন্টের মতো। রোববার পড়েছে আরও ৫৬ পয়েন্ট।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া বাজার সংশোধনে এ নিয়ে টানা পাঁচ কর্মদিবস সূচক কমল, যা গত ২৩ ফেব্রুয়ারির পর আর ঘটেনি। এর আগে গত ১৬ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ছয় কর্মদিবস সূচক পড়েছিল।
দিনের শেষটা হতাশ করলেও শুরুটা খারাপ ছিল না। ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে গিয়ে শুরু হয় লেনদেন। দুপুর ১২টা পর্যন্তও সূচক ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল। কিন্তু এরপর কেবলই পড়তে থাকে।
বেলা একটা পর্যন্ত সূচক আগের কর্মদিবসের চেয়ে বেশিতে লেনদেন হচ্ছিল। কিন্তু এরপর থেকে কেবলই কমেছে। একপর্যায়ে লেনদেন শেষ হওয়ার ৭ মিনিট আগে সূচক পড়ে যায় ৭৭ পয়েন্ট। পরে সেখান থেকে কিছুটা বাড়ে সূচক।
শেয়ার মূল্য বেড়েছে কেবল ৬৫টি কোম্পানির। বিপরীতে পড়েছে ২৮৭টির। অপরিবর্তিত ছিল বাকি ২৪টির।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির তিনটি ছিল ব্যাংক খাতের আর সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১৫টি কোম্পানির মধ্যে ছয়টি ছিল এই খাতের। বহু দিন পর এই চিত্র দেখা গেল।
এর মধ্যে নতুন তালিকাভুক্ত সাউথ বাংলা ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই। আগের দিনের দামের সঙ্গে যোগ হলো ৯.৯৪ শতাংশ।
টানা চতুর্থ দিন বৃদ্ধি পাওয়া এনআরবিসির দর বেড়েছে ৮.২২ শতাংশ। এ ছাড়া আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার দর ৫.০৫ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের দর ৩.৫১ শতাংশ, আল-আরাফাহ ব্যাংকের দর ৩.৪১ শতাংশ এবং এবি ব্যাংকের দর বেড়েছে ৩.৪০ শতাংশ।
সব মিলিয়ে ৩২টি ব্যাংকের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৯টির। শেয়ার দর ১০ থেকে ৩০ পয়সা কমেছে ৭টি ব্যাংকের, দর অপরিবর্তিত ছিল বাকি ৬টির।
২০২০ সালে যেকোনো খাতের তুলনায় ভালো লভ্যাংশ দেয়া ব্যাংকগুলোর আয় অর্ধবার্ষিকে আরও বেড়েছে। তার মধ্যেও এই খাতটির ঘুমিয়ে থাকা নিয়ে আলোচনার মধ্যে দর সংশোধনের বাজে সময়েও বিনিয়োগকারীরা উৎসাহী হয়ে উঠছেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকেই এই খাতে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। সেদিন ব্যাংক খাতে হাতবদল হয়েছিল ১৯১ কোটি ২০ লাখ টাকা। পরদিন কিছুটা কমে হয় ১৪০ কোটি ২০ লাখ টাকা। ১২ অক্টোবর আবার বেড়ে হয় ১৭৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ১৩ অক্টোবর তা আরও বেড়ে হয় ১৯৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। ১৪ অক্টোবর পুঁজিবাজারে লেনদেন প্রায় ৫০০ কোটি টাকা কমে গেলেও ব্যাংক খাতে শতকরা হারে হিস্যা আরও বাড়ে। সেদিন এই খাতে লেনদেন হয় ১৯৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সেখান থেকে প্রায় ৯০ কোটি টাকা বেড়ে আজ হাতবদল হলো ২৮৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
দিন শেষে সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৮৬ পয়েন্ট। গত ১৯ সেপ্টেম্বরের পর সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান এটি।
সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে কিছুটা। বৃহস্পতিবার হাতবদল হয়েছিল ১ হাজার ৪৩৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। সেখান থেকে খানিকটা বেড়ে আজ লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৫৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
ব্যাংক ছাড়া অন্য কোনো খাতেই দিনটি ভালো যায়নি। এর ভিড়ে সবচেয়ে বেশি খারাপ দিন গেছে সিমেন্ট খাতে। গত মাসে হঠাৎ করেই ব্যাপক লেনদেন শুরু হওয়া খাতটির সবগুলো কোম্পানিই দর হারিয়েছে।
আর্থিক খাতের ২২টি কোম্পানির মধ্যে একটি মাত্র দর ধরে রাখতে পেরেছে, পতন হয়েছে বাকি সবগুলোর।
বিমা খাতে কেবল চারটি কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে বাকি ৪৭টির। লেনদেনের দ্বিতীয় শীর্ষে থাকলেও ওষুধ ও রসায়ন খাতেও পতন হয়েছে। চারটি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২৬টির দর।
বস্ত্র খাতে ৭টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৪৬টির দর, জ্বালানি খাতে দুটির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২০টি আর প্রকৌশল খাতে ৭টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৩৪টির দর।
বড় মূলধনি ১০ কোম্পানির উত্থানেও ঠেকানো গেল না পতন
টানা দর বাড়তে থাকা ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানির শেয়ার দর আরও ৩.৭৬ শতাংশ বেড়েছে। এই একটি কোম্পানির কারণেই সূচকে যোগ হয়েছে ৩০.৭৭ পয়েন্ট।
এ ছাড়া বেক্সিমকো লিমিটেডের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় সূচকে যোগ হয়েছে ৮.১১ পয়েন্ট, গ্রামীণ ফোন বাড়িয়েছে ৪.৮৩ পয়েন্ট।
অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এনআরবিসি ৪.০৩, আইএফআইসি ৩.২২, সাউথবাংলা ব্যাংক ৩.১৩, ফরচুন সুজ ২.৯৩, ইসলামী ব্যাংক ২.৩৭, ডেল্টালাইফ ২.০৩ এবং আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক সূচকে যোগ করেছে ২.০১ পয়েন্ট।
অর্থাৎ এই ১০টি কোম্পানিই সূচকে যোগ করেছে মোট ৬৩.৪৩ পয়েন্ট।
অন্যদিকে সূচক সবচেয়ে বেশি কমেছে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের দরপতনে সূচক থেকে কমেছে ১৫.১৪ পয়েন্ট। অন্যদিকে আইসিবির কারণে ৮.৩ পয়েন্ট, বিকন ফার্মার কারণে ৬.৯৪ পয়েন্ট, রবির কারণে ৬.৬১ পয়েন্ট, ইউনাইটেড পাওয়ারের কারণে ৬.০৯ পয়েন্ট, ওরিয়ন ফার্মার কারণে ৫.৪১ পয়েন্ট, পাওয়ারগ্রিডের কারণে ৫.০৯ পয়েন্ট, জিপিএইচ ইস্পাতের কারণে ৪.১৭ পয়েন্ট, বেক্সিমকো ফার্মার কারণে ৩.৫৬ পয়েন্ট এবং সাবমেরিন কোম্পানির শেয়ারের দরপতনে সূচক কমেছে ৩.৪৩ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানির কারণে সূচকের পতন হয়েছে ৬৪.৭৪ পয়েন্ট।
দর হারানো কোম্পানির দাম কমেছে ব্যাপক হারে
টানা দুই মাস ধরে চাঙা থাকা ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার এক দিনেই দর হারিয়েছে ৯.৫৪ পয়েন্ট। ১১৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে দাম নেমে এসঠে ১০৪ টাকা ২০ পয়সায়।
এছাড় উদ্যোক্তা পরিচালকদের চার কোটিরও বেশি শেয়ার লক ফ্রি হওয়ার খবরে ইন্দোবাংলা ফার্মা দর হারিয়েছে ৮.৮৭ পয়েন্ট।
লোকসানি কোম্পানি ইমাম বাটন ৮.৪৭, আরেক লোকসানি জিলবাংলা সুগার ৮.০৭, শেয়ার এক টাকা লভ্যাংশ ঘোষণার খবরে লাফ দেয়ার পর পতনমুখি ফারইস্ট নিটিং ৭.৭৯ শতাংশ, এক মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখি এডভেন্ট ফার্মা ৭.৬৯ শতাংশ, ওরিয়ন গ্রুপের আরেক কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশন ৭.৩০ শতাংশ, নতুন প্ল্যান্ট উৎপাদনে আসার খবরে উল্লম্ফনে থাকা জিপিএইচ ইস্পাত ৭.২৬ শতাংশ কমেছে।
এক বছরে শেয়ার দর তিন গুণের বেশি বেড়ে যাওয়ার পর পতনমুখি ফুওয়াং সিরামিক ৭.১৭ শতাংশ, অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির তদন্ত চলতে থাকা জিবিবি পাওয়ার ৭.০৯ শতাংশ, গত এক মাস ধরে তুমুল আলোচিত লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট ৬.৪৬, ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে ফিরে ছুটতে থাকার পর এক মাস ধরে পতনের মুখে থাকা পেপার প্রসেসিং আরও ৬.৩৬ শতাংশ, দেড় বছর ধরে অস্বাভাবিক হারে দর বৃদ্ধি পাওয়া ঢাকা ডায়িং ৬.১৮ শতাংশ, দুই বছরে শেয়ার দর ১০ গুণ হয়ে যাওয়া বিকন ফার্মা ৬.১৮ শতাংশ, ছয় মাসে শেয়ার দর পাঁচ গুণ বেড়ে যাওয়ার পর পতনমুখি আনোয়ার গ্যালভানাইজিং ৬.০৪ শতাংশ দর হারিয়েছে।
আরও ১২টি কোম্পানি ৫ শতাংশের বেশি, আরও ২৯টি কোম্পানি ৪ শতাংশের বেশি, ৪৭টি কোম্পানি ৩ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে।
এত বেশি হারে কোম্পানির দরপতনের কারণেই মূলত সূচক কমেছে বেশি।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৬ দশমিক ৮০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৮৬ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে।
শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ২১ দশমিক ১১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৪৬ দশমিক ৩১ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭০৫ দশমিক ১৩ পয়েন্টে।
দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য