× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Fruit production import is increasing at the same pace
google_news print-icon

ফলের উৎপাদন-আমদানি বাড়ছে সমান তালে

ফলের-উৎপাদন-আমদানি-বাড়ছে-সমান-তালে
দেশে বাড়ছে কমলাজাতীয় ফলের চাষ। ছবিটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি কমলা বাগান থেকে তোলা।
গত ১০ বছরে দেশের আম ও পেয়ারার উৎপাদন দ্বিগুণ, পেঁপে আড়াই গুণ, লিচু উৎপাদন ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া কমলার উৎপাদন প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। মাল্টার উৎপাদন বাড়ছে ১৫-২০ শতাংশ হারে।

মানুষের শরীরের আবশ্যকীয় বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের উৎস হলো ফল। সামর্থ্যবান ছাড়া একটি সময় বেশির ভাগ মানুষ ফল কিনতেন রোগীর জন্য। সে দিন অনেক আগেই পাল্টেছে।

খাদ্যাভ্যাসে এসেছে পরিবর্তন, ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ভাত-মাছ-সবজির মতো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ফল। এখন মানুষ চেষ্টা করে প্রতিদিন ফল খাওয়ার।

এদেরই একজন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাইদুল ইসলাম। মাসব্যাপী করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার পর এখন তিনি দৈনন্দিন খাবারে অতি সতর্ক। তার খাদ্যতালিকায় যুক্ত হয়েছে নানা ধরনের পুষ্টিকর ফল, যা আগের অভ্যাসে ছিল না।

শুধু সাইদুল নন, দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা ১৬ লাখ ছুঁই ছুঁই, যাদের বেশির ভাগই সুস্থ হওয়ার পর নিয়মিত চেষ্টা করছেন ফল খেতে। শুধু আক্রান্তরাই নন, করোনা হননি এমন অনেকেই এখন আগাম সতর্কতার অংশ হিসেবে কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করছেন।

ফলের চাহিদা বাড়ায় এবং তা সরবরাহ করতে দেশে তৈরি হয়েছে এর একটি বড় বাজার।

সে তালিকায় অবশ্য রং, গন্ধ, স্বাদ ও পুষ্টির বিচারে দেশি ফল অনন্য। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিবছর বাড়ছে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ফলমূলের বাণিজ্যিক উৎপাদন ও বাজারজাত।

তবে দেশীয় ফল উৎপাদনে প্রত্যাশিত অগ্রগতিতেও বিদেশি ফলের আমদানি হচ্ছে সমান তালে। কারণ দেশে যেসব ফল উৎপাদন হয় তার প্রায় ৬০ ভাগ উৎপাদিত হয় জুন-জুলাই ও আগস্টে। শীতকালে ফল পাওয়ার সুযোগ কম ও অনেক ধরনের ফল দেশে উৎপাদন না হওয়ায় আমদানি করতে হয়।

ফলের উৎপাদন-আমদানি বাড়ছে সমান তালে

কোনো কোনো ফল উৎপাদনে বাংলাদেশ শ্রেষ্ঠত্বের তালিকায় থাকলেও চাহিদার জন্য বড় একটা অংশ আমদানি করতে হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বছরওয়ারি হিসাবে পার্থক্য থাকলেও প্রতিবছর চাহিদা অনুযায়ী ফল আমদানিতে গড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। আপেল, কমলা, আঙুর, নাশপাতি, মাল্টা, চেরি, আনার, বরই, আম ছাড়াও বেবি ম্যান্ডারিন, পাম, নেকটারিন, কিউই, সুইট মিলন, অ্যাভোকাডোর মতো কিছু অপরিচিত ফলও আমদানি করা হয়।

পুষ্টিমান বিশেষজ্ঞরা জানান, ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ছাড়াও বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফলে ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদান অ্যান্থোসায়ানিন, লাইকোপেন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপস্থিত থাকায় এই মরণব্যাধি থেকেও রক্ষা পেতে সাহায্য করে।

ফল বিক্রেতারা জানিয়েছেন, উচ্চবিত্তরা আগে থেকেই তাদের নিয়মিত কেনাকাটার তালিকায় ফলমূল রাখতেন। এখন এ কাতারে যোগ হয়েছে মধ্যবিত্ত শ্রেণিও। আবার বিরতি দিয়ে হলেও ফল খাওয়ায় মনোযোগী হয়েছে নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ।

পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প (ডিএই) তথ্য মতে, আয়তনে বিশ্বের অন্যতম ছোট দেশ হলেও বাংলাদেশ ফল উৎপাদনের সফলতার উদাহরণ হয়ে উঠেছে। মৌসুমি ফল উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। এখন দেশে ৭২ প্রজাতির ফলের চাষ হচ্ছে।

জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার (এফএও) মতে, ১৮ বছর ধরে বাংলাদেশে সাড়ে ১১ শতাংশ হারে ফল উৎপাদন বেড়েছে। কাঁঠাল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়, আমে সপ্তম এবং পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থানে আছে। আর মৌসুমি ফল উৎপাদনে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান দশম। প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে ফল চাষের জমি বাড়ছে।

গত ১০ বছরে দেশের আম ও পেয়ারার উৎপাদন দ্বিগুণ, পেঁপে আড়াই গুণ, লিচু উৎপাদন ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া কমলার উৎপাদন প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। মাল্টার উৎপাদন বাড়ছে ১৫-২০ শতাংশ হারে।

গত কয়েক বছর ধরে নতুন ফল ড্রাগন, অ্যাভোকাডো এবং দেশি বাতাবি লেবু, তরমুজ, লটকন, আমড়া ও আমলকীর মতো পুষ্টিকর ফলের উৎপাদন ব্যাপক হারে বাড়ছে।

ফলের উৎপাদন-আমদানি বাড়ছে সমান তালে

নতুন করে চাষ উপযোগী ড্রাগন ফলের ২৩টি আলাদা প্রজাতি, খেজুরের ১৬টি, নারিকেলের ২ প্রজাতি, কাঁঠালের ৩টি জাত এখন বছরব্যাপী উৎপাদন ও সম্প্রসারণের কাজ চলমান। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সীমিত জমিতে অধিক ফল উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিইএ) মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফলের উৎপাদন বাড়াতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পরিকল্পনামাফিক কাজ করছি।

‘যেহেতু আমাদের জমির সীমাবদ্ধতা আছে, চাইলেই বাড়ানো সম্ভব হবে না, তাই আমরা কম জমিতে অধিক ফল উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছি। এ লক্ষ্যে আবহাওয়া উপযোগী সব ধরনের দেশি-বিদেশি ফলের হাইব্রিড জাত উৎপাদন, তা কৃষকের মধ্যে সময়মতো সরবরাহ, সঠিক সময়ে বপন এবং সঠিকমাত্রায় পরিচর্যা-পদ্ধতি শেখানোর প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে। এতে আমাদের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়ত জনসংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা, যার একটি বড় অংশ আসে ফলমূল থেকে। সবার পুষ্টির নিশ্চয়তা পূরণে রাষ্ট্রকে প্রয়োজনে আমদানিও করতে হয়। ফল আমদানি তারই একটি ধারাবাহিকতা।’

আসাদুল্লাহ জানান, যখন দেশ ফলে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে কিংবা তার ধারেকাছে যাবে, তখন সংশ্লিষ্ট ফলের আমদানিতেও কঠোর হবে সরকার। তবে সবার আগে মানুষের প্রয়োজন মেটানো।

নিয়মিত ফল খেলে দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়, ক্লান্তি দূর হয়, সুস্থ থাকা যায় এবং ভাতের ওপর চাপ কমবে- এমন দাবি করেন ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প’ এর প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মেহেদী মাসুদ।

ফলের উৎপাদন-আমদানি বাড়ছে সমান তালে

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২০০ গ্রাম ফল খাওয়া প্রয়োজন, কিন্তু আমরা প্রতিদিন প্রায় গড়ে ৭০-৮০ গ্রাম ফল খাই। এ ফল স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের পাশাপাশি আমদানির মাধ্যমে চাহিদা পূরণ করে।’

দেশে উৎপাদন সক্ষমতা প্রসঙ্গে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশের আবহাওয়া প্রায় ৭২ প্রকার ফল চাষের উপযোগী, যা পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই বিরল। তাই সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে ফলের উৎপাদন ও উন্নয়নের দিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।’

ডিএইর হর্টিকালচার উইং ও উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ টনের বেশি আপেল, দেড় থেকে দুই লাখ টন কমলা, ৫০ হাজার টনের বেশি আঙুর আমদানি করা হয়। তবে মাল্টার আমদানিতে কোনো ধারাবাহিকতা লক্ষ করা যায়নি। কোনো বছর কম, কোনো বছর বেশি।

গত পাঁচ বছরে এ চার ধরনের ফল আমদানিতে ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ। দেশে মোট আমদানি ফলের প্রায় ৮৫ শতাংশই আপেল, কমলা, মাল্টা ও আঙুরের দখলে। বাকি অংশ পূরণ হয় অন্য ফল আমদানিতে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে ফল আমদানি ৭২ শতাংশ বেড়েছে। এই সময়ে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বেড়েছে ২১ শতাংশ।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশে স্থানীয় ও বিদেশি জাত মিলে ১ কোটি ১০ লাখ টন ফল উৎপাদন হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বেড়ে ১ কোটি ২০ লাখ টনে উন্নীত হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পেয়ে ১ কোটি ২১ লাখ ১১ হাজার টন এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ কোটি ২১ লাখ ১৫ হাজার টনে দাঁড়ায়। সবশেষ পূর্ণাঙ্গ অর্থবছরের (২০১৯-২০) উৎপাদন তথ্য অনুযায়ী স্থানীয় ফলমূলের উৎপাদন ১ কোটি ২৩ লাখ টনে পৌঁছায়।

ফলের উৎপাদন-আমদানি বাড়ছে সমান তালে

তবে এ সময় আমদানির পরিমাণও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ফল আমদানির পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৭৩ হাজার টন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমদানি বেড়ে দাঁড়ায় ৬ লাখ ১১ হাজার টন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমদানি আরও বেড়ে ৬ লাখ ১৮ হাজার টন এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬ লাখ ৮২ হাজার টনে উন্নীত হয়।

সবশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ তথ্যানুযায়ী, করোনায় আমদানি দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ফল আমদানি ৬ লাখ ২৬ হাজার টনে পৌঁছায়।

সব ধরনের ফল আমদানিসংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর জানুয়ারিতে ফল আমদানি খাতে এলসি খোলা হয় ৩৪ কোটি ৬৬ লাখ মার্কিন ডলারের। এটা ফেব্রুয়ারিতে ৪০ কোটি ৭৬ লাখ ৬০ হাজার ডলারে, মার্চে ৪৭ কোটি ১৭ লাখ ৬০ হাজার ডলারে এবং এপ্রিলে ৪৯ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার ডলারে উন্নীত হয়েছে।

বিশ্বের ৪৬টি দেশ থেকে ফল আমদানি করা হয়। এর মধ্যে ভারত, চীন, ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, ভুটান, মিসর ও দক্ষিণ আফ্রিকা অন্যতম। তবে ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি ফল আসে।

চট্টগ্রাম বন্দর, ঢাকা বিমানবন্দর, ভোমরা, সোনামসজিদ, হিলি ছাড়াও কয়েকটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে এসব ফল আসে।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ফলের দাম এখন মানুষের হাতের নাগালে। এ কারণে ফল খাওয়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। তবে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফল দেশের মোট চাহিদার মাত্র ৩০ ভাগ পূরণ করছে। বাকিটা আমদানির মাধ্যমে পূরণ হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, আপেল আমদানিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে। তিন বছর আগে এ তালিকায় বাংলাদেশ ছিল সপ্তম অবস্থানে।

পণ্যের বাজার পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ইনডেক্সমুন্ডির তথ্য অনুযায়ী, মাল্টা আমদানিতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন পঞ্চম। তিন বছর আগে ছিল অষ্টম অবস্থানে।

আরও পড়ুন:
৮০০ বিঘায় হযরত আলীর ২৭১ জাতের ফল
শখের চাষে রংপুরের মাটিতে বিদেশি ফল
এবার ইউটিউব দেখে চাষ করলেন মরুভূমির সাম্মাম

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ
The transaction on the capital market with the index decreases

সূচকের সঙ্গে পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে

সূচকের সঙ্গে পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৪ জুলাই) পুঁজিবাজারে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোমবার (১৪ জুলাই) ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১১০৪ ও ১৯০০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিন ডিএসইতে ৫৬৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১০০ কোটি টাকা কম। আগের দিন ডিএসইতে ৬৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল।

সোমবার (১৪ জুলাই) ডিএসইতে ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫৬টি কোম্পানির, কমেছে ১৬৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর।

এদিন লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো- ব্র্যাক ব্যাংক, খান ব্রাদার্স, বিচ হ্যাচারি, বিএটিবিসি, সী পার্ল, ওরিয়ন ইনফিউশন, ইসলামী ব্যাংক, আলিফ ইন্ডাস্ট্রি, রহিমা ফুড ও মিডল্যান্ড ব্যাংক।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই সোমবার (১৪ জুলাই) ২৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ৯৭ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১০৮টির, কমেছে ৯৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টি কোম্পানির শেয়ার দর।

সোমবার (১৪ জুলাই) সিএসইতে ৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১ কোটি টাকা কম। আগের দিন সিএসইতে ৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh Bank bought and 1 million at the auction for the first time

প্রথমবারের মতো নিলামে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রথমবারের মতো নিলামে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রথমবারের মতো নিলামের মাধ্যমে রোববার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ১৭ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বাড়ার ফলে মার্কিন ডলারের দাম টাকার তুলনায় গত এক সপ্তাহ ধরে কমছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে।

এই ডলার কেনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি ডলারের দাম ১২১ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করেছে, যা বেশিরভাগ ব্যাংকের দেওয়া প্রায় ১২০ টাকা দামের চেয়ে বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাসস’কে জানান, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম স্থির রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার কিনেছে।

তিনি বলেন, যদি ডলারের বিনিময় হার টাকার তুলনায় বেড়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক একইভাবে নিলামের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করবে।

তিনি আরও বলেন, টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার যেন স্থির থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ব্যাংক যেকোনো সময় বাজারে হস্তক্ষেপ করতে পারে।

একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন ট্রেজারি কর্মকর্তা জানান, রোববার প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২০ টাকা। আজ তা বেড়ে ১২১ টাকা ৫০ পয়সায় পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রোববার অধিকাংশ ব্যাংক প্রতি ডলারের বিনিময় হার প্রায় ১২০ টাকা নির্ধারণ করেছিল। এক সপ্তাহ আগে এই হার ছিল ১২৩ টাকারও বেশি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chinas exports in June are better imports than expected by 5 percent increase

জুনে চীনের রফতানি ৫.৮ শতাংশ বৃদ্ধি, প্রত্যাশার চেয়ে ভালো আমদানিও

জুনে চীনের রফতানি ৫.৮ শতাংশ বৃদ্ধি, প্রত্যাশার চেয়ে ভালো আমদানিও

চীনের রপ্তানি ৫.৮ শতাংশ বেড়েছে গত জুন মাসে, যা পূর্বাভাসের চেয়েও ভালো ফলাফল। এ সময় ওয়াশিংটন ও বেইজিং পরস্পরের ওপর আরোপিত উচ্চ শুল্ক কমাতে একটি প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছায়।

বেইজিং থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

চীনের শুল্ক প্রশাসনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জুনে রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৮ শতাংশ বেড়েছে। যদিও অর্থনীতিবিদদের নিয়ে ব্লুমবার্গের করা সমীক্ষায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।

এছাড়া, একই মাসে চীনের আমদানিও ১.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেটিও পূর্বাভাস দেওয়া ০.৩ শতাংশের চেয়ে ভালো।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the first 12 days of July the remittance of around Rs

জুলাই মাসের  প্রথম ১২ দিনে এল প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স

জুলাই মাসের  প্রথম ১২ দিনে এল প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের প্রথম ১২ দিনে ১০৭ কোটি ১০ লাখ (১.০৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাস করা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ (এক ডলার ১২১ টাকা ধরে) প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাইয়ের প্রথম ১২ দিনে ১০৭ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। যা গত বছরের একই সময়ে আসে (২০২৪ সালের জুলাইয়ের ১২ দিন) ৯৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ কোটি ৩০ লাখ ডলার বা প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বেশি এসেছে।

এর আগে সদ্যবিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে পাঠিয়েছেন প্রায় প্রায় ২৮১ কোটি ৮০ লাখ (২.৮২ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স। দেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৩৪ হাজার ৪০৪ কোটি টাকার বেশি। আর প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা ১ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা।

এটি একক মাস হিসেবে তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এর আগে মে মাসে দেশে এসেছে ২.৯৭ বিলিয়ন ডলার, যা ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

অন্যদিকে বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত পুরো সময়ে মোট ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে আসে ২৭৫ কোটি ডলার, মে মাসে এসেছে ২৯৭ কোটি ডলার এবং সবশেষ জুন মাসে এসেছে ২৮২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Trump is going to implement 5 percent of the tariff on Canada products on August 7

কানাডার পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক বসাতে যাচ্ছেন ট্রাম্প, কার্যকর ১ আগস্ট

কানাডার পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক বসাতে যাচ্ছেন ট্রাম্প, কার্যকর ১ আগস্ট

কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ১ আগস্ট থেকে এ শুল্ক কার্যকর হবে।

বৃহস্পতিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নিকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এই কথা জানান।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, সোমবার থেকে এ পর্যন্ত ট্রাম্পের এমন ধরনের ২০টিরও বেশি চিঠি গেছে বিশ্বের নানা দেশের নেতার কাছে। চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের অংশ হিসেবেই এসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।

কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে একটি বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২১ জুলাইয়ের মধ্যে সমঝোতায় পৌঁছানোর লক্ষ্য রয়েছে। তবে ট্রাম্পের সর্বশেষ এই হুমকিতে আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

একইসঙ্গে কানাডা ও মেক্সিকো উভয়ই ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা করছে, যাতে উত্তর আমেরিকার তিন দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (ইউএসএমসিএ) আবার সঠিক পথে ফিরে আসে।

২০২০ সালের জুলাইয়ে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে পুরোনো (নাফটা) বাতিল করে ইউএসএমসিএ চালু করা হয়। ২০২৬ সালের জুলাইয়ে এর পরবর্তী পর্যালোচনা হওয়ার কথা। তবে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প নানা দেশে শুল্ক আরোপ করে পর্যালোচনার প্রক্রিয়াই অস্থির করে তুলেছেন।

শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ২৫ শতাংশ শুল্ক বসায় কানাডা ও মেক্সিকোর বহু পণ্যের ওপর। কানাডার জ্বালানির ক্ষেত্রে অবশ্য কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়।

বাণিজ্যের পাশাপাশি অবৈধ অভিবাসন ও মাদক পাচার ঠেকাতে যথেষ্ট উদ্যোগ না নেওয়ার অভিযোগে প্রতিবেশী এ দুই দেশকে একাধিকবার সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প।

তবে পরবর্তীতে ইউএসএমসিএ চুক্তির আওতায় থাকা পণ্যের ক্ষেত্রে তিনি ছাড় দেন, যার ফলে বড় পরিসরের পণ্য শুল্কমুক্ত হয়।

বৃহস্পতিবারের চিঠিটি এমন এক সময় এলো, যখন ট্রাম্প ও কার্নির মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা উষ্ণ হচ্ছিল। এমনকি এর আগে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানো নিয়েও মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।

গত ৬ মে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হোয়াইট হাউসে এসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর পরের মাসে কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনেও আবার দেখা হয় দুই নেতার। সম্মেলনে ট্রাম্পকে বাণিজ্যযুদ্ধ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান বিশ্বনেতারা।

এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর কানাডা যে কর আরোপ করেছিল, তা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে ট্রাম্প আলোচনার টেবিল ত্যাগ করলেও পরে আবার আলোচনা শুরুর পথ খুলে যায়।

অন্যদিকে, এনবিসি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, যেসব দেশকে এখনো এ ধরনের চিঠি পাঠানো হয়নি, তাদের ওপরও ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনায় আছে। সেটিও কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে।

তিনি জানান, ব্রাজিলের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে, যদি এর আগেই কোনো সমঝোতা না হয়।

এনবিসি’কে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ টি দেশের উদ্দেশে চিঠি পাঠানো হবে ‘আজ বা আগামীকাল (শুক্রবার)’।

এদিকে, ট্রাম্পের হুমকির পর বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। তবে দেশটি পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করছে।

ট্রাম্পের পাঠানো চিঠিতে ব্রাজিলের সাবেক ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর প্রতি আচরণ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jute shrimp export revenue in Khulna is around Tk 1000 crore

খুলনায় পাট-চিংড়ি রপ্তানি আয় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা

২০২৪-২৫ অর্থবছর
খুলনায় পাট-চিংড়ি রপ্তানি আয় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা

খুলনা অঞ্চলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পাট, পাটজাত পণ্য, চিংড়ি, সবজি ও ফলমূল রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৫ হাজার ৯৭১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দেওয়া তথ্যমতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে বিদেশে নতুন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হওয়ায় খুলনা থেকে পাট, পাটজাত পণ্য এবং চিংড়ি রপ্তানি বেড়েছে।

ইপিবি আরও জানায়, বিশ্ব অর্থনীতির উন্নতির কারণেও রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত খুলনা অঞ্চলের রপ্তানি আয় ছিল ৫ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আর চলতি অর্থবছরে একই সময়ে আয় দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৭১ কোটি টাকায়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ১৩ হাজার ১৯ দশমিক ৮০ টন হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১ হাজার ৯৯০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

এছাড়া কুচিয়া, কাঁকড়া, সবজি, কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানিও বেড়েছে।

মাসভিত্তিক রপ্তানি আয়ের হিসাবে দেখা যায়, খুলনা অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা জুলাইয়ে ৫১৭ কোটি ৬৮ লাখ, আগস্টে ৪৪৭ কোটি ৫৩ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৬০১ কোটি ৯৮ লাখ, অক্টোবরে ৫৬৬ কোটি ৯৬ লাখ, নভেম্বরে ৫২৩ কোটি ১৩ লাখ, ডিসেম্বরে ৪৫৭ কোটি ৩৭ লাখ, জানুয়ারিতে ৪২৩ কোটি ৬৫ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ৪০২ কোটি ৫২ লাখ, মার্চে ৪৩৮ কোটি ৯১ লাখ, এপ্রিলে ৫৫০ কোটি ৮৭ লাখ, মে মাসে ৬১১ কোটি ৬৯ লাখ এবং ২০২৫ সালের জুনে ৪২৯ কোটি ১১ লাখ টাকার পণ্য রপ্তানি করেছেন।

খুলনা ইপিবির পরিচালক জিনাত আরা জানান, বৈশ্বিক অর্থনীতির উন্নতি, বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিশীলতা এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ফিরে আসায় রপ্তানি বেড়েছে।

তিনি বলেন, ‘পূর্ববর্তী সরকারের আমলে সরকারি পাটকল ও চিংড়ি কারখানা বন্ধসহ নানা কারণে খুলনা অঞ্চলের রপ্তানি কমে গিয়েছিল।’

পাট ও বস্ত্র উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সম্প্রতি খুলনা সফর করেছেন উল্লেখ করে তিনি জানান, খুলনা অঞ্চল পাট, চিংড়ি ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানিতে তার আগের গৌরব ফিরে পাবে। সরকার বন্ধ থাকা পাটকলগুলো বেসরকারি খাতে ইজারা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, যাতে সেগুলো পুনরায় চালু করা যায়।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফইএ)’র সাবেক সহ-সভাপতি মো. আবদুল বাকী বাসসকে বলেন, ‘খুলনার ব্যবসায়ীরা মনে করছেন দেশে অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশের কারণে চিংড়ি, পাট, পাটজাত পণ্য ও অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

তিনি আরও জানান, খুলনায় মোট ৬৩টি চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা থাকলেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উৎপাদন ও বৈদেশিক চাহিদা কমে যাওয়ায় ৩৩টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।

যোগাযোগ করা হলে পাট ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ পাট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ)-এর সাবেক সহ-সভাপতি ও পাট ব্যবসায়ী শরীফ ফজলুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববাজারে কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। খুলনায় এর বড় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের নীতির তীব্র সমালোচনা করে তিনি অভিযোগ করেছেন, পতিত সরকার দেশের পাট খাত ধ্বংস করে দিয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The adviser to ensure transparency in the preparation of financial reports to increase investment

বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে আর্থিক প্রতিবেদন প্রণয়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার

বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে আর্থিক প্রতিবেদন প্রণয়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরীক্ষক এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের আর্থিক প্রতিবেদন ও নিরীক্ষায় আরও স্বচ্ছতা ও সততা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা যখন একটি দেশের ব্যবসা পরিবেশ সম্পর্কে স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পান, তখন তারা সেই অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন।’

রাজধানীর একটি হোটেলে ‘অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড অডিটিং সামিট’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্বব্যাংক এবং ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) যৌথভাবে ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক শাসনে এফআরসি’র ভূমিকা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুর, ঢাকাস্থ বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর সৌলেমানে কুলিবালি এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) চেয়ারম্যান ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নিরীক্ষা ও হিসাবরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে যারা এসব কাজে জড়িত তাদের স্বচ্ছতা ও সততা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।

ড. আহসান এইচ. মনসুর বলেন, দেশীয় ও বিদেশি উভয় বিনিয়োগকারীর আস্থা অর্জনের জন্য ব্যাংকগুলোর নিরীক্ষা প্রতিবেদন স্বচ্ছভাবে এবং যথাযথ তথ্যসহ উপস্থাপন করা উচিত।

তিনি বলেন, একটি সুদৃঢ়, সহনশীল ও ভবিষ্যতমুখী আর্থিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দেশের সব ব্যাংকে রিস্ক-বেসড সুপারভিশন (আরবিএস) চালু করা হবে।

মূল প্রবন্ধে এফআরসি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ যখন একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন সুসংগঠিত প্রতিষ্ঠান ও সুশাসন কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

তিনি বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল একটি সুস্পষ্ট ম্যান্ডেট নিয়ে কাজ করছে যা আর্থিক প্রতিবেদন, নিরীক্ষা, মূল্যায়ন এবং সঠিক মানদণ্ডে সততা, শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।’

তিনি আরও বলেন, এফআরসি চায় সব পক্ষ যেন পূর্ণ প্রকাশসহ সত্য আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করে, যাতে অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রকৃত ও কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব—আয়কর ও ভ্যাট—সংগ্রহ করতে পারে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘ভুয়া বা মিথ্যা আর্থিক প্রতিবেদনই কর ফাঁকি ও কর এড়ানোর প্রধান হাতিয়ার।’

মন্তব্য

p
উপরে