× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Fruit production import is increasing at the same pace
google_news print-icon

ফলের উৎপাদন-আমদানি বাড়ছে সমান তালে

ফলের-উৎপাদন-আমদানি-বাড়ছে-সমান-তালে
দেশে বাড়ছে কমলাজাতীয় ফলের চাষ। ছবিটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি কমলা বাগান থেকে তোলা।
গত ১০ বছরে দেশের আম ও পেয়ারার উৎপাদন দ্বিগুণ, পেঁপে আড়াই গুণ, লিচু উৎপাদন ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া কমলার উৎপাদন প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। মাল্টার উৎপাদন বাড়ছে ১৫-২০ শতাংশ হারে।

মানুষের শরীরের আবশ্যকীয় বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের উৎস হলো ফল। সামর্থ্যবান ছাড়া একটি সময় বেশির ভাগ মানুষ ফল কিনতেন রোগীর জন্য। সে দিন অনেক আগেই পাল্টেছে।

খাদ্যাভ্যাসে এসেছে পরিবর্তন, ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ভাত-মাছ-সবজির মতো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ফল। এখন মানুষ চেষ্টা করে প্রতিদিন ফল খাওয়ার।

এদেরই একজন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাইদুল ইসলাম। মাসব্যাপী করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার পর এখন তিনি দৈনন্দিন খাবারে অতি সতর্ক। তার খাদ্যতালিকায় যুক্ত হয়েছে নানা ধরনের পুষ্টিকর ফল, যা আগের অভ্যাসে ছিল না।

শুধু সাইদুল নন, দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা ১৬ লাখ ছুঁই ছুঁই, যাদের বেশির ভাগই সুস্থ হওয়ার পর নিয়মিত চেষ্টা করছেন ফল খেতে। শুধু আক্রান্তরাই নন, করোনা হননি এমন অনেকেই এখন আগাম সতর্কতার অংশ হিসেবে কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করছেন।

ফলের চাহিদা বাড়ায় এবং তা সরবরাহ করতে দেশে তৈরি হয়েছে এর একটি বড় বাজার।

সে তালিকায় অবশ্য রং, গন্ধ, স্বাদ ও পুষ্টির বিচারে দেশি ফল অনন্য। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিবছর বাড়ছে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ফলমূলের বাণিজ্যিক উৎপাদন ও বাজারজাত।

তবে দেশীয় ফল উৎপাদনে প্রত্যাশিত অগ্রগতিতেও বিদেশি ফলের আমদানি হচ্ছে সমান তালে। কারণ দেশে যেসব ফল উৎপাদন হয় তার প্রায় ৬০ ভাগ উৎপাদিত হয় জুন-জুলাই ও আগস্টে। শীতকালে ফল পাওয়ার সুযোগ কম ও অনেক ধরনের ফল দেশে উৎপাদন না হওয়ায় আমদানি করতে হয়।

ফলের উৎপাদন-আমদানি বাড়ছে সমান তালে

কোনো কোনো ফল উৎপাদনে বাংলাদেশ শ্রেষ্ঠত্বের তালিকায় থাকলেও চাহিদার জন্য বড় একটা অংশ আমদানি করতে হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বছরওয়ারি হিসাবে পার্থক্য থাকলেও প্রতিবছর চাহিদা অনুযায়ী ফল আমদানিতে গড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। আপেল, কমলা, আঙুর, নাশপাতি, মাল্টা, চেরি, আনার, বরই, আম ছাড়াও বেবি ম্যান্ডারিন, পাম, নেকটারিন, কিউই, সুইট মিলন, অ্যাভোকাডোর মতো কিছু অপরিচিত ফলও আমদানি করা হয়।

পুষ্টিমান বিশেষজ্ঞরা জানান, ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ছাড়াও বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফলে ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদান অ্যান্থোসায়ানিন, লাইকোপেন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপস্থিত থাকায় এই মরণব্যাধি থেকেও রক্ষা পেতে সাহায্য করে।

ফল বিক্রেতারা জানিয়েছেন, উচ্চবিত্তরা আগে থেকেই তাদের নিয়মিত কেনাকাটার তালিকায় ফলমূল রাখতেন। এখন এ কাতারে যোগ হয়েছে মধ্যবিত্ত শ্রেণিও। আবার বিরতি দিয়ে হলেও ফল খাওয়ায় মনোযোগী হয়েছে নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ।

পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প (ডিএই) তথ্য মতে, আয়তনে বিশ্বের অন্যতম ছোট দেশ হলেও বাংলাদেশ ফল উৎপাদনের সফলতার উদাহরণ হয়ে উঠেছে। মৌসুমি ফল উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। এখন দেশে ৭২ প্রজাতির ফলের চাষ হচ্ছে।

জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার (এফএও) মতে, ১৮ বছর ধরে বাংলাদেশে সাড়ে ১১ শতাংশ হারে ফল উৎপাদন বেড়েছে। কাঁঠাল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়, আমে সপ্তম এবং পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থানে আছে। আর মৌসুমি ফল উৎপাদনে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান দশম। প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে ফল চাষের জমি বাড়ছে।

গত ১০ বছরে দেশের আম ও পেয়ারার উৎপাদন দ্বিগুণ, পেঁপে আড়াই গুণ, লিচু উৎপাদন ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া কমলার উৎপাদন প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। মাল্টার উৎপাদন বাড়ছে ১৫-২০ শতাংশ হারে।

গত কয়েক বছর ধরে নতুন ফল ড্রাগন, অ্যাভোকাডো এবং দেশি বাতাবি লেবু, তরমুজ, লটকন, আমড়া ও আমলকীর মতো পুষ্টিকর ফলের উৎপাদন ব্যাপক হারে বাড়ছে।

ফলের উৎপাদন-আমদানি বাড়ছে সমান তালে

নতুন করে চাষ উপযোগী ড্রাগন ফলের ২৩টি আলাদা প্রজাতি, খেজুরের ১৬টি, নারিকেলের ২ প্রজাতি, কাঁঠালের ৩টি জাত এখন বছরব্যাপী উৎপাদন ও সম্প্রসারণের কাজ চলমান। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সীমিত জমিতে অধিক ফল উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিইএ) মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফলের উৎপাদন বাড়াতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পরিকল্পনামাফিক কাজ করছি।

‘যেহেতু আমাদের জমির সীমাবদ্ধতা আছে, চাইলেই বাড়ানো সম্ভব হবে না, তাই আমরা কম জমিতে অধিক ফল উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছি। এ লক্ষ্যে আবহাওয়া উপযোগী সব ধরনের দেশি-বিদেশি ফলের হাইব্রিড জাত উৎপাদন, তা কৃষকের মধ্যে সময়মতো সরবরাহ, সঠিক সময়ে বপন এবং সঠিকমাত্রায় পরিচর্যা-পদ্ধতি শেখানোর প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে। এতে আমাদের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়ত জনসংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা, যার একটি বড় অংশ আসে ফলমূল থেকে। সবার পুষ্টির নিশ্চয়তা পূরণে রাষ্ট্রকে প্রয়োজনে আমদানিও করতে হয়। ফল আমদানি তারই একটি ধারাবাহিকতা।’

আসাদুল্লাহ জানান, যখন দেশ ফলে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে কিংবা তার ধারেকাছে যাবে, তখন সংশ্লিষ্ট ফলের আমদানিতেও কঠোর হবে সরকার। তবে সবার আগে মানুষের প্রয়োজন মেটানো।

নিয়মিত ফল খেলে দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়, ক্লান্তি দূর হয়, সুস্থ থাকা যায় এবং ভাতের ওপর চাপ কমবে- এমন দাবি করেন ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প’ এর প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মেহেদী মাসুদ।

ফলের উৎপাদন-আমদানি বাড়ছে সমান তালে

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২০০ গ্রাম ফল খাওয়া প্রয়োজন, কিন্তু আমরা প্রতিদিন প্রায় গড়ে ৭০-৮০ গ্রাম ফল খাই। এ ফল স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের পাশাপাশি আমদানির মাধ্যমে চাহিদা পূরণ করে।’

দেশে উৎপাদন সক্ষমতা প্রসঙ্গে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশের আবহাওয়া প্রায় ৭২ প্রকার ফল চাষের উপযোগী, যা পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই বিরল। তাই সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে ফলের উৎপাদন ও উন্নয়নের দিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।’

ডিএইর হর্টিকালচার উইং ও উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ টনের বেশি আপেল, দেড় থেকে দুই লাখ টন কমলা, ৫০ হাজার টনের বেশি আঙুর আমদানি করা হয়। তবে মাল্টার আমদানিতে কোনো ধারাবাহিকতা লক্ষ করা যায়নি। কোনো বছর কম, কোনো বছর বেশি।

গত পাঁচ বছরে এ চার ধরনের ফল আমদানিতে ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ। দেশে মোট আমদানি ফলের প্রায় ৮৫ শতাংশই আপেল, কমলা, মাল্টা ও আঙুরের দখলে। বাকি অংশ পূরণ হয় অন্য ফল আমদানিতে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে ফল আমদানি ৭২ শতাংশ বেড়েছে। এই সময়ে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বেড়েছে ২১ শতাংশ।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশে স্থানীয় ও বিদেশি জাত মিলে ১ কোটি ১০ লাখ টন ফল উৎপাদন হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বেড়ে ১ কোটি ২০ লাখ টনে উন্নীত হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পেয়ে ১ কোটি ২১ লাখ ১১ হাজার টন এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ কোটি ২১ লাখ ১৫ হাজার টনে দাঁড়ায়। সবশেষ পূর্ণাঙ্গ অর্থবছরের (২০১৯-২০) উৎপাদন তথ্য অনুযায়ী স্থানীয় ফলমূলের উৎপাদন ১ কোটি ২৩ লাখ টনে পৌঁছায়।

ফলের উৎপাদন-আমদানি বাড়ছে সমান তালে

তবে এ সময় আমদানির পরিমাণও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ফল আমদানির পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৭৩ হাজার টন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমদানি বেড়ে দাঁড়ায় ৬ লাখ ১১ হাজার টন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমদানি আরও বেড়ে ৬ লাখ ১৮ হাজার টন এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬ লাখ ৮২ হাজার টনে উন্নীত হয়।

সবশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ তথ্যানুযায়ী, করোনায় আমদানি দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ফল আমদানি ৬ লাখ ২৬ হাজার টনে পৌঁছায়।

সব ধরনের ফল আমদানিসংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর জানুয়ারিতে ফল আমদানি খাতে এলসি খোলা হয় ৩৪ কোটি ৬৬ লাখ মার্কিন ডলারের। এটা ফেব্রুয়ারিতে ৪০ কোটি ৭৬ লাখ ৬০ হাজার ডলারে, মার্চে ৪৭ কোটি ১৭ লাখ ৬০ হাজার ডলারে এবং এপ্রিলে ৪৯ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার ডলারে উন্নীত হয়েছে।

বিশ্বের ৪৬টি দেশ থেকে ফল আমদানি করা হয়। এর মধ্যে ভারত, চীন, ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, ভুটান, মিসর ও দক্ষিণ আফ্রিকা অন্যতম। তবে ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি ফল আসে।

চট্টগ্রাম বন্দর, ঢাকা বিমানবন্দর, ভোমরা, সোনামসজিদ, হিলি ছাড়াও কয়েকটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে এসব ফল আসে।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ফলের দাম এখন মানুষের হাতের নাগালে। এ কারণে ফল খাওয়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। তবে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফল দেশের মোট চাহিদার মাত্র ৩০ ভাগ পূরণ করছে। বাকিটা আমদানির মাধ্যমে পূরণ হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, আপেল আমদানিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে। তিন বছর আগে এ তালিকায় বাংলাদেশ ছিল সপ্তম অবস্থানে।

পণ্যের বাজার পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ইনডেক্সমুন্ডির তথ্য অনুযায়ী, মাল্টা আমদানিতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন পঞ্চম। তিন বছর আগে ছিল অষ্টম অবস্থানে।

আরও পড়ুন:
৮০০ বিঘায় হযরত আলীর ২৭১ জাতের ফল
শখের চাষে রংপুরের মাটিতে বিদেশি ফল
এবার ইউটিউব দেখে চাষ করলেন মরুভূমির সাম্মাম

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The National Single Window NSW project organized the program titled "Celebrating Half A Million Cls Seminar on Paperless Customs Conferring E errorn Champion Certificate to the Tax Payers"

National Single Window (NSW) প্রকল্প কর্তৃক “Celebrating Half a Million CLPs & Seminar on Paperless Customs & Conferring e-Return Champion Certificate to the Tax Payers” শীর্ষক অনুষ্ঠান আয়োজন।

National Single Window (NSW) প্রকল্প কর্তৃক “Celebrating Half a Million CLPs & Seminar on Paperless Customs & Conferring e-Return Champion Certificate to the Tax Payers” শীর্ষক অনুষ্ঠান আয়োজন।

National Single Window (NSW) প্রকল্প কর্তৃক “Celebrating Half a Million CLPs & Seminar on Paperless Customs & Conferring e-Return Champion Certificate to the Tax Payers” শীর্ষক অনুষ্ঠান ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, লা মেরিডিয়ান, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, মাননীয় উপদেষ্টা, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব শেখ বশির উদ্দিন, মাননীয় উপদেষ্টা, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত জনাব লুৎফে সিদ্দিকী এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনাব মো: আবদুর রহমান খান, এফসিএমএ, সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এবং চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, দপ্তর/সংস্থার প্রধানগণ/উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা BSW প্ল্যাটফর্মের ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
BSW সিস্টেমটি বাণিজ্য প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ করার মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানিকারকগণের খরচ হ্রাস করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

গত ০২ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি: তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে BSW পোর্টাল উদ্বোধন ও আংশিকভাবে সিস্টেমটি চালু করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে, সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট ইস্যুকারী ১৯ টি সংস্থার মধ্যে ৭ টি সংস্থার (DoE, DGDA, EPB, DoEX, BNACWC, BEPZA and BEZA) ক্ষেত্রে Go-Live এর কার্যক্রম শুরু করা হয়। ইতোমধ্যে অন্য ১২ টি সংস্থাও (BAEC, BGMEA, BKMEA, BSTI, BTRC, CAAB, , DLS, , DoF, PQW, , BAERA, BIDA, CCIE) BSW সিস্টেমে যুক্ত হয়েছে এবং অনলাইনে সাটির্ফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট প্রদানের কার্যক্রম সম্পাদন করছে।

বিগত ২ জুলাই ২০২৫ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড হতে পরিপত্র জারীর মাধ্যমে সকল সংস্থার (১৯ টি) ক্ষেত্রেই BSW সিস্টেম এর মাধ্যমে CLP প্রদানের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। BSW এর মাধ্যমে এ পযর্ন্ত মোট ৫,৭৮,৪৯১টি সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট অনলাইনে ইস্যু করা হয়েছে।
অনলাইনে ইস্যুকৃত এসব সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিটসমূহের মধ্যে ৮৪ শতাংশের ক্ষেত্রে আবেদন দাখিলের ১ ঘণ্টার মধ্যে এবং ৯৫ শতাংশের ক্ষেত্রে আবেদন দাখিলের ১ দিনের মধ্যেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পাদিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য মুহূর্তগুলো:
• Celebrating Half a Million CLPs: BSW প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ০৫ (পাঁচ) লক্ষ সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট (CLP) ইস্যুর মাইলফলক অতিক্রম করায়, এ কৃতিত্বপূর্ণ অর্জন উদযাপন করা হয়। এছাড়াও BSW এর কার্যকারিতা এবং ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য এর প্রত্যাশিত সুবিধাগুলো তুলে ধরা হয়। অধিকন্তু সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট (CLP) ইস্যুর ফলে বিভিন্ন অংশীজনদের অভিজ্ঞতা ভিডিও ক্লিপের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়।
• Seminar on Paperless Customs: বাংলাদেশের বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পেপারলেস Customs. WTO –TFA Agreement এর আর্টিকেল ১০.৪ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভবিষ্যৎ কাস্টমস এর রূপরেখা হিসেবে Paperless Customs বিষয়ে একটি উপস্থাপনা প্রদান করা হয়। Paperless Customs বাস্তবায়ন হলে পন্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে জবাবদিহিতা ও কার্যকারিতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে ।

• Conferring e-Return Champion Certificate to the Tax Payers: বিগত কর বছরে সর্বাধিক অনলাইন রিটার্ন দাখিলকারী ০৫ টি প্রতিষ্ঠানকে “e-Return Champion” সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ১) সোনালী ব্যাংক পিএলসি, ২) ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, ৩) ব্র্যাক, ৪) বুরো বাংলাদেশ, ৫) রেনেটা পিএলসি

প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিবৃন্দ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন অংশীজনগণ তাঁদের বক্তব্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

NSW প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়ে BSW এবং e-Return সিস্টেমের অধিকতর উন্নয়নের জন্য ভূমিকা রাখতে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

প্রকল্প দুটি সফল করার ক্ষেত্রে সকল সহযোগী সংস্থা, উন্নয়ন অংশীদার, বেসরকারি খাতের সকল অংশীজন এবং সম্মানিত সকল করদাতাগণের দৃঢ় ভূমিকার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BRAC Banks new subdivision opening in Rajshahi suburbs

রাজশাহী উপশহরে ব্র্যাক ব্যাংকের নতুন উপশাখা উদ্বোধন

রাজশাহী উপশহরে ব্র্যাক ব্যাংকের নতুন উপশাখা উদ্বোধন

রাজশাহী উপশহরে নতুন একটি উপশাখা চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ রাজশাহী উপশহরে দড়িখরবোনা রোডের মনোয়ারা ম্যাক্স টাওয়ারে আনুষ্ঠানিকভাবে উপশাখাটি উদ্বোধন করেন।

ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিওও মো: সাব্বির হোসেন, সিনিয়র জোনাল হেড ফর নর্থ এ. কে. এম. তারেক এবং ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজশাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অর্থকরী ফসল - আম ও রেশমের মতো জন্য বিখ্যাত। এই উপশাখা চালুর ফলে এখানকার ব্যবসায়িক ও ব্যক্তি পর্যায়ের গ্রাহকরা অত্যাধুনিক ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

ব্র্যাক ব্যাংক গ্রাহকদের সর্বোত্তম ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে তাদের মাল্টি-চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউশন স্ট্র্যাটেজির অংশ হিসেবে উপশাখা নেটওয়ার্ক চালু করেছে।

নতুন উপশাখাটি একটি বিস্তৃত পরিসরে আধুনিক ব্যাংকিং সেবার ব্যবস্থা করবে, যা একক ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকদের জন্য আরও সুবিধাজনক হবে। এখানে গ্রাহকরা অ্যাকাউন্ট খোলা, নগদ জমা ও উত্তোলন, ডিপোজিট পেনশন স্কিম, ইএফটিএন (EFTN) ও আরটিজিএস (RTGS) ব্যবহার করে অর্থ স্থানান্তর, রেমিটেন্স, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, ক্রেডিট কার্ড, স্টুডেন্ট ফাইল, কনজিউমার লোন, ডেবিট কার্ড ও চেকবুক প্রসেসিং, আস্থা অ্যাপ নিবন্ধন, স্কুল ব্যাংকিং, সঞ্চয়পত্র এবং আরও অনেক সেবা গ্রহণ করতে পারবেন, তবে বৈদেশিক মুদ্রা সংক্রান্ত সেবা এখানে প্রদান করা হবে না।

২৯৪টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস ও ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৯৪টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৮ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। আঠারো লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৩ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Welcome to the Union Bank Deposit Accounting and Savings Project

ইউনিয়ন ব্যাংকের আমানত হিসাব ও সঞ্চয় প্রকল্পে আপনাকে স্বাগতম

ইউনিয়ন ব্যাংকের আমানত হিসাব ও সঞ্চয় প্রকল্পে আপনাকে স্বাগতম

শরীয়াহ্ ভিত্তিক ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসিতে সর্বস্তরের জনগণ ও প্রতিষ্ঠানের জন্য শরীয়াহ্ নীতিমালার আলোকে আমানত হিসাব ও সঞ্চয় প্রকল্প চালু রয়েছে। এ সকল আমানত হিসাব ও সঞ্চয় প্রকল্পে সকলের বেশ আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। নিজ নিজ প্রয়োজনানুসারে ব্যাংকের ১৭৪ টি শাখা ও উপ-শাখায় আমানত হিসাব ও সঞ্চয় প্রকল্প সমূহের সেবা গ্রহণের জন্য ইউনিয়ন ব্যাংক সর্বস্তরের জনগণ ও প্রতিষ্ঠানকে জানাচ্ছে সু-স্বাগতম।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mr Akhtaruddin Mahmud Bank is the new deputy managing director and chief human resources officer in Asia

জনাব আখতারুদ্দিন মাহমুদ ব্যাংক এশিয়ার নতুন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা

জনাব আখতারুদ্দিন মাহমুদ ব্যাংক এশিয়ার নতুন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা

জনাব আখতারুদ্দিন মাহমুদ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ব্যাংক এশিয়া পিএলসি-তে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা পদে যোগদান করেছেন।

জনাব মাহমুদ ব্যাংকিং ও ফাস্ট মুভিং কনজ্যুমার গুডস (এফএমসিজি) সেক্টরে মানবসম্পদ নেতৃত্বে দুই দশকেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন দক্ষ ব্যবস্থাপক। ব্যাংক এশিয়ায় যোগদানের পূর্বে তিনি ব্র্যাক ব্যাংকে হেড অফ হিউম্যান রিসোর্সেস হিসেবে কর্মরত ছিলেন, যেখানে তিনি মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার কৌশলগত নীতি, সাংগঠনিক সংস্কৃতি শক্তিশালীকরণ এবং ট্রান্সফরমেটিভ এইচআর প্র্যাকটিস চালু করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সাংগঠনিক উন্নয়ন, প্রতিভা বিকাশ ও নেতৃত্ব সৃষ্টি এবং কর্মীর উদ্যোগকে ব্যবসায়িক কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার ক্ষেত্রে জনাব মাহমুদ ইন্ডাস্ট্রিতে বিশেষভাবে পরিচিত। তার মানবসম্পদ কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠানে শক্তিশালী টিম গঠন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিবেশ গড়ে তোলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তার যোগদান ব্যাংক এশিয়ার কর্মকৌশলকে ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সমন্বয় করার অঙ্গীকারকে আরও দৃঢ় করা এবং নেতৃত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি মাইলফলক হিসেবে গণ্য হবে। জনাব মাহমুদ একজন এক্সিকিউটিভ এমবিএ এবং এভিয়েশনে স্নাতক ডিগ্রীধারী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The science festival became a science festival in Rangpur and Rajshahi

বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা’র আয়োজনে রংপুর ও রাজশাহীতে হয়ে গেলো ‘বিজ্ঞান উৎসব’

বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা’র আয়োজনে রংপুর ও রাজশাহীতে হয়ে গেলো ‘বিজ্ঞান উৎসব’

রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের স্কুল শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান চর্চায় উৎসাহিত করতে বিকাশ ও বিজ্ঞান চিন্তার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বিজ্ঞান উৎসবের আঞ্চলিক পর্ব। ঢাকা’র পর বিভাগীয় এই শহর দু’টির উৎসবে প্রায় ১০০টি স্কুলের ১৫০০-এর বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ও গবেষণাধর্মী বিভিন্ন প্রকল্প প্রদর্শন, কুইজ, বিজ্ঞানবিষয়ক আলোচনা এবং প্রশ্নোত্তর পর্বসহ নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর হয়ে উঠে বিজ্ঞান চর্চার এই আয়োজন।

সম্প্রতি রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং রাজশাহীর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ -এ আয়োজিত এই উৎসবে দুই বিভাগ থেকে ১২০টির বেশি প্রকল্প প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা। খুদে বিজ্ঞানীদের প্রদর্শিত নানান উদ্ভাবনী প্রকল্পের মধ্য থেকে প্রতিটি বিভাগে সেরা দশ প্রকল্পকে পুরস্কৃত করা হয়। পাশাপাশি, রংপুর উৎসবে কুইজে অংশগ্রহণকারী ৮০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে দুই ক্যাটাগরিতে ২৫ জন ও রাজশাহীতে ৫৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২১ জন কুইজ বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

রংপুরে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডীন ড. মিজানুর রহমান, পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. কে এম জালাল উদ্দীন আকবর ও বিকাশ এর ইভিপি ও রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এর প্রধান হুমায়ুন কবির। রাজশাহীতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ব্যানার্জি ও বিকাশ এর রেগুলেটরি এন্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট সায়মা আহসান এবং বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার ।

বাড়তি চমক হিসেবে ছিলো বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন স্টল, বিজ্ঞান ভিত্তিক জাদুর প্রদর্শনী, লেখক, গণিতবিদ, বিজ্ঞান বক্তাদের বক্তব্য ও শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্ব, সংগীতানুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।

বিভাগীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান প্রকল্পে ও কুইজ বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরবর্তীতে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত বিজ্ঞান উৎসব আয়োজন করা হবে। সারাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
MetLife Bangladesh launched the service of digital insurance policy document within 24 hours

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিজিটাল বীমা পলিসি ডক্যুমেন্ট প্রদানের সেবা চালু করল মেটলাইফ বাংলাদেশ

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিজিটাল বীমা পলিসি ডক্যুমেন্ট প্রদানের সেবা চালু করল মেটলাইফ বাংলাদেশ

মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা এখন থেকে বীমা আবেদনের ঝুঁকি পর্যালোচনা বা আন্ডাররাইটিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইমেইলের মাধ্যমে ডিজিটাল পলিসি ডক্যুমেন্ট পেয়ে যাবেন। এই উদ্যোগ দেশের বীমা খাতে গ্রাহককেন্দ্রিক উদ্ভাবনের এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে।

সাধারণত, বীমা আবেদনের ঝুঁকি পর্যালোচনার পর কাগজে প্রিন্ট করা পলিসি ডক্যুমেন্ট গ্রাহককে সরবরাহ করতে কয়েকদিন সময় লাগে। এই নতুন উদ্ভাবনের ফলে এখন গ্রাহকরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইমেইলে ডিজিটাল পলিসি ডক্যুমেন্ট পাবেন, যা তাদের জন্য আরও অনেক সুবিধাজনক হবে। উল্লেখ্য, গ্রাহক কাগজে ছাপানো পলিসি ডকুমেন্টও পাবেন। গ্রাহকের প্রয়োজনীয় সব তথ্য পাওয়া সাপেক্ষে এই ডিজিটাল সেবা প্রদান করা হবে।

ডিজিটাল পলিসি ডক্যুমেন্টে থাকবে গ্রাহকের পূরণকৃত আবেদনপত্র, বীমা পলিসির বিস্তারিত তথ্য, একটি স্বাগত বার্তা এবং শর্তাবলি। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক ডক্যুমেন্টের মতো, বীমা সম্পর্কিত ডক্যুমেন্টও সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি। ডিজিটাল চ্যানেল যুক্ত হওয়ায় এখন গ্রাহকরা আরও সহজে তাদের বীমা ডক্যুমেন্ট নিরাপদে সংরক্ষণ করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

“মেটলাইফে, আমাদের লক্ষ্য হলো গ্রাহকদের জন্য বীমা সহজ, দ্রুত এবং আরও সহজলভ্য করা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিজিটাল পলিসি ডক্যুমেন্ট ইস্যু চালু করে, আমরা কেবল প্রক্রিয়াটি দ্রুততর-ই করছি না, সেই সাথে গ্রাহকদের বীমা অভিজ্ঞতায় নতুনত্ব নিয়ে আসছি। এই উদ্ভাবনটি সুরক্ষা এবং সুবিধার সমন্বয় করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটায় এবং নিশ্চিত করে যে আমাদের গ্রাহকরা যেন তাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহে মনোনিবেশ করতে পারেন,” আলা আহমদ, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, মেটলাইফ বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে মেটলাইফ প্রায় ১০ লাখ গ্রাহককে আর্থিক সুরক্ষা দিয়ে আসছে। মেটলাইফের বিস্তৃত জীবনবীমা সেবা এবং ডিজিটাল উদ্যোগ দেশের আর্থিক নিরাপত্তা ও আস্থার উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Customers will be able to buy insurance policies from the banking app for the first time under the partnership of City Bank and Guardian

সিটি ব্যাংক ও গার্ডিয়ানের অংশীদারিত্বে প্রথমবারের মত ব্যাংকিং অ্যাপ থেকে ইন্স্যুরেন্স পলিসি কিনতে পারবেন গ্রাহকেরা

সিটি ব্যাংক ও গার্ডিয়ানের অংশীদারিত্বে প্রথমবারের মত ব্যাংকিং অ্যাপ থেকে ইন্স্যুরেন্স পলিসি কিনতে পারবেন গ্রাহকেরা

দেশে প্রথমবারের মতো সিটি ব্যাংকের গ্রাহকেরা নিজস্ব ব্যাকিং অ্যাপ ‘সিটি টাচ’ থেকে সরাসরি গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পলিসি কিনতে পারবেন। নতুন এই ফিচারটির মাধ্যমে গ্রাহকেরা যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে বিভিন্ন ধরনের পলিসি সম্পর্কে জানা, তাৎক্ষণিক পলিসি কেনা, এমনকি ইন্স্যুরেন্স ক্লেইম জমা দিতে পারবেন। ইন্স্যুরেন্স খাতে এই নতুনত্ব প্রমাণ করে যে, ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স একত্রিত হলে তা গ্রাহকদের জন্য আরও উন্নত সুবিধা এবং আর্থিক নিরাপত্তা দিতে পারে।

গার্ডিয়ান এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী শেখ রকিবুল করিম এফসিএ বলেন, “ইন্স্যুরেন্সকে সবার জন্য সহজ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ, তবে জীবন ও স্বপ্নকে সুরক্ষা দিতে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে আমরা দ্রুত, নির্ভরযোগ্য ও ঝামেলামুক্ত সেবা নিশ্চিত করছি। এ অংশীদারিত্বের ফলে গ্রাহকেরা খুব সহজেই অনলাইনে এখন তাদের ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন।”

সিটি ব্যাংকের ডিএমডি এবং হেড অফ রিটেল ব্যাংকিং মোঃ অরূপ হায়দার বলেন, “সিটি ব্যাংকই প্রথম ব্যাংক যারা বাজারে ব্যাংকান্সুরেন্স চালু করে। স্থানীয় ব্যাংকিং ইন্ডাষ্ট্রিতে ডিজিটাল সমাধান আনার ক্ষেত্রেও আমরা এগিয়ে আছি। তাই ব্যাংকিং অ্যাপে সরাসরি বীমা পণ্য চালু করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ব্যাংক হওয়া একটি স্বাভাবিক অগ্রগতি ছিল, যার ফলে আমাদের গ্রাহকদের বিস্ত‍ৃত পরিসরের আর্থিক সমাধান প্রদান করা হচ্ছে।”

গার্ডিয়ান সব সময় ইন্স্যুরেন্সকে আরও সহজলভ্য ও স্বচ্ছ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর সে লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক ও আন্তর্জাতিকমানের সেবার অনুশীলন অনুসরণ করে আসছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সূচনা দিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল তা এখন এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আরও বিস্ত‍ৃত হয়েছে এবং এর ফলে বাংলাদেশের ডিজিটাল ইন্স্যুরেন্স খাতে গার্ডিয়ানের নেতৃত্ব আরও সুদৃঢ় হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে