বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতি, আর্থিক জালিয়াতি ও জঙ্গিবাদের কবল থেকে রক্ষায় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে প্রোটেকশন ফর লিগ্যাল হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে শনিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানায় সংগঠনটি। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ ও সদস্য এম এ কাশেমের নানা দুর্নীতি-অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির উপদেষ্টা ড. সুফি সাগর সামস্ অভিযোগ করেন, আজিম-কাশেম সিন্ডিকেটের স্বেচ্ছাচার, সীমাহীন দুর্নীতি-অনিয়ম ও জঙ্গিবাদের বিকাশ ঘটায় বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। ক্রমেই কমছে শিক্ষার মানও।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মাদ সেলিম হোসেন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন জুয়েল, মতিউর রহমান তালুকদার, মোহাম্মদ ফজলুল বারী প্রমুখ।
জমি কেনার নামে ৪২৫ কোটি টাকা লোপাট
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস করার নামে আজিম ও কাশেম সিন্ডিকেট শত শত কোটি টাকা লোপাট করেছে। পূর্বাচলসংলগ্ন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ২৫০ বিঘা নিচু জমি কিনে ৪২৫ কোটি টাকা লোপাট করেছে সিন্ডিকেটটি। আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বাজারদরের চেয়ে সাত গুণ বেশি দামে সেই জমি কেনা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, ২০১৪ সালে যখন জমিটি কেনা হয়, তখন বাজারদর ছিল মাত্র ৩০ লাখ টাকা। কিন্তু আজিম-কাশেম সিন্ডিকেট বিঘাপ্রতি ক্রয়মূল্য দেখিয়েছে ২ কোটি টাকা। এভাবে তারা আত্মসাৎ করেছে ৪২৫ কোটি টাকা। আবার সেই জমি ভরাটের নামেও ৩৫ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
আজিম-কাশেমের কমিশন-বাণিজ্য
সংবাদ সম্মেলনে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের হিসাব বিবরণীর তথ্য তুলে ধরে ড. সুফি সাগর সামস্ বলেন, নতুন ক্যাম্পাসের নামে যে ডেভেলপার্স কোম্পানির কাছ থেকে জমি কেনা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে ১৪ কোটি টাকা কমিশন নিয়েছেন আজিম-কাশেম, যার মধ্যে ৪ কোটি টাকা নেয়া হয় বায়নার সময়। আর বাকি ১০ কোটি টাকা নেয়া হয় জমি নিবন্ধনের পর।
কীভাবে সেই টাকা তাদের হাতে পৌঁছায়, তাও তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। বলা হয়, আশালয় হাউজিংয়ের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বনানী শাখার হিসাব নম্বর ১০৩১২০০০০০০৮৭১ থেকে সাউথইস্ট ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ নগদ ৫ কোটি টাকা তুলে কাশেমের বাসায় পৌঁছে দেন। আর একই ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার কর্মকর্তা কাওসার মাহমুদ বাকি ৫ কোটি টাকা পৌঁছে দেন আজিমের বাসায়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আজিম-কাশেম ও তাদের স্ত্রীরা সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালক হওয়ায় কর্মকর্তারা তাদের বাড়িতে টাকা পৌঁছে দিতে একপ্রকার বাধ্য হন।
টিউশন ফির টাকায় বিলাসবহুল গাড়ি ক্রয়
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, শিক্ষার্থীদের ওপর টিউশন ফির বোঝা চাপিয়ে সেই টাকায় বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা। টিউশন ফির টাকায় ট্রাস্টি বোর্ডের ৯ সদস্যের জন্য অবৈধভাবে কেনা হয় বিলাসবহুল আটটি রেঞ্জ রোভার ও একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি। যে জন্য ব্যয় হয় ২৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। শুধু তা-ই নয়, গাড়ির চালকদের বেতন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং তেল খরচও নেয়া হতো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
নর্থ সাউথ যেন টাকা বানানোর হাতিয়ার
সংবাদ সম্মেলনে ড. সুফি সাগর সামস্ আরও অভিযোগ করেন, আজিম-কাশেম বিশ্ববিদ্যালয়টিকে তাদের টাকা বানানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। এ উদ্দেশ্যেই ২০১৮ সাল থেকে সিটিং অ্যালাউন্স বাবদ প্রতিটি বোর্ড অফ ট্রাস্টির মিটিংয়ে এক লাখ টাকা নিয়ে আসছে। আর অন্যান্য মিটিংয়ে নেয় ৫০ হাজার টাকা। পরে এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে লেখালেখি হলে টাকার অঙ্ক অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নীতিমালায় সিটিং অ্যালাউন্স ফি নির্ধারিত থাকলেও তা মানা হয়নি। শুধু তা-ই নয়, ফির পরিমাণ বাড়াতে ইচ্ছাকৃতভাবে মিটিং বারবার মুলতবি করে একাধিক দিনে সমাপ্ত করার নজিরও রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, অনেক সময় কোনো কমিটির সদস্য না হয়েও মিটিংয়ে উপস্থিত হয়ে সিটিং অ্যালাউন্স নিয়েছেন কেউ কেউ। করোনা মহামারির এ সময়ে অনলাইন মিটিং করেও সমপরিমাণ অ্যালাউন্স নিয়েছেন ট্রাস্টিরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা নিজেদের ব্যাংকে
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, কোনো রকম নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০৮ কোটি টাকা নিজেদের মালিকানাধীন সাউথইস্ট ব্যাংকে এফডিআর করেন আজিম-কাশেম। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সম্পত্তির ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নিরঙ্কুশ করতেই টাকাগুলো সাউথইস্ট ব্যাংকে রাখেন তারা।
টাকা কামাতে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দশনা অমান্য করে নর্থ সাউথে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তিরও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এ জন্য নেয়া হয় বাড়তি টাকাও। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিবিএ অনুষদে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পরামর্শকমূলক গণবিজ্ঞপ্তিও জারি করে ইউজিসি। আইন অনুষদেও অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ করা হয়।
জঙ্গিবাদে উৎসাহ প্রদান
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, শিক্ষার্থী-অভিভাবকের কাছে আকর্ষণীয় এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছে। ফলে ভয়ংকর সব জঙ্গি সংগঠনের নিরাপদ আশ্রয় এখন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। যার দায়ভার এড়াতে পারে না আজিম-কাশেম সিন্ডিকেট। এ সময় আরও বলা হয়, লেখক রাজীব হায়দারকে ২০১৩ সালে জঙ্গিরা কুপিয়ে হত্যা করে। সেই হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি নাফিস ইমতিয়াজকে ১০ বছর পর আবারও ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়কে বানানো হয়েছে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান
কেবল আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতিই নয়, আত্মীয়করণের মাধ্যমেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ভূলণ্ঠিত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, এম এ কাশেম তার মেয়ের স্বামীকে ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। ট্রাস্টি বোর্ডের আরেক সদস্য বেনজীর আহমেদ তার ছেলে রাহাত আহমেদকে প্রধান করে স্টার্টআপ নেক্সট নামে নিয়মবহির্ভূতভাবে একটি প্রোগ্রাম চালু করেন, শিক্ষার্থীদের মাঝ থেকে নতুন উদ্যোক্তা তৈরির অজুহাতে যেখানে ব্যয় করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগেও প্রাধান্য পায় নিকট আত্মীয় ও পরিচিতজনরা।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে ড. সুফি সাগর সামস্ বলেন, ‘আপনাদের সামনে যে অভিযোগ রেখেছি, তা রূপকথার গল্প মনে হলেও দিনের আলোর মতো সত্য। এ-সংক্রান্ত সব তথ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে।
‘সন্তানদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ ছাড়া আমাদের বিশেষ কিছু চাওয়ার নেই। বিশ্ববিদ্যালয়েটিকে জঙ্গিবাদের অভায়াশ্রম হিসেবে গড়ে তোলার আজিম-কাশেম সিন্ডিকেটের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রতিবাদই এ সংবাদ সম্মেলন।’
প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের নীতিনির্ধারণী সব পক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ড. সুফি সাগর বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে এখনও নিভু নিভু যে আলো জ্বলছে, আজিম-কাশেম সিন্ডিকেটের অপকর্ম চলমান থাকলে তাও থাকবে না। অনিয়ম-দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে রক্ষায় সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।’
অভিযুক্তদের কথা
এসব অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এম এ কাশেমের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে নিউজবাংলার কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে। সংবাদ সম্মেলনে আনা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসব বিষয়ে আপনি ইউনিভার্সিটি অথরিটিকে প্রশ্ন করেন। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত নই, আমরা ট্রাস্টি, আমরা ম্যানেজমেন্ট লেভেলে আর কী। আমাদের দায়িত্ব হলো ট্রাস্টটাকে ম্যানেজ করা আর অ্যাক্টিভিটিজটা করে ইউনিভার্সিটি। তাই সব খবর আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই পাবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা নিজেদের ব্যাংকে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে আজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কোনো ব্যাংক নেই, এটা পাবলিকের ব্যাংক। আমরা এই ব্যাংকের অংশীদার, শেয়ারহোল্ডার মাত্র। আমরা ডিরেক্টর হিসেবে আছি, কিন্তু এটা চলে তো বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনে।’
ডেভেলপারস কোম্পানির কাছ থেকে কমিশন নেয়ার অভিযোগ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এগুলো আমি কিছু জানি না, সরি সরি এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না, ধন্যবাদ।’
আরও পড়ুন:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীষ্মের ছুটি পিছিয়ে ঈদুল আজহার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের কনফারেন্স কক্ষে বুধবার দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রণব কুমার পান্ডে।
জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীষ্মাবকাশ ৫ থেকে ৯ মে এবং ১৬ থেকে ২৪ জুন ঈদ-উল-আযহার ছুটি পূর্বনির্ধারিত ছিল, কিন্তু চলমান তাপদাহের কারণে পানি সংকটের আশঙ্কা এবং শিক্ষার্থীদের এতদসংক্রান্ত নানাবিধ অসুবিধার কথা বিবেচনা করে ছুটিসমূহ পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পুনর্বিন্যস্ত ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ ৯ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত এবং অফিসসমূহ ৯ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ৩০ জুন থেকে ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়াও গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত ২ মে ক্লাস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়। একইসঙ্গে বিভাগসমূহ প্রয়োজনবোধে ৬ জুন পর্যন্ত অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে বলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রক্টরিয়াল বডি থেকে আরও এক সহকারী প্রক্টর পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগকারী শিক্ষক হলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী এম আনিছুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো এক পদত্যাগপত্র থেকে বুধবার দুপুরে এ তথ্য জানানো হয়।
পদত্যাগপত্রে আনিছুল ইসলাম উল্লেখ করেন, ‘সম্প্রতি ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস কমিটির সদস্য আবু ওবায়দা রাহিদ অনুমতি ছাড়াই আমাদের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নির্মিতব্য সংরক্ষিত কক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে আসন বিন্যাস পরিকল্পনা করেন এবং তা কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠিয়ে দেন। অনুমতি ছাড়া ল্যাবে প্রবেশ ও আসন পরিকল্পনা করার কথা জানতে চাইলে তিনি আমার সঙ্গে উদ্ধত আচরণ করেন।
‘পরবর্তী সময়ে ঈদ ছুটি শেষে অনুমতি নেয়ার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তিনি ক্যাম্পাসে গোল চত্বরে শিক্ষার্থীদের সামনে আমাকে বিভিন্নভাবে অপমানসূচক কথাবার্তা বলতে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে স্লেজিং করতে থাকেন। ওই সময় উপস্থিত তিন শিক্ষক তাকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তিনি আমার দিকে বারবার তেড়ে আসতে থাকেন।’
পদত্যাগপত্রে আরও বলা হয়েছে, ‘পরবর্তী সময়ে সমঝোতা বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও একজন অধ্যাপকের সামনে তিনি আমাকে মারতে উদ্যত হন এবং আমার পরিবার নিয়ে অশালীন কথাবার্তা বলেন, কিন্তু ঘটনার তিন দিন পার হয়ে গেলেও ওই সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
কাজী এম আনিছুল ইসলাম বলেন, ‘একজন সহকারী প্রক্টর নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে আমাকে অপদস্থ করেছেন এবং হুমকি দিয়েছেন। তাই আমি এ দায়িত্ব পালনে বিব্রতবোধ করছি। পাশাপাশি আমার সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচারের দাবি জানিয়ে আমি সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।’
এর আগে গত ০৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক তোফায়েল হোসেন মজুমদার, ০৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মাহবুবুল হক ভুঁইয়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান এবং ২০ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর কামরুল হাসান ও শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক কুলছুম আক্তার স্বপ্না পদত্যাগ করেন।
এ ছাড়াও ১৯ মার্চ সিন্ডিকেট সভায় ‘অ্যাজেন্ডা বহির্ভূত ও বেআইনিভাবে ডিন নিয়োগ’ দেয়ার কারণ দেখিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যের পদ থেকে অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান পদত্যাগ করেন। সবশেষ ২০ মার্চ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অর্ণব বিশ্বাস, ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জয় চন্দ্র রাজবংশীসহ মোট চার হলের চারজন হাউজ টিউটর পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ প্যানেলে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলরদের ভোটে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সিনেট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সিরাজগঞ্জের রাশিদাজ্জোহা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম।
ড. খাদেমুল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর (১৯৯২) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে ১৪তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে পদার্থবিদ্যার প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান।
খাদেমুল চাকরিতে থাকা অবস্থায় প্রেষণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Plasma Physics-এ Ph.D. (২০০৫) ডিগ্রি অর্জন করেন। তা ছাড়া তিনি অস্ট্রেলিয়ার University of Melbourne থেকে Learners’ Assesment System-এর ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ নেন, যা বাংলাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষায় সংস্কার বিষয়ে অবদান রাখতে সহায়তা করে।
পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যলয় থেকে এম.এড. (২০১৭) এবং মালয়শিয়ার University of Nottingham থেকে Master of Education (প্রথম পর্ব) শেষ করেন। তিনি ২০১৭ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান।
ড. খাদেমুল দেশে ও বিদেশে পদার্থবিজ্ঞানের অনেক সম্মেলনে অংশ নিয়ে সেখানে বিজ্ঞানবিষয়ক গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক জার্নালে তার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক গবেষণাপত্র প্রকাশ হয়েছে।
খাদেমুল প্রায় পাঁচ বছর ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটে ‘পরীক্ষা মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ’ এবং জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) ১০ বছর ‘প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দীর্ঘ চাকরি জীবনে তিনি আমেরিকার University of Alabama ও নিউ ইয়র্কে University of Fordham থেকে Secondary School Mangement বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন।
তিনি শিক্ষাক্রম, শিক্ষার্থী মূল্যায়ন ও দক্ষতাভিত্তিক প্রশ্ন প্রণয়ন বিষয়ে সারা দেশে Resource Person হিসেবে কাজ করেন। ড. খাদেমুল পদার্থবিজ্ঞানের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় শাখা Plasma Physics-এ জোহান্সবার্গের University of the Witwatersrand থেকে Post-Doctoral গবেষণা (২০০৮) সম্পন্ন করেন। এর অব্যবহিত পূর্বে তিনি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় গাজীপুর জেলার বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অধ্যক্ষ হিসেবে (২০২০-২০২১) দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ঢাকার ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচিত হন ২০২১ সালে।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে গোসলে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়।
ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানকে আহ্বায়ক এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মুহিতকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মো. সোহাদ হকের এ মৃত্যুকে অপমৃত্যু দাবি করে এর কারণ চিহ্নিত করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য কমিটিকে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি কমিটিকে তদন্ত কাজ সম্পন্ন এবং সুইমিংপুলের ব্যবস্থাপনায় কোনো অবহেলা বা ত্রুটি আছে কি না, তা চিহ্নিত করে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এই কমিটি গঠন করেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শরিফ উল ইসলাম এবং বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন।
এর আগে সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিংপুলে গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে যান মোহাম্মদ সোয়াদ।
পরে আশেপাশের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা সোয়া ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জামিল নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যে পুলে সোয়াদ তলিয়ে যায় সেটির গভীরতা ছিল ৮ থেকে ১০ ফিট। এটাতে কেউ ডুবে মারা যাবে, এটা স্বাভাবিকভাবে কারোর চিন্তায়ই আসবে না। পানির তলে গিয়ে ওপরের দিকে লাফ দিলেই ওপরে উঠে আসার কথা!’
তিনি বলেন, ‘আমরা শতাধিক ছাত্র ছিলাম, কিন্তু কেউই খেয়াল করিনি যে সে ডুবে গেছে।’
আরও পড়ুন:বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও একজন।
সোমবার বিকেল চারটার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার জিয়ানগরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, এদিন বিকেলে জিয়ানগরে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে যায় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা, দ্বিতীয় বর্ষের তাওফিক হোসাইন ও জাকারিয়া হিমু। পথিমধ্যে শাহ আমানত নামের একটি বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন শান্ত সাহা। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তাওফিক হোসাইন। মোটরসাইকেলের আরেক যাত্রী জাকারিয়া হিমুকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম শহরের এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শাহ আমানতের কয়েকটি বাস আটক করার পর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। একটি বাসে আগুনও দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
চুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (২১ ব্যাচ) শিক্ষার্থী পল্লব ঘোষ বলেন, ‘শান্ত ভাই আমার খুবই কাছের বড় ভাই এবং একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন, কিন্তু বাসের বেপরোয়া গতির জন্য আজ একটি প্রাণ ঝরে গেল। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি উপযুক্ত বিচার দাবি করি ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের ব্যাবস্থা করা হবে। এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না হয়, সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সুইমিংপুলে গোসল করতে গিয়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ সোয়াদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষে পড়তেন।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিংপুলে গোসল করতে নামলে পানিতে তলিয়ে যান তিনি।
পরে আশেপাশের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা সোয়া ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জামিল নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, যে পুলে সোয়াদ তলিয়ে যায় সেটির গভীরতা ছিল ৮/১০ ফিট। এটাতে কেউ ডুবে মারা যাবে, এটা স্বাভাবিকভাবে কারোর চিন্তায়ই আসবে না। পানির তলে গিয়ে ওপরের দিকে লাফ দিলেই ওপরে উঠে আসার কথা!
তিনি বলেন, আমরা শতাধিক ছাত্র ছিলাম। কিন্তু কেউই খেয়াল করিনি যে সে ডুবে গেছে!
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, পানিতে পড়ে গুরুতর আহত হওয়ার পর মেডিক্যালে নিয়ে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারা গেছেন। মরদেহ মর্গে নেয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক শাহজাহান আলী বলেন, দর্শন বিভাগের সোয়াদ নামে এক শিক্ষার্থী সুইমিংপুলের পানিতে লাফালাফি করতে গিয়ে পানির সাথে ধাক্কা বা আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়। তখন সেখানে তার বন্ধুবান্ধব ছিল এবং আশেপাশে আমাদের লোকজনও ছিল।
তিনি বলেন, এ সময় তারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে পাঠায়। পরে ঢাকা মেডিক্যালে নেয়া হয়। বিষয়টি আমি আমাদের প্রক্টর মহোদয়কেও জানিয়েছি।
আরও পড়ুন:সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত পরীক্ষার প্রকাশিত ফল স্থগিত করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার রাতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকাশিত ফলাফলে দুটি সেট কোডের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ফল পুনরায় মূল্যায়ন শুরু করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিম। পুনঃমূল্যায়ন শেষে রোববার রাত ১২টার মধ্যেই সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ফল রোববার দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক স্মারকে প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ২৩ হাজার ৫৭ জন প্রার্থী। প্রকাশিত ফলাফলে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়েছে।
মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র আইআইসিটি, বুয়েটের কারিগরি টিম ইতোমধ্যে পুনঃমূল্যায়নের কাজ শুরু করেছে। রাত ১২টার মধ্যে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়ন করে নিরীক্ষান্তে সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে রোববার দুপুরে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়। অনেক প্রার্থী ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন। অনেকে ফেসবুকে পোস্ট দেন। পরে মেঘনা ও যমুনা কোডের প্রার্থীরা গ্রুপ খুলে সেখানে কারা কারা ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল পাননি তা জানাতে থাকেন।
বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিপদপ্তরের দৃষ্টিগোচর করলে দুই সেটের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য