বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতি, আর্থিক জালিয়াতি ও জঙ্গিবাদের কবল থেকে রক্ষায় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে প্রোটেকশন ফর লিগ্যাল হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে শনিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানায় সংগঠনটি। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ ও সদস্য এম এ কাশেমের নানা দুর্নীতি-অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির উপদেষ্টা ড. সুফি সাগর সামস্ অভিযোগ করেন, আজিম-কাশেম সিন্ডিকেটের স্বেচ্ছাচার, সীমাহীন দুর্নীতি-অনিয়ম ও জঙ্গিবাদের বিকাশ ঘটায় বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। ক্রমেই কমছে শিক্ষার মানও।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মাদ সেলিম হোসেন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন জুয়েল, মতিউর রহমান তালুকদার, মোহাম্মদ ফজলুল বারী প্রমুখ।
জমি কেনার নামে ৪২৫ কোটি টাকা লোপাট
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস করার নামে আজিম ও কাশেম সিন্ডিকেট শত শত কোটি টাকা লোপাট করেছে। পূর্বাচলসংলগ্ন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ২৫০ বিঘা নিচু জমি কিনে ৪২৫ কোটি টাকা লোপাট করেছে সিন্ডিকেটটি। আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বাজারদরের চেয়ে সাত গুণ বেশি দামে সেই জমি কেনা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, ২০১৪ সালে যখন জমিটি কেনা হয়, তখন বাজারদর ছিল মাত্র ৩০ লাখ টাকা। কিন্তু আজিম-কাশেম সিন্ডিকেট বিঘাপ্রতি ক্রয়মূল্য দেখিয়েছে ২ কোটি টাকা। এভাবে তারা আত্মসাৎ করেছে ৪২৫ কোটি টাকা। আবার সেই জমি ভরাটের নামেও ৩৫ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
আজিম-কাশেমের কমিশন-বাণিজ্য
সংবাদ সম্মেলনে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের হিসাব বিবরণীর তথ্য তুলে ধরে ড. সুফি সাগর সামস্ বলেন, নতুন ক্যাম্পাসের নামে যে ডেভেলপার্স কোম্পানির কাছ থেকে জমি কেনা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে ১৪ কোটি টাকা কমিশন নিয়েছেন আজিম-কাশেম, যার মধ্যে ৪ কোটি টাকা নেয়া হয় বায়নার সময়। আর বাকি ১০ কোটি টাকা নেয়া হয় জমি নিবন্ধনের পর।
কীভাবে সেই টাকা তাদের হাতে পৌঁছায়, তাও তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। বলা হয়, আশালয় হাউজিংয়ের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বনানী শাখার হিসাব নম্বর ১০৩১২০০০০০০৮৭১ থেকে সাউথইস্ট ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ নগদ ৫ কোটি টাকা তুলে কাশেমের বাসায় পৌঁছে দেন। আর একই ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার কর্মকর্তা কাওসার মাহমুদ বাকি ৫ কোটি টাকা পৌঁছে দেন আজিমের বাসায়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আজিম-কাশেম ও তাদের স্ত্রীরা সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালক হওয়ায় কর্মকর্তারা তাদের বাড়িতে টাকা পৌঁছে দিতে একপ্রকার বাধ্য হন।
টিউশন ফির টাকায় বিলাসবহুল গাড়ি ক্রয়
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, শিক্ষার্থীদের ওপর টিউশন ফির বোঝা চাপিয়ে সেই টাকায় বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা। টিউশন ফির টাকায় ট্রাস্টি বোর্ডের ৯ সদস্যের জন্য অবৈধভাবে কেনা হয় বিলাসবহুল আটটি রেঞ্জ রোভার ও একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি। যে জন্য ব্যয় হয় ২৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। শুধু তা-ই নয়, গাড়ির চালকদের বেতন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং তেল খরচও নেয়া হতো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
নর্থ সাউথ যেন টাকা বানানোর হাতিয়ার
সংবাদ সম্মেলনে ড. সুফি সাগর সামস্ আরও অভিযোগ করেন, আজিম-কাশেম বিশ্ববিদ্যালয়টিকে তাদের টাকা বানানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। এ উদ্দেশ্যেই ২০১৮ সাল থেকে সিটিং অ্যালাউন্স বাবদ প্রতিটি বোর্ড অফ ট্রাস্টির মিটিংয়ে এক লাখ টাকা নিয়ে আসছে। আর অন্যান্য মিটিংয়ে নেয় ৫০ হাজার টাকা। পরে এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে লেখালেখি হলে টাকার অঙ্ক অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নীতিমালায় সিটিং অ্যালাউন্স ফি নির্ধারিত থাকলেও তা মানা হয়নি। শুধু তা-ই নয়, ফির পরিমাণ বাড়াতে ইচ্ছাকৃতভাবে মিটিং বারবার মুলতবি করে একাধিক দিনে সমাপ্ত করার নজিরও রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, অনেক সময় কোনো কমিটির সদস্য না হয়েও মিটিংয়ে উপস্থিত হয়ে সিটিং অ্যালাউন্স নিয়েছেন কেউ কেউ। করোনা মহামারির এ সময়ে অনলাইন মিটিং করেও সমপরিমাণ অ্যালাউন্স নিয়েছেন ট্রাস্টিরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা নিজেদের ব্যাংকে
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, কোনো রকম নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০৮ কোটি টাকা নিজেদের মালিকানাধীন সাউথইস্ট ব্যাংকে এফডিআর করেন আজিম-কাশেম। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সম্পত্তির ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নিরঙ্কুশ করতেই টাকাগুলো সাউথইস্ট ব্যাংকে রাখেন তারা।
টাকা কামাতে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দশনা অমান্য করে নর্থ সাউথে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তিরও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এ জন্য নেয়া হয় বাড়তি টাকাও। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিবিএ অনুষদে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পরামর্শকমূলক গণবিজ্ঞপ্তিও জারি করে ইউজিসি। আইন অনুষদেও অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ করা হয়।
জঙ্গিবাদে উৎসাহ প্রদান
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, শিক্ষার্থী-অভিভাবকের কাছে আকর্ষণীয় এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছে। ফলে ভয়ংকর সব জঙ্গি সংগঠনের নিরাপদ আশ্রয় এখন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। যার দায়ভার এড়াতে পারে না আজিম-কাশেম সিন্ডিকেট। এ সময় আরও বলা হয়, লেখক রাজীব হায়দারকে ২০১৩ সালে জঙ্গিরা কুপিয়ে হত্যা করে। সেই হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি নাফিস ইমতিয়াজকে ১০ বছর পর আবারও ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়কে বানানো হয়েছে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান
কেবল আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতিই নয়, আত্মীয়করণের মাধ্যমেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ভূলণ্ঠিত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, এম এ কাশেম তার মেয়ের স্বামীকে ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। ট্রাস্টি বোর্ডের আরেক সদস্য বেনজীর আহমেদ তার ছেলে রাহাত আহমেদকে প্রধান করে স্টার্টআপ নেক্সট নামে নিয়মবহির্ভূতভাবে একটি প্রোগ্রাম চালু করেন, শিক্ষার্থীদের মাঝ থেকে নতুন উদ্যোক্তা তৈরির অজুহাতে যেখানে ব্যয় করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগেও প্রাধান্য পায় নিকট আত্মীয় ও পরিচিতজনরা।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে ড. সুফি সাগর সামস্ বলেন, ‘আপনাদের সামনে যে অভিযোগ রেখেছি, তা রূপকথার গল্প মনে হলেও দিনের আলোর মতো সত্য। এ-সংক্রান্ত সব তথ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে।
‘সন্তানদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ ছাড়া আমাদের বিশেষ কিছু চাওয়ার নেই। বিশ্ববিদ্যালয়েটিকে জঙ্গিবাদের অভায়াশ্রম হিসেবে গড়ে তোলার আজিম-কাশেম সিন্ডিকেটের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রতিবাদই এ সংবাদ সম্মেলন।’
প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের নীতিনির্ধারণী সব পক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ড. সুফি সাগর বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে এখনও নিভু নিভু যে আলো জ্বলছে, আজিম-কাশেম সিন্ডিকেটের অপকর্ম চলমান থাকলে তাও থাকবে না। অনিয়ম-দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে রক্ষায় সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।’
অভিযুক্তদের কথা
এসব অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এম এ কাশেমের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে নিউজবাংলার কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে। সংবাদ সম্মেলনে আনা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসব বিষয়ে আপনি ইউনিভার্সিটি অথরিটিকে প্রশ্ন করেন। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত নই, আমরা ট্রাস্টি, আমরা ম্যানেজমেন্ট লেভেলে আর কী। আমাদের দায়িত্ব হলো ট্রাস্টটাকে ম্যানেজ করা আর অ্যাক্টিভিটিজটা করে ইউনিভার্সিটি। তাই সব খবর আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই পাবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা নিজেদের ব্যাংকে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে আজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কোনো ব্যাংক নেই, এটা পাবলিকের ব্যাংক। আমরা এই ব্যাংকের অংশীদার, শেয়ারহোল্ডার মাত্র। আমরা ডিরেক্টর হিসেবে আছি, কিন্তু এটা চলে তো বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনে।’
ডেভেলপারস কোম্পানির কাছ থেকে কমিশন নেয়ার অভিযোগ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এগুলো আমি কিছু জানি না, সরি সরি এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না, ধন্যবাদ।’
আরও পড়ুন:
এইচ এসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে, পঞ্চগড় জেলার তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি।
বৃহস্পতিবার ফলাফল প্রকাশ হলে এ তথ্য জানা যায়, পঞ্চগড় জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে।
পঞ্চগড় জেলার মোট ৩৮টি কলেজ এইচএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন ৬৭১২ জন, তাদের মধ্যে ২৮৯৯ পাস করেন, ফেল করেন ৩৮১৩ জন, জিপিএ -৫-১১৩ জন,পাশের পার্সেন্ট ৪৩.১৯%
মাদরাসা ১৬টি কলেজ, ৪০০ জন শিক্ষার্থী, পাস করেন ২১৩ জন, ফেল করেন ১৮৭ জন, জিপিএ -৫ -১ জন, পাসের পার্সেন্টেজ ৫৩.২৫%
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—বোদা উপজেলার বোদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মাড়েয়া মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং তেঁতুলিয়া উপজেলার আলহাজ্ব তমিজ উদ্দীন কলেজ। প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বোদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়, যার মধ্যে ৪ জন অনুপস্থিত ছিল। মাড়েয়া মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ জন, আর আলহাজ্ব তমিজ উদ্দীন কলেজ থেকে অংশ নেয় ৪ জন শিক্ষার্থী, যার মধ্যে ২ জন অনুপস্থিত ছিল।
মাড়েয়া মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ সপেন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, আমাদের কলেজ শাখা এমপিওভুক্ত হয়নি। কয়েক বছর ধরে নেই কোনো শিক্ষক। এজন্য একজন পরীক্ষায় অংশ নিলেও পাস করতে পারেনি।
বোদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নার্গিস পারভিন মৌসুমী বলেন, ভর্তি হওয়ার পরে সবার বিয়ে হয়ে গেছে, এ জন্য কেউ পাস করতে পারেনি।
আলহাজ্ব তমিজ উদ্দীন কলেজের অধ্যক্ষ হাসান আলী বলেন, আমাদের কলেজের চারজনের মধ্যে দুজন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। দুজনে পাস করার কথা ছিল। আমরা বোর্ড চ্যালেঞ্জ করব।
ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খায়রুল আনাম মো. আফতাবুর রহমান হেলালী বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করতে পারেনি সেসব প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হবে। এই ফলাফলের কারণ খুঁজে বের করে এখান থেকে কিভাবে উত্তরণ করা যায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডেও ফল বিপর্যয় ঘটেছে। চলতি বছর এই বোর্ডে পাসের হার ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ, যা সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, চলতি বছর রাজশাহী বোর্ডে ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৭৭ হাজার ৭৪২ জন। আরও জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০ হাজার ১৩৭ জন।
এ বছর রাজশাহী বোর্ডে ছাত্রদের পাসের হার ৫০ দশমিক ৬৯ শতাংশ, আর ছাত্রীদের পাসের হার ৬৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এছাড়া ছাত্রদের মধ্যে ৪ হাজার ৪৫৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন, আর ছাত্রীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৮২ জন।
এর আগে ২০২৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ, ২০২৩ সালে ছিল ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, ২০২২ সালে ৮১ দশমিক ৬০ শতাংশ, ২০২১ সালে ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ, ২০২০ সালে ১০০ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ৭৬ দশমিক ৩৮ শতংশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। সব শিক্ষা বোর্ড থেকে একযোগে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
এ বছর দেশের ৯টি সাধারণ ও কারিগরি এবং মাদরাসা বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও সাঘাটা উপজেলার দুই কলেজে এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব পরিক্ষার্থীই অকৃতকার্য হয়েছেন। মোট ৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিলেও একজনও পাস করতে পারেননি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
বৃহস্পতিবার পরিক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর একাধিক মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ঘাগোয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন মাত্র ৫ জন শিক্ষার্থী। অপরদিকে, সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি মহিলা কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন মাত্র ১ জন। কিন্তু দুই কলেজের কেউই পাস করতে পারেননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে অনুপস্থিতি, শিক্ষক সংকট, পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাব এবং প্রশাসনিক নজরদারির ঘাটতির কারণে এ ধরনের ফলাফল হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার প্রান্তিক এলাকার ছোট কলেজগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে পাঠদানের মান কমে যাওয়ায় এমন বিপর্যয় ঘটছে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতনজনরা।
এছাড়াও স্থানীয় অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ বলছেন, বছরের পর বছর শিক্ষক সংকট ও একাডেমিক দুর্বলতার কারণে উপজেলার অনেক কলেজেই এখন শিক্ষার মান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।
গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘কোনো কলেজ থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়া অত্যন্ত হতাশাজনক। আমরা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দুই প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাদের সন্তোষজনক জবাব না পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চলতি বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গজারিয়া উপজেলায় সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে বালুয়াকান্দি ডা.আব্দুল গাফফার স্কুল এন্ড কলেজ। ভয়াবহ ফলাফল বিপর্যয়ে পড়া এই প্রতিষ্ঠানটি থেকে পাশ করেছে মাত্র একজন শিক্ষার্থী।
খবর নিয়ে জানা যায়, বালুয়াকান্দিতে অবস্থিত ডা. আব্দুল গাফফার স্কুল এন্ড কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৭জন শিক্ষার্থী। প্রকাশিত ফলাফলে প্রতিষ্ঠানটি থেকে শুধুমাত্র একজন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। পাসের হার মাত্র ৫.৮৮ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটির এমন ফলাফলে সমালোচনামুখর অভিভাবক শ্রেণি।
স্থানীয় বাসিন্দা সোলায়মান জানান, চলতি বছর ১৭জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও তাদের মধ্যে ১৪ জনই অনিয়মিত শিক্ষার্থী। নিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৩ জন। মাত্র ৪জন জনবল নিয়ে কোনরকমে কার্যক্রম চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। মানবিক বিভাগের অনিয়মিত শিক্ষার্থী ইয়াসিন ব্যতীত এই প্রতিষ্ঠানটি থেকে কেউ পাশ করতে পারেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন আলী বলেন, ' প্রতিষ্ঠানটির স্কুল শাখা অত্যন্ত ভালো। তবে কলেজ শাখা এমপিওভুক্ত নয় সেজন্য কলেজ পরিচালনা করার ক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এসব সীমাবদ্ধতার সাথে লড়াই করে কোনো রকমের টিকে আছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে না পারলে প্রতিষ্ঠানটি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে'।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ বশির উল্লাহর মোবাইলে কল করা হলে তিনি বলেন, ' আমি এখন ব্যস্ত আছি এ বিষয় নিয়ে কয়েকদিন পরে আপনাদের সাথে কথা বলব'।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখা এমপিওভুক্ত নয় সেজন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থী স্বল্পতাসহ নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ফলাফল খারাপের বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সাথে বসব’।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নীলফামারী জেলার ১০টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মহা. তৌহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, বোর্ডের অধীনে নীলফামারীর ১০টি কলেজের ৪০ জন শিক্ষার্থীর কেউই উত্তীর্ণ হয়নি।
কলেজগুলো হলো, নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ সৃজনশীল কলেজের মানবিক বিভাগের ১ জন, সৈয়দপুর উপজেলার সাতপাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের ১ জন, কিশোরগঞ্জ উপজেলার নয়নখাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের ৮ জনের মধ্যে ৫ জন ফেল ও ৩ জন অনুপস্থিত, জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের ১৮ জনের মধ্যে ১৫ জন ফেল ও ৩ জন অনুপস্থিত, একই উপজেলার চেওড়াডাঙ্গী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের ৯ জনের মধ্যে ৬ জন ফেল ও ৩ জন অনুপস্থিত, গোলমুন্ডা আদর্শ কলেজের মানবিক বিভাগের ৩ জন, ডিমলা উপজেলার জেলা পরিষদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ১ জন ও মানবিক বিভাগের ১ জন,একই উপজেলার নাউতারা বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের ৩ জন,ডিমলা সীমান্ত কলেজের মানবিক বিভাগের ২ জন এবং গয়াখড়িবাড়ি মহিলা কলেজের মানবিক বিভাগের ৩ জনের মধ্যে ২ জন ফেল ও ১ জন অনুপস্থিত।
নীলফামারী জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর (২০২৫) জেলায় ৯৩টি কলেজের ১২ হাজার ১৮৯ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৭ হাজার ৫২৪ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৮১ জন।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এইচএসসি) পাসের হার বিগত ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এবারের পাসের হার ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। যা গত বছরের তুলানায় ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম। গতবছর পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ।
এছাড়া এবার জিপিএ-৫ কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭ জন। যা গতবার পেয়েছিল ১০ হাজার ২৬৯ জন শিক্ষার্থী। ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর গড়ে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে ফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের চেয়ারম্যান ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ এবং সচিব এ কে এম সামছু উদ্দিন আজাদ।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ২ হাজার ৯৭০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছেন ৫৩ হাজার ৫৬০ জন। ছাত্রদের পাসের হার ৪৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ; ছাত্রীদের পাসের হার ৫৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীতে পাসের হার ৭০ দশমিক ৯০ শতাংশ। জেলায় পাসের হার ৪৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
এছাড়া তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে রাঙামাটিতে পাসের হার ৪১ দশমিক ২৪ শতাংশ, খাগড়াছড়িতে ৩৫ দশমিক ৫৩ এবং বান্দরবানে ৩৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৪৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার সবচেয়ে বেশি ৭৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৫৫ দশমিক ৩০ শতাংশ ও মানবিক বিভাগে পাসের হার ৩৭ দশমিক শূন্য ৮০ শতাংশ।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী ফলাফলের বিষয়ে বলেন, এবার মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা ছিল খাতার মূল্যায়ন যেন মেধার ভিত্তিতে হয়। শিক্ষার্থী খাতায় লিখে যে নম্বরটি পাবে, সেটাই যেন মারকিং করা হয়। অতি মূল্যায়নের সুযোগ ছিল না। আমি পরীক্ষার পর সব প্রধান নিরীক্ষকদেও ডেকে এটাই বুঝিয়েছিলাম; রুব্রিক্স পদ্ধতিতে যেন খাতা কাটা হয়। তাছাড়াও জুলাই আন্দোলনের জন্য শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় বিঘ্ন ঘটেছিল। যা সার্বিক ফলাফলে প্রভাব পড়েছে বলেন তিনি।
ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের আরবি বিভাগ থেকে মাস্টার্সের ফলাফলে ৩.৯৭ সিজিপিএ পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করলেন ইমরান হোসেন। একই সাথে অসামান্য সাফল্যের জন্য ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ইমরান হোসেন।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ডিনস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের হাত থেকে ইমরান হোসেন ডিনস অ্যাওয়ার্ড অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন।
ইমরান হোসেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ডহরপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
ইমরান হোসেন ঢাবির আররি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। স্নাতকে তিনি ৩.৮৫ সিজিপিএ পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে পঞ্চম হন। এবার মাস্টার্সের ফলাফলেও তিনি ৩.৯৭ সিজিপিএ পেয়ে যৌথভাবে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছেন।
ইমরান হোসেন ২০১৬ সালে বলুহার ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও ২০১৮ সালে ঢাকা মাদ্রাসা ই আলিয়া থেকে আলিম পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি বিভাগে ভর্তি হন।
এছাড়া তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া বাঁশবাড়িয়া মাদ্রাসা থেকে ২০০৯ সালে কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করেন। এসময় গওহরডাঙ্গা আঞ্চলিক বোর্ড ১০ম স্থান অর্জণ করেন।
ঢাকার ফরিদাবাদ মাদ্রাসা থেকে দাওরা হাদিস সম্পন্ন করেন। এছাড়া ঢাকার মাদ্রাসাতুস সালমান থেকে মুফতি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ইমরান হোসেন বলেন, ১৪ বছর আগে বাবা পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে পড়ায় ভেবেছিলাম লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে। তখন ছোট ভাই রেজোয়ান ইসলাম পরিবারের হাল ধরে আগলে রাখেন। পরিবারের সকলের সহযোগিতার জন্য আমার লেখাপড়া অব্যাহত থাকে এবং এই ফলাফল অর্জনে সক্ষম হই।
কোটালীপাড়া সাংবাদিক ফোরামের আহবায়ক মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েল বলেন, একটি কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসা ইমরান হোসেনের এই ফলাফল সত্যিই আমাদের জন্য গর্বের। ইমরান হোসেন কোটালীপাড়ার মুখ উজ্জ্বল করেছে। পরবর্তী প্রজন্ম ইমরান হোসেনের এই ফলাফলে অনুপ্রাণিত হবে।
মন্তব্য