× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Government wants to destroy communal harmony Fakhrul
google_news print-icon

সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়: ফখরুল

সরকার-সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি-নষ্ট-করতে-চায়-ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা হচ্ছে দেশের আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে এ সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। হিন্দু ভাইদের যে দুর্গাপূজা হচ্ছে, সেখানে কতগুলো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে।… এই যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার যে চক্রান্ত, সেটা এই সরকারের চক্রান্ত।’

বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বৃহস্পতিবার জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা হচ্ছে দেশের আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে এ সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। হিন্দু ভাইদের যে দুর্গাপূজা হচ্ছে, সেখানে কতগুলো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে।… এই যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার যে চক্রান্ত, সেটা এই সরকারের চক্রান্ত।

‘তারা এই দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে প্রকৃত অপরাধীকে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’

এ সময় কুমিল্লার ঘটনা নিয়েও কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘীর উত্তরপাড়ের একটি পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ পাওয়ার অভিযোগ তোলার পর বুধবার সকাল থেকে শহরে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য। তবে আলোচিত মণ্ডপের পূজার আয়োজকরা বলছেন, সেখানে পবিত্র কোরআন শরিফ কী করে এলো সে বিষয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই।

বুধবার সকালে বিষয়টি পূজারিদের নজরে আসে। এর আগে গভীর রাত পর্যন্ত পূজা উদযাপন শেষে মণ্ডপটি জনশূন্য ছিল।

পূজার আয়োজক দর্পণ সংঘের সভাপতি সুবোধ রায় জানান, কম বাজেটের মণ্ডপ বলে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়নি। এ ঘটনায় কারা জড়িত সেটি বের করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

বিজিবির কুমিল্লা ১০ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম ফজলে রাব্বি নিউজবাংলাকে জানান, শহরে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, কোরআন শরিফ নিয়ে রেখেছে পূজামণ্ডপে। যারা এ কাজ করেছে তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্যই করেছে। দেশে স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্যই করেছে।…সরকার বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য, আসল জায়গা থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে নেয়ার জন্য এসব ঘটনা ঘটায়।’

আগামী সংসদীয় নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন, ‘বর্তমানে দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না। সরকার নিরপেক্ষ না হলে যত ভালো লোককেই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব দেয়া হোক নির্বাচন নিরপেক্ষ করা সম্ভব না। সরকার যদি নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা না করে, তাহলে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না।

‘এ জন্য আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, আগে পদত্যাগ করো, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দাও। তারা নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। তারা (সরকার) তা করবে না। আমাদের কথা পরিষ্কার, নির্বাচন নির্বাচন খেলা আর হবে না৷’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ কথাটা আওয়ামী লীগ স্বীকার করতে চায় না। আমরা যারা যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম, আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলাম, সংগ্রামের সঙ্গে জড়িত ছিলাম তারা সবাই তার ঘোষণা শুনেছিলাম। তিনি কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে ঘোষণা দিলেন, তারপরই সবাই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

‘বিএনপি পালায়, আওয়ামী লীগ পালায় না’ আওয়ামী লীগ নেতার এমন মন্তব্যের জবাবে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তো ১৯৭১ সালেই পালিয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানে পালিয়েছে, বাকিরা ভারতে পালিয়েছে। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশে থেকে যুদ্ধ করেছেন। আমরা কখনও পালিয়ে যাওয়ার দল না, তার প্রতিষ্ঠিত দল পালিয়ে যাওয়ার দল নয়। এখানেই লড়াই করেছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “জিয়াউর রহমান অল্প দিন বেঁচে ছিলেন, তিনি রাজনৈতিকভাবে ৪ থেকে ৫ বছর সময় পেয়েছিলেন, এই সময়ে তিনি পুরো দেশের চেহারা পাল্টে দিয়েছিলেন। অন্যদিকে স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এ দেশকে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের নাম পাল্টে দিতে হবে, এটাকে বলতে হবে ‘নিখিল বাংলাদেশ লুটপাট সমিতি’। এগুলো আমার কথা না, এগুলো ইতিহাস।”

বিএনপি গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কোন গণতন্ত্র? তাদের গণতন্ত্র হচ্ছে আমরা সারাজীবন ক্ষমতায় থাকব, আর তোমরা সারাজীবন প্রজা হয়ে থাকবা। এটাই হচ্ছে তাদের গণতন্ত্রের মূল লক্ষ্য।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে সব জায়গা সংকুচিত করে ফেলেছে। আগে ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে আমরা সভা-সমাবেশ করতাম, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেটাকে স্টেডিয়াম করে দিল। এরপর মুক্তাঙ্গনও বন্ধ করে দিল। তার আগে মানিক মিয়া এভিনিউতে সভা-সমাবেশ করা হতো। সেখানেও ডিভাইডার দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। প্রেস ক্লাবের সামনে ছোট একটা জায়গা, সেটাও বন্ধ করে দেয়া হলো। এভাবে গণতন্ত্র চলতে পারে না।’

জাতীয়বাদী সমবায় দলের সভাপতি মীর আফরোজ খানম যুথির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়াপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হোক, কৃষক দলের কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনসহ আরও অনেকে।

আরও পড়ুন:
আসুন গণ-আন্দোলন সৃষ্টি করি: ফখরুল
আ. লীগ মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু: মির্জা ফখরুল
‘ক্ষমতার লোভ আ. লীগকে হিংস্রতার শেষ সীমানায় নিয়ে গেছে’
ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকার পতনের প্রস্তুতি চলছে: ফখরুল
গুম আ. লীগের সংস্কৃতি: ফখরুল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Independence will not be endangered if Bangladeshs side is united Tarek

বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্বাধীনতা বিপন্ন হবে না: তারেক

বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্বাধীনতা বিপন্ন হবে না: তারেক সিপাহী-জনতার বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বিএনপির উদ্যোগে র‍্যালির আগে বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্ক্রিনশট: ভিডিও থেকে
প্রধান অতিথি হিসেবে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘আগেও বলেছি, বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে আর কেউ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে পারবে না ইনশাল্লাহ।’ 

বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ স্বাধীনতা বিপন্ন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সিপাহী-জনতার বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বিএনপির উদ্যোগে র‍্যালির আগে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের শত্রু-মিত্র চেনার দিন। আর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের শত্রু চিহ্নিত করার দিন।

‘আগেও বলেছি, বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে আর কেউ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে পারবে না ইনশাল্লাহ।’

সমবেত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান আরও বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার রাজপথে আজ লাখো জনতার এই মিছিল বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিকে ৭ নভেম্বরের অন্তর্নিহিত শিক্ষায় দীক্ষিত করার মিছিল আজ।

‘লাখো জনতার আজকের এই মিছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আহত অসংখ্য ছাত্র-জনতা এবং হাজারো শহীদের স্বপ্নের একটি বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক, মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ী মিছিল।’

আরও পড়ুন:
আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণতন্ত্র মানায় না: সিলেটে সালাহউদ্দিন
মামলা থেকে বাঁচাতে বিএনপি নেতার চাঁদা দাবি, অডিও ভাইরাল
আধিপত্যবাদী শক্তি রুখতে নতুন করে শপথ নিয়েছি: ফখরুল
পরাজিত অপশক্তি দেশকে সাম্প্রদায়িক পরিচিতি দেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত: তারেক রহমান
চাঁদাবাজির মামলা থেকে তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Delhi considers Sheikh Hasina as the former Prime Minister of Bangladesh

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনে করে দিল্লি

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনে করে দিল্লি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে আওয়ামী লীগের বিবৃতিতে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের ‘প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বার বার আমরা বলেছি যে তিনি (শেখ হাসিনা) একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। আমরা এই অবস্থানে আছি।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়া শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনে করে ভারত।

বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন।

গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবিলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর আওয়ামী লীগ অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। ওই বিবৃতিতে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের ‘প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাকি নির্বাসনে থাকা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনে করে। এর জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বার বার আমরা বলেছি যে তিনি (শেখ হাসিনা) একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। আমরা এই অবস্থানে আছি।’

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা গণভবন ছেড়ে ভারতে চলে যান। এরপর থেকে তিনি নয়াদিল্লিতে আছেন। তবে সেখানে তাকে কোন মর্যাদায় রাখা হয়েছে সে বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।

এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, এক সংক্ষিপ্ত নোটিশে শেখ হাসিনা ভারতে আসেন এবং তিনি এখানেই থাকবেন।

আরও পড়ুন:
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা
গণহত্যায় দোষী সাব্যস্ত হলে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা হবে
শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ নেতার নতুন ফোনালাপ ভাইরাল
গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে হাসিনা-ঘনিষ্ঠরা: গভর্নর
দিল্লিতে শেখ হাসিনার ঠিকানা জানাল ‘দ্য প্রিন্ট’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Democracy does not fit with Awami League Sylhet Salahuddin

আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণতন্ত্র মানায় না: সিলেটে সালাহউদ্দিন

আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণতন্ত্র মানায় না: সিলেটে সালাহউদ্দিন সিলেটে রেজিস্টারি মাঠে বৃহস্পতিবার শোভাযাত্রা-পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: নিউজবাংলা
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অতীতেও বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলো। তারা সব সময় গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছিল। গণহত্যায় জড়িতরা পালিয়ে গেলেও তাদেরকে দেশে এনে বিচার করা হবে। যতদিন পর্যন্ত দেশে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হবে ততদিন পর্যন্ত গণতান্ত্রিক সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ এখন বিএনপির সঙ্গে একাত্ম হয়ে গণতন্ত্র উদ্ধার করতে চায়। এটি সম্ভব নয়। কারণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণতন্ত্র মানায় না। এদেশে ফ্যাসিবাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।

৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সিলেট রেজিস্টারি মাঠে সংক্ষিপ্ত শোভাযাত্রা-পূর্ব এই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অতীতেও বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলো। তারা সব সময় গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছিল। গণহত্যায় জড়িতরা পালিয়ে গেলেও তাদেরকে দেশে এনে বিচার করা হবে। যতদিন পর্যন্ত দেশে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হবে ততদিন পর্যন্ত গণতান্ত্রিক সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’

আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণতন্ত্র মানায় না: সিলেটে সালাহউদ্দিন

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তিনি ১৯৭৫ সালে দেশ ও জাতির প্রয়োজনে আবারও দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন।

‘জুলাই-আগস্ট গণবিপ্লবে আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান নেতৃত্ব না দিলে হয়তো আমরা এই স্বাধীনতা পেতাম না। তাই বাংলাদেশ, শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এক সূত্রে গাঁথা। আমরা কারও করদরাজ্যে পরিণত হওয়ার জন্য স্বাধীনতা লাভ করিনি। অরক্ষিত স্বাধীনতা পরাধীনতার সমান।’

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।

স্বাগত বক্তব্য দেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় সহ-ক্ষুদ্র ঋণ ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, অ্যাডভোকেট হাদীয় চৌধুরী মুন্নি, সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও ড্যাব সিলেট জেলার সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম, সিলেট জেলা বারের পিপি অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর এক বিশেষ প্রেক্ষাপটে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছিল। তখন দেশের সংগ্রামী সিপাহী-জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিল।

‘এবারও দেশের মানুষ শহীদ জিয়ার উত্তরাধিকারী দেশনায়ক তারেক রহমানের দিকে তাকিয়ে আছে। দেশের সাধারণ মানুষ তারেক রহমানের হাতেই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিতে চায়।’

আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘দেশের প্রয়োজনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছিলেন। ঠিক দেশের ক্লান্তিকালে আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান নেতৃত্বে দিয়ে যাচ্ছেন। আগামী দিনের রাষ্ট্র গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’

জিকে গউছ বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশের মানুষের জন্য অমৃত্যু কাজ করে গেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে দেশের মানুষের প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আর তার নেতৃত্বে আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক জননেতা তারেক রহমান দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।’

সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সংবলিত প্লাকার্ড নিয়ে দলটির কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের শোভাযাত্রায় যোগদান করতে দুপুর থেকে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রেজিস্টারি মাঠে জড়ো হতে থাকেন।

আরও পড়ুন:
বিএনপির ১০ জেলা ও মহানগরে কমিটি ঘোষণা
বিএনপির ৭ আইনজীবী নেতাকে আদালত অবমাননার মামলা থেকে অব্যাহতি
৭ নভেম্বরের সরকারি ছুটি পুনর্বহালের দাবি বিএনপির
৭ নভেম্বর ঘিরে বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি
অন্য ইস্যু নয়, ভোটে নজর দিন: ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
7 November Historical and Significant Day Jamaat Amir

৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন: জামায়াত আমির

৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন: জামায়াত আমির রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা দেশটাকে অন্যের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বর বীর জনতা তাদের সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। তারা কথিত বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত অরক্ষিত করে ফেলেছে। তাই ৭ নভেম্বরের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে শপথ নিতে হবে।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশ ও জাতির প্রেক্ষাপটে ৭ নভেম্বর একটি ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। কিন্তু স্বাধীনতা-পরবর্তী শাসক চক্র আমাদেরকে ইতিহাস জানার অধিকার কেড়ে নিয়েছে।

রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

জামায়াতের আমির বলেন, ‘১৯৭৫ সালের জুনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেশে একদলীয় বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। রাষ্ট্রায়ত্ত মাত্র চারটি পত্রিকা বাদে সব গণমাধ্যমের ডিক্লারেশন বাতিল করে গণমানুষের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছিল।

‘এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন ওই সময়ের তরুণ সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন এবং কর্নেল এম এ জি ওসমানী। কিন্তু এজন্য তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও হতে হয়েছিল। এটিই ছিল বাস্তবতা।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মূলত বৈষম্য ও অপশাসনের কবর রচনা করে দেশকে দুঃশাসনমুক্ত এবং আধিপত্যবাদী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতা যুগপৎভাবে রাজপথে নেমে এসেছিল। সংগ্রামী জনতা ফুলের পাপড়ি দিয়ে দেশপ্রেমী বিপ্লবীদের বরণ করে নিয়েছিলেন। ষড়যন্ত্রকারীরা দেশটাকে অন্যের হাতে তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু বীর জনতা তাদের সে ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে।

‘কিন্তু ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। ৭ নভেম্বর ব্যর্থ হওয়ার পর তারা কথিত বিডিআর বিদ্রোহের নামে দেশের ৫৭ জন দেশপ্রেমী ও চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সীমান্তকে অরক্ষিত করে ফেলেছে। তাই ৭ নভেম্বরের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে শপথ গ্রহণ করতে হবে।

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।

জামায়াতের আমির মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৪-এর ৫ আগস্ট পর্যন্ত শাহাদাত বরণকারী সব শহীদকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মাদ রেজাউল করিম।

আরও পড়ুন:
শহীদদের স্বপ্নের দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে চায় জামায়াত: ডা. শফিকুর
বিপ্লবের চেতনায় জাতীয় ঐক্যের ডাক জামায়াত আমিরের
জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল পুনরুজ্জীবিত
আমরা বিভক্ত জাতি দেখতে চাই না: জামায়াত আমির
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চান জামায়াতের মতিউর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The consciousness of 7th November and the revolution of 5th August are united by one formula Golam Parwar

৭ নভেম্বরের চেতনা ও ৫ আগস্টের বিপ্লব একসূত্রে গাঁথা: গোলাম পরওয়ার

৭ নভেম্বরের চেতনা ও ৫ আগস্টের বিপ্লব একসূত্রে গাঁথা: গোলাম পরওয়ার অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ফাইল ছবি
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে আধিপত্যবাদ ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সিপাহী-জনতার সফল বিপ্লব সংঘটিত হয়। সেদিন ইসলামী মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। একদলীয় শাসনের পরিবর্তে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৭ নভেম্বরের চেতনা ও ছাত্র-জনতার ৫ আগস্টের বিপ্লব এক সূত্রে গাঁথা।

তিনি বলেছেন, এবারের ৭ নভেম্বর আমরা এমন একটা পরিস্থিতিতে এমন একটা সময়ে উদযাপন করছি যখন আধিপত্যবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতা একটি গণবিপ্লব সংগঠিত করেছে।

জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টনে মহানগরী দক্ষিণ জামায়াত কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে আধিপত্যবাদ ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সিপাহী-জনতার সফল বিপ্লব সংঘটিত হয়। সেদিন নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে ইসলামী মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। একদলীয় শাসনের পরিবর্তে এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল।

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছরে গুম, খুন, ধর্ষণ মহামারি আকারে বিস্তার লাভ করেছিল। দেশের মানুষ গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারকে সমূলে উৎখাত করেছে। এখন দেশে গণতন্ত্র ও দেশের মানুষকে পূর্ণভাবে মুক্ত করতে ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে প্রয়োজন আরেকটি বিপ্লবের, যা এই জাতির ভবিষ্যৎ রচনা করবে।

‘৭ নভেম্বর একনায়কতন্ত্র, শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে যেভাবে এদেশের মানুষ সম্মিলিতভাবে গর্জে উঠেছিল একইভাবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা সব আধিপত্যবাদী শক্তির মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করেছে।’

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগর সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

সভায় আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মো. দেলোয়ার হোসেন, মু. কামাল হোসাইন ও ড. মোহাম্মাদ আব্দুল মান্নান।

আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোবারক হোসেন, শ্রমিক নেতা আব্দুস সালাম প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
৭ নভেম্বরের সরকারি ছুটি পুনর্বহালের দাবি বিএনপির
৭ নভেম্বর ঘিরে বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি
শহীদদের স্বপ্নের দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে চায় জামায়াত: ডা. শফিকুর
বিপ্লবের চেতনায় জাতীয় ঐক্যের ডাক জামায়াত আমিরের
জামায়াতের জেলা ও মহানগর আমিরদের নাম ঘোষণা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Take a new oath to stop hegemonic forces Fakhrul

আধিপত্যবাদী শক্তি রুখতে নতুন করে শপথ নিয়েছি: ফখরুল

আধিপত্যবাদী শক্তি রুখতে নতুন করে শপথ নিয়েছি: ফখরুল বৃহস্পতিবার বিপ্লব ও সংহতি দিবসে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানো শেষে মোনাজাত করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার গত তিন মাসে নিঃসন্দেহে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। তারা অনেক কিছু করেছে এবং করছে। সবাই সহযোগিতা করলে তারা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে উপযুক্ত ও যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারবে।’

অন্তর্বর্তী সরকার যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে সুষ্ঠুভাবে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। একইসঙ্গে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন যে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের চেতনা সুদৃঢ় করতে বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হবে।

মির্জা ফখরুল বৃহস্পতিবার সকালে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এর আগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন মির্জা ফখরুল। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান’ স্মরণে দিনটি পালন করা হয়।

১৯৭৫ সালের এই দিনে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় সৈনিক ও বেসামরিক নাগরিকরা যৌথভাবে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে ক্ষমতা গ্রহণের পথ সুগম করে।

বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণতন্ত্র, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দলের নেতাকর্মীরা নতুন করে শপথ নিয়েছেন।

‘আমরা শপথ নিয়েছি- জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আধিপত্যবাদকে রুখে দেবো। আমরা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে আরও বেশি শক্তিশালী আন্দোলন করব।’

ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য বার বার ষড়যন্ত্র ও দমন-পীড়ন চালিয়েছে।

‘আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন ও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় ৬০ লাখ মানুষকে মিথ্যাভাবে জড়িয়েছে, প্রায় ৭০০ জনকে গুম করেছে এবং কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে ২০২৪ সালে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদী শক্তি তৃতীয়বারের মতো পরাজিত হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গত তিন মাসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিঃসন্দেহে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।

‘তারা অনেক কিছু করেছে এবং এখনও করছে। আমরা সবাই সহযোগিতা করলে তারা জাতির সামনে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে উপযুক্ত ও যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারবে।’

আরও পড়ুন:
দেশকে আবারও বিপদে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে: ফখরুল
ছলচাতুরি বাদ দিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: মির্জা আব্বাস
সিলেট মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি, সভাপতি পদে পরিবর্তন
বিএনপির ১০ জেলা ও মহানগরে কমিটি ঘোষণা
অতি দ্রুত নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন: সরকারকে ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Khaleda Zia is going to London on Friday for treatment

খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য শুক্রবার লন্ডনে যাচ্ছেন!

খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য শুক্রবার লন্ডনে যাচ্ছেন! বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
শারীরিক অবস্থাসহ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৮ নভেম্বর ‘লং ডিসট্যান্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ খালেদা জিয়াকে প্রথমে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে নেয়া হবে। তবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়া গেলে তার বিদেশযাত্রা দুই-একদিন পিছিয়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী শুক্রবার ৮ নভেম্বর তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করতে পারেন। সূত্র: বাসস

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডি্যাাল বোর্ডের সাতজন চিকিৎসকসহ সব সফরসঙ্গীর ভিসা প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।

শারীরিক অবস্থাসহ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৮ নভেম্বর ‘লং ডিসট্যান্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ খালেদা জিয়াকে প্রথমে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে নেয়া হবে। তবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়া গেলে তার বিদেশযাত্রা দুই-একদিন পিছিয়ে যেতে পারে।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডনে যাওয়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শারীরিক অবস্থাসহ সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৮ নভেম্বর তার লন্ডনে যাওয়ার কথা রয়েছে।’

বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে মেডিক্যাল বোর্ডের সাত চিকিৎসক, নার্স ও তিন সহকারীসহ ১৬ জন যাবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘ঢাকা থেকে বেগম খালেদা জিয়া প্রথমে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যাবেন। সেখান থেকে পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা জার্মানির কোনো ‘মাল্টি ডিসিপ্লিনারি হেলথ সেন্টারে’ নেয়া হতে পারে লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য।’

তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে লন্ডনের কয়েকটি হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিদেশে নেয়ার কথা রয়েছে তাতে সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা থাকবে।

৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শে তাকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হয়েছে। বর্তমানেও গুলশানের বাসায় মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন:
পুলিশি নিরাপত্তা পেলেন খালেদা জিয়া
ধ্বংস-প্রতিশোধ নয়, আসুন শান্তির সমাজ গড়ে তুলি
খালেদা জিয়া মুক্ত
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়াকে কেবিনে স্থানান্তর

মন্তব্য

p
উপরে