× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Pediatrics are on the rise due to extreme heat
google_news print-icon

গরমে নাকাল রংপুরবাসী

গরমে-নাকাল-রংপুরবাসী
রংপুরে ভ্যাপসা গরমে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। ছবি: নিউজবাংলা
শিশু ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রার আনম তানভীর চৌধুরী বলেন, ‘মূলত এই সময়ে শিশু ওয়ার্ডগুলোতে রোগীর বেড়ে যায়। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন শিশু নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।’

তীব্র গরমে রংপুর অঞ্চলের জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত। প্রতিদিনই সকাল থেকে কড়া রোদ, সঙ্গে গরম হাওয়া। আশ্বিনের এই গরমে নাকাল মানুষ।

ভ্যাপসা গরমে সর্দি, কাশি ও জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর চাপ।

রংপুর আবহাওয়া অফিস বলছে, ভাদ্রতে খুব একটা গরম না পড়লেও আশ্বিনের শুরুতেই তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। গেল এক সপ্তাহ ধরে তপ্ত আবহাওয়া তপ্ত।

বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার এই অবস্থা থাকতে পারে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত।

গরমে নাকাল রংপুরবাসী

রংপুর আবাহওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘তাপমাত্রা বাড়লেও অবশ্য সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠার শঙ্কা নেই। চলতি মাসের শেষ দিকে ঝড়-বৃষ্টিও হতে পারে। ধীরে ধীরে তাপদাহ একটু একটু করে কমতে থাকবে।’

নগরীর পায়রা চত্বরে রিকশাচালক হামিদুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘গরমোত থাকা যায় না। দুপর (দুপুর) হইলে বেলা (সূর্য) মনে হয় মাতার উপর বসি আচে। পেটে খায় তাই কষ্ট করি গাড়ি চলাই।’

বোতলা এলাকার দিনমজুর রহমত আলী বলেন, ‘গরমোত কাজোত যাবার মনডা চায় না। এত গরম কেমন করি সহ্য করি’।

স্কুল শিক্ষক ফারহানা নাজনীন বলেন, ‘গরমে ফ্যানের বাতাস গায় লাগে না। দিনে রাতে একই গরম। তিনি বলেন, গরমে ছোট ছেলেটার দুদিন ধরে জ্বর। ডাক্তার বরেছে গরমে এমন হচ্ছে, চিন্তার কিছু নাই।’


গরমে নাকাল রংপুরবাসী

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া নিয়ে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ১০ অক্টোবর রোগী ছিল ২৫১ জন, ১১ অক্টোবর ২৬৯ ও ১২ অক্টোবর ছিল ২৮০ জন। যত রোগী ছাড়পত্র নিচ্ছে তার চেয়ে বেশি ভর্তি হচ্ছে।

মডার্ন মোড় এলাকার চন্দনা বেগম তার ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।

তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে জ্বর আর পেটের সমস্যা, তাই দুইদিন হইলো হাসপাতালোত ভর্তি হইচি।’

শিশু ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রার আনম তানভীর চৌধুরী বলেন, ‘মূলত এই সময়ে শিশু ওয়ার্ডগুলোতে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ শিশু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।’

রংপুর সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিজেনাল চেঞ্জ এর কারণে জ্বরে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে । শিশুদের পাতলা কাপড় পরাতে হবে। জ্বর হলে প্যারাসিটেমল সিরাপ খাওয়ানো ও শরীর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে। খুব বেশি চিন্তার কারণ নেই, একটু সর্তক থাকতে হবে।’

আরও পড়ুন:
গরমে লাফিয়ে বাড়ছে এসির বিক্রি
গরম পানিতে মা ও সন্তানকে ঝলসালো দুর্বৃত্তরা
বৃষ্টি গরমের অনুভূতি কমাল ১৩ ডিগ্রি
দুবাইয়ের সমান গরম মিরপুর, বাড্ডায়
বৃষ্টির শহরে গরমের রেকর্ড

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Five more people died of dengue in the country

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও পাঁচজনের মৃত্যু ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার প্রতীকী ছবি।
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবশেষ মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুইজন নারী। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট ৫৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ ‌ও ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার এই সময়কালে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৪৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম বৃহস্পতিবার এক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবশেষ মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুইজন নারী।

নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২৯ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ২০৫ জন ডেঙ্গু রোগী।

দেশে চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৫৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ ‌ও ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৯৭ হাজার ৯৪৭ জন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় দেশে চারজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪৫৩
ডেঙ্গুতে আরও দু’জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪৭৮
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৫৯৬
ডেঙ্গু কেড়ে নিল আরও পাঁচ প্রাণ, হাসপাতালে ৫৬২

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Cold flow is expected from Saturday

শনিবার থেকে শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা

শনিবার থেকে শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা
দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও গোপালগঞ্জ জেলায়, ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে শনিবার থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ শাহানা সুলতানা বলেন, ‘১৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও গোপালগঞ্জ জেলায়, ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ঢাকায় ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

আরও পড়ুন:
পাঁচ দিনে তাপমাত্রা আরও কমবে
তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছে ১০.৪ ডিগ্রিতে, আসছে শৈত্যপ্রবাহ
দুদিন থেকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে
ফের ১০ ডিগ্রির ঘরে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা 

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rajbari DC Zahidul Islam next to the affected 4 thousand onion farmers

ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার পেঁয়াজচাষির পাশে রাজবাড়ীর ডিসি জাহিদুল ইসলাম

ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার পেঁয়াজচাষির পাশে রাজবাড়ীর ডিসি জাহিদুল ইসলাম গত রোববার রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ২০০ জন, কালুখালী উপজেলায় ৩০০ জন এবং পাংশা উপজেলায় ৫০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মধ্যে পুনরায় এক কেজি করে পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করা হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
জেলার হোসনাবাদ পৌরসভার প্রান্তিক কৃষক  সমশের শেখ জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এমন কৃষকবান্ধব জেলা প্রশাসক পেয়ে আমরা গর্বিত। আমরা আমাদের যেকোনো সমস্যা নিয়ে সরাসরি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে যেতে পারব বলেও তিনি আজ আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’

এবার ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় চার হাজার প্রান্তিক পেঁয়াজচাষির পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।

জেলা সার-বীজ মনিটরিং কমিটির প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী বিভিন্ন উপজেলার প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৭২৫ জন প্রান্তিক কৃষক। তাতে এ বছর পেঁয়াজ চাষ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন তারা।

রাজবাড়ী জেলা দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয়। এই বছর পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৩০ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ২৭ হাজার ৮৫১ টন পেঁয়াজ।

গত ১ ডিসেম্বর গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে পেঁয়াজ বীজের অংকুরোদগম না হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। তার পরের দিনই ২ ডিসেম্বর জেলা সার-বীজ মনিটরিং কমিটির সভা আহ্বান করেন তিনি।

সভায় উপস্থিত সদস্যরা পেঁয়াজ বীজে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলে দ্রুত সমাধান কী হতে পারে সেটাও জানতে চান জেলা প্রশাসক।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে লাল তীর কোম্পানির তাহেরপুরি বীজ স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে। সভায় আরও জানানো হয়, এই বীজের গুণগত মান ভালো।

এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘আমি ৩ ডিসেম্বর একটি ৫ সদস্যের টিম গঠন করি। কমিটির প্রতিবেদনে নিয়ে সেই দিনই সচিব স্যার বরাবর এ বিষয়ে পত্র প্রেরণ করি। ৩ ডিসেম্বর প্রেরিত পত্রের প্রেক্ষিতে সচিব এবং উপদেষ্টা মহোদয় ৪ তারিখ বিকেলে রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং পাবনা জেলা প্রশাসনের সাথে জরুরি ভার্চুয়াল সভা করেন।’

এ বিষয়ে মিজানপুর ইউনিয়নের কৃষক জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের চার হাজার প্রান্তিক কৃষককে উন্নত জাতের প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করেছিল উপজেলা কৃষি বিভাগ।

চলতি নভেম্বরে সরকারিভাবে বিনা মূল্যে এক কেজি করে ৪ হাজার জন প্রান্তিক কৃষককে পেঁয়াজ বীজ দেয়া হয়। এই বীজ বপন, সেচ, সার, কীটনাশক ও জমি প্রস্তুত বাবদ প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়েছে প্রতিটি কৃষকদের, কিন্তু বীজ থেকে চারা গজায়নি। এখন নতুন করে বীজ বপন করার বেশি সময়ও বেশি নেই।

‘সব মিলিয়ে প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজে আমাদের কৃষককে এ বছর ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ার ঝুঁকি ছিল। কিন্তু জেলা প্রশাসক নিজে উদ্যোগ নিয়ে দ্রুততার সাথে নতুন পেঁয়াজের বীজ না দিলে অনেক বেশি ক্ষতির মুখে পড়তাম।’

জেলার হোসনাবাদ পৌরসভার প্রান্তিক কৃষক সমশের শেখ জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এমন কৃষকবান্ধব জেলা প্রশাসক পেয়ে আমরা গর্বিত। আমরা আমাদের যেকোনো সমস্যা নিয়ে সরাসরি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে যেতে পারব বলেও তিনি আজ আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রবি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রাজবাড়ী জেলায় ৪ হাজার জন কৃষকের মাঝে বিএডিসি থেকে প্রাপ্ত বারি পেঁয়াজ-১ জাতের বীজ ৫০০ জন, বারি পেঁয়াজ-৪ জাতের বীজ ১ হাজার জন এবং তাহেরপুরী জাতের বীজ ২ হাজার ৫০০ জনকে বিতরণ করা হয়েছিল। ওই বীজ না গজানোর কারণে তদন্তপুর্বক ৩ হাজার ৭২৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে পুনরায় লালতীর কোম্পানির তাহেরপুরী জাতের বীজ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

গত রোববার রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ২০০ জন, কালুখালী উপজেলায় ৩০০ জন এবং পাংশা উপজেলায় ৫০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মধ্যে পুনরায় এক কেজি করে পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

বাকি পেঁয়াজ বীজ দ্রুত বিতরণ করার কথা জানান তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী সদর উপজেলায় গত রোববার বীজ বিতরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।

তিনি ওই সময় পেঁয়াজচাষিদের দ্রুত পেঁয়াজ রোপণ করার অনুরোধ করেন, যাতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের কোনো সংকট দেখা না দেয়।

ওই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজবাড়ীর উপপরিচালক ডা. মো. শহিদুল ইসলাম, রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারিয়া হকসহ সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন:
হিলি দিয়ে ৬ দিনে সাড়ে ৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ঢুকল ১২৩ টন পেঁয়াজ
পেঁয়াজ আলুতে কমানো হলো শুল্ক
পেঁয়াজু শিঙাড়ায় বাজিমাত আবদুস সালামের
ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Narcotics Control Directorate case against Jamaat leader in Coxs Bazar

টেকনাফে জামায়াত নেতার নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মামলা

টেকনাফে জামায়াত নেতার নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মামলা কক্সবাজারের টেকনাফের জামায়াত নেতা মো. ইসমাইল। ছবি: নিউজবাংলা
ডিএনসি টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিফাত তাসনিম বলেন, `ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাকিদের শনাক্ত করা হবে।’

কক্সবাজারের টেকনাফে জামায়াত নেতা মো. ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

মামলায় সরকারি কাজে বাধা, কর্মকর্তাদের মারধর ও অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

টেকনাফ মডেল থানায় মঙ্গলবার মামলাটি করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টেকনাফ বিশেষ জোন।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে পৌরসভার কুলালপাড়া এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারি আলমগীরের বসতঘরে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে ডিএনসি। এ ঘটনায় আলমগীরকে আসামি করে মামলা করা হয়।

এ অভিযানের কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী টেকনাফ পৌরসভার সহসভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইলের বাড়িতে আরও কিছু ইয়াবা মজুত আছে–এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দিন সন্ধ্যায় অভিযানে যায় ডিএনসি কর্মকর্তারা।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ওই সময় ইসমাইল অভিযানে বাধা প্রদান করেন এবং লোকজন জড়ো করে অভিযানিক টিমের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ডিএনসির তিন সদস্য আহত হন। পরে তার অনুসারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ডিএনসি অফিসে ভাঙচুর চালায়।

এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মোহাম্মদ ইসমাইল অভিযোগ করেন, ‘সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চারজন ব্যক্তি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয়ে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। তখন স্থানীয় কিছু লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে।

‘ওই কর্মকর্তারা সাদা পোশাকে এসেছিলেন। স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে তারা দ্রুত চলে যান। কারা অফিস ভাঙচুর করছে, আমার জানা নেই।’

মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিষয়টি তিনি আইনিভাবে মোকাবিলা করবেন বলেও জানান।

জানতে চাইলে ডিএনসি টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিফাত তাসনিম বলেন, ‘ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাকিদের শনাক্ত করা হবে।

‘এ ঘটনা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।’

আরও পড়ুন:
অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ: সেই কিশোরের জামিন
অস্ত্রের মুখে টেকনাফের পাহাড় থেকে দুই কৃষককে অপহরণ
জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্বপ্ন পূরণে জামায়াত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: শফিকুর
স্কুলছাত্রকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ 
মিয়ানমারে যুদ্ধবিমানের গোলা, বিকট শব্দে এপারে আতঙ্ক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Autorickshaw crushed by truck covered van kills four

অটোরিকশায় ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের চাপা, চারজন নিহত

অটোরিকশায় ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের চাপা, চারজন নিহত প্রতীকী ছবি
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার এসআই দুলাল চন্দ্র জানান, চারজনের লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

গাজীপুরে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের মাঝে চাপা পড়ে একটি অটোরিকশার চালকসহ চারজন নিহত হয়েছেন।

সিটি করপোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বুধবার রাত ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো চারজন হলেন ছালেহা আক্তার টুকটুকি (২৬), ইমরান হাসান রাজন (৩৮), মো. মামুন (২৩) ও মো. দুলাল (৪২)।

পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্য, বুধবার রাতে ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে একটি ট্রাক ভোগড়া বাইপাস এলাকা থেকে চান্দনা চৌরাস্তাগামী যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ওই সময় সামনে থাকা একটি কাভার্ড ভ্যানের পেছনে ওই অটোরিকশার ধাক্কা লাগে। একপর্যায়ে অটোরিকশাটি ট্রাক ও কভার্ডভ্যানের মাঝে চাপা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই চালক নিহত হন।

অটোরিকশার তিনজন যাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার এসআই দুলাল চন্দ্র জানান, চারজনের লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন গাড়ির দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত
অটোরিকশায় মাইক্রোর ধাক্কায় দুজন নিহত, তিনজন আহত
নওগাঁয় ট্রাক-প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু
কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু ও নারীসহ নিহত ৫

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dhaka Yamuna bridge highway with lights on vehicles even during the day 
ঘন কুয়াশা

ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়কে দিনেও বাতি যানবাহনে 

ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়কে দিনেও বাতি যানবাহনে  ঘুন কুয়াশায় দিনের বেলাতেও বাতি জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। ছবিটি মহাসড়কের টাঙ্গাইলের কালিহাতীর সল্লা এলাকা থেকে তোলা। ছবি: নিউজবাংলা
যমুনা সেতু পূর্ব থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ বলেন, ‘রাত থেকেই তীব্র কুয়াশা পড়েছে। ফলে স্বাভাবিক গতির চেয়ে কিছুটা কম গতিতে যানবাহন চলাচল করছে, তবে মহাসড়কে কোনো ধরনের যানজট নেই। এ ছাড়া দুর্ঘটনা রোধে পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।’

কয়েক দিন ধরে অতিরিক্ত ঘনকুয়াশায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে দিনের বেলাতেও বাতি জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।

এ মহাসড়কে কোনো যানজটের চিত্র না থাকলেও স্বাভাবিক গতির তুলনায় কিছুটা ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল লক্ষ করা গেছে।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার সকালে মহাসড়কের যমুনা সেতু পূর্ব রেলস্টেশন, জোকারচর ও সল্লা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কে ঘন কুয়াশার ফলে দিনের আলোতে লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এতে করে যানবাহন চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটছে না।

ঢাকার গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা নীলফামারীর সৈয়দপুরগামী হানিফ পরিবহনের চালক উজ্জ্বল মিয়া বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই খুব কুয়াশা পড়েছে। এই কুয়াশার জন্যে দূরের কিছু দেখা যায় না। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলাতেও লাইট জ্বালিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে কম গতিতে গাড়ি চালাচ্ছি।’

যমুনা সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ বলেন, ‘রাত থেকেই তীব্র কুয়াশা পড়েছে। ফলে স্বাভাবিক গতির চেয়ে কিছুটা কম গতিতে যানবাহন চলাচল করছে, তবে মহাসড়কে কোনো ধরনের যানজট নেই। এ ছাড়া দুর্ঘটনা রোধে পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।’

আরও পড়ুন:
ফিটনেসহীন যানবাহন ৬ মাসের মধ্যে অপসারণ করতে হবে: উপদেষ্টা
টাঙ্গাইলে বাস-ট্রাক সংঘের্ষ নিহত চার, আহত ১০
হাজার বছরে শেখ হাসিনার মতো নির্মম কারও জন্ম হয়েছে কি না, সন্দেহ মামুনুলের
ঘাটাইলে লটকনের বাণিজ্যিক চাষ
বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যান বাড়লেও কমেছে টোল আদায়

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Important part of Dhaka Chittagong highway is in bad condition

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বেহাল

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বেহাল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একটি অংশ। ছবি: ইউএনবি
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত ১০৫ কিলোমিটারের রাস্তাটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নোয়াপাড়াসহ চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ অংশেরও একই হাল।

দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। এ অবস্থা সড়ক ব্যবহারকারীদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত ১০৫ কিলোমিটারের রাস্তাটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নোয়াপাড়াসহ চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ অংশেরও একই হাল।

এ ছাড়া আদর্শ সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর থেকে ক্যান্টনমেন্ট এলাকা পর্যন্ত দুই লেনের সড়কের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সড়কের এই দুরাবস্থায় বিশেষ করে পণ্যবোঝাই বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। এর ফলে যানবাহনের গতি কমেছে এবং ঘন ঘন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, যানজটের ভোগান্তি এবং ধুলাদূষণ যাত্রীদের জন্য প্রতিদিনের অগ্নিপরীক্ষায় পরিণত হয়েছে।

চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তার একটি বড় অংশ ভেঙে যাওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।

মহাসড়কের বাইরে কুমিল্লার অন্যান্য আঞ্চলিক সড়কও বেহাল।

৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক খানাখন্দে পূর্ণ ও সরু হওয়ায় চালক ও যাত্রী উভয়ের জন্য ভ্রমণ চ্যালেঞ্জিং হয়ে গেছে।

যাত্রী ও চালকদের ওপর প্রভাব

কুমিল্লা বাসমালিক সমিতির সভাপতি জামিল আহমেদ খন্দকার পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, ‘কুমিল্লায় মহাসড়কের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চালক-যাত্রী উভয়কেই চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’

দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু করার আহ্বান জানান তিনি।

কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের মিনিবাস চালক আবুল হোসেন প্রতিদিনের ভোগান্তির বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘সরু রাস্তা, ভারী যানবাহন এবং গর্ত সব মিলিয়ে চালকদের জন্য একটি নিয়মিত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

মুজাফফরগঞ্জ থেকে আসা যাত্রী আবদুল্লাহ আল মারুফ জানান, কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লা অংশটি তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত হলেও চাঁদপুর অংশে যাতায়াত অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।

সরকারের প্রতিক্রিয়া

সাম্প্রতিক বন্যা ও ভারি বর্ষণে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করেন কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা।

তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘আমরা ১৫ দিনের মধ্যে মেরামতের কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করছি।’

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অর্থনৈতিক গুরুত্ব

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেশের বৃহত্তম বন্দর ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকার সংযোগকারী প্রধান সড়ক হিসেবে কাজ করে।

মহাসড়কটি গার্মেন্টস, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষির মতো শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনকে সহজতর করে, যা আমদানি-রপ্তানির জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।

বাংলাদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এ রুট দিয়ে পরিচালিত হয়, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য এর গুরুত্ব তুলে ধরে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে শুধু সড়ক নিরাপত্তাই বিঘ্নিত হবে না, দেশের অর্থনৈতিক গতিও ঝুঁকির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন:
ঢাকার বায়ুমান ঝুঁকিপূর্ণ, মাস্ক পরার পরামর্শ
ঢাকা-আগরতলা লং মার্চ করবে ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল
আইনজীবী সাইফুল হত্যা: ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
আইনজীবী সাইফুলের পরিবারের জন্য কোটি টাকার ফান্ড হচ্ছে: ধর্ম উপদেষ্টা 
ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম

মন্তব্য

p
উপরে