পুঁজিবাজারে টানা সংশোধনের মধ্যে পরপর তিন দিন পতন হলো মূল্যসূচকের। গত ২৯ আগস্টের পর এই প্রথম এ ঘটনা ঘটল। আগস্টের শেষে পরপর তিন দিন পতন হয়েছিল, আবার গত ৪ এপ্রিলের পর প্রথম।
সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবসে পুঁজিবাজারের আচরণ বিনিয়োগকারীদের কেবল হতাশ নয়, ভীত করেছে। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধন টানা চতুর্থ সপ্তাহে এসে আরও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
পতনের ভিড়ে বিমা খাতে দেখা গেছে অভাবনীয় চিত্র। জুনের দ্বিতীয় ভাগ থেকে ক্রমাগত দর পতনের মুখে থাকা এই খাতের সবগুলো শেয়ার দল বেঁধে বাড়ল। একটি ছাড়া বেড়েছে বাকি ৫০ কোম্পানির শেয়ার দর। দর বৃদ্ধির শতকরা হারও বেশ আগ্রহোদ্দীপক।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির সাতটিই বিমা খাতের। সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ২০টি কোম্পানির ১৫টিই এই একটি খাতের; আর সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ৩০টি কোম্পানির মধ্যে ২১টি।
এতদিন বড় মূলধনি বেশ কিছু কোম্পানি সূচক টেনে তুললেও এবার পতন হচ্ছে সেগুলোরও। সঙ্গে স্বল্প মূলধনি ও লোকসানি বেশ কিছু কোম্পানি, যেগুলোর শেয়ার দর চলতি বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে বাড়ছিল, সেগুলোর দরপতন অব্যাহত আছে।
স্বল্প পুঁজির বিনিয়োগকারী, যারা শেয়ার দর আরও কমলে নতুন করে কিনে সমন্বয় করতে পারেন না, তারা আরও পতনের আশঙ্কায় কম দামে শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে সূচকের পতন আরও ত্বরান্বিত করছেন।
বুধবারের ৬৫ পয়েন্ট পতন গত ১৪ সেপ্টেম্বরের পর সর্বোচ্চ। সেদিন দরপতন হয়েছিল ৭৮ পয়েন্ট। তার আগে ১২ সেপ্টেম্বর পড়েছিল ৫৬ পয়েন্ট।
তার আগে ২৭ জুন সূচক পড়েছিল ১০০ পয়েন্ট। ২৩ জুন পড়েছিল ৮০ পয়েন্ট। ৭ জুন পড়েছিল ৫৩ পয়েন্ট। আর ২০ মে পড়েছিল ৬০ পয়েন্ট।
এই পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে গত চার সপ্তাহে বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতনের মধ্যেও সূচক বাড়ানো লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, আইসিবি, পাওয়ারগ্রিড। বেক্সিমকো লিমিটেডের দরপতনেও পড়েছে সূচক।
সঙ্গে বড় মূলধনি ওয়ালটন, স্কয়ার ফার্মা, বিকন ফার্মা, রেনাটা, ইউনাইটেড পাওয়ার ও গ্রামীণফোনের শেয়ার দর হারানোয় পড়েছে সূচক।
এই ১০টি কোম্পানির দরপতনেই সূচক কমেছে ৪৪.২৫ পয়েন্ট।
দিন শেষে ১১২টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২৪১টির শেয়ার দর। দর ধরে রাখতে পেরেছে কেবল ২৩টি।
বিমা খাত ছাড়া উল্লেখযোগ্য দর বেড়েছে ব্যাংক খাতে এনআরবিসি, বস্ত্র খাতের ঢাকা ডায়িং, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জেনেক্সিল, জ্বালানি খাতের ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট, প্রকৌশল খাতের কে অ্যান্ড কিউ।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, এনআরবিসি, ডেল্টা লাইফ, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, জেনেক্সিল, আইএফআইসি ব্যাংক, ইবিএল, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, ওরিয়ন ফার্মা ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের দর না বাড়লে সূচকের আরও পতন হতে পারত।
এই ১০টি কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ১৪.৯৯ পয়েন্ট, যার মধ্যে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো একাই যোগ করেছে ৪.৯৯ পয়েন্ট।
মন্দা বাজারে প্রাণের স্পন্দন দিল বিমা খাত
জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পড়তে থাকা বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটি চার মাসে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত দর হারিয়ে ফেলে।
বাজারে দর সংশোধনের এক মাস শেষ হওয়ার পর দুই দিন ধরে এই বিমা খাতই বিনিয়োগকারীদেরকে যা কিছু স্বস্তি দিচ্ছে।
মঙ্গলবার ৫১টি বিমা কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছিল ৩৪টির। লেনদেন ৮৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছিল ১৩১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সেটি আরও বেড়ে হয়েছে ১৮৭ কোটি ৩ লাখ টাকা। আর এবার এক সঙ্গে বেড়েছে ৫০টি কোম্পানির দর।
৩৮টি সাধারণ বিমার মধ্যে সবগুলোর দর বেড়েছে। ১৩টি জীবন বিমার মধ্যে ১২টির দর বেড়েছে।
দর পতন হওয়া কোম্পানি ছিল মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স। যার শেয়ার দর কমেছে ২০ পয়সা বা দশমিক ২১ শতাংশ।
লেনদেনে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৯.৯৭ শতাংশ। শেয়ার দর ১০৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১৯ টাকা। তারপরই আছে জনতা ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৮.১১ শতাংশ; ৪৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫১ টাকা ৯০ পয়সা।
রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের দর ৭.৮৭ শতাংশ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের দর ৭.১২ শতাংশ, নর্দান ইন্স্যুরেন্সের দর ৬.২৯ শতাংশ, প্রাইম ও পূরবী ইন্স্যুরেন্সের দর ৫.০৬ শতাংশ, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের দর ৪.৯৬ শতাংশ, রূপালী ইন্স্যুরেন্সের দর ৪.৮৫ শতাংশ, বিএসআইসিএলের দর ৪.৬১ শতাংশ, ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের দর ৪.৪১ শতাংশ, ইস্টল্যান্ডের দর ৪.৩৮ শতাংশ, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের দর ৪.১৪ শতাংশ বেড়েছে।
আগ্রহ আরও বাড়ছে ব্যাংকে
মঙ্গলবার লেনদেনে ব্যাংক খাতের মাত্র ১০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বেড়েছিল। বিপরীতে কমেছিল ১৩টি ব্যাংকের। বুধবারও লেনদেনে মাত্র নয়টি ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ১৭টির। বাকি ব্যাংকগুলোর শেয়ার দর ছিল আগের মতোই।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এনআরবিসির দর টানা দুই দিন বাড়ল ১০ শতাংশের কাছাকাছি। আরও কয়েকটির দর দিনের শুরুতে বেড়ে গিয়েও পরে কমে যায়।
তৃতীয় প্রান্তিক শেষ করা এই খাতটি এখন চূড়ান্ত ও শেষ প্রান্তিকে পড়েছে। এখনও তৃতীয় প্রান্তিকে আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ পায়নি। তবে চলতি মাসেই প্রকাশ পাবে সবগুলোর আয়।
এই অবস্থায় ব্যাংক খাতে আগ্রহ বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
আগের দিন এই খাতে লেনদেন হয়েছিল ১৭৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। সেটি বেড়ে আজ হয়েছে ১৯৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ৩.৫৬ শতাংশ। এছাড়া মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর হারিয়েছে ২.৯৩ শতাংশ। ব্র্যাক ব্যাংকের দর কমেছে ১.৪৮ শতাংশ।
অন্যদিকে তবে দর বৃদ্ধিতে এগিয়ে থাকা এনআরবিসির দর বেড়েছে ৯.৯৫ শতাংশ। তারপরই ছিল ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, যার শেয়ার দর বেড়েছে ১.৮০ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ারের দর বেড়ছে ১.৬৮ শতাংশ।
স্বল্প মূলধনির পতন
পুঁজিবাজার ১০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি আছে মোট ৩১টি। এরমধ্যে দর বেড়েছে সাতটির। আর দর হারিয়েছে ২৪টি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের ৪.৯৯ শতাংশ। তারপরেই আছে কে অ্যান্ড কিউ, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৩১ শতাংশ।
অন্যদিকে শ্যামপুর সুগার মিলসের শেয়ার দর কমেছে ৫.৮১ শতাংশ। দেশ গার্মেন্টসের দর ৫.৫১ শতাংশ, এইচআর টেক্সটাইলের দর ৫.১২ শতাংশ, হাক্কানি প্লাম্পের দর কমেছে ৪.১০ শতাংশ, বিডিঅটোকারের দর কমেছে ৪ শতাংশ।
দর হারাচ্ছে সূচক টেনে তোলা কোম্পানিগুলো
সাম্প্রতিক সময়ে বিনিয়োগকারীদের মনযোগের কেন্দ্রে উঠে আসা কোম্পানিগুলোর মধ্যে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট টানা দ্বিতীয় দিন উল্লেখযোগ্য হারে দর হারিয়েছে। ৫.৮৭ শতাংশ কমে শেয়ারদর ৯৮ টাকা ৮০ পয়সা থেকে হয়েছে ৯৩ পয়সা।
সাম্প্রতিক উত্থানে এই কোম্পানিটির শেয়ার দর ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত উঠেছিল। এরপর ৫ অক্টোবর থেকে দরপতন শুরু।
পাওয়ার গ্রিডের দর ৫.৪৯ শতাংশ কমে ৭১ টাকা থেকে হয়েছে ৬৭ টাকা ১০ পয়সা। এই কোম্পানিটির শেয়ার দর চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৭৩ টাকা ৭০ পয়সায় উঠেছিল।
আইসিবির দর ৪.৯৮ শতাংশ কমে ১৪৮ টাকা ৬০ পয়সা থেকে হয়েছে ১৪১ টাকা ২০ পয়সা। গত ৬ অক্টোবর এই কোম্পানিটির শেয়ার দর সর্বোচ্চ ১৭৪ টাকা উঠেছিল। এরপর থেকে পতনের শুরু।
ইউনিক হোটেলের শেয়ার দর ৪.১৫ শতাংশ কমে ৫৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে হয়েছে ৫৩ টাকা। সেপ্টেম্বরের শেষ দিন এই কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬৩ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত উঠেছিল।
শেয়ার প্রতি ৯০ পয়সা দর হারিয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডও। গত কয়েকদিনে এই কোম্পানির শেয়ার দর হারিয়েছে ১০ টাকার বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে সর্বোচ্চ দর উঠেছিল ১৫১ টাকা ৭০ পয়সা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৫ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২৪৮ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে।
শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ২৪ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৬৬ দশমিক ৬০ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৩২ দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭১৭ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে।
দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য