× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Two new varieties of onion will reduce Indias dependence
google_news print-icon

ভারতনির্ভরতা কমাবে পেঁয়াজের নতুন দুই জাত

ভারতনির্ভরতা-কমাবে-পেঁয়াজের-নতুন-দুই-জাত
দেশে দুটি জাতের পেঁয়াজের উদ্ভাবন হয়েছে, যা একটি মৌসুমনির্ভরতা আর থাকবে না। ছবি: নিউজবাংলা
কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, দেশে পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২৮ লাখ টন। এর মধ্যে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের একটি অংশ সংরক্ষণের সময় নষ্ট হয়। ফলে ৮ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়, যার বেশির ভাগই আসে ভারত থেকে। নতুন জাত দিয়ে গ্রীষ্মকালীন উৎপাদন শুরু হলে চাহিদা ও জোগানের মধ্যে এই ব্যবধান কমে আসবে।

দেশে পেঁয়াজের যে উৎপাদন, তার সঙ্গে চাহিদার ব্যবধান ১০ শতাংশ। তবে শীতে উৎপাদনের পর সারা বছর সংরক্ষণজনিত জটিলতায় তা ২৫ শতাংশে গিয়ে ঠেকে।

আশার কথা হচ্ছে, দেশে এমন দুটি জাতের পেঁয়াজের উদ্ভাবন হয়েছে, যা একটি মৌসুমনির্ভরতা আর থাকবে না।

যে সময় দেশে মজুত কমে যাওয়ার পর ভারতের মজুত পরিস্থিতির কারণে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে, সে সময়ই উৎপাদনে চলে আসবে নতুন এই জাত।

জাত দুটি উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, যা সংক্ষেপে বিনা নামে পরিচিত। জাত দুটি কৃষকদের মধ্যে পৌঁছাতে জোরেশোরে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। গবেষকরা বলছেন, কৃষকরা সঠিক পরামর্শ মেনে চাষাবাদ করলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের বিপ্লব ঘটবে।

নতুন দুই জাত বিনাপেঁয়াজ-১ ও বিনাপেঁয়াজ-২ এ বছর থেকেই চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

ভারতনির্ভরতা কমাবে পেঁয়াজের নতুন দুই জাত

নতুন উদ্ভাবিত গ্রীষ্মকালীন এই দুই জাতের পেঁয়াজ হেক্টরপ্রতি ৮ থেকে ১০ টন উৎপাদন হবে। অন্য জাতের পেঁয়াজ শীতকালে ও এটি গ্রীষ্মকালে উৎপাদন হওয়ায় বাংলাদেশের উৎপাদিত সব পেঁয়াজ মিলিয়ে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা মিটবে বলে জানাচ্ছেন বিনার বিজ্ঞানীরা।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, দেশে পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২৮ লাখ টন। এর মধ্যে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের একটি অংশ সংরক্ষণকালে নষ্ট হয়। ফলে ৮ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়, যার বেশির ভাগই আসে ভারত থেকে।

গত দুই বছর ভারতে বন্যা ও উৎপাদন সমস্যার কারণে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় দেশে পণ্যটির দাম ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছিল। অন্য দেশ থেকে আমদানি করেও পরিস্থিতি সামলানো যায়নি।

মিসরসহ নানা দেশ থেকে আমদানি করতে গিয়ে ব্যবসায়ীরাও পড়েন ক্ষতির মুখে। দাম ছিল উচ্চ, পণ্য দেশে আসতে আসতে নতুন পেঁয়াজ চলে আসে, ফলে দাম কমে যায়।

এবারও ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিতে পারে, এমন গুঞ্জনে গত দুই সপ্তাহেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আগামী এক মাসেও পরিস্থিতি পাল্টাবে না।

এ অবস্থায় গ্রীষ্মকালীন জাত চাষ হলে আমদানি আর করতে হবে না।

এবার চারা উৎপাদনে গুরুত্ব

বিনার বিজ্ঞানীরা বলছেন, উদ্ভাবিত জাতের পেঁয়াজ বিপুল পরিমাণে জমিতে চাষের জন্য প্রথমে বীজ উৎপাদনকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

এ জন্য রবি মৌসুমে অক্টোবর থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহকে নির্ধারণ করে জমিতে বীজ বপন করতে হবে।

ভারতনির্ভরতা কমাবে পেঁয়াজের নতুন দুই জাত

খরিপ-১ মৌসুমে (গ্রীষ্মকালীন ফসল) কন্দ (পেঁয়াজের চারা) উৎপাদনের জন্য মধ্য জানুয়ারিতে বীজ বপন করতে হবে।

এ ছাড়া রবি মৌসুমে বীজের জন্য চারা রোপণ করলে অবশ্যই ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে মধ্য ডিসেম্বরেই (অগ্রহায়ণের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে চতুর্থ সপ্তাহ) করতে হবে।

চারা থেকে চারার দূরত্ব হবে ১৫ সেমি এবং সারি থেকে সারি ২০ সেমি দূরে থাকতে হবে।

খরিফ-১ মৌসুমে কন্দ উৎপাদনের জন্য চারা রোপণ করতে হবে মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহ (ফাল্গুনের প্রথম থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহ) পর্যন্ত।

চারা থেকে চারার দূরত্ব ১০ সেমি ও সারি থেকে সারি ১০ সেমি দূরে থাকবে।

উদ্ভাবকরা যা বলছেন

বিনাপেঁয়াজ-১ ও বিনাপেঁয়াজ-২ জাতের উদ্ভাবক বিনার প্রশাসন ও সাপোর্ট সার্ভিসের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। সহযোগী গবেষক হিসেবে ছিলেন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কামরুজ্জামান ও ফাহমিনা ইয়াসমিন।

ফাহমিনা ইয়াসমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভালো ফলন পেতে হলে সতেজ ও পুষ্ট বীজ বাছাই করতে হবে। এ ছাড়া ভিটাভেক্স-টু হান্ড্রেড ছত্রাকনাশক দিয়ে কেজিপ্রতি ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে বীজ শোধন করতে হবে।

প্রতি হেক্টরে ৬ থেকে ৭ কেজি বীজ বপন করলে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে।

ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, এ জাতের পেঁয়াজের গাছ পরিপক্ব হলে পাতা ক্রমশ হলুদ বর্ণ ধারণ করে এবং গলার দিকের টিস্যু নরম হয়ে যায়। শতকরা ৫০ থেকে ৬০ ভাগ গাছে পরিপক্বতা এলে ফলন উত্তোলন করে পাতা ও শিকড় কেটে ছায়াময় ও শীতল স্থানে ৫ থেকে ৭ দিন রেখে কিউরিং করতে হবে৷

এরপর ভালো পেঁয়াজগুলোকে বাছাই করে ঘরের মেঝে বা একটু উচ্চতায় বাঁশ বা প্লাস্টিকের মাচায় রেখে সংরক্ষণ করতে হবে।

নতুন দুই জাতের উদ্ভাবক আবুল কালাম আজাদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বীজ পরিপক্ব হওয়ার সময় কদমের মুখ ফেটে যায় এবং কালো বীজ দেখা যায়। শতকরা ২০ থেকে ২৫ ভাগ গাছে পরিপক্বতা আসলে ফসল উত্তোলন শুরু করতে হবে। একই সময়ে সব পুষ্পদণ্ডের বীজ পরিপক্ব হয় না। এ জন্য ২ থেকে ৩ বার বীজ তুলতে হবে।’

ভারতনির্ভরতা কমাবে পেঁয়াজের নতুন দুই জাত

তিনি বলেন, ‘পুষ্পদণ্ডের নিচ থেকে কদমের ৫ থেকে ৭ সেমি অংশসহ পরিপক্ব কদমগুলো তুলতে হবে৷ তোলার পর কয়েক দিন রোদে শুকিয়ে প্রথমে বীজ থেকে খোসা আলাদা করতে হবে। এরপর বীজ পরিষ্কার করে পুনরায় রোদে শুকিয়ে আর্দ্রতা ৫ থেকে ৭ শতাংশে কমিয়ে আনতে হবে।

‘তারপর শুষ্ক ও ছায়াযুক্ত স্থানে বীজ ঠান্ডা করে বায়ুরোধক পলিথিন ব্যাগ, টিন অথবা প্লাস্টিকের পাত্রে ভরে শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে।’

বাংলাদেশে পেঁয়াজ চাষে বিপুল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই জাতের পেঁয়াজ চাষের জন্য হালকা বুনটের মাটি বেশি উপযোগী। পলি, পিলি দো-আঁশ, বেলে দো-আঁশ ও দো-আঁশ মাটিবিশিষ্ট উঁচু জমি, যেখানে পানি জমে না বা নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা আছে, এমন জমিতে ফলন ভালো হয়।

‘আমাদের এসব দিকনির্দেশনা মেনে কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হলে বাংলাদেশের উৎপাদিত পেঁয়াজ দিয়ে দেশের চাহিদা মিটবে৷ এর ফলে পেঁয়াজের দাম কমার পাশাপাশি বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে’-বলেন নতুন দুই জাতের উদ্ভাবক।

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, ‘ডাল ও তেলজাতীয় শস্য যেমন সয়াবিন, সরিষা, মসুর, সূর্যমুখী ছাড়াও আলু, টম্যাটো, ব্রোকলি, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শাকসবজি চাষের জমিগুলো এই নতুন জাতের পেঁয়াজ চাষের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উপযোগী।

১৫ বছরের গবেষণা

গ্রীষ্মকালে পেঁয়াজ উৎপাদন করতে ২০০৬ সাল থেকে গবেষণা শুরু হয়। প্রথমে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ জাত বারি পেঁয়াজ-২-এর বীজে গামা রশ্মি প্রয়োগ করা হয়।

এরপর পেঁয়াজের বংশগতিতে স্থায়ী পরিবর্তনের মাধ্যমে বিপি২/৭৫/২ ও বিপি২/১০০/২ নামক দুটি মিউট্যান্ট পাওয়া যায়। পরে কৃষক ও মাঠপর্যায়ে পরীক্ষা করে দেখা যায়, মিউট্যান্ট দুটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মাতৃজাত বারি পেঁয়াজ-২ ও চেকজাত বারি পেঁয়াজ-৩-এর চেয়ে বেশি কন্দ ও বীজ উৎপাদনে সক্ষম।

এগুলোর কন্দের সংরক্ষণকাল স্বাভাবিক অবস্থায় দুই মাস বা তার চেয়ে বেশি এবং একই বছর বীজ থেকে বীজ উৎপাদন করা হয়, যা দেশে প্রচলিত জাতে এমনটি দেখা যায় না।

ফলে মিউট্যান্ট দুটিকে জাতীয় বীজ বোর্ড ২০১৮ সালে বাণিজ্যিকভাবে খরিফ-১ মৌসুমে চাষাবাদের জন্য বিনাপেঁয়াজ -১ ও বিনাপেঁয়াজ-২ নামে অনুমোদন দেয়।

আরও পড়ুন:
পেঁয়াজের মজুত পর্যাপ্ত, তবু দাম বাড়ছে কেন
পেঁয়াজের বাড়তি দাম ‘আরও এক মাস’
পেঁয়াজের ঝাঁজে বিপাকে নিম্নবিত্ত
পেঁয়াজ আবাদ হবে সারা বছর: নতুন দুই জাত উদ্ভাবন
ভারতের রপ্তানি বন্ধের গুঞ্জনে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Black Hanuman leaving the area in search of food

খাদ্যের সন্ধানে এলাকা ছাড়ছে কালোমুখো হনুমান

খাদ্যের সন্ধানে এলাকা ছাড়ছে কালোমুখো হনুমান

কেশবপুরের ঐতিহ্য কালোমুখো হনুমান খাদ্য সংকট ও বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় খাবার না পেয়ে মারাও যাচ্ছে। কালোমুখো হনুমান রক্ষার দাবি উঠেছে।

জানা গেছে, একসময় কেশবপুরে ছিল কালোমুখো হনুমানের অভয়ারণ্য। বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় এবং খাদ্য সংকটে সময়ের গতির সঙ্গে কমে যাচ্ছে হনুমান। বর্তমানে ১৮০ থেকে ২০০টি হনুমান কেশবপুরে রয়েছে বলে স্থানীয় বন বিভাগ জানায়। এখান থেকে ৪/৫ বছর আগে ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশ বিভক্তির আগে ভারতের মাড়োয়াররা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য যশোরের কেশবপুরে বসবাসের পাশাপাশি আসা-যাওয়া করত। এ সময় তাদের যানবাহনে করে দুটি কালোমুখো হনুমান ভারত থেকে কেশবপুরে আসে। সেই থেকে হনুমানের এখানে পত্তন শুরু হয়। ওই এক জোড়া হনুমান থেকে এখানে শত শত হনুমানের কালের আবর্তনে ওরা আজ বিলুপ্তির পথে। একসময় কেশবপুর অঞ্চলে ঘন বনজঙ্গল ছিল। এসব বনের ফল ও লতাপাতা খেয়ে ওরা জীবিকা নির্বাহ করত। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বন উজাড়সহ ঘনবসতি এবং এলাকায় অবৈধ ইটভাটায় গিলে খাচ্ছে এসব বনের কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে বন। এদিকে কেশবপুর উপজেলায় পল্লীবিদ্যুতের তারে কভার সিস্টেম না থাকায় প্রায়ই বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওরা মারা যাচ্ছে। খাদ্য সংকটের কারণে কেশবপুরের হনুমান দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে।

উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, কেশবপুর এলাকায় বনজঙ্গল কমে যাওয়ার কারণে হনুমানের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ওদের রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন বলেন, হনুমান রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন এনজিও ব্যক্তি গত ভাবেও অনেকেই খাদ্য দেয়, যার কারণে ওরা গ্রামাঞ্চল ছেড়ে বর্তমানে শহরে বেশি বিচরণ করছে।

মন্তব্য

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত জেবল হক (৮০) কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের লামছি গ্রামের মৃত গনু মিয়ার ছেলে।

বুধবার (২ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।

ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের এক জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা.মরিয়ম সিমি বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুপুরে তার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত নোয়াখালীতে মোট ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কিট সল্পতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট এখনো শুরু করা হয়নি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The terrorist attack on journalists at Satkhira Press Club and injured

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি মাদকাসক্ত আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।

সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।

এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Daudkandi Municipality announces a budget of Tk 12 crore

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে পৌরসভা হলরুমে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে সর্বমোট আয় ৪২ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ও মোট ব্যয় ৩৬ কোটি ৭৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম তার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজস্ব খাত থেকে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৩ শত ৩১ টাকা ও উন্নয়ন খাত থেকে ২৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৫ টাকা আহরনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বাজেটে উদ্ধৃত্ত ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৭৮ টাকা।

এছাড়াও বাজেটে খাতওয়ারী ব্যয়ের হিসেবে দেখা যায় রাজস্ব খাতে ব্যয় ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান,পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক শাহাদাত হোসেনসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shot in Rupganj protesting drunkenness 2 young men

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদকাসক্ত হয়ে মাতলামি করার প্রতিবাদ করায় ইয়াছিন (৩৮) ও সিপন( ৩২) নামে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অপরজনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মুড়াপাড়া টঙ্গীরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ ইয়াছিন মুড়াপাড়ার হাউলিপাড়া এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে এবং সিপন টঙ্গীরঘাট এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন তার স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে খালাতো বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে স্থানীয় সোহরাব নামের এক যুবক মাদকাসক্ত অবস্থায় তাদের উদ্দেশে গালিগালাজ করলে ইয়াছিন প্রতিবাদ করেন। পরে তিনি খালাতো ভাই সিপনকে নিয়ে স্থানীয় অহিদুল্লার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানান। সেখানেই সোহরাব ক্ষিপ্ত হয়ে পিস্তল দিয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ইয়াছিনের মাথায় ও সিপনের পায়ে গুলি লাগে।

তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সিপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইয়াছিনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Village Court Awareness Workshop held in Noakhali 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক সচরতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশ গ্রহণের সমন্বিত পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে (২৫ জুন) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় তৃতীয় তলায় মিনি কনফারেন্স হলরুমে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন,নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইয়াসিন, গ্রাম আদালত নোয়াখালী ম্যানেজার আহসানুল্লাহ চৌধুরী মামুনসহ এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jessore court disappears from the document of the case

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একটি বিচারাধীন মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে গেছে। আদালতের নথি থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই কাগজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে মামলার বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির ও আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুলকে শোকজ করেছেন বিচারক। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ঘটনাটি ঘটে গত ২২ জুন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে। ওই দিন মামলাটির (এসসি-১৬৬৯/২০১৮) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ছিল। আদালতে আসামি, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও আসামিপক্ষের আইনজীবী—সবাই উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিচারক মো. সালেহুজ্জামান মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান, নথিতে মামলার এজাহারের কপি নেই। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, সাক্ষ্য গ্রহণের আগে আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল তার কাছ থেকে নথি নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এজাহার দেখে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আবার নথি বিচারকের কাছে জমা দেন।

এরপর এজলাসেই বিচারক আইনজীবীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারাসহ সিনিয়র আইনজীবীরা এজলাসে হাজির হন। একপর্যায় বিচারক ওই দুইজনকে শোকজ করে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিচারক এজলাসে ওঠার আগে আইনজীবী মামলার নথি নিয়েছিলেন। পরে ফেরত দেন। আমি নিজে নথিতে কোনো হেরফের করিনি। আইনজীবী কিংবা আইনজীবীর সহকারীর মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটতে পারে।’

অন্যদিকে, আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল জানান, তিনি নথি নিয়েছিলেন ঠিকই, তবে বিচারক এজলাসে চলে আসায় তা যথাযথভাবে বেঞ্চ সহকারীর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আসামির চালান কপি থেকে তথ্য নিয়েছেন। এজাহার সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন।

যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ গফুর বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। একজন আইনজীবী এমন কাজ করতে পারেন না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।’

আদালত ও আইনজীবী সমিতি সূত্র আরও জানায়, আদালতে থাকা মামলার মুল কপি থেকে মামলার এজাহারের কপি সরিয়ে নিয়ে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া এজাহার কপি হারিয়ে গেলেও মামলার বিচারের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওই মামলার এজাহারের ফটোকপি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির কাছে সংরক্ষিত থাকে। এর বাইরেও অনেক মাধ্যমে মামলার এজাহারের কপি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তবে, মুল নথিতে এজাহারের কপি না থাকাটা সমীচীন নয়। এ বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানায় সূত্র।

মন্তব্য

p
উপরে