শিরোনাম দেখে চমকানোর কিছু নেই। সারা বিশ্বের পুঁজিবাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো সম্পদমূল্যের আশপাশে লেনদেন হলেও দেশের পুঁজিবাজারে বেশ কিছু ফান্ডের এই চিত্র।
দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সংখ্যা ৩৬টি। এর মধ্যে ৩৩টির দাম তার সম্পদমূল্যের তুলনায় কম। এর মধ্যে আবার অর্ধেকের কাছাকাছি মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে, এমন ফান্ডের সংখ্যা ১০টির মতো।
২০১০ সালের মহাধসের পর মাঝে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চার বছর বাদ দিলে বাকি সময় মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর লভ্যাংশ আহামরি কিছু ছিল না। এর কারণ, পুঁজিবাজারের পতনে পর্যাপ্ত আয় না হওয়া।
তবে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে পুঁজিবাজারে যে উত্থান দেখা দিয়েছে, তাতে তালিকাভুক্ত ও পুঁজিবাজারের বাইরের মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর আয় বেড়েছে ব্যাপক হারে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লভ্যাংশ। আর এখন লভ্যাংশ হিসেবে নগদের বাইরে কোনো রিইনভেস্টমেন্ট ইউনিট দেয়া যায় না বলে ইউনিটমূল্যের তুলনায় বেশ ভালো অঙ্কের টাকা ঢুকেছে বিনিয়োগকারীর ব্যাংক হিসাবে।
এর পরেও সম্পদমূল্যের তুলনায় ইউনিটমূল্য কমে যাওয়ার কারণ বোধগম্য নয় পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের কাছে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, `কোনো মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি কত দাম হবে সেটি পুঁজিবাজারে লেনদেনের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়ে থাকে। সম্পদমূল্য বেশি হলে ফান্ডের ইউনিটপ্রতি দর বেশি হওয়া উচিত ছিল সেটি সত্য। এ জন্য বিনিয়োগকারীদের শুধু শেয়ার কেনা-বেচা নয়, সুনির্দিষ্ট করে মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিষয়ে বিনিয়োগ শিক্ষা প্রয়োজন।’
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিও চাইছে এই ফান্ডগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করতে। বর্তমানে ১৫ হাজার কোটি টাকার ফান্ড রয়েছে পুঁজিবাজার ও বাইরে। এটি দেড় লাখ কোটি টাকায় নিতে নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথাও ঘোষণা করেছে বিএসইসি।
বিএসইসির এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন দেবব্রত। বলেন, এটি আরও আগেই নেয়া উচিত ছিল। তাহলে মাঝে মাঝে পুঁজিবাজারে যে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়, সেটি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা যেত।
কী ধরনের উদ্যোগ নেয়া উচিত প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সবার আগে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো বছর শেষে যেন লভ্যাংশ দেয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। আর আস্থা বাড়লে যেকোনো সঞ্চয় ব্যাংকে না গিয়ে ফান্ডে বিনিয়োগ করবে।
বিএসইসির বক্তব্য আসার পর রোববার দল বেঁধে সবগুলো ফান্ডের দাম বাড়ে। তবে সোমবারই দল বেঁধে পড়ে যায় প্রায় সবগুলোর দর।
বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে মিউচ্যুয়াল ফান্ড নিয়ে ধারণার অভাব আছে, এটি স্পষ্ট। বেশ কিছু ফান্ডের দরে পার্থক্যতেই এটি স্পষ্ট।
যেমন পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৭১ পয়সা। এর দাম ৬ টাকা ২০ পয়সা। অথচ ইউনিটপ্রতি ১১ টাকা ১৩ পয়সা সম্পদ নিয়ে এসইএমএলএফ লেকচার ইক্যুইটি ফান্ডের ইউনিটপ্রতি দাম ১০.৪০ পয়সা।
আবার যে ফান্ডে লভ্যাংশ এসেছে বেশি, রেকর্ড ডেটের পর সেটির দামও কমেছে বেশি।
যেমন এনএলআই মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবার ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে। রেকর্ড ডেটে দাম ছিল ১৭ টাকা ৬০ পয়সা। সোমবারের দাম ১৪ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ কমেছে ৩ টাকা ৬০ পয়সা। লভ্যাংশ হিসাব করলেও বিনিয়োগকারীর লোকসান ইউনিটে ১ টাকা ৭৫ পয়সা।
অন্যদিকে ইউনিটপ্রতি ৪০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া এফবিএফআইএফের ইউনিটপ্রতি দাম রেকর্ড ডেটের পর এখন পর্যন্ত কমেছে ২০ পয়সা। ফলে ৪০ পয়সা লভ্যাংশের অর্ধেকটা মুনাফা হিসেবে পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
জুনে অর্থবছর শেষ হয়েছে, এমন ফান্ডগুলোর মধ্যে আইসিবির আটটি বাদে বেশির ভাগ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটধারীরা পয়সা খুইয়েছেন। কারণ, লভ্যাংশ যত এসেছে, ইউনিটের মূল্য কমেছে তার চেয়ে বেশি।
ভালো রিটার্ন পেলে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোও পুঁজিবাজারের বড় অংশ হবে বলে মনে করে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো লভ্যাংশ দিচ্ছে। ফলে এ ধারাটি ধরে রাখা সম্ভব হলে পূর্বের যে হতাশা ছিল সেটি কেটে যাবে।’
তিনি বলেন,‘সম্প্রতি দেখা গেছে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ডে ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে মুনাফা নেয়ার আগ্রহ বেড়েছে। বিভিন্ন কোম্পানির ক্ষেত্রে সেটি সম্ভব হলেও মিউচ্যুয়াল ফান্ডে সেটি একেবারেই সম্ভব নয়। মূলত বিনিয়োগকারীরা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অর্থবছর শেষ হওয়ার আগে আগে কোন ফান্ডের সম্পদমূল্য কত, আয় কার বেশি, কার কম সেটি দেখে বিনিয়োগ হয়ে থাকে।‘
সম্পদ মূল্যের তুলনায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কম যেগুলোর
এফবিএফআইএফের ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১১ টাকা ৯৯ পয়সা। দাম ৬ টাকাই। অর্থাৎ এই ফান্ডটির ইউনিট তার সম্পদমূল্যের চেয়ে ৪৯.৯৫ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
এবার ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ৪০ পয়সা।
পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১১ টাকা ৭১ পয়সা। দাম ৬ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ এই ফান্ডটির ইউনিট তার সম্পদমূল্যের চেয়ে ৪৭.০৫ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি ৮৫ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে।
পিএইচপি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১১ টাকা ৭৫ পয়সা। দাম ৬ টাকা ৩০ পয়সা।
অর্থাৎ এই ফান্ডটির ইউনিট তার সম্পদমূল্যের চেয়ে ৪৬.৩৮ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি ৮৫ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে।
এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১২ টাকা ৫ পয়সা। দাম ৬ টাকা ৬০ পয়সা।
অর্থাৎ এই ফান্ডটির ইউনিট তার সম্পদমূল্যের চেয়ে ৪৫.৩১ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ ৮০ পয়সা দিয়েছে ।
ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্যও এখন ১২ টাকা ৯১ পয়সা। দাম ৭ টাকা ১০ পয়সা।
অর্থাৎ এই ফান্ডটির ইউনিট তার সম্পদমূল্যের চেয়ে ৪৫.০০ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার লভ্যাংশ দিয়েছে ৬০ পয়সা।
ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১২ টাকা ১৪ পয়সা। দাম ৬ টাকা ৭০ পয়সা।
অর্থাৎ এই ফান্ডটির ইউনিট তার সম্পদমূল্যের চেয়ে ৪৪.৮১ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ৯০ পয়সা।
আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১১ টাকা ৫৪ পয়সা। দাম ৬ টাকা ৪০ পয়সা।
অর্থাৎ এই ফান্ডটির ইউনিট তার সম্পদমূল্যের চেয়ে ৪৪.৫৪ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ৭৫ পয়সা।
এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১২ টাকা ৩০ পয়সা। দাম ৭ টাকা।
অর্থাৎ এই ফান্ডটির ইউনিট তার সম্পদমূল্যের চেয়ে ৪৩.০৮ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি ৮৫ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে।
সম্পদের তুলনায় দাম ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম
এলআর গ্লোবাল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১৩ টাকা ৫৫ পয়সা। দাম ৯ টাকা।
অর্থাৎ এটি সম্পদূল্যের চেয়ে ৩৬.০১ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটির অর্থবছর শেষ হয়েছে সেপ্টেম্বরে। এখনও লভ্যাংশ ঘোষণা হয়নি।
আইএফআইএল ইসলামি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১০ টাকা ৪৮ পয়সা। দাম ৬ টাকা ৮০ পয়সা।
অর্থাৎ এটি সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩৫.১১ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ৪০ পয়সা।
ফার্স্ট জনতা মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১১ টাকা ৪৬ পয়সা। দাম ৭ টাকা ৬০ পয়সা।
অর্থাৎ এই ফান্ডটির ইউনিট তার সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩৩.৬৮ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা।
প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১১ টাকা ৪৬ পয়সা। দাম ৭ টাকা ৭০ পয়সা।
অর্থাৎ এটি সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩২.৮০ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ৭৫ পয়সা।
এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১২ টাকা ৪৮ পয়সা। দাম ৮ টাকা ৪০ পয়সা।
অর্থাৎ এটি সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩২.৬৯ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
মার্চে অর্থবছর শেষ হয় এই ফান্ডের। চলতি বছর ইউনিটে ১ টাকা ১৫ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে ফান্ডটি।
আইসিবি থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১০ টাকা ৬৮ পয়সা। দাম ৭ টাকা ২০ পয়সা।
অর্থাৎ এই ফান্ডটির ইউনিট তার সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩২.৫৮ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ৭০ পয়সা।
এনসিসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১৩ টাকা ১৬ পয়সা। দাম ৮ টাকা ৯০ পয়সা।
অর্থাৎ এটি সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩২.৩৭ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ডিসেম্বরে অর্থবছর শেষে এই ফান্ডটির লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়।
আইসিবি এমপ্লয়ি মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১০ টাকা ৯৬ পয়সা। দাম ৭ টাকা ৫০ পয়সা।
অর্থাৎ এটি সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩১.৫৬ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ৬০ পয়সা।
ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালান্সড ফান্ডে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১৩ টাকা। দাম ৯ টাকা।
অর্থাৎ এটি সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩০.৭৬ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
এই ফান্ডটির অর্থবছর শেষ হয় ডিসেম্বরে।
ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১১ টাকা ৭২ পয়সা। দাম ৮ টাকা ২০ পয়সা।
অর্থাৎ এটি সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩০.০৩ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা।
সম্পদের তুলনায় দাম ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কম
গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১১ টাকা ৬৬ পয়সা। দাম ৮ টাকা ২০ পয়সা
অর্থাৎ এটি সম্পদমূল্যের চেয়ে ২৯.৬৭ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা।
ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১৪ টাকা ৬৮ পয়সা। দাম ১০ টাকা ৫০ পয়সা।
অর্থাৎ এটি সম্পদমূল্যের চেয়ে ২৮.৪৭ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটির অর্থবছর শেষ হয়েছে গত ৩০ সেপ্টেম্বর। এখনও লভ্যাংশ ঘোষণা হয়নি।
আইসিবি সোনালী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১১ টাকা ৬১ পয়সা। দাম ৮ টাকা ৫০ পয়সা।
অর্থাৎ এটি সম্পদমূল্যের চেয়ে ২৬.৭৮ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ৭০ পয়সা।
আইসিবি অগ্রণী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১২ টাকা ৫৬ পয়সা। দাম ৯ টাকা ২০ পয়সা।
অর্থাৎ এই ফান্ডটির ইউনিট তার সম্পদমূল্যের চেয়ে ২৬.৭৫ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ৭০ পয়সা।
ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১১ টাকা ১৭ পয়সা। দাম ৮ টাকা ২০ পয়সা।
অর্থাৎ এই ফান্ডটির ইউনিট তার সম্পদমূল্যের চেয়ে ২৬.৫৮ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা।
গ্রামীণ টু মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ২১ টাকা ৭২ পয়সা। দাম ১৭ টাকা ১০ পয়সা।
অর্থাৎ এটি সম্পদমূল্যের চেয়ে ২১.২৭ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা।
এআইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১১ টাকা ৬৩ পয়সা। দাম ৯ টাকা ২০ পয়সা।
অর্থাৎ এটি সম্পদমূল্যের চেয়ে ২০.৮৯ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ১ টাকা ২২.৫ পয়সা।
রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১৫ টাকা ১ পয়সা। দাম ১১ টাকা ৯০ পয়সা।
অর্থাৎ এটি সম্পদমূল্যের চেয়ে ২০.৭১ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা। রেকর্ড ডেটে দাম ছিল ১২ টাকা ৭০ পয়সা।
সম্পদমূল্যের চেয়ে কমে বিক্রি হচ্ছে অন্য যেসব ফান্ডের ইউনিট
ফিনিক্স ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১১ টাকা ৩৫ পয়সা। দাম ৯ টাকা ৬০ পয়সা।
অর্থাৎ এটি সম্পদমূল্যের চেয়ে ১৫.৪১ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ৬০ পয়সা।
এসইএমএলএফবিএসএল গ্রোথ ফান্ডের ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১১ টাকা ৬৭ পয়সা। দাম ৯ টাকা ৯০ পয়সা।
অর্থাৎ এটি সম্পদমূল্যের চেয়ে ১৫.১৬ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা।
সিএপিএম বিডিবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১২ টাকা ৮৫ পয়সা। দাম ১১ টাকা ৯০ পয়সা।
অর্থাৎ এটি সম্পদমূল্যের চেয়ে ৭.৩৯ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা।
এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ডে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১২ টাকা ৩০ পয়সা। দাম ১১ টাকা ৪০ পয়সা।
অর্থাৎ এটি সম্পদমূল্যের চেয়ে ৭.৩১ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা।
এসইএমএলএফ লেকচার ইক্যুইটি ফান্ডে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১১ টাকা ১৩ পয়সা। দাম ১০ টাকা ৪০ পয়সা।
অর্থাৎ এটি সম্পদমূল্যের চেয়ে ৬.৫৫ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা।
এসইএমএলএফ আইবিবিএল শরিয়া ফান্ডে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১১ টাকা ১৬ পয়সা। দাম ১০ টাকা ৬০ পয়সা।
অর্থাৎ এটি সম্পদমূল্যের চেয়ে ৫.০১ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ১ টাকা।
এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১৪ টাকা ৭৪ পয়সা। দাম ১৪ টাকা ১০ পয়সা।
অর্থাৎ এটি সম্পদমূল্যের চেয়ে ৪.৩৪ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ১ টাকা ৭৫ পয়সা।
যেগুলোর দাম সম্পদমূল্যের চেয়ে বেশি
সিএপিএম আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১২ টাকা ৯০ পয়সা। দাম ১৯ টাকা ৫০ পয়সা।
অর্থাৎ এটি সম্পদমূল্যের চেয়ে ৫১.১৬ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ১ টাকা ৩৫ পয়সা।
ফার্স্ট প্রাইম ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১৬ টাকা ৭৩ পয়সা। দাম ২০ টাকা ৬০ পয়সা।
অর্থাৎ এই ফান্ডটির ইউনিট তার সম্পদমূল্যের চেয়ে ২৩.১৩ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটির অর্থবছর শেষ হয় ডিসেম্বরে।
আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখন ১২ টাকা ৩ পয়সা। দাম ১২ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ এটি সম্পদূল্যের চেয়ে ১.৪১ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে ৮০ পয়সা।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য