পরপর দুই কর্মদিবস বেশির ভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধির পর তৃতীয় দিনেই সেই আগের চিত্র। যত কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে তার দ্বিগুণেরও বেশি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধন শেষের আভাস দিয়েও যে শেষ হয়নি, তা আবারও দেখা গেল।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ব্যাংক ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে উত্থান ঘটলেও দ্বিতীয় কর্মদিবসে ঢালাও পতন। বস্ত্র খাতের কিছু কোম্পানির শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধির তালিকায় থাকলেও পতনের তালিকাতেও আছে আরও বেশ কিছুর দর।
সিমেন্ট খাতের বিনিয়োগকারীরাই যা কিছুটা স্বস্তিতে আছেন। খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতেও দিন একেবারে খারাপ যায়নি। কিন্তু ব্যাংক, বিমা, বস্ত্র, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, প্রকৌশল, জ্বালানি, বিমা, তথ্যপ্রযুক্তি, বিবিধ খাতের বিনিয়োগকারীরা হতাশার একটি দিন কাটিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আগ্রহের খাত ওষুধ ও রসায়নে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা।
রোববার ১২৪টি শেয়ারের দরপতনের বিপরীতে বেড়েছিল ২৪০টির দর। বৃহস্পতিবার ১১৭টির দরপতনের বিপরীতে বেড়েছিল ২১৮টির দর।
এর আগের ১৭ কর্মদিবসের প্রতিদিনই কমেছে বেশির ভাগ শেয়ারের দর। কখনও দ্বিগুণ বা তার চেয়ে বেশি, কখনওবা দর বৃদ্ধির তুলনায় দর কমা কোম্পানির সংখ্যা প্রায় তিন গুণ দেখা গেছে। তবে বড় মূলধনি কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণে কোনো দিন সূচক বেড়েছে, কোনো দিন কমেছে।
এভাবে এক মাসের দর সংশোধনে সূচকের পতন না হলেও পতন হয়েছে কয়েক শ কোম্পানির শেয়ার দরে।
এই সময়ে সিংহভাগ দিনেই লেনদেনের শুরুতে শেয়ার দর ও সূচক বেড়ে গিয়ে পরে কমেছে। যার ব্যতিক্রম হয়নি সোমবারও।
দিনের শুরুতে সূচক একপর্যায়ে ৭ হাজার ৪১০ পয়েন্টে উঠে যায়, যা ২০১১ সালের ৩১ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ অবস্থান।
কিন্তু বেলা ১১টার পর থেকেই সূচক পড়তে থাকে। টানা পড়ে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এরপর পৌনে এক ঘণ্টা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও বেলা সোয়া ১টা থেকে আবার পড়তে থাকে।
শেষ পর্যন্ত সূচকের পতন হয় ২২ পয়েন্ট। ৯৭টি শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে হারাল ২৫৯টি কোম্পানি।
কেবল দরপতন নয়, লেনদেনও কমে গেছে। টানা দ্বিতীয় দিন লেনদেন হলো ২ হাজার কোটি টাকার নিচে। গত ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বরের পর প্রথম এই ঘটনা ঘটল।
দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৮৪৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ১ হাজার ৯৬২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিপরীত চিত্র
পুরো আগের দিনের বিপরীত চিত্র। রোববার ব্যাংক ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দল বেঁধে উড়তে থাকার পরদিনই এই দুই খাত দল বেঁধে নিচে নেমেছে।
রোববার ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছিল সব কটির। তিনটি দর ধরে রাখতে পেরেছে, পতন হয়েছে ৩৩টির।
আগের দিন ৩২টি ব্যাংকের মধ্যে দাম বেড়েছিল ২৭টির শেয়ারের, কমেছিল তিনটির। আর পরদিন তিনটির দাম বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২৮টির দর।
লেনদেনেও দেখা গেছে নিম্নগতি। আগের দিন মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে লেনদেন ছিল ৫৯ কোটি টাকা। পরদিন সেটি কমে হয়েছে ১৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
ব্যাংক খাতে আগের দিন লেনদেন ছিল ১৯১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সেটি কমে হয়েছে ১২৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।
ব্যাংক খাতে পতনের মধ্যে লোকসানি আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দরে দেখা গেছে উল্লম্ফন। সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্যাংকটির শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৩২ শতাংশ। রোববার দাম ছিল ৪ টাকা ৮০ পয়সা। সেখান থেকে এক দিনে সর্বোচ্চ ৪০ পয়সা বাড়ার সুযোগ ছিল, বেড়েছেও তা।
এর বাইরে যমুনা ও পূবালী ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ২০ পয়সা করে।
আর সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংকের ৩.২২ শতাংশ। এ ছাড়া সাউথবাংলা ব্যাংকের দর ২.৬৭ শতাংশ, এনবিএলের দর ২.৩৫ শতাংশ, এক্সিম ব্যাকের শেয়ার দর ২.২৯ শতাংশ, ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর ২.০৭ শতাংশ কমেছে।
আগের দিন দুটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড দিনের সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হয়েছে। আরও পাঁচটির দর সর্বোচ্চ সীমা থেকে ১০ পয়সা কমে হাতবদল হয়েছে।
তবে এবার দেখা গেছে পুরো উল্টো চিত্র। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪.১১ শতাংশ দর হারিয়েছে এক্সিম ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এ ছাড়া এফবিএফআইএফ ৩.২২ শতাংশ, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৩.০৭ শতাংশ, আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৩.০৩ শতাংশ, ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ২.৭৪ শতাংশ দর হারিয়েছে।
উত্থানেও আছে বস্ত্র, পতনেও
রোববার দিন বস্ত্র খাতের যে দুই কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল, সেই ম্যাকসন্স ও মেট্রো স্পিনিং মিলসের শেয়ার দর কমেছে।
দিনের সবচেয়ে বেশি দর বাড়া ১০টি কোম্পানির চারটিই ছিল বস্ত্র খাতের। তবে এই খাতের বেশির ভাগ কোম্পানিই দর হারিয়েছে। সব মিলিয়ে বেড়েছে ২৪টির দর, কমেছে ৩০টির। লেনদেন হয়েছে ২৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের দিন বেড়েছিল ৫১টির দর, কমেছিল ৬টির। লেনদেন হয়েছিল ২৮৮ কোটি ১০ লাখ টাকা।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার মূল্যে যোগ হয়েছে ৯.৬৫ শতাংশ। এ ছাড়া তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের দর ৮.০৮, কাট্টালির দর ৭.৮৮, তাল্লু স্পিনিংয়ের দর বেড়েছে ৬.৫৫ শতাংশ।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকার মতোই দরপতনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিও বস্ত্র খাতের। লভ্যাংশ হিসেবে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার খবরে মেট্রো স্পিনিং মিলস দর হারিয়েছে ৮.৯৪ শতাংশ।
এ ছাড়া মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িং ৩.৮৬ শতাংশ, মতিন স্পিনিং ৩.৭৫ শতাংশ, ফ্যামিলি টেক্সটাইল ৩.৩৯ শতাংশ, নুরানী টেক্সটাইল ৩.২৯ শতাংশ, ম্যাকসন্স স্পিনিং মিল ৩.২৭ শতাংশ দর হারিয়েছে।
আগ্রহে এগিয়ে ওষুধ, দামে সিমেন্ট
সোমবার লেনদেনে সবচেয়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে এগিয়ে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলো। এই খাতে সবচেয়ে বেশি ৩৩৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
তবে বেশির ভাগ শেয়ারের দাম কমেছে। ১২টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৮টির দর। গত দুই মাসে এই খাতে সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ওরিয়ন ফার্মার দর দুই দিন পর আবার বেড়েছে। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৭.০৬ শতাংশ।
একই গ্রুপের কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশনের দর ৬.৭৭ শতাংশ, এসিআই ফরমুলেশনের দর ৬.১৬ শতাংশ, এসিআইয়ের দর ৫.০৬ শতাংশ বেড়েছে।
এই খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে কেয়া কসমেটিক্স। ৪.৫৪ শতাংশ কমেছে শেয়ার দর।
এ ছাড়া সিলকো ফার্মা ৩.৯৩ শতাংশ, একটিভ ফাইন কেমিক্যাল ৩.৫৭ শতাংশ, এডভেন্ট ফার্মা ২.৯৫ শতাংশ দর হারিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়া সিমেন্ট খাতে দিনটি গেছে চাঙা। ৭টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫টির। কমেছে দুটির দর।
লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১৪৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের। সবচেয়ে বেশি ১৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা লেনদেন হওয়া কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৬৮ শতাংশ।
এ ছাড়া হেইডেলবার্গ সিমেন্টের শেয়ার দরে যোগ হয়েছে ২.২১ শতাংশ।
অন্যান্য খাতের লেনদেন
সাধারণ বিমা খাতে লেনদেন হয়েছে ৪৬ কোটি ২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৪ কোটি ২ লাখ টাকা।
জীবন বিমা খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৩৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
সার্বিক বিমা খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৮৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৪.৪৭ শতাংশ, আর সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স ৪.৩২ শতাংশ।
আর্থিক খাতের লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২টির, কমেছে ১৯টির। লেনদেন হয়েছে ৯৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩টির, কমেছে ৭টির।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২২ দশমিক ৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৪৫ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে।
শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস দশমিক ১১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৯৬ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৮ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৫৭ দশমিক ২৮ পয়েন্টে।
দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য