চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) দিনে গড়ে প্রায় ১৯টি বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) দৈনিক এ সংখ্যা কত, সেটি জানা যাবে ডিসেম্বরের শেষের দিকে।
দুই সিটি করপোরেশনের নথি ঘেঁটে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ডিএসসিসি ও ডিএনসিসির নথি বলছে, স্ত্রী ও পুরুষের সন্দেহবাতিক মনোভাব, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বিচ্ছেদের বড় দুটি কারণ। এর বাইরে রয়েছে যৌতুকের জন্য নির্যাতন, মাদকাসক্তি, যৌন অক্ষমতা, স্বামীর অবাধ্য হওয়া, ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী না চলা, বদমেজাজ, সংসারের প্রতি উদাসীনতা, সন্তান না হওয়ার মতো বিষয়গুলো।
বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া
১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী, তালাকের নোটিশ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রথমে মেয়রের কার্যালয়ে তালাকের আবেদন নথিভুক্ত হয়। তারপর সেখান থেকে তালাকের আবেদন মূলত স্ত্রী কোন অঞ্চলে বসবাস করছেন, সেই অনুযায়ী ওই অঞ্চলের কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
কোন সিটিতে কত বিচ্ছেদ
ডিএসসিসি: ২০২০ সালে ডিএসসিসিতে ৬ হাজার ৩৪৫টি বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। দিনে ১৭টি বিবাহবিচ্ছেদ হয় ঢাকার এই অংশে।
ডিএসসিসিতে বিচ্ছেদের আবেদন বেশি করেছেন নারীরা। তাদের আবেদনের সংখ্যা ৪ হাজার ৪২৮টি। অন্যদিকে বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন ১ হাজার ৯১৭ জন পুরুষ।
ডিএসসিসিতে ২০১৯ সালে বিবাহবিচ্ছেদের ৬ হাজার ৩৬০টি আবেদন পড়ে।
ঢাকা দক্ষিণে ২০২১ সালের প্রথম আট মাসে বিবাহবিচ্ছেদ হয় ৪ হাজার ৫৩৬টি। এর মধ্যে ৩ হাজার ২৮২টি আবেদন করেছেন নারীরা। অন্যদিকে পুরুষদের আবেদনের সংখ্যা ১ হাজার ২৫৪টি।
২০২১ সালের প্রথম আট মাসে দিনে প্রায় ১৯টি করে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে।
ডিএনসিসি: ২০২০ সালে ডিএনসিসিতে বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা ৬ হাজার ১৬৮টি। এর মধ্যে পুরুষ আবেদনকারীর সংখ্যা ২ হাজার ১১৫ এবং নারী আবেদনকারীর সংখ্যা ৪ হাজার ৫৩।
২০২০ সালে ঢাকা উত্তরে দিনে প্রায় ১৭টি করে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে।
দুই সিটি করপোরেশন মিলে ২০২০ সালে দিনে প্রায় ৩৪টি বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। প্রতি মাসে এ সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৫০।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের মধ্যে সম্পর্কে সন্দেহ একটি বড় ধরনের ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মেহজাবিন হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন ডিভাইসগুলো একটি বড় সমস্যা। এটি একটি বড় রোল প্লে করছে। যিনি ডিভাইস ব্যবহার করছেন, তিনি কতটুক ব্যবহার করছেন বা কখন ব্যবহার করছেন, সেটি একটি বড় বিষয়।’
এই অধ্যাপক বলেন, ‘এখন হাতের কাছে টিপ দিলেই কারও সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। অনেক সময় পার্টনারের সঙ্গে ঠিকমতো যোগাযোগ হচ্ছে না। আর এই সময়ে সে আরেকজনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে, তখন কিন্তু তার মধ্যে একদিকে বর্তমান সম্পর্কের তিক্ততা আর অন্যজনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এই যে সম্পর্কগুলো তৈরি হচ্ছে, এটি কিন্তু একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় সত্যিকারের কেউ চলে যাচ্ছে। আবার অনেক সময় সন্দেহের শিকারও হচ্ছে। আশপাশে যখন এমন ঘটনা ঘটছে, তখন অন্যরা সন্দেহ করছে।’
এ থেকে উত্তরণের পথ বাতলে দিয়ে মেহজাবিন বলেন, ‘এর জন্য কিন্তু কাপলদের নিজেদের এগিয়ে আসতে হবে। এর জন্য পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকতে হবে। শুধু ভালোবাসায় কাজ হবে না।
‘সম্পর্কের যে কমিটমেন্ট, সেটা ঠিক রেখে বিশ্বাস আনতে হবে। কাপলদের মধ্যে খোলাখুলি কথা বলা উচিত যে বিষয়ে সমস্যা হবে।’
‘আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট’-এর সমন্বয়ক জিনাত আরা হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিচ্ছেদকে স্বাভাবিকভাবে দেখতে হবে। সম্পর্ক থাকলে বিচ্ছেদ হবেই। আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করে বিচ্ছেদ একটা অস্বাভাবিক বিষয়। বিবাহ যদি হয়, তবে বিচ্ছেদ হবে।
‘বিবাহ হচ্ছে একটা চুক্তিবদ্ধ সম্পর্ক। চুক্তি যখন থাকে, তখন সেটা ভেঙেও যেতে পারে। এটা থেকে বেরিয়ে আসার জায়গা না খুঁজে এটাকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করা যেতে পারে। আর সমাজ যেন এটাকে খারাপ চোখে না দেখে, সেটি খেয়াল রাখতে হবে।’
বিচ্ছেদের কারণ ব্যাখ্যা করে জিনাত বলেন, ‘সন্দেহ বিচ্ছেদের অনেক বড় একটা কারণ। আর সন্দেহ নারীদের থেকে পুরুষরা বেশি করে। আর ডিভোর্সের ক্ষেত্রে দেখা যাবে নারী বলছে বেশি।’
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘নারীরা কিন্তু এখন আগের চেয়ে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তাই ফোনে কার সঙ্গে কথা বলেন, চাকরিজীবনে কার সঙ্গে কথা বলেন, কার সঙ্গে মেশেন, ফিল্ডে কার সঙ্গে গিয়েছেন, এইগুলো কিন্তু বড় ব্যাপার।’
জিনাত ও মেহজাবিন হক মনে করেন, প্রযুক্তি আগের চেয়ে সহজলভ্য হওয়ায় স্বামী বা স্ত্রী বাদে অন্যদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘এখন অনেকেই মেসেঞ্জার বা ফেসবুকে নতুন কারও সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। চাইলেই এটা থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। মানুষের মন তো শিকল না যে, এটা আটকে রাখা যাবে।’
জিনাত আরা হক বলেন, হাতে প্রযুক্তি থাকার বিষয়টি স্বাভাবিক। কিন্তু এর মাধ্যমে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক অস্বাভাবিক। এটা নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়।
উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী ও এমপিদের স্বজনরা সরে না দাঁড়ালে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার দলের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
কাদের বলেন, ‘দলীয় সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে নির্দেশনা, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি।
‘নির্বাচন কমিশনে সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে কেউ ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারেন। এ বিষয়টা চূড়ান্ত হতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখানে কেউ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে দলে; সময়মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয়টি আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রত্যাহার করবে না, এ ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত সময়মতো নেয়া হবে।’
চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেও কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাধারণ ক্ষমা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দলীয় রণকৌশল। সেটা হতেই পারে। সেটা দলের সভাপতি নিতে পারেন। নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে।’
বিএনপির সমাবেশের দিনে আওয়ামী লীগেরও সমাবেশ থাকে—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাস থেকে জনগণকে রক্ষায় কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকেই যায়। জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আছে।
‘আমরা মাঠে থাকলে তারা এসব অপকর্ম করতে মানসিকভাবে চাপে থাকবে। সে জন্য আমরা কর্মসূচি দিই। বিএনপির চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করতে জনগণের স্বার্থে আমাদের কর্মসূচি থাকা উচিত।’
আরও পড়ুন:গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য বুধবার তিন ঘণ্টা রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় গ্যাস থাকবে না।
এদিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজ করবে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তথ্য অনুযায়ী, যেসব এলাকায় সব শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে সেগুলো হলো- শনির আখড়া, বড়ইতলা, ছাপড়া মসজিদ, দনিয়া, জুরাইন, ধোলাইরপাড় ও কদমতলী।
আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে জানিয়ে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস গ্যাস।
রাজধানীর সদরঘাটের শ্যামবাজার ঘাটে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ওই আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এমভি বাঙালি নামের লঞ্চটিতে কোনো যাত্রী ছিল না।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চারটি ইউনিট। পরে যোগ দেয় আরও একটি ইউনিট।
তিনি জানান, দুপুর পৌনে ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। লঞ্চটির তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত। আগুনের কারণ ও বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, লঞ্চটি নোঙর করা ছিল। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) গেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা আমিরকে টাইগার গেটে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। খবর বাসসের
তারা সেখানে একান্ত বৈঠকেও মিলিত হবেন। পরে তারা দুই দেশের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করবেন।
পিএমও ত্যাগের আগে আমির টাইগার গেটে রক্ষিত ভিজিটরস বুকেও সই করবেন। এরপর তিনি বঙ্গভবনে যাবেন যেখানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কাতার আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন।
সন্ধ্যায় আমির একটি বিশেষ বিমানে কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে কাতারের আমির সোমবার দু দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা এসেছেন।
আগামী ২৬ এপ্রিলের (শুক্রবার) শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থগিত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।’
প্রসঙ্গতঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
রোববার (২১ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ৩টা থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করা হবে।
অবশ্য এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ২৬ এপ্রিল বিকেলে নয়াপল্টনে সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। পরে তাপপ্রবাহের কারণ দেখিয়ে সোমবার তা স্থগিত করে দলটি।
রাজধানীর গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের সামনে থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে পাঠানো হয়।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আরিফ নেওয়াজ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন ফুটপাত থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করি,পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, আশেপাশের লোকদের সাথে কথা বলে জানতে পারি, মৃত ব্যক্তি ভবঘুরে প্রকৃতির ছিলেন। ভিক্ষাবৃত্তি করতেন এবং সেখানে ঘুমাতেন। তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি তবে জানার চেষ্টা চলছে।
এসআই বলেন, সিআইডির ক্রাইম সিনকে খবর দেয়া হয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে হয়তো তার পরিচয় জানা যেতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ মর্গে রাখা হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে নিম্ন মানে শীর্ষে না থাকলেও অস্বাস্থ্যকরই রয়ে গেছে ঢাকার বাতাস।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানি আইকিউ এয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে ১২০ স্কোর নিয়ে ১২২টি শহরের মধ্যে বায়ুর নিম্ন মানে অষ্টম ছিল ঢাকা।
একই সময়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল নেপালের কাঠমান্ডু, চীনের বেইজিং, ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ দিনের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ৭ গুণ বেশি।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
আজ সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১২০। এর মানে হলো ওই সময়টাতে সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ছিল ঢাকার বাতাস।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য