একটি কোম্পানি লভ্যাংশ দিয়েছে শেয়ারে ১ টাকা, আরেকটি কোম্পানি লভ্যাংশ দিয়েছে শেয়ারে ২ টাকা আর প্রতি ১০ শেয়ারে ১টি বোনাস। আপাতদৃষ্টিতে দ্বিতীয় কোম্পানির লভ্যাংশকে ভালো মনে হলেও দ্বিতীয়টির লভ্যাংশ হতাশ করেছে বিনিয়োগকারীদের।
যে কোম্পানিটি শেয়ারে ১ টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে সেটির দর লভ্যাংশের প্রতিক্রিয়ায় বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ আর অপরটির দর কমেছে ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
মুনাফা দিল ফারইস্ট নিটিং
যেটির দর বেড়েছে সেটি হলো ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডায়িং। গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৭৯ পয়সা মুনাফা করে ১ টাকা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত হওয়ার পর রোববার তা প্রকাশ পায় ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে।
বৃহস্পতিবার শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ১৭ টাকা ৯০ পয়সায়। রোববার লেনদেন শুরুই হয় ১৯ টাকা ২০ পয়সায়। পরে বাড়তে বাড়তে একপর্যায়ে ওঠে ২৪ টাকা ৮০ পয়সায়। দিন শেষে কিছুটা কমে লেনদেন শেষ করেছে ২৪ টাকা ১০ পয়সায়।
গত দুই বছরে এটিই কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর। এক বছরে শেয়ার দর সর্বনিম্ন ছিল ৮ টাকা ৮০ পয়সা। সেখান থেকে বাড়তে শুরু করে মূলত গত মে মাসের শেষ দিক থেকে।
লোকসান করাল আনোয়ার গ্যালভানাইজিং
অন্য কোম্পানি আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের দর গত ছয় মাসে বেড়ে পাঁচ গুণের মতো হয়ে গিয়েছিল।
এই কোম্পানিটি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে শনিবার বিকেলে। এই বিজ্ঞপ্তিও ডিএসই ও সিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ পেয়েছে রোববার সকালে।
কোম্পানিটি গত বছর ২ টাকা ৩ পয়সা আয় করেছিল। গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে তাদের আয় হয়েছে ৩ টাকা ৯২ পয়সা।
আয়ে প্রবৃদ্ধি বেশ ভালো। লভ্যাংশও ২০১৫ সালের পর সবচেয়ে বেশি। তারপরেও বিনিয়োগকারীরা খুশি হননি।
বৃহস্পতিবার শেয়ার দর ছিল ৪৪৩ টাকা ৬০ পয়সা। দিনের লেনদেন শুরু হয় ৪৬৭ টাকায়। তবে দিন শেষে তা নেমে আসে ৪২২ টাকা ৬০ পয়সায়। অর্থাৎ দাম কমেছে ২১ টাকা।
তবে দিনের সর্বনিম্ন দাম ছিল ৪১৮ টাকা ৪০ পয়সা।
গত এক বছরে এই কোম্পানিটির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির পেছনে নানা গুঞ্জন কাজ করেছিল। ১৫ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির আয় ব্যাপকভাবে বাড়বে, লভ্যাংশও আসবে ভালো- এমন খবরে আকৃষ্ট হন বিনিয়োগকারীরা। তবে বছর শেষে আয়ে তা সত্য প্রমাণ হয়নি।
তবে আবার চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয়ে বেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। গত বছরের আয়ের দেড় গুণ তিন মাসেই করে ফেলেছে কোম্পানিটি।
এ সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫ টাকা ১৩ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৮৯ পয়সা।
গত বছর করোনা সংক্রমণের পর পুঁজিবাজারে কোম্পানির শেয়ার দর একপর্যায়ে ৫৭ টাকা ৮০ পয়সায় নেমে আসে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস ঠিক হয় ৬৭ টাকা ৫০ পয়সা।
গত এপ্রিলের শুরু পর্যন্তও শেয়ার দর ছিল ১০০ টাকার নিচে। ওই মাসের শুরুতে দর ছিল ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা। এরপর তা টানা বাড়ে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। একপর্যায়ে দুর্বল এই কোম্পানিটির শেয়ার দর সর্বোচ্চ ওঠে ৪৮৩ টাকায়। পরে সেখান থেকে কিছুটা কমে বৃহস্পতিবার দাঁড়ায় ৪৪৩ টাকা ৬০ পয়সায়।
১৫ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধিত কোম্পানিটিতে শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার।
এ ধরনের স্বল্প মূলধনি বহু কোম্পানির শেয়ার দরই এই সময়ে বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। তবে সবগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং।
ইনডেক্স অ্যাগ্রোতে লভ্যাংশ যত, দাম কমল তার চেয়ে বেশি
চলতি বছর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি তার শেয়ারধারীদের আড়াই টাকা করে লভ্যাংশ দেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার হয় পর্ষদ সভা। কোম্পানিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই লভ্যাংশ কেবল সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দেয়া হবে। উদ্যোক্তা-পরিচালকরা কেউ পাবেন না।
এ সিদ্ধান্ত হওয়ার দিন কোম্পানিটির একেকটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১১৭ টাকা ৫০ পয়সায়। আর আড়াই টাকা লভ্যাংশের খবরে রোববার দাম কমল ৩ টাকা।
বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ৫০ কোটি টাকা তুলেছে। প্রতিটি শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন ৫০ টাকা করে আর প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্য বিনিয়োগকারীরা পেয়েছে ৬২ টাকা করে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য