দারুণ লভ্যাংশের পর মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দরপতনে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়া ইউনিটধারী আর ব্যাংকের শেয়ারধারীদের স্বস্তি দিয়ে সপ্তাহের লেনদেন শুরু হলো পুঁজিবাজারে।
সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা ১০টি কোম্পানির মধ্যে তিনটি ব্যাংক, এমন চিত্র সাম্প্রতিককালে পুঁজিবাজারে দেখা যায়নি।
একইভাবে সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে তিনটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এই বিষয়টি গত কয়েক মাসেও ঘটেনি।
এই দুটি খাতের বাইরে দারুণ দিন গেছে বস্ত্র খাতেও। সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির ৬টিই ছিল এই খাতের কোম্পানি।
এই খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ৫০টির দাম বেড়েছে। দর সংশোধনে যেসব খাতে দাম সবচেয়ে বেশি কমেছিল, তার মধ্যে ছিল এই খাতটিও।
সূচক আগের দিনের তুলনায় ২৫ পয়েন্ট বাড়লেও লেনদেন কমে গেছে। আট কর্মদিবস পর প্রথমবারের মতো দুই হাজার কোটি টাকার কম হাতবদল হলো।
তবে টানা দ্বিতীয় কর্মদিবস বাড়ল বেশির ভাগ শেয়ারের দর। ১২৪টি কোম্পানির শেয়ারের দরপতনের বিপরীতে বেড়েছে ২৪০টির দর। ১২ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া দর সংশোধনের মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে এই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
২০২০ সালে যেকোনো খাতের তুলনায় ভালো লভ্যাংশ দেয়া, চলতি বছর আরও বেশি আয় করা ব্যাংক খাতের শেয়ার দর তলানিতে থাকা নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। বাজারে উত্থানেও এই খাতে ছিল ধীরগতি। তবে বড় বিনিয়োগকারীরা খাতটিতে আকৃষ্ট হচ্ছেন, এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল কয়েক দিন ধরেই।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধনে প্রধানত স্বল্প মূলধনি ও লোকসানি বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে বেশি। আগের দুই মাসে টানা উত্থানে খুব একটা না বাড়লেও ব্যাংক খাতেও ৫ থেকে ২০ শতাংশ দরপতন ঘটেছিল।
তবে আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবারই দল বেঁধে বেড়েছিল ব্যাংকের শেয়ার দর। সচরাচর এভাবে দল বেঁধে বাড়ার পরে আবার কমে যায় দর। তবে নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনে কেবল লোকসানি একটি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২০ পয়সা। দুটি ব্যাংকের শেয়ার দর ছিল অপরিবর্তিত। বেড়েছে বাকি সব কটির দর।
আর এক দশকের মন্দাভাব কাটিয়ে মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সষ্ণয়পত্রের মুনাফার চেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেয়ার পর থেকে ক্রমাগত দরপতন ঘটছিল।
তবে শনিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কর্তাব্যক্তিদের বক্তব্যে পাল্টে যায় পরিস্থিতি। চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম জানিয়েছেন, ফান্ডগুলোকে তারা আরও সুযোগ-সুবিধা দেবেন। সেই সঙ্গে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আকার বাড়িয়ে তারা ১০ গুণ করতে চান।
পরদিন ৩৬টি ফান্ডের সবগুলোর দামও বেড়েছে। এর মধ্যে দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে দুটি। আরও পাঁচটির দাম সর্বোচ্চ সীমার চেয়ে ১০ পয়সা কম বেড়েছে।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে ৬টিই ছিল মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
বস্ত্র খাত ঘুরে গেছে দুটি ঘটনায়। এই খাতের বন্ধ কোম্পানি সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল অধিগ্রহণ করে আবার চালুর জন্য আলিফ গ্রুপকে অনুমতি দেয়ার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার ফারইস্ট নিটিংয়ের লভ্যাংশ ঘোষণা পাল্টে দিল খাতটির চিত্র।
ফারইস্ট নিটিং এবার শেয়ারপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে। করোনার বছরে চাপ কাটিয়ে আয়ের বেশি লভ্যাংশ দেয়ার বিষয়টি আগামী বছরের ভালো ভবিষ্যতের ইঙ্গিত হিসেবেই দেখছেন বিনিয়োগকারীরা।
লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে দর বৃদ্ধির মূল্যসীমা না থাকার দিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩৪.৬৩ শতাংশ।
ব্যাংক খাত চাঙা
ব্যাংক খাতে শেয়ারদর বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনেও আগ্রহ দেখা গেছে। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন ছিল ১৪৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এক দিনে অর্ধশত কোটি বেড়ে হয়েছে ১৯১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
লেনদেনে ব্যাংকের দর পতন হওয়া একমাত্র কোম্পানি হলো জেড ক্যাটাগরির আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, যার শেয়ার দর কমেছে ৫.৮৭ শতাংশ।
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে আইএফআইসি ব্যাংকে ৭.৩৫ শতাংশ। ব্যাংকটির শেয়ার দর ১৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭ টাকা ৫০ পয়সা।
তারপরই ছিল সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৪৬ শতাংশ।
প্রায়ই দেখা যায়, ব্যাংক খাতের কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে পরিমাণ শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা বা সর্বোচ্চ ২০ পয়সা পর্যন্ত। কিন্তু সে অবস্থা থেকে বের হয়ে সর্বোচ্চ দর বেড়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা। ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ১ টাকা, প্রাইম ব্যাংকের ৮০ পয়সা, আল আরাফাহর বেড়েছে ৬০ পয়সা, এবি, এক্সিম, ইবিএল, ফার্স্ট সিকিউরিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৫০ পয়সা করে।
সব ফান্ডের দরে উত্থান
৩০ জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে দারুণ লভ্যাংশ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখকর অভিজ্ঞতা আনেনি। বরং যে ফান্ড যত ভালো লভ্যাংশ দিয়েছে, সেই ফান্ডের ইউনিটধারীর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তত বেশি।
নগদ লভ্যাংশ সমন্বয় হওয়ার কোনো কারণ না থাকলেও সেটি হয়েছেই, আবার এরপরেও ইউনিটমূল্য কেবলই কমেছে।
তবে শনিবার মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত নিয়ে বিএসইসির ইতিবাচক মন্তব্যের পরের দিন দেখা গেছে দারুণ এক চিত্র।
ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এফবিএফআইএফের দার বেড়েছে এক দিনে যতটা বাড়া সম্ভব ততটাই।
প্রথমটির দর বেড়েছে ৯.০৯ শতাংশ, দ্বিতীয়টির ৮.৭৬ শতাংশ।
এ ছাড়া পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৮.৩২ শতাংশ, আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৮.১৯, এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৮.০৫ শতাংশ, এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৭.৩৫ শতাংশ, সিএপিএম আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৬.৯৫ শতাংশ, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৬.৭৮ শতাংশ, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৬.২৫ শতাংশ, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৬.১৪ শতাংশ বেড়েছে।
কেবল দর বৃদ্ধি নয়, লেনদেনেও বেড়েছে আগ্রহ। আগের কর্মদিবসে এই খাতে লেনদেন হয়েছিল ১৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সেটি বেড়ে হয়েছে ৫৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
দুই ইস্যুতে চাঙা বস্ত্র খাত
দর সংশোধনে সবচেয়ে বেশি কোম্পানির দর কমেছিল এই খাতে। আবার ফারইস্ট নিটিং এর লভ্যাংশ ও সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল অধিগ্রহণের খবরে দামও সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এই খাতে।
বস্ত্র খাতের লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর কমেছে ৬টির। বেড়েছে ৫১টির। বাকি দুটি কোম্পানির শেয়ার দর ছিল আগের মতো।
সবচেয়ে বেশি ৩৪.৬৩ শতাংশ বেড়েছে ফারইস্ট নিটিংয়ের দর। এই কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৭৯ পয়সা আয় করে ১ টাকা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার শেয়ার মূল্য ছিল ১৭ টাকা ৯০ পয়সা। তা এক লাফে উঠে এসেছে ২৪ টাকা ১০ পয়সায়। এমনিতে কোনো শেয়ারের দর একদিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়ার সুযোগ থাকলেও লভ্যাংশ সংক্রান্ত বৈঠকের পরদিন কোনো মূল্যসীমা থাকে না।
সর্বোচ্চ মূল্যসীমা ছুঁয়েছে পাঁচটি কোম্পানির। এর মধ্যে তাল্লু স্পিনিং মিলসের দর ৯.৯০ শতাংশ, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলসের শেয়ার দর ৯.৮৯ শতাংশ, মেট্টোস্পিনিং মিলসের শেয়ার দর ৯.৮১ শতাংশ, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রির শেয়ার দর ৯.৭৪ শতাংশ, সিএনএ টেক্সটাইল মিলসের দর বেড়েছে ৯.০৮ শতাংশ।
এ ছাড়া পারামাউন্ট টেক্সটাইলের দর ৮.৫৯ শতাংশ, শাসা ডেনিমের দর ৫.৬৬ শতাংশ, নুরানী ডায়িংয়ের দর ৪.৫৯ শতাংশ বেড়েছে।
এই খাতেই লেনদেন হয়েছে সবচেয়ে বেশি। হাতবদল হয়েছে মোট ২৮৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ২৮৬ কোটি ৪ লাখ টাকা।
বিমা খাতে নিস্তার নেই
দর সংশোধন কাটিয়ে বিভিন্ন খাত ঘুরে দাঁড়ালেও বিমা খাতে এখনও হতাশা। শেয়ার দর কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন দেখে আরও হতাশ হবেন এই খাতের শেয়ারধারীরা। মাস চারেক আগে দিনে সাতশ থেকে আটশ কোটি টাকা নিয়মিত লেনদেন হলেও এটি নেমেছে একশ কোটি টাকার নিচে।
লেনদেন হয়েছে কেবল ৬৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা আগের কর্মদিবসেও যা ছিল ৯৩ কোটি টাকা।
এই খাতে ২২টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ২৭টি কোম্পানির শেয়ার দর। দুটি কোম্পানির দর ছিল অপরিবর্তিত।
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ৪.৭৮ শতাংশ। তারপরই আছে প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যার দর বেড়েছে ৪.৪৮ শতাংশ। পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৩.৮৭ শতাংশ।
এ খাতের সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স। শেয়ার দর কমেছে ৪.২৫ শতাংশ। দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ৩.৮৩ শতাংশ।
অন্যান্য খাতে লেনদেন
টানা কয়েকদিন লেনদেনে শীর্ষে থাকলেও ওষুধ ও রসায়ন খাত চলে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। এই খাতে হাতবদল হয়েছে মোট ২৫৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ৪৩৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ১৪টির দর। একটির লেনদেন স্থগিত বহু দিন ধরেই।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর ধরে রাখতে পেরেছে একটি। বেড়েছে আটটির দর, কমেছে ১৪টির। লেনদেন হয়েছে মোটি ২৫১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৩৮৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বৃদ্ধি ও হ্রাস পাওয়া কোম্পানির সংখ্যা সমান ২০টি করে। দুটির দর ছিল অপরিবর্তিত। লেনদেন হয়েছে ১৯৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৩০১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে তুমুল আগ্রহ তৈরি করা সিমেন্ট খাতেও লেনদেন কমেছে। এই খাতের ৭টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ১৪৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। বেড়েছে দুটির দর, কমেছে ৫টির।
আগের কর্মদিবসে এই খাতে লেনদেন ছিল ২৫২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
আর্থিক খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে বেড়েছে ১২টির দর, কমেছে ৯টির। লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১৩৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
বিবিধ খাতেও লেনদেন কমে গেছে। এই খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৮টির, কমেছে ৫টির। হাতবদল হয়েছে ৯৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ১১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪টির, কমেছে ৫টির। লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
সবচেয়ে কম লেনদেন হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে। এই খাতের ১১টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ৩৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, আগের কর্মদিবসে যা ছিল ৪৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
এই খাতে দাম বেড়েছে মোট ৬টির, কমেছে ৫টির দর।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৫ দশমিক ০৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৬৭ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট।
শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৯৬ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১ দশমিক ৬০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৬৫ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট।
দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য