× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
One day in a bank textile mutual fund after a long time
google_news print-icon

বহুদিন পর ব্যাংক, বস্ত্র, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের এক দিন

বহুদিন-পর-ব্যাংক-বস্ত্র-মিউচ্যুয়াল-ফান্ডের-এক-দিন
ঢাকার একটি ব্রোকারেজ হাউজে পুঁজিবাজারের লেনদেন দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। ফাইল ছবি
দুটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত। আরও পাঁচটির দাম সর্বোচ্চ সীমা থেকে ১০ পয়সা কমে লেনদেন শেষ করেছে। ৩২টি ব্যাংকের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৯টির। আর সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির ৬টি ছিল বস্ত্র খাতের।

দারুণ লভ্যাংশের পর মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দরপতনে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়া ইউনিটধারী আর ব্যাংকের শেয়ারধারীদের স্বস্তি দিয়ে সপ্তাহের লেনদেন শুরু হলো পুঁজিবাজারে।

সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা ১০টি কোম্পানির মধ্যে তিনটি ব্যাংক, এমন চিত্র সাম্প্রতিককালে পুঁজিবাজারে দেখা যায়নি।

একইভাবে সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে তিনটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এই বিষয়টি গত কয়েক মাসেও ঘটেনি।

এই দুটি খাতের বাইরে দারুণ দিন গেছে বস্ত্র খাতেও। সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির ৬টিই ছিল এই খাতের কোম্পানি।

এই খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ৫০টির দাম বেড়েছে। দর সংশোধনে যেসব খাতে দাম সবচেয়ে বেশি কমেছিল, তার মধ্যে ছিল এই খাতটিও।

সূচক আগের দিনের তুলনায় ২৫ পয়েন্ট বাড়লেও লেনদেন কমে গেছে। আট কর্মদিবস পর প্রথমবারের মতো দুই হাজার কোটি টাকার কম হাতবদল হলো।

তবে টানা দ্বিতীয় কর্মদিবস বাড়ল বেশির ভাগ শেয়ারের দর। ১২৪টি কোম্পানির শেয়ারের দরপতনের বিপরীতে বেড়েছে ২৪০টির দর। ১২ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া দর সংশোধনের মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে এই চিত্র দেখা যাচ্ছে।

বহুদিন পর ব্যাংক, বস্ত্র, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের এক দিন
রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

২০২০ সালে যেকোনো খাতের তুলনায় ভালো লভ্যাংশ দেয়া, চলতি বছর আরও বেশি আয় করা ব্যাংক খাতের শেয়ার দর তলানিতে থাকা নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। বাজারে উত্থানেও এই খাতে ছিল ধীরগতি। তবে বড় বিনিয়োগকারীরা খাতটিতে আকৃষ্ট হচ্ছেন, এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল কয়েক দিন ধরেই।

গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধনে প্রধানত স্বল্প মূলধনি ও লোকসানি বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে বেশি। আগের দুই মাসে টানা উত্থানে খুব একটা না বাড়লেও ব্যাংক খাতেও ৫ থেকে ২০ শতাংশ দরপতন ঘটেছিল।

তবে আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবারই দল বেঁধে বেড়েছিল ব্যাংকের শেয়ার দর। সচরাচর এভাবে দল বেঁধে বাড়ার পরে আবার কমে যায় দর। তবে নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনে কেবল লোকসানি একটি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২০ পয়সা। দুটি ব্যাংকের শেয়ার দর ছিল অপরিবর্তিত। বেড়েছে বাকি সব কটির দর।

বহুদিন পর ব্যাংক, বস্ত্র, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের এক দিন
সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা ১০টি কোম্পানির মধ্যে তিনটি ছিল ব্যাংক খাতের

আর এক দশকের মন্দাভাব কাটিয়ে মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সষ্ণয়পত্রের মুনাফার চেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেয়ার পর থেকে ক্রমাগত দরপতন ঘটছিল।

তবে শনিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কর্তাব্যক্তিদের বক্তব্যে পাল্টে যায় পরিস্থিতি। চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম জানিয়েছেন, ফান্ডগুলোকে তারা আরও সুযোগ-সুবিধা দেবেন। সেই সঙ্গে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আকার বাড়িয়ে তারা ১০ গুণ করতে চান।

পরদিন ৩৬টি ফান্ডের সবগুলোর দামও বেড়েছে। এর মধ্যে দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে দুটি। আরও পাঁচটির দাম সর্বোচ্চ সীমার চেয়ে ১০ পয়সা কম বেড়েছে।

সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে ৬টিই ছিল মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

বস্ত্র খাত ঘুরে গেছে দুটি ঘটনায়। এই খাতের বন্ধ কোম্পানি সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল অধিগ্রহণ করে আবার চালুর জন্য আলিফ গ্রুপকে অনুমতি দেয়ার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার ফারইস্ট নিটিংয়ের লভ্যাংশ ঘোষণা পাল্টে দিল খাতটির চিত্র।

ফারইস্ট নিটিং এবার শেয়ারপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে। করোনার বছরে চাপ কাটিয়ে আয়ের বেশি লভ্যাংশ দেয়ার বিষয়টি আগামী বছরের ভালো ভবিষ্যতের ইঙ্গিত হিসেবেই দেখছেন বিনিয়োগকারীরা।

লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে দর বৃদ্ধির মূল্যসীমা না থাকার দিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩৪.৬৩ শতাংশ।

বহুদিন পর ব্যাংক, বস্ত্র, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের এক দিন
সূচক সবচেয়ে বেশি টেনে নামিয়েছে এই ১০টি কোম্পানি

ব্যাংক খাত চাঙা

ব্যাংক খাতে শেয়ারদর বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনেও আগ্রহ দেখা গেছে। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন ছিল ১৪৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এক দিনে অর্ধশত কোটি বেড়ে হয়েছে ১৯১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

লেনদেনে ব্যাংকের দর পতন হওয়া একমাত্র কোম্পানি হলো জেড ক্যাটাগরির আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, যার শেয়ার দর কমেছে ৫.৮৭ শতাংশ।

সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে আইএফআইসি ব্যাংকে ৭.৩৫ শতাংশ। ব্যাংকটির শেয়ার দর ১৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭ টাকা ৫০ পয়সা।

তারপরই ছিল সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৪৬ শতাংশ।

প্রায়ই দেখা যায়, ব্যাংক খাতের কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে পরিমাণ শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা বা সর্বোচ্চ ২০ পয়সা পর্যন্ত। কিন্তু সে অবস্থা থেকে বের হয়ে সর্বোচ্চ দর বেড়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা। ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ১ টাকা, প্রাইম ব্যাংকের ৮০ পয়সা, আল আরাফাহর বেড়েছে ৬০ পয়সা, এবি, এক্সিম, ইবিএল, ফার্স্ট সিকিউরিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৫০ পয়সা করে।

বহুদিন পর ব্যাংক, বস্ত্র, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের এক দিন
রোববার এই ছয় খাতে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে পুঁজিবাজারে

সব ফান্ডের দরে উত্থান

৩০ জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে দারুণ লভ্যাংশ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখকর অভিজ্ঞতা আনেনি। বরং যে ফান্ড ‍যত ভালো লভ্যাংশ দিয়েছে, সেই ফান্ডের ইউনিটধারীর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তত বেশি।

নগদ লভ্যাংশ সমন্বয় হওয়ার কোনো কারণ না থাকলেও সেটি হয়েছেই, আবার এরপরেও ইউনিটমূল্য কেবলই কমেছে।

তবে শনিবার মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত নিয়ে বিএসইসির ইতিবাচক মন্তব্যের পরের দিন দেখা গেছে দারুণ এক চিত্র।

ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এফবিএফআইএফের দার বেড়েছে এক দিনে যতটা বাড়া সম্ভব ততটাই।

প্রথমটির দর বেড়েছে ৯.০৯ শতাংশ, দ্বিতীয়টির ৮.৭৬ শতাংশ।

এ ছাড়া পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৮.৩২ শতাংশ, আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৮.১৯, এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৮.০৫ শতাংশ, এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৭.৩৫ শতাংশ, সিএপিএম আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৬.৯৫ শতাংশ, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৬.৭৮ শতাংশ, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৬.২৫ শতাংশ, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৬.১৪ শতাংশ বেড়েছে।

কেবল দর বৃদ্ধি নয়, লেনদেনেও বেড়েছে আগ্রহ। আগের কর্মদিবসে এই খাতে লেনদেন হয়েছিল ১৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সেটি বেড়ে হয়েছে ৫৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

দুই ইস্যুতে চাঙা বস্ত্র খাত

দর সংশোধনে সবচেয়ে বেশি কোম্পানির দর কমেছিল এই খাতে। আবার ফারইস্ট নিটিং এর লভ্যাংশ ও সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল অধিগ্রহণের খবরে দামও সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এই খাতে।

বস্ত্র খাতের লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর কমেছে ৬টির। বেড়েছে ৫১টির। বাকি দুটি কোম্পানির শেয়ার দর ছিল আগের মতো।

সবচেয়ে বেশি ৩৪.৬৩ শতাংশ বেড়েছে ফারইস্ট নিটিংয়ের দর। এই কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৭৯ পয়সা আয় করে ১ টাকা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার শেয়ার মূল্য ছিল ১৭ টাকা ৯০ পয়সা। তা এক লাফে উঠে এসেছে ২৪ টাকা ১০ পয়সায়। এমনিতে কোনো শেয়ারের দর একদিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়ার সুযোগ থাকলেও লভ্যাংশ সংক্রান্ত বৈঠকের পরদিন কোনো মূল্যসীমা থাকে না।

সর্বোচ্চ মূল্যসীমা ছুঁয়েছে পাঁচটি কোম্পানির। এর মধ্যে তাল্লু স্পিনিং মিলসের দর ৯.৯০ শতাংশ, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলসের শেয়ার দর ৯.৮৯ শতাংশ, মেট্টোস্পিনিং মিলসের শেয়ার দর ৯.৮১ শতাংশ, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রির শেয়ার দর ৯.৭৪ শতাংশ, সিএনএ টেক্সটাইল মিলসের দর বেড়েছে ৯.০৮ শতাংশ।

এ ছাড়া পারামাউন্ট টেক্সটাইলের দর ৮.৫৯ শতাংশ, শাসা ডেনিমের দর ৫.৬৬ শতাংশ, নুরানী ডায়িংয়ের দর ৪.৫৯ শতাংশ বেড়েছে।

এই খাতেই লেনদেন হয়েছে সবচেয়ে বেশি। হাতবদল হয়েছে মোট ২৮৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ২৮৬ কোটি ৪ লাখ টাকা।

বিমা খাতে নিস্তার নেই

দর সংশোধন কাটিয়ে বিভিন্ন খাত ঘুরে দাঁড়ালেও বিমা খাতে এখনও হতাশা। শেয়ার দর কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন দেখে আরও হতাশ হবেন এই খাতের শেয়ারধারীরা। মাস চারেক আগে দিনে সাতশ থেকে আটশ কোটি টাকা নিয়মিত লেনদেন হলেও এটি নেমেছে একশ কোটি টাকার নিচে।

লেনদেন হয়েছে কেবল ৬৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা আগের কর্মদিবসেও যা ছিল ৯৩ কোটি টাকা।

বহুদিন পর ব্যাংক, বস্ত্র, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের এক দিন
এই ছয় খাতের বিনিয়োগকারীদেরকে হতাশ করেছে রোববারের পুঁজিবাজার

এই খাতে ২২টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ২৭টি কোম্পানির শেয়ার দর। দুটি কোম্পানির দর ছিল অপরিবর্তিত।

সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ৪.৭৮ শতাংশ। তারপরই আছে প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যার দর বেড়েছে ৪.৪৮ শতাংশ। পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৩.৮৭ শতাংশ।

এ খাতের সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স। শেয়ার দর কমেছে ৪.২৫ শতাংশ। দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ৩.৮৩ শতাংশ।

অন্যান্য খাতে লেনদেন

টানা কয়েকদিন লেনদেনে শীর্ষে থাকলেও ওষুধ ও রসায়ন খাত চলে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। এই খাতে হাতবদল হয়েছে মোট ২৫৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ৪৩৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ১৪টির দর। একটির লেনদেন স্থগিত বহু দিন ধরেই।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর ধরে রাখতে পেরেছে একটি। বেড়েছে আটটির দর, কমেছে ১৪টির। লেনদেন হয়েছে মোটি ২৫১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৩৮৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বৃদ্ধি ও হ্রাস পাওয়া কোম্পানির সংখ্যা সমান ২০টি করে। দুটির দর ছিল অপরিবর্তিত। লেনদেন হয়েছে ১৯৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৩০১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে তুমুল আগ্রহ তৈরি করা সিমেন্ট খাতেও লেনদেন কমেছে। এই খাতের ৭টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ১৪৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। বেড়েছে দুটির দর, কমেছে ৫টির।

আগের কর্মদিবসে এই খাতে লেনদেন ছিল ২৫২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

আর্থিক খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে বেড়েছে ১২টির দর, কমেছে ৯টির। লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১৩৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

বিবিধ খাতেও লেনদেন কমে গেছে। এই খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৮টির, কমেছে ৫টির। হাতবদল হয়েছে ৯৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ১১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪টির, কমেছে ৫টির। লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

সবচেয়ে কম লেনদেন হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে। এই খাতের ১১টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ৩৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, আগের কর্মদিবসে যা ছিল ৪৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

এই খাতে দাম বেড়েছে মোট ৬টির, কমেছে ৫টির দর।

সূচক ও লেনদেন

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৫ দশমিক ০৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৬৭ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট।

শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৯৬ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১ দশমিক ৬০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৬৫ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট।

দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আকার ১০ গুণ করার পরিকল্পনা
এবার ব্যাংক-বিমা, রবির উত্থানেও সূচকের পতন
বেক্সিমকোর সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র আগামী বছরের মাঝামাঝি
দ্বিগুণের বেশি শেয়ারের দরপতনে আবার বাড়ল সূচক
সরকারি জ্বালানি কোম্পানির শেয়ারে জোয়ার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The government will form a committee to find a long term financing way from the capital market

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।

তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।

সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market With the fall of transactions in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market Most companies have decreased major collapse in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

মন্তব্য

p
উপরে