× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Reducing the interest on savings certificates will improve the money and capital market
google_news print-icon

‘সঞ্চয়পত্রের সুদ কমায় মানি ও ক্যাপিটাল মার্কেট উন্নত হবে’

সঞ্চয়পত্রের-সুদ-কমায়-মানি-ও-ক্যাপিটাল-মার্কেট-উন্নত-হবে
‘শুধু অবকাঠামো উন্নয়নেই নয়, দেশ যে আজ শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে। এর পেছনেও বড় অবদান রয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের। এ পর্যন্ত ১৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থায়ন করেছে অগ্রণী ব্যাংক।’

সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোয় দেশের মানি মার্কেট ও ক্যাপিটাল মার্কেট দুটিই উন্নত হবে বলে মনে করেন রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম।

সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এটা একটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। করোনায় অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত খরচ হয়েছে। এ জন্য দেশের অর্থনীতিতে সাশ্রয় দরকার। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে মানি মার্কেট ও ক্যাপিটাল মার্কেট দুটিই উন্নত হবে। আমানতের একটি অংশ আসবে ব্যাংকে, আর একটি অংশ যাবে ক্যাপিটাল মার্কেটে। মানি মার্কেট ও ক্যাপিটাল চাঙা না হলে অর্থনীতিতে ভারসাম্য হয় না।’

ব্যাংক কমিশন গঠন করলেই ব্যাংকিং খাতের সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে, এমনটা মনে করেন না শামস্-উল ইসলাম।

মহামারি করোনাভাইরাসের ছোবলে বিশ্ব অর্থনীতির মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও গভীর সংকটে পড়ে গত বছরের শুরুর দিকে। দেড় বছরের বেশি সময়ের সেই ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে অর্থনীতি। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার ২৫টির মতো প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার।

এই প্রণোদনা ঋণের পুরোটাই বিতরণ করছে ব্যাংকগুলো, যার বেশির ভাগ ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়ে গেছে। গত বছর প্রণোদনা ছাড়া অন্য ঋণ খুব একটা বিতরণ করেনি ব্যাংকগুলো। তবে এখন মহামারির ধকল কমতে শুরু করেছে। স্বাভাবিক হয়ে আসছে সব কিছু। আমদানি-রপ্তানি বাড়ছে, ঋণ বিতরণও বাড়ছে।

বিশ্বব্যাংক-এডিবিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে উচ্চাশা প্রকাশ করেছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলছে, ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হবে। আর বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক আরেকটু বাড়িয়ে পূর্বাভাস দিয়ে বলেছে, ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে।

২০২২ সালে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল শুরু হবে; চলবে ট্রেনও। এটি চালু হলে বাংলাদেশের জিডিপিতে এক থেকে দেড় শতাংশ যোগ হবে বলে অর্থনীতির গবেষকরা আশা করছেন। দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো এই প্রকল্পের বিদেশি মুদ্রা জোগান দিচ্ছে অগ্রণী ব্যাংক।

এমন পরিস্থিতিতে ‘কেমন চলছে ব্যাংক খাত’ শিরোনামে নিউজবাংলা ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। সাক্ষাৎকারভিত্তিক এই প্রতিবেদনের পঞ্চম পর্বে দেশের ব্যাংকিং খাতের হালচাল নিয়ে কথা বলেছেন অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম।

করোনার সময়ে জরুরি সেবার আওতায় ব্যাংক খোলা রাখা হয়েছিল। সেই ব্যাংক খাতের অবস্থা এখন কেমন? কেমন চলছে ব্যবসা? বর্তমানে এ খাতের প্রধান চ্যালেঞ্জ কী দেখছেন?

করোনার মধ্যেও কিন্তু ব্যাংক খাতের কাজ থেমে থাকেনি। জনসাধারণকে সব সময়ই সেবা দিয়ে গেছেন ব্যাংক খাতের কর্মকর্তারা।

অনেকে বলে, ১০০ বছর পর পর এমন একটি মহামারি পৃথিবীতে আসে। এই মহামারি মোকাবিলায় আমাদের তো আগাম কোনো প্রস্তুতি ছিল না। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন দিকনির্দেশনার কারণে আমরা সফলতার সঙ্গে সেটা মোকাবিলা করতে পেরেছি।

করোনায় অগ্রণী ব্যাংকে এ পর্যন্ত একজন পরিচালকসহ ২১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী মৃত্যুবরণ করেছেন। এই মহামারি আরও বেশি হতে পারত, কিন্তু ‍আমাদের সচেতনতার কারণে সেটা হয়নি।

আর্থিক খাতের ক্ষতি মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যেটার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ব্যাংকের মাধ্যমেই চলমান। ফলে করোনার মধ্যেও ব্যাংক খাতের কাজ থেমে থাকেনি।

কটেজ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ঋণ বিতরণে (সিএসএমই) ১২টি ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে। সরকারি ব্যাংকের মধ্যে একমাত্র অগ্রণী ব্যাংক ১০৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশংসাপত্রও পাবে ব্যাংকটি।

শুধু বড় খাত বা শিল্পে নয়, সব খাতেই আমরা ঋণ বিতরণ করেছি। আমাদের প্রায় ১২ হাজার কর্মী নিরলসভাবে কাজ করেছেন। করোনার মধ্যেও অনলাইন মিটিংয়ের মাধ্যমে সব বিষয়ে খোঁজখবর রেখেছি। এটা সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণে। ওয়েবিনার করে আমরা বিভিন্ন তথ্য জানাতে সক্ষম হয়েছি।

ব্যাংক যে শুধু মুনাফা করবে সেটা নয়। সমাজের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতাও আছে। এ জন্য এই মহামারির মধ্যে একটি দিনের জন্যও ব্যাংক বন্ধ থাকেনি। এটা কিন্তু ‍আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। সীমিত লোকবল নিয়ে সব ধরনের কাজ করেছি। যার ফলে রেমিট্যান্স, রিজার্ভ, প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ সার্বিক অর্থনীতি ভালো অবস্থানে আছে।

প্রণোদনা ঋণ বিতরণে ১২টি ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। কিন্তু অভিযোগ আছে বড় বড় ব্যবসায়ীদেরই প্রণোদনার এই ঋণ দেয়া হচ্ছে, বঞ্চিত হচ্ছে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প। প্রকৃত চিত্র কী?

ক্ষুদ্র শিল্পে ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- এক বছরের জন্য কেউ ঋণ পাবে, সে ক্ষেত্রে জামানত দিতে হবে। নতুন করে যদি কেউ জামানত দেয়, সে ক্ষেত্রে মর্টগেজের জন্য সাব-রেজিস্ট্রি অফিস দরকার। কিন্তু করোনার মধ্যে তো প্রায় সব কিছু বন্ধ ছিল। কারও হয়তো জামানত নেই, সেটার কী হবে। এমন কিছু সমস্যা হয়েছিল। যে ব্যাংকগুলো পিছিয়ে আছে, সেসব ব্যাংক প্রথম দিকে এসব সমস্যা সমাধানে একটু সময় নিয়েছে।

অগ্রণী ব্যাংক বিকল্প ব্যবস্থা করেছে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিস বন্ধ থাকার সময় আমরা পুরাতন ঋণগ্রহীতার ক্ষেত্রে একটা ব্যবস্থা চালু করি। ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে ঋণগ্রহীতার আগে মর্টগেজ করা সম্পদ নতুন ঋণের ক্ষেত্রেও সংযুক্ত থাকবে- এ মর্মে লিখিত নেয়া হয়। এভাবে ঋণ দিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন নিয়ে এটা করেছি। ফলে সিএসএমই খাতে আমাদের ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার বেশি।

কিছুদিন আগে সঞ্চয়পত্রের সুদহার পুনর্নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদের হার দেড় থেকে দুই শতাংশ কমানো হয়েছে। কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এর প্রভাব কি ব্যাংক খাতে পড়বে? ব্যাংকে আমানত বাড়ার সম্ভাবনা কতটুকু?

ব্যাংকের প্রতি আস্থা মানুষের সব সময়ই বেশি। সঞ্চয়পত্রে সুদ হার কমে যাওয়াতে মানুষ আরও ব্যাংকমুখী হবে বলে আমি মনে করি।

দেরিতে হলেও সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো সরকারের একটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। করোনায় অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত খরচ হয়েছে। এ জন্য দেশের অর্থনীতিতে সাশ্রয় দরকার। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে মানি মার্কেট ও ক্যাপিটাল মার্কেট দুটিই উন্নত হবে। আমানতের একটি অংশ আসবে ব্যাংকে; আর একটি অংশ যাবে ক্যাপিটাল মার্কেটে। মানি ও ক্যাপিটাল মার্কেট দুটি চাঙা না হলে অর্থনীতিতে ভারসাম্য হয় না।

খেলাপি ঋণ দেশের ব্যাংক খাতের এখনও অন্যতম প্রধান সমস্যা। এ সংস্কৃতি থেকে বের হতে কী করা দরকার? সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক খেলাপিদের জন্য আবার ছাড় দিয়েছে। এককালীন টাকা পরিশোধ করে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন? এ সুবিধার ফলে খেলাপি ঋণ কি কমবে?

খেলাপি ঋণ একদম কমছে না, বিষয়টা তেমন নয়। এককালীন ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণ নিয়মিতকরণের সুযোগে লাখ-কোটি টাকার খেলাপি ঋণ কমে ৮৭ হাজার কোটিতে নেমে গিয়েছিল।

ব্যবসা সব সময় ভালো চলে না। ২০০৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশে আর্থিক খাতে সুনামি দেখা দেয়। ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কিন্তু তারা বেইল আউট করতে পারেনি। কারণ আমাদের দেশে বেইল আউটের তেমন সিস্টেম নেই।

করোনার মধ্যে ব্যবসায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে। অনেক ব্যবসা শেষ হয়ে গেছে। আবার অনকে ব্যবসা ভালো হয়েছে। ওষুধ কোম্পানির ব্যবসা, করোনা সম্পর্কিত ব্যবসাগুলো টিকে আছে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাই। এটা সময়ের দাবি ছিল।

ভালো ব্যবসায়ীরা এতে কিছুটা উপকৃত হবে। এতে করে খেলাপি ঋণ কমে আসবে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত্, খেলাপি, তাদের এ সুযোগে ঋণ নিয়মিতকরণ করা উচিত। এককালীন সুবিধা নিয়ে অনেকে ঋণ নিয়মিত করতে পারবে। সুবিধা না নিয়ে ইচ্ছাকৃত খেলাপি থাকলে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে।

ব্যাংক খাতের সুশাসন নিশ্চিত করতে একাধিকবার ‘ব্যাংক কমিশন’ গঠনের আলোচনা হয়েছে, কমিশন গঠনের প্রয়োজন আছে বলে কি আপনি মনে করেন?

ব্যাংক কমিশন গঠনের বিষয়টি সরকারের নীতিনির্ধারকরা ভালো বুঝবেন। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, একটা কমিশন গঠন করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, বিষয়টি তেমন নয়। বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ আসবে। খেলাপি ঋণ আদায়ে যেমন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির বিষয় এসেছে।

কমিশন তো বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের লোকজনকে নিয়েই হবে। এটি গঠনের পরপরই রেডিক্যাল কোনো পরিবর্তন হবে না।

তবে প্রশাসন, নীতি-নৈতিকতা, শুদ্ধাচার, কমপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রে আমাদের দেশ আগের থেকে অনেক এগিয়ে গেছে। আগে নিয়ম-কানুন এত সুদৃঢ় ছিল না। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থায় আলাদা বিভাগ রয়েছে পরিদর্শনের জন্য। ফলে আমাদের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও জোরদার হয়েছে।

সরকারি ব্যাংকের বিরুদ্ধে ‘আমরা ঠিকমতো কাজ করি না, সেবা দেই না’ এসব অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য কৃষিতে ঋণ দেই আমরা; বিদুতের জন্য পাওয়ার প্লান্টে ঋণ দেই আমরা; নারীদের আর্থিক কাজে অন্তর্ভুক্ত করা- এসব সরকারি ব্যাংকের কারণে হয়েছে। আর্থিক উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত পরিবর্তনে সরকারি ব্যাংক সব সময়ই ভূমিকা রেখেছে। কারণ প্রান্তিক অঞ্চলে আমরা সেবা দিয়ে থাকি।

অনেক সমস্যাও রয়েছে আমাদের। খেলাপি ঋণ বেশি, মূলধন ঘাটতিও রয়েছে। এগুলো কাটিয়ে উঠতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

সার্বিকভাবে অগণী ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি এখন কেমন? সামনে গ্রাহকদের জন্য কী কী সেবা চালুর পরিকল্পনা আছে?

করোনার মধ্যেও গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান আস্থা ও সহযোগিতায় দেশের তৃতীয় ব্যাংক হিসেবে আমানতে লাখ কোটি টাকার মাইলফলক অতিক্রম করেছে অগ্রণী ব্যাংক; সোনালী ও ইসলামী ব্যাংকের পর এটা আমাদের জন্যও বড় অর্জন।

মহামারিকালেও অগ্রণী ব্যাংকে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স সংগ্রহে সক্ষম হয়েছে, যা দেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় রিজার্ভকে মজবুত করতে সহায়তা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্তের কারণে স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে। এই সেতু নির্মাণে বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারপ্রধানের পাশে দাঁড়িয়েছে অগ্রণী ব্যাংক।

পদ্মা সেতু নির্মাণে ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে ১৪০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ করেছে অগ্রণী ব্যাংক। সেতুর কাজ সম্পন্ন করতে মোট ২৪৩ কোটি ডলারের প্রয়োজন হচ্ছে। বাকি প্রায় ১০৩ কোটি ডলারও অগ্রণী ব্যাংক সরবরাহ করবে।

পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অগ্রণী ব্যাংকের একটি চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী অগ্রণী ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার নিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পে সরবরাহ করতে পারবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো ডলার নিতে হয়নি।

শুধু অবকাঠামো উন্নয়নেই নয়, দেশ যে আজ শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে এর পেছনেও বড় অবদান রয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের। এ পর্যন্ত ১৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থায়ন করেছে অগ্রণী ব্যাংক।

আরও পড়ুন:
খেলাপি ঋণ কমাতে এফবিসিসিআইকেও দায়িত্ব নিতে হবে: এহসান খসরু
ব্যাংক খাতে হস্তক্ষেপ একটা সমস্যা: তারিক আফজাল
ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিই বেশি: আরফান আলী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Cucumbers started selling in dreams at lower prices than the open market

স্বপ্নতে ১২ টাকা কেজিতে শসা

স্বপ্নতে ১২ টাকা কেজিতে শসা শসাচাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে শসা কেনে ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। কোলাজ: স্বপ্ন
স্বপ্নর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, ‘আমরা শসাচাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্য মূল্যে।’

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসাচাষিরা দাম পাওয়া নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন।

এমন দুঃসময়ে শসাচাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের অন্যতম রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসাচাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে চার টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা।

এমন সময় সেই শসাচাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে কৃষিপণ্যটি কেনে ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলাবাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে।

খোলা বাজারে বৃহস্পতিবার ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২ টাকা কেজিতে গ্রাহকরা কিনতে পেরেছেন। এরই মধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে দুই টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ছয় টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।

বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্নর আউটলেটে। স্টক থাকা অবধি এ অফার গ্রাহকরা পাবেন।

স্বপ্নর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, ‘আমরা শসাচাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্য মূল্যে।

‘অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে। মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এ চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।’

এ প্রসঙ্গে স্বপ্নর হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, “বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসাচাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে, কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াব। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরই মধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি।

“দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।”

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন বলেন, ‘প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার, কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায়। প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পাঁচ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্ট হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল।’

তিনি আরও বলেন, “আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানির ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার। তাদের অশেষ ধন্যবাদ।”

আরও পড়ুন:
লাউয়াছড়ায় গাড়িচাপায় প্রাণ গেল ১২ ফুট অজগরের
এক ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে ফিরিঙ্গি বাজার বস্তির আগুন
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কমলগঞ্জে দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা
দুর্বৃত্তের হামলায় পা বিচ্ছিন্ন হওয়া যুবকের মৃত্যু
মাছ-মাংসের দাম বেড়েছে, সামান্য স্বস্তি সবজিতে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The new record price of gold in the countrys market is Tk 119638

দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১১৯৬৩৮ টাকা

দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১১৯৬৩৮ টাকা
বাজুস নির্ধারিত দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে গহনা বিক্রি করা হয়। সে সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে গুনতে হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।

দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে রেকর্ড ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের সাড়ে তিন মাসে অষ্টমবারের মতো স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৃহস্পতিবার বৈঠক করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। নতুন নির্ধারিত এই দাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী- ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৬৫৬ টাকা বেড়ে ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৩৮৮ টাকা কমে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সবশেষ দশ দিন আগে ৮ এপ্রিল বাজুস ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। ১০ দিনের ব্যবধানে আবারও দাম বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দেশের স্বর্ণের বাজারে উচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো।

অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের আরও বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।

এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে।

আরও পড়ুন:
স্বর্ণের দাম দু’দিনের ব্যবধানে ভরিতে বেড়েছে ৩,৪৯৯ টাকা
বাড়া-কমার খেলায় স্বর্ণের ভরি রেকর্ড ১,১৪,০৭৪ টাকা
কমলো স্বর্ণের দাম
দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১,১২,৯০৮ টাকা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The price of bottled soybean oil increased by Tk 4 per liter

লিটারে ৪ টাকা বাড়ল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম

লিটারে ৪ টাকা বাড়ল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম দোকানে সাজিয়ে রাখা সয়াবিন তেলের বোতল। ফাইল ছবি
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে। আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে।

‘আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

খোলা সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের দামের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আর খোলাবাজারে সয়াবিন তেল পাঁচ লিটারের বোতল ৮০০ টাকা ছিল। সেটাকে ৮১৮ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

পাম অয়েলের দাম নিয়ে টিটু বলেন, ‘সুপার পাম অয়েল তেল প্রতি লিটার, এটা আগে নির্ধারণ করা ছিল না। এবার আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা লিটার।

‘তো এই চারটা পণ্যের দাম, এইটা কিন্তু আমরা নির্ধারণ করলাম না। আমাদের যারা অ্যাসোসিয়েশনের, তাদের রিকমেন্ডেশনে এবং আমাদের ট্যারিফ কমিশনের অনুমোদনক্রমে উনারা উনাদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে চিঠি দিয়ে আগামীকাল থেকে এই মূল্য উনাদের মিল গেট থেকে উনারা কার্যকরী করবে।’

আরও পড়ুন:
চলতি মাসেই জ্বালানি তেলের দাম কমছে: প্রতিমন্ত্রী
সয়াবিন তেলের নতুন দাম কার্যকর হচ্ছে শুক্রবার
বিশ্ববাজারের সঙ্গে ওঠানামা করবে জ্বালানি তেলের দাম: প্রতিমন্ত্রী
দুর্ঘটনার ১০ দিন না যেতে সড়কেই প্রাণ গেল তেলেঙ্গানার বিধায়কের
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে কমল ১০ টাকা, ১ মার্চ থেকে কার্যকর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bank Asia to acquire foreign bank Alfalah

বিদেশি ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া

বিদেশি ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া
পাকিস্তানের করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি জানিয়েছিল যে আর কোনো ব্যাংককে একীভূতকরণের সুযোগ দেয়া হবে না। তবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের জন্য ব্যাংক এশিয়াকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নতুন মাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এশিয়া বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করছে। সূত্র: ইউএনবি

করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ বুধবার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জকে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

এতে বলা হয়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশের ব্যাংক এশিয়ার জন্য যথাযথ কার্যক্রম শুরুর জন্য স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের অনুমোদন চাইছে।

ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হুসেইন বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি একীভূতকরণ নিয়ে খুব বেশি আলোচনার অংশ নয়।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে দুই ব্যাংকের নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে অধিগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Legal notice and cancellation of contracts to advertising companies promoting dramas contrary to Waltons ideals and principles

‘রূপান্তর’ নাটক ইস্যুতে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে ওয়ালটনের নোটিশ, চুক্তি বাতিল

‘রূপান্তর’ নাটক ইস্যুতে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে ওয়ালটনের নোটিশ, চুক্তি বাতিল ওয়ালটনের লোগো। ছবি: সংগৃহীত
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন।

পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

ওয়ালটনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে মঙ্গলবার ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে উল্লেখ করে যা বলা হয়, ‘আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ছয়টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।’

নোটিশে আরও বলা হয়, ‘ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সঙ্গে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।’

এর আগে ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

এরপর বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন:
ঈদ উৎসবে ওয়ালটন ফ্রিজ কেনার হিড়িক
ওয়ালটন টিভি কিনে এয়ার টিকিটের সুযোগ চাঁদরাত পর্যন্ত
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ৩৩তম মিলিয়নিয়ার হলেন রাজশাহীর মাদ্রাসাশিক্ষক আমিনুল
সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ হিরো বাংলাদেশের
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এলো কল্লোল গ্রুপ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The DMD of the state owned bank is Faiz Alam

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিএমডি হলেন ফয়েজ আলম

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিএমডি হলেন ফয়েজ আলম রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। ছবি: সংগৃহীত
ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে তিনিসহ রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকের আট জন মহাব্যবস্থাপককে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

মো. ফয়েজ আলম ১৯৯৮ সালে বিআরসির মাধ্যমে সিনিয়র অফিসার পদে রূপালী ব্যাংকে যোগদান করেন। কর্মজীবনে ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, জোনাল অফিস এবং প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত প্রয়োজনে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও আরব অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণসহ দেশ-বিদেশে ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।

ফয়েজ আলমের জন্ম ১৯৬৮ সালে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার যোগীরনগুয়া গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ অনার্সসহ এমএ পাশ করার পর এমফিল ডিগ্রিও অর্জন করেন খ্যাতিমান এই ব্যাংকার।

পেশাগত জীবনের বাইরে ফয়েজ আলম একজন সফল লেখকও। বাংলাদেশে তিনি অগ্রণী উত্তর উপনিবেশী তাত্ত্বিক, প্রাবন্ধিক ও কবি হিসেবে বিশেষ খ্যাতিমান। এডওয়ার্ড সাঈদের বিখ্যাত গ্রন্থ অরিয়েন্টালিজম-এর অনুবাদক হিসেবেও তার আলাদা খ্যাতি আছে। তার পনেরটির বেশি গ্রন্থ এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Traders want to increase the price of edible oil by 10 taka per liter not the state minister

ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা, প্রতিমন্ত্রীর ‘না’

ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা, প্রতিমন্ত্রীর ‘না’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে, তবে সময় লাগবে। ভোজ্যতেলের নতুন চালান আমদানির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’

ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক অব্যাহতির সময়সীমা শেষ হয়েছে সোমবার (১৫ এপ্রিল)। এ অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএফএ) সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

বিভিওআরভিএমএফএ’র নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কাঁচামাল আমদানি ও ভোজ্যপণ্য উৎপাদনে কর অব্যাহতির মেয়াদ ১৫ এপ্রিল শেষ হচ্ছে বিধায় পরদিন ১৬ এপ্রিল থেকে ভ্যাট অব্যাহতির আগের নির্ধারিত মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ১৭৩ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৮৪৫ টাকা ও এক লিটার পাম তেল ১৩২ টাকায় বিক্রি করা হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ফেব্রুয়ারিতে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত (অপরিশোধিত) সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করে।

এদিকে মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে, তবে সময় লাগবে।

‘ভোজ্যতেলের নতুন চালান আমদানির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা কমবে: খাদ্যমন্ত্রী
ভোজ্যতেলে ভ্যাটমুক্ত সুবিধা তিন মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে সেই পুরোনো কৌশল

মন্তব্য

p
উপরে