× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
142 or 111 storey building in Purbachal?
google_news print-icon

পূর্বাচলে ১৪২ নাকি ১১১ তলা ভবন?

পূর্বাচলে-১৪২-নাকি-১১১-তলা-ভবন?
রাজধানীর পূর্বাচলে তৈরি করা হচ্ছে সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট। সেখানে মোট ৫২টি সুউচ্চ ভবন হবে, যার একটি হবে ১৪২ তলা। এটি হবে বিশ্বের পঞ্চম সুউচ্চ ভবন। সিভিল এভিয়েশন চায় ভবনটি ১১১ তলা করতে। কারণ বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামার প্রশ্ন জড়িত।

সিভিল এভিয়েশনের চূড়ান্ত অনুমোদন না পাওয়ায় আটকে আছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট (সিবিডি) প্রকল্পের মহাপরিকল্পনা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামার জন্য সুউচ্চ ভবন নির্মাণে সিভিল এভিয়েশনের অনুমতি প্রয়োজন হয়।

আগামী সপ্তাহে এ অনুমোদনের বিষয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে রাজউক।

প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিভিল এভিয়েশনের ক্লিয়ারেন্স পেলে আমরা সিবিডির মাস্টার প্ল্যান চূড়ান্ত করতে পারতাম, কিন্তু আমরা এখনও সেটা পাইনি।

‘আমরা তাদের কাছ থেকে ভবনের উচ্চতার বিষয়ে মতামত চেয়েছি, যা এখনও তারা কিছু বলছে না। আমরা তিনটি আইকনিক ভবন করতে চাই। এর প্রধানটি হবে ১৪২ তলা। একটি ৭১ ও অপরটি হবে ৫২ তলার। এখানে মোট ভবন হবে ৫২টি। আমরা এখনও এ টার্গেটেই আছি। আমাদের এখন অপেক্ষা করতে হচ্ছে সিভিল এভিয়েশন কতটা পর্যন্ত অ্যালাও করে।’

রাজউক চেয়ারম্যন বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে আমরা একটা বড় বৈঠক ডেকেছি। সেখানে চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকবেন। বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। সেখানে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সিভিল এভিয়েশনের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। এখানে আমাদের প্রস্তাবিত উচ্চতা অনুমোদিত হলে অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা মাস্টার প্ল্যান চূড়ান্ত করে ফেলব।

‘আমাদের ১১১ তলা করতে বলা হচ্ছে। কিন্তু আমরা ১৪২ তলা ভবনের টার্গেট ছাড়িনি। আমরা এটাই করতে চাই। এখন দেখি সিভিল এভিয়েশন কতটা অনুমোদন দেয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কোম্পানি নিয়োগ করেছি। তারা রাজউকের তহবিলে কিছু টাকাও জমা দিয়েছে। তারা ম্যানেজেরিয়াল ভবনও নির্মাণ করছে। বিদেশি কোম্পানির সঙ্গেও চুক্তি হয়েছে। মাস্টার প্ল্যান না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজ শুরু করতে পারছে না।’

শহরের যে অংশে প্রধান বাণিজ্যিক ক্রিয়াকলাপ গড়ে ওঠে, তাকে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক এলাকা বা সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট বলে। যেহেতু এই কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক এলাকাকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন মানুষের সমাগম ঘটে, এ অংশের সঙ্গে সব স্থানের ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকে।

সিবিডির বৈশিষ্ট্য হলো উন্নত যোগাযোগ নেটওয়ার্ক। এখানে সরকারি-বেসরকারি রুটে বাস, ট্রাম, মেট্রোরেল ও অন্যান্য গাড়ির সংযোগ থাকে এবং সকাল ও সন্ধ্যায় রাস্তায় বেশিসংখ্যক গাড়ির উপস্থিতি দেখা যায়। তবে রাতে থাকে নীরব, সুনসান।

সিবিডির স্বপ্ন

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৬ সালের ২ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের সময় সিবিডি সম্পর্কে বলেন, ‘আমি আমার একটি স্বপ্নের কথা বলতে চাই। আমার এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রবৃদ্ধি সঞ্চালক ও জনবান্ধব একটি প্রকল্প সম্পর্কে সবাইকে বলব। আপনারা জানেন, পূর্বাচল ও এর নিকটস্থ এলাকা নিয়ে একটি স্বতন্ত্র মহানগর গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

‘এ মহানগরে পিপিপির আদলে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি। এর মাধ্যমে একটি আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার, একটি আধুনিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স এবং ১৪২ তলা আইকনিক টাওয়ার স্থাপন করা হবে।’

পূর্বাচলে ১৪২ নাকি ১১১ তলা ভবন?

সে সময় ঢাকায় ১৪২ তলার এই আইকনিক টাওয়ার নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।

ভবন নির্মাণে প্রথমে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্রের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও কেপিসি গ্রুপের মালিক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কালী প্রদীপ চৌধুরী। অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও কালী প্রদীপ চৌধুরীর উপস্থিতিতে ২০১৬ সালের ১২ জুন এ টাওয়ার নির্মাণের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের তারিখ চূড়ান্ত হয়।

কিন্তু জমির দাম সেই সময়ের বাজার মূল্যের তুলনায় অনেক বেশি ধরা হয় (প্রতি একর ২১ কোটি টাকা)। এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতাও তৈরি হয়। এ কারণে চুক্তি করতে এলেও চুক্তি না করে ফিরে যান কেপিসি গ্রুপ চেয়ারম্যান।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে কেপিসি গ্রুপের চেয়ারম্যান কালী প্রদীপ চৌধুরী ভবনটি নির্মাণের ইচ্ছা প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী মুহিতের সঙ্গে ঢাকায় বৈঠক করেন। পরে কেপিসি গ্রুপের পক্ষে অর্থমন্ত্রী ১০০ একর জায়গার ওপর মূল ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় ওই বছরের নভেম্বর মাসে পূর্বাচলের সিবিডি অংশে ওই জায়গা দিতে রাজি হয়।

কনসোর্টিয়াম চুক্তি

নানা জটিলতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যেই ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর সিবিডি নির্মাণে ৮০০ কোটি বা ৮ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করে ডেভেলপার কোম্পানি ‘কনসোর্টিয়াম অব পাওয়ারপ্যাক হোল্ডিংস’ ও জাপানি প্রতিষ্ঠান ‘কাজিমা করপোরেশন’।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে রাজউক ও ডেভেলপার কোম্পানি সূত্র জানায়, সিবিডি নামের নতুন এ বাণিজ্যিক শহরটি সাত বছরে শতাধিক একর জমির ওপর তৈরি করা হবে।

সিবিডিতে ৪৬৫ মিটার উচ্চতার ১৪২ তলা বিশিষ্ট আইকনিক লিগ্যাসি টাওয়ার, ৭১ তলা বিশিষ্ট স্বাধীনতা টাওয়ার ও ৫২ তলা বিশিষ্ট ভাষা টাওয়ারসহ ৪১টি গগণচুম্বী ভবন থাকবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য এসব ভবনে ৩ কোটি ৮০ লাখ বর্গফুট জায়গা পাওয়া যাবে।

রাজউক বলছে, সিবিডির বাকি ৩৮টি ভবনের প্রত্যেকটির উচ্চতা ৪০ তলার সমান হবে। বাণিজ্যিক শহরের এ পরিকল্পনায় একটি বড় সম্মেলন সেন্টারও থাকবে।

২০১৮ সালে এক উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক ও জাপানি প্রতিষ্ঠান কাজিমা যৌথভাবে রাজউকের কাছ থেকে এ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পায়। পূর্বাচলের ১৯ নম্বর সেক্টরে ১১৪ একর জমির ওপর এ কাজ করবেন তারা।

প্রকল্পের কাজে নেতৃত্ব দেবে পাওয়ারপ্যাক। আর কারিগরি অংশীদার হিসেবে জাপানের কাজিমা তাতে সহায়তা করবে।

নিলামের শর্ত অনুসারে মোট ভূমির মূল্যের ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৩১৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা এরই মধ্যে রাজউককে পরিশোধ করেছে পাওয়ারপ্যাক-কাজিমা কনসোর্টিয়াম।

পাওয়ারপ্যাক কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের দায়িত্ব পাওয়ার পরই তারা নির্মাণকারী ঠিকাদার হিসেবে চীনা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার চায়না ইন্টারন্যাশন্যাল গ্রুপ লিমিটেড এবং প্রকল্পের নকশার জন্য বিশ্বের সপ্তম বৃহৎ প্রকৌশল কোম্পানি দক্ষিণ কোরিয়ার হিরিম আর্কিটেক্ট অ্যান্ড প্ল্যানার্স কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

এ ছাড়া নির্মাণ ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনার জন্য ফরাসি প্রতিষ্ঠান আরকেটাইপ কনস্ট্রাকশন হোল্ডিংস লিমিটেড, মাটি পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং ট্রাফিক ও পরিবেশের প্রভাব মূল্যায়নের জন্য প্রাইস ওয়াটার হাউজ কুপারকে (পিডব্লিউসি) নিযুক্ত করা হয়েছে।

বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রাইস ওয়াটারহাউজ, ইন্ডিয়াকেও নিযুক্ত করেছে পাওয়ারপ্যাক।

ইপসার সঙ্গে চুক্তি

২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট প্রকল্পের একাংশের অর্থায়নসহ উন্নয়নে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘চায়না এনার্জি কোম্পানি লিমিটেড’ যুক্ত হয়েছে।

বেইজিংয়ে চায়না এনার্জির প্রধান কার্যালয়ে পাওয়ারপ্যাক হোল্ডিংস ও কাজিমা করপোরেশন কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ৩৬০ কোটি ডলারের প্রকৌশল, ক্রয় ও নির্মাণ (ইপিসি) চুক্তি হয়।

বাংলাদেশি মুদ্রায় চুক্তিমূল্য ৩০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই সব থেকে বড় অঙ্কের ইপিসি চুক্তি। পাওয়ারপ্যাক হোল্ডিংস ও কাজিমা করপোরেশন কনসোর্টিয়ামের পক্ষে পাওয়ারপ্যাক হোল্ডিংস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক সিকদার এবং চায়না এনার্জি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান ঝাং হংমিং এই ইপিসি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু ট্রাই টাওয়ার

সিবিডির প্রধান তিনটি ভবনকে বলা হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু ট্রাই টাওয়ার’। রাজউক মনে করে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সামগ্রিক অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ১৪২ তলাবিশিষ্ট আইকনিক লিগ্যাসি টাওয়ারসহ মোট ৪২টি আকাশচুম্বী স্থাপনা এখানে তৈরি হবে। আইকনিক লিগ্যাসি টাওয়ারটি হবে বিশ্বের পঞ্চম উঁচু ভবন। এর ৯৬ তলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রা সম্পর্কিত একটি জাদুঘর থাকবে। আর ৭১ তলাবিশিষ্ট ভবনটি হবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির নিদর্শন হিসেবে। এ ছাড়া ৫২ তলা ভবনটি তুলে ধরা হবে ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য ত্যাগ ও মহিমার নিদর্শন হিসেবে।

এই তিনটি ভবন বা টাওয়ারের নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু ট্রাই টাওয়ার’। এগুলো তিনটি (ল্যাঙ্গুয়েজ, লিবারেশন ও লিগ্যাসি) প্রতীক বহন করবে।

পূর্বাচলে ১৪২ নাকি ১১১ তলা ভবন?

১১৪ একর জমির ওপর পুরো প্রকল্পে একটি আধুনিক ও উচ্চ প্রযুক্তির সুরক্ষাপ্রাচীর স্থাপন করা হবে।

গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, প্রায় ৯৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ প্রকল্পের ইতোমধ্যেই প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের সংস্থান হয়েছে। বাকি অর্থ সংগ্রহের কাজ করছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রথম দুই বছরে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার নির্মাণ সামগ্রী কেনা হবে, যা দেশের অর্থনীতি ও নির্মাণশিল্পে বড় ভূমিকা রাখবে।

এরই মধ্যে প্রকল্পের মাটি পরীক্ষা, যানবাহন ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন সমীক্ষা, প্রকল্পের খসড়া মাস্টারপ্ল্যান, ডিজাইন রাজউকে জমা দিয়েছে প্রকল্প পরিচালক। একই সঙ্গে স্মার্ট ও অত্যাধুনিক নির্মাণ শৈলীর আইকনিক টাওয়ারের ডিজাইনের জন্য রাজউক একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে। পরিবেশবান্ধব এ ভবনটির সারা দেয়ালে সর্বাধুনিক সোলার গ্লাস লাগানো হবে। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানিসহ বিভিন্ন ধরনের ইউটিলিটির জন্য ব্যবহার করা হবে মাটির নিচের লাইনের ডাক্ট ব্যবস্থা।

গ্রিন ভবনগুলোর ওয়ালে চীনের গ্রেট ওয়ালের আদলে নির্মাণ করা হবে ওয়াকওয়ে। অভ্যন্তরীণ যাতায়াতের জন্য পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক বাস ও আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াকওয়ে থাকবে। ভবনের স্থাপত্য নকশা তৈরির প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে কোরিয়ার বিশ্বখ্যাত হেরিম আর্কিটেক্ট।

আরও পড়ুন:
প্লট পেল পূর্বাচলে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪৪০ জন
পূর্বাচলে রাজউকের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ
ডিসেম্বরে প্লট পাচ্ছেন পূর্বাচলের ক্ষতিগ্রস্তরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Trump is going to implement 5 percent of the tariff on Canada products on August 7

কানাডার পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক বসাতে যাচ্ছেন ট্রাম্প, কার্যকর ১ আগস্ট

কানাডার পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক বসাতে যাচ্ছেন ট্রাম্প, কার্যকর ১ আগস্ট

কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ১ আগস্ট থেকে এ শুল্ক কার্যকর হবে।

বৃহস্পতিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নিকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এই কথা জানান।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, সোমবার থেকে এ পর্যন্ত ট্রাম্পের এমন ধরনের ২০টিরও বেশি চিঠি গেছে বিশ্বের নানা দেশের নেতার কাছে। চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের অংশ হিসেবেই এসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।

কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে একটি বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২১ জুলাইয়ের মধ্যে সমঝোতায় পৌঁছানোর লক্ষ্য রয়েছে। তবে ট্রাম্পের সর্বশেষ এই হুমকিতে আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

একইসঙ্গে কানাডা ও মেক্সিকো উভয়ই ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা করছে, যাতে উত্তর আমেরিকার তিন দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (ইউএসএমসিএ) আবার সঠিক পথে ফিরে আসে।

২০২০ সালের জুলাইয়ে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে পুরোনো (নাফটা) বাতিল করে ইউএসএমসিএ চালু করা হয়। ২০২৬ সালের জুলাইয়ে এর পরবর্তী পর্যালোচনা হওয়ার কথা। তবে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প নানা দেশে শুল্ক আরোপ করে পর্যালোচনার প্রক্রিয়াই অস্থির করে তুলেছেন।

শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ২৫ শতাংশ শুল্ক বসায় কানাডা ও মেক্সিকোর বহু পণ্যের ওপর। কানাডার জ্বালানির ক্ষেত্রে অবশ্য কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়।

বাণিজ্যের পাশাপাশি অবৈধ অভিবাসন ও মাদক পাচার ঠেকাতে যথেষ্ট উদ্যোগ না নেওয়ার অভিযোগে প্রতিবেশী এ দুই দেশকে একাধিকবার সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প।

তবে পরবর্তীতে ইউএসএমসিএ চুক্তির আওতায় থাকা পণ্যের ক্ষেত্রে তিনি ছাড় দেন, যার ফলে বড় পরিসরের পণ্য শুল্কমুক্ত হয়।

বৃহস্পতিবারের চিঠিটি এমন এক সময় এলো, যখন ট্রাম্প ও কার্নির মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা উষ্ণ হচ্ছিল। এমনকি এর আগে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানো নিয়েও মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।

গত ৬ মে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হোয়াইট হাউসে এসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর পরের মাসে কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনেও আবার দেখা হয় দুই নেতার। সম্মেলনে ট্রাম্পকে বাণিজ্যযুদ্ধ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান বিশ্বনেতারা।

এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর কানাডা যে কর আরোপ করেছিল, তা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে ট্রাম্প আলোচনার টেবিল ত্যাগ করলেও পরে আবার আলোচনা শুরুর পথ খুলে যায়।

অন্যদিকে, এনবিসি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, যেসব দেশকে এখনো এ ধরনের চিঠি পাঠানো হয়নি, তাদের ওপরও ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনায় আছে। সেটিও কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে।

তিনি জানান, ব্রাজিলের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে, যদি এর আগেই কোনো সমঝোতা না হয়।

এনবিসি’কে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ টি দেশের উদ্দেশে চিঠি পাঠানো হবে ‘আজ বা আগামীকাল (শুক্রবার)’।

এদিকে, ট্রাম্পের হুমকির পর বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। তবে দেশটি পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করছে।

ট্রাম্পের পাঠানো চিঠিতে ব্রাজিলের সাবেক ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর প্রতি আচরণ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jute shrimp export revenue in Khulna is around Tk 1000 crore

খুলনায় পাট-চিংড়ি রপ্তানি আয় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা

২০২৪-২৫ অর্থবছর
খুলনায় পাট-চিংড়ি রপ্তানি আয় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা

খুলনা অঞ্চলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পাট, পাটজাত পণ্য, চিংড়ি, সবজি ও ফলমূল রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৫ হাজার ৯৭১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দেওয়া তথ্যমতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে বিদেশে নতুন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হওয়ায় খুলনা থেকে পাট, পাটজাত পণ্য এবং চিংড়ি রপ্তানি বেড়েছে।

ইপিবি আরও জানায়, বিশ্ব অর্থনীতির উন্নতির কারণেও রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত খুলনা অঞ্চলের রপ্তানি আয় ছিল ৫ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আর চলতি অর্থবছরে একই সময়ে আয় দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৭১ কোটি টাকায়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ১৩ হাজার ১৯ দশমিক ৮০ টন হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১ হাজার ৯৯০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

এছাড়া কুচিয়া, কাঁকড়া, সবজি, কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানিও বেড়েছে।

মাসভিত্তিক রপ্তানি আয়ের হিসাবে দেখা যায়, খুলনা অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা জুলাইয়ে ৫১৭ কোটি ৬৮ লাখ, আগস্টে ৪৪৭ কোটি ৫৩ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৬০১ কোটি ৯৮ লাখ, অক্টোবরে ৫৬৬ কোটি ৯৬ লাখ, নভেম্বরে ৫২৩ কোটি ১৩ লাখ, ডিসেম্বরে ৪৫৭ কোটি ৩৭ লাখ, জানুয়ারিতে ৪২৩ কোটি ৬৫ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ৪০২ কোটি ৫২ লাখ, মার্চে ৪৩৮ কোটি ৯১ লাখ, এপ্রিলে ৫৫০ কোটি ৮৭ লাখ, মে মাসে ৬১১ কোটি ৬৯ লাখ এবং ২০২৫ সালের জুনে ৪২৯ কোটি ১১ লাখ টাকার পণ্য রপ্তানি করেছেন।

খুলনা ইপিবির পরিচালক জিনাত আরা জানান, বৈশ্বিক অর্থনীতির উন্নতি, বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিশীলতা এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ফিরে আসায় রপ্তানি বেড়েছে।

তিনি বলেন, ‘পূর্ববর্তী সরকারের আমলে সরকারি পাটকল ও চিংড়ি কারখানা বন্ধসহ নানা কারণে খুলনা অঞ্চলের রপ্তানি কমে গিয়েছিল।’

পাট ও বস্ত্র উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সম্প্রতি খুলনা সফর করেছেন উল্লেখ করে তিনি জানান, খুলনা অঞ্চল পাট, চিংড়ি ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানিতে তার আগের গৌরব ফিরে পাবে। সরকার বন্ধ থাকা পাটকলগুলো বেসরকারি খাতে ইজারা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, যাতে সেগুলো পুনরায় চালু করা যায়।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফইএ)’র সাবেক সহ-সভাপতি মো. আবদুল বাকী বাসসকে বলেন, ‘খুলনার ব্যবসায়ীরা মনে করছেন দেশে অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশের কারণে চিংড়ি, পাট, পাটজাত পণ্য ও অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

তিনি আরও জানান, খুলনায় মোট ৬৩টি চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা থাকলেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উৎপাদন ও বৈদেশিক চাহিদা কমে যাওয়ায় ৩৩টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।

যোগাযোগ করা হলে পাট ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ পাট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ)-এর সাবেক সহ-সভাপতি ও পাট ব্যবসায়ী শরীফ ফজলুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববাজারে কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। খুলনায় এর বড় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের নীতির তীব্র সমালোচনা করে তিনি অভিযোগ করেছেন, পতিত সরকার দেশের পাট খাত ধ্বংস করে দিয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The adviser to ensure transparency in the preparation of financial reports to increase investment

বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে আর্থিক প্রতিবেদন প্রণয়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার

বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে আর্থিক প্রতিবেদন প্রণয়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরীক্ষক এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের আর্থিক প্রতিবেদন ও নিরীক্ষায় আরও স্বচ্ছতা ও সততা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা যখন একটি দেশের ব্যবসা পরিবেশ সম্পর্কে স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পান, তখন তারা সেই অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন।’

রাজধানীর একটি হোটেলে ‘অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড অডিটিং সামিট’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্বব্যাংক এবং ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) যৌথভাবে ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক শাসনে এফআরসি’র ভূমিকা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুর, ঢাকাস্থ বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর সৌলেমানে কুলিবালি এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) চেয়ারম্যান ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নিরীক্ষা ও হিসাবরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে যারা এসব কাজে জড়িত তাদের স্বচ্ছতা ও সততা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।

ড. আহসান এইচ. মনসুর বলেন, দেশীয় ও বিদেশি উভয় বিনিয়োগকারীর আস্থা অর্জনের জন্য ব্যাংকগুলোর নিরীক্ষা প্রতিবেদন স্বচ্ছভাবে এবং যথাযথ তথ্যসহ উপস্থাপন করা উচিত।

তিনি বলেন, একটি সুদৃঢ়, সহনশীল ও ভবিষ্যতমুখী আর্থিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দেশের সব ব্যাংকে রিস্ক-বেসড সুপারভিশন (আরবিএস) চালু করা হবে।

মূল প্রবন্ধে এফআরসি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ যখন একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন সুসংগঠিত প্রতিষ্ঠান ও সুশাসন কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

তিনি বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল একটি সুস্পষ্ট ম্যান্ডেট নিয়ে কাজ করছে যা আর্থিক প্রতিবেদন, নিরীক্ষা, মূল্যায়ন এবং সঠিক মানদণ্ডে সততা, শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।’

তিনি আরও বলেন, এফআরসি চায় সব পক্ষ যেন পূর্ণ প্রকাশসহ সত্য আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করে, যাতে অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রকৃত ও কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব—আয়কর ও ভ্যাট—সংগ্রহ করতে পারে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘ভুয়া বা মিথ্যা আর্থিক প্রতিবেদনই কর ফাঁকি ও কর এড়ানোর প্রধান হাতিয়ার।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
World Trade has increased in the first half of 2021 the United Nations

২০২৫ সালের প্রথমার্ধে বিশ্ব বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে: জাতিসংঘ

২০২৫ সালের প্রথমার্ধে বিশ্ব বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে: জাতিসংঘ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রপ্তানি বৃদ্ধির কারণে ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে বিশ্ব বাণিজ্য প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জেনেভা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন (আঙ্কটাড) অর্থনীতিবিদ আলেসান্দ্রো নিকিতা এএফপিকে জানিয়েছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর শুল্ক আরোপের মাধ্যমে শুরু হওয়া বাণিজ্য যুদ্ধ সত্ত্বেও ২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধের তুলনায় বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রায় ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে ‘নীতিগত অনিশ্চয়তা, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হ্রাসের ইঙ্গিত, এইসব বিষয় ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে বাণিজ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে ওই বিবৃতিতে জানিয়েছে আঙ্কটাড।

নিকিতা বলেন, মার্কিন কোম্পানিগুলো ৫ এপ্রিল শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে পণ্যের মজুত করে ফেলায় আমদানির বড় এই বৃদ্ধিটি ঘটেছে।

আঙ্কটাডর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সেবা বাণিজ্যই ছিল প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি।

২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রায় ১.৫ শতাংশ বেড়েছে এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে তা ২ শতাংশে পৌঁছেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে উন্নত অর্থনীতি উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় ভালো করেছে। যা সাম্প্রতিক সময়ে গ্লোবাল সাউথের পক্ষে থাকা প্রবণতাকে উল্টে দিয়েছে।’

এই পরিবর্তনের পেছনে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিতে ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রপ্তানিতে ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধি ভূমিকা রেখেছে।’ তবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আমদানি দুই শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্প তার ব্যাপক শুল্ক আরোপের কারণ হিসাবে যে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা উল্লেখ করেছেন, তা ‘গত চার প্রান্তিকে আরও গভীর হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বৃহত্তর ঘাটতি রয়েছে এবং চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ক্রমবর্ধমান উদ্বৃত্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক বাণিজ্য বিভাজনের ঝুঁকি বাড়িয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

তবে আঙ্কটাড জানিয়েছে এখনও স্থিতিস্থাপকতার লক্ষণ রয়ে গেছে। যদিও তা ‘নীতিগত স্পষ্টতা, ভূ-অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সরবরাহ লাইনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The new announcement of Trumps tariffs collapsed on the US stock market

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের নতুন ঘোষণায় মার্কিন শেয়ারবাজারে ধস

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের নতুন ঘোষণায় মার্কিন শেয়ারবাজারে ধস

হঠাৎ করে নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একগুচ্ছ ‘শুল্ক চিঠি’ প্রকাশ করে বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন করে আলোড়ন তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সোমবার (০৭ জুলাই) স্থানীয় সময় দুপুরে প্রকাশিত এসব চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ওপর নতুন আমদানি শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে।

চিঠি প্রকাশের পরপরই এর প্রভাব পড়ে বিশ্ববাজারে। যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে দেখা দেয় বড় ধস। ডাও জোন্স সূচক পড়ে যায় ৪২২ পয়েন্ট, আর নাসডাক ও এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক যথাক্রমে ০.৯ শতাংশ ও ০.৮ শতাংশ কমে যায়।

বিশ্ববাজারেও এর প্রভাব পড়ে। টয়োটা, নিসান, হোন্ডা, এলজি ও এসকে টেলিকম-এর মতো কোম্পানির শেয়ারের দাম তাৎক্ষণিকভাবে কমে যায়। কিছু কিছু কোম্পানির শেয়ার ৭ শতাংশ পর্যন্ত দরপতনের মুখে পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ কৌশলবিদ রস মেফিল্ড সিএনএনকে বলেন, প্রস্তাবিত শুল্কের হার বাজারের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা ব্যাপকভাবে শেয়ার বিক্রি শুরু করেন।

শুল্ক ঘোষণার প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বন্ডের বাজারেও চাপ পড়ে। ১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের সুদহার বেড়ে ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং ৩০ বছর মেয়াদি বন্ডের হার বেড়ে ৪ দশমিক ৯২ শতাংশে দাঁড়ায়।

ট্রাম্প আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ব্রিকস জোটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা দেশগুলোর ওপরও অতিরিক্ত ১০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। তার দাবি, এসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নীতি অনুসরণ করছে এবং তার শুল্কনীতির অযৌক্তিক সমালোচনা করছে।

অন্যদিকে, ট্রাম্পের ঘোষণার পর ইউএস ডলার ইনডেক্স বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। এর ফলে জাপানি ইয়েন, দক্ষিণ কোরীয় ওয়ান ও দক্ষিণ আফ্রিকান র‌্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি প্রধান মুদ্রা ডলারের তুলনায় দুর্বল হয়ে পড়ে।

তবে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে এশিয়ার কিছু শেয়ারবাজারে সাময়িক চাঙাভাব দেখা গেছে, এবং সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও কিছুটা উত্থান দেখা দিতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি শুধু বাণিজ্য সম্পর্কেই নয়, বৈশ্বিক অর্থনীতির ভারসাম্যেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Formation of a special committee in customs to remove the goods left at Chittagong port

চট্টগ্রাম বন্দরে ফেলে রাখা পণ্য সরাতে কাস্টমসে বিশেষ কমিটি গঠন

চট্টগ্রাম বন্দরে ফেলে রাখা পণ্য সরাতে কাস্টমসে বিশেষ কমিটি গঠন

চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা নিষ্পত্তিহীন পণ্য দ্রুত নিলাম, বিলিবন্দেজ বা ধ্বংসের মাধ্যমে সরানোর জন্য একটি ‘নিলাম কমিটি’ গঠন করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিশেষ আদেশে গঠিত এ কমিটি আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত যানবাহন ব্যতীত ফেলে রাখা সব পণ্য নিষ্পত্তির মাধ্যমে সরিয়ে ইয়ার্ড খালি করবে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ শফিউদ্দিন এক অফিস আদেশে জানান, নিলাম কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ তফছির উদ্দিন ভূঁঞা। সদস্য হিসেবে রয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার মো. রুহুল আমিনসহ কাস্টম হাউসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন নিলাম শাখার উপ বা সহকারী কমিশনার।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, কাস্টমস আইন মেনে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পড়ে থাকা অখালাসকৃত, বাজেয়াপ্ত অথবা অনিষ্পন্ন পণ্য দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে বন্দর কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়রোধই এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। এই কমিটি দ্রুত নিলাম ও ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে কন্টেইনার জট নিরসন, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং পণ্যের প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Airline Bangladesh Airlines Monitor Airline of the Year 2021 earns 5 medals

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘মনিটর এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার ২০২৪’– এ ৫টি পদক অর্জন

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘মনিটর এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার ২০২৪’– এ ৫টি পদক অর্জন

শেয়ারট্রিপ ও মনিটরের যৌথ উদ্যোগে এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার-২০২৪ শীর্ষক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গোল্ড পদকসহ মোট ৫ টি পদক লাভ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। দীর্ঘ দূরত্বের আন্তর্জাতিক পথে ফ্লাইট পরিচালনা, ইকোনমি ক্লাসে শ্রেষ্ঠ ইনফ্লাইট খাবার, বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় এয়ারলাইন্স ব্র্যান্ডস ক্যাটাগরিতে গোল্ড পদক পেয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এছাড়াও বেস্ট ইম্প্রুভড এয়ারলাইন্স ও অভ্যন্তরীণ পথে ফ্লাইট পরিচালনায় যথাক্রমে সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক লাভ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

মন্তব্য

p
উপরে