× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
At least six months to get clean feed
google_news print-icon

ক্লিন ফিড পেতে অন্তত ছয় মাস

ক্লিন-ফিড-পেতে-অন্তত-ছয়-মাস
ওয়ান অ্যালায়েন্স লিমিটেডের হেড অব ডিস্ট্রিবিউশন মো. সাইফুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ক্লিন ফিড দিতে হলে দেশের সকল অপারেটরকে সেট-টপ বক্স সরবরাহ করতে হবে। নতুন করে স্যাটেলাইটে চ্যানেল আপ করতে হবে, নতুন ফিড দিতে হবে। রাতারাতি এটা সম্ভব না। এটা এখন থেকে শুরু করলেও কমপক্ষে ছয় মাস সময় লাগবে।’

ছয় দিন ধরে ক্লিন ফিড (বিজ্ঞাপনমুক্ত টেলিভিশন কনটেন্ট) জটিলতায় বেশ কিছু বিদেশি চ্যানেল দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দর্শকরা। সরকারও ক্লিন ফিডের ক্ষেত্রে ছাড় দিতে অনড়। সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে নানা অংশীজনের।

১৫ বছর আগেই এ ক্ষেত্রে আইন থাকলেও কেন এ দেশে ক্লিন ফিডের বাস্তবায়ন হচ্ছে না? ক্লিন ফিড দিতে ব্রডকাস্ট কোম্পানিগুলোর বাধা কোথায়?

বিজ্ঞাপনবিহীন টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার হচ্ছে ক্লিন ফিড। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে সম্প্রচার হয়। প্রতিবেশী সব দেশ এমনকি নেপালেও বিদেশি চ্যানেলগুলো ক্লিন ফিড সম্প্রচার করে।

এ দেশে ২০০৬ সালের কেব্‌ল নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনেও বিদেশি চ্যানেলগুলোর ক্লিন ফিড সম্প্রচারের কথা বলা আছে। কিন্তু এটি কার্যকর করার উদ্যোগ এর আগে নেয়া হলেও তা সম্ভব হয়নি। এবার সরকার তা কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর।

ক্লিন ফিড করবে কে?

কোনো টেলিভিশন চ্যানেলকে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে সম্প্রচার তিনটি পক্ষ থাকে: ব্রডকাস্ট কোম্পানি, ডিস্ট্রিবিউটর ও লোকাল কেব্‌ল অপারেটর। সরকার এখানে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকে। তবে লোকাল কেব্‌ল অপারেটররা যেহেতু সংখ্যায় অনেক, তাদের গ্রাহকসংখ্যাও সীমিত ও এলাকাভিত্তিক, তাই তারা ক্লিন ফিড করতে চাইলেও পারে না। এ ক্ষেত্রে দায় ব্রডকাস্টার কোম্পানি ও লোকাল ডিস্ট্রিবিউটরের।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সম্প্রতি বলেন, ‘যেসব চ্যানেল ক্লিন ফিড পাঠায় না, এ দেশে তাদের এজেন্ট আছে। এই দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট চ্যানেল ও এজেন্টদের। এটি কেব্‌ল অপারেটরদের দায়িত্ব নয়।’

তবে লোকাল ডিস্ট্রিবিউটররা বলছেন, ক্লিন ফিড বাস্তবায়ন তাদের পক্ষে সম্ভব না। এটা বাস্তবায়ন করতে পারে শুধু ব্রডকাস্টাররা। তারা চ্যানেলগুলো আপলিংক করার সময় ক্লিন ফিড করে আপ করতে পারে। কেব্‌ল অপারেটররা সেগুলো তাদের রিসিভারে ক্লিন ফিডসহ রিসিভ করবে। তাই এ সমস্যার সমাধান ব্রডকাস্টারের কাছেই।

সমস্যা বিনিয়োগ ও ডিজিটালাইজেশনে

বাংলাদেশের যে গ্রাহকসংখ্যা রয়েছে, তার জন্য ক্লিন ফিড পাঠানো ও রিসিভ করার পুরো প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে আলাদা স্যাটেলাইট প্রয়োজন। এ ছাড়া কেব্‌ল অপারেটরদের বর্তমান রিসিভারগুলোও পরিবর্তন করতে হবে। সারা দেশে বিপুলসংখ্যক রিসিভার পরিবর্তন করা সময়সাপেক্ষ। আবার এ জন্য পুরো প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশন করতে হবে। সেট-টপ বক্স বসাতে হবে গ্রাহকপর্যায়ে।

এখানে ব্রডকাস্টারদের আয়-ব্যয়ের প্রশ্নও রয়েছে। ডিস্ট্রিবিউটররা বলছেন, ক্লিন ফিড দিতে ব্রডকাস্টারদের বাড়তি অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। কিন্তু তারা এখনই তা চান না। কারণ দেশের প্রকৃত কেব্‌ল টিভি গ্রাহক কত, তা কারও জানা নেই। এ সংখ্যা ১ থেকে ৩ কোটি হতে পারে।

চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউশনে চার প্রতিষ্ঠান

বাংলাদেশে মূলত চারটি প্রতিষ্ঠান বিদেশি চ্যানেলগুলোর ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করে। তারাই ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক বা দুবাইভিত্তিক শতাধিক টেলিভিশন চ্যানেলের বাংলাদেশ প্রতিনিধি। তাদের মাধ্যমেই এ দেশে বিদেশি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার হয়। চারটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে: ওয়ান অ্যালায়েন্স লিমিটেড, যাদুভিশন মিডিয়া, নেশনওয়াইড মিডিয়া এবং মিডিয়া কেয়ার।

সরকার থেকে শুরু করে কেব্‌ল অপারেটর এমনকি দেশি টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকরাও বলছেন, ক্লিন ফিড করার দায়ত্বি এ চার প্রতিষ্ঠানেরই। তারাই তাদের মূল ব্রডকাস্টারের কাছ থেকে ক্লিন ফিড আদায় করে নেবে।

কী কী পদক্ষেপ, কত দিন লাগবে

ওয়ান অ্যালায়েন্স লিমিটেডের হেড অব ডিস্ট্রিবিউশন মো. সাইফুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তারা বলছে, ক্লিন ফিড বাংলাদেশে টেকনিক্যালি অবশ্যই সম্ভব। তবে এটাতে যে পরিমাণ ইনভেস্ট করতে হবে, তার তুলনায় রিটার্ন কম পাওয়া যাবে। তারপরও ওরা চেষ্টা করছে আমাদের ক্লিন ফিড দিতে।

‘তবে সেটা এক দিনে সম্ভব না। এর জন্য সময় প্রয়োজন। বাংলাদেশে যতগুলো অপারেটর আছে, প্রত্যেক অপারেটরকে সেট-টপ বক্স সাপ্লাই করতে হবে। নতুন করে স্যাটেলাইটে চ্যানেল আপ করতে হবে, নতুন ফিড দিতে হবে। এই কারিগরি প্রক্রিয়াগুলো সম্পাদনের চেষ্টা করছে তারা। তবে সব অপারেটর এখন তা দিতে পারবে না। তাই রাতারাতি এটা সম্ভব না। এটা এখন থেকে শুরু করলেও কমপক্ষে ছয় মাস সময় লাগবে।’

তিনি বলেন, ‘লোকাল ডিস্ট্রিবিউটররা এটা চাইলেও সম্ভব না। টেকনিক্যাল কোনো বিষয়ই ডিস্ট্রিবিউটরদের হাতে নাই। এর পুরোটা ব্রডকাস্টারের হাতে। তাদের কাছে বিভিন্ন কোড রয়েছে। এখানে ব্রডকাস্টার না চাইলে তা ডিস্ট্রিবিউটরদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। এ জন্য যদি ডিজিটাইজেশন হয়, তাহলে গ্রাহক সংযোগের একচুয়াল ফিগার পাওয়া যেত।

‘বাংলাদেশে মনে করা হয় ২ থেকে ৩ কোটি গ্রাহক রয়েছে। সবার কাছ থেকে যদি অপারেটররা কানেকশন ফি পেত, সেখান থেকে আমরা পেতাম, আমাদের কাছ থেকে ডিস্ট্রিবিউটররা পেত। এটা হিউজ মানি। তা হলে ব্রডকাস্টারের পক্ষে সম্ভব ছিল, তাদের গ্রাহকপ্রতি খরচ কমে আসত। তারা আরও দ্রুত সাড়া দিত।’

একই মত কেব্‌ল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) সভাপতি আনোয়ার পারভেজেরও। তিনি বলেন, ‘এখন অ্যানালগ সংযোগে ব্রডকাস্টার, ডিস্ট্রিবিউটর ও অপারেটরদের আয় অনেক কম। ডিজিটাল হলেই প্রকৃত কেব্‌ল সংযোগসংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। তখন চ্যানেলগুলোর আয়ও বাড়বে। তারা যখন দেখবে দেশের কোটি গ্রাহকের কাছ থেকে তারা বড় অঙ্কের আয় করছে, তখন তারা বিনিয়োগ করে এ দেশে ক্লিন ফিড পাঠাতে বাধ্য হবে।’

তবে কোয়াব নেতা সৈয়দ মোশারফ আলী বলেন, ‘চারটি মাত্র ডিস্ট্রিবিউটর, তারা তো চ্যানেলগুলোর প্রতিনিধি। ডিস্ট্রিবিউটরদের সরকার বলে দিক, এত দিনের মধ্যে ক্লিন ফিড দিতে হবে। তারাই তো দায় নেবে। এখানে কেব্‌ল অপারেটরদের কোনো দায় না থাকলেও তারাই বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে।’

দেশি চ্যানেলের লাভের সুযোগ

ক্লিন ফিড হলে দেশি টেলিভিশন চ্যানেল শিল্পের আর্থিক সংকট কমবে। টিভি কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সম্প্রচারকর্মীরাও এর সুফল পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশি চ্যানেলগুলো চাইছে, এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকুক। ক্লিন ফিডের জন্য ডিজিটাল সংযোগও চায় তারা। এতে অন্যান্য দেশের মতো প্রত্যেক গ্রাহক সংযোগে নির্দিষ্ট হারে অর্থও পাওয়া হবে।

দেশি চ্যানেলগুলোর মালিকদের সংগঠন অ্যাটকো বলছে, এতদিন ধরে বিদেশি চ্যানেলগুলো তাদের মূল ব্রডকাস্টারের মাধ্যমে টিভিতে বিজ্ঞাপন দিত, তা এ দেশে প্রচারও হতো। ফলে তাদের কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকের কাছে এমনিতেই বিজ্ঞাপন পৌঁছে যেত। ফলে এসব মাল্টিন্যাশনাল বড় কোম্পানিগুলো দেশীয় চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপন দিত না বললেই চলে। এসব বিজ্ঞাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকার কোনো করও পেত না।

বিজ্ঞাপন পাচার বা অ্যাড ওভারফ্লোয়ের মাধ্যমে বছরে দেশের ১২০০ কোটি টাকা খোয়া যাচ্ছে বলে দাবি অ্যাটকোর। তারা বলছে, এখান থেকে সরকারও কর বাবদ অন্তত ৩০০ কোটি টাকার রাজস্ব পেত, যা এখন হারাতে হচ্ছে।

অ্যাটকোর সিনিয়র সহসভাপতি ও বেসরকারি একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু বলছেন, ‘আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপন প্রচারের সুযোগই নেই। কিন্তু এতদিন তারা সুযোগ পেয়েছে। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ বিশাল বিজ্ঞাপন যদি দেশি চানেলে প্রচার হতো, একই সঙ্গে যদি যে তিন-চার কোটি গ্রাহক রয়েছে, তাদের কাছ থেকে যদি এক টাকা করেও চ্যানেলগুলো পেত, তাও অনেক টাকা। তাহলে দেশি চ্যানেলগুলো আর অর্থসংকটে থাকত না। অনুষ্ঠানের মান আরও ভালো করা যেত। পৃথিবীর সব দেশে এ আইন মানা হচ্ছে।’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদও সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্লিন ফিড না চালানোয় ক্ষতি হচ্ছে কয়েক হাজার কোটি টাকা, যা দেশে বিনিয়োগ হতো। আইন ভঙ্গ করে বিদেশি চ্যানেলে যদি বিজ্ঞাপন না দেখানো হতো, তবে দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি লাভবান হতো। ক্লিন ফিড না চলার কারণে দেশের অর্থনীতি, শিল্পী, শিল্প, সংস্কৃতি ও মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সে কারণেই আমরা এ পদক্ষেপ নিয়েছি।’

ক্লিন ফিড (বিজ্ঞাপনমুক্ত) ছাড়া বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচারের ওপর সরকার বিধিনিষেধ জারির পর ১ অক্টোবর থেকে সব বিদেশি চ্যানেল প্রদর্শন বন্ধ করে দেয় কেব্‌ল অপারেটররা। পরে সরকারের নির্দেশনায় সিএনএন, বিবিসিসহ ২৪টি চ্যানেল সম্প্রচার শুরু করে। ক্লিন ফিড পুরোপুরি কার্যকর করতে আরও সময় চেয়েছে কেব্‌ল অপারেটারা।

কোয়াব সভাপতি আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘এ খাত ডিজিটাইজড করার পরই এমন সিদ্ধান্ত নিলে আমাদের ব্যবসা টিকে থাকবে। এ ক্ষেত্রে সরকার যদি পুরো সহযোগিতা ও আর্থিক সুবিধা দেয়, তাহলে আগামী এক বছরেই এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।’

অপারেটরদের একাংশের নেতা সৈয়দ মোশারফ আলী বলেন, ‘আমরাও ক্লিন ফিড চ্যানেল চাই। গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করি আমরা কেব্‌ল অপারেটররা। এখন মাসের শুরু, অনেক চ্যানেলই বন্ধ, গ্রাহক আমাদের ঠিকমতো টাকাও দিচ্ছে না। তবে যতদিন ক্লিন ফিড না হয়, ততদিন চলতে দেয়ার দাবি করছি, যাতে দর্শকরা বঞ্চিত না হয়। আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি।

তবে বিদেশি চ্যানেলের ক্লিন ফিড নিশ্চিত করতে কেব্‌ল অপারেটররা আরও সময় চাইলেও তাতে একমত নন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ। সচিবালয়ে বুধবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বিদেশি চ্যানেলগুলো যেদিন থেকে ক্লিন ফিড পাঠাবে, সেদিন থেকে তারা সম্প্রচার করতে পারবে। অনেক চ্যানেল এরই মধ্যে ক্লিন ফিড প্রচার শুরু করেছে। বাকিগুলোও শিগগিরই করবে।’

আরও পড়ুন:
ক্লিন ফিড: এক চুলও সরবে না সরকার
ক্লিন ফিড: কেব্‌ল অপারেটরদের আর সময় নয়
সুযোগ থাকলেও ২৪ চ্যানেল বন্ধ রাখছেন অপারেটররা
কোয়াবের আন্দোলনের হুমকি অনভিপ্রেত: অ্যাটকো
ভারতকে বলেছি অক্টোরব থেকে ক্লিনফিডে কড়াকড়ি: তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Initiative of BRAC Bank and Vision Emporium to promote environmentally friendly smart cooking

পরিবেশবান্ধব স্মার্ট রান্নার প্রসারে ব্র্যাক ব্যাংক ও ভিশন এম্পোরিয়ামের উদ্যোগ

পরিবেশবান্ধব স্মার্ট রান্নার প্রসারে ব্র্যাক ব্যাংক ও ভিশন এম্পোরিয়ামের উদ্যোগ

পরিবেশবান্ধব স্মার্ট রান্নার প্রসারে ব্র্যাক ব্যাংক ও ভিশন এম্পোরিয়ামের উদ্যোগ

দেশে পরিবেশবান্ধব রান্নার প্রসারে আরএফএল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের রিটেইল চেইন ভিশন এম্পোরিয়ামের সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এই চুক্তির আওতায় ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা জ্বালানি-সাশ্রয়ী হোম অ্যাপ্লায়েন্স কেনাকাটায় বিশেষ সুবিধা উপভোগ করবেন, যা গ্রাহকদের পরিবেশবান্ধব হোম অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করবে।

এই সহযোগিতার ফলে ব্র্যাক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা দেশের বিভিন্ন জেলায় ভিশন এম্পোরিয়ামের নিজস্ব শোরুম থেকে ভিশন ইনডাকশন কুকার, ইনফ্রারেড কুকার এবং রাইস কুকার কেনাকাটায় ১৫% ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট উপভোগ করবেন। অফারটি চলবে ৩১ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত।

ইনডাকশন ও ইনফ্রারেড কুকার প্রচলিত রান্নাব্যবস্থার তুলনায় অধিক নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও কার্যকর হওয়ায় দেশে এগুলোর জনপ্রিয়তা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব জ্বালানি-সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব আধুনিক অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবহারে গ্রাহকদের উৎসাহিত করতে ব্র্যাক ব্যাংক এই উদ্যোগ নিয়েছে, যা গ্রিন ব্যাংকিংয়ের ব্যাপারে ব্যাংকটির ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

এ ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম বলেন, “এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক গ্রাহকদের পরিচ্ছন্ন ও জ্বালানি-সাশ্রয়ী রান্নার দিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করছে, যা আর্থিক দিক থেকেও অনেক সাশ্রয়ী। গ্রিনার হাউজহোল্ড ও টেকসই ভবিষ্যতের যাত্রায় এটি একটি সহজ, কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ।”

৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ অপারেটিং অফিসার সাব্বির হোসেন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম, হেড অব মার্চেন্ট অ্যাকোয়ারিং খাইরুদ্দিন আহমেদ বাপ্পি, হেড অব অ্যালায়েন্সেস মো. আশরাফুল আলম এবং অ্যালায়েন্সের অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার নাহিয়ান খান।

ভিশন এম্পোরিয়ামের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আরএফএল গ্রুপের চিফ মার্কেটিং অফিসার মুরশেদ মুনীম, আরএফএল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং এজেডএম ওবায়াদুল্লাহ এবং আরএফএল রিটেইল চেইন্সের হেড অব মার্কেটিং শফিকুল ইসলাম।

জীবনধারার সুবিধার সঙ্গে টেকসই উন্নয়নকে যুক্ত করার মাধ্যমে নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার পথে এটি ব্র্যাক ব্যাংকের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি গ্রাহকদের আর্থিক সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি নিশ্চিত করবে দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক প্রভাব।

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ১০০টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Training on AML CFT at the initiative of BFIU and Prime Bank of Moulvibazar

মৌলভীবাজারের বিএফআইইউ ও প্রাইম ব্যাংকের উদ্যোগে এএমএল/সিএফটি শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

মৌলভীবাজারের বিএফআইইউ ও প্রাইম ব্যাংকের উদ্যোগে এএমএল/সিএফটি শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

মৌলভীবাজারের ব্যাংকারদের জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও প্রাইম ব্যাংক পিএলসি. কর্তৃক আয়োজিত এএমএল/সিএফটি শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি লীড ব্যাংক হিসেবে “মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন (এএমএল এবং সিএফটি) প্রতিরোধ” শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের মোট ৯০ জন ব্যাংকার অংশগ্রহণ করেন।

এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউ এর পরিচালক মো. মোস্তাকুর রহমান। কর্মশালার সেশনসমূহ পরিচালনা করেন বিএফআইইউ এর দক্ষ ও অভিজ্ঞ রিসোর্স পার্সনগণ, যাদের মধ্যে ছিলেন অতিরিক্ত পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, যুগ্ম পরিচালক মো. ইমানুর হাসান এবং উপ-পরিচালক মো. মুশফিকুল ইসলাম।

এতে সভাপতিত্ব করেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসির ডিএমডি ও প্রধান মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রাইম ব্যাংকের ডিএমডি মো. ইকবাল হোসেন এবং প্রাইম ব্যাংকের সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান মো. হুমায়ুন কবির।

কর্মশালায় মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়, যেমন: আইন ও বিধির নির্দেশাবলী, কেওয়াইসি, লেনদেন মনিটরিং, ক্রেডিট ও ট্রেড বেইজড মানিলিন্ডারিং প্রতিরোধে বিষয়ে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়। প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানটি ইন্টারেক্টিভ এবং আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য, প্রশিক্ষণ সেশনের পরে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেরা পারফর্মারদের পুরষ্কার প্রদান এবং সকল অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। পরিশেষে, প্রাইম ব্যাংক পিএলসি এবং বিএফআইইউ জাতীয় আইন এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসী অর্থায়ন ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যাংকিং খাতের প্রস্তুতি আরও জোরদার করার জন্য এই ধরনের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Community Bank is assisting ICDDR B to prevent cervical cancer in female policemen

নারী পুলিশ সদস্যদের সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে আইসিডিডিআর,বি -কে সহায়তা দিচ্ছে কমিউনিটি ব্যাংক

নারী পুলিশ সদস্যদের সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে আইসিডিডিআর,বি -কে সহায়তা দিচ্ছে কমিউনিটি ব্যাংক

সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে নারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এইচপিভি টিকা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইসিডিডিআর,বি -কে সহায়তা দিচ্ছে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি।

‘নারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা প্রদান, সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রতিবন্ধকতা নিরসন’ শীর্ষক বিশেষ উদ্যোগে এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দেশের নারীদের অন্যতম বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে এই প্রকল্প নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রকল্পে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী সশস্ত্র পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এএফপিবি) মোট ১৮৮ জন নারী সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কিশোরী মেয়েদের জন্য চলমান কর্মসূচির বাইরে প্রাপ্তবয়স্ক কর্মজীবী নারীদের টিকা প্রদানের মধ্য দিয়ে এ উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ শূন্যতা পূরণ করবে।

আইসিডিডিআর,বি এর সহকারী বিজ্ঞানী ডা. রিজওয়ানা খানের নের্তৃত্বে সাত ধাপে এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। এতে নৈতিক অনুমোদন, প্রাথমিক জরিপ, সচেতনতা কর্মসূচি, টিকা প্রদান, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন এবং চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পাশাপাশি নারীদের মাসিক স্বাস্থ্যবিধি ও সামগ্রিক সুস্থতা সম্পর্কেও সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।

এ উপলক্ষে আইসিডিডিআর,বি -তে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কমিউনিটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রতীকী চেক হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ও কমিউনিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান জনাব বাহারুল আলম বিপিএম, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত এবং আইসিডিডিআর,বি -এর নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ও কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র চেয়ারম্যান জনাব বাহারুল আলম, বিপিএম বলেন: “আমাদের নারী পুলিশ সদস্যরা দেশের জন্য নিরলস কাজ করছেন। তাঁদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা আমাদের অগ্রাধিকার। আইসিডিডিআর,বি -এর সঙ্গে এই উদ্যোগ সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে একটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং কর্মক্ষেত্রভিত্তিক টিকা কার্যক্রমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।”

কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত বলেন, “এই গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উদ্যোগে আইসিডিডিআর,বি -এর পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। এটি কেবল শুরু; সামনের দিনে আমরা আরও অর্থবহ উদ্যোগে সহযোগিতা করে সমাজে দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব রাখতে চাই।”

ডা. তাহমিদ আহমেদ ব্যাংকটির অবদানের প্রশংসা করে বলেন, “কর্মক্ষেত্রভিত্তিক টিকা কার্যক্রম নিয়ে গবেষণা জাতীয় নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। এতে করে বাংলাদেশে আরও অনেক নারী সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা পাবেন।”

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Community Bank of Community Bank and Medbox Solutions Ltd

কমিউনিটি ব্যাংক ও মেডবক্স সল্যুশন লিমিটেডের সমঝোতা চুক্তি

ফার্মেসির জন্য এমবেডেড ফাইন্যান্স প্রোগ্রাম চালু
কমিউনিটি ব্যাংক ও মেডবক্স সল্যুশন লিমিটেডের সমঝোতা চুক্তি

কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এবং মেডবক্স সল্যুশন লিমিটেড এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে দেশের ফার্মেসিগুলোকে সহজে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল পাওয়ার সুযোগ দিতে এমবেডেড ফাইন্যান্স প্রোগ্রাম চালু করা হবে।

এক্সক্লুসিভ ফাইন্যান্সিং পার্টনার হিসেবে কমিউনিটি ব্যাংক দ্রুত ও তথ্য-ভিত্তিক ঋণ সুবিধা প্রদান করবে মেডবক্সের বিটুবি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে যুক্ত ফার্মেসি ব্যবসায়ীদের। ফলে প্রথাগত আর্থিক প্রতিবন্ধকতা দূর হয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়তা পাবে ফার্মেসিগুলো।
চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিমিয়া সাআদত বলেন, “এই অংশীদারিত্ব আমাদের জন্য একটি মাইলফলক। আমরা এমন একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করছি; যেখানে ফার্মেসিগুলো নির্ভরযোগ্য অর্থায়নের মাধ্যমে টেকসই সমাধান পাবে।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের, হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম; হেড অব এডিসি অ্যান্ড হেড অব এমডি’স কোঅর্ডিনেশন টিম মো. মামুন-উর রহমান। অন্যদিকে মেডবক্সের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কাজী আশিকুর রাসেল, আহমেদ আরফিন রাফি, মো. আমিনুর রশিদ, মো. নাজমুল আহসান এবং এইচ.এম আসিফ ইমতিয়াজ আলম।

আয়োজকেরা জানান, প্রথমে পাইলট প্রোগ্রামের মাধ্যমে উদ্যোগটি শুরু হবে। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে এই অংশীদারিত্ব।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Premier Bank Kalakopa branch transferred to new address

প্রিমিয়ার ব্যাংক কলাকোপা শাখা নতুন ঠিকানায় স্থানান্তরিত

প্রিমিয়ার ব্যাংক কলাকোপা শাখা নতুন ঠিকানায় স্থানান্তরিত

বৃহত্তর নতুন পরিসরে গ্রাহকদের সবচেয়ে আধুনিক এবং সর্বোত্তম সেবা প্রদানে সম্প্রতি দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি’র স্থানান্তরিত কলাকোপা শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে।

দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি’র স্বতন্ত্র পরিচালক ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান, মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানান্তরিত শাখার উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ আবুল হাশেম, এফসিএ, এফসিএমএ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও); সৈয়দ সাফকাত রাব্বি, ইভিপি ও প্রধান, জেনেরাল সার্ভিসেস ডিভিশন (জিএসডি) এবং মো. তারেক উদ্দিন, ইভিপি ও প্রধান, ব্র্যান্ড মার্কেটিং ও কমিউনিকেশনস ডিভিশন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মো. হামিদুল্লাহ, অধ্যাপক, ডি. এন. কলেজ, নওয়াবগঞ্জ, ঢাকা; মানবেন্দ্র দত্ত, সাবেক অধ্যক্ষ, সরকারি দোহার-নওয়াবগঞ্জ কলেজ; মো. আমির হোসেন, অ্যাডভোকেট এবং মায়ারানি বাউল, এআইপি পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষাণী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ব্যাংকের অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তা, শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন হওয়া স্থানান্তরিত কলাকোপা শাখায় (হক প্লাজা, কলেজ রোড, নবাবগঞ্জ বাজার, নবাবগঞ্জ, ঢাকায়) পুরোদমে ব্যাংকিং সেবা চালু হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Virgo in Autumn and Pooja Fashion New Collection of Festival of Sonali Ava

শরৎ ও পূজার ফ্যাশনে VIRGO – সোনালি আভায় উৎসবের নতুন কালেকশন

শরৎ ও পূজার ফ্যাশনে VIRGO – সোনালি আভায় উৎসবের নতুন কালেকশন

ফ্যাশন সবসময় পরিবর্তনশীল। সেই পরিবর্তনের সাথেই তাল মিলিয়ে ট্রেন্ডি ও ইউনিক কালেকশন নিয়ে আসে ‘ভারগো’। প্রতি সিজনেই ভারগো তার সেরা স্টাইল তুলে ধরে, আর এবারের শরৎ ও পূজার আয়োজনও তার ব্যতিক্রম নয়। আরাম ও স্টাইলের নিখুঁত সমন্বয়ে তৈরি এই কালেকশন আপনাকে করবে মুগ্ধ। উৎসবমুখর ও আভিজাত্যপূর্ণ স্টাইল সবসময়ই Virgo–র বিশেষত্ব। বিশেষ করে পূজা ও শরতের জন্য আনা কালেকশনগুলোতে পাওয়া যায় নরম, ঝলমলে ফ্যাব্রিক, সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারি স্ক্রিন প্রিন্ট , ডিজিটাল প্রিন্ট, সাবলিশন প্রিন্ট আর আধুনিক ডিজাইনের সমন্বয়। প্রতিটি পোশাক যেন একেকটি উৎসবের অনুপ্রেরণা। ২০২৫ সালের ফলের কালার প্যালেটেও আছে নানা চমক। যেমন—

  • থিম: Golden Aura (ফেস্টিভ গ্ল্যামার)
  • ব্র্যান্ড ইমপ্রেশন: উৎসবমুখর, উষ্ণ ও আমন্ত্রণমূলক।
  • ভিজ্যুয়াল ইন্সপিরেশন: সোনালি আলো, ঝলমলে কাপড়, সূক্ষ্ম নকশা, আভিজাত্যপূর্ণ লুক।
  • কালার টোন: ফেস্টিভ গোল্ড, রিচ মেরুন, জেম টোন, সফট গ্লিটার শেড।
  • স্টাইল: লাল, সাদা, মেরুন টোনে এমব্রয়ডারি টিউনিক, কুর্তা ও শার্ট; কটন-সিল্ক ব্লেন্ড ফ্যাব্রিক।

পুরুষদের জন্য পূজার ও শরতের আভিজাত্য

শরতের মৌসুমে স্টাইল আর আভিজাত্যের নিখুঁত সমন্বয় নিয়ে এসেছে আমাদের বিশেষ পুরুষদের কালেকশন। এখানে আছে এমন সব পোশাক, যা একদিকে আরামদায়ক আবার অন্যদিকে আপনার লুককে দেবে এক্সক্লুসিভ স্টেটমেন্ট।

স্টাইলিশ পাঞ্জাবি, ফর্মাল ও ক্যাজুয়াল শার্ট

উৎসবের দিনে পাঞ্জাবি থেকে শুরু করে অফিস বা আড্ডার জন্য ফর্মাল ও ক্যাজুয়াল শার্ট—সবই থাকছে নতুনত্বে ভরপুর ডিজাইনে।

প্রিমিয়াম ফেব্রিক কালেকশন

স্প্যানডেক্স, ব্যাম্বু কটন ও জ্যাকার্ড কাপড়ে তৈরি প্রতিটি পোশাক শুধু আরামদায়কই নয়, বরং স্টাইলেও আনে পরিপূর্ণতা। এছাড়া ইউনিক ফ্যাব্রিক কালেকশন যেটা শুধু ভারগোতেই পাওয়া যায়।

ট্রেন্ডি ডিজাইন

ফ্যাশনে যোগ হয়েছে বৈচিত্র্য—স্ট্রাইপ, চেক থেকে শুরু করে ফ্লোরাল শার্ট, যা আপনাকে দেবে আধুনিক ও ট্রেন্ডি লুক।

আরাম ও স্টাইল একসঙ্গে

ডে-টু-ডে স্টাইলের জন্য থাকছে সুইফট শার্ট, রিল্যাক্স প্যান্ট, টুইল প্যান্ট ও হাই-কোয়ালিটি ডেনিম। প্রতিটি পোশাক তৈরি হয়েছে এমনভাবে, যাতে আরাম ও আভিজাত্য একসঙ্গে উপভোগ করতে পারেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
NRBC Banks new DMD Mohammad Abdul Qayyum Khan

এনআরবিসি ব্যাংকের নতুন ডিএমডি মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খান

এনআরবিসি ব্যাংকের নতুন ডিএমডি মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খান

মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খান এনআরবিসি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) এবং চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) হিসেবে রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে যোগদান করেছেন। দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে তিনি দেশের ব্যাংকিংখাতে ডিজিটাল পণ্যের উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত সুশাসন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কমপ্লায়েন্স পরিপালন মডেল তৈরি, গ্রাহককেন্দ্রিক বিজনেস মডেল তৈরি, সেবার ডিজিটাল রুপান্তর, ডিজিটাল সেলস ও সার্ভিস নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে নেতৃত্বে দেন।

এনআরবিসি ব্যাংকে যোগদানের পূর্বে তিনি কমিউনিটি ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (সিআইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একজন নেটওয়ার্ক এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজার হিসেবে ২০০৫ সালে ব্র্যাক ব্যাংকে তাঁর ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। কাইয়ুম খান ব্যাংক এশিয়া এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে আইটি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এক্সিম ব্যাংকেও কাজ করেন।

নটরডেমিয়ান মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সে (ইইই) ইঞ্জিনিয়ারিং এ বিএসসি ডিগ্রি এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদ থেকে এমবিএ অর্জন করেন। পেশাগত জীবনে সেমিনার অংশগ্রহণ ও প্রশিক্ষণের জন্য তিনি আমেরিকা, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমন করেন।

মন্তব্য

p
উপরে