মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া দুই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধির আলোচনার মধ্যে টানা তৃতীয় মাস কোম্পানিটির শেয়ারে বিনিয়োগ বাড়াল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বরে কোম্পানিটির ৩৩ লাখেরও বেশি শেয়ার কিনেছে তারা।
সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৯.৫৯ শতাংশ ধরে রেখেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা, যা আগস্ট শেষে ছিল ৮.৭৪ শতাংশ।
তারও আগের মাসে জুলাই শেষে কোম্পানির মোট শেয়ারের ৮.৪৫ শতাংশ ছিল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে। অর্থাৎ দুই বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন নিয়ে ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা কাজ করলেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা অনেকটাই নির্ভার, যে কারণে তারা বিনিয়োগ বাড়িয়ে চলেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক শকিল রিজভী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সব সময় পুঁজিবাজারে সব দিকের খবর নিয়েই শেয়ার কিনেন আবার বিক্রি করেন। মুনাফা হতে পারে এমন যে কোনো কোম্পানিতে তারা বিনিয়োগ করতে পারে। এখানে দোষের কিছু নেই।
গত চার মাসে কেপিসিএলের শেয়ারের হিস্যার তথ্য।
‘আবার তাদের কাছে কোনো কোম্পানির সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকলেও বা আগামীতে ভালো করবে এমন সম্ভাবনা থাকলেও বিনিয়োগ করতে পারে।’
সব শেয়ার বিক্রি করে আবার কেনা শুরু
গত মে মাসে কোম্পানিটির দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর মে ও জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা প্রায় সব শেয়ার বিক্রি করে দেয়।
গত এপ্রিল শেষেও কোম্পানির মোট শেয়ারের ৯.২ শতাংশ ছিল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে। আর ০.৩০ শতাংশ ছিল বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে।
৩০ মে শেষে কোম্পানির শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমে দাঁড়ায় ১.৬৫ শতাংশ আর বিদেশি বিনিয়োগ কমে হয় ০.০২ শতাংশ।
জুন শেষে আরও কমে তাদের হিস্যা। ৩০ জুন শেষে কোম্পানির মোট শেয়ারের ০.৫২ শতাংশ থাকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে। আর মে শেষে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে যত শেয়ার ছিল, তার অর্ধেকও বিক্রি করে দেয়া হয়। তখন মোট শেয়ারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হিস্যা ছিল ০.০১ শতাংশ।
সে সময় কেপিসিএলের বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে শেয়ার দর কমে যায়। এক পর্যায়ে শেয়ার মূল্য ৩৫ টাকার ঘরে নেমে আসে।
তবে যে আইনে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অনুমোদন দেয়া হয়, সেই আইনের মেয়াদ আরও বেড়েছে ৫ বছর। এরপর সেপ্টেম্বরের শুরুতে শেয়ার দর আবার বাড়ে।
তবে জুলাইয়ে কেপিসিএলের মোট শেয়ারের ৮.৪৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ধারণ করে থাকে। আর বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকে ০.২১ শতাংশ।
৩৯৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিতে মোট শেয়ার সংখ্যা ৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৩ হাজার ১৭৯টি।
এই হিসাবে জুলাই মাসে ৩ কোটি ১৫ লাখ ১৪ হাজার ৮৬৫টি শেয়ার কিনেছে। আর বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কিনে ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৮২৬টি।
অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মিলিয়ে এই মাসে কিনেছে মোট ৩ কোটি ২৩ লাখ ৯ হাজার ৬৯১টি শেয়ার।
আগস্টে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আরও ১১ লাখ ৫২ হাজার ৪৯৮টি শেয়ার কেনে। ওই মাস শেষে কেপিসিএলের মোট শেয়ারের ৮.৭৪ শতাংশ শেয়ার থাকে তাদের হাতে।
সেপ্টেম্বর শেষে মোট শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিযোগকারীদের হিস্যা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৯.৫৯ শতাংশ। অর্থাৎ এই এক মাসে মোট শেয়ারের আরও ০.৮৫ শতাংশ শেয়ার কেনে তারা। অর্থাৎ এই মাসে তারা কিনেছে ৩৩ লাখ ৭৮ হাজার ১২টি শেয়ার।
সেপ্টেম্বর শেষে এই হিসাবটি প্রকাশ করেছে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ। তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এখনও এই হিসাব প্রকাশ করা হয়নি। এর আগের তিন মাসেও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জেই হিসাবটি আগে প্রকাশ করা হয়।
কেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধির চুক্তি কবে
ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে আইনের মেয়াদ গত ১৬ সেপ্টেম্বর ৫ বছর বাড়ানোর পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ধারণা ছড়িয়ে পড়ে যে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বেড়ে গেছে। পরে কেপিসিএল ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে বিনিয়োগারীদেরকে সাবধান করে যে, আইনের মেয়াদ বাড়া মানেই কেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধি নয়। এ নিয়ে আলোচনা চলছে।
আইনের মেয়াদ বৃদ্ধির পাঁচ দিন পর ২১ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চার কোম্পানির কর্মকর্তাদের মধ্যে চুক্তির শর্ত নিয়ে বৈঠক হয়। তবে সেই বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৈঠকে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে এ ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বিদ্যুৎ কেনার জন্য গ্যারান্টি চাওয়া হয়। তারা বলেছে, ক্যাপাসিটি চার্জ না থাকলে এই বিষয়ে আগে থেকে সিদ্ধান্ত না হলে তাদের পক্ষে কোম্পানি চালানো কঠিন।
বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি মূল্য বা ট্যারিফ হার নিয়েও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। ক্যাপাসিটি চার্জ না থাকায় ট্যারিফ বেশি চেয়েছে কোম্পানিগুলো।
এর এক সপ্তাহ পর ২৯ সেপ্টেম্বর চার বিদ্যুৎ কোম্পানির কর্মকর্তারা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবির চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন। পিডিবি প্রধান কোম্পানিগুলোর বক্তব্য শোনেন। তবে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি।
কেপিসিএল ছাড়াও আরও তিনটি কোম্পানির তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে আলোচনা চলছে। এর একটি কোম্পানি হলো সামিট পাওয়ার। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটি ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে এ বিষয়ে একটি বার্তা দিয়েছে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে তাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর আলোচনা চলছে। বিষয়টি সরকারের জোর বিবেচনায় আছে।
আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য