× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
This time the index also fell with the rise of bank insurance Robi
google_news print-icon

এবার ব্যাংক-বিমা, রবির উত্থানেও সূচকের পতন

এবার-ব্যাংক-বিমা-রবির-উত্থানেও-সূচকের-পতন
পুঁজিবাজারে তিন সপ্তাহ ধরে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। শেয়ার দরে উত্থান-পতনে কারণে পোর্টফোলিও হিসাব মেলাতে ব্যস্ত বিনিয়োগকারীরা।
দিন শেষে দর বেড়েছে ২১৮টি কোম্পানির, কমেছে ১১৭টির, দর ধরে রাখতে পেরেছে ৩৮টি। সূচক পড়েছে ৮ পয়েন্ট। আগের দিন ১১২টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দ্বিগুণেরও বেশি ২৩১টি কোম্পানির শেয়ার দর হারানোর পরও সূচক বেড়েছিল ১৯ পয়েন্ট। তারও আগের দিন ৭৫টি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ২৬৯টির দরপতনেও সূচক বেড়েছিল ৩ পয়েন্ট।

টানা দরপতনে থাকা ব্যাংক ও বিমা খাতের পাশাপাশি বহুজাতির কোম্পানি রবির শেয়ার দরে উত্থান হলো। টানা ১৮ কর্মদিবস পর বাড়ল বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর।

তবে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধনে যেসব কোম্পানির দর বৃদ্ধির কারণে সূচক বাড়ছিল, কমেছে তার বেশিরভাগের দর।

এতদিন বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমলেও বড় মূলধনি কয়েকটির দর বৃদ্ধির কারণে সূচকে পয়েন্ট যোগ হয়েছে। এবার ঘটল উল্টো চিত্র। যত কোম্পানির দর কমেছে, বেড়েছে তার দ্বিগুণেরও বেশি। তবে কমে গেছে সূচক।

দিন শেষে দর বেড়েছে ২১৮টি কোম্পানির, কমেছে ১১৭টির, দর ধরে রাখতে পেরেছে ৩৮টি। সূচক পড়েছে ৮ পয়েন্ট।

আগের দিন ১১২টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দ্বিগুণেরও বেশি ২৩১টি কোম্পানির শেয়ার দর হারানোর পরও সূচক বেড়েছিল ১৯ পয়েন্ট।

তারও আগের দিন ৭৫টি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ২৬৯টির দরপতনেও সূচক বেড়েছিল ৩ পয়েন্ট।

বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতনেও সূচক বাড়া আর বেশিরভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধিতেও সূচক কমার বিষয়টি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়ে গেছে। এটি কীভাবে হয়, সেটি বোঝার চেষ্টা করছেন তারা।

এবার ব্যাংক-বিমা, রবির উত্থানেও সূচকের পতন
বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দিনভর উঠানামা করেছে সূচক, শেষ বেলায় পড়েছে তা

পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, যেসব কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা বেশি, সেগুলোর দর বৃদ্ধি হলে সূচকে পয়েন্ট যোগ হয় বেশি। অন্যদিকে স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা কম হওয়ায় সেগুলোর দর বৃদ্ধি বা হ্রাসে সূচকে প্রভাব পড়ে কম। অন্যদিকে লোকসানি জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের দর যাই হোক না কেন, সূচকে এর কোনো প্রভাবই পড়ে না।

গত তিন সপ্তাহ ধরে বেশি দর কমেছে লোকসানি ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ার দর। অন্যদিকে বেক্সিমকো, লাফার্জ হোলসিম, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবানো কমিটি, ওরিয়ন ফার্মা, জিপিএইচ ইস্পাত, বেক্মিমকো ফার্মা, সাইফ পাওয়ারটেকের মতো বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ব্যাংক-বিমা, রবির শেয়ারধারীদের উদ্বেগ কিছুটা হলেও কাটল

এক বছরের বেশি সময় ধরে পুঁজিবাজারে যে অবিশ্বাস্য উত্থান, তাতে ব্যাংক খাতের শেয়ারদরে খুব একটা নড়চড় হয়েছে এমন নয়। তবে দর সংশোধনে এই খাতটিও বাদ যায় না। গত এক মাসে ৫ থেকে ১০ শতাংশ, ক্ষেত্রবিশেষে দর কমেছে মৌলভিত্তির এই কোম্পানিগুলোও। তবে সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার এই খাতটি ঘুরে না দাঁড়ালে সূচকের বড় পতনই হতে পারত।

এর মধ্যে দুটি বাংকের কথা উল্লেখ না করলেই নয়। গত এক মাসে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ারের সর্বোচ্চ দর ছিল ১৬ টাকা ৪০ পয়সা। সেখান থেকে কমে ১৫ টাকা ৪০ পয়সা হয়ে গিয়েছিল দিনের শুরুতে। সেখান থেকে এক টাকা বেড়ে লেনদেন শেষ হয়েছে ব্যাংকটির।

এবার ব্যাংক-বিমা, রবির উত্থানেও সূচকের পতন
সূচক সবচেয়ে বেশি বাড়িয়েছে এই ১০টি কোম্পানি

অন্যদিকে দর সংশোধনেও যমুনা ব্যাংকের শেয়ারদর পড়েনি। বরং এক মাস আগে দাম ছিল ২২ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম ৫০ পয়সা কমলেও দাম দাঁড়ায় ২৩ টাকা ৮০ পয়সা। আর পরের দিন বাড়ে ৭০ পয়সা। দাম দাঁড়ায় ২৪ টাকা ৫০ পয়সায়।

বিমা খাতের কথা না বললেই নয়। গত জুন থেকেই ক্রমাগতভাবে দর সংশোধনের মধ্যে থাকা এই খাতটিতে বিনিয়োগকারীরা গত তিন সপ্তাহে ব্যাপক লোকসানে আছেন। কিছুটা হলেও স্বস্তি তারা পাবেন দিনের লেনদেনে।

বহুজাতিক কোম্পানি রবি বিনিয়োগকারীদের আরেক হতাশার নাম। শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ও আয়ে পিছিয়ে থাকলেও কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত হওয়ার পর পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছিল শেয়ার মূল্য। ১০টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার এক পর্যায়ে ছাড়িয়ে যায় ৭৭ টাকা। পরে সেখান থেকে যে পতন শুরু হয়, তা আর থামছিল না।

তবে গত এক মাসে দাম যতটা কমেছিল, এক দিনেই ‍উঠে গেছে ততটা। ৪৩ টাকা থেকে পড়তে পড়তে বুধবার দাম দাঁড়ায় ৩৯ টাকা ২০ পয়সায়। সেখান থেকে দিনে দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে লেনদেন হয়েছে ৪৩ টাকা ১০ পয়সায়।

এবার ব্যাংক-বিমা, রবির উত্থানেও সূচকের পতন
সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল এই ১০টি কোম্পানির

সূচক পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল গত কয়েকদিন ধরে উত্থানে থাকা লাফার্জ হোলসিম, বেক্সিমকো লিমিটেড, আইসিবি, গ্রামীণ ফোন, ওরিয়ন ফার্মা, একমি ল্যাবরেটরিজ, বেক্সিমকো ফার্মা, মবিল যমুনা, বিএসআরএম লিমিটেড ও বিকন ফার্মা।

অন্যদিকে সূচকে একাই ১১ পয়েন্ট যোগ করেছে রবি। ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, ওয়ালটন, সামিট পাওয়ার, সিটি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, পাওয়ার গ্রিড ও বাংলাদেশ সাবমেরিন কোম্পানি সূচকে অল্প কিছু হলেও পয়েন্ট যোগ না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত।

দিনে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টে। মোট লেনদেনের প্রায় ১০ শতাংশ এই একটি কোম্পানিতেই হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ২৩৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মায় ১৩৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

সূচকে অবদানে এগিয়ে রবি, পিছিয়ে লাফার্জ

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার চার কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির মাধ্যমে সূচকে অংশগ্রহণ ছিল ১৫ শতাংশের বেশি। তারপরও শেয়ার বিক্রির চাপে নেতিয়ে যাওয়া সূচক বড় অবাদন রেখেছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড, যার সূচক পতনে অংশগ্রহণ ছিল ৩.৮ শতাংশ।

অন্যদিকে সূচকে শেয়ারের দর বৃদ্ধির মাধ্যমে সূচকে এককভাবে সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ ছিল টেলিকম খাতের রবির, ১১.৫৪ শতাংশ। তারপরই ছিল বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশ লিমিটেড, যার অংশগ্রহণ ছিল ১.৫৬ শতাংশ। ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের অংশগ্রহণ ছিল ১.৪৭ শতাংশ। সামিট পাওয়ারের অংশগ্রহণ ছিল ১.০৩ শতাং।

অন্যদিকে সূচকের পতনের মাধ্যমে সূচকের লাফার্জের পর সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩.৩২ শতাংশ। আইসিবির অংশগ্রহণ ছিল ১.৪৬ শতাংশ। টেলিকম খাতের আরেক কোম্পানি গ্রামীণফোনের শেয়ার দর কমায় সূচকে এর নেতিবাচক প্রভাব ছিল ১.০৭ শতাংশ। ওরিয়ন ফার্মার একইভাবে প্রভাব ছিল দশমিক ৭৪ শতাংশ।

অনেক দিন পর ব্যাংক-বিমার এক দিন

ঝিমিয়ে থাকা ব্যাংক খাতের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের দিন শেয়ারর দরের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনও বেড়েছে।

আগের দিন ব্যাংক খাতে মোট লেনদেন হয়েছিল ১০৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। সেটি বেড়ে হয়েছে ১৪৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৭টির, কমেছে ৩টির, পাল্টায়নি ২টির।

ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে রূপালী ব্যাংকের ৬.১৬ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫.১৬ শতাংশ বেড়েছে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার দর। এছাড়া সিটি ব্যাংকের দর ৪.৭৪ শতাংশ, যমুনা ব্যাংকের দর ৪.২০ শতাংশ, এমটিবির দর ৩.০৪ শতাংশ বেড়েছে।

এবার ব্যাংক-বিমা, রবির উত্থানেও সূচকের পতন
বৃহস্পতিবার যে ছয়টি খাতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে

দর পতনের দিক দিয়ে এগিয়ে ছিল আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, যার দর কমেছে ৫.৫৫ শতাংশ। ট্রাস্ট ব্যাংকের দর কমেছে ১.১৫ শতাংশ।

লেনদেন কমেছে বিমা খাতে। এই খাতে হাতবদল হয়েছে একইভাবে ৯৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ১১৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

লেনদেনে ৪৩টি বিমা কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ছয়টির। একটির লেনদেন ছিল স্থগিত, একটির দর আগের মতোই আছে।

লেনদেনে বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের দর, ৮.১১ শতাংশ। তারপরই আছে জনতা ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৫.৩৯ শতাংশ।

দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে সর্বোচ্চ ৫.২২ শতাংশ থেকে ৪.৭৬ শতাংশ।

করপোরেট ডিক্লারেশনের পর মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্সের শেয়ার লেনদেন বুধবার বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ১৭.৮০ শতাংশ।

তবে স্বাভাবিক অবস্থায় এদিন শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি কমেছে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ৪.০২ শতাংশ। স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ৩.৬২ শতাংশ।

দরপতন ও বৃদ্ধি-দুই তালিকাতেই আছে স্বল্পমূলধনি কোম্পানি

দিনের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে লোকসানি শ্যামপুর সুগার মিলের। খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের ‘জেড‘ ক্যাটাগরির এই কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৫৪ শতাংশ। এদিন এর চেয়ে বেশি দর বাড়া সম্ভব ছিল না কোম্পানিটির।

আরেক লোকাসানি সাফকো স্পিনিং মিলসের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৬৬ শতাংশ।

মুনাফায় থাকা স্বল্প মূলধনি এএমসিএল প্রাণের শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৮৩ শতাংশ।

চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে পুঁজিবাজারে দুর্বল লোকসানি ও স্বল্পমূলধনি কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের বাড়তি আগ্রহ দেখা যায়। যার ফলে এ ধরনের কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ে অস্বাভাবিক হারে। দর বৃদ্ধি পাওয়া এমন কোম্পানির বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর এখন তলানিতে।

দর পতনের শীর্ষে থাকা এইচআর টেক্সটাইলও স্বল্প মূলধনি কোম্পানি। এর দর কমেছে ৭.৯৫ শতাংশ। আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলসের দর কমেছে ৬.৭২ শতাংশ। দেশ গার্মেন্টসের দর কমেছে ৬.২৭ শতাংশ।

এছাড়া এ তালিকায় ছিল জেমিনি সি ফুড, এপেক্স ফুডস, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসও।

অন্যান্য খাতে লেনদেন

খাতভিত্তিক সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের। এদিন এ খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৪৩৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৫০ কোটি ৮১ লাখ টাকা। লেনদেন ১৬টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। ১৩টির দর কমেছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে মোট ৩৮৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আগের দিন এই খাতে হাতবদল হয়েছিল ৩৯৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

এই খাতে ১২টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ১১টির দর।

প্রকৌশল খাতে হাতবদল হয়েছে ৩০১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৩৩৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার। এই খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৬টি দর বেড়েছে, কমেছে ১৫টির।

এবার ব্যাংক-বিমা, রবির উত্থানেও সূচকের পতন
বেক্সিমকোর দরপতনের দিন লেনদেন কমেছে বিবিধ খাতেও

বস্ত্র খাতে লেনদেন হয়েছে ২৮৬ কোটি ৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২৬টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ২৬টির, কমেছে ২৫টির দর। অপরিবর্তিত ছিল বাকি সাতটর দর।

আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ২৫৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সেদিন ১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছিল ৩৯টি কোম্পানির শেয়ার দর।

সিমেন্ট খাতে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। এই খাতের সাতটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে তিনটির। বিনিয়োগ হয়েছে মোট ২৫২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

আর্থিক খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১১টির, কমেছে ৬টির। পাঁচটির দর ছিল অপরিবর্তিত।

লেনদেন হয়েছে ১৩৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৮৭ কোটি ৮০ কোটি টাকা।

বিবিধি খাতের আটটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ছয়টির। লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২০৪ কোটি ৯ লাখ টাকা।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ১৩টি, বেড়েছে ৭টির দর। লেনদেন হয়েছে মোট ৪৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে সাতটির, কমেছে ২টির আর দুটির দর ছিল অপরিবর্তিত। হাতবদল হয়েছে ৪৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৪১ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডে লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় কিছুটা কেমেছে। ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫টির, কমেছে ৪ টির। বাকি ১৭টি ফান্ডের দর পাল্টায়নি।

এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ১৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

সূচক ও লেনদেন

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮ দশমিক ০৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৪২ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট।

শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৪ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৯৫ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২০ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৬৭ দশমিক ৮১ পয়েন্ট।

দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
বেক্সিমকোর সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র আগামী বছরের মাঝামাঝি
দ্বিগুণের বেশি শেয়ারের দরপতনে আবার বাড়ল সূচক
সরকারি জ্বালানি কোম্পানির শেয়ারে জোয়ার
পুঁজিবাজারে এখনকার উত্থান-পতন স্বাভাবিক: সালমান
বিনিয়োগের আগে পর্যালোচনা জরুরি: শিবলী রুবাইয়াত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market With the fall of transactions in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market Most companies have decreased major collapse in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Transaction in Dhaka is going on in Chittagong

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।

দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

মন্তব্য

p
উপরে