× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
A League politics is getting lost GM Quader
google_news print-icon

আ.লীগের রাজনীতি হারিয়ে যাচ্ছে: জিএম কাদের

আলীগের-রাজনীতি-হারিয়ে-যাচ্ছে-জিএম-কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি সম্প্রতি আরেকটি জিনিস খেয়াল করছি যে, আস্তে আস্তে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে বা নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। শুধু সরকারি দল ও তাদের বিদ্রোহীরাই এখন নির্বাচনের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সাধারণ মানুষকে মাঠে নামতে দেয়া হচ্ছে না।’

গোলাম মোহাম্মদ কাদের যিনি জিএম কাদের নামে অধিক পরিচিত। বর্তমান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতাও।

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর দলের হাল ধরেন ২০১৯ সালে। দল ও দেশের বর্তমান রাজনীতি নিয়ে তিনি সম্প্রতি একান্ত সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন নিউজবাংলার সঙ্গে।

সংসদে আপনারা এখন প্রধান বিরোধী দল। দেশের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টির যে অবস্থান তাতে কি আপনি খুশি?

হ্যাঁ, খুশি। খুশি না হওয়ার মতো কোনো অবস্থা ঘটেনি। রাজনীতি করলে চড়াই-উতরাই থাকবেই। একে স্বাভাবিক হিসেবেই ধরে নিতে হবে।

রাজনীতি সব সময় সরল অনুপাতে চলে না। রাজনীতিকে কুসুমাস্তীর্ণ পথ ভাবারও অবকাশ নেই। রাজনীতিতে নীতি যেমন আছে, অপরাজনীতি আছে, দুর্নীতি আছে, সংঘাত আছে, ষড়যন্ত্র আছে। রাজনীতিতে সব ধরনের এলিমেন্টন্স নিয়েই রাজনীতি। এ বিষয়টিকে গ্রহণ করেই আমাদের রাজনীতি করতে হয়।

আপনি একাধিকবার বিভিন্ন সভায় জাতীয় পার্টিকে সত্যিকারের বিরোধী দল হওয়ার কথা বলেছেন। হতে পেরেছেন কি?

সংবিধান অনুযায়ী সত্যিকার অর্থে সংসদ, যেটাকে বিরোধী দলের প্রধান চারণভূমি বলা যায়, সে জিনিসটির অভাব আছে। আমার বিশ্লেষণ অনুযায়ী সংবিধানে যে শাসনব্যবস্থার কথা বলা আছে, সেটিকে সংসদীয় গণতন্ত্র বলা যায় না। গণতন্ত্রও বলা যায় কি না, তা নিয়েও আমার সন্দেহ আছে।

সংবিধান অনুযায়ী গণতন্ত্রের চর্চার অবকাশ শূন্যের পর্যায়ে বলা যায়। বিরোধী দল হিসেবে আমরা জনসমক্ষে কিছু সমস্যা তুলে ধরা, জনগণের কথা বলা… সেটি বলি। সরকারের শোনা-না শোনা তাদের নিজস্ব বিষয়। সরকারের কোনো জবাবদিহি করার সুযোগ কিংবা সুবিধা সংসদে নেই।

ফলে প্রকৃত আর অপ্রকৃত যেই হোক, যখনই যে ছিল, যেভাবেই ছিল তারা কেউই কার্যকরভাবে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে পারেনি। আমরা এর মাঝখান থেকে যতটুকু সম্ভব সেভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সংসদের বাইরে বিরোধীদের আন্দোলন গড়ে তোলার বিষয়টিও এখন একটু সমস্যা হয়ে গেছে। ২০১৩-১৪ সালের পর এমন একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে সাধারণ মানুষ মনে করছে, আন্দোলন খারাপ জিনিস। এতে সাধারণ মানুষের লাভের কোনো কিছু হয় না।

১৩-১৪ সালের পর থেকে মোটামুটিভাবে এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, এখানে দেশ অচল হয়ে গেলেও সরকার পতন হবে না। ফলে সংসদের বাইরে যেটাকে বিরোধীদলীয় রাজনীতি বলার চেষ্টা করা হয়, সেই রাজনীতির পরিবেশও অবর্তমান।

আপনি দলকে বারবার শক্তিশালী করার কথা বলছেন। কিন্তু উপনির্বাচনসহ কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দেখা গেল, আপনার প্রার্থীরা রণেভঙ্গ দিচ্ছেন।

সব ক্ষেত্রে সরে দাঁড়ায়নি। এ ক্ষেত্রে দলের কৌশল হলো- যুদ্ধের ময়দানে থাকতে হবে, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে হবে। জয়-পরাজয় আল্লাহর হাতে। যে জিনিসটি হয়েছে, যারা সরে দাঁড়িয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তাদের ওপর নানা ধরনের সন্ত্রাস থেকে শুরু করে চাপ এবং অন্যান্য লোভ-লালসা দেখিয়ে তাদের নির্বাচনের মাঠ থেকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ জন্য তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন।

শেষ পর্যন্ত টিকে গেলে অনেক ক্ষেত্রে মামলাও দেয়া হচ্ছে। তাদের বাড়িঘরে, আত্মীয়স্বজনের ওপরে, সমর্থকদের ওপরে সশস্ত্র আক্রমণ করা হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা এ রকমও অভিযোগ পেয়েছি যে, প্রশাসনও তাদের সঙ্গে জড়িত ছিল।

সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মনে করি যে, নির্বাচনের যে ফলাফল ও পরিস্থিতি সেটা সত্যিকার অর্থে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হচ্ছে না।

নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের যে ভূমিকা পালন করার কথা ছিল, সেই ভূমিকা আমরা দেখছি না, দৃশ্যমান নয়। ফলে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখছি না, এবং জনগণ, রাজনৈতিক দলগুলো হতাশ হয়ে পড়ছে।

আমি সম্প্রতি আকেটি জিনিস খেয়াল করছি যে, আস্তে আস্তে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে বা নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। শুধু সরকারি দল ও তাদের বিদ্রোহীরাই এখন নির্বাচনের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সাধারণ মানুষকে মাঠে নামতে দেয়া হচ্ছে না।

যদি মানুষ আগে থেকে ধরে নেয় যে এ নির্বাচনে তার সমর্থন কোনো ভূমিকা রাখবে না, সেখানে নির্বাচনে যাওয়ার উৎসাহ মানুষ হারিয়ে ফেলে।

যারা ভোটার তারা ভোট দেয়ারও উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। ফলে একদিকে রাজনৈতিক দলগুলো নেতা-কর্মী হারাচ্ছে, তাদের সংগঠন তৈরি করতে অসুবিধা হচ্ছে।

এতে করে আওয়ামী লীগসহ দেশের রাজনীতির সব দল রাজনীতির বাইরে চলে যাচ্ছে। আমি মনে করি যে, একপর্যায়ে এসে তারা একটা সাইনবোর্ডসর্বস্ব, নিবন্ধনসর্বস্ব, নেতাসর্বস্ব অস্তিত্ব নিয়ে দাঁড়াবে।

এ ক্ষেত্রে উত্তরণের উপায় কী বলে মনে করেন?

সেটা খুব সহজ নয়। সংবিধান অনুযায়ী আমরা যদি আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে পারি, সংবিধানের ১২৬ ধারা অনুযায়ী প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে উনাদের কর্তৃত্ব নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে একটা সমাধান হয়।

সরকারের বাইরে, সরকারের নির্দেশের বিরুদ্ধে হলেও তাদের সেটা শুনতে হবে। এটা আমাদের সংবিধানের বিধানে আছে। ফলে উনারা অনেকটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে একটা বডি হবেন। এ ধরনের যদি পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যায়, তাহলেই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।

এর বাইরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা শুধু সরকার পরিবর্তনের একটি ব্যবস্থা। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন দীর্ঘদিন দিতে পারে না। আমি মনে করি এই ব্যবস্থাটি অকার্যকর।

আপনি বলেছেন, আপনারা সব নির্বাচনে অংশ নেবেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু কোথাও তো ভালো ফলাফল দেখা যাচ্ছে না। এমনকি জাতীয় পার্টির দুর্গ বলা হতো যে এলাকা রংপুর, কুড়িগ্রামেও ভালো ফলাফল আসছে না। তাহলে কি দল ক্ষয়িষ্ণু হচ্ছে?

এটা বলার আগে বলতে হবে, নির্বাচন কি অবাধ-সুষ্ঠু হচ্ছে? জনগণের মতামতের প্রতিফলন হচ্ছে? যদি তাই হয় তাহলে আমরা ক্ষয়িষ্ণু হচ্ছি। আর এই মতামতের সঙ্গে যদি আপনি দ্বিমত প্রকাশ করেন তাহলে ক্ষয়িষ্ণু হচ্ছি না।

নির্বাচনব্যবস্থা যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তাহলেই প্রকৃতভাবে আমাদের অবস্থানটা আমরা জানতে পারব, জনগণও জানতে পারবে। তবে আমরা মনে করি, আমাদের অবস্থান কোথাও খারাপ হয়নি।

আপনি বলেছেন, জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করতে আপনার দল কি করেছে? ভবিষ্যতে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?

জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলেছি, তার দুটি কারণ। একটি হলো এখন যে রাজনীতিতে স্থবিরতা, বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া চলছে, তাতে বড় বড় অনেক নেতা, নামীদামি মানুষ রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারছেন না।

আমরা ৯০-এর পর থেকে প্রায় ৩১ বছর ক্ষমতার বাইরে। এরশাদ সাহেবের মতো একজন টাওয়ারিং পারসোনালিটি, যার ভাবমূর্তি দেশে ও বিদেশে, সব কিছু মিলিয়ে তার অবদান, সারা দেশের মানুষ তাকে গ্রহণ করেছিল।

উনার অবর্তমানে এই দলটি টিকে থাকবে কি না, উনার সমকক্ষ কোনো নেতৃত্ব আসবে কি না, এমন সন্দেহ স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু দেখা গেল সব দল তলিয়ে গেলেও এখন ৩টি দল মাঠপর্যায়ে আছে। তার মধ্যে জাতীয় পার্টি একটি।

যদিও জাতীয় পার্টিকে তিন নম্বর বলা যায়। এক কিংবা দুইয়ের ম্ধ্যে আমরা এখনও আসতে পারিনি। এখন মানুষের আমাদের ওপর সেই বিশ্বাস আছে।

আগামী নির্বাচনে কি আবার আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টি জোট হচ্ছে, না আপনারা এককভাবে নির্বাচন করবেন?

নির্বাচনের এখনও দুই বছরের বেশি সময় আছে। নির্বাচনের আগে দেশের রাজনীতিতে অনেক মেরুকরণ হতে পারে। সুতরাং দুই বছর পর পরিস্থিতি কী হয় এখনও নিশ্চিত হতে পারছি না। তখনই আমরা হয়তো সিদ্ধান্ত নেব।

তবে তাত্ত্বিক কথা বলি, সেটা হলো- দল হিসেবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি তিনটি দলই মধ্যপন্থি। আওয়ামী লীগ মধ্যপন্থি হলেও ওনাদের বামপন্থিদের সঙ্গে মিত্র হওয়ার একটা ঐতিহ্য আছে। সে জন্য ওনাদের মধ্য বাম ঘেঁষা মধ্যপন্থি দল বলা হয়।

বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি ডান ঘেঁষা মধ্যপন্থী দল। বিএনপি ও জাতীয় পার্টি তৈরিই হয়েছে আওয়ামী লীগের কাউন্টারে। ফলে যেটা দাঁড়িয়েছে, সেটা হলো আমাদের ও বিএনপির সমর্থক গোষ্ঠী কিংবা ভোটব্যাংক প্রায় একই কোয়ালিটির।

আমরা একসঙ্গে হলে খুব বড় শক্তি। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়, জাতীয় পার্টির অস্থিত্ব নিয়ে সংকট দেখা দিতে পারে, যেহেতু একই ধরনের মানসিকতা, আদর্শ নিয়ে দল করা হচ্ছে।

যে নেতৃত্ব সেখানে শক্তিশালী হবে, সে নেতৃত্বও দলের পুরো অংশকে নিয়ে নিতে পারে, দলের স্বকীয়তা হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আর আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট হলে আমাদের স্বকীয়তা বজায় রাখা সুবিধাজনক হয়। আর আওয়ামী লীগেরও একটা স্বার্থ থাকে। এ দুটি সমীকরণ আমাদের অতীত রাজনীতিতে কাজ করেছে। সামনে কী হবে এটা-সেটা আমি বলতে পারছি না।

বিএনপি তো আবার আন্দোলনে যাবার কথা বলছে। এই অবস্থায় আপনি কি আবার ২০১৩-১৪ সালের মতো সহিংস পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখছেন? প্রধান বিরোধী দলের শীর্ষ নেতা হিসেবে সরকারের প্রতি কী পরামর্শ থাকবে আপনার?

বিএনপি তো অনেক দিন থেকে প্রোগ্রাম দিতে চাচ্ছে, চেষ্টা করছে। এখন যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে গেছে, রাষ্ট্রযন্ত্রগুলোকে যেভাবে তৈরি করা হয়েছে, সেখানে খুব সহজ হবে না, এটা বলতে পারি আমি।

তারা আন্দোলন করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পারবে, পরবর্তীকালে সুবিধা পাবে- এমন সম্ভাবনা আমি কম দেখি। একেবারে শূন্য বলব না, তবে সম্ভাবনা কম।

সরকারের প্রতি পরামর্শ হলো- আমরা মনে করি, যেকোনো জায়গায় চরমপন্থা তখনই জয়লাভ করে যখন মানুষের মধ্যে হতাশার জায়গা বেশি থাকে। সাধারণ মানুষ যখন সাধারণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলতে গিয়ে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হয়, হতাশাগ্রস্ত হয়, এই হতাশাটাই একপর্যায় এসে তারা চরমপন্থি হয় বা চরমপন্থিদের সমর্থক হয়।

বাংলাদেশে চরমপন্থার উত্থান স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বামদের দ্বারা হয়েছিল। এখন আবার জামায়াত-হেফাজত মিলে একটি ডানপন্থি চরমপন্থার আশঙ্কা দেখা দেয়।

ভবিষ্যতে যদি এই সরকার এর সমাধান না করে তাহলে চরমপন্থার উত্থান হতে পারে। যেটা দেশের কারও জন্যই মঙ্গলজনক হবে না।

আমরা মনে করি, যদি মানুষের মধ্যে হতাশা থাকে তা থেকে তাদের মুক্তি দিতে হবে। না হলে দেশ চরমপন্থার দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন:
করোনায় জাপা মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলুর মৃত্যু
জাতীয় পার্টির ভবিষ্যত উজ্জ্বল: জি এম কাদের
ভোট থেকে সরলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি জি এম কাদেরের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
In Sylhet polls BNP is ignoring the instructions of the center
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

সিলেটে ভোটে থাকছে ‘বিএনপি’, কেন্দ্রের নির্দেশ উপেক্ষা

সিলেটে ভোটে থাকছে ‘বিএনপি’, কেন্দ্রের নির্দেশ উপেক্ষা
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিলেট বিভাগের ১১টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে অন্তত চারটি উপজেলায় বিএনপির ১৩ জন নেতা প্রার্থী হওয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জাতীয় সংসদের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তবে দলের হাইকমান্ডের এই সিদ্ধান্ত মানছেন না তৃণমূলের নেতারা। সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন দলটির নেতারা। ফলে অনানুষ্ঠানিকভাবে সিলেটে উপজেলার ভোটে থাকছে বিএনপিও।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিলেট বিভাগের ১১টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে অন্তত চারটি উপজেলায় বিএনপির ১৩ জন নেতা প্রার্থী হওয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের মধ্যে সাতজনই সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া সুনামগঞ্জের শাল্লায় তিনজন ও দিরাইয়ে দুজন এবং মৌলভীবাজারের বড়লেখায় একজন প্রার্থী রয়েছেন।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা বুধবার যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেছেন। বিভাগের মধ্যে একমাত্র হবিগঞ্জ জেলায় বিএনপির কোনো নেতা প্রার্থী হননি।

জেলা বিএনপি নেতারা বলছেন, নির্বাচন বর্জনের দলীয় সিদ্ধান্ত প্রার্থী হওয়া নেতাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সিলেট বিভাগের চার জেলার মধ্যে সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ; সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা; মৌলভীবাজারের জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখা এবং হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলায় প্রথম ধাপে নির্বাচন হচ্ছে। এই ১১ উপজেলায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ এপ্রিল। আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

সিলেটের বিশ্বনাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বিএনপির ৭ নেতার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী হয়েছেন।

বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির যে চার নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সুহেল আহমদ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গৌছ খান, তার চাচাতো ভাই যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন।

তাদের মধ্যে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সুহেল আহমদ চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সেই বহিষ্কারাদেশ এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. কাওছার খান ও খাজাঞ্চি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব সরকার।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম স্বপ্না শাহিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া বলেন, ‘এলাকার মানুষের চাওয়ার কারণে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীও নির্বাচনে অংশ নিতে বলেছেন। তাদের দাবি- যেহেতু বিএনপি নেতাকর্মীরা নির্বাচনে ভোট দেবে, সেহেতু নিজেদের একজনকে দিতে পারে। সেই দাবি থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ব্যাপারে দল কোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে পারে। আমার কিছু করার থাকবে না।’

অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গৌছ খান বলেন, ‘নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখনও অনেক সময় বাকি আছে। আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে।’

তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো আলোচনার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নেয়ার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে। এর বাইরে গিয়ে কেউ অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সুনামগঞ্জোর শাল্লা উপজেলা বিএনপির সভাপতি গণেশ চন্দ্র দাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. সাইফুর রহমান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবদুল মজিদ প্রার্থী হয়েছেন।

এ ছাড়া দিরাই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাপ মিয়া। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি ছবি চৌধুরী প্রার্থী হয়েছেন।

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রাহেনা বেগম হাছনা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের কাউকে প্রার্থী না হওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। কেউ এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
তৃতীয় ধাপের উপজেলা ভোটেও আপিল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক ফ্লেভার নেই: ইসি আলমগীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The appeal authority for the third phase of upazila polls is the District Commissioner

তৃতীয় ধাপের উপজেলা ভোটেও আপিল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক

তৃতীয় ধাপের উপজেলা ভোটেও আপিল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক
প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপের ভোটেও আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ করা হয়েছে। ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটেও আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসককে নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপের ভোটেও আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ করা হয়েছে।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

তফসিল অনুযায়ী, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে ও মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে, আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোটগ্রহণ হবে ২৯ মে। েই ধাপে ৪৭টি জেলার ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে।

তৃতীয় ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে৷ রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল এবং আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যেসব উপজেলায় ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের শেষ সময় ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ২৩ এপ্রিল। আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক ফ্লেভার নেই: ইসি আলমগীর
দল থেকে শোকজ পেয়েছেন সিংড়ার রুবেল
বিজেপির হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনার মধ্যে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট শুরু
উপজেলায় মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের প্রার্থিতা চায় না আওয়ামী লীগ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami ruling group has become increasingly violent Fakhrul

আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী আরও তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে: ফখরুল

আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী আরও তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে: ফখরুল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মিথ্যাচার, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অপকৌশলের মাধ্যমে অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ গণতন্ত্রমনা বিরোধী দল, ভিন্ন মত-পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে।’

আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী ৭ই জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে এখন আরও তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘মিথ্যাচার, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অপকৌশলের মাধ্যমে অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ গণতন্ত্রমনা বিরোধী দল, ভিন্ন মত-পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় সাজা প্রদানসহ জামিন নামঞ্জুর করে বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে দখলদার আওয়ামী সরকার দেশে নব্য বাকশালী শাসন কায়েম করেছে।

‘বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা আওয়ামী জুলুমের আরেকটি বর্ধিত প্রকাশ।’

তিনি বলেন, ‘সারাদেশে প্রতিনিয়ত সরকারের মদদে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে সাজা প্রদানসহ জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণ করার ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজের সাজা বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’

আরও পড়ুন:
দেশের সীমান্ত আজ অরক্ষিত: ফখরুল
জনগণের অধিকার আদায়ের জন্যই আন্দোলন: ফখরুল
ছাত্রলীগ জোর করে বিশ্ববিদ্যালয় দখলের চেষ্টা করছে: ফখরুল
দমন-নির্যাতন ছাড়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না: ফখরুল
ফ্যাসিস্ট নয়, বাংলাদেশ বর্ণবাদীদের কবলে পড়েছে: ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Local government elections have no political flavor EC Alamgir

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক ফ্লেভার নেই: ইসি আলমগীর

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক ফ্লেভার নেই: ইসি আলমগীর শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হলরুমে হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলার প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। ছবি: নিউজবাংলা
নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচনে কার কোন আত্মীয় অংশ নিল বা কে অংশ নিল না- সেটা আমাদের বিষয় নয়; সেটা রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক বিষয়।’

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক নির্বাচন নয়। কারণ বর্তমান সরকার দলীয় রাজনৈতিক দল স্থানীয় সরাকর নির্বাচনকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। কাজেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক কোনো ফ্লেভার নেই।

তিনি বলেছেন, তারপরও যাতে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে যে কেউ নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন, সেটার অপশনও রাখা হয়েছে, অর্থাৎ ভোট ফ্লেক্সিবল করা হয়েছে। ইচ্ছে করলে স্বাধীনভাবে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন; রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই। আবার চাইলে অনেকে রাজনৈতিক পরিচয়েও নির্বাচন করতে পারবেন, তাতেও কোনো সমস্যা নেই।

শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হলরুমে হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলার প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির উদ্দেশে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও তাদের অনেক সমর্থক-প্রার্থী আনঅফিশিয়ালি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। সুতরাং এটা বলার সুযোগ নেই যে, নির্বাচন অংশগ্রহণ মুলক নির্বাচন হচ্ছে না।’

ইসি আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে এবং কোনোমতেই যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি না হয়। অন্যায়ভাবে কেউ যাতে কোনো প্রার্থীকে প্রচারে ও ভোটদানে বাধা দিতে না পারে। সবাই যাতে সমানভাবে নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা করতে পারে এবং ভোটরা যাতে স্বাধীনভাবে তার ভোট দিতে পারে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে।’

নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কার কোন আত্মীয় অংশ নিল বা কে অংশ নিল না- সেটা আমাদের বিষয় নয়; সেটা রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক বিষয়, কিন্তু আমাদের নির্বাচনি আইনে যদি কোনো ব্যক্তি ওই এলাকার ভোটার হয় এবং তার বিরুদ্ধে যদি কোনো আইনি ঝামেলা না থাকে, তাহলে তিনি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন। আমাদের আইনে আত্মীয়তার সঙ্গে কোনো সর্ম্পক নেই।’

এ সময় জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তরিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সুজন সরকার ও জেলা নির্বাচন অফিসার আমিনুর রহমান মিঞাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ
উপজেলা নির্বাচনে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ২০ এপ্রিলের পর
পরবর্তী কমিশনের জন্য সুপারিশ রেখে যাবে ইসি
প্রার্থী যত প্রভাবশালীই হোক, শতভাগ আইন-কানুন মানতে হবে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Singras ruble received grief from the team
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ‘অপহরণ ও মারধর’

দল থেকে শোকজ পেয়েছেন সিংড়ার রুবেল

দল থেকে শোকজ পেয়েছেন সিংড়ার রুবেল সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব‌ রুবেল। ছবি: সংগৃহীত
এর আগে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও লুৎফুল হাবীব রুবেলকে শোকজ করা হয়েছে।

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব রুবেলকে কারণ দর্শোনোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস স্বাক্ষরিত চিঠিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ ইস্যু করা হয়।

নোটিশে বলা হয়, ‘গত ১৫ এপ্রিল নাটোর জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশার মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা প্রদান, মারপিট ও অপহরণের ঘটনা যা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয় এবং উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি সুমনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আপনার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, যা দলীয় আচরণবিধি পরিপন্থির সামিল।

‘এমতাবস্থায় কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার জবাব আগামী ৩ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

ওই সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় দলীয় তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই তাকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাবের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সোমবার বিকেলে সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশা অনলাইনে আবেদনের পর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের প্রতিলিপি জমা দিতে আসেন। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে আবারও বেধড়ক মারধর করে বাড়ির সামনে ফেলে যায়। সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।

এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনের পরিবার লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করে আসছে। ইতোমধ্যে তাদের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সুমন নামের এক আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন যে, লুৎফুল হাবীব রুবেলের পক্ষ নিয়েই সুমনসহ অন্য আসামিরা দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ ও মারধর করেছেন।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় রুবেলকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

লুৎফুল হাবীব‌ রুবেল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে তার। তিনি প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক।

আরও পড়ুন:
সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে সেই প্রার্থীকে ইসিতে তলব
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP leaders speech is like a circus Foreign Minister

বিএনপি নেতাদের বক্তব্য সার্কাসের মতো: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনপি নেতাদের বক্তব্য সার্কাসের মতো: পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: নিউজবাংলা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিচলিত হননি, বরং আরো দৃপ্ত পদভারে জনগণের সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়েছেন, দেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদা ও সম্মানের আসনে আসীন করেছেন।

বিএনপির নেতাদের বক্তব্য সার্কাসের মতো মনে হয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-পিআইবির মহাপরিচালক একুশে পদকে ভূষিত সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ গ্রন্থিত ‘ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি আবার বিদেশি দূতাবাসে ধরনা দিচ্ছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, যে কোনো কিছুতেই বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়া বিএনপির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দুর্বলতা। বাংলাদেশে ক্ষমতার উৎস জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশিদের কাছে গেলে বিদেশিরা তো বিএনপিকে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী। জনগণই ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। ফলে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য সার্কাসের মতো মনে হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিচলিত হননি, বরং আরো দৃপ্ত পদভারে জনগণের সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়েছেন, দেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদা ও সম্মানের আসনে আসীন করেছেন।

তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব বর্তমান বিশ্বে বিরল। তিনি শুধু দেশেরই নন, তিনি আজ বিশ্বনেতা। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, শেখ হাসিনা শুধু তারই নন, তার সন্তানদেরও প্রেরণা। ভারতের প্রিয়াঙ্কা গান্ধী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে ধরে তাকে নিজের প্রেরণা বলে উল্লেখ করেছেন। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, আরব বিশ্বে একজন শেখ হাসিনা থাকলে হয়তো গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করা যেতো।

হাছান বলেন, শুধু তাই নয়, যে কোনো বিশ্বসভায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যোগ দিলে তিনিই মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন।

মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি

এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ২৮৫ জন সদস্যকে মিয়ানমারের জাহাজে নৌপথে ফেরত যাওয়ার ক্লিয়ারেন্স দেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, ২২ এপ্রিল জাহাজে তাদের ফেরত নিতে সম্মত মিয়ানমার। এ ছাড়া মিয়ানমারে আটকে পড়া ১৫০ জন বাংলাদেশিও একই জাহাজে ফেরত আসবে। তবে জাহাজের যাত্রা সমুদ্র ও মিয়ানমারের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পিআইবির কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jails are the permanent residence of many BNP leaders Rizvi

কারাগারগুলো বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীর স্থায়ী আবাসস্থল: রিজভী

কারাগারগুলো বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীর স্থায়ী আবাসস্থল: রিজভী রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
রিজভী বলেন, বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী এখনো কারাগারে রয়েছেন। আর কয়েকজন ৩ থেকে ৪ মাস কারাভোগের পর বের হতে পেরেছেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দলের অনেক নেতাকর্মীকে সরকার কারাগারে নিক্ষেপ করে আলো-বাতাস থেকে বঞ্চিত করছে।

শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্ম দল আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে রিজভী এ কথা বলেন। খবর ইউএনবির

তিনি আরও বলেন, বিনা কারণে মাসের পর মাস কারাগারে বন্দি থাকতে থাকতে কারাগারগুলো বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীর স্থায়ী আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে।

রিজভী বলেন, মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিবের মতো শীর্ষ নেতারা তিন-চার মাস ধরে কারাভোগ করে মুক্তি পেয়েছেন।

শেখ হাসিনার বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর নীতি এখনো শেষ হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে ভয় পান এবং জানেন যে তার পক্ষে কোনো জনসমর্থন নেই।

জনগণের সমর্থনহীন সরকার স্বৈরাচারী হয়ে যায় উল্লেখ করে রিজভী বলেন, জনগণ যখন অধিকারের জন্য আওয়াজ তোলে তখন তারা দমন করে।

এই বিএনপি নেতা বলেন, তারা দমন-পীড়নের সব উপায় অবলম্বন করে, যেমন- আটকে রাখা, নির্যাতনের জন্য আয়না ঘর তৈরি করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে হত্যা করা এবং বিরোধী দলকে ঘায়েল করতে দলীয় ক্যাডারদের ব্যবহার করা।

তিনি দাবি করেন, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে।

রিজভী আরও বলেন, বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী এখনো কারাগারে রয়েছেন। আর কয়েকজন ৩ থেকে ৪ মাস কারাভোগের পর বের হতে পেরেছেন।

বিএনপির এত সদস্য কেন কারাগারে, তার কোনো সদুত্তর সরকারের কাছে আছে কি না জানতে চান রিজভী।

অবৈধভাবে অর্জিত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্যই প্রধানমন্ত্রী এসব করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

মন্তব্য

p
উপরে