ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে ১১২টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দ্বিগুণেরও বেশি ২৩১টি কোম্পানির শেয়ার দর হারানোর পর আবার বাড়ল সূচক।
সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধনে টানা ১৭ কর্মদিবসে এ ঘটনা ঘটল। দর বেশি কমছে মূলত গত তিন মাসে লোকসানি, বন্ধ ও স্বল্প মূলধনি যেসব কোম্পানির শেয়ার দর উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছিল।
এসব কোম্পানির দরপতনে সূচকে প্রভাব পড়ে খুবই কম। এর কারণে মুনাফায় থাকা স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ারসংখ্যা খুব একটা বেশি থাকে না। অন্যদিকে লোকসানি, লভ্যাংশ না দেয়া জেড ক্যাটাগারির শেয়ার দর যা-ই হোক, সূচক পয়েন্ট যোগ বা বিয়োগ হয় না।
বুধবার দিন শেষে সূচক বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট। তবে লেনদেন শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যে বেড়ে গিয়েছিল ৭৬ পয়েন্ট। সে সময় বেশির ভাগ শেয়ারের দর বেড়ে যেতে দেখা যায়, যা ১২ সেপ্টেম্বরের পর ছিল প্রথমবারের মতো।
তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শেয়ার দর কমতে থাকে কোম্পানিগুলোর। যেগুলোর দর বেড়েছে, সেগুলোর মধ্যে বেশির ভাগের দরই দিনের সর্বোচ্চ দরের তুলনায় কম। আবার বহু কোম্পানির শেয়ারদর বেড়ে গিয়েও কমেছে।
আবারও সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে লোকসানি বা স্বল্প মূলধনি কোম্পানির। সবচেয়ে বেশি দর হারানো ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১২টিই এ ধরনের।
এর মধ্যে ৪টি লোকসানি আর বাকি ৮টির শেয়ার সংখ্যা বেশ কম। গত জুলাই থেকে এসব কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ছিল অস্বাভাবিক হারে।
দ্বিগুণেরও বেশিসংখ্যক কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির পরেও সূচক বাড়ার কারণ, বড় মূলধনি ১০টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির কারণেই সূচকে যোগ হয়েছে ৪৪ পয়েন্ট।
এর মধ্যে পাওয়ার গ্রিড একাই সূচক বাড়িয়েছে ৮.২৬ পয়েন্ট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সূচক বাড়িয়েছে বিকন ফার্মা, ৭.২১ পয়েন্ট। তৃতীয় অবস্থানে থাকা তিতাস গ্যাস বাড়িয়েছে ৬.২৯ পয়েন্ট।
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া লাফার্ম হোলসিম ও তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়া বেক্সিমকো লিমিটেড সামান্য দর হারালেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়া ওরিয়ন ফার্মার দর আবার বেড়েছে।
আগের দিন সূচক বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি ও গ্রামীণফোন দর হারানোয় সূচক টেনে ধরায় ভূমিকা রেখেছে এদিন।
বহুজাতিক কোম্পানি রবি আরও দর হারিয়ে হতাশ করেছে বিনিয়োগকারীদের। সামান্য দরপতন হয়েছে গত কয়েক দিনে উত্থান হওয়া ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির।
তবে সূচক টেনে ধরায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে ওয়ালটন। এই একটি কোম্পানির শেয়ার দর কমায় সূচক কমেছে ১৪ পয়েন্ট।
আগ্রহের লোকসানি কোম্পানির পতন
বন্ধ, লোকসানি, আবার কোম্পানি চালুর আভাস নেই- এমন কোম্পানি জুন স্পিনার্সের শেয়ার দর গত জুনে ১২০ টাকা থেকে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের শুরুতে হয়ে যায় ১৯২ টাকা। কিন্তু সেদিন থেকেই টানা পড়েতে পড়তে নেমে এসেছে ১৩৪ টাকায়।
এক দিনেই কমল ১১ টাকা ৯০ পয়সা। শতকরা হারে ৮.০৭ শতাংশ।
এর চেয়ে বেশি পড়েছে গত এক মাস ধরে ক্রমাগত দরপতন হতে থাকা আমান ফিডের দর। ৮.৯৬ শতাংশ কমেছে এই কোম্পানিটির শেয়ার দর।
মঙ্গলবার লভ্যাংশ সংক্রান্ত সভা স্থগিত করা স্বল্প মূলধনি দেশ গার্মেন্টসের শেয়ার দর হারিয়েছে ৮.১৪ শতাংশ।
২০১৯ সালে লভ্যাংশ ঘোষণা করেও বিতরণ না করায় সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালকদের বিরুদ্ধে মামলায় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর টানা দ্বিতীয় দিন দর হারালো কোম্পানিটি। আগের দিন ১০ শতাংশের পর এবার দাম কমল ৭.৯৬ শতাংশ।
এ ছাড়া স্বল্প মূলধনি মুন্নু সিরামিকের শেয়ার দর ৭.৮৫ শতাংশ, লোকসানি জিলবাংলা ও শ্যামপুর সুগারের দর ৭.৪১ শতাংশ করে, ওটিসি থেকে ফিরে উড়তে থাকার মধ্যে তদন্তের ঘোষণার পর উল্টো যাত্রায় থাকা মনস্পুল পেপারের দর ৬.৮৬ শতাংশ, একই ধরনের আরেক কোম্পনি তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল ৬.০৬ শতাংশ, পেপার প্রসেসিং ৫.৬৫ শতাংশ, স্বল্প মূলধনি অ্যাম্বি ফার্মা ৬.৬৫ শতাংশ দর হরিয়েছে।
এই প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারদরই বাড়ছিল কেবল শেয়ারের সংখ্যা কম ছিল-এ কারণে।
বুধবার জেড ক্যাটাগরির ৩০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ১২টির। কমেছে ১৮টির।
ওষুধ ও জ্বালানি খাতে স্বস্তি
ওষুধ ও রসায়ন খাতে বিনিয়োগকারীদের যে আগ্রহ, সেটি আরও বেড়েছে। তালিকাভুক্ত যে কোনো খাতের তুলনায় এ খাতের লেনদেন সবচেয়ে বেশি।
বুধবার ওষুধ ও রসায়ন খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৪৫০ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৪৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। সোমবার লেনদেন হয়েছিল ৪১২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
এই খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে দর পতন ও বৃ্দ্ধি হওয়া কোম্পানির সংখ্যা সমান ১৪টি করে। ২টি কোম্পানির শেয়ার দর ছিল আগের মতোই।
এখাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এডভেন্ট ফার্মার দর, ৯.৯৩ শতাংশ। এছাড়া বিকন ফার্মার দর ৭.৬১ শতাংশ, একটিভ ফাইনের দর ৭.৩৫ শতাংশ এবং সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি আলোচিত কোম্পানির একটি ওরিয়ন ফার্মার দর বেড়েছে ৪.৫০ শতাংশ।
এছাড়া দর পতনের সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল অ্যাম্বি ফার্মা, যার শেয়ার দর কমেছে ৬.৬৪ শতাংশ। আরেক স্বল্প মূলধনি ফার্মা এইডের দর ৪.৯১ শতাংশ কমেছে।
দিনে সবচেয়ে বেশি ভালো দিন গেলে জ্বালানি খাতে। এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে কেবল ৫টি, বেড়েছে বাকি ১৮টির দরই। দিনের সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকায় এই খাতেরই প্রাধান্য দেখা গেছে।
সবচেয়ে বেশি ৯.৯৫ শতাংশ দর বৃদ্ধি পাওয়া পাওয়ার গ্রিড ছাড়াও দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মবিল যমুনার শেয়ারদর বেড়েছে ৯.৮২ শতাংশ। এছাড়া তিতাস গ্যাসের ৮ শতাংশ, বিকন ফার্মার ৭.৬১ শতাংশ, অ্যাকটিভ ফাইন ক্যামিকেলের ৭.৩৪ শতাংশ, পদ্মা অয়েলের দর ৫.০৭ শতাংশ বেড়েছে।
এই খাতে সবচেয়ে বেশি ৪.৮৭ শতাংশ দর কমেছে ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের। সিভিও পেট্রো ক্যামিকেল, লিনডে বিডি, ইউনাইটেড পাওয়ার ও জিবিবি পাওয়ারও দর হারিয়েছে।
জ্বালানি খাতে লেনদেন হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৯৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
বিমা খাতে ধস
সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে এই খাতেই। ৫১টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনেদেন ছিল স্থগিত। প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের দর ৮.৭৬ শতাংশ বেড়েছে। এর বাইরে গ্রিনডেল্টার দর ২ টাকা আর ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ২০ পয়সা। কমেছে বাকি ৪৭টির দর।
সবচেয়ে বেশি দরপতনের তালিকায় বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর প্রাধান্য দেখা গেছে।
সবচেয়ে বেশি পতন হওয়া বিএনআইসিএলের দর ৭.৯৫ শতাংশ কমেছে। এছাড়া গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স ৬.৮৯ শতাংশ, রূপালী লাইফ ৬.২১ শতাংশ, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ৫.২০ শতাংশ, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স দর ৪.৯৯ শতাংশ, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স ৪.৬২ শতাংশ, প্রাইম লাইফ ৪.৪৬ শতাংশ, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স ৪.২৯ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ও ইসলামী ইন্স্যুরেন্স ৪.২৩ শতাংশ দর হারিয়েছে।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে ১১৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা। আগের দিন যা ছিল ১১৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
বস্ত্র খাতেও ব্যাপক পতন
জুন থেকে চাঙা হয়ে উঠা এই খাতের কোম্পানিগুলো আরও দর হারিয়েছে। ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ১৭টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৩৯টির দর। বাকিগুলো দর ধরে রাখতে পেরেছে।
দর হারানোর তালিকায় বেশিরভাগ কোম্পানি থাকলেও সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির মধ্যে দুটি ছিল এই খাতের।
এর মধ্যে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের দর ৯.৯২ শতাংশ, ফ্যামিলিটেক্সের দর ৮.৯২ শতাংশ ও মতিন স্পিনিং মিলসের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৬২ শতাংশ।
এই খাতে লেনদেন অবশ্য বেড়েছে। হাতবদল হয়েছে মোটি ২৫৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, আগের দিন যা ছিল ২০০ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
অন্যান্য খাতে লেনদেন
লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে হাতবদল হয়েছে ৩৩৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার। এই খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৮টি দর বেড়েছে, কমেছে ২৩টির, অপরিবর্তিত ছিল বাকি একটির।
আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ২৮২ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
লেনদেনে পঞ্চম থাকে থাকা বিবিধি খাতের তিনটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ১১টির। লেনদেন হয়েছে ২০৪ কোটি ৯ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
সাম্প্রতিন সময়ে চাঙা হয়ে উঠা সিমেন্ট খাতে লেনদেন কমেছে। এই খাতের সাতটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ হয়েছে মোট ১৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এসব কোম্পানির মধ্যে তিনটির দর বাড়ার বিপরীতে কমেছে ৪টির।
আগের দিন লেনদেন ছিল ২৩৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
আর্থিক খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২টির, কমেছে ১৯টির। একটির দর ছিল অপরিবর্তিত, একটির লেনদেন স্থগিত।
লেনদেন হয়েছে ১৮৭ কোটি ৮০ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৯১ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
ব্যাংক খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১০০ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৬টির। কমেছে ১৯টির। দর পাল্টায়নি ৫টির, একটির লেনদেন ছিল স্থগিত।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ১৬টি, বেড়েছে ৪টির দর। লেনদেন হয়েছে ৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে চারটির, কমেছে ৬টির আর একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
হাতবদল হয়েছে ৪১ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৮ কোটি ১০ লাখ টাকা।
মিউচ্যুয়াল ফান্ডে লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২টির, কমেছে ৯ টির। বাকি ১৫টি ফান্ডের দর পাল্টায়নি।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৯ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৫১ দশমিক ০৪ পয়েন্ট।
শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৫ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬০০ দশমিক ২৫ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৯ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৮৭ দশমিক ৮১ পয়েন্ট।
দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য