বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতন, কিন্তু সূচকের উত্থান, এই বৃত্তেই পুঁজিবাজার। আবারও বড় মূলধনি বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। লেনদেনের শীর্ষে লাফার্জ হোলসিম, ওরিয়ন ফার্মা ও বেক্সিমকো লিমিটেডই।
এর ভিড়ে সপ্তাহের চতুর্থ দিবসে একটি বিষয় লক্ষণীয়, সেটি হলো জ্বালানি খাতের সরকারি কোম্পানির শেয়ারের উল্লম্ফন।
দিনের সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া পাওয়ার গ্রিড জ্বালানি খাতের সরকারি খাতের মৌলভিত্তির কোম্পানি। এক দিনে দর বৃদ্ধির মূল্যসীমা ছুঁয়েছে এটি।
এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততটাই বেড়েছে জ্বালানি খাতেরই আরেক সরকারি প্রতিষ্ঠান ঢাকা পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানি ডেসকো। উল্লেখযোগ্য পরিমাণে দর বেড়েছে তিতাস গ্যাসের দরও।
জ্বালানি তেল বিপণনে সরকারি তিন কোম্পানি পদ্মা অয়েল, মেঘনা পেট্রলিয়াম ও যমুনা অয়েলের দামও বেড়েছে একই দিনে।
জ্বালানি খাতে একমাত্র সরকারি কোম্পানি হিসেবে দর হারিয়েছে ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট, যেটির দর গত তিন মাসে হঠাৎ করেই দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার পর ক্রমাগত কমছে।
কেবল সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে, এমন নয়। পাওয়ার গ্রিডের শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ব্যাপক। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে এমন কোম্পানির মধ্যে এটির অবস্থান চতুর্থ।
জ্বালানি খাতে সরকারি সব কটি কোম্পানি মৌলভিত্তিক, যেগুলো প্রতিবছর আকর্ষণীয় মুনাফা করে বেশ ভালো লভ্যাংশ দিয়ে থাকে। প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় ও সম্পদমূল্য আকর্ষণীয় হলেও গত কয়েক বছর ধরে এগুলো ঘুমিয়ে ছিল। তবে সম্প্রতি এগুলোর শেয়ার দর চাঙা হয়ে উঠতে দেখা গেছে।
গত কয়েক দিন ধরেই দেখা যাচ্ছে এই প্রবণতা। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে পুঁজিবাজারে দর সংশোধন শুরু হলে শুরুতে এসব কোম্পানির শেয়ারও দর হারাতে শুরু করে। কিন্তু পরে ঘুরে দাঁড়ায়।
এ সময়ে পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার দর সর্বনিম্ন ৫৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৮ টাকা ৫০ পয়সা।
ডেসকোর শেয়ার দর সর্বনিম্ন ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৩ টাকা ৫০ পয়সা।
তিতাস গ্যাসের শেয়ার দর সর্বনিম্ন ৪১ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৫ টাকা ৯০ পয়সা।
পদ্মা অয়েলের শেয়ার দর সর্বনিম্ন ২২৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৪০ টাকা।
যমুনা অয়েলের শেয়ার দর ১৮১ টাকা ৩০ পয়সায় নেমে আসার পর তা উঠেছে ১৮৬ টাকা ৯০ পয়সায়।
তবে উল্টোযাত্রায় থাকা ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের দর কমেছে এক দিনে যত কমা সম্ভব ততটাই। ১১০ টাকা ৯০ পয়সা বা ৪.৮৮ শতাংশ দম কমেছে কোম্পানিটির। এক দিনে এর চেয়ে বেশি কমা সম্ভব ছিল না।
কোম্পানিটির শেয়ার দর গত ১৮ আগস্ট থেকে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছিল। সেদিন দাম ছিল ১ হাজার ৪১৭ টাকা ৮০ পয়সা। হঠাৎ করে বাড়তে বাড়তে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ২ হাজার ৮০৮ টাকা ৩০ পয়সা হয়ে যায়। এরপর থেকে দাম কমতে শুরু করেছে।
জ্বালানি খাতের সরকারি কোম্পানির পাশাপাশি বেশ ভালো পরিমাণ বেড়েছে বিবিধ খাতের বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার দরও। এই কোম্পানিটিও মুনাফায় আছে আর ব্যবসা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
টেলিকমিউনিকেশন খাতে বাংলাদেশ সাবমেরিন কোম্পানির শেয়ার দরও বেড়েছে। তবে বৃদ্ধির হার খুব একটা উল্লেখযোগ্য নয়।
তবে প্রকৌশল ও খাদ্য খাতে সরকারি লোকসানি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। কমেছে ব্যাংক খাতের একমাত্র সরকারি কোম্পানি রূপালী ব্যাংকের দরও। এগুলোর মধ্যে কেবল রূপালী ব্যাংক সামান্য মুনাফায় আছে। কিন্তু বাকিগুলো লোকসানি।
কোন কোম্পানির দর কত বাড়ল
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির শেয়ারদর মঙ্গলবার ছিল ৬২ টাকা ৩০ পয়সা। দিনে দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে ৬৮ টাকা ৫০ পয়সায়। শতকরা হিসেবে দাম বেড়েছে ৯.৯৫ শতাংশ।
কোম্পানিটির শেয়ার দর গত ২ বছরে সর্বোচ্চ। তবে এখনও সম্পদমূল্যের চেয়ে নিচেই আছে শেয়ার দর।
২০২০ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ১১০ টাকা ৩৯ পয়সা। চলতি বছর প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৯৩ পয়সা।
আগামী ১৪ অক্টোবর ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ঢাকা পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানি ডেসকোর দর বাড়ল ৯.৫৭ শতাংশ। আগের দিন দর ছিল ৩৯ টাকা ৭০ পয়সা, দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৫০ পয়সা। সার্কিট ব্রেকার অনুযায়ী এর চেয়ে বেশি দর বাড়া সম্ভব ছিল না।
শেয়ারটির দর তার এক বছরের সর্বোচ্চ দরের কাছাকাছি। এই সর্বোচ্চ দর ৪৪ টাকা ৫০ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ৪৩ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য ৪৬ টাকা ৭৬ পয়সা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে তিতাস গ্যাসের ৮ শতাংশ। আগের দিন দর ছিল ৪২ টাকা ৫০ পয়সা। ৩ টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে দাম দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৯০ পয়সা।
তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ১২ পয়সা। কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ৭১ টাকা ৩৯ পয়সা।
জ্বালানি তেল বিপণনে তিন কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫.০৮ শতাংশ দর বেড়েছে পদ্মা অয়েলের। আগের দিন দাম ছিল ২২৮ টাকা ৪০ পয়সা। দাম বেড়ে হয়েছে ২৪০ টাকা।
এই কোম্পানিটির দর এক বছরের সর্বোচ্চ দরের চেয়ে এখনও কম। এই সর্বোচ্চ দর ছিল ২৫৭ টাকা।
কোম্পানিটির শেয়ার দর তার সম্পদ মূল্যের চেয়ে কিছুটা বেশি। শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ১৫৭ টাকা ৬৪ পয়সা।
মার্চ শেষে তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ১৬ টাকা ২৩ পয়সা।
আরেক কোম্পানি মেঘনা পেট্রলিয়ামের শেয়ারদর ১৯৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২০৫ টাকা ৬০ পয়সা। দাম বেড়েছে ২.৮৫ শতাংশ।
মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ১৭ টাকা ৪০ পয়সা। শেয়ার প্রতি কোম্পানির সম্পদ মূল্য ১৪৮ টাকা ২১ পয়সা।
আরেক কোম্পানি যমুনা অয়েলের দর ১৮১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮৬ টাকা ৯০ পয়সা। দর বেড়েছে ২.৬৮ শতাংশ।
মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ১২ টাকা ৬৫ পয়সা। শেয়ার প্রতি কোম্পানির সম্পদ মূল্য ১৬১ টাকা ৪০ পয়সা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য