× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Bashar will have to spend 20 years in a Saudi prison without committing a crime?
google_news print-icon

বিনা অপরাধে সৌদি জেলে ২০ বছর কাটাতে হবে বাশারকে?

বিনা-অপরাধে-সৌদি-জেলে-২০-বছর-কাটাতে-হবে-বাশারকে?
সৌদি জেলে বন্দি স্বামীর মুক্তির জন্য বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ঘুরছেন রাবেয়া। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
রাবেয়া বলেন, ‘অপরিচিত ওই ব্যক্তির প্যাকেট নিতে অস্বীকৃতি জানান আমার স্বামী। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি নিজেকে বিমানের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখান। প্যাকেট না নিলে তাকে ফ্লাইটে উঠতে দেবেন না বলেও ভয় দেখান। এতেও নিতে রাজি না হলে একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি নিজেই জোর করে আমার স্বামীর ব্যাগে প্যাকেটটি ঢুকিয়ে দেয়। ভয়ভীতি দেখানোয় এবং ফ্লাইটের সময় হয়ে যাওয়ায় কারও কাছে কোনো অভিযোগ না দিয়ে আমার স্বামী ফ্লাইটে উঠে পড়েন। কিন্তু সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর নিরাপত্তাকর্মীরা তার ব্যাগ তল্লাশি করলে ইয়াবার প্যাকেট পায় এবং আমার স্বামীকে জেলে পাঠায়।’

আচার আছে বলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সৌদিপ্রবাসীর ব্যাগে জোর করে একটি প্যাকেট দেন বিমানবন্দরের পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত একে ট্রেডার্সের এসআর সুপারভাইজার নুর মোহাম্মদ। না নিলে বিমানে উঠতে দেয়া হবে না, এমন ভয় দেখানোয় প্যাকেট নিতে বাধ্য হন সৌদিপ্রবাসী আবুল বাশার। প্যাকেট নিয়ে জেদ্দা বিমানবন্দরে ধরা পড়েন তিনি। আচারের প্যাকেটে মেলে ইয়াবা। পরে ইয়াবা পাচারের অভিযোগে সৌদি আরবে ২০ বছরের সাজা হয়েছে বাশারের।

প্রবাসী বাশারের স্ত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জোর করে বাশারকে প্যাকেট দেয়ার কথাও স্বীকার করেছেন তিনি।

এখন সৌদি আরবে সাজা হওয়া বাশারের কী হবে? বিনা অপরাধেই কী তাকে জেল খাটতে হবে?

নির্দোষ বাশারের মুক্তির জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না তার স্ত্রী রাবেয়া। তার দাবি, সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো যেন বাশারকে মুক্ত করার ব্যবস্থা নেয়। পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে স্বামীর মুক্তির জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতনদের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি।

রাবেয়া জানান, ছুটি শেষে এ বছরের ১১ মার্চ সৌদি আরব ফিরতে বিমানবন্দরে যান আবুল বাশার। এদিন রাত ১২টার পর বোর্ডিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়ালে নুর মোহাম্মদ তার স্বামীকে একটি প্যাকেট সৌদি আরব নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। প্যাকেটে কিছু আচার ও খাবার আছে। সৌদিতে তার ভাই মো. সাইদ প্যাকেটটি বিমানবন্দর থেকে নেবেন বলে জানান নুর মোহাম্মদ।

রাবেয়া বলেন, ‘অপরিচিত ওই ব্যক্তির প্যাকেট নিতে অস্বীকৃতি জানান আমার স্বামী। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি নিজেকে বিমানের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখান। প্যাকেট না নিলে তাকে ফ্লাইটে উঠতে দেবেন না বলেও ভয় দেখান। এতেও নিতে রাজি না হলে একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি নিজেই জোর করে আমার স্বামীর ব্যাগে প্যাকেটটি ঢুকিয়ে দেয়। ভয়ভীতি দেখানোয় এবং ফ্লাইটের সময় হয়ে যাওয়ায় কারও কাছে কোনো অভিযোগ না দিয়ে আমার স্বামী ফ্লাইটে উঠে পড়েন। কিন্তু সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর নিরাপত্তাকর্মীরা তার ব্যাগ তল্লাশি করলে ইয়াবার প্যাকেট পায় এবং আমার স্বামীকে জেলে পাঠায়।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ত্যাগের পর থেকেই আমার স্বামীর খোঁজ পাচ্ছিলাম না। ২০ দিন পর ঘটনার বিস্তারিত এবং জেলে থাকার কথা জানিয়ে সৌদি থেকে টেলিফোন করেন তিনি। পরে ১৩ এপ্রিল বিমানবন্দরে গিয়ে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাই।

‘আর্মড পুলিশ আমার অভিযোগের ভিত্তিতে বিমাবন্দরের সিসি ক্যামেরার রেকর্ড চেক করে ঘটনার সত্যতা পায়। ১৪ এপ্রিল বিমানবন্দরে পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত একে ট্রেডার্সের এসআর সুপারভাইজার নুর মোহাম্মদকে আটক করে তারা। এ ঘটনায় আমি বিমানবন্দর থানায় মামলা করি। এরই মধ্যে নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

বাশারের স্ত্রী রাবেয়া বলেন, ‘আমার স্বামী অপরাধ না করেও প্রায় ৭ মাস ধরে জেলে আছেন। সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আইনি সহায়তা না পাওয়ায় এক পক্ষীয়ভাবে আদালত তাকে ২০ বছরের সাজা দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা না পেলে আমার স্বামীকে বিনা অপরাধে ২০ বছর জেল খাটতে হবে। আমি আমার পাঁচ বছর বয়সী কন্যাসন্তানকে নিয়ে দেশে মানবেতর জীবন যাপন করছি।’

বিনা অপরাধে সৌদি জেলে ২০ বছর কাটাতে হবে বাশারকে?
স্বামী আবুল বাশারের সঙ্গে রাবেয়া।

মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে স্বামীর মুক্তিতে সরকারের সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছেন রাবেয়া।

তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী নিরপরাধ। তাকে জোর করে প্যাকেট দিয়ে দিছে। নুর মোহাম্মদ স্বীকারও করেছে। সরকার ও সৌদি আরবে বাংলাদেশ অ্যাম্বাসি সাহায্য না করলে ২০ বছর কোনো অপরাধ না করেই জেলে কাটাতে হবে। আমি সরকারের সাহায্য চাই।’

এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১৩ এপ্রিল সৌদিপ্রবাসী বাশারের স্ত্রী রাবেয়ার অভিযোগ পেয়ে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে নুর মোহাম্মদকে শনাক্ত করি। পরদিন তাকে আটক করি। তিনি আমাদের কাছে অপরাধের কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। পরে বিমানবন্দর থানায় করা রাবেয়ার মামলায় নুর মোহাম্মদ কারাগারে রয়েছেন।’

জিয়াউল হক বলেন, ‘আমরা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের বিশেষ শাখায় বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠিয়েছি। বিশেষ শাখা ইন্টারপোলের বাংলাদেশ ডেস্কে পাঠিয়েছে। তারাও সৌদি আরবের ইন্টারপোলকে চিঠি লিখেছে বলে জানি।’

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো) মহিউল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এপিবিএন থেকে জানার পর ২৫ এপ্রিল এনসিবি রিয়াদকে চিঠি দিয়েছি। কোনো রেসপন্স পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় দফায় ২৪ আগস্ট আবার লিখেছি। এখনও কোনো রেসপন্স পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। রিয়াদ এনসিবির সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে।’

পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা জানান, বাশারের মুক্তির বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসকে উদ্যোগী হতে হবে। তাহলেই তিনি মুক্তি পেতে পারেন। এর জন্য সরকারের উদ্যোগ ছাড়া সম্ভব না।

ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল ইসলাম হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাটা খুবই দুঃখজনক। এয়ারপোর্টের একজনের জন্য নিরীহ প্রবাসী ফেঁসে গেছেন। এখন রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব প্রবাসীকে মুক্ত করা। সৌদি সরকারকে বলতে হবে, এই ব্যক্তি নির্দোষ, তার মুক্তি চাই। আর এই অপরাধের জন্য যে দোষী, তাকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
শওকত মাহমুদের সই-সিল জালিয়াতি করে বিএনপির প্রবাসী ফোরাম
দুবাইয়ে ৪৬ যাত্রী পাঠিয়ে অপেক্ষায় ঢাকা
মেয়ের মুখ দেখা হলো না সোহেলের
আশ্বাস পেয়ে অনশন ভাঙলেন প্রবাসীরা
বিমানবন্দরে র‍্যাপিড পিসিআর টেস্টের দাবি প্রবাসীদের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Safe AIMA entry or citizenship in Portugal in five years

পর্তুগালে সেফ, এআইএমএ এন্ট্রি বা পাঁচ বছরে নাগরিকত্ব

পর্তুগালে সেফ, এআইএমএ এন্ট্রি বা পাঁচ বছরে নাগরিকত্ব
গত সপ্তাহে জাতীয়তা আইনের দশম সংশোধনী গেজেট আকারে প্রকাশিত হওয়ায়তে প্রবাসীদের জন্য সুখবর এলো। এখন সেফ বা এআইএমএ এন্ট্রি বা পর্তুগালের বসবাসের আবেদন থেকেই শুরু হবে নাগরিকত্ব (পাসপোর্ট) আবেদনের ৫ বছর।

পর্তুগালের প্রবাসীরা বেশির ভাগই দেশটির প্রথম রেসিডেন্ট কার্ড পাওয়ার ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পরই পাসপোর্ট আবেদন করতেন, এরপর নিজের পাসপোর্ট পাওয়ার পর স্ত্রী বা স্বামী ও ছেলে-মেয়েদের জন্য আবেদন করতেন।

তবে গত সপ্তাহে জাতীয়তা আইনের দশম সংশোধনী গেজেট আকারে প্রকাশিত হওয়ায়তে প্রবাসীদের জন্য সুখবর এলো। এখন সেফ বা এআইএমএ এন্ট্রি বা পর্তুগালের বসবাসের আবেদন থেকেই শুরু হবে নাগরিকত্ব (পাসপোর্ট) আবেদনের ৫ বছর।

সেফ বা এআইএমএ এন্ট্রি আবেদন অ্যাপ্রুভ হয়েছে এবং রেসিডেন্ট পেয়েছেন এরকম হতে হবে। এই সংশোধিত আইনের মাধ্যমে প্রবাসীদের পাসপোর্ট পাওয়ার অনেক বড় একটা সময় হিসাবের মধ্যে চলে এলো। প্রবাসীদের জন্য এটা বড় সংবাদ। আসন্ন এপ্রিল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিযেছেন আইনজীবীরা।

এই আবেদন অ্যাপ্রুভ হওয়ার পরই নাগরিক কার্ড/ সিটিজেন কার্ড ও পাসপোর্ট নেয়া যায়। জাতীয়তা বা ন্যাশনালিটি আবেদনে যেসব ডকুমেন্ট লাগবে।

দেশের ডকুমেন্টস

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, তিন মাস মেয়াদের প্রাপ্ত বয়স্কদের। জন্ম সনদ, ইংলিশ। দেশে নোটারি, ফরেন মিনিস্ট্রি, ল অ্যান্ড জাস্টিস মিনিস্ট্রি সত্যায়ন। এরপর এই দুটি ডকুমেন্ট নিকটস্থ পর্তুগাল কনসুলার ইন্ডিয়াতে পাঠাতে হয় এটাস্টেশনের জন্য। কারণ বাংলাদেশে পর্তুগালের কোনো অ্যাম্বাসি নেই।

ভারতে প্রথমে বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির সত্যায়ন এরপর পর্তুগাল অ্যাম্বাসির সত্যায়ন করে পর্তুগালে আনতে হয়। পর্তুগাল শুধু নোটারীরি ও ট্রান্সলেশন করার পর এই দুটি ডকুমেন্ট আবেদনের জন্য রেডি হয়।

পর্তুগালের ডকুমেন্ট

সরাসরি নিজে অফিসে গিয়ে আবেদনের জন্য পাসপোর্ট, রেসিডেন্ট কার্ড, প্রথম রেসিডেন্ট কার্ড, বেসিক পর্তুগিজ সার্টিফিকেট (A1ও A2), পূরণ করা ন্যাশনালিটি আবেদন ফরম ও ২৫০ ইউরো।

ঠিকানা: দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত Conservatorio do Registo Civil - Almada/Amadora/Aveiro/Barreiro/Braga/Combra/Evora/Faro/Guimares/Lisboa/Mangualde/Ovar /Pombal /Portalegre/Porto/Santarem/Silves/Tondela/Torres Vedras/Vila nova de Gaia অফিস গুলোতে সকালে গিয়ে আবেদন নিজে নিজে করে নিতে পারেন। প্রয়োজনে অ্যাড্রেস ইন্টারনেট থেকে দেখে সাহায্য নিতে পারবেন।

লিসবনের মধ্যে একটি অফিসের ঠিকানা- Conservatorio do Registo Civil, RUA RODRIGO DA FONSECA ,198 1099-003 , LISBOA

পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আবেদন করলে- পাসপোর্ট কপি নোটারি, রেসিডেন্ট কার্ড কপি নোটারি, প্রথম রেসিডেন্ট কার্ড নোটারি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট তিন মাস মেয়াদের প্রাপ্ত বয়স্কদের, জন্ম সনদ, বেসিক পর্তুগিজ সার্টিফিকেট (A1ও A2), পূরণ করা ন্যাশনালিটি আবেদন ফরম, ২৫০ ইউরোর VALE DE POSTAL ।

নিচের অফিসগুলোর মধ্যে যেখানে আবেদন করবেন ইন্টারনেট থেকে ঠিকানা সংগ্রহ করে সেটি বরাবর Conservatorio do Registo Civil - Almada/Amadora/Aveiro/Barreiro/Braga/Combra/Evora/Faro/Guimares/Lisboa/Mangualde/Ovar /Pombal /Portalegre/Porto/Santarem/Silves/Tondela/Torres Vedras/Vila nova de Gaia
CTT EXPRESSO সার্ভিস।

আইনজীবীর মাধ্যমে অনলাইন আবেদন করলে ওপরের সব ডকুমেন্ট লাগবে। কনফিডেন্স কম থাকলে কোনো উকিলের মাধ্যমেই ন্যাশনালিটির আবেদনটি সাবমিট করাই ভালো। আবেদন সাবমিট করার সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে একটি লেটার আসবে।

এখন https://nacionalidade.justica.gov.pt/ গিয়ে, লেটারে A senha para consulta do processo e xxxx-xxxx-xxxx ১২ ডিজিটের সংখ্যাটি দিয়ে টিক চিহ্ন দিয়ে pesquisar দিলেই দেখা যায় ৭টি ধাপের অগ্রগতি। সবগুলো ধাপ সবুজ হলেই এই আবেদন এর কার্যক্রম সমাপ্ত হবে।

এই ধাপ গুলোতেই থাকা অবস্থায় বিভিন্ন অপরিপূর্ণ ডকুমেন্ট আবার চাইতে পারে। এরপরই সিটিজেন কার্ড ও পর্তুগালের পাসপোর্ট জন্য আবেদন করা যাবে।

আরও পড়ুন:
পার্লারে আইফোন খোয়ালেন প্রেমের টানে মাদারীপুরে আসা ইন্দোনেশীয় তরুণী
মায়ের অন্যত্র বিয়ে, শিশুপুত্রকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা বাবার
বাহরাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় জামালপুরের যুবক নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The body of a Polish citizen was recovered from a hotel in Chittagong

চট্টগ্রামে হোটেল থেকে পোলিশ নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার

চট্টগ্রামে হোটেল থেকে পোলিশ নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার সোমবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ের পেনিনসুলা হোটেলের ৯১৫ নম্বর কক্ষের বিছানা থেকে ওই পোলিশ নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
সিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম) জানান, নিহত ব্যক্তির মাথার পেছনে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খাটে ও ফ্লোরে রক্তের দাগও পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার রুমটি ছিল এলোমেলো।’

চট্টগ্রামের অভিজাত হোটেল পেনিনসুলা থেকে পোল্যান্ডের এক নাগরিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম জজলো মাইকেল সিজারবেয়া। তিনি হত্যাকাণ্ডে শিকার হয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।

সোমবার সকালে নগরীর জিইসি মোড়ের পেনিনসুলা হোটেলের ৯১৫ নম্বর কক্ষের বিছানা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হোটেল থেকে থানায় খবর দেয়া হয় যে, ৯০৫ নম্বর কক্ষে একজন ব্যক্তির সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

‘খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করা হয়। ঘরের ভেতরে তাকে বিছানার একপাশে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।’

পুলিশ জানায়, মৃত জজলো মাইকেল সিজারবেয়া ঢাকার বিগেস্টার বায়িং হাউজের কোয়ালিটি কন্ট্রোলারের দায়িত্ব পালন করতেন। তবে তিনি চট্টগ্রামের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) ক্যানপার্কের কোয়ালিটি চেক করতে এসেছিলেন।

কীভাবে তার মৃত্যু হলো, তা তদন্ত করছে পুলিশ।

সিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম) জানান, নিহত ব্যক্তির মাথার পেছনে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খাটে ও ফ্লোরে রক্তের দাগও পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার রুমটি ছিল এলোমেলো।

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড। আমরা তদন্ত করছি।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
An Indonesian girl who came to Madaripur for love opened an iPhone in the parlor

পার্লারে আইফোন খোয়ালেন প্রেমের টানে মাদারীপুরে আসা ইন্দোনেশীয় তরুণী

পার্লারে আইফোন খোয়ালেন প্রেমের টানে মাদারীপুরে আসা ইন্দোনেশীয় তরুণী আইফোন হারিয়ে মন খারাপ ইফহার। ছবি: নিউজবাংলা
তরুণীর স্বামী শামীম মাদবর বলেন, ‘এটি খুবই দুঃখজনক। পার্লারে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। পরে আমরা শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।’

বিউটি পার্লারে বিয়ের কনের সাজ সাজতে গিয়ে আইফোন খুইয়েছেন প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ইন্দোনেশীয় তরুণী। মাদারীপুরের শিবচরের যুবক শামীম মাদবরকে বিয়ে করতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন ভিনদেশী তরুণী ইফহা।

শুক্রবার সকালে বিয়ের জন্য সাজতে শিবচর পৌর এলাকার ‘পাকিস্তানি বিউটি পার্লার’ নামের একটি বিউটি পার্লারে গিয়ে সাজগোজের সময় তার আইফোনটি চুরি হয়ে যায়।

জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ওই পার্লারে থাকা অবস্থাতেই নিজের আইফোন ১৫+ মডেলের ফোনটি একটি টেবিলের উপর রাখেন। পরে ফোনটি আর খুঁজে পাননি তিনি।

এ ঘটনায় শিবচর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।

তরুণীর স্বামী শামীম মাদবর বলেন, ‘সকালে শিবচরের স্বর্ণকার পট্টির পাকিস্তানি বিউটি পার্লারে সাজার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ইফহাকে। পার্লারের ভেতরে সাজের সময় ফোনটি চুরি হয়। পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বোরকা পরিহিত এক নারী পার্লারের দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে ফোনটি নিয়ে দ্রুত বের হয়ে যান।’

তিনি বলেন, ‘এটি খুবই দুঃখজনক। পার্লারে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। পরে আমরা শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।’

পাকিস্তানি বিউটি পার্লারের স্বত্তাধিকারী রেশমা আক্তার বলেন, ‘আমার পার্লারে সারাক্ষণই কাস্টমার থাকে। ওই বিদেশী মেয়ে আর তার সঙ্গে আরও একজনসহ দুইজন সাজের জন্য আসেন। ফোনটি সারাক্ষণই তার হাতে ছিল। সাজ শেষে তিনি ফোনটি নিয়ে দরজার কাছের টেবিলের ওপর রেখে নাকফুল পরতে গেলে ওই সময়ই বোরকা পরা এক মহিলা এসে ফোনটি নিয়ে বেরিয়ে যান। তখন আমি আরেকটি কাজ করছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় কাস্টমারের মালামাল নিজেদের সঙ্গে রাখতে বলি। নিজ দায়িত্বে রাখার জন্য বলা হয়।’

শিবচর থানার ওসি সুব্রত গোলদার বলেন, ‘ভুক্তভোগী এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা তদন্ত করছি।’

আরও পড়ুন:
টিকটকে প্রেম, উড়ে এসে মাদারীপুরে বিয়ে ইন্দোনেশীয় তরুণীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Abdallah a Kuwaiti is impressed by Chouddagram

চৌদ্দগ্রামে মুগ্ধ কুয়েতি আবদুল্লাহ

চৌদ্দগ্রামে মুগ্ধ কুয়েতি আবদুল্লাহ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের প্রকৃতি বেশ টেনেছে কুয়েতি আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আল বন্দরকে। ছবি: নিউজবাংলা
কয়েক দিন আগে বন্ধুর মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের শ্রীপুর ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া গ্রামে আসেন কুয়েতি আবদুল্লাহ। বন্ধুর মেয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে সবকিছুতেই মুগ্ধ হয়েছেন তিনি। গ্রামের প্রাণ-প্রকৃতিও তাকে বেশ টেনেছে। 

‘আমি এখন বাংলাদেশে। আমার বন্ধুর মেয়ের বিয়েতে এসেছি। এখানকার কৃষিজমিতে ফসল সুন্দর। মানুষজন আমাকে আপন করে নিয়েছে।

‘আমি খুব আনন্দে আছি। বিয়েতে দারুণ সব খাবারের আয়োজন করেছে। আমি মুগ্ধ। বন্ধুরা, ভিডিওতে তোমরা দেখো।’

আরবি ভাষায় এভাবে নিজের সুখানুভূতি প্রকাশ করছিলেন কুয়েতি নাগরিক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আল বন্দর।

চৌদ্দগ্রামে মুগ্ধ কুয়েতি আবদুল্লাহ

কয়েক দিন আগে বন্ধুর মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের শ্রীপুর ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া গ্রামে আসেন এ কুয়েতি। বন্ধুর মেয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে সবকিছুতেই মুগ্ধ হয়েছেন তিনি। গ্রামের প্রাণ-প্রকৃতিও তাকে বেশ টেনেছে।

নিজের গ্রামে কুয়েতি বন্ধুকে পেয়ে আনন্দিত তার বন্ধু ইকবাল হোসেনসহ স্থানীয়রা। শনিবার সকালে দেখা যায়, স্থানীয়দের নিয়ে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আল বন্দর ঘুরে ঘুরে ছবি তুলছেন। মোবাইল ফোনে লাইভে যাচ্ছেন। শিশুদের মতো উল্লাস প্রকাশ করছেন।

চৌদ্দগ্রামে মুগ্ধ কুয়েতি আবদুল্লাহ

বন্ধুত্ব যেভাবে

কুয়েতির সঙ্গে কীভাবে বন্ধুত্ব হলো সে বিষয়ে ইকবাল বলেন, ‘২০১৫ সালে আমি কুয়েতে যাই। সেখানে কাজের সুবাদে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। এখন অবসরে আছেন।

‘কাজের সুবাদে আমাদের সম্পর্ক গাঢ় হয়। আমরা একে অপরের বন্ধু হই। বয়সের একটু ব্যবধান থাকলেও মনের কোনো ব্যবধান নেই আমাদের।’

তিনি বলেন, “গত বছরের শেষের দিকে আমি আমার বন্ধু আবদুল্লাকে বলি আমার মেয়ের বিয়ের বিষয়ে। সে আমাকে বলে, ‘তোমার মেয়ের বিয়ে দেখতে তোমার দেশে যাব।’ যেই কথা সেই কাজ।

“গত ১৪ ফেব্রুয়ারিতে সে কুয়েত থেকে আমার বাড়িতে আসে। আমি খুব অবাক হয়েছি। সে এখানে খুব আনন্দ করছে। আমার মেয়ের বিয়েতে এসে ছবি ভিডিও তুলে রাখছে। কুয়েতে গিয়ে সবাইকে দেখাবে।”

ইকবালের ভাই এসএন ইউসুফ বলেন, ‘আমার ভাতিজির বিয়েতে একজন কুয়েতি নাগরিক এসেছেন। তিনি আমার ভাইয়ের বন্ধু। অন্য একটি দেশ থেকে এসে তিনি যে আনন্দ পাচ্ছেন, আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে।

‘কুয়েতি নাগরিক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আল বন্দর আমাদের গ্রামে এ বিয়েতে অংশগ্রহণ করাতে বিয়ের উৎসব আরও দ্বিগুণ হয়েছে।’

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, ‘শুনেছি একজন কুয়েতি নাগরিক চৌদ্দগ্রামের শ্রীপুর ইউনিয়নে তার বন্ধুর মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছেন। তিনি বেশ কিছুদিন বাংলাদেশে অবস্থান করবেন।

‘কুয়েতি নাগরিকের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। তার আগমনকে আমরা স্বাগত জানাই।’

আরও পড়ুন:
সাবেক এমপি আবুল হাশেমের জানাজা সম্পন্ন
কুমিল্লায় স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় ঢাকায় গ্রেপ্তার ৫
পরিবেশবান্ধব ভার্মি কমপোস্টে বাড়তি আয়
নির্বাচনে জিতেই সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদা বন্ধ করলেন এমপি আজাদ
কুমিল্লায় এক কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার প্রত্যাহার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh should not be a country of Razakars Prime Minister

বাংলাদেশ যেন রাজাকারদের দেশ না হয়: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ যেন রাজাকারদের দেশ না হয়: প্রধানমন্ত্রী জার্মানির মিউনিখের হোটেল বার্গারহাউস গার্চিংয়ে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত সংবর্ধনায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। অবশ্যই এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। দেশকে কেউ যেন পেছনের দিকে ঠেলে দিতে ও রাজাকারের দেশে পরিণত করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।’

বাংলাদেশকে যাতে রাজাকারদের দেশে পরিণত করা না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে জার্মানির মিউনিখের হোটেল বার্গারহাউস গার্চিংয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত সংবর্ধনায় তিনি এ আহ্বান জানান বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। অবশ্যই এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। দেশকে কেউ যেন পেছনের দিকে ঠেলে দিতে ও রাজাকারের দেশে পরিণত করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।’

বক্তব্যে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, দেশের প্রতিটি ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে।

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আমরা জাতির পিতার বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট সোনার বাংলাদেশে রূপান্তরিত করব।’

সরকারপ্রধান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ফল সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় বৃথা যেতে দেবেন না।

তিনি বলেন, ‘আমি কখনই ভাবি না আমার কী দরকার, বরং আমি ভাবি যে আমি দেশ এবং এর জনগণের উন্নতির জন্য কী করতে পারি।’

ওই সময় শেখ হাসিনা বলেন, তার সন্তানরাও জনগণের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করেছেন।

আওয়ামী লীগকে গণমুখী দল হিসেবে আখ্যায়িত করে দলটির সভাপতি বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের মানুষ মাতৃভাষা বাংলা ও দেশের স্বাধীনতা সহ সব কিছু পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমাদের দল ক্ষমতায় থাকায় আমরা কোভিড-১৯ মহামারির মতো বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পেরেছি।’

আরও পড়ুন:
পাচারের টাকা ফেরাতে ১০ দেশের সঙ্গে চুক্তি প্রক্রিয়াধীন
জনগণই আমার আপনজন: প্রধানমন্ত্রী
সংরক্ষিত আসনে আগ্রহীর সংখ্যাই নারী জাগরণের প্রমাণ: প্রধানমন্ত্রী
অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নে গুরুত্ব দিন: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা ঠেকাতে আনসার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Without BNPs politics of denial the country would have progressed further
ব্রাসেলসে নাগরিক সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনপির ‘পলিটিক্স অফ ডিনায়াল’ না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত

বিএনপির ‘পলিটিক্স অফ ডিনায়াল’ না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত বাংলাদেশ কমিউনিটি বেলজিয়ামের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে ফুল ও সংবর্ধনা স্মারক দিয়ে ভূষিত করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশকে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন বলেই বিশ্বের সকল দেশ বাংলদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশকে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন বলেই বিশ্বের সকল দেশ বাংলদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কালচার মিলনায়তনে স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ কমিউনিটি বেলজিয়াম এবং বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ এক নাগরিক সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। ওই সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী রতন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ব্রাসেলসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ ও সাবেক রাষ্ট্রদূত ইসমত জাহান। এ ছাড়া ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাশেম, ড. ফারুক মির্জা, মোতাহার চৌধুরী, মনির হোসেন পলিন প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।

ড. হাছান বলেন, ‘উন্নয়নের সকল সূচকে বাংলাদেশ আজ অনেক দূর এগিয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের ‘পলিটিক্স অফ ডিনায়াল’ এবং ‘পলিটিক্স অফ কনফ্রন্টেশন’ অর্থাৎ সবকিছুতে না বলার অপসংস্কৃতি ও সাংঘর্ষিক রাজনীতি যদি না থাকত, তাদের জ্বালাও-পোড়াও যদি না থাকতো, তাহলে দেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যেত।

এ সময় রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখার জন্য প্রবাসীদের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসীদেরকে সব সময় বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়েছেন বলেও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

প্রবাসী বক্তারা বেলজিয়ামে দীর্ঘকাল অধ্যয়নকারী ড. হাছান মাহমুদকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তারা বাংলাদেশ কমিউনিটি বেলজিয়ামের পক্ষ থেকে মন্ত্রী হাছান মাহমুদকে ফুল ও সংবর্ধনা স্মারক দিয়ে ভূষিত করেন।

এর আগে শুক্রবার ব্রাসেলসে তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টেরিয়াল ফোরামে দেশের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন ড. হাছান। ফোরামে বক্তৃতার পাশাপাশি তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাইস-প্রেসিডেন্ট, কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপস, কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট এবং দশটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

আরও পড়ুন:
সরকার পতনে আবার মাঠে নামবে বিএনপি: ফারুক
নির্বাচন নিয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের নিন্দা বিএনপির
টিআইবির দুর্নীতি পরীক্ষা করা দরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গয়েশ্বরের অভিযোগ নাকচ করলেন রুশ রাষ্ট্রদূত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A young man from Jamalpur was killed in a road accident in Bahrain

বাহরাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় জামালপুরের যুবক নিহত

বাহরাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় জামালপুরের যুবক নিহত বাহরাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ফরহাদ মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
নিহত ফরহাদের সাবেক সহকর্মী আরমান জানান, বুধবার সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় তার গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্য একটি গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন ফরহাদ। পরে স্থানীয়রা তাকে দেশটির মানামা সালমানিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাহরাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় ফরহাদ মিয়া নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দেশটির বাবাল বাহরাইন মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

৩২ বছর বয়সী ফরহাদ মিয়া জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার কড়ইচড়া ইউনিয়নের মৃত আব্দুল আজিজ মন্ডলের ছেলে।

কড়ইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন ফরহাদের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের সাবেক সহকর্মী ফজলুল হক আরমান জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার বিষয়টি বাহারাইনে থাকা সহকর্মীদের মাধ্যমে জেনেছি।

তিনি বলেন, ‘৬ বছর আগে বাহরাইনে যান ফরহাদ। সেখানে তিনি নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন এবং বাহরাইনের মানাম সিটিতে থাকতেন। বুধবার সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় তার গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্য একটি গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে দেশটির মানামা সালমানিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

নিহতের মরদেহ ওই হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলেও জানান আরমান।

এদিকে ফরহাদের মৃত্যুর খবর শোনার পর পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

স্ত্রী ও আট বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রেখে গেছেন ফরহাদ মিয়া।

আরও পড়ুন:
মালয়েশিয়ায় ১৭ মাস নিখোঁজ হাচিবুর, সন্তানের খোঁজে পাগলপ্রায় মা-বাবা
নিউইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেটি তরুণী নিহত

মন্তব্য

p
উপরে