× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Pigeons are 8 times more than toll ferries
google_news print-icon

পায়রায় টোল ফেরির চেয়ে ৭ গুণ বেশি

পায়রায়-টোল-ফেরির-চেয়ে-৭-গুণ-বেশি
পায়রা সেতু দিয়ে যান চলাচলের আনুষ্ঠানিক শুরু চলতি মাসেই। ছবি: নিউজবাংলা
সেতুর নিচে ফেরি পারাপারে যে মাশুল নির্ধারণ করা ছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি টোল নির্ধারণ করা হয়েছে পায়রা সেতুতে। এ নিয়ে পরিবহন মালিকদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। তারা দাবি করছেন, হয় টোল কমানো হোক, না হলে বাড়ানো হোক বাসের ভাড়া।

চলতি মাসে যেকোনো দিন উদ্বোধনের পর যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার কথা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু পায়রা সেতু। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো সেতুটি দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক যোগাযোগে নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে।

তবে অতিরিক্ত টোল নির্ধারণে পরিবহন ব্যবসায়ীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে হতাশা। এ অবস্থায় হয় টোল পুনর্নির্ধারণ, না হয় যাত্রীদের বাসভাড়া বাড়ানোর দাবি তুলছেন পরিবহন মালিকরা।

পটুয়াখালীর লেবুখালী নদীর ওপর পায়রা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। এর ৮২ ভাগ অর্থ বহন করছে কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট এবং অ্যাপেক্স ফান্ড।

২০১৬ সালের ২৪ জুলাই শুরু হওয়া এ সেতুর এরই মধ্যে ৯৯ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ১ হাজার ৪৭০ মিটার দীর্ঘ এবং ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার প্রস্থের সেতুর দুই পারে প্রায় সাত কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক রয়েছে। নদীশাসনের কাজও প্রায় শেষ।

বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, সেতু হলে বরিশাল থেকে কুয়াকাটা যেতে আর কোনো ফেরি থাকছে না। সময় লাগবে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। বরিশাল বিভাগে এত বড় সৌন্দর্যমণ্ডিত সেতু দ্বিতীয়টি নেই।

পর্যটনসহ জাতীয় অর্থনীতিতে প্রভাব

পটুয়াখালী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, এতে দক্ষিণাঞ্চলে অর্থনৈতিক বিকাশের নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।

পায়রায় টোল ফেরির চেয়ে ৭ গুণ বেশি


তিনি বলেন, ‘দুই সেতু চালু হলে ঢাকা থেকে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টায় কুয়াকাটায় আসা যাবে। তখন অনেকেই সকালে রওনা হয়ে কুয়াকাটা এসে বিকেলে আবার ঢাকায় ফিরে যেতে পারবে। ফলে কক্সবাজারের চেয়ে কুয়াকাটা হবে তখন হটস্পট।

‘এতে পর্যটন খাতেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। দেশের বড় বড় শিল্পোদ্যোক্তারা তখন এ অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে আসবেন। পায়রা সমুদ্রবন্দর পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে এখান থেকে সড়কপথে স্বল্প সময়ে ঢাকাসহ সারা দেশে পণ্য আনা-নেয়া সহজ হবে।’

পায়রা সেতু প্রকল্পের সপ্তম পরিচালক আবদুল হালিম জানান, সেতুর নির্মাণকাজ ৯৯ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া উদ্বোধনের আগেই সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন করতে পারবেন বলে তিনি মনে করেন।

তিনি বলেন, নদী শাসনের ৮৮ ভাগ কাজ প্রায় সম্পন্ন। বাকি কাজ সেতু উদ্বোধনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

সময় লাগল সাড়ে ৯ বছর

২০১২ সালের মে মাসে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে পটুয়াখালীর লেবুখালী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রকল্পে অনুমোদন দেয় সরকার। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মিত প্রকল্পটি ৪১৩ দশমিক ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু গত সাড়ে ৯ বছরে এ প্রকল্পের ব্যয় তিনবার সংশোধন করে দুইবার সময়সীমা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে এবং প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তন করা হয়েছে ছয়বার। যার ফলে এখন প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা, যা আনুমানিক ব্যয়ের প্রায় সাড়ে তিন গুণের বেশি।

এত বিলম্ব কেন?

প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হালিমের মতে, প্রাথমিকভাবে একটি ধারণাগত নকশার ভিত্তিতে প্রকল্প ব্যয় অনুমান করা হয়েছিল। পরে বিস্তারিত নকশা অনুসারে প্রকৃত নির্মাণ ব্যয় চূড়ান্ত করা হয়।

এরপর পাইলিংয়ের নকশা পরিবর্তন এবং ১৩০ মিটার লম্বা পাইল খাড়া করতে হয়, তখনও ব্যয় বেড়ে যায়।

প্রকল্প পরিচালকের মতে, করোনা মহামারি এ সেতুর নির্মাণকাজের গতিকে ধীর করে দেয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি চীনের। অনেক উপকরণ চীন থেকে সংগ্রহ করতে হয়েছে। এটিও প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ার অন্যতম কারণ।

টোলের হার বেশি

সেতুর টোল নির্ধারণ নিয়ে পরিবহন খাতসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

পায়রায় টোল ফেরির চেয়ে ৭ গুণ বেশি

গত ১৮ মার্চ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের (টোল অধিশাখা) উপসচিব ফাহমিদা হক খান স্বাক্ষরিত এক গেজেটে সেতুটির টোল নির্ধারণ করা হয়।

সেতুতে ট্রেইলার ৯৪০ টাকা, ভারী ট্রাক ৭৫০ টাকা, মিডিয়াম ট্রাক ৩৭৫ টাকা, বড় বাস ৩৪০ টাকা, মিনি ট্রাক ২৮০ টাকা, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যান ২২৫ টাকা, মিনিবাস-কোস্টার ১৯০ টাকা, মাইক্রোবাস ১৫০ টাকা, ফোর হুইল যানবাহন ১৫০ টাকা, সেডান কার ৯৫ টাকা, তিন-চার চাকার যান ৪০ টাকা, মোটরসাইকেল ২০ টাকা, রিকশা, ভ্যান, সাইকেল, ঠেলাগাড়ি ১০ টাকা হারে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।

অথচ ওই সেতুর নিচে লেবুখালী নদী পারাপারে ফেরিভাড়া মোটরসাইকেল ৫ টাকা, প্রাইভেট কার ৪০ টাকা, যাত্রীবাহী বাস ৫০ টাকা, বড় ট্রাক ২৫০ টাকা আদায় করা হতো।

ফেরি পারাপারে যাত্রীবাহী বাসের ভাড়ার তুলনায় সেতুর টোল নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৭ গুণ বেশি। এত বেশি টোল কেন নির্ধারণ করা হয়েছে, তার সঠিক কোনো কারণ জানা নাই কারও।

টোল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক গাড়ির চালকসহ স্থানীয় লোকজন।

বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কে যাত্রীবাহী বাসচালক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘৫২ সিটের আমার এই গাড়িতে যাত্রী আছে মাত্র ২৫ জন। তাও আবার সবাই বরিশালে যাবে না। পথিমধ্যে কয়েকটি স্টেশনে নেমে যাবে আটজন। ১৭ জনকে নিয়ে আমার বরিশালে যেতে হবে। প্রায় সময়ই যাত্রীর সংখ্যা এ রকম হয়।

‘পটুয়াখালী থেকে বরিশাল মাত্র ৪০ কিলোমিটার, পথে টোল আছে তিনটি। পটুয়াখালী সেতুতে দিতে হয় ৫০ টাকা, পায়রা সেতুতে ৩৪০ টাকা আর দপদপিয়া সেতুতে দিই ৫০ টাকা। দেশের অন্য কোনো সেতুতে এত বেশি টোল আছে কি না আমি জানি না। আমি মনে করি, ফেরিভাড়া দ্বিগুণ যদি করে, তাহলেও মোটামুটি চলে।’

সেবাহান নামের ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক জানান, ‘আগে ফেরিতে দিতাম ৫ টাকা, কিন্তু এই ব্রিজে উঠলেই এহন ২০ টাকা দিতে হবে। ১০০ টাকা কামাই করতে অনেক সময় লাগে। যাত্রীও পাওয়া যায় না। হ্যার মধ্যে যদি আসা-যাওয়ায় ২০ করে ৪০ টাহা দিতে হয়, তাহলে তো মোটরসাইকেল নিয়া অদিকে (বরিশালের দিকে) আর যাওন যাইবে না।’

পায়রায় টোল ফেরির চেয়ে ৭ গুণ বেশি

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পটুয়াখালী বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মো. রিয়াজ উদ্দিন মৃধা বলেন, টোল পুনর্নির্ধারণ করা না হলে বরিশাল থেকে পটুয়াখালী রুটের পরিবহন ব্যবসা বন্ধ হবার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ লোকসান দিয়ে কেউ গাড়ি চালাবে না।

তিনি বাসের সরকার নির্ধারিত ভাড়া বাড়ানো অথবা টোল কমানোর আহ্বান জানান। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যেকোনো সেতুর টোল নির্ধারণের আগে বাস মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা উচিত।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বরিশাল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, ‘ফেরি ও সেতুর টোলের বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। সড়ক পরিবহন বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে টোল নির্ধারিত হয়ে থাকে। এতে আমাদের কোনো হাত নেই।’

একই কথা জানান পায়রা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবদুল হালিম। তার মতে, এটি দেখভাল করছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এখানে তাদের কিছু করার নেই। সরকারের সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় এটি বাস্তবায়ন করছে।

আরও পড়ুন:
সেতুতে বন্ধ লেবুখালি ঘাট, কেউ খুশি কেউ স্মৃতিকাতর
পায়রা সেতু: ক্ষতি এড়াতে মিলবে পূর্বাভাস
অক্টোবরে পায়রা সেতুতে চলবে যান: ওবায়দুল কাদের
রাতের পায়রায় ঝলমলে সেতু
পান্ডব পায়রায় সেতুর অনুমোদনে নলুয়া-বাহেরচরে উচ্ছ্বাস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Bangladesh Bank will provide re financing assistance to BRAC Bank with start up financing

স্টার্ট-আপ অর্থায়নে ব্র্যাক ব্যাংককে পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টার্ট-আপ অর্থায়নে ব্র্যাক ব্যাংককে পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক

দেশের ক্রমবর্ধমান স্টার্ট-আপ খাতকে অর্থায়ন সুবিধা দিতে ব্র্যাক ব্যাংকের সাথে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এই চুক্তির আওতায় স্টার্ট-আপ খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের সৃষ্ট ৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল ব্যবহারের সুযোগ পাবে ব্র্যাক ব্যাংক, যা ব্যাংকটির এই খাতে অর্থায়ন সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে। এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো, অর্থায়ন সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে উদীয়মান উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং তাঁদেরকে জাতীয় অর্থনীতিতে আরও বেশি অবদান রাখতে উৎসাহিত করা।

২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন চুক্তিপত্র হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অংশগ্রহণকারী ২২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের সহায়তায় এই উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করা হবে।

এই সম্ভাবনাময় খাতের উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই খাতটি ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে টেকসই সম্পর্কও গড়ে তুলছে। ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধাটি উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী উদ্যোগ সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন পেতে সহায়তা করবে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তরুণ উদ্যোগগুলোর বিকাশে ব্যাংকটির ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখবে।

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৯১টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Signature of Strategic Partnership Agreement on Transport sector between Community Bank and SoulShare

কমিউনিটি ব্যাংক ও সোলশেয়ার এর মধ্যে পরিবহন খাত বিষয়ক কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর

কমিউনিটি ব্যাংক ও সোলশেয়ার এর মধ্যে পরিবহন খাত বিষয়ক কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর

দেশে বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার খাতে স্মার্ট ও জ্বালানি-সাশ্রয়ী ব্যাটারির ব্যবহার বাড়াতে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও সোলশেয়ার লিমিটেড কৌশলগত অংশীদারিত্বে যুক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিমিয়া সাআদত এবং সোলশেয়ার লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ড. সেবাস্টিয়ান গ্রোহ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের, হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম; হেড অব এডিসি অ্যান্ড হেড অব এমডি’স কোঅর্ডিনেশন টিম মো. মামুন-উর রহমান; সোলশেয়ার-এর ফাইন্যান্স ডিরেক্টর আনিসা আলী, সিএফএ সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এই অংশীদারিত্বের ফলে দেশের শত শত বৈদ্যুতিক পরিবহনের গ্যারেজ সহজেই স্মার্ট ব্যাটারি প্রযুক্তি গ্রহণে সক্ষম হবে। এখন পর্যন্ত উচ্চ ব্যয়ের কারণে অনেক উদ্যোক্তা ব্যাটারি ব্যবহারে আগ্রহী হলেও অর্থায়নের সীমাবদ্ধতায় তা সম্ভব হচ্ছিল না। কমিউনিটি ব্যাংকের গ্রিন এসএমই ঋণ সুবিধা ও সোলশেয়ার -এর উদ্ভাবনী পে-অ্যাজ-ইউ-গো (পিএওয়াইজি) প্রযুক্তি একত্রে উদ্যোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী, নমনীয় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।

এ উদ্যোগের মাধ্যমে গ্যারেজ মালিকরা টেকসই অর্থায়ন সুবিধা পাবেন, দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে জ্বালানি-সাশ্রয়ী ব্যাটারি ব্যবহার, দেশের বৈদ্যুতিক পরিবহন খাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হবে এবং বাংলাদেশ পরিচ্ছন্ন জ্বালানির দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

এই উদ্যোগকে দেশের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ও টেকসই পরিবহন ব্যবস্থার জন্য এক মাইলফলক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jamuna Bank and Apollo Clinic License to Pay World Other Health Services Understanding agreement between JMI Specialized Hospital

বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে যমুনা ব্যাংক ও অ্যাপোলো ক্লিনিক লাইসেন্সঃ জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি

বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে যমুনা ব্যাংক ও অ্যাপোলো ক্লিনিক লাইসেন্সঃ জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি

যমুনা ব্যাংক পিএলসি. এবং অ্যাপোলো ক্লিনিক লাইসেন্সঃ জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে রাজধানীর যমুনা ব্যাংক টাওয়ারে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। যমুনা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিবিও নূর মোহাম্মদ এবং অ্যাপোলো জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের উপদেষ্টা মসিউর রহমান কামাল উক্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে যমুনা ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মো. আব্দুস সালামসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই চুক্তির মাধ্যমে যমুনা ব্যাংক তাদের সম্মানিত গ্রাহক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাঁদের পোষ্যদের জন্য বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা আরও সহজলভ্য ও সুফলদায়ক করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করল। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অ্যাপোলো ক্লিনিকের লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতালের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব গ্রাহকদের জন্য বিশেষ সুবিধাসহ উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shahjalal Islami Bank gave financial assistance to the poor farmers and rickshaw drivers in Comilla

কুমিল্লার হতদরিদ্র কৃষক ও রিকশাচালককে আর্থিক সহায়তা দিল শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক

কুমিল্লার হতদরিদ্র কৃষক ও রিকশাচালককে আর্থিক সহায়তা দিল শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত সোমবার কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার হতদরিদ্র কৃষক ও রিকশাচালককে স্ত্রী ও সন্তানের চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির করপোরেট প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ইমতিয়াজ ইউ. আহমেদ হতদরিদ্র কৃষক ও রিকশাচালক মো. মেহেদী হাসানকে ওই অনুদানের চেক প্রদান করেন।

ওই অনুদানের চেক প্রদানকালে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির এসইভিপি ও কোম্পানি সচিব জনাব মো. আবুল বাশার, ব্যাংকের এসএভিপি মো. জাকির হোসেন, ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগ ও ব্যাংক ফাউন্ডেশনের ইনচার্জ কে. এম. হারুনুর রশীদ এবং ব্যাংক ফাউন্ডেশন এর এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. কামাল মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্ত ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্ত ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্ত ব্যাংকের উদ্যোগে শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) এবং টেকনাফ (কক্সবাজার) উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপনের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা হয় এবং বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করা হয়। শ্যামনগরের ৭টি এবং টেকনাফে ২টি বিদ্যালয়ে গাছের চারা রোপণ করা হয়।

সীমান্ত ব্যাংকের টেকনাফ শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হোসেন এবং শ্যামনগর উপশাখার ব্যবস্থাপক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম যথাক্রমে টেকনাফ এবং শ্যামনগরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী সমন্বয় করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীগন স্বতঃস্ফূর্তভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prime Bank stands next to ICDDR B for life saving tuberculosis in Sylhet

সিলেটে জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা চিকিৎসায় আইসিডিডিআর,বি-এর পাশে দাঁড়ালো প্রাইম ব্যাংক

সিলেটে জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা চিকিৎসায় আইসিডিডিআর,বি-এর পাশে দাঁড়ালো প্রাইম ব্যাংক

বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজারো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে যক্ষ্মা (টিবি)। কেবল ২০২৩ সালেই ৪৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে- ফলে প্রতি ১২ মিনিটে একজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন যক্ষ্মায়। এই জাতীয় সংকট মোকাবেলায় সাহসী উদ্যোগ নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করতে প্রাইম ব্যাংক বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি-এরর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে।

আজ (০৯ সেপ্টেম্বর) গুলশানে প্রাইম ব্যাংকের করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রাইম ব্যাংক এক বছরের জন্য আইসিডিডিআর,বি-এর সিলেট টিবি স্ক্রিনিং অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার (TBSTC)-এর যক্ষ্মা পরীক্ষার ও চিকিৎসা সেবার ধারাবাহিকতায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। প্রাইম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান ও. রশীদ এবং আইসিডিডিআর,বি-এর নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমীদ আহমেদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

দেশে যক্ষ্মা প্রতিরোধে দীর্ঘদিনের আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৫ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে স্ক্রিনিং করেছে। এ সময়ে শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজারের বেশি টিবি রোগী, যার মধ্যে ১৮ হাজার শিশু। পাশাপাশি ৫,৫০০-এরও বেশি ওষুধ-প্রতিরোধী টিবি রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এই সহযোগিতার মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কমিউনিটির কল্যাণে তাদের অঙ্গীকার আরও জোরদার করছে। ব্যাংকটি প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু হ্রাস এবং একটি সুস্থ, সহনশীল বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bonded Warehouse Licensed

বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানিকৃত পণ্যচালান শুল্কায়নের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা প্রদান

বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানিকৃত পণ্যচালান শুল্কায়নের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা প্রদান

উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো।

০২। সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কাস্টমস হাউস/স্টেশনে আমদানিকালে দাখিলকৃত পণ্য ঘোষণায় প্রদত্ত পণ্যের বর্ণনা ও HS Code কায়িক পরীক্ষায় পণ্যের নমুনা কিংবা শুল্কায়ন পরবর্তী সময়ে পণ্যের ঘোষিত বর্ণনা পরিবর্তিত হয়, যা ক্ষেত্রবিশেষে প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স অথবা প্রাপ্যতা শীট বা সংশ্লিষ্ট Utilization Declaration (UD) তে অন্তর্ভূক্ত থাকে না। ফলে শুল্কায়নকালে উহা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে যথাসময়ে কাঁচামাল/পণ্য খালাস না হওয়ায় রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য জাহাজীকরণে বিঘ্ন ঘটছে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অবগত হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বর্তমানে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ও রপ্তানি বাণিজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে জরুরি বিবেচনায় নিম্নরূপ নির্দেশনা প্রদান করা হলো:

(ক) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন HS Code নিরূপণ করলে এবং নিরূপিত HS Code এর প্রথম ৪ ডিজিট বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত HS Code এর প্রথম ৪ ডিজিট এর সাথে মিল থাকলে; আমদানিকারক পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে এই নিরূপিত HS Code বন্ড লাইসেন্সে ও ইউডিতে অন্তর্ভূক্ত করবেন মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউস এর কমিশনার এর নিকট দাখিল করবেন যার বিপরীতে কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।

(খ) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন বর্ণনা নিরূপণ করলে; আমদানিকারক পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উক্তরূপ নিরূপিত পণ্যের বর্ণনা বন্ড লাইসেন্সে ও ইউডিতে অন্তর্ভূক্ত করবেন মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউস এর কমিশনার এর নিকট দাখিল করবেন যার বিপরীতে কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।

গ) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভিন্ন HS Code নিরূপণ করা হলে এবং বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কাস্টমস বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটের মাধ্যমে তার প্রাপ্যতায় উক্ত HS Code অন্তর্ভুক্ত করলে কাস্টমস হাউস এর কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করবেন এবং পণ্য চালান খালাসের তথ্য সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।

০৩। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে; এবং বর্তমানে উক্তরূপ কারণে শুল্কায়ন নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষমান পণ্যচালানসমূহের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

মন্তব্য

p
উপরে