× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Who will vote for BNP in any happy dream for any reason
google_news print-icon

কারা, কী কারণে, কোন সুখের স্বপ্নে বিএনপিকে ভোট দেবে

কারা-কী-কারণে-কোন-সুখের-স্বপ্নে-বিএনপিকে-ভোট-দেবে
জাতিসংঘের অধিবেশনে অংশ নিয়ে দেশে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
‘ওদের কে ভোট দেবে? আমি সাংবাদিকদের কাছে জিজ্ঞেস করি- কারা, কী কারণে, কোন সুখের স্বপ্নে বিএনপি বা অন্যদের ভোট দেবে? আমরা কিছু করলাম কি না, সেটাও একটু তুলনা করেন।’

জাতিসংঘ সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী জাতীয় নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন গঠনসহ কথা বললেন নানা বিষয়ে।

আওয়ামী লীগ প্রধান অনেকটাই নিশ্চিত, জনগণ আবার তাদেরই ভোট দেবে। অন্যদের কী কারণে ভোট দেবে- এমন প্রশ্ন তুলে তিনি পরে আবার বলেন, যদি আওয়ামী লীগকে ভোট না দেয়, তাহলে ক্ষমতায় থাকার কোনো আগ্রহ নেই।

রাজনীতিতে আপাতদৃষ্টিতে তেমন চ্যালেঞ্জের মুখে না থাকলেও আত্মতুষ্টিতে না ভোগার কথাও বলেছেন শেখ হাসিনা। বলেছেন, খরগোশ আর কচ্ছপের যে গল্প আছে, সেটি মাথায় আছে তারও। প্রতিপক্ষকে অবহেলা করে তিনি তাদের সুবিধা করে দিতে চান না।

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়েও কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়েছেন, আগের দুইবারের মতো এবারও কমিশন গঠন করা হবে সার্চ কমিটির মাধ্যমেই।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশন ও সাইডলাইনে উচ্চপর্যায়ের অংশ নেয়া আলোচনার বিষয়ে অবহিত করতে সোমবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা প্রথমে রাখেন লিখিত বক্তব্য। এতে তার বক্তব্যে সফরের বিষয়ে বিবৃতি ছিল।

তবে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশ্ন রাখেন সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অন্যান্য ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে।

মাথায় খরগোশ-কচ্ছপের গল্প

আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এত আগে কেন মাঠে নামল সরকারি দল- এ বিষয়টি নিয়ে শেখ হাসিনার মন্তব্য জানতে চান একজন সংবাদমাধ্যমকর্মী।

জবাবে ক্ষমতাসীন দলের নেতা বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি এ জন্য যে, আমি নির্বাচনে বিশ্বাস করি, জনগণের ভোটে বিশ্বাস করি। আমি কখনোই আত্মতুষ্টিতে ভোগি না যে, আমি এত কাজ করেছি যে আমার অপজিশন নাই। তাহলে ওই খরগোশ আর কচ্ছপের দৌড়ের মতো অবস্থা হবে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটাকে আমরা নির্বাচন হিসেবেই দেখতে চাই। জনগণের ভোট যাতে পাই, এ জন্য জনগণের কাছে যেতে চাই। জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করে জনগণের ভোটেই ক্ষমতায় ফিরতে চাই। জনগণ ভোট না দিলে আসব না, পরিষ্কার কথা। আর প্রতিপক্ষ কে হতে পারল কে পারল না, এটা তাদের ব্যাপার।’

দলকে সুসংগঠিত করা আর ভোটের জন্য জনগণের কাছে যাওয়া সব রাজনৈতিক দলেরই উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘অপরপক্ষে কী আছে না আছে, সেটা করার আগে নিজেরটা করতে হবে। কাজেই বিরোধী দলে কেউ নেই, এ জন্য আত্মতুষ্টিতে বসে থাকব… সেটা কিন্তু থাকব না। আমার সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। মানুষের কাছে না গেলে তাদের কষ্ট কখনও জানা যায় না।’

রায় আ.লীগ পাবে নিশ্চিত শেখ হাসিনা

অপর এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী উল্টো জানতে চান, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণ কেন ভোট দেবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাধারণত জনগণ কাকে ভোট দেয়... তারা দেখে ক্ষমতায় যাবে কে। তারা তো (বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) ইলেকশনও করতে পারবে না। …তাদের ভেতর একটা বিশ্বাস যে, নির্বাচনে জিতবে বা ক্ষমতায় যাবে এই বিশ্বাসটা আর নাই। হারিয়ে গেছে।’

নির্বাচনব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান। বলেন, ‘তারা জানে তাদের কোনো সম্ভাবনা নাই। আর এ জন্যই এটাকে বিতর্কিত করা, এটাই চেষ্টা।

‘২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জনগণ কেন ভোট দিল? কারণ '৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত জনগণ অন্তত এটুকু পেয়েছিল যে, সরকার মানেই জনগণের সেবক। কিছু হলেও উন্নতি হয় দেশের।’

কেন মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে

বিএনপি ও তার সমমনাদের জনগণ কেন ভোট দেবে, সেই প্রশ্নও রাখেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘কে আছে এর বাহিরে, কাকে দেবে? এর বাহিরে আর কে আছে?

‘এই যে প্রশ্ন যারা তোলে, এর বাহিরে আর কে আছে যে ভোট দেবে। কার কাছ থেকে মানুষ কী পেয়েছে?

‘ওদের কে ভোট দেবে? আমি সাংবাদিকদের কাছে জিজ্ঞেস করি, কারা, কী কারণে, কোন সুখের স্বপ্নে বিএনপি বা অন্যদের ভোট দেবে? আমরা কিছু করলাম কি না, সেটাও একটু তুলনা করেন।’

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা দল কীভাবে জিতবে? তাদের নেতৃত্ব কোথায়? একজন (বেগম খালেদা জিয়া) এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আরেকজন (তারেক রহমান) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে দেশান্তরি, সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাদেরই নেতৃত্বেই রেখেছে। তাহলে জনগণ কোন ভরসায় তাদের ভোট দেবে?’

ক্ষমতা তার কাছে কোনো ভোগের বস্তু না বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘ও রকম আকাঙ্ক্ষা থাকলে তো আমার বাবাও যেমন অনেক আগে মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন, আমিও কিন্তু পারতাম। আমি কিন্তু তা হইনি।

‘আমার চিন্তা ছিল আমি যদি ক্ষমতায় যেতে পারি জনগণের জন্য যেন কাজ করতে পারি। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারি। আমরা তো এগিয়ে যাচ্ছিলাম, করোনা এসে না আমাদের একটু বাধা দিয়েছে। তারপরও তো আমরা বসে থাকিনি। এমন কাজ করেছি যাতে গ্রামে অর্থ সরবরাহ হয়।’

ভোট নিয়ে সমালোচনা প্রত্যাখ্যান

বিএনপি ভোট নিয়ে যেসব অভিযোগ তুলে থাকে, তার সবই প্রত্যাখ্যান করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘গত কয়েক দিন আগে যে নির্বাচন হলো আপনারা দেখেছেন ভোটাররা কিন্তু খুব স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেছে। তবে হ্যাঁ, বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছেন, আপনারা একবার কি চিন্তা করে দেখেছেন অনেক চেষ্টা হয়েছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে? শুধু তা-ই না, নির্বাচন যাতে না হয়, মানুষ যাতে না যায়, অগ্নিসন্ত্রাস থেকে শুরু করে হেন কাজ নেই যা না করা হয়েছে।

‘তারপরও নির্বাচন হয়েছে এবং এর পরে স্থিতিশীল পরিবেশ ছিল বলেই কিন্তু আজকে যে উন্নয়নটা দেখতে পারছেন, সেটা করা সম্ভব হয়েছে।’

বিএনপির জন্মের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন যেসব রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপিসহ যারা কথা বলে আসলে তারা নির্বাচন নিয়ে যে প্রশ্ন তোলে এই দলের জন্মটা কীভাবে? এটা কি কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত?’

শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের শেষ নির্বাচন প্রসঙ্গও তোলেন। বলেন, ‘আমি শুধু একটা কথা বলব বিএনপিকে, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তো তাদের কোনো অভিযোগ নাই। তাহলে সেটাতে তারা জিততে পারেনি কেন? তখন প্রশ্ন তোলেনি কেন?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এরপর যতটা নির্বাচন হয়েছে তাতে মানুষ তো ভোট দিয়েছে। আমরা যখন আধুনিক প্রযুক্তিতে গেলাম মানে ইভিএমে, সেটা নিয়েও প্রশ্ন। এখন এরা যেহেতু সব সময় ‘পরভাতে পালিত’। সেই জায়গাটা মনে হয় তাদের আর নেই।”

নির্বাচন কমিশন গঠন আগের নিয়মেই

সার্চ কমিটির মাধ্যমেই আগামী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি একটি সার্চ কমিটি করবেন তার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে।’

কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে আগামী ফ্রেব্রুয়ারিতে। আগামী নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কবে, কীভাবে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন তা নিয়েও আলোচনা তুঙ্গে।

মেয়র জাহাঙ্গীর প্রসঙ্গ

ঘরোয়া আলোচনায় গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁস হওয়া একটি ভিডিওতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধুর দেশ স্বাধীন করার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর গাজীপুরে যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, সে বিষয়েও আওয়ামী লীগ প্রধানের বক্তব্য জানতে চান একজন গণমাধ্যমকর্মী।

এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন দল জাহাঙ্গীরের কাছে বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছে আর গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, তার বক্তব্য কাটছাঁট করে ভিডিও ভাইরাল করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী এখনও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে চান না। বলেন, ‘ডিজিটাল যুগে কথা তো নানাভাবে ভেঙে ভেঙে কে কীভাবে প্রচার করেছে এটা জানান। এ জন্য তাকে (জাহাঙ্গীর) শোকজ করা হয়েছে। জবাব পেলে পার্টি বসবে, তখন সিদ্ধান্ত নেবে।’

বেশি কাজ বলে সমালোচনা

অন্য এক প্রশ্নে শেখ হাসিনা যা বলেন, তার অর্থ হচ্ছে, তিনি মনে করেন কাজ বেশি করেন বলেই সমালোচনা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘এত সুবিধা পেয়ে গালিটা আমার ওপর দিয়ে যাচ্ছে বা আওয়ামী লীগের ওপর দিয়ে যাচ্ছে, তাই তো? হবেই, কাজ বেশি, এটা তো আমাদের বাঙালিদের চরিত্রেই আছে। ভালো কাজ করলে মুখ ঘুরিয়ে বসে থাকা।’

টিউলিপের ওপর হামলা দুঃখজনক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের গাড়িতে হামলার ঘটনায় কাউকে দোষারোপ করতে চান না শেখ হাসিনা। তবে ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলেছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেক সাজাপ্রাপ্ত আসামি, সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের বহুজনের আবাস ইংল্যান্ডে। সেখানে একজন ব্রিটিশ এমপির গাড়িতে হামলা। সে শুধু বঙ্গবন্ধুর নাতনিই নয়, একজন এমপিও।

‘এরা কী জাতীয় লোক? ইংল্যান্ডের মতো জায়গায়, একটি সভ্য জায়গায় এ ধরনের অসভ্য ঘটনা ঘটে। সেখানে তো কিছু লোক আছেই। এটা দুঃখজনক। আমি কাউকে দোষারোপ করতে চাই না, এটা ব্রিটিশ সরকার খুঁজে দেখবে।’

গত বুধবার স্থানীয় সময় রাতে ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। তার বাড়ির বাইরে পার্ক করা গাড়িটির ছাদে রাজনৈতিক বার্তাও লিখে যায় দুর্বৃত্তরা। পাশাপাশি ভেঙে ফেলা হয় জানালার কাচ।

তালেবানে ভয় নেই বাংলাদেশের

আফগানিস্তানে উগ্রবাদী ধর্মীয় গোষ্ঠী তালেবানের উত্থানে বাংলাদেশের ভয়ের কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সার্কভুক্ত দেশটির ক্ষমতা কাঠামোতে এই পরিবর্তনের প্রভাব যেন বাংলাদেশে না পড়ে, সে জন্য সরকার সতর্ক বলেও জানিয়েছেন তিনি।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ বিষয়ে সোমবার ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘তালেবানকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভয় পেলেই ভয়, না পেলে কিছু নয়। একসময় যখন তালেবানের উত্থান হলো, তখন অনেকে আফগানিস্তান থেকে ট্রেনিং নিয়ে আসে। এ জন্য দেশে জঙ্গিবাদ তৈরি হয়। এর জন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

‘এটা যে মানুষের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না, মানুষ যে কষ্ট পায়, এ জন্য মানুষকে সচেতন হতে হবে। আমরা সতর্ক আছি এবং ব্যবস্থা নিচ্ছি যেন এ ঘটনার কোনো বাতাস আমাদের এখানে না আসে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ধরে রেখেই আমাদের এখানে যেন ওই ঘটনা না ঘটে, এ জন্য সচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা করছি। জনগণই মূল শক্তি। জনগণ শান্তি চায়। আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় থাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া এসেছে। এখন আর হাহাকার নেই। ভবিষ্যতে আরও উন্নত জীবন তারা পাবে।’

টিকা তৈরিতে প্রস্তুত দেশ

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনে সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘টিকা তৈরি করতে আমরা প্রস্তুত। এর জন্য ১০ একর জায়গা আমরা নিয়ে রেখেছি। এখানেই যাতে টিকা উৎপাদন করা যায়, সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।

‘আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছেন। আমরা ফর্মুলা চাই। এটা এখানেই আমরা প্রস্তুত করতে পারব। তৈরি টিকা পরীক্ষা করতে মলিকিউলার ল্যাবরেটরি দরকার। আমাদের ল্যাব তৈরি প্রায় শেষ পর্যায়ে।’

তিনি বলেন, ‘যখনই সুযোগ পাব নিজেরা যাতে তৈরি করতে পারি। আমাদের ফার্মাসিউটিক্যালস (পণ্য) ১০০টিরও বেশি দেশে যায়। আমরা পারব বলে আশা করি। চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে ভ্যাকসিন নিজেরাই তৈরি করতে পারি।

‘আমাদের দেশেও অনেকে টিকা নিয়ে গবেষণা করছেন। এটা ভালো লক্ষণ।’

‘জিয়ার নির্বিচার হত্যার স্বরূপ উন্মোচন চান প্রধানমন্ত্রী’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বিমান ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের ‘নির্বিচারে হত্যার’ স্বরূপ উন্মোচন হওয়া উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘সেই সময় বারবার ক্যু হয়েছে। ক্যুর নামে শুধু এয়ারফোর্সই না, সেনাবাহিনীরও বহু সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। এদের পরিবার লাশ তো পায়নি। বরং এরা যে গুম হয়ে গেল এটা নিয়ে কেউ কোনো কথাও বলেনি। এত বছর পর চেতনা এসেছে। এতকাল কেন সবাই এটা ভুলে ছিল?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়া ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই এটা করেছিলেন। সে সময় অনেক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকেও হত্যা করা হয়। তাকে (জিয়াউর রহমান) এমন ফেরেশতা বানানো হলো শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতার ঘোষক হয়ে গেল।

‘মিউটিনি বিচারের নামে ১১ অফিসারকে যে ফাঁসি দিল। জিয়া ক্ষমতায় থাকার সময় ক্যু এবং বিভিন্ন কারাগারে ফাঁসির হিসাব কেউ নেয়নি। আরও তথ্য বের হওয়া দরকার। এই পরিবারগুলো তো কিছু পায়নি। তাদের কথা কেউ জানতেও চায়নি।’

সরকারপ্রধান বলেন, এখন কমিশন গঠনের যে দাবি উঠেছে, আমি মনে করি এ জন্য ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় অনীহা

বিলাসিতায় নজর না দিয়ে গবেষণায় নজর দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় গবেষণায় বিশ্বাস করি। দুর্ভাগ্যজনক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণায় কেন যেন অনীহা। আমি যখনই দেশে ফিরেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেই বলি গবেষণা করতে হবে। এটা ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয়।

‘প্রাইম মিনিস্টার এডুকেশন ফান্ড করেছি। বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ ব্যবস্থা করেছি। সেখানেও গবেষণার টাকা দিই।’

তিনি বলেন, ‘মেডিক্যাল সায়েন্সে আমাদের কোনো গবেষণাই হয় না। দু-একজন করেন। আমি বুঝি না কেন এই অনীহা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি গবেষণা থাকত… একসময় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ছিল। সেটি ধীরে ধীরে কেন যেন কমে গেল। সব জায়গায় আলাদা ব্যবস্থা আমরা করছি গবেষণার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞানের ওপর গবেষণা বন্ধই ছিল। এবার আলাদা বাজেট দিয়েছি। মেগাপ্রকল্প স্যাটেলাইটের কারণে অনেকের অভিজ্ঞতা হয়েছে। যা যা সুবিধা দেয়া আছে। তারা কেন করেন না এটার জবাব আমি দিতে পারব না। কেন যেন অনীহা।

‘মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করছে, চিকিৎসা করে প্রাইভেটে যায় টাকা কামাতে। শুধু টাকা কামানোই চিন্তা হলে গবেষণা করবে কীভাবে? টাকার অভাব হবে না। আমি তো ফান্ড করে দিয়েছি। উদ্যোগের অভাব। সবার নজর বিলাসিতার দিকে।’

প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের দেশে একসময় আদর্শ নিয়ে সবাই চলত, এখন বিলাসিতায় নজর চলে গেছে। এখন সবাই মডেল হতে চায়, সমস্যা এখানে। বিলাসিতায় এত বেশি নজর, অন্য জায়গায় সময় দিতে পারে না।

‘তবে পরিবর্তন আসবে। আমি তো লেগে আছি। গবেষণা কিছু হচ্ছে বলে আজকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। একেবারে হচ্ছে না, তা নয়। এখন স্বাস্থ্য আর বিজ্ঞানে গবেষণায় নজর দিচ্ছি বেশি।’

শরণার্থী পালা ব্যবসা

নিজেদের স্বার্থের জন্য কেউ কেউ রোহিঙ্গাদের শরণার্থী করে রাখতেই বেশি আগ্রহী হিসেবে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বারবার তাগিদ দেয়ার পরও তারা সেটি করতে চায় না। কারণ কারও কারও কাছে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী করে রাখা একটা ব্যবসা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রিফিউজি থাকলে কিছু লোকের বোধ হয় একটু লাভই হয়। … অনেক প্রস্তাব আমরা পাই, যে রোহিঙ্গারা এখানে আছে, তাদের জন্য এটা করা হোক, ওটা করা হোক। সঙ্গে সঙ্গে আমরা বলি যে, ঠিক আছে, কাজগুলো আপনারা করেন, মিয়ানমারে করেন। করে এদের নিয়ে যান। আমার এখানে করার তো দরকার নেই। আমার এখানে যেটুক করার আমরা করেছি।’

বাংলাদেশে ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ঢল নামার পর সরকারই তাদের আশ্রয় দেয়। সে কথা সংবাদ সম্মেলনে মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

‘এখন তাদের ফেরাতে কিছু সংস্থা চেষ্টা অব্যাহত রাখলেও অনেক সংস্থা চায় তারা বাংলাদেশে থেকে যাক। এতে তাদের লাভ হয়, সে জন্য তারা প্রত্যাবাসনকে বাধা দেয়’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন:
তালেবানকে ভয়ের কিছু নেই, বাংলাদেশ প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির কোনো আশা নেই: প্রধানমন্ত্রী
এসডিজি বাস্তবায়নে সবচেয়ে অগ্রগামী ছিল বাংলাদেশ
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
বিকেলে সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
No legal bar to give Shapla symbol to NCP Sarjis Alam

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে আইনগত কোনো বাঁধা নেই: সারজিস আলম

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে আইনগত কোনো বাঁধা নেই: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক দিতে কোনো আইনগত বাঁধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির (উত্তরাঞ্চল) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি। নির্বাচন কমিশন কাউকে খুশি করার জন্য এ সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশন আমাদের দেখাক কোন আইনে শাপলা প্রতীক এনসিপিকে দেওয়া যাবে না। রোববার দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সমন্বয় সভা শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, যে নির্বাচন কমিশন একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের প্রাপ্য মার্কা দেয়ার সৎ সাহস দেখাতে পারে না, আমরা মনে করি সেই কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এই বাংলাদেশে হতে পারে না। এনসিপি আমাদের জায়গা থেকে অবশ্যই প্রত্যাশা করি, যে আমরা শাপলা প্রতীক পেয়েই আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো। এটা যদি তারা আমাদের সাথে অন্যায় করে, তাহলে আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পূর্বে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলো রাস্তাঘাটে নেমে হাহাকার করতো। কর্মসূচী দিয়ে হাহাকার করতো। আমরা অনেক অফিস দেখেছি যে, অফিসের সামনে ১০ জন লোক দাড়ানোর মতো ছিল না, বড় বড় রাজনৈতিক দলের অফিস। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে জনগণ তখনই রাস্তায় নেমেছে, যাদের ওপর জনগণ আস্থা রেখেছে। এখন যদি জনগণের ওই আস্থার প্রতিদান কেউ কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দল না দেয়, জনগণ তাদের মতো করে আগামীতে যখন সুযোগ হবে জনগণ তার সুফল দেখাবে। আমরা স্পষ্ট করে বলি, আপনারা ইতিহাস থেকে দয়া করে শিক্ষা নেন। জুলাই সনদ আপনারাও চান, আমরাও চাই। আপনারা যদি জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণা পত্রের মতো নাম কাওয়াস্তে একটি পেপার চান, ওই সনদ আমরা চাই না।

এর আগে তিনি জেলা এনপিসির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। জেলা এনপির প্রধান সমন্বয়কারী ফয়সনাল করিম সোয়েবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. আতিক মুজাহিদ ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ডা. মো. আব্দুল আহাদসহ প্রমুখ নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If BNP comes to power allowances will be given to unemployed youth SA Jinnah Kabir

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বেকার যুবকদের ভাতা দেওয়া হবে: এস.এ জিন্নাহ কবির

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বেকার যুবকদের ভাতা দেওয়া হবে: এস.এ জিন্নাহ কবির

বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা আহ্বায়ক কমিটির ১ নং সদস্য মানিকগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী এস.এ জিন্নাহ কবির বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে ঘোষিত রাস্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফায় বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশ কীভাবে চলবে, শিক্ষিত যুবকদের চাকরি ব্যবস্থা করা হবে, চাকরী যতদিন না হবে তাদের বেকার ভাতা দেওয়া হবে। ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সরকার ক্রয় করবে। ৩১ দফায় কৃষকদের কৃষি উপকরণ, কৃষক-শ্রমিক গ্রাম-গঞ্জে খেটে খাওয়া দিনমুজুর, মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের কথা রয়েছে। শনিবার রাতে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা কলিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বিএনপির উদ্যোগে তালুকনগক ডিগ্রী কলেজ মাঠে তারেক রহমানের ৩১ দফার প্রচারণা সভা ও লিফলেট বিতরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিতে হবে। আমি নির্বাচিত হলে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরের উন্নয়ন ও কৃষক শ্রমিক, দু:স্থ জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করব।

তালুকনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে ও কলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক আব্দুস সামাদ এবং উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার রবিউজ্জল রবির সঞ্চলানায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, জেলা বিএনপি সাবেক কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি লোকমান হোসেনসহ নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dr Priyanka expressed solidarity with the demands of the teachers

শিক্ষকদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করলেন ডা. প্রিয়াঙ্কা

শিক্ষকদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করলেন ডা. প্রিয়াঙ্কা

শেরপুর-১ (সদর) আসনের বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়নপ্রত্যাশী ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতী ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলোচিত নেত্রী সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, আমি সংসদে যেতে পারলে শেরপুরের দেড় থেকে দুই লাখ বেকারের চাকরির ব্যবস্থা করব ইনশাআল্লাহ। তিনি আরও বলেন, আমাকে আপনারা জাতীয় সংসদে যাওয়ার ব্যবস্থা করলে নারীর ক্ষমতায়নসহ নারীরা যাতে শুধু ঘরে বসে না থাকে সে জন্য তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, আমি সম্মানিত শিক্ষকদের দাবির প্রতি সমর্থন করি এবং একাত্মতা প্রকাশ করছি। তাদের চাকরি জাতীয়করণের জন্য আমি চেষ্টা করব।

ডা. প্রিয়াঙ্কা গত শনিবার সন্ধায় শহরের ৫নং ওয়ার্ডের খরমপুর মহল্লার ডা. সেকান্দর আলী কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির আয়োজিত এক নারী সমাবেশে এসব কথা বলেন।

জেলা মহিলা দলের সভাপতি সুলতানা রাজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ নারী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব ও অধ্যক্ষ এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হযরত আলী, সদস্য সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মো. জাফর আলী. বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম স্বপন, প্রভাষক শফিউল আলম চান, রেজাউল করিম রুমি, শ্রমিক দল নেতা মো. শওকত হোসেনসহ আরও অনেকে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হলে তৎকালীন আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করা হয়। তারপরেও এ আসনের সকল নারীরা আমার সাথে ছিলেন সে জন্য আমি এই নারীদের ছেড়ে কখনোই চলে যাব না। আমি আপনাদের ঋণের কথা কখনোই ভুলতে পারব না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is no obstacle to elections after signing the July Charter Shamsuzzaman Dudu

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর নির্বাচন হতে বাধা নেই: শামসুজ্জামান দুদু

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর নির্বাচন হতে বাধা নেই: শামসুজ্জামান দুদু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষর হওয়ার পর দেশে নির্বাচন নিয়ে আর কোন সমস্যা নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বলে বিএনপি প্রত্যাশা করে।

শনিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় বাজার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করা প্রসঙ্গে দুদু বলেন, সবার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। সকলের ভিন্নমত পোষনের সুযোগ আছে। যেসব দল ভিন্নমত পোষণ করে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যায়নি আমাদের ধারণা তারা ভবিষ্যতে স্বাক্ষর করবে। কেননা, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, যেসব দল স্বাক্ষর করেনি, তাদের জন্য ভবিষ্যতেও সুযোগ আছে।

বিএনপি সরকার গঠন করলে ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে দেশের উন্নয়ন গতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হবে বলেও মন্তব্য করেন শামসুজ্জামান দুদু।

নির্বাচনী প্রচারণায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম এ তালহাসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Injured and martyred families were disrespected at the July charter signing ceremony

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আহত ও শহীদ পরিবারকে অসম্মান করা হয়েছে

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আহত ও শহীদ পরিবারকে অসম্মান করা হয়েছে

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আহত ও শহীদ পরিবারের প্রতি অসম্মান করা হয়েছে অভিযোগ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, শহীদ পরিবার অনুষ্ঠানে প্রাপ্য সম্মান পাননি বরং প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

আখতার হোসেন বলেন, শহীদ পরিবাররাই জুলাই সনদ আয়োজনের মূল আকর্ষণ হলেও, তাদের মঞ্চ থেকে দূরে সরিয়ে বসিয়ে অমর্যাদা করা হয়েছে। আহতদের ওপর হামলা চালিয়ে এবং অসম্মান করে জুলাই সনদকে ‘পাওয়ার এলিট’-এর সেটেলমেন্ট বানানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শুক্রবার জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতরা কিছু দাবি নিয়ে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঐক্যবদ্ধ কমিশন জুলাই সনদের অঙ্গীকারের পঞ্চম দফা সংশোধনের ঘোষণা দিলেও, শুরুতে যদি বিষয়টি আমলে নেওয়া হতো তাহলে তাদের রাজপথে নামতে হতো না।

তিনি বলেন, সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধান না করে আহত যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি করছি।

এনসিপি সদস্য সচিব আরও বলেন, জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি ও বৈধতা নিশ্চিত না করেই এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জাতিকে পরিষ্কার ধারণা না দিয়েই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে। জুলাই সনদের কোনো আইনভিত্তি না দেওয়া, বাস্তবায়ন আদেশ প্রকাশ না করা এবং পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা জাতির সামনে না আনার কারণে আমরা আনুষ্ঠানিকতার জন্য স্বাক্ষর থেকে বিরত থেকেছি।

তিনি বলেন, এনসিপি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই ৭২ সালের বন্দোবস্ত বিলোপ করে নতুন সাংবিধানিক অগ্রযাত্রায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে। বিচার সংস্কারের অংশ হিসেবে জুলাই সনদ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবিতে সারাদেশে ‘জুলাই পথযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করেছে এনসিপি। রাজধানী থেকে তৃণমূল পর্যন্ত জনগণ এই দাবিতে এনসিপিকে দৃঢ় সমর্থন দিয়েছে। একই সঙ্গে আমরা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কারে জোরালো ভূমিকা রেখেছি।

আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে জাতিকে ধোঁয়াশায় রাখা হয়েছে। সনদের আইনিভিত্তি হিসেবে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ’-এর উল্লেখ নেই। আমরা বলেছি, অভ্যুত্থান-পরবর্তী যেকোনো বন্দোবস্তের নৈতিক ও আইনিভিত্তি থাকতে হবে। কিন্তু সনদে জনগণের সার্বভৌম ও গাঠনিক ক্ষমতার প্রকৃত মৌলিক সত্যের কোনো উল্লেখ নেই।

তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদের আওতাভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধানের এমন কিছু অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে, যা বিদ্যমান সংবিধানের তথাকথিত বেসিক স্ট্রাকচারের আওতাভুক্ত। ফলে ৭২ সালের সাংবিধানিক কাঠামোর অধীনে থেকে এই পরিবর্তনগুলো ভবিষ্যতে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। এতে জুলাই সনদ জনগণের সঙ্গে একটি সাংবিধানিক প্রতারণায় পরিণত হবে।

এ কারণে এনসিপি সরকারপ্রধান ড. ইউনূসকে গণভোটের পূর্বে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির আহ্বান জানিয়েছে—যাতে এর আইনভিত্তি, বৈধতা ও জুলাই অবস্থান স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।

শেষে আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদের আইনিভিত্তি নিয়ে আগামী কয়েকদিনের আলোচনায় আমরা জনগণের পাশে থাকব। কোনো অবস্থাতেই জুলাই সনদকে জুলাই ঘোষণাপত্রের মতো আইনিভিত্তিহীন রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল বা ‘জেন্টলম্যানস অ্যাগ্রিমেন্টে’ পরিণত করা যাবে না। আমরা আশা করছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের ইচ্ছাকে ধারণ করে জুলাই সনদের আইনিভিত্তি ও বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The image of Daksu Jaksu Chaksu will be seen by the nation in the future Jamaat Amir

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতেও জাতি দেখবে: জামায়াত আমির

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতেও জাতি দেখবে: জামায়াত আমির জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

যুব ও নারী সমাজ ইসলামকে দারুণভাবে ধারণ করছে উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ঢাকসু, জাকসু ও চাকসুতে যুব সমাজ ছাত্রশিবিরের ওপর আস্থা রেখেছে। সব জায়গায় একই চিত্র। মেয়েদের ও তরুণদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে। এর প্রতিচ্ছবি জাতি আগামীতে দেখবে ইনশাআল্লাহ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ঢাকা-১৫ নির্বাচনী আসনের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি ইসলামের ইতিহাসে নারীদের ভূমিকা ও অবদানের কথা তুলে ধরেন বক্তব্যজুড়ে।

জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা অভিভূত হয়ে লক্ষ্য করছি, দুটো সমাজ ইসলামকে দারুণভাবে ধারণ করছে—একটি আমাদের যুবসমাজ, আরেকটি আমাদের মায়েদের সমাজ। আজ পর্যন্ত তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হয়ে গেছে। সব জায়গায় একই চিত্র—মেয়েদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর; তরুণদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। এরই প্রতিচ্ছবি আগামীতে বাংলাদেশ দেখবে।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘৯১ শতাংশ মুসলমানের দেশে আমাদের মায়েদের সম্মান ঘরে-বাইরে কোথাও নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর কোরআন এবং রাসূলের জীবনী থেকে সেই শিক্ষা নিয়েছে যে আমাদের মায়ের জাতিকে মায়ের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে হবে। এই রাষ্ট্রে বাস্তব প্রয়োজনে এবং যোগ্যতা অনুযায়ী পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখবেন।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইমান, ধর্মবিশ্বাস—এসবের হিসাব নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের নয়। আমরা এই রাষ্ট্রের মানুষকে সম্মান করব। তারা এ দেশের নাগরিক। আমরা দেখব না সে কোন ধর্মের, কোন দলের, তার গায়ের রং কী, মুখের ভাষা কী, সে পাহাড়ে থাকে নাকি সমতলে থাকে। সে আমার ভাই, সে আমার বোন, সে এই দেশের নাগরিক—সেই হিসেবে আমরা তাদেরকে পরিচালনা করব।’

শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো প্রাধান্য আছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আছে। এ দেশের অর্থনীতি ভাঙাচোরা, উল্টে পড়া, ধসে যাওয়া। দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করে প্রকৃত সেবকদের হাতে তুলে দিতে হবে। সেই লোকটা আমাদের দলের হতে পারে, না-ও হতে পারে। সেই লোকটা মুসলমান হতে পারে, অন্য ধর্মেরও হতে পারে। যে এই দায়িত্বের জন্য উপযুক্ত, তার হাতে এই দায়িত্বের চাবি তুলে দেওয়া হবে। এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ আমরা গড়ে তুলতে চাই।’

জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এমন একটি সমাজ চাইছি, যেখানে শাসকেরা জনগণের কাছে তাদের ত্রুটি ও ঘাটতির জন্য মাফ চাইবে। তারা কারও কাছ থেকে প্রশংসা চাইবে না, বাহবা চাইবে না, কোনো স্লোগান চাইবে না, যেমন “অমুক ভাই, তমুক ভাই জিন্দাবাদ”—এটা চাইবে না। তাদের অন্তর ভয়ে কাঁপবে, জনগণের এই বোঝা “আমার কাঁধে যেটা দেওয়া হয়েছে, আমি তা বহন করতে পারছি কি না”—এই ভেবে।

তিনি বলেন, যে সমাজে যুব সমাজ সিদ্ধান্ত নেয় এবং নারীরা এগিয়ে আসে, সেই সমাজ ও জাতি কখনো পরিবর্তন না হয়ে পারে না।

তিনি জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গীকার তুলে ধরে বলেন, আমাদের প্রথম অঙ্গীকার, একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবো। শিক্ষা ভালো না হলে জাতি কখনো ভালো হতে পারে না। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড।

দ্বিতীয়ত, সমাজের প্রত্যেকটি স্তরে দুর্নীতি বাসা গেঁড়ে বসে আছে। এই দুর্নীতি থাকবে না। এজন্য যত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, করবো ইনশাআল্লাহ। লড়াই করবো, হিমালয়ের মতো পর্বত সমান বাধা আসলেও দুর্নীতির অস্তিত্ব যেন আসমান থেকে মাটিতে নামিয়ে আনতে পারি।

তৃতীয়ত, প্রত্যেকটি মানুষ যেন তার প্রাপ্ত হক বা ন্যায়বিচার পান, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এজন্য যেন আবাল-বৃদ্ধ, বনিতা, নারী ও শিশু কাউকে চেষ্টা করতে না হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is no option but to have national elections and referendum together Ruhul Kabir Rizvi

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়া ছাড়া উপায় নেই: রুহুল কবির রিজভী

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়া ছাড়া উপায় নেই: রুহুল কবির রিজভী

জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একসঙ্গে করার বিষয়ে আবারও জোরালো মত দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ গণভোট আগে হলে জাতীয় নির্বাচনে বিলম্ব হবে। আর জনগণের নির্বাচিত সরকার দ্রুত না এলে সংকট আরো ঘনীভূত হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
তিনি বলেন, আমি মনে করি যে যারা গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন, তারা সবাই এমন এক জায়গায় উপনীত হবেন যাতে আমাদের পরবর্তী গণতন্ত্রের অভিযাত্রার পথে আমাদের যেন বিঘ্ন না ঘটে। তা না হলে কালো ঘোড়া প্রবেশ করতে পারে, কালো ঘোড়া ঢুকে যেতে পারে।
রিজভী বলেন, উন্নত দেশ দীর্ঘদিনের গণতন্ত্র চর্চার দেশেও এখন কথা উঠেছে, এই পদ্ধতিতে (পিআর) জনমতের ট্রু রিফ্লেকশন হয় না। এ নিয়ে সেইসব দেশে আলাপ-আলোচনা, বির্তক চলছে। আপনি জানেন যে, জাপান গণতন্ত্রের দিক থেকে অতি উন্নত একটি দেশ এবং সেখানেও ৩৭ শতাংশ পিআর পদ্ধতি চালু আছে। যেখানে সারাবিশ্বেই পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে, কোথাও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়িত হয়নি, সেখানে হঠাৎ করে আমাদের এখানে কেনো চালু করতে চাইবেন?
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে আপনি হঠাৎ করে পিআরের কথা বলেন, এতে জনমনে বিভ্রান্ত তৈরি করবে। আমি এ পর্যন্ত যত জরিপ দেখেছি, বিশেষ করে গণমাধ্যমে- সেখানে অধিকাংশ মানুষের আনুপাতিক হারে ভোট পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। অনেকেই কনফিউজড অবস্থায় আছেন।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশ যেগুলো অতি উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ যেমন ব্রিটেন, আমেরিকা যদি আমরা বলি বা আরও অন্য দেশে প্রতিনিধি নির্বাচনের যে পদ্ধতিটা চালু আছে- সরাসরি প্রার্থীকে ভোট দেওয়া। আমাদের এখানে কী এমন ঘটনা ঘটলো যে পিআর উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের মডেল? এটা আমার মনে হয়, অবান্তর কথা তারা (জামায়াতে ইসলামী) বলছেন। এটা বলে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করছেন অথবা তাদের অন্য কোনো মাস্টার প্ল্যান আছে কি না আমি জানি না।

মন্তব্য

p
উপরে