× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Who will vote for BNP in any happy dream for any reason
google_news print-icon

কারা, কী কারণে, কোন সুখের স্বপ্নে বিএনপিকে ভোট দেবে

কারা-কী-কারণে-কোন-সুখের-স্বপ্নে-বিএনপিকে-ভোট-দেবে
জাতিসংঘের অধিবেশনে অংশ নিয়ে দেশে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
‘ওদের কে ভোট দেবে? আমি সাংবাদিকদের কাছে জিজ্ঞেস করি- কারা, কী কারণে, কোন সুখের স্বপ্নে বিএনপি বা অন্যদের ভোট দেবে? আমরা কিছু করলাম কি না, সেটাও একটু তুলনা করেন।’

জাতিসংঘ সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী জাতীয় নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন গঠনসহ কথা বললেন নানা বিষয়ে।

আওয়ামী লীগ প্রধান অনেকটাই নিশ্চিত, জনগণ আবার তাদেরই ভোট দেবে। অন্যদের কী কারণে ভোট দেবে- এমন প্রশ্ন তুলে তিনি পরে আবার বলেন, যদি আওয়ামী লীগকে ভোট না দেয়, তাহলে ক্ষমতায় থাকার কোনো আগ্রহ নেই।

রাজনীতিতে আপাতদৃষ্টিতে তেমন চ্যালেঞ্জের মুখে না থাকলেও আত্মতুষ্টিতে না ভোগার কথাও বলেছেন শেখ হাসিনা। বলেছেন, খরগোশ আর কচ্ছপের যে গল্প আছে, সেটি মাথায় আছে তারও। প্রতিপক্ষকে অবহেলা করে তিনি তাদের সুবিধা করে দিতে চান না।

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়েও কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়েছেন, আগের দুইবারের মতো এবারও কমিশন গঠন করা হবে সার্চ কমিটির মাধ্যমেই।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশন ও সাইডলাইনে উচ্চপর্যায়ের অংশ নেয়া আলোচনার বিষয়ে অবহিত করতে সোমবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা প্রথমে রাখেন লিখিত বক্তব্য। এতে তার বক্তব্যে সফরের বিষয়ে বিবৃতি ছিল।

তবে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশ্ন রাখেন সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অন্যান্য ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে।

মাথায় খরগোশ-কচ্ছপের গল্প

আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এত আগে কেন মাঠে নামল সরকারি দল- এ বিষয়টি নিয়ে শেখ হাসিনার মন্তব্য জানতে চান একজন সংবাদমাধ্যমকর্মী।

জবাবে ক্ষমতাসীন দলের নেতা বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি এ জন্য যে, আমি নির্বাচনে বিশ্বাস করি, জনগণের ভোটে বিশ্বাস করি। আমি কখনোই আত্মতুষ্টিতে ভোগি না যে, আমি এত কাজ করেছি যে আমার অপজিশন নাই। তাহলে ওই খরগোশ আর কচ্ছপের দৌড়ের মতো অবস্থা হবে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটাকে আমরা নির্বাচন হিসেবেই দেখতে চাই। জনগণের ভোট যাতে পাই, এ জন্য জনগণের কাছে যেতে চাই। জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করে জনগণের ভোটেই ক্ষমতায় ফিরতে চাই। জনগণ ভোট না দিলে আসব না, পরিষ্কার কথা। আর প্রতিপক্ষ কে হতে পারল কে পারল না, এটা তাদের ব্যাপার।’

দলকে সুসংগঠিত করা আর ভোটের জন্য জনগণের কাছে যাওয়া সব রাজনৈতিক দলেরই উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘অপরপক্ষে কী আছে না আছে, সেটা করার আগে নিজেরটা করতে হবে। কাজেই বিরোধী দলে কেউ নেই, এ জন্য আত্মতুষ্টিতে বসে থাকব… সেটা কিন্তু থাকব না। আমার সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। মানুষের কাছে না গেলে তাদের কষ্ট কখনও জানা যায় না।’

রায় আ.লীগ পাবে নিশ্চিত শেখ হাসিনা

অপর এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী উল্টো জানতে চান, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণ কেন ভোট দেবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাধারণত জনগণ কাকে ভোট দেয়... তারা দেখে ক্ষমতায় যাবে কে। তারা তো (বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) ইলেকশনও করতে পারবে না। …তাদের ভেতর একটা বিশ্বাস যে, নির্বাচনে জিতবে বা ক্ষমতায় যাবে এই বিশ্বাসটা আর নাই। হারিয়ে গেছে।’

নির্বাচনব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান। বলেন, ‘তারা জানে তাদের কোনো সম্ভাবনা নাই। আর এ জন্যই এটাকে বিতর্কিত করা, এটাই চেষ্টা।

‘২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জনগণ কেন ভোট দিল? কারণ '৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত জনগণ অন্তত এটুকু পেয়েছিল যে, সরকার মানেই জনগণের সেবক। কিছু হলেও উন্নতি হয় দেশের।’

কেন মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে

বিএনপি ও তার সমমনাদের জনগণ কেন ভোট দেবে, সেই প্রশ্নও রাখেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘কে আছে এর বাহিরে, কাকে দেবে? এর বাহিরে আর কে আছে?

‘এই যে প্রশ্ন যারা তোলে, এর বাহিরে আর কে আছে যে ভোট দেবে। কার কাছ থেকে মানুষ কী পেয়েছে?

‘ওদের কে ভোট দেবে? আমি সাংবাদিকদের কাছে জিজ্ঞেস করি, কারা, কী কারণে, কোন সুখের স্বপ্নে বিএনপি বা অন্যদের ভোট দেবে? আমরা কিছু করলাম কি না, সেটাও একটু তুলনা করেন।’

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা দল কীভাবে জিতবে? তাদের নেতৃত্ব কোথায়? একজন (বেগম খালেদা জিয়া) এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আরেকজন (তারেক রহমান) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে দেশান্তরি, সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাদেরই নেতৃত্বেই রেখেছে। তাহলে জনগণ কোন ভরসায় তাদের ভোট দেবে?’

ক্ষমতা তার কাছে কোনো ভোগের বস্তু না বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘ও রকম আকাঙ্ক্ষা থাকলে তো আমার বাবাও যেমন অনেক আগে মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন, আমিও কিন্তু পারতাম। আমি কিন্তু তা হইনি।

‘আমার চিন্তা ছিল আমি যদি ক্ষমতায় যেতে পারি জনগণের জন্য যেন কাজ করতে পারি। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারি। আমরা তো এগিয়ে যাচ্ছিলাম, করোনা এসে না আমাদের একটু বাধা দিয়েছে। তারপরও তো আমরা বসে থাকিনি। এমন কাজ করেছি যাতে গ্রামে অর্থ সরবরাহ হয়।’

ভোট নিয়ে সমালোচনা প্রত্যাখ্যান

বিএনপি ভোট নিয়ে যেসব অভিযোগ তুলে থাকে, তার সবই প্রত্যাখ্যান করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘গত কয়েক দিন আগে যে নির্বাচন হলো আপনারা দেখেছেন ভোটাররা কিন্তু খুব স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেছে। তবে হ্যাঁ, বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছেন, আপনারা একবার কি চিন্তা করে দেখেছেন অনেক চেষ্টা হয়েছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে? শুধু তা-ই না, নির্বাচন যাতে না হয়, মানুষ যাতে না যায়, অগ্নিসন্ত্রাস থেকে শুরু করে হেন কাজ নেই যা না করা হয়েছে।

‘তারপরও নির্বাচন হয়েছে এবং এর পরে স্থিতিশীল পরিবেশ ছিল বলেই কিন্তু আজকে যে উন্নয়নটা দেখতে পারছেন, সেটা করা সম্ভব হয়েছে।’

বিএনপির জন্মের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন যেসব রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপিসহ যারা কথা বলে আসলে তারা নির্বাচন নিয়ে যে প্রশ্ন তোলে এই দলের জন্মটা কীভাবে? এটা কি কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত?’

শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের শেষ নির্বাচন প্রসঙ্গও তোলেন। বলেন, ‘আমি শুধু একটা কথা বলব বিএনপিকে, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তো তাদের কোনো অভিযোগ নাই। তাহলে সেটাতে তারা জিততে পারেনি কেন? তখন প্রশ্ন তোলেনি কেন?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এরপর যতটা নির্বাচন হয়েছে তাতে মানুষ তো ভোট দিয়েছে। আমরা যখন আধুনিক প্রযুক্তিতে গেলাম মানে ইভিএমে, সেটা নিয়েও প্রশ্ন। এখন এরা যেহেতু সব সময় ‘পরভাতে পালিত’। সেই জায়গাটা মনে হয় তাদের আর নেই।”

নির্বাচন কমিশন গঠন আগের নিয়মেই

সার্চ কমিটির মাধ্যমেই আগামী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি একটি সার্চ কমিটি করবেন তার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে।’

কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে আগামী ফ্রেব্রুয়ারিতে। আগামী নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কবে, কীভাবে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন তা নিয়েও আলোচনা তুঙ্গে।

মেয়র জাহাঙ্গীর প্রসঙ্গ

ঘরোয়া আলোচনায় গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁস হওয়া একটি ভিডিওতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধুর দেশ স্বাধীন করার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর গাজীপুরে যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, সে বিষয়েও আওয়ামী লীগ প্রধানের বক্তব্য জানতে চান একজন গণমাধ্যমকর্মী।

এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন দল জাহাঙ্গীরের কাছে বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছে আর গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, তার বক্তব্য কাটছাঁট করে ভিডিও ভাইরাল করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী এখনও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে চান না। বলেন, ‘ডিজিটাল যুগে কথা তো নানাভাবে ভেঙে ভেঙে কে কীভাবে প্রচার করেছে এটা জানান। এ জন্য তাকে (জাহাঙ্গীর) শোকজ করা হয়েছে। জবাব পেলে পার্টি বসবে, তখন সিদ্ধান্ত নেবে।’

বেশি কাজ বলে সমালোচনা

অন্য এক প্রশ্নে শেখ হাসিনা যা বলেন, তার অর্থ হচ্ছে, তিনি মনে করেন কাজ বেশি করেন বলেই সমালোচনা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘এত সুবিধা পেয়ে গালিটা আমার ওপর দিয়ে যাচ্ছে বা আওয়ামী লীগের ওপর দিয়ে যাচ্ছে, তাই তো? হবেই, কাজ বেশি, এটা তো আমাদের বাঙালিদের চরিত্রেই আছে। ভালো কাজ করলে মুখ ঘুরিয়ে বসে থাকা।’

টিউলিপের ওপর হামলা দুঃখজনক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের গাড়িতে হামলার ঘটনায় কাউকে দোষারোপ করতে চান না শেখ হাসিনা। তবে ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলেছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেক সাজাপ্রাপ্ত আসামি, সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের বহুজনের আবাস ইংল্যান্ডে। সেখানে একজন ব্রিটিশ এমপির গাড়িতে হামলা। সে শুধু বঙ্গবন্ধুর নাতনিই নয়, একজন এমপিও।

‘এরা কী জাতীয় লোক? ইংল্যান্ডের মতো জায়গায়, একটি সভ্য জায়গায় এ ধরনের অসভ্য ঘটনা ঘটে। সেখানে তো কিছু লোক আছেই। এটা দুঃখজনক। আমি কাউকে দোষারোপ করতে চাই না, এটা ব্রিটিশ সরকার খুঁজে দেখবে।’

গত বুধবার স্থানীয় সময় রাতে ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। তার বাড়ির বাইরে পার্ক করা গাড়িটির ছাদে রাজনৈতিক বার্তাও লিখে যায় দুর্বৃত্তরা। পাশাপাশি ভেঙে ফেলা হয় জানালার কাচ।

তালেবানে ভয় নেই বাংলাদেশের

আফগানিস্তানে উগ্রবাদী ধর্মীয় গোষ্ঠী তালেবানের উত্থানে বাংলাদেশের ভয়ের কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সার্কভুক্ত দেশটির ক্ষমতা কাঠামোতে এই পরিবর্তনের প্রভাব যেন বাংলাদেশে না পড়ে, সে জন্য সরকার সতর্ক বলেও জানিয়েছেন তিনি।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ বিষয়ে সোমবার ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘তালেবানকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভয় পেলেই ভয়, না পেলে কিছু নয়। একসময় যখন তালেবানের উত্থান হলো, তখন অনেকে আফগানিস্তান থেকে ট্রেনিং নিয়ে আসে। এ জন্য দেশে জঙ্গিবাদ তৈরি হয়। এর জন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

‘এটা যে মানুষের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না, মানুষ যে কষ্ট পায়, এ জন্য মানুষকে সচেতন হতে হবে। আমরা সতর্ক আছি এবং ব্যবস্থা নিচ্ছি যেন এ ঘটনার কোনো বাতাস আমাদের এখানে না আসে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ধরে রেখেই আমাদের এখানে যেন ওই ঘটনা না ঘটে, এ জন্য সচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা করছি। জনগণই মূল শক্তি। জনগণ শান্তি চায়। আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় থাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া এসেছে। এখন আর হাহাকার নেই। ভবিষ্যতে আরও উন্নত জীবন তারা পাবে।’

টিকা তৈরিতে প্রস্তুত দেশ

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনে সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘টিকা তৈরি করতে আমরা প্রস্তুত। এর জন্য ১০ একর জায়গা আমরা নিয়ে রেখেছি। এখানেই যাতে টিকা উৎপাদন করা যায়, সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।

‘আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছেন। আমরা ফর্মুলা চাই। এটা এখানেই আমরা প্রস্তুত করতে পারব। তৈরি টিকা পরীক্ষা করতে মলিকিউলার ল্যাবরেটরি দরকার। আমাদের ল্যাব তৈরি প্রায় শেষ পর্যায়ে।’

তিনি বলেন, ‘যখনই সুযোগ পাব নিজেরা যাতে তৈরি করতে পারি। আমাদের ফার্মাসিউটিক্যালস (পণ্য) ১০০টিরও বেশি দেশে যায়। আমরা পারব বলে আশা করি। চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে ভ্যাকসিন নিজেরাই তৈরি করতে পারি।

‘আমাদের দেশেও অনেকে টিকা নিয়ে গবেষণা করছেন। এটা ভালো লক্ষণ।’

‘জিয়ার নির্বিচার হত্যার স্বরূপ উন্মোচন চান প্রধানমন্ত্রী’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বিমান ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের ‘নির্বিচারে হত্যার’ স্বরূপ উন্মোচন হওয়া উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘সেই সময় বারবার ক্যু হয়েছে। ক্যুর নামে শুধু এয়ারফোর্সই না, সেনাবাহিনীরও বহু সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। এদের পরিবার লাশ তো পায়নি। বরং এরা যে গুম হয়ে গেল এটা নিয়ে কেউ কোনো কথাও বলেনি। এত বছর পর চেতনা এসেছে। এতকাল কেন সবাই এটা ভুলে ছিল?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়া ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই এটা করেছিলেন। সে সময় অনেক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকেও হত্যা করা হয়। তাকে (জিয়াউর রহমান) এমন ফেরেশতা বানানো হলো শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতার ঘোষক হয়ে গেল।

‘মিউটিনি বিচারের নামে ১১ অফিসারকে যে ফাঁসি দিল। জিয়া ক্ষমতায় থাকার সময় ক্যু এবং বিভিন্ন কারাগারে ফাঁসির হিসাব কেউ নেয়নি। আরও তথ্য বের হওয়া দরকার। এই পরিবারগুলো তো কিছু পায়নি। তাদের কথা কেউ জানতেও চায়নি।’

সরকারপ্রধান বলেন, এখন কমিশন গঠনের যে দাবি উঠেছে, আমি মনে করি এ জন্য ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় অনীহা

বিলাসিতায় নজর না দিয়ে গবেষণায় নজর দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় গবেষণায় বিশ্বাস করি। দুর্ভাগ্যজনক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণায় কেন যেন অনীহা। আমি যখনই দেশে ফিরেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেই বলি গবেষণা করতে হবে। এটা ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয়।

‘প্রাইম মিনিস্টার এডুকেশন ফান্ড করেছি। বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ ব্যবস্থা করেছি। সেখানেও গবেষণার টাকা দিই।’

তিনি বলেন, ‘মেডিক্যাল সায়েন্সে আমাদের কোনো গবেষণাই হয় না। দু-একজন করেন। আমি বুঝি না কেন এই অনীহা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি গবেষণা থাকত… একসময় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ছিল। সেটি ধীরে ধীরে কেন যেন কমে গেল। সব জায়গায় আলাদা ব্যবস্থা আমরা করছি গবেষণার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞানের ওপর গবেষণা বন্ধই ছিল। এবার আলাদা বাজেট দিয়েছি। মেগাপ্রকল্প স্যাটেলাইটের কারণে অনেকের অভিজ্ঞতা হয়েছে। যা যা সুবিধা দেয়া আছে। তারা কেন করেন না এটার জবাব আমি দিতে পারব না। কেন যেন অনীহা।

‘মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করছে, চিকিৎসা করে প্রাইভেটে যায় টাকা কামাতে। শুধু টাকা কামানোই চিন্তা হলে গবেষণা করবে কীভাবে? টাকার অভাব হবে না। আমি তো ফান্ড করে দিয়েছি। উদ্যোগের অভাব। সবার নজর বিলাসিতার দিকে।’

প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের দেশে একসময় আদর্শ নিয়ে সবাই চলত, এখন বিলাসিতায় নজর চলে গেছে। এখন সবাই মডেল হতে চায়, সমস্যা এখানে। বিলাসিতায় এত বেশি নজর, অন্য জায়গায় সময় দিতে পারে না।

‘তবে পরিবর্তন আসবে। আমি তো লেগে আছি। গবেষণা কিছু হচ্ছে বলে আজকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। একেবারে হচ্ছে না, তা নয়। এখন স্বাস্থ্য আর বিজ্ঞানে গবেষণায় নজর দিচ্ছি বেশি।’

শরণার্থী পালা ব্যবসা

নিজেদের স্বার্থের জন্য কেউ কেউ রোহিঙ্গাদের শরণার্থী করে রাখতেই বেশি আগ্রহী হিসেবে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বারবার তাগিদ দেয়ার পরও তারা সেটি করতে চায় না। কারণ কারও কারও কাছে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী করে রাখা একটা ব্যবসা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রিফিউজি থাকলে কিছু লোকের বোধ হয় একটু লাভই হয়। … অনেক প্রস্তাব আমরা পাই, যে রোহিঙ্গারা এখানে আছে, তাদের জন্য এটা করা হোক, ওটা করা হোক। সঙ্গে সঙ্গে আমরা বলি যে, ঠিক আছে, কাজগুলো আপনারা করেন, মিয়ানমারে করেন। করে এদের নিয়ে যান। আমার এখানে করার তো দরকার নেই। আমার এখানে যেটুক করার আমরা করেছি।’

বাংলাদেশে ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ঢল নামার পর সরকারই তাদের আশ্রয় দেয়। সে কথা সংবাদ সম্মেলনে মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

‘এখন তাদের ফেরাতে কিছু সংস্থা চেষ্টা অব্যাহত রাখলেও অনেক সংস্থা চায় তারা বাংলাদেশে থেকে যাক। এতে তাদের লাভ হয়, সে জন্য তারা প্রত্যাবাসনকে বাধা দেয়’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন:
তালেবানকে ভয়ের কিছু নেই, বাংলাদেশ প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির কোনো আশা নেই: প্রধানমন্ত্রী
এসডিজি বাস্তবায়নে সবচেয়ে অগ্রগামী ছিল বাংলাদেশ
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
বিকেলে সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
What the Yunus Center said about the Tree of Peace award

‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার নিয়ে যা বলল ইউনূস সেন্টার

‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার নিয়ে যা বলল ইউনূস সেন্টার ছবি: সংগৃহীত
ইউনূস সেন্টার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনেস্কোর পুরস্কারের বিষয়টি উল্লেখ করে। অধ্যাপক ইউনূসকে প্রদত্ত ‘ট্রি অফ পিস’ ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত পদকের একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য।

নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার প্রদান করেনি বলে শিক্ষামন্ত্রীর দাবির একদিন পর এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইউনূস সেন্টার।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে ইউনূস সেন্টার জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪-১৬ মার্চ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত বাকু ফোরাম একাদশে বিশিষ্ট বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিজামি গানজাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার থেকে অধ্যাপক ইউনূসকে পাঠানো বাকু ফোরামের অফিশিয়াল অনুষ্ঠানসূচিতেও অধ্যাপক ইউনূস ইউনেস্কোর পুরস্কার গ্রহণ করবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। অধ্যাপক ইউনূসকে বাকু ফোরামের সমাপনী নৈশভোজে যোগদানের বিষয়টি বিশেষভাবে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, যাতে তিনি ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কারটি গ্রহণের জন্য মঞ্চে সশরীর উপস্থিত থাকেন।

ইউনূস সেন্টার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনেস্কোর পুরস্কারের বিষয়টি উল্লেখ করে। অধ্যাপক ইউনূসকে প্রদত্ত ‘ট্রি অফ পিস’ ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত পদকের একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এর আগে ২০২৩ সালের জুনে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনের সময় ইউনেস্কো এবং অধ্যাপক ইউনূস প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংগঠন ইউনূস স্পোর্টস হাবের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল ইউনেস্কোর ফিট ফর লাইফ ফ্ল্যাগশিপের অধীন টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উভয় প্রতিষ্ঠানের একসঙ্গে কাজ করে যাওয়া।

এর আগে বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ও বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের চেয়ারম্যান মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, “নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার দেয়নি।”

তিনি বলেন, “আজারবাইজানের গঞ্জাভি ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ড. ইউনূসকে ইসরাইলের একজন ভাস্কর ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কারে ভূষিত করেন।”

ইউনেস্কো থেকে পুরস্কার পেয়েছেন বলে ড. ইউনূস যে দাবি করেছেন তা অসত্য বলে দাবি করেন মন্ত্রী।

আরও পড়ুন:
ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে ইউনূস সেন্টারের তথ্য বিভ্রান্তিকর: শিক্ষামন্ত্রী
ইউনেস্কোর ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার পেলেন ড. ইউনূস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami League cannot retain power without repression Fakhrul

দমন-নির্যাতন ছাড়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না: ফখরুল

দমন-নির্যাতন ছাড়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না: ফখরুল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতাকর্মী এই ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আর তাদের দমন-পীড়নের প্রথম শিকার দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্যাতন ও জনগণকে দমন করা ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতাকর্মী এই ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আর তাদের দমন-পীড়নের প্রথম শিকার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।’

বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ফ্যাসিস্ট সরকার বা একদলীয় শাসন বা এক নারী শাসনের বিরুদ্ধে বিএনপি আন্দোলন শুরু করলে নেতা-কর্মীদের ওপর তারা দমন-পীড়ন শুরু করে।

‘তারা এমন ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে কেউ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে না, লিখতেও পারছে না।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের দমন-পীড়ন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাবা-মা, ছেলে, মেয়ে-স্ত্রীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও রেহাই পায়নি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জামিনে কারাগার থেকে বের হয়ে নখ উপড়ে ফেলা, পা ভাঙাসহ নানা অমানবিক নির্যাতনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন ভুক্তভোগীরা। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, তারা কোনো চিকিৎসা পাননি। পরিবারও তাদের চিকিৎসা করাতে পারেনি।’

সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা আমাদের সামর্থ্যের চেয়ে বেশি কাজ করে যাচ্ছি।

‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ১৯৬৯, ১৯৭১, ১৯৯০ সালের মতো ঐক্য গড়ে তোলার বিকল্প নেই। সে সময় জনগণ একতাবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। এবারও আমাদেরকে সেভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

আরও পড়ুন:
ফ্যাসিস্ট নয়, বাংলাদেশ বর্ণবাদীদের কবলে পড়েছে: ফখরুল
বাংলাদেশের মানুষ কোনো দেশের প্রভুত্ব মেনে নেবে না: বিএনপি
আইনের শাসন না থাকলে বিপর্যয় ঘটতেই থাকে: ফখরুল
গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফেরানোর আন্দোলন চলবে: ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
1 crore 26 lakh rupees were spent in the election

‘নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, এটা তুলবই’

‘নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, এটা তুলবই’ মঙ্গলবার সকালে লালপুর উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। ছবি: নিউজবাংলা
বক্তব্যর বিষয়ে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার বক্তব্যে এটা বোঝাতে চেয়েছি যে, অনেকেই এরকম করে। আমার বক্তব্য বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে।’

স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ প্রকাশ্যে দুর্নীতি করার ঘোষণা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে লালপুর উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যের এক পর্যায়ে দুর্নীতি করার ঘোষণা দেন এ সংসদ সদস্য।

তার বক্তব্যের অংশবিশেষের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।

প্রকাশিত ওই ভিডিওতে আবুল কালাম আজাদকে বলতে শোনা যায়, ‘পাঁচটা বছর (২০১৪-২০১৮) বেতন ভাতার টাকা ছাড়া আমার কোনো সম্পদ ছিল না; আগামীতেও থাকবে না। এবার (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ) নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সেই টাকা আমি তুলব। যেভাবেই হোক তুলবই। এতটুক অনিয়ম আমি করবই। এটুকু অন্যায় করব, আর করব না।’

প্রকাশ্যে সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্য বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শারমিন আখতার। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। উনার বক্তব্য উনি বলেছেন, এখানে আমার কোনো কথা নেই।’

বক্তব্যর বিষয়ে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার বক্তব্যে এটা বোঝাতে চেয়েছি যে, অনেকেই এরকম করে। আমার বক্তব্য বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি জেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সরকারি অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে একজন সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্য খুব দুর্ভাগ্যজনক। সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্যে তার সহকারী এবং দলীয় নেতা-কর্মীরা দুর্নীতিতে উৎসাহিত হবেন। এটা একদিকে যেমন পরিষ্কারভাবে শপথের ল‌ংঘন, অন্যদিকে নির্বাচনি বিধিরও লংঘন।

‘নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী, নির্বাচনি প্রচারকাজে একজন সংসদ সদস্য ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারেন না।’

সংসদ সদস্যের কাছে গঠনমূলক বক্তব্যেরও প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dr Yunus favors genocide with Israeli reward Foreign Minister

ড. ইউনূস ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ড. ইউনূস ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: নিউজবাংলা
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ওদিকে গাজায় আজ নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চলছে, নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। এ নিয়ে তিনি একটি শব্দ‌ও উচ্চারণ করেননি। ‘বরং এই সময়ে তিনি একজন ইসরায়েলির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। এর অর্থ কি এটাই নয় যে ড. ইউনূস প্রকারান্তরে গণহত্যায় সমর্থন দিয়েছেন?’

শান্তিতে নোবেলজয়ী হয়েও ড. ইউনূস ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, হত্যাযজ্ঞে নিশ্চুপ থেকে এবং একজন ইসরায়েলির দেয়া পুরস্কার নিয়ে ড. ইউনূস প্রকারান্তরে গণহত্যায় সমর্থন দিয়েছেন। আর ইউনূস সেন্টার এটিকে ইউনেস্কোর পুরস্কার উল্লেখ করে মিথ্যাচার করছে, যা খুবই দুঃখজনক।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ইউনূস সেন্টারের মিথ্যাচারে আমি বিষ্মিত, হতবাক। সম্প্রতি আজারবাইজানের বাকুতে একটি সম্মেলনে মিজ হেদভা সের নামে একজন ইসরায়েলি ভাস্বর ড. ইউনুসকে একটি পুরস্কার দিয়েছেন। এ সম্মেলনে ইউনেস্কো কোনোভাবে জড়িত ছিল না।

‘এই পুরস্কার ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে তো নয়ই, একজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে। আর ইউনূস সেন্টার সেটিকে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে বলে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করেছে। তবে এটিই প্রথম নয়, এর আগেও এ ধরনের মিথ্যাচার ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ওদিকে গাজায় আজ নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চলছে, নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। এ নিয়ে তিনি একটি শব্দ‌ও উচ্চারণ করেননি, প্রতিবাদ করেননি।

‘বরং এই সময়ে তিনি একজন ইসরায়েলির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। এর অর্থ কি এটাই নয় যে ড. ইউনূস প্রকারান্তরে গণহত্যায় সমর্থন দিয়েছেন? এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’

সীমান্ত হত্যায় বিজিবি’র মাধ্যমে প্রতিবাদ

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২৫ মার্চ মধ্যরাতে লালমনিরহাট ও ২৬ মার্চ ভোরে নওগাঁ সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজিবি’র মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো এবং সীমান্তে পতাকা বৈঠকও হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেকদিন ধরেই ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে আসছি। সম্প্রতি ভারত সফরেও এ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলোতে গুরুত্বসহ আলোচনা করেছি। সেই প্রেক্ষিতে সীমান্তে এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নন-লেথাল বা প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। রাবার বুলেটে অনেকে আহত হন; কিন্তু প্রাণহানি কমে এসেছে। তবে আমাদের লক্ষ্য প্রাণহানিকে শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা।’

নাবিক ও জাহাজ উদ্ধারে নানামুখী তৎপরতা চলছে

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার ও জাহাজটিকে মুক্ত করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।’

তিনি বলেন, ‘জাহাজ সম্পর্কে শুধু এটুকু বলতে চাই, নাবিকদের মুক্ত করার জন্য আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগে আছি। আমরা নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছি। আমরা অনেকদূর এগিয়েছি।’

জাহাজে খাদ্য সংকট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জাহাজটিতে খাদ্য সংকট নেই। এর আগে তিন মাস ধরে জলদস্যুদের কবলে থাকা অন্য জাহাজেও খাদ্য সংকট ছিল না।

আরও পড়ুন:
ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে ইউনূস সেন্টারের তথ্য বিভ্রান্তিকর: শিক্ষামন্ত্রী
বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে পুরস্কার আনেন ড. ইউনূস: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Upazila elections are not polling stations owned by candidates

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীর মালিকানাধীন স্থানে ভোটকেন্দ্র নয়

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীর মালিকানাধীন স্থানে ভোটকেন্দ্র নয়
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয় এরূপ স্থানকে ভোটকেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে না। প্রার্থিতা চূড়ান্তকরণের পরও কোনো প্রার্থীর মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো ভোটকেন্দ্র স্থাপিত হয়ে থাকলে কমিশন তা পরিবর্তন করতে পারবে।

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মালিকানাধীন কোনো স্থানে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ না করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে-

(ক) কমিশন ভোট গ্রহণের তারিখের অন্যূন ১৫ দিন আগে চূড়ান্ত তালিকা সরকারি গেজেটে প্রকাশ করবে এবং প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে যেসব এলাকার ভোটারগণ ভোটদান করবেন সেসব এলাকার নামও চূড়ান্ত তালিকায় উল্লেখ করতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে, ওই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরও বিশেষ পরিস্থিতিতে কমিশন যেকোনো ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করতে পারবে।

(খ) রিটার্নিং অফিসার প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট উপজেলার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটকেন্দ্রের ব্যবস্থা করবেন।

(গ) সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয় এরূপ স্থানকে ভোটকেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে না।

(ঘ) পুরুষ ও মহিলা ভোটারগণ যাতে পৃথকভাবে ভোট প্রদান করতে পারেন সে উদ্দেশ্যে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভোট কক্ষের ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং প্রতিটি ভোট কক্ষে ভোট চিহ্ন প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্থান রাখতে হবে।

(ঙ) কোনো প্রার্থীর মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো স্থানে কোনো ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা যাবে না।

(চ) প্রার্থিতা চূড়ান্তকরণের পর কোনো প্রার্থীর মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো ভোটকেন্দ্র স্থাপিত হয়ে থাকলে কমিশন তা পরিবর্তন করতে পারবে।

(ছ) প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি ভোট কক্ষে ভোট চিহ্ন প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক গোপন কক্ষ থাকবে।

উপজেলা নির্বাচনে ছুটির দিনেও অফিস খোলা রাখার নির্দেশ

উপজেলা পরিষদে প্রথম ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস খোলা রেখে কাজ করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার ইসি থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোট গ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

আরও পড়ুন:
উপজেলা ভোটে মনোনয়নপত্র অনলাইনে দাখিল বাধ্যতামূলক
উপজেলা ভোটে প্রার্থী মনোনয়ন দেবে কে, জানাতে বলল ইসি
১৫২ উপজেলায় ভোট ৮ মে
১৫৩ উপজেলা নির্বাচনের তফসিল হতে পারে বৃহস্পতিবার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP wants to nullify the meaning of freedom who

বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: কাদের

বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না। তাই বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়।

বৃহষ্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। বিএনপি নেতাদের মিথ্যা, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে এই বিবৃতি দেয়া হয়। খবর বাসসের

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না। তাই বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

তিনি বলেন, পাকিস্তানি ভাবাদর্শকে পুঁজি করে রাজনীতি করা বিএনপির একান্ত কাম্যই হলো যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, জনকল্যাণ নয়। তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিয়েছিল। বাংলার জনগণ তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। সুতরাং বাংলার জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

‘বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেয়া হচ্ছে’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি (মির্জা ফখরুল) সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, বিএনপির নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ঘর-বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল, নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বিএনপি-জামাতের ক্যাডারবাহিনী দ্বারা হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছিল। সারা দেশে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ-পরিক্রমায় বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সশস্ত্র লড়াইয়ের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত হতে থাকে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে জাতিকে সংবিধান উপহার দেন। ধর্মের ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন করে। স্বৈরাচার জিয়া রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন ও উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধী দল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Yunus Centers information on UNESCO award is misleading Education Minister

ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে ইউনূস সেন্টারের তথ্য বিভ্রান্তিকর: শিক্ষামন্ত্রী

ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে ইউনূস সেন্টারের তথ্য বিভ্রান্তিকর: শিক্ষামন্ত্রী ছবি: সংগৃহীত
এই বিষয়টি যেহেতু প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার, সেহেতু তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তার ব্যাখা চাওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কো থেকে যে ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার পেয়েছেন বলে প্রচার করা হয়েছে, তা প্রতারণামূলক এবং সর্বৈব মিথ্যাচার বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এ ধরনের মিথ্যাচার দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করবে।

বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখান থেকে তারা আমাদের নিশ্চিত করেছেন যে, ইউনেস্কো ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এ ধরনের কোনো সম্মাননা প্রদান করেনি।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে গজনভি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে ইসরায়েলের ভাস্কর্য শিল্পী মিজ হেদভা সের তাকে ‘ট্রি অফ পিস’ সম্মাননা স্মারক দেন।’

ভাস্কর হেদভা সেরও নিশ্চিত করেছেন যে, এটি ইউনেস্কোর সম্মাননা বা পুরস্কার নয়। এটি গজনভি ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রদত্ত একটি পুরস্কার।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইউনেস্কো সদর দপ্তরকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করব। ড. ইউনূস ও ইউনেস্কোর নাম নিয়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে সেটি অনৈতিক এবং অপরাধমূলক। সেটি আমাদের দেশের জন্য মানহানিকর- এ তথ্যও জানাব।’

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি ভাস্কর্য শিল্পীর দেয়া পুরস্কারকে ড. ইউনূস ইউনেস্কোর পুরস্কার হিসেবে প্রচার করেছেন। এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও অপমানকরও বটে।

‘ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইটে এটি ইউনেস্কোর পুরস্কার হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। ইউনূস সেন্টারকে অনুরোধ করব যে, এভাবে এ ধরনের ভয়াবহ মিথ্যাচার প্রচারণা থেকে তারা যেন বিরত থাকে। তা না হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

এদিকে বুধবার ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার প্রদানের সংবাদটি সঠিক নয় এবং ইউনুস সেন্টার কর্তৃক দাবিকৃত সম্মাননা ইউনেস্কোর কোনো পুরস্কার বা সম্মাননাও নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল জুবাইদা মান্নান।

এ ধরনের সংবাদ প্রচারকে ‘প্রতারণামূলক ও পরিকল্পিত মিথ্যাচার’ বলে আখ্যায়িত করে ভবিষ্যতে এ ধরনের সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে ইউনূস সেন্টারকে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সম্প্রতি ঢাকার কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এবং ইউনূস সেন্টারের অফিশিয়াল ওয়েব পেইজে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার প্রদানের সংবাদটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের (বিএনসিইউ) দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

“ইউনূস সেন্টার কর্তৃক প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে পত্রিকায় যে সংবাদ ছাপা হয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৬ মার্চ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ১১তম গ্লোবাল বাকু ফোরোমে ড. ইউনূসকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়, কিন্তু ইউনেস্কো ঢাকা অফিস জানিয়েছে, প্যারিসস্থ ইউনেস্কো সদরদপ্তর এই বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়।

“১১তম বাকু ফোরাম যেখানে এই সম্মাননা দেয়ার সংবাদ প্রচার হয়েছে, সেখানে ইউনেস্কোর কোন অফিশিয়াল প্রতিনিধিই ছিল না। অধিকন্তু, ইউনূস সেন্টার কর্তৃক দাবিকৃত সম্মাননা ইউনেস্কোর কোনো পুরস্কার বা সম্মাননাও নয়।”

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “ড. ইউনুসকে ‘ট্রি অফ পিস’ নামক একটি ভাস্কর্য স্মারক/সম্মাননা প্রদান করেন ইসরায়েলি ভাস্কর্য শিল্পী মিজ হেদভা সের। মিজ হেদভা নিজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যে, ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ‘ট্রি অফ পিস’ প্রদানে ইউনেস্কোর কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।

“নিজামী গনজবী ইন্টারন্যাশন্যাল সেন্টারের আমন্ত্রণে ইসরায়েলি ভাস্কর্য শিল্পী মিজ হেদভা সের ড. ইউনুসকে এটি প্রদান করেন। মিস হেদভা সের ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক কূটনীতি বিষয়ক গুইউইল অ্যাম্বাসেডর, কিন্তু ইউনেস্কোর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিনিধি নন এবং ইউনেস্কোর কোনো পুরস্কার/সম্মাননা দেয়ার এখতিয়ারও রাখেন না।

“সুতরাং, উল্লিখিত বাস্তবতার নিরিখে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস পরিচালিত ইউনূস সেন্টার কর্তৃক প্রেরিত এবং প্রচারিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রতারণামূলক বলে মনে করে তার নিন্দা জানাচ্ছে।

“বাংলাদেশ ইউনেস্কোর অন্যতম সক্রিয় সদস্য রাষ্ট্র। ভবিষ্যতে ইউনেস্কোর মতো জাতিসংঘের এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ এবং সুখ্যাতিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নাম অপব্যবহার থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ইউনূস সেন্টারকে সতর্ক করা হলো।”

এই বিষয়টি যেহেতু প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার, সেহেতু তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তার ব্যাখা চাওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি বাংলাদেশের আদালত ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ টেলিকমের আরও তিনজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার সহযোগীরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন, যেটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।

এ ছাড়াও আয়কর আইন লঙ্ঘনের জন্য তার ব্যক্তিগত আয়কর দাবি আদালতে বিচারাধীন। সুতরাং, তিনি যতদিন আদালত কর্তৃক নির্দোষ প্রমাণিত না হন, ততদিন তাকে কোনো মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার কিংবা সম্মাননা প্রদান সমীচীন নয় বলেও উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশে ইউনেস্কোর সঙ্গে কার্যক্রমের জন্য সরকারের ফোকাল পয়েন্ট হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন। কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে, কেউ যাতে ইউনেস্কোর নামের অপব্যবহার কিংবা অপপ্রয়োগ না করতে পারে, সেটি নিশ্চিত করা। সে হিসেবে ইউনেস্কোর নাম অপব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের পক্ষ থেকে ইউনেস্কো ঢাকা অফিস এবং ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে পরামর্শ করে ইউনেস্কো সদর দপ্তরকে অবহিত করা হবে।

আরও পড়ুন:
ইউনেস্কোর ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার পেলেন ড. ইউনূস

মন্তব্য

p
উপরে