কেবল ১০ কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচকে যোগ হয়েছে ১২৬ পয়েন্ট। এর মধ্যে ৫টি কোম্পানি বাড়িয়েছে ১০১ পয়েন্ট। অথচ দিন শেষে সূচক পড়েছে ২৮ পয়েন্ট।
টানা পাঁচ কর্মদিবস বেশির ভাগ কোম্পানির দরপতনের পরও সূচক বাড়ার পর সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস দাম বৃদ্ধি পাওয়া ৪৮টি কোম্পানির সূচক ধরে রাখতে পারল না। এক দিনে প্রায় ৩০০ কোম্পানির দরপতনে সূচক পড়েছে এর চেয়ে বেশি।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আশা দেখানো পুঁজিবাজারে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে যে সংশোধন শুরু হয়েছে, তা অবসানের ইঙ্গিত দিলেও যে শেষ হয়নি, তা বোঝা যাচ্ছে চলতি সপ্তাহে।
আগের দিন দর বৃদ্ধির তুলনায় দ্বিগুণসংখ্যক শেয়ারের দরপতনেও সূচকে যোগ হয়েছিল ২৭ পয়েন্ট। পরদিন প্রায় সমপরিমাণ পয়েন্ট সূচক থেকে হারিয়ে ব্যক্তিশ্রেণির ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি আরও বাড়িয়েছে।
গত জুলাই থেকে স্বল্প মূলধনি, লোকসানি ও দুর্বল কোম্পানিতে বিনিয়োগ ক্রমাগতভাবে বাড়িয়ে চলেছিল তারা। পুঁজিবাজার বিশ্লেষক এমনকি বিএসইসির সতর্কতাও কানে তোলেননি তারা। আর এখন সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে তারাই।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ৩৪.৯৪ পয়েন্ট। এ ছাড়া লাফার্জ হোলসিম ২৩.৪৮, আইসিবি ১৫.৯৭, বেক্সিমকো লিমিটেড ১৫.২৪, গ্রামীণফোন ১২.০১, বেক্সিমকো ফার্মা ৯.২, বিকন ফার্মা ৮.১৩, বার্জার পেইন্টস ২.৭৬, বিএসআরএম স্টিল ২.৭৪ ও রেনাটার দর বৃদ্ধিতে সূচক বাড়ল ২.১৭ পয়েন্ট।
অন্যদিকে সূচক সবচেয়ে বেশি কমেছে যেসব কোম্পানির কারণে, তার মধ্যে ১০টি কমিয়েছে ৩৫.৮২ পয়েন্ট। কোম্পানিগুলো হলো রবি, পাওয়ার গ্রিড, মবিল যমুনা, শাহজিবাজার পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, আইপিডিসি, আইডিএলসি ও তিতাস গ্যাস।
তবে এসব কোম্পানির শেয়ারের দরপতন সবচেয়ে বেশি হয়েছে, এমন নয়। সবচেয়ে বেশি দরপতন হওয়ার ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৯টিই স্বল্প মূলধনি বা দুর্বল কোম্পানি।
এমন কোনো খাত নেই, যে খাতে ঢালাও দরপতন হয়নি।
দর বদ্ধিতে এগিয়ে মৌলভিত্তির কোম্পানি
গত দুই তিন মাসে আগে পুঁজিবাজারে একক ধাপটে থাকা খারাপ শেয়ার বা ‘জেড‘ ক্যাটাগরির শেয়ারকে পেছনে ফেলে দর বৃদ্ধির তালিকায় উঠে এসেছে ‘এ‘ ক্যাটাগরির কোম্পানি।
সোমবার লেনদেনে দিনের সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০ কোম্পানির মধ্যে একটি ছিল জেড ক্যাটাগরির। বাকি নয়টি ছিল ‘এ‘ ও ‘বি‘ ক্যাটাগরির।
এদিন সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধির তালিকায় ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের ওরিয়ন ফার্মা। কোম্পানির দিনের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ৯.৮১ শতাংশ। শেয়ার দর ৮৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৮ টাকা ৪০ পয়সা।
তারপরই ছিল সিরামিক খাতের শাইনপুকুর সিরামিক, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৫১ শতাংশ। এছাড়া ‘এ‘ ক্যাটাগরির লাফার্জহোলসিম, সোনালী পেপার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড, আইসিবি ছিল সেরা দশে।
এ তালিকায় ওষুধ ও রসায়ন খাতের বিকন ফার্মা আর এডভেন্ট ফার্মাও ছিল। যাদের শেয়ার দর বেড়েছে যথাক্রমে ৪.০৭ ও ৩.১০ শতাংশ।
উৎপাদন বন্ধ জেড ক্যাটাগরির একমাত্র কোম্পানি হিসেবে ৭.১৩ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে সিএনএ টেক্সটাইলের। চার বছর ধরে বন্ধ কোম্পানিটিকে অধিগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে একটি বড় কোম্পানি।
পতন বেশি দুর্বল কোম্পানির
স্বল্প মূলধনি মুনাফায় থাকা কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লেও সূচকে প্রভাব থাকে কম। অন্যদিকে লোকসানি জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের দর বৃদ্ধি বা কমায় সূচকে কোনো প্রভাব একেবারেই পড়ে না।
এই ধরনের কোম্পানির মধ্যে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ ৯.৬৪ শতাংশ, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ৯.০৯ শতাংশ, ড্রাগন সোয়েটার ৭.০২ শতাংশ, অলটেক্স ৬.৭৪ শতাংশ, সানলাইফ ইন্ডাস্ট্রিজ ৬.৫১ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিং ৬.৩১ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সচাইল ৬.২৮ শতাংশ, পদ্মা লাইফ ৬.০৮ শতাংশ দর হারিয়েছে।
এর প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারদরই গত কয়েক মাসে বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে।
লেনদেনে সেরা ওষুধ ও রসায়ন খাত
ঢালাও পতনের ভিড়েও এই খাতের কোম্পানিগুলোতে পতনের হার ছিল তুলনামূলক কম। ৩১টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে ২১টির দরপতনের বিপরীতে বেড়েছে ৯টির দর।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে সবচেয়ে বেশি। হাতবদল হয়েছে মোট ৪১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৩২০ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
এই খাতে সবচেয়ে বেশি ৯.৮২ শতাংশ বেড়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনের দাম। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা একটিভ ফাইন ক্যামিকেলের দর বেড়েছে ৪.৩৪ শতাংশ। এ ছাড়া বিকন ফার্মার দর ৪.০৮ শতাংশ আর এভডেন্ট ফার্মার দর বেড়েছে ৩.১১ শতাংশ।
দর কমলেও এগিয়ে প্রকৌশল ও জ্বালানি খাত
প্রকৌশল খাতের লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৫টির, কমেছে ৩৭টির।
মোট লেনদেন হয়েছে ৩৩৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৫৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
এ খাতের সবচেয়ে বেশি ২.৭৬ শতাংশ বেড়েছে কেডিএস লিমিটেডের দর। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বিএসআরএম স্টিলের দর বেড়েছে ২.৪৩ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইফাদ অটোর দরে যোগ হয়েছে ২.৩৭ শতাংশ। চতুর্থ অবস্থানে থাকা বিএসআরএম লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১.৩৭ শতাংশ।
দিনের সবচেয়ে বেশি দর হারানো সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিস প্রকৌশল খাতের কোম্পানি। ২০১৯ সালে লভ্যাংশ ঘোষণা করে তা বিতরণ না করায় কোম্পানির পরিচালকদের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরদিন শেয়ারের দর কমেছে ৯.৬৪ শতাংশ।
এই খাতের বিডি অটোকারের দর কমেছে ৫.৮৩।
লেনদেনের তৃতীয় অবস্থানে থাকা জ্বালানি খাতে তিনটি কোম্পানির শেয়ারের শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৯টির দর। একটির দাম ছিল অপরিবর্তিত।
জ্বালানি খাতের যে তিনটি কোম্পানির দর বেড়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ডরিন পাওয়ারের। দাম বেড়েছে ১.৬০ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশ দর হারানো জিবিবি পাওয়ারের দর কমেছে ৭.৬৭ শতাংশ।
ব্যাংক-বিমায় পতনের শেষ নেই
আগের দিনের তুলনায় তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোতে লেনদেন বেড়েছে। হাতবদল হয়েছে মোট হয়েছে ১২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের দিন যা ছিল ৮২ কোটি ১০ লাখ টাকা।
লেনদেন বাড়লেও পতন হয়েছে ঢালাও। একমাত্র মার্কেন্টাইল ব্যাংকের দর ১০ শতাংশ বেড়েছে। দর ধরে রাখতে পেরেছে ৭টি। আর পতন হয়েছে বাকি ২৪টির দর।
সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের দর। গত এক বছর ধরে এই ব্যাংকের শেয়ারদর দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল। একদিনই কমে গেছে ৯.০৯ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এবি ব্যাংক দর হারিয়েছে ৩.২৬ শতাংশ। এছাড়া সাউথবাংলা ব্যাংকের দর ৩.০৩ শতাংশ ও যমুনা ব্যাংকের দর কমেছে ২.৪২ শতাংশ।
বিমা খাতের অবস্থা আরও খারাপ। সেখানে দরপতনের হার আরও বেশি। মোট লেনদেন হয়েছে ১৪৪ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২০৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
বিমা খাতের চারটি কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের ২.১১ শতাংশ। এছাড়া প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, প্রিমিয়ার ইন্স্যুরেন্স ও সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে সামান্য।
অন্যদিকে পতনের শীর্ষে ছিল জীবন বিমা খাতের দুই দুর্বল কোম্পানি সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স ও পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এর মধ্যে সানলাইফের দর কমেছে ৬.৫১ শতাংশ আর পদ্মা লাইফের ৬.০৯ শতাংশ।
উদ্যোক্তা পরিচালকরা ২৮ লাখ ২৫ হাজার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেয়ার পর থেকে ক্রমাগতভাবে দর হারানো ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে আরও ৫.৭২ শতাংশ।
আর্থিক খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন দীর্ঘদিন ধরেই স্থগিত। বাকিগুলোতে হাতবদল হয়েছে মোট ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এর মধ্যে দাম বেড়েছে একটির, কমেছে ২০টির আর দর ধরে রাখতে পেরেছে একটি।
আগের দিন এই খাতে লেনদেন হয়েছিল ৩০৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে মোট ২৪৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৭৭ কোটি ২০ লাখ। চারটি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে বাকি ১০টির দরও।
সাম্প্রতিক সময়ে আগ্রহের কেন্দ্রে আসা সিমেন্ট খাতের ৭টি কোম্পানির মধ্যে দুটির দর বেড়েছে, কমেছে বাকি ৫টির। লেনদেন হয়েছে ১৯৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ১৬২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে লেনদেন বেড়েছে মূলত ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোতে লেনদেন বাড়ায়। এই খাতের ২০টি কোম্পানিতে লেনদেন হওয়া ১০৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার মধ্যে একটি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ৭১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ৫৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
তথ্য প্রযুক্তি খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে একটি কেবল দর ধরে রাখতে পেরেছে। দর কমেছে ১০টির। লেনদেন হয়েছে ৭২ কোটি ৬ লাখ টাকা। আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ৬৭ কোটি ৬০ লাখ টাতা।
মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত আবার হতাশ করলেও লেনদেন বেড়েছে। ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে কেবল চারটির, কমেছে ১৯টির, অপরিবর্তিত ছিল বাকি ১৩টির দর। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩২৭ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট।
শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস দশমিক ২২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৯৩ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২৩ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৬৫ দশমিক ২৬ পয়েন্ট।
দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা । আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য