× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
40000 square feet building in Osmani Udyan
google_news print-icon

ওসমানী উদ্যানে ৪০ হাজার বর্গফুটের ভবন

ওসমানী-উদ্যানে-৪০-হাজার-বর্গফুটের-ভবন
ওসমানী পার্কে সাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়ে তিন বছর ধরে চলছে ভবন নির্মাণের কাজ। ছবি: সাইফুল ইসলাম
নগর পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, পুরান ঢাকা ও নতুন ঢাকার সংযোগস্থলে একমাত্র ফুসফুস ওসমানী উদ্যান। এই উদ্যানে ভবন নির্মাণের মাধ্যমে মানবিক, স্বাস্থ্য, পরিবেশগত বিপর্যয় ঘটবে। এটা নীতিনির্ধারকদের দর্শনগত দীনতা।

রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রস্থলের প্রধান উন্মুক্ত স্থান ওসমানী উদ্যানে নির্মাণ করা হচ্ছে ৪০ হাজার বর্গফুটের একটি ভবন। এতে ফুডকোর্ট, লাইব্রেরি, মিউজিয়াম, গাড়ি পার্কিং এসব রাখার প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছে, যদিও বারবার এসব পরিকল্পনায় বদল আনা হয়েছে।

নগরবিদরা পার্কে কনক্রিটের স্থাপনা নির্মাণের বিরোধিতা করে বলছেন, এর মাধ্যমে উদ্যানের মূল চরিত্র নষ্ট করা হচ্ছে।

পার্কে সাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়ে তিন বছর ধরে চলছে ভবন নির্মাণের কাজ। সম্প্রতি কাজ শেষ করার সময়সীমা আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে।

ওসমানী উদ্যানে ৪০ হাজার বর্গফুটের ভবন

সংশ্লিষ্টরা জানান, ভবন নির্মাণের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত ঠিকাদারকে বাতিল করে বর্তমানে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।

ওসমানী উদ্যান তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সংস্কারের অংশ হিসেবে উদ্যানে ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।

সিটি করপোরেশন সূত্র মতে, নির্মাণাধীন ভবনটির দৈর্ঘ্য ৫০৩ ফুট এবং প্রস্থ ৭৮ ফুট। ভবনটির আয়তন হবে ৪০ হাজার বর্গফুট।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বারবার ডিজাইন পরিবর্তনের পর বর্তমানে ভবনটিতে মূলত ফুডকোর্ট, খেলাধুলার ব্যবস্থা ও লাইব্রেরি রাখার চিন্তাভাবনা করছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।

ওসমানী উদ্যানে ৪০ হাজার বর্গফুটের ভবন

সংস্কারকাজের জন্য গত সাড়ে তিন বছর ধরে উদ্যানটিতে জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ওসমানী উদ্যান সংস্কারকাজ উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। ১০ মাসের মধ্যে সংস্কারকাজ শেষ হবে বলে তখন প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। সংস্কার শুরু হওয়ার সময় উদ্যানটিতে জনসাধারণের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর উদ্যান সংস্কার পরিকল্পনায় বারবার পরিবর্তন আনা হয়। বিলম্বিত হয় সংস্কারকাজ।

মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানীর নামানুসারে উদ্যানটির নাম ওসমানী উদ্যান করা হয়। মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সময় এটির ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের ১১ সেক্টরের স্মরণে উদ্যানটিকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। উদ্যানের উল্লেখযোগ্য অংশ তখন কনক্রিটে আচ্ছাদিত করা হয়েছিল।

ওসমানী উদ্যানে ২০১৮ সালে আবার শুরু হয় উন্নয়ন ও সংস্কারকাজ। মধ্যে ছিল ওয়াকওয়ে, লেক উন্নয়ন, বাউন্ডারি ওয়াল, ল্যান্ডস্ক্যাপিং ওয়ার্ক ইত্যাদি। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ২০১৯ সালে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। একই সঙ্গে পরিকল্পনায় আমূল পরিবর্তন আসে। তখন উদ্যানে ফুডকোর্ট, মিউজিয়াম, লাইব্রেরি ও খেলাধুলার অবকাঠামো প্রতিষ্ঠা ও চারপাশের দেয়াল বিলুপ্ত করার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় উদ্যানের পশ্চিমে ভবন নির্মাণের।

ওসমানী উদ্যানে ৪০ হাজার বর্গফুটের ভবন

ওসমানী উদ্যান সংস্কারকাজের বাজেট শুরুতে ছিল ৫৪ কোটি টাকা। এ জন্য বাজেট বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৮৯ কোটিতে। ২০২০ সালে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের পর ওসমানী উদ্যান সংস্কার পরিকল্পনায় আবারও পরিবর্তন আসে। পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় ওসমানী উদ্যানে ২০০ গাড়ি রাখার মতো আন্ডারগ্রাউন্ড গাড়ি পার্কিং প্রতিষ্ঠা করা হবে। তখন প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

ওসমানী উদ্যানে ভবনটি নির্মাণ করার মাধ্যমে দেশের প্রচলিত রীতিনীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিমত পরিবেশবিদদের। স্থপতি, পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা না করে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ প্ল্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আদিল মোহাম্মদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে উদ্যানের মূল চরিত্র নষ্ট করা হচ্ছে। পার্ক, মাঠে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের আগে গণশুনানি প্রথা রয়েছে। কিন্তু ওসমানী উদ্যানের ক্ষেত্রে এটা মানা হয়নি। পেশাজীবী পরিকল্পনাবিদ, স্থপতিদের সংগঠনের কোনো মতামত নেয়া হয়নি।

ওসমানী উদ্যানে ৪০ হাজার বর্গফুটের ভবন

পরিকল্পনাবিদ আদিল মোহাম্মদ খান আরো বলেন, ফুডকোর্ট, লাইব্রেরি, মিউজিয়াম, গাড়ি পার্কিং এসব পার্কের সঙ্গে যায় না। পার্কের ডিজাইন দেখে মনে হয়, পরিকল্পনা বিষয়ে মৌলিক জ্ঞানের অভাব রয়েছে।

আদিল মোহাম্মদ খান আরও বলেন, মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস পার্কে র‌্যাব কর্তৃক ভবন নির্মাণের বিরোধিতা করেছেন। একই ঘটনা ওসমানী উদ্যানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ওসমানী উদ্যানে ভবন নির্মাণের বিরোধিতা মেয়রের কাছ থেকে প্রত্যাশা করছি।

তিনি আরও জানান, সম্প্রতি প্লানার্স ইনস্টিটিউট ঢাকার পার্ক ও মাঠ নিয়ে এক সমীক্ষা চালিয়েছিল। এতে দেখা যায়, ওসমানী উদ্যানের মোট জায়গার প্রায় ৫০ ভাগ কনক্রিটে আচ্ছাদিত করা হয়েছে। এটা খুব উদ্বেগজনক। কারণ গাইডলাইন অনুযায়ী কোনো পার্কে ১০ ভাগের বেশি স্থান কনক্রিটে আচ্ছাদিত হতে পারে না।

প্রকল্পের প্রধান ডিজাইনার স্থপতি রফিক আজম উদ্যানের ৫০ ভাগ আচ্ছাদিত থাকার কথা অস্বীকার করেন। তিনি জানান, ভবনটি বাগানের মোট আয়তনের ৫ থেকে ৬ ভাগ হতে পারে। ওয়াকওয়ে কী পরিমাণ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। বলতে পারবেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।

ওসমানী উদ্যানে ৪০ হাজার বর্গফুটের ভবন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মুন্সী মো. আবুল হাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভবন ও ওয়াকওয়েসহ মোট পরিমাণ প্রায় ১৫/১৬ ভাগ হতে পারে।

ঢাকা সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ওসমানী উদ্যানের উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের পরিকল্পনায় সম্প্রতি আবারও পরিবর্তন এসেছে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।

মুন্সী মো. আবুল হাশেম জানান, আন্ডারগ্রাউন্ড গাড়ি পার্কিং প্রতিষ্ঠা আপাতত করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবায়নে কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তিনি আরো জানান, ওসমানী উদ্যানে নির্মাণাধীন ভবনে মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও সম্প্রতি বাদ দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে মিউজিয়াম করা হলে আলাদা ভবন তৈরি করা হতে পারে।

ডিজাইন থেকে মিউজিয়াম বাদ দেয়ার কারণ জানতে চাইলে প্রকল্পের প্রধান ডিজাইনার স্থপতি রফিক আজম জানান, মিউজিয়াম বাদ দেয়ার বিষয়টি তিনি অবগত নন। এ বিষয়ে তিনি সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কথা বলতে বললেন। তিনি আরও বলেন, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে ওসমানী উদ্যানের নির্মাণকাজ বিলম্বিত হয়েছে। এ ছাড়া ঠিকাদারের কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন আছে।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক তানভীর হাসান জানান, ওসমানী উদ্যান সংস্কার প্রকল্পের ঠিকাদারের নিয়োগ ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করার একটা প্রক্রিয়া আছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে।

সম্প্রতি ওসমানী উদ্যান সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উদ্যানের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ভবনটি নির্মিত হচ্ছে। এটির নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। ইতিমধ্যে ভবনটির নির্মাণ দেয়াল পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক তানভীর হাসান বলেন, ‘প্রকল্পের বিভিন্ন কাঠামো তৈরির কাজ প্রায় শেষ। ফিনিশিং দেয়ার কাজ বাকি। আশা করা যাচ্ছে, প্রকল্পের বর্তমান নির্ধারিত মেয়াদ ২০২২ সালের জুন মাসের পূর্বেই সংস্কারকাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।’

ওসমানী উদ্যানে ৪০ হাজার বর্গফুটের ভবন

ওসমানী উদ্যানে ভবন নির্মাণ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কনক্রিটের স্থাপনা বাতিল করার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘পুরান ঢাকা ও নতুন ঢাকার সংযোগস্থলে একমাত্র ফুসফুস ওসমানী উদ্যান। এই উদ্যানে ভবন নির্মাণের মাধ্যমে মানবিক, স্বাস্থ্য, পরিবেশগত বিপর্যয়ের জন্য যে ক্ষতি – সেটা তারা বিবেচনায় আনছে না।

‘এটা নীতিনির্ধারকদের দর্শনগত দীনতা। এ কারণে উদ্যান, পার্ক, নদ-নদী ক্ষতিসাধন করে প্রকল্প গ্রহণের প্রবণতা দিন দিন বেড়ে চলছে। মাঠ-পার্কে ভবন নির্মাণের দর্শনগত দীনতা থেকে নীতিনির্ধারকদের বের করতে হবে। উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে পরিবেশের বিপর্যয় হয় - এমন প্রকল্পের পরিকল্পনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।’

এ ব্যাপারে ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপসের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Panthkunj will be an aesthetic garden before July Mayor Tapas

‘পান্থকুঞ্জ জুলাইয়ের আগেই হবে নান্দনিক উদ্যান’

‘পান্থকুঞ্জ জুলাইয়ের আগেই হবে নান্দনিক উদ্যান’ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি: নিউজবাংলা
মেয়র তাপস বলেন, পান্থকুঞ্জ উদ্যান এই এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যান। এটা উন্নয়নের জন্য ২০১৭ সালে মেগা প্রকল্পের আওতায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কারণে ঢাকা লিমিটেড এক্সপ্রেসওয়ে এদিক দিয়ে নওয়ার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ফলে এই পার্কের উন্নয়ন কাজটা বন্ধ হয়ে যায়।

আসন্ন জুলাইয়ের আগেই পান্থকুঞ্জকে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার সকালে নগরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের অভ্যন্তরে পান্থপথ বক্স কালভার্টের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র এ কথা জানান।

মেয়র তাপস বলেন, পান্থকুঞ্জ উদ্যান এই এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যান। এটা উন্নয়নের জন্য ২০১৭ সালে মেগা প্রকল্পের আওতায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কারণে ঢাকা লিমিটেড এক্সপ্রেসওয়ে এদিক দিয়ে নওয়ার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ফলে এই পার্কের উন্নয়ন কাজটা বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে তাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে আলোচনা করেছি, দেন-দরবার করেছি। এর ফলশ্রুতিতে তারা সুনির্দিষ্ট জায়গায় কাজ করবে। বাকি জায়গা আমাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। সেই জায়গায় আমরাই কাজ শুরু করেছি। বর্তমানে এটার অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে।

মেয়র আরও বলেন, আমরা ঢাকাবাসীকে একটি নান্দনিক উদ্যান উপহার দিতে চাই। যদিও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে উদ্যানের বড় একটা অংশ তাদের কাছে চলে যাবে। তারপরও যতটুকু রক্ষা করতে পেরেছি তা ঢাকাবাসীর জন্য অচিরেই উন্মুক্ত করে দিতে পারব। পার্কের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে একটি নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে।

নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, গত বছর কয়েকটি জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে বিশেষ করে নিউমার্কেটের সামনে ও শান্তিনগরে। যেসব কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আমরা সেগুলো পরিষ্কার করেছি। আশা করি এবার আর জলাবদ্ধ থাকবে না। নিউমার্কেট এলাকার জন্য নতুন প্রকল্প নিয়েছি।

তিনি বলেন, এর মূল কারণ হচ্ছে পিলখানা ভেতর দিয়ে আগে যে পানি প্রবাহ প্রবাহের নর্দমা ছিল সেগুলো ২০০৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য গত বছর সেখানে বড় ধরনের জলবদ্ধতা হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি এবং সম্মতি পেয়েছি। আমরা পিলখানার ভেতর দিয়ে পানি প্রবাহের বড় নর্দমা করছি। এটা করতে পারলে ওই এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। এভাবে প্রত্যেকটা এলাকায় বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

ঢাকায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গা ছাড়া তেমন কোন জায়গায় এখন দীর্ঘ সময় জলবদ্ধতা থাকে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগে সূচি অনুযায়ী বক্স কালভার্ট, খাল ও নর্দমাগুলো পরিষ্কার করে থাকি। কারণ যাতে করে বর্ষার সময় পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। এছাড়া ঢাকা শহরে আমরা ব্যাপকভাবে নর্দমা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলমান রেখেছি।

পরে মেয়র সায়েদাবাদ টার্মিনাল সংলগ্ন সায়েদাবাদ সুপার মার্কেট, গেন্ডারিয়ার জহির রায়হান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র পাঠাগার ও ওয়ারীর তাজউদ্দীন স্মৃতি পাঠাগার পরিদর্শন করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A coach of Yamuna Express fell in Tejgaon

তেজগাঁওয়ে পড়ে গেছে যমুনা এক্সপ্রেসের বগি

তেজগাঁওয়ে পড়ে গেছে যমুনা এক্সপ্রেসের বগি ফাইল ছবি
দুর্ঘটনার পর ঢাকাগামী ট্রেন আটকে যায়। এ ছাড়া কারওয়ান বাজার রেলক্রসিং এবং মগবাজারে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জামালপুর থেকে ঢাকায় আসার পথে এ দুর্ঘটনায় পড়ে ট্রেনটি।

কমলাপুর রেলওয়ে থানার পরিদর্শক ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

দুর্ঘটনার পর ঢাকাগামী ট্রেন আটকে যায়। এ ছাড়া কারওয়ান বাজার রেলক্রসিং এবং মগবাজারে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

ফেরদৌস আহমেদ জানান, দ্রুতই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। সকাল ১০টার দিকে লাইনচ্যুত বগি ছাড়াই ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prime Minister pays tribute to Bangabandhus portrait on Mujibnagar Day

মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার সকালে তিনি রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। খবর ইউএনবির

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরবর্তীতে স্থানটির নাম পরিবর্তন করে মুজিবনগর রাখা হয়। প্রথম সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তাজউদ্দীন আহমদকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে মন্ত্রিসভার সদস্য করা হয়। মূল মন্ত্রিসভার সফল নেতৃত্ব সেই বছরের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধকে বিজয়ের দিকে নিয়ে যায়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
It means improvement but the air of Dhaka is unhealthy

মানে উন্নতি, তবু ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস

মানে উন্নতি, তবু ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস মানে সামান্য হেরফের হলেও অস্বাস্থ্যকর বাতাসের চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে ঢাকা। ফাইল ছবি
এ সময় স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে আইকিউএয়ার চারটি পরামর্শ দিয়েছে। এক, বাইরে গিয়ে ব্যায়াম না করা; দুই, বাসা-বাড়ির জানালা বন্ধ রাখা যেন দূষিত বায়ু ঘরে প্রবেশ না করতে পারে; তিন, বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করা এবং চার, এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা।

বাতাসের নিম্ন মানের দিক থেকে আইকিউ এয়ারের তালিকায় গতকাল চতুর্থ অবস্থানে থাকা ঢাকার বায়ুর মানের উন্নতি হয়েছে, তবে ‘অস্বাস্থ্যকরই’ রয়ে গেছে বাংলাদেশের রাজধানীর বাতাস।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ১৫৪ স্কোর নিয়ে বাতাসের নিম্ন মানে ১২০টি শহরের মধ্যে ষষ্ঠ অবস্থানে ছিল ঢাকা।

একই সময়ে যথাক্রমে ১৭১ ও ১৬৮ স্কোর নিয়ে তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভারতের দিল্লি ও পাকিস্তানের লাহোর।

আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৪ গুণ বেশি।

এ সময় স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে আইকিউএয়ার চারটি পরামর্শ দিয়েছে। এক, বাইরে গিয়ে ব্যায়াম না করা; দুই, বাসা-বাড়ির জানালা বন্ধ রাখা যেন দূষিত বায়ু ঘরে প্রবেশ না করতে পারে; তিন, বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করা এবং চার, এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা।

নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।

কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।

৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।

আইকিউএয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।

১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।

র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।

আজ সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৫৪। এর মানে হলো ওই সময়টাতে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয় রাজধানীবাসীকে।

মানে সামান্য হেরফের হলেও অস্বাস্থ্যকর বাতাসের চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে ঢাকা।

একই সময় ১২০টি দেশের এ তালিকায় ৮ স্কোর নিয়ে সর্বশেষ অবস্থানে থাকা কানাডার মন্ট্রিলের বাতাস ছিল ‘ভালো’।

আরও পড়ুন:
ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’, নিম্ন মানে চতুর্থ
ছুটির দিনে বাতাসের নিম্ন মানে সপ্তম ঢাকা
সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস
লাহোরের বাতাস সবচেয়ে দূষিত, ঢাকা অষ্টম
ছুটির দিনে মানে উন্নতি, তবু ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rain of relief after intense heat

তীব্র গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টি

তীব্র গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টি রাজধানীর শাহবাগে বৃষ্টিতে যান চলাচল। ফাইল ছবি
বৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে নিউজবাংলাকে জানান, তারা ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বৃষ্টির খবর পেয়েছেন। কী পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, তা পরবর্তী সময়ে জানানো যাবে।

গত কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। দিনে অস্বস্তি নিয়ে কাজকর্ম করার পর রাতে স্বস্তির ঘুমও কেড়ে নিয়েছে উত্তাপ। এমন পরিস্থিতি থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই অপেক্ষা করছিলেন বৃষ্টি। তাদের সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে রাজধানীতে নেমে এলো বৃষ্টি।

ঈদের ছুটির পর দ্বিতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীতে নামে বৃষ্টি, যা নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন অনেকে।

রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বৃষ্টি হওয়াতে খুব ভালো লাগল। যে গরম শুরু হয়েছিল!

‘আমি প্রেশারের রোগী। অতিরিক্ত গরম হলে সমস্যা হয়ে যায়।’

পূর্বাভাসে যা বলেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানিয়েছিল, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

বৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে নিউজবাংলাকে জানান, তারা ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বৃষ্টির খবর পেয়েছেন। কী পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, তা পরবর্তী সময়ে জানানো যাবে।

আরও পড়ুন:
দিনে গরম বাড়বে
বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি, আরও ঘামবে মানুষ
কোথাও কোথাও হতে পারে শিলা বৃষ্টি
ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে পাঁচ বিভাগে
ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে সাত বিভাগে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Netanyahu is scarier than Hitler Kader

হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর নেতানিয়াহু: কাদের

হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর নেতানিয়াহু: কাদের নাৎসি জার্মানির একনায়ক অ্যাডলফ হিটলার ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: উইকিমিডিয়া কমনস
কাদের বলেন, ‘হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়েছে নেতানিয়াহু।’

ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে নাৎসি জার্মানির একনায়ক অ্যাডলফ হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দক্ষিণ ইসরায়েলে গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার শাসক দল হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন থেকেই উপত্যকায় প্রাণঘাতী হামলা শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েল। সামরিকভাবে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্রটির হামলায় এরই মধ্যে গাজায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৩৪ হাজার ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার শিশু।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সিসকা আলবানিজ চলতি বছরের মার্চের শেষের দিকে বলেছেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় যে অভিযান শুরু করেছে, সেটি গণহত্যার সমতুল্য।

আলবানিজ ইসরায়েলের ওপর অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানান।

এমন বাস্তবতায় কাদের বলেন, ‘হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়েছে নেতানিয়াহু।’

তিনি বলেন, ‘আজকে সারা বিশ্বেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। মনে হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হিটলারের যে দাম্ভিকতা, যুদ্ধংদেহী মনোভাব, সেটা আবারও নতুন করে বিশ্ব রাজনীতিতে দেখতে পাচ্ছি। হিটলার যে হলোকাস্ট ঘটিয়েছিল ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করে, আজকে গাজায় গণহত্যার যে নায়ক একই রূপে আবির্ভূত হয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

‘এই নেতানিয়াহু জাতিসংঘকে মানে না, হোয়াইট হাউসকে তোয়াক্কা করে না। আমেরিকান প্রেসিডেন্টের কথা শুনে না। সে হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর। ১৪ হাজার শিশুকে গাজায় ইতোমধ্যে হত্যা করে ফেলছে।’

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইরানের ইসরায়েল আক্রমণের পর পৃথিবীর ইনফ্লুয়েনশিয়াল রাষ্ট্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু নেতানিয়াহু আবারও ইরান আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মনে হয় বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তি হচ্ছেন নেতানিয়াহু। আপন ইচ্ছায় চলেন, যা খুশি করেন।

‘যাকে ইচ্ছা তাকে মারেন। ভাতে মারেন, পানিতে মারেন, এয়ার স্ট্রাইক করে মারেন। বাউন্ডারি সাইডে সেনাবাহিনী মারেন। তাদের দুর্দমনীয় শক্তির অনুপ্রেরণা দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এটা পৃথিবীর ভয়ংকর চিত্র। তার দাপট মনে হয় হিটলারকেও ছাড়িয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন:
পাহাড় সামলাতে সরকার ব্যর্থ: জিএম কাদের
পাহাড়ের ঘটনায় সরকার সতর্ক ও শক্ত অবস্থানে: কাদের
ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় বিদেশি মদদ নেই: কাদের
পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র তৎপরতা নিয়ে সরকার অত্যন্ত কঠোর: কাদের
তারেক বিএনপির অভিশাপ: কাদের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Prime Minister does not want MP ministers to interfere in the upazila elections
সাংবাদিকদের কাদের

উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ চান না প্রধানমন্ত্রী

উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ চান না প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
কাদের বলেন, ‘আগামী আট মে প্রথম দফার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার না করতে। উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ থাকবে না। অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

উপজেলা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করতে সংসদ সদস্য (এমপি) ও মন্ত্রীদের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

কাদের বলেন, ‘আগামী আট মে প্রথম দফার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার না করতে। উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ থাকবে না। অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়। কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছেন নির্বাচন কমিশন।

‘বিএনপি প্রকাশ্যে উপজেলা নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও আমাদের জানা মতে তাদের অনেকেই অংশগ্রহণ করবেন।’

গাজায় ইসরায়েলি তাণ্ডবের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়েছে নেতানিয়াহু।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে সারা বিশ্বেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। মনে হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হিটলারের যে দাম্ভিকতা, যুদ্ধংদেহী মনোভাব, সেটা আবারও নতুন করে বিশ্ব রাজনীতিতে দেখতে পাচ্ছি। হিটলার যে হলোকাস্ট ঘটিয়েছিল ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করে, আজকে গাজায় গণহত্যার যে নায়ক একই রূপে আবির্ভূত হয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

‘এই নেতানিয়াহু জাতিসংঘকে মানে না, হোয়াইট হাসকে তোয়াক্কা করে না। আমেরিকান প্রেসিডেন্টের কথা শুনে না। সে হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর। ১৪ হাজার শিশুকে গাজায় ইতোমধ্যে হত্যা করে ফেলছে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইরানের ইসরায়েল আক্রমণের পর পৃথিবীর ইনফ্লুয়েনশিয়াল রাষ্ট্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু নেতানিয়াহু আবারও ইরান আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মনে হয় বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তি হচ্ছেন নেতানিয়াহু। আপন ইচ্ছায় চলেন, যা খুশি করেন।

‘যাকে ইচ্ছা তাকে মারেন। ভাতে মারেন, পানিতে মারেন, এয়ার স্ট্রাইক করে মারেন। বাউন্ডারি সাইডে সেনাবাহিনী মারেন। তাদের দুর্দমনীয় শক্তির অনুপ্রেরণা দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এটা পৃথিবীর ভয়ংকর চিত্র। তার দাপট মনে হয় হিটলারকেও ছাড়িয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন:
দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ফল ও মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
আয়ারল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনাকে ঈদের শুভেচ্ছা মোদির

মন্তব্য

p
উপরে