× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
40000 square feet building in Osmani Udyan
google_news print-icon

ওসমানী উদ্যানে ৪০ হাজার বর্গফুটের ভবন

ওসমানী-উদ্যানে-৪০-হাজার-বর্গফুটের-ভবন
ওসমানী পার্কে সাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়ে তিন বছর ধরে চলছে ভবন নির্মাণের কাজ। ছবি: সাইফুল ইসলাম
নগর পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, পুরান ঢাকা ও নতুন ঢাকার সংযোগস্থলে একমাত্র ফুসফুস ওসমানী উদ্যান। এই উদ্যানে ভবন নির্মাণের মাধ্যমে মানবিক, স্বাস্থ্য, পরিবেশগত বিপর্যয় ঘটবে। এটা নীতিনির্ধারকদের দর্শনগত দীনতা।

রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রস্থলের প্রধান উন্মুক্ত স্থান ওসমানী উদ্যানে নির্মাণ করা হচ্ছে ৪০ হাজার বর্গফুটের একটি ভবন। এতে ফুডকোর্ট, লাইব্রেরি, মিউজিয়াম, গাড়ি পার্কিং এসব রাখার প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছে, যদিও বারবার এসব পরিকল্পনায় বদল আনা হয়েছে।

নগরবিদরা পার্কে কনক্রিটের স্থাপনা নির্মাণের বিরোধিতা করে বলছেন, এর মাধ্যমে উদ্যানের মূল চরিত্র নষ্ট করা হচ্ছে।

পার্কে সাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়ে তিন বছর ধরে চলছে ভবন নির্মাণের কাজ। সম্প্রতি কাজ শেষ করার সময়সীমা আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে।

ওসমানী উদ্যানে ৪০ হাজার বর্গফুটের ভবন

সংশ্লিষ্টরা জানান, ভবন নির্মাণের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত ঠিকাদারকে বাতিল করে বর্তমানে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।

ওসমানী উদ্যান তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সংস্কারের অংশ হিসেবে উদ্যানে ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।

সিটি করপোরেশন সূত্র মতে, নির্মাণাধীন ভবনটির দৈর্ঘ্য ৫০৩ ফুট এবং প্রস্থ ৭৮ ফুট। ভবনটির আয়তন হবে ৪০ হাজার বর্গফুট।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বারবার ডিজাইন পরিবর্তনের পর বর্তমানে ভবনটিতে মূলত ফুডকোর্ট, খেলাধুলার ব্যবস্থা ও লাইব্রেরি রাখার চিন্তাভাবনা করছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।

ওসমানী উদ্যানে ৪০ হাজার বর্গফুটের ভবন

সংস্কারকাজের জন্য গত সাড়ে তিন বছর ধরে উদ্যানটিতে জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ওসমানী উদ্যান সংস্কারকাজ উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। ১০ মাসের মধ্যে সংস্কারকাজ শেষ হবে বলে তখন প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। সংস্কার শুরু হওয়ার সময় উদ্যানটিতে জনসাধারণের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর উদ্যান সংস্কার পরিকল্পনায় বারবার পরিবর্তন আনা হয়। বিলম্বিত হয় সংস্কারকাজ।

মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানীর নামানুসারে উদ্যানটির নাম ওসমানী উদ্যান করা হয়। মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সময় এটির ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের ১১ সেক্টরের স্মরণে উদ্যানটিকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। উদ্যানের উল্লেখযোগ্য অংশ তখন কনক্রিটে আচ্ছাদিত করা হয়েছিল।

ওসমানী উদ্যানে ২০১৮ সালে আবার শুরু হয় উন্নয়ন ও সংস্কারকাজ। মধ্যে ছিল ওয়াকওয়ে, লেক উন্নয়ন, বাউন্ডারি ওয়াল, ল্যান্ডস্ক্যাপিং ওয়ার্ক ইত্যাদি। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ২০১৯ সালে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। একই সঙ্গে পরিকল্পনায় আমূল পরিবর্তন আসে। তখন উদ্যানে ফুডকোর্ট, মিউজিয়াম, লাইব্রেরি ও খেলাধুলার অবকাঠামো প্রতিষ্ঠা ও চারপাশের দেয়াল বিলুপ্ত করার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় উদ্যানের পশ্চিমে ভবন নির্মাণের।

ওসমানী উদ্যানে ৪০ হাজার বর্গফুটের ভবন

ওসমানী উদ্যান সংস্কারকাজের বাজেট শুরুতে ছিল ৫৪ কোটি টাকা। এ জন্য বাজেট বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৮৯ কোটিতে। ২০২০ সালে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের পর ওসমানী উদ্যান সংস্কার পরিকল্পনায় আবারও পরিবর্তন আসে। পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় ওসমানী উদ্যানে ২০০ গাড়ি রাখার মতো আন্ডারগ্রাউন্ড গাড়ি পার্কিং প্রতিষ্ঠা করা হবে। তখন প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

ওসমানী উদ্যানে ভবনটি নির্মাণ করার মাধ্যমে দেশের প্রচলিত রীতিনীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিমত পরিবেশবিদদের। স্থপতি, পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা না করে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ প্ল্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আদিল মোহাম্মদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে উদ্যানের মূল চরিত্র নষ্ট করা হচ্ছে। পার্ক, মাঠে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের আগে গণশুনানি প্রথা রয়েছে। কিন্তু ওসমানী উদ্যানের ক্ষেত্রে এটা মানা হয়নি। পেশাজীবী পরিকল্পনাবিদ, স্থপতিদের সংগঠনের কোনো মতামত নেয়া হয়নি।

ওসমানী উদ্যানে ৪০ হাজার বর্গফুটের ভবন

পরিকল্পনাবিদ আদিল মোহাম্মদ খান আরো বলেন, ফুডকোর্ট, লাইব্রেরি, মিউজিয়াম, গাড়ি পার্কিং এসব পার্কের সঙ্গে যায় না। পার্কের ডিজাইন দেখে মনে হয়, পরিকল্পনা বিষয়ে মৌলিক জ্ঞানের অভাব রয়েছে।

আদিল মোহাম্মদ খান আরও বলেন, মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস পার্কে র‌্যাব কর্তৃক ভবন নির্মাণের বিরোধিতা করেছেন। একই ঘটনা ওসমানী উদ্যানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ওসমানী উদ্যানে ভবন নির্মাণের বিরোধিতা মেয়রের কাছ থেকে প্রত্যাশা করছি।

তিনি আরও জানান, সম্প্রতি প্লানার্স ইনস্টিটিউট ঢাকার পার্ক ও মাঠ নিয়ে এক সমীক্ষা চালিয়েছিল। এতে দেখা যায়, ওসমানী উদ্যানের মোট জায়গার প্রায় ৫০ ভাগ কনক্রিটে আচ্ছাদিত করা হয়েছে। এটা খুব উদ্বেগজনক। কারণ গাইডলাইন অনুযায়ী কোনো পার্কে ১০ ভাগের বেশি স্থান কনক্রিটে আচ্ছাদিত হতে পারে না।

প্রকল্পের প্রধান ডিজাইনার স্থপতি রফিক আজম উদ্যানের ৫০ ভাগ আচ্ছাদিত থাকার কথা অস্বীকার করেন। তিনি জানান, ভবনটি বাগানের মোট আয়তনের ৫ থেকে ৬ ভাগ হতে পারে। ওয়াকওয়ে কী পরিমাণ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। বলতে পারবেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।

ওসমানী উদ্যানে ৪০ হাজার বর্গফুটের ভবন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মুন্সী মো. আবুল হাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভবন ও ওয়াকওয়েসহ মোট পরিমাণ প্রায় ১৫/১৬ ভাগ হতে পারে।

ঢাকা সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ওসমানী উদ্যানের উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের পরিকল্পনায় সম্প্রতি আবারও পরিবর্তন এসেছে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।

মুন্সী মো. আবুল হাশেম জানান, আন্ডারগ্রাউন্ড গাড়ি পার্কিং প্রতিষ্ঠা আপাতত করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবায়নে কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তিনি আরো জানান, ওসমানী উদ্যানে নির্মাণাধীন ভবনে মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও সম্প্রতি বাদ দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে মিউজিয়াম করা হলে আলাদা ভবন তৈরি করা হতে পারে।

ডিজাইন থেকে মিউজিয়াম বাদ দেয়ার কারণ জানতে চাইলে প্রকল্পের প্রধান ডিজাইনার স্থপতি রফিক আজম জানান, মিউজিয়াম বাদ দেয়ার বিষয়টি তিনি অবগত নন। এ বিষয়ে তিনি সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কথা বলতে বললেন। তিনি আরও বলেন, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে ওসমানী উদ্যানের নির্মাণকাজ বিলম্বিত হয়েছে। এ ছাড়া ঠিকাদারের কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন আছে।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক তানভীর হাসান জানান, ওসমানী উদ্যান সংস্কার প্রকল্পের ঠিকাদারের নিয়োগ ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করার একটা প্রক্রিয়া আছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে।

সম্প্রতি ওসমানী উদ্যান সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উদ্যানের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ভবনটি নির্মিত হচ্ছে। এটির নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। ইতিমধ্যে ভবনটির নির্মাণ দেয়াল পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক তানভীর হাসান বলেন, ‘প্রকল্পের বিভিন্ন কাঠামো তৈরির কাজ প্রায় শেষ। ফিনিশিং দেয়ার কাজ বাকি। আশা করা যাচ্ছে, প্রকল্পের বর্তমান নির্ধারিত মেয়াদ ২০২২ সালের জুন মাসের পূর্বেই সংস্কারকাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।’

ওসমানী উদ্যানে ৪০ হাজার বর্গফুটের ভবন

ওসমানী উদ্যানে ভবন নির্মাণ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কনক্রিটের স্থাপনা বাতিল করার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘পুরান ঢাকা ও নতুন ঢাকার সংযোগস্থলে একমাত্র ফুসফুস ওসমানী উদ্যান। এই উদ্যানে ভবন নির্মাণের মাধ্যমে মানবিক, স্বাস্থ্য, পরিবেশগত বিপর্যয়ের জন্য যে ক্ষতি – সেটা তারা বিবেচনায় আনছে না।

‘এটা নীতিনির্ধারকদের দর্শনগত দীনতা। এ কারণে উদ্যান, পার্ক, নদ-নদী ক্ষতিসাধন করে প্রকল্প গ্রহণের প্রবণতা দিন দিন বেড়ে চলছে। মাঠ-পার্কে ভবন নির্মাণের দর্শনগত দীনতা থেকে নীতিনির্ধারকদের বের করতে হবে। উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে পরিবেশের বিপর্যয় হয় - এমন প্রকল্পের পরিকল্পনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।’

এ ব্যাপারে ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপসের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
DMP 2 cases in violation of traffic law

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩১৩টি মামলা

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩১৩টি মামলা

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩১৩টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩৫৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১০২টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Satarasta twist blockade technical students stop traffic

সাতরাস্তা মোড় অবরোধ কারিগরি শিক্ষার্থীদের, যান চলাচল বন্ধ

সাতরাস্তা মোড় অবরোধ কারিগরি শিক্ষার্থীদের, যান চলাচল বন্ধ

কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস ও প্রকৌশল কর্মক্ষেত্র কুক্ষিগত করার প্রতিবাদ ও ছয় দফা দাবি বাস্তাবায়নের দাবিতে ফুঁসে ওঠেছে কারিগরি শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর সাতরাস্তা মোড় অবরোধ করেন তারা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীর ও বাসচালকরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ— প্রভাবশালী গোষ্ঠী কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। তারা পলিটেকনিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে প্রকৌশল পেশায় প্রবেশের পথ সংকুচিত করছে। এ ছাড়া চাকরি ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—
জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল, তাদের পদবি পরিবর্তন ও সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুত করা।

২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণ বাতিল ও বিতর্কিত নিয়োগবিধি সংশোধন।

ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তি বাতিল, উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম চালু এবং ধাপে ধাপে ইংরেজি মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা।

উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বাদ দিয়ে নিম্নপদে নিয়োগের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।

কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবলকে কারিগরি সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ নিষিদ্ধ ও আইনানুগভাবে নিশ্চিত করা।

এসব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ এবং সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।

স্বতন্ত্র ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন।

উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁওয়ের নির্মাণাধীন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতায় একাডেমিক কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে শতভাগ আসনে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former senior secretary Abu Alam Shahid Khan arrested

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শাহবাগ থানার মামলায় আজ সোমবার রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আবু আলম শহীদ খান ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DMP 2 cases in violation of traffic law in Dhaka

ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,৫৬৭ মামলা ডিএমপির

ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,৫৬৭ মামলা ডিএমপির

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৫৬৭টি মামলা করেছে ঢাকা

মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩২০টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৩৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, রোববার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The contaminated air is taking the life expectancy of the residents of Dhaka for about 5 years

দূষিত বায়ু প্রায় ৭ বছর আয়ু কেড়ে নিচ্ছে ঢাকার বাসিন্দাদের

দূষিত বায়ু প্রায় ৭ বছর আয়ু কেড়ে নিচ্ছে ঢাকার বাসিন্দাদের

দূষিত বায়ুদূষণ বাংলাদেশিদের গড় আয়ু ৫ বছর ৫ মাস কমিয়ে দিচ্ছে। বিষাক্ত বায়ুর এই প্রভাব রাজধানী ঢাকায় বিশেষভাবে তীব্র। বায়ুদূষণ এই শহরের মানুষের গড় আয়ু ৬ বছর ৯ মাস কমিয়ে দেয়।

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের গত সপ্তাহের এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বাংলাদেশকে বায়ুদূষণে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ু দূষণ হলো আয়ুর জন্য সবচেয়ে বড় বহিরাগত হুমকি। বাংলাদেশে, যা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ।

রিপোর্ট অনুসারে, বাংলাদেশের ১৬ কোটির বেশি মানুষের সবাই এমন এলাকায় বাস করে, যেখানে বাতাসে ফাইন পার্টিকুলেট দূষণের বার্ষিক গড় মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা (৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটার) এবং দেশের জাতীয় সীমা (৩৫ মাইক্রোগ্রাম) উভয়ই ছাড়িয়ে গেছে। রাজধানী ঢাকার মতো জায়গায় এই মাত্রা ৭৬ মাইক্রোগ্রামের ওপরে দেখা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশিকা মেনে চললে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু ৫.৫ বছর বেশি হতে পারে।’

প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, সরকার সমস্যা সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বায়ুর মান দ্রুত খারাপ হচ্ছে।

ঢাকার স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের। আমার সন্দেহ আছে, বিশ্বের আর কোনো দেশ এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সাক্ষী আছে কিনা।’

তিনি বলেন, ‘এখানে বায়ু দূষণ এতটাই মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে, এটি শনাক্ত করার জন্য কোনো গবেষণার প্রয়োজন নেই, কারণ এটি খালি চোখেই দেখা যায়।’

বাংলাদেশের শহরগুলোর বাসিন্দাদের জন্য ‘ধোঁয়াশা’ একটি নিত্যদিনের বাস্তবতা। প্রায় প্রতিদিন সকালেই তাদের ঢেকে রাখে এই ‘ধোঁয়াশা’। কিন্তু আরও বিপজ্জনক হলো, দূষণ যেগুলো চোখ দেখতে পায় না: কণা পদার্থ, PM2.5 — ২.৫ মাইক্রোমিটারের কম প্রশস্ত বায়ুবাহিত ক্ষুদ্র কণা- এগুলো ফুসফুস এবং রক্তপ্রবাহের গভীরে প্রবেশ করে মারত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

১৯৯০-এর দশকের শেষের দিক থেকে বাংলাদেশে PM2.5-এর মাত্রা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২ সালে করোনা ভাইরাস মহামারির সময়ই কেবল এই মাত্রা কমেছিল। কিন্তু সেই প্রবণতা স্থায়ী হয়নি।

ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘গত বছরের AQLI রিপোর্টে, আমাদের গড় আয়ু ৪.৮ বছর কমেছে, এবং এই বছর তা ৫.৫ বছর হিসাবে রিপোর্ট করা হয়েছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। এটি দেখায় যে, রাষ্ট্র তার জনগণের সুরক্ষার জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ এই প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেনি, যার অর্থ বাংলাদেশ সরকারও এই প্রতিবেদনের ফলাফলের সঙ্গে একমত। রাষ্ট্র এখানে দায়িত্ব এড়াতে পারে না।’

দূষণের প্রধান উৎস হিসেবে তিনি জীবাশ্ম জ্বালানি এবং ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ার ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকে তালিকাভুক্ত করেন, বিশেষত ইটের জন্য কয়লা বা কাঠ পোড়ানো।

তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ঢাকার রাস্তায় অতিরিক্ত ১ লাখ যানবাহন চলাচল করে। এই যানবাহনগুলোর অনেকগুলো যথাযথ ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই চলে। এটি বায়ু দূষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আন্তঃসীমান্ত বায়ুদূষণও আমাদের ওপর প্রভাব ফেলছে। খোলা জায়গায় পোড়ানোসহ সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবও একটি বড় কারণ।’

সর্বশেষ বায়ুদূষণ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় সরকার বছরের শেষ নাগাদ তার প্রচেষ্টা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও কাজটি সহজ নয়, তবুও পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ু মান ব্যবস্থাপনার পরিচালক ড. জিয়াউল হক স্বীকার করেছেন, ‘বায়ু দূষণের প্রতিটি উৎস’ বাংলাদেশের পরিবেশে বিদ্যমান।

তিনি আরব নিউজকে বলেন, ‘আমরা রাস্তা থেকে ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই যানবাহনগুলো সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু এই খাতে আমরা এখনো কোনো সাফল্য দেখতে পাচ্ছি না।’

ড. জিয়াউল হক বলেন, ‘যেসব বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বায়ুদূষণের জন্য দায়ী, আমরা তাদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের আওতায় আনব। তাদের কারখানার চুল্লিতে একটি যন্ত্র স্থাপন করা হবে এবং আমাদের কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয়ভাবে নির্গমনের ফলাফল নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন। যদি কোনো বিচ্যুতি পাওয়া যায়, তাহলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করব। ‘বাংলাদেশ পরিষ্কার বায়ু’ প্রকল্পের আওতায় আগামী দুই মাসের মধ্যে এই কাজ শুরু হবে।’

যদিও দূষণের সমস্ত উৎস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, তবুও কিছু উৎস এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে মোকাবিলা করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘ঢাকার ক্ষেত্রে আন্তঃসীমান্ত দূষণ ৩০ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ বায়ুদূষণের জন্য দায়ী। এই পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকার ৩৫ শতাংশ বায়ু দূষণ দেশের বাইরে থেকে আসে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ঢাকার বায়ু দূষণের ২৯ শতাংশই বর্জ্য এবং জ্বালানি কাঠ পোড়ানোর কারণে হয়। আমরা এই সমস্যাটি সঠিকভাবে সমাধান করতে পারিনি। আমাদের প্রচেষ্টা সেখানেই আছে।’

সূত্র: আরব নিউজ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Police have been injured in the movement of students in Shahbag

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০

রাজধানীর শাহবাগে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটেছে। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে অগ্রসর হতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়।

পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)- সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একদল শিক্ষার্থী সকাল ১০টার দিকে পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে সড়কে অবস্থান নেন। এতে শাহবাগ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে স্থাপিত ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ পানি ছোড়ার পাশাপাশি লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ সময় পুলিশ সদস্যদের সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। পরে বাধা পেয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ের মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।

বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BUET students are still in Shahbag blockade today

তিন দাবিতে আজও বুয়েট শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ

তিন দাবিতে আজও বুয়েট শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ

তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ‘মার্চ টু ঢাকা’ অনুযায়ী আজ (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রকৌশলের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে জড়ো হন। এর ফলে সড়কটির যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।

বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

p
উপরে