যত কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে তার প্রায় দ্বিগুণসংখ্যক কোম্পানির। তার পরেও মূল্যসূচক বেড়েছে বেশ ভালো পরিমাণে।
বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারে দরপতন হলেও সূচকের উত্থান; তিন সপ্তাহ ধরে এই প্রবণতা আবার দেখা গেল পুঁজিবাজারে। মৌলভিত্তির বড় মূলধনি কোম্পানির দরে উত্থানই এর কারণ।
দিনভর লেনদেনে ১০৯টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, অন্যদিকে কমেছে ২০৬টির। এটাই বলে দেয়, সূচক বাড়লেও বেশির ভাগ বিনিয়োগকারীর মুখ ছিল ম্লান।
তিন সপ্তাহের সংশোধন শেষে গত সপ্তাহের শেষ দিকে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছিল। তবে রোববারের লেনদেন আবার বিভ্রান্তিতে ফেলে দিল।
তবে অন্য একটি বিষয় কিছুটা হলেও স্বস্তির আভাস দিয়েছে। সেটা হলো টানা পঞ্চম দিন সূচক বৃদ্ধি। ১২ সেপ্টেম্বর দর সংশোধন শুরুর পর এই প্রথম টানা এত দিন বাড়ল।
আগের তিনটি রোববারের তুলনায় এই রোববারের লেনদেন কিছুটা ব্যতিক্রম অবশ্য বলা যায়। গত ১২ সেপ্টেম্বর রোববার সংশোধন শুরুর দিন সূচক পড়েছিল ৫৬ পয়েন্ট।
১৯ সেপ্টেম্বর পরের রোববার সূচকের পতন হয় ৩৭ পয়েন্ট। আর এক সপ্তাহ পর ২৬ সেপ্টেম্বর সূচক পড়ে ৭ পয়েন্ট।
তিন দিনই সূচক আগের বৃহস্পতিবারের তুলনায় বেড়ে গিয়ে শেষ বেলায় পড়ে।
১২ সেপ্টেম্বর একপর্যায়ে সূচক বেড়ে গিয়েছিল ৭৮ পয়েন্ট। সেখান থেকে ১২৪ পয়েন্ট পতন হয় বেলা শেষে।
১৯ সেপ্টেম্বর লেনদেনের শুরুতে সূচক বেড়ে গিয়েছিল ২৮ পয়েন্ট। সেখান থেকে ৬৫ পয়েন্ট পতনে শেষ হয় লেনদেন।
২৬ সেপ্টেম্বর টানা সূচক একপর্যায়ে বেড়ে যায় ২৯ পয়েন্ট। সেখান থেকে পতন হয় ৩৬ পয়েন্ট।
অক্টোবরের প্রথম কর্মদিবসেও সূচক বেড়ে গিয়ে কিছুটা কমেছে, তবে তা কখনও আগের কর্মদিবসের নিচে নামেনি।
লেনদেন শুরুর ২০ মিনিটের মধ্যে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৫২ পয়েন্ট বেড়ে গিয়েছিল। তবে পরে তা সেখান থেকে ২৫ পয়েন্ট কমে লেনদেন শেষ করে।
কিছুটা কমেছে লেনদেন, তবে তা আড়াই হাজার কোটি টাকা ছুঁইছুঁই হয়েছে শেষ পর্যন্ত।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত টানা উত্থানে থাকা পুঁজিবাজারে যে দর সংশোধন শুরু হয়েছে, তাতে সূচক ওঠানামা করার মধ্যে দাম কমছে মূলত স্বল্প মূলধনি, লোকসানি, বন্ধ কোম্পানিগুলোর। অল্প দর কমেছে ব্যাংক খাতেও আর হতাশার মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত দারুণ লভ্যাংশ দেয়ার পর অস্বাভাবিক হারে দর হারিয়েছে।
বহুজাতিক বড় মূলধনি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির দর বৃদ্ধি সূচকে যোগ করেছে ১৮ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট। এ ছাড়া বেক্সিমকো লিমিটেড ৭.২ পয়েন্ট, বেক্সিমকো ফার্মা ৪.৫ পয়েন্ট, ডেল্টা লাইফ ৩.২৪ পয়েন্ট, আইসিবি ৩.০ পয়েন্ট, জিপিএইচ ইস্পাত ২.৭৪ পয়েন্ট, মবিল যমুনা ২.৫৪ পয়েন্ট, পাওয়ার গ্রিড ২.৫৩ পয়েন্ট, বিএসআরএম ২ পয়েন্ট ও সামিট পাওয়ার যোগ করেছে ২.১৯ পয়েন্ট।
অর্থাৎ কেবল ১০টি কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে সূচকে যোগ হয়েছে ৪৮ পয়েন্ট।
অন্যদিকে ওয়ালটন, গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, বিএনআইসিএল, ন্যাশনাল লাইফ, একমি ল্যাবরেটরিজ, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, রবি ও এনআরবিসির দরপতনে সূচক কমেছে মোট ২৮ পয়েন্ট।
আগ্রহ ধরে রেখেছে ওষুধ ও রসায়ন
গত সপ্তাহের বেশির ভাগ সময়ই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের লেনদেনে শীর্ষে ছিল তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাত। চলতি সপ্তাহের শুরুতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে লেনদেনের বেশির ভাগ সময়ই এই স্থানে ছিল আর্থিক খাত। দিনের শেষ দিকে এসে বদলে যায়, দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসে আর্থিক খাত ও প্রথমে চলে আসে ওষুধ ও রসায়ন খাত।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এভডেন্ট ফার্মার, ৭.৪২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার দাম বেড়েছে ৩,৮৩ শতাংশ। দিনের সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে এই কোম্পানিতেই। একটি কোম্পানির ১২৯ কোটি টাকার বেশি হাতবদল হয়েছে।
এই খাতের ৩০টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে মোট ৩২০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪০০ কোটি ৩ লাখ টাকা।
আটটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ২১টি কোম্পানির, অপরিবর্তিত ছিল একটির।
আর্থিক খাতে বিনিয়োগ বেড়েছে
রোববার লেনদেনে নতুন বিনিয়োগ যোগ হয়েছে আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোতে। ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকি ২২টির ৩০৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৮৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
১১টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ১০টির। একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
এদিন আর্থিক খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে প্রাইম ফাইন্যান্সের, ৮.৭৩ শতাংশ। তারপরই আছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৩.০৫ শতাংশ।
এ খাতের সবচেয়ে বেশি ৯.৯৩ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে ন্যাশনাল হাউজিং ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের। শেয়ার দর ৮১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৭৩ টাকা ৪০ পয়সা।
অন্যান্য খাতে লেনদেন
অন্যান্য প্রধান খাতগুলোর মধ্যে ব্যাংক, বিমা, মিউচ্যুয়াল ফান্ড আবার হতাশ করেছে।
ব্যাংক খাতের ৩২টি কোম্পানিতে লেনদেন সামান্য বাড়লেও দরপতন হয়েছে বেশির ভাগ শেয়ারের।
ব্যাংক খাতে দর বেড়েছে কেবল চারটি কোম্পানির। বিপরীতে কমেছে ১৭টির।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ৮২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আগের দিন যা ছিল ১০৬ কোটি ৪ লাখ টাকা।
বিমা খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ৪৪টিরই। বেড়েছে কেবল ৬টির দর।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ২০৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৫২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে মোট ১৭৭ কোটি ২০ লাখ। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৪৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ছয়টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে বাকি ৭টির দরও।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে লেনদেন ও শেয়ারদর বেড়েছে। এই খাতের ১১টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে মোটি ৬৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। বেড়েছে একটির দর, কমেছে ১০টির।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানিতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। এর মধ্যে দাম বেড়েছে পাঁচটির, কমেছে ১৩টির।
মিউচ্যুয়াল ফান্ডে লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় আরও কমেছে। এমনকি লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ ফান্ডের দরও কমেছে। ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে কেবল তিনটির, কমেছে ১৩টির। বাকিগুলোর দর ছিল অপরিবর্তিত।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ১৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২২ কোটি ৮ লাখ টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৫৬ দশমিক ০৪ পয়েন্ট।
শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৯৩ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৩১ দশমিক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৪১ দশমিক ৭১ পয়েন্ট।
দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫০২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য