‘খবরের সব দিক, সব দিকের খবর’ স্লোগান ধারণ করে অগ্রযাত্রার এক বছর পূর্ণ করল নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম। বিগত বছরের মতো আগামীতেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি অগণিত পাঠকমন জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে হাঁটতে চায় বর্ষপূর্তিতে নতুন প্রেরণায় উদ্দীপ্ত সংবাদমাধ্যমটি।
রাজধানীর বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ের নিজস্ব কার্যালয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমটির প্রথম বর্ষপূর্তির কেক কাটেন সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
এ সময় তিনি বলেন, ‘দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে গেল। আমরা আজ অনেক বড় পরিবার। আমি প্রাউড ফিল করছি, এত বড় একটি প্রফেশনাল টিম গড়ে উঠেছে। বিউটিফুল একটি টিম।
‘সবাই যখন বলেন, এই পরিবার খুব ভালো করছে, নিউজবাংলা ডুয়িং ভেরি ওয়েল, তখন প্রাউড ফিল করি। আমরা যখন কিছু করি, তখন আমরা চেষ্টা করি সেটাকে নেক্সট লেভেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ইনশাল্লাহ নিউজবাংলাও একসময় এক নম্বর হবে, এটা আমাদের গোল।’
নিউজবাংলা কখনও অপেশাদার কিছুর মধ্যে যাবে না, পক্ষপাতিত্ব করবে না বলেও জানান নাফিজ সরাফাত।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের শুভেচ্ছা জানান নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর সম্পাদক স্বদেশ রায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিউজবাংলার নির্বাহী সম্পাদক হাসান ইমাম রুবেল, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শেখ জাহিদুর রহমান, বার্তাপ্রধান সঞ্জয় দে, কনসালট্যান্ট নিউজ শিবব্রত বর্মন, প্রধান বার্তা সম্পাদক ওয়াসেক বিল্লাহ সৌধসহ প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।
শুভেচ্ছা জানাতে অনুষ্ঠানে যোগ দেন আমাদের নতুন সময় ও আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, প্রতিদিনের সংবাদের সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম, ঢাকা পোস্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার, জাগো নিউজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কে এম জিয়াউল হক, রাইজিং বিডির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এম এম কায়সার, এনটিভি অনলাইনের বার্তাপ্রধান খন্দকার ফখরুদ্দীন আহমেদ জুয়েলসহ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা।
প্রতিষ্ঠার এক বছরেই নিউজবাংলা যে পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে, তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন অতিথিরা। এই প্রশংসা যেন প্রতিষ্ঠানটি ধরে রাখতে পারে সেই প্রত্যাশাও রাখেন তারা।
গণমাধ্যমের খুব খারাপ সময়েও নিউজবাংলার শুরুটা চমৎকার হয়েছে বলে উল্লেখ করেন দেশের সাংবাদিকতায় পরিচিত মুখ নাঈমুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘চমৎকার একটা শুরু হয়েছে। শুরুটা শুধু চমৎকারই ছিল না, এটা সৃজনশীল ছিল, সাহসী ছিল। আমি বলব যে, এর মধ্যে অনেক সাংবাদিকতার গুণগত মান ও পেশার প্রতি অবিচল আস্থাটাও ছিল। একটা ফাউন্ডেশন তৈরি করার জন্য আমি বলি চমৎকার এক বছর। আগামী বছরগুলোতে নিউজবাংলা এই ফাউন্ডেশনের ওপর উঁচু ইমারত তৈরি করতে পারবে বলে বিশ্বাস করি।
‘বাংলাদেশের অনেক সফল গণমাধ্যম সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না বলে তারা কিন্তু ক্ষয়ে যাচ্ছে। সেই জায়গায় আমাদের জন্য একটা সম্ভাবনা, আমি বলব যে গত এক বছরে সফল সম্ভাবনার উদ্বোধন হয়েছে নিউজবাংলার।’
নিউজবাংলাকে ভিন্নধর্মী ‘নিও মিডিয়া’ হিসেবে উল্লেখ করে ঢাকা পোস্ট সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার বলেন, ‘এই সময়ের একটু ভিন্নধর্মী যেসব নিও মিডিয়া আছে তার মধ্যে অনেক এগিয়ে আছে নিউজবাংলা। নিউজবাংলাসহ অন্যান্য যেসব নিও মিডিয়া আছে তারা এখন অন্যদের ডমিনেট করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিউজবাংলা এক বছর পার করল। এটা ঐতিহ্যের এক বছর, আমি বলব সাফল্যেরও এক বছর। গত এক বছর ধরে পাঠকদের মাঝে অনলাইনে অনেক নতুন নতুন ধারণা, কনটেন্ট, আইডিয়া যোগ করেছে নিউজবাংলা, যেটা পাঠক মহলে সমাদৃত হয়েছে।
‘আমি আশা করব, আগামীর পথচলায় তারা আরও ভালো ভালো কনটেন্ট দেবে। এখন অনলাইনের যুগ। নিউজবাংলা গত এক বছরে অনেক ভালো করেছে। নিউজবাংলা প্রথম সারির গণমাধ্যম হিসেবে এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে এবং আশা করি তারা ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে।’
জাগো নিউজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কে এম জিয়াউল হক বলেন, ‘এক বছরে নিউজবাংলা অনেক ভালো নিউজ করেছে। আমার মনে হয় অনলাইন পাঠকদের যে চাহিদা তার অনেকটাই তারা পূরণ করতে পেরেছে।’
রাইজিং বিডির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এম এম কায়সার বলেন, ‘নিউজবাংলার কালার আর ট্যাগ লাইন আমার খুব পছন্দ। গত এক বছরে তারা যেভাবে পারফর্ম করেছে, এটা যদি ধরে রাখতে পারে তাহলে যে লক্ষ্য নিয়ে নিউজবাংলা এসেছে তার কাছাকাছি তারা যেতে পারবে।’
এনটিভি অনলাইন সংস্করণের প্রধান ফখরুদ্দিন আহমেদ জুয়েল বলেন, ‘একটা কথা আমরা সব সময়ই বলে থাকি, ডিজিটাল উইল রুল। এই যে ডিজিটাল মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন সংবাদ পড়ছে, তাতে নিউজবাংলা একটি চমৎকার ভূমিকা পালন করছে। আমি আশা করব, এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’
দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অনলাইনের স্বর্ণযুগে মাত্র এক বছরে নিউজবাংলা যে জায়গায় এসেছে এটি তাদের প্রচেষ্টারই ফসল। আমি মনে করি, এটি যদি ধরে রাখা যায় তাহলে একটি গুড টিম হতে আর কোনো সময় লাগবে না। এক বছর খুবই কম সময়, কিন্তু আমি চাইব আরও ১০০ বছর যখন হয়তো আমরা থাকব না, তখনও নিউজবাংলা থাকবে।’
নিউজবাংলার পথচলায় শুভেচ্ছা জানান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ অনেকে।
অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে এসে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন (মানিক) বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনই মোটামুটি এটা দেখি। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করছে নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম। আশা করি, ভবিষ্যতেও এটি বজায় থাকবে এবং সঠিক সংবাদটাই প্রচার করবে।’
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের প্রতিনিধি আসাদুল্লাহ গালিব বলেন, ‘একটা সংবাদ নতুন আঙ্গিকে অনেক দিক বিশ্লেষণ করে নিউজবাংলা যেভাবে আমাদের সামনে তুলে ধরছে, যদিও এক বছরে মূল্যায়ন করাটা কঠিন কিন্তু তাদের সংবাদে পাঠকদের যে আশা দেয়া হয়েছিল, তার বেশির ভাগই নিউজবাংলা পূরণ করতে পেরেছে।’
স্ট্র্যাটেজিক ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের স্বতন্ত্র পরিচালক আরিফ খান বলেন, ‘এখনকার প্রজন্ম কিন্তু প্রিন্টের চেয়ে অনলাইনেই সংবাদ পড়তে বেশি পছন্দ করে। আমরাও কিন্তু সময়ের অপ্রতুলতার কারণে এগুলো দেখি। এই পত্রিকাটি আসলেই একটি নতুনত্ব নিয়ে এসেছে। বিশেষ করে অর্থনীতি এবং পুঁজিবাজার নিয়ে যে প্রতিবেদনগুলো হয়, সেগুলো অনেক বিশ্লেষণমূলক ও তথ্যবহুল। এগুলোতে অনেক তথ্য পাওয়া যায়, যেগুলো পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করে।’
পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহসান খশরু বলেন, ‘নিউজবাংলা নতুন হলেও এর পাঠক অনেক বেশি। এটি ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এর শুরুতেই যে সারসংক্ষেপ থাকে, সেটি পুরো রিপোর্টটি সম্বন্ধে পাঠকদের একটি ধারণা দেয়, এটা একটা নতুনত্ব।’
সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুজ্জামান টিপু বলেন, ‘পাঠক হিসেবে আশা করব, যেভাবে নিউজবাংলা এগিয়ে যাচ্ছে, সেভাবেই এগিয়ে যাবে এবং সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলবে এবং এভাবেই পাঠকের আস্থা অর্জন করবে।’
বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নিউজবাংলা কার্যালয়ে শুক্রবার সকাল থেকেই ছিল উৎসবের আমেজ। দিনভর অতিথিরা আসেন, নিউজবাংলার শুভকামনায় বক্তব্য রাখেন। তাদের মধ্যে ছিলেন কিংবদন্তি ফুটবলার কায়সার হামিদ, তারকা ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলি ও জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন এনায়েত উল্লাহসহ আরও অনেকে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা এমন একটি সময় অতিক্রান্ত করছি, যেখানে স্বাধীন সংবাদমাধ্যম হুমকির মুখে। এর মধ্যেও যে এক বছর আপনারা পার করেছেন, সেটি একটি বড় কাজ বলে আমি মনে করি। যেকোনো কাজের মধ্যেই যদি সততা, নিষ্ঠা এবং অবজেক্টিভটা যদি খুব পরিষ্কার থাকে, তাহলে তার ওপর যতই অত্যাচার করুক না কেন, সেটাকে কখনোই ধ্বংস করা যায় না। আমি বিশ্বাস করি, নিউজবাংলা সেই প্রত্যয় নিয়ে, সেই আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যাবে।’
চলচ্চিত্র নির্মাতা রাশিদ পলাশ বলেন, ‘গত এক বছরে আমরা নিউজবাংলার যে কার্যক্রম দেখেছি, তা আমাদের খুব মুগ্ধ করেছে। প্রথম বছরে যেহেতু তারা ভালো করেছে, তাই তাদের কাছে প্রত্যাশাও বেশি। আশা করি, আগামী বছর তারা আরও ভালো করবে। একটা জিনিস যখন প্রথমেই ভালো হয়ে যায়, তখন তার চ্যালেঞ্জও কিন্তু বেড়ে যায়। সেই জায়গা থেকে নিউজবাংলা এ চ্যালেঞ্জ নিতে পারবে বলেই আমি আশা করি।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, ‘যখন গুজব মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তখন গণতান্ত্রিক ও আধুনিক গণমাধ্যম দরকার হয়। নিউজবাংলা এ বিষয়ে সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে, সতর্ক রয়েছে। আশা করি, তারা এ ধারা অব্যাহত রাখবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে নিউজবাংলা আগামীতে পথ চলুক।’
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক মহাসচিব ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘পেশাদারত্বের জন্য আমরা নিউজবাংলার জন্য গর্বিত। তারা এভাবেই এগিয়ে যাক, এটাই আমরা চাই। আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশে এ ধরনের সংবাদমাধ্যম অত্যন্ত প্রয়োজন।’
নিউজবাংলার বর্ষপূর্তি উদযাপনে একই আয়োজন ছিল দেশের সব জেলা ও বিভাগীয় শহরেও। আয়োজন করা শোভাযাত্রা, সভা, সেমিনার। এসব অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
সারা দেশে ৬৪টি জেলায় প্রতিনিধি ও ঢাকায় প্রায় ৮০ জন কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল নিউজবাংলা। এই এক বছরে উল্লেখযোগ্য বেশ কিছু অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করে পাঠকের আস্থা অর্জন করে নিয়েছে এই নিউজপোর্টাল।
সেই সঙ্গে সংবাদের বিশ্লেষণ, সংবাদভাষ্য দেয়ার মাধ্যমে এটি পাঠকের কৌতূহল পূরণ করে চলছে। খবরের পাশাপাশি ছবি, ভিডিও, লাইভ করে পাঠকের কাছাকাছি চলে এসেছে নিউজবাংলা।
আরও পড়ুন:মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঝালকাঠিতে সাতটি দলের চার শতাধিক প্রতিযোগীর অংশগ্রহণে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সুগন্ধা নদীতে প্রতিযোগিতাটি মঙ্গলবার বিকেলে আয়োজন করে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন।
এক আয়োজক বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৬ মার্চ বিকেলে অনুষ্ঠিত নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতাটি সুগন্ধা নদীর ইকোপার্ক প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে কলেজ খেয়াঘাট সংলগ্ন মিনি পার্কে এসে শেষ হয়। এতে আলাদা সাতটি দলের ৪ শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার জিতেছে শেখেরহাট ইউনিয়ন পরিষদ। দ্বিতীয় হয় সদর উপজেলা পরিষদ এবং তৃতীয় হয় ঝালকাঠি বণিক সমিতি।’
নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান সাইফুল্লাহ পনির এবং সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি।
ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ব্যাংকের ডিরেক্টর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন ও মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এফসিএমএ।
ওই সময় অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী ও ক্যামেলকো তাহের আহমেদ চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল নানান ধরনের মিষ্টির জন্য বিখ্যাত। এর মধ্যে রয়েছে টাঙ্গাইলের চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, নেত্রকোণার বালিশ মিষ্টি বা নাটোরের কাঁচাগোল্লাসহ আরও অনেক ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি।
এসব মিষ্টি নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শুরু হয়েছে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় মিষ্টি মেলা’।
বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্য সংস্কৃতি হিসেবে দেশের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টিগুলোকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি গত বুধবার শুরু করে এ মেলার আয়োজন। পাঁচ দিনব্যাপী মেলা চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত। এতে অংশ নিয়েছেন দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা ৬৪ এর অধিক মিষ্টি শিল্পীরা।
জাতীয় মিষ্টিমেলার দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে মূল অনুষ্ঠানের আগে পরিবেশিত হয় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী। লোক-সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় সংগীত পরিবেশন করে সরকারি সংগীত কলেজ। সমবেত শাস্ত্রীয় সংগীত ‘রাগ বৈরাগী ভৈরব’ এবং সমবেত যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন তারা।
এরপর পর্যায়ক্রমে পরিবেশিত হয় একক সংগীত। একক সংগীত পরিবেশন করেন ড. ফকির শহীদুল ইসলাম, শেখ খালিদ হাসান, মাইনুল আহসান, ছন্দা চক্রবর্তী, উত্তম কুমার সাহা, মফিজুর রহমান, এম এ মমিন, উর্বী সোম, সৌমিতা বোম, পূর্ণ চন্দ্র মণ্ডল, সাইফুল ইসলাম, এম এম ইউনুসুর রহমান ও গোলাম মোস্তফা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মনসুর।
প্রথম জাতীয় মিষ্টি মেলা ১০ মার্চ পর্যন্ত চলবে প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৫টায় থাকবে লোক-সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
আরও পড়ুন:অমর একুশে বইমেলা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল দুদিন আগে বৃহস্পতিবারই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুমোদনক্রমে মেলার সময় বাড়ানো হয়েছে দুদিন। বর্ধিত সেই সময় শেষ হচ্ছে আজ।
তবে যে প্রত্যাশা নিয়ে মেলার সময় বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছিল সে অনুযায়ী বই বিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা। তাদের ভাষ্য, বেইলি রোডের মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানির ঘটনা পাঠকদের আলোড়িত করেছে। এ অবস্থায় মেলা শেষ হওয়ার আগের দিন শুক্রবার হওয়া সত্ত্বেও ভিড় ও বিক্রি ছিল কম।
আবার অনেকে বলছেন, মেলার সময় বাড়ানোর তথ্যটা যে পরিমাণে প্রচার হওয়া দরকার ছিল সেই পরিমাণে হয়নি। তাই অনেকে জানেনই না যে মেলার সময় বেড়েছে।
সাধারণত প্রাণের অমর একুশে বইমেলা হয় ২৮ দিনে। তবে এ বছর অধিবর্ষ হওয়ায় মেলা একদিন বেশি পেয়ে দাঁড়ায় ২৯ দিনে। তার ওপর ২৯তম দিনটি বৃহস্পতিবার হওয়ায় প্রকাশকদের দাবি ছিল মেলার সময় বাড়িয়ে শনিবার পর্যন্ত নেয়ার। তাদের দাবি মেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুমোদনক্রমে ২৭ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা দিয়ে বইমেলার সময় দুদিন বাড়ানো হয়।
এবারের বইমেলা শুরু থেকেই ছিল জাঁকজমকপূর্ণ। প্রথম সপ্তাহের পর থেকে মেলা পুরোদমে জমে ওঠে। এর মধ্যে আবার মেট্রো ট্রেন বইমেলায় যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা। দূরত্ব ও যানজট বিবেচনায় আগে যারা বইমেলায় আসতে নিরুৎসাহ বোধ করতেন এবার মেট্রো ট্রেন তাদেরকেও নিয়ে এসেছে বইমেলায়। ফলে বিগত বছরগুলোর তুলনায় দর্শনার্থীর ভিড় এবং ভালো বেচাবিক্রি হওয়ায় প্রকাশকদের মুখেও ছিল সন্তুষ্টির ছাপ।
এ ছাড়া আবহাওয়া ভালো থাকায় প্রকৃতির বিরূপ প্রভাবও পড়েনি মেলায়। ২২ ফেব্রুয়ারি অল্প সময়ের বৃষ্টি মেলার বেচা-বিক্রিতে কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি করলেও তা প্রকাশক ও পাঠকদের বড় ভোগান্তির কারণ হয়নি। তবে পাঠকের অত্যধিক সমাগমের দিন মেলার ধুলোবালি কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলেছে দর্শনার্থীদের।
এদিকে বেশি ভালো বিক্রির প্রত্যাশায় মেলা দুদিন বাড়ানোর দাবি তোলা হলেও বইয়ের বিক্রি আশানুরূপ হয়নি। পাঠক সমাগমও ততোটা বাড়েনি। প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা এজন্য ভিন্ন ভিন্ন কারণ তুলে ধরেছেন।
শুক্রবার মেলায় কথা হয় তাম্রলিপি প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধি কাউসার হোসেনের সঙ্গে। বেচাবিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বেচাবিক্রি শুক্র-শনিবারের মতো তো হচ্ছেই না, নরমাল দিনের মতোও বলা যাচ্ছে না। অনেকে হয়তো জানেনই না যে মেলা দুদিন বেড়েছে। আবার এটাও হতে পারে- যারা বই কেনার তারা ২৯ তারিখের মধ্যেই কিনে ফেলেছেন।’
মাওলা ব্রাদার্সের বিক্রয়কর্মী তামিম হোসেন বলেন, ‘বিক্রি বা ভিড় অনেক কম। নগণ্যই বলা যায়। হতে পারে মেলার সময় বাড়ার খবরটা মানুষের মাঝে পৌঁছাতে যত প্রচার করা দরকার ছিল ততোটা প্রচার হয়নি। ফেসবুক থেকে মানুষ আর কতটাই বা নিউজ জানতে পারে।’
ঐতিহ্য প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধি হাসেম আলী বলেন, ‘বেচা বিক্রি নেই বললেই চলে। মালিক পক্ষ যে প্রত্যাশা নিয়ে মেলা দুদিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল তার ধারেকাছেও নেই বেচাবিক্রি। অর্ধেকেরও কম হবে বলে মনে হচ্ছে।’
তবে অন্বেষা প্রকাশনীর প্রকাশক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার হিসেবে আজ পাঠক ও ক্রেতা সমাগম বেশি হওয়ার কথা ছিল। আমরাও সেরকম প্রত্যাশা করে মেলা দুদিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলাম। আমাদের দাবি পূরণ হয়েছে। কিন্তু বেইলি রোডের মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ড অনেকের মনে প্রভাব বিস্তার করেছে। মেলায় হয়তো তার প্রভাবটা পড়েছে। আশা করি আজ ভালো বিক্রি হবে।’
মেলা শেষের আগের দিনে ২১৯ নতুন বই
এদিকে মেলার শেষ সময়েও নতুন বই নিয়ে আসছেন প্রকাশকরা। শুক্রবার বইমেলার ৩০তম দিনেও নতুন বই এসেছে ২১৯টি।
শুক্রবার হওয়ায় এদিন মেলা শুরু হয় বেলা ১১টায় আর শেষ হয় রাত ৯টায়। তবে এদিন ছিল না কোনো শিশুপ্রহর। শনিবারও থাকবে না কোনো শিশুপ্রহর।
মেলার শুরু থেকে মূল মঞ্চে প্রতিদিনই থেকেছে আলোচনা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। লেখক বলছি মঞ্চে থাকতো বই নিয়ে কথোপকথন। বর্ধিত দুই দিনে তা-ও থাকছে না। এই সময়টাতে মূলত বই বিক্রিই মুখ্য বিষয় থাকবে প্রকাশকদের।
সমাপনী দিনের অনুষ্ঠান
শনিবার সমাপনী দিনে মেলা শুরু হবে সকাল ১১টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৫টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’-এর সদস্য সচিব ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
অনুষ্ঠানে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার এবং শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার দেয়া হবে।
আরও পড়ুন:বাঙালির প্রাণের অমর একুশে বইমেলায় বিদায়ের সুর বেজে উঠছে। মেলার বাকি আর মাত্র চার দিন।
এ কয়েকদিন রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এ বছরের অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এর মধ্য দিয়ে পাঠক, দর্শক ও প্রকাশকের আনাগোনায় মুখরিত থাকা বইমেলার ইতি টানা হবে, তবে বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট নন প্রকাশকরা।
এদিকে এ বছর মেলা দুদিন বাড়ানোর জন্য বাংলা একাডেমির কাছে প্রকাশকরা আবেদন করলেও এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমির সামনের বিভিন্ন স্টল ঘুরে পছন্দের বই খুঁজছেন পাঠকরা। বেশির ভাগ দর্শনার্থীই বই কিনতে মেলায় ভিড় করেছেন। মেলায় বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে বেশি।
পাশাপাশি নানা বয়সি মানুষ বইমেলায় এসেছেন। তাদের কেউবা মনের আনন্দে ঘুরে বেরিয়েছেন। কেউ বই দেখেছেন আবার কেউ কেউ প্রিয় লেখকের বই সংগ্রহ করেছেন। এভাবেই কেটেছে বইমেলার প্রতিটি দিন।
ব্যস্ততার কারণে সাধারণ দিনগুলোতে যারা মেলায় আসতে পারেননি, বন্ধের দিনে তারা ঠিকই হাজির হয়েছেন প্রাণের মেলায়। ফলে ছুটির দিনগুলোতে সবচেয়ে মুখরিত থাকত বইমেলা। এ দুদিন বইয়ের বিক্রিও অন্য দিনের তুলনায় বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এদিকে নতুন লেখকদের বইও বিক্রি হচ্ছে বেশ। তবুও প্রকাশকদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ।
প্রকাশকরা বলছেন, মেলায় আগের তুলনায় বিক্রি অনেক কম হয়েছে। যদিও শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা ও নতুন বই প্রকাশে ব্যস্ত পাঠক, লেখক ও প্রকাশকরা, তবে শেষ কয়েকদিন পাঠকের ঢল নামার প্রত্যাশা করেছেন তারা।
বিভিন্ন প্রকাশনীর বিক্রেতারা জানান, মেলার শেষ দিকে প্রতিদিন বিক্রি ভালো হয়। এখনও প্রতিদিন নতুন নতুন বই মেলায় আসছে।
মেলায় ঘুরতে আসা লিমন ইসলাম বলেন, ‘প্রথম দিকে কিছু বই সংগ্রহ করেছি। আবার এসেছি নতুন বই কিনেছি। বান্ধবীকে বই উপহার দিলাম। শেষের দিকে আবার আসব। আর অবশ্যই আমাদের সকলের বই পড়ার অভ্যাস করতে হবে।’
নারায়ণগঞ্জ থেকে বইমেলায় এসেছেন লাইজু লিজা। তিনি বলেন, ‘বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। এ মেলা এক মাস কেন, সারা বছর থাকা উচিত।’
মাওলা ব্রাদার্সের প্রকাশক আহমেদ মাহমুদুল হক বলেন, ‘প্রথম দিকের চেয়ে এবার শেষের দিকে এসে মেলায় বিক্রি বেড়েছে। মেট্রোরেলের নতুন মাত্রা এবারের বইমেলায় বই বিক্রি বাড়ার প্রধান কারণ। আমরা তরুণ লেখকদের বইগুলো তরুণদের হাতে দিতে পারছি, তবে এ বছর এখনও ব্যাগভর্তি বই ক্রেতা দেখছি না।’
এদিকে রোববার অমর একুশে বইমেলার ২৫তম দিনে মেলা শুরু হয় বিকেল ৩টায় এবং চলে রাত ৮টা ৩০ পর্যন্ত। এদিন নতুন বই এসেছে ৯৬টি।
স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের স্বরণে আলোচনা অনুষ্ঠান
বিকেল ৪টার দিকে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাজী নূরুল করিম দিলু। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন তানভীর নেওয়াজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেবুন নাসরীন আহমেদ।
প্রাবন্ধিক বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের কর্মপরিধি ছিল বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ক্র্যাক প্লাটুনের অন্যতম গেরিলা সদস্য হিসেবে একের পর এক দুঃসাহসিক অপারেশনে অংশ নিয়েছেন তিনি। তার পরিকল্পিত নকশায় নির্মিত হয়েছে দেশের অনেক দৃষ্টিনন্দন ভবন ও স্থাপনা।
‘গণমানুষের অধিকারের বিষয়ে মোবাশ্বের হোসেন ছিলেন আপসহীন। দেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ভবন সুরক্ষা, পরিবেশ রক্ষা, শিক্ষা, ক্রীড়া এমনকি ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা থেকে শুরু করে প্রায় সকল ক্ষেত্রেই তিনি রেখেছেন সক্রিয় ভূমিকা।’
আলোচক বলেন, বাংলাদেশের বহুবিধ স্থাপত্য প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে বীর মুক্তিযোদ্ধা স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের নাম। ব্যক্তিমানুষ হিসেবে অত্যন্ত আন্তরিক মোবাশ্বের হোসেন দেশ ও মানুষের কল্যাণের জন্য সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক জেবুন নাসরীন আহমেদ বলেন, বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্যই ছিল দৃঢ়তা, সততা, সাহসিকতা এবং দেশ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা। তার কর্মমুখর জীবন ও আদর্শ সবার জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
বই-সংলাপ ও রিকশাচিত্র প্রদর্শন মঞ্চের আয়োজন
এ মঞ্চে বিকেল ৫টার দিকে কবি ও চলচ্চিত্রকার মাসুদ পথিকের কবিতা ও চলচ্চিত্র বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি এজাজ ইউসুফী, জান্নাতুল ফেরদৌসী, উৎপলকান্তি বড়ুয়া, প্রসপারিনা সরকার, অংকিতা আহমেদ রুবি, রিশাদ হুদা, সৌমিত্র দেব, অরবিন্দ চক্রবর্তী, আহসান মালেক, রওশন ঝুনু, সমর চক্রবর্তী, গিরিশ গৈরিক এবং আহমেদ জসিম।
ছড়া পাঠ করেন ছড়াকার আখতার হুসেন, আমীরুল ইসলাম, লুৎফর রহমান রিটন, ফারুক হোসেন, আনজীর লিটন, মাহমুদউল্লাহ, সারওয়ার উল আলম, রিফাত নিগার শাপলা এবং তপংকর চক্রবর্তী। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মাহমুদা আখতার, চিং হ্লা মং চৌধুরী এবং চৌধুরী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
এবারের বইমেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমির মাঠে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ বছর মোট ৩৭টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গত বছর ৬০১টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মোট ৯০১টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
আজকের বইমেলা
২৬শে ফেব্রুয়ারি সোমবার অমর একুশে বইমেলার ২৬তম দিন মেলা শুরু হবে বেলা ১২টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: আবুবকর সিদ্দিক এবং স্মরণ: আজিজুর রহমান আজিজ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন যথাক্রমে ফরিদ আহমদ দুলাল এবং কামরুল ইসলাম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন মামুন মুস্তাফা, তৌহিদুল ইসলাম, মো. মনজুরুর রহমান এবং আনিস মুহম্মদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কবি আসাদ মান্নান।
আরও পড়ুন:অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আবারও নিজেদের শাণিত করে পরম শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ভাষাশহিদদের স্মরণ করলেন অস্ট্রিয়ার প্রবাসী বাঙালিরা।
দেশটির রাজধানী ভিয়েনার হেলবেগটাসে অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয়ে বুধবার বিকেলে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের পর শহিদদের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম। সঞ্চালনা করেন, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শ্যামল।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি, অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অস্ট্রিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি রবিন মোহাম্মদ আলী, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শ্রী রুহী দাস সাহা, শফিকুর রহমান বাবুল, মনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব খান শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম কাঞ্চন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জহির তুহিন।
অনুষ্ঠানে এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘একুশে আমাদেরকে ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় থাকতে এবং মাথা নত না করতে শিখিয়েছে। একুশ আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতীক। একুশের চেতনায়ই আজ এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।’
খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, ‘এই একুশে বরকত, সালাম, জব্বার, রফিকরা ভাষার দাবিতে রক্ত দিয়েছিল। একুশ আমাদেরকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখিয়েছে।’
বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাঙালির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে অমর একুশের গান, মুক্তিযুদ্ধের গান ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা।
আরও পড়ুন:অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এ প্রকাশিত হয়েছে জনপ্রিয় স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান জি বাংলা'র মীরাক্কেল দশের অন্যতম ফাইনালিস্ট আফনান আহমেদ রাশেদের রম্য বই ‘ফিলিং চিলিং’।
অমর একুশে বইমেলার মাঠে শিখা প্রকাশনী মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
শিখা প্রকাশনীর ৩০০, ৩০১, ৩০২, ৩০৩ নম্বর স্টলে ফিলিং চিলিং বইটি পাওয়া যাচ্ছে। ঘরে বসেও পাঠকরা অনলাইন বইয়ের শপ রকমারি, প্রথমা, বইফেরী সহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
বইটির লেখক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী আফনান আহমেদ রাশেদ ছিলেন মীরাক্কেল সিজন টেনের অন্যতম ফাইনালিস্ট। পড়াশোনা করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকায়। পেশাগত জীবনে স্ট্যান্ড-আপ-কমেডিয়ান, স্ক্রিপ্ট রাইটার।
তরুণ এই লেখক এবং স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ানের ভাষ্যমতে, দর্শকদের ভালোবাসা তাকে বিমোহিত করে তাই তিনি নিজেকে রেডিও, টেলিভিশন কিংবা মঞ্চে এখন সরব রেখেছেন।
লেখক রাশেদ বলেন, রম্য কিংবা জোকসের বই মানেই অন্যরকম ভালোলাগা, আনন্দ কিংবা প্রাণবন্ত অনূভুতির চমৎকার বহিঃপ্রকাশ ফিলিং-চিলিং বই ।
রাশেদ বলেন, মীরাক্কেলের ভেতর বাইরে নানান গল্প নিয়ে লিখেছেন ২০২২ সালে মীরাক্কেল এক্সপ্রেস বইটি। সেই সময়ে মানুষের ভালোবাসায় বইটি প্রচুর পাঠক সমাগম ও জনপ্রিয়তা পায়। এই জন্য এবার তিনি চেষ্টা করেন মানুষকে আনন্দ দেয়ার। এইজন্য তার লেখা এই ভিন্নধর্মী বই ফিলিং-চিলিং। বইটিতে রয়েছে দুর্দান্ত সব স্যাটায়ার, সেন্স অব হিউমার, কমিক পাঞ্চলাইন, ক্রিঞ্চ কমেডি সহ বিভিন্ন জোক।
জি বাংলার রিয়্যালিটি শো মীরাক্কেলের সিজন টেনের অন্যতম ফাইনালিস্ট ছিলেন রাশেদ। মীরাক্কেল খ্যাত রাশেদ এর জনপ্রিয় বই "মীরাক্কেল এক্সপ্রেস"। যা ২০২২ সালে অমর একুশে বইমেলায় পাঠকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান, স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে কাজ করার পর লেখক হিসেবে তার আবির্ভাব হয়েছে।
মন্তব্য