জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’-এ আবাসিক ছাত্রী হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এ আবেদন ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
যেভাবে করবেন আবেদন
অনলাইনে ছাত্রী হলের আবেদন করতে প্রথমেই শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব পোর্টালে স্টুডেন্ট লগইন করতে হবে।
আবেদনের লিংক: http://student.erp.jnu.ac.bd/jnuis/student
লগইন করতে প্রদত্ত লিংকটি ওপেন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিতে হবে। পাসওয়ার্ডে এইচএসসির রোল নম্বর অথবা পরিবর্তন করে থাকলে পরিবর্তিত কোড দিয়ে প্রবেশ করতে হবে।
লগইন সম্পন্ন হলে ‘এপ্লাই ফর সিট অফ বিএফএফ হল’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। পরে ফরমটি ওপেন করার আগে কনফার্মেশনের জন্য একটি পেজ আসবে, সেখানে ক্লিক করতে হবে। এরপরই আবেদন ফরমটি আসবে। মোবাইলে আবেদন করলে ব্রাউজারটি ডেস্কটপ মুডে ওপেন করে নিলে সুবিধা হবে।
আবেদনে যা লাগবে
আবেদন ফরমটি ওপেন হলেই সেখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নাম, বিভাগ, শ্রেণি (স্নাতক/স্নাতকোত্তর), শিক্ষাবর্ষ ও স্টুডেন্ট আইডি নম্বর ইনপুট করা থাকবে। একজন শিক্ষার্থীকে আবেদনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর যদি থাকে তাহলে তা প্রদত্ত বক্সে ইংরেজিতে লিখতে হবে। এরপর বর্ষ ও সেমিস্টার বক্স থেকে সিলেক্ট করতে হবে।
এবার নিচের বক্সে মাধ্যমিক/সমমান ও উচ্চ মাধ্যমিক/সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম যুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি স্নাতকের (সম্মান) বর্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ও সিজিপিএ প্রদত্ত বক্সে পূরণ করতে হবে।
এরপর পিতা ও মাতার পেশা, ফোন নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর যোগ করতে হবে। ছাত্রীর স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা গ্রাম, ডাকঘরসহ লিখতে হবে।
ছাত্রীর ফোন নম্বর, আইনানুগ অভিভাবকের নাম, পেশা, পূর্ণ ঠিকানা, ফোন নম্বর, জাতীয়তা, ধর্ম, বৈবাহিক অবস্থা (বিবাহিত/অবিবাহিত), অতিরিক্ত যোগ্যতা যদি থাকে তাহলে তা লিখতে হবে।
স্থানীয় অভিভাবকের নাম (অবশ্যই বিবাহিত এবং ঢাকায় অবস্থানকারী), ফোন নম্বর, আবাসিক ঠিকানা ও স্থানীয় অভিভাবকের সঙ্গে ছাত্রীর সম্পর্ক লিখতে হবে। না থাকলে ‘নাই’ বা ‘নো’ কিংবা ‘নিল’ লিখতে হবে। সম্পূর্ণ ফরমটির সব তথ্য পূরণ করার পর সাবমিট অপশনে ক্লিক করে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ফরমটিতে সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে এবং সাবমিটের আগে তথ্য নিশ্চিত করে নেয়ার জন্য হল কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্ক অ্যান্ড আইটি দপ্তর বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন।
যারা সিট পাবেন
সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী, হলে ছাত্রী তোলা হবে বলে জানিয়েছেন হল কর্তৃপক্ষ।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে দূরত্ব ও মেধা অনুযায়ী সিট বরাদ্দ দেয়া। আমার পছন্দ ছিল যেন প্রতিটি রুমে ব্যাচ অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের সিট দিতে পারি। কিন্তু অন্য কোথাও তো এমন নিয়ম নেই। তাই মিক্স করেই রুমে সিট বরাদ্দ হবে।’
হলে ছাত্রী তোলার ব্যাপারে ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীদের দূরত্ব ও মেধাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলেও তিনি জানান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকার বাইরের যেসব ছাত্রী অনেকটা দূরের তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে এবং মেধার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। আর ছাত্রীদের সিট বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রতি বর্ষ অনুসারে আমরা সিটের বরাদ্দ করেছি। মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা বেশি সিট বরাদ্দ পাবে, এরপর অনার্স চতুর্থ বর্ষের, এরপর তৃতীয় বর্ষের। এভাবে বর্ষ অনুসারে সিট বরাদ্দ কমবে। আমরা প্রতিটি বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্যই সিট বরাদ্দ রেখেছি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নীতিমালা গত ৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৫তম সিন্ডিকেটে পাস হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার পরই ছাত্রীদের হলে তুলতে চায় প্রশাসন। সেই লক্ষ্যে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ছাত্রী হলে যে সুবিধা থাকছে
১৬ তলা হলটির ১৫৬টি কক্ষে চারজন করে ৬২৪ জন ছাত্রী থাকতে পারবেন। হলের তৃতীয় থেকে ১৬ তলা পর্যন্ত ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। আর নিচতলা ও দোতলায় রয়েছে লাইব্রেরি, ক্যানটিন ও ডাইনিং। এ ছাড়া প্রতি তলায় সাতটি করে টয়লেট ও আটটি গোসলখানা রয়েছে। ভবনটিতে চারটি লিফটের ব্যবস্থা রয়েছে।
যেভাবে এলো হল
২০০৯ ও ২০১১ সালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর ছাত্রী হল নির্মাণের ঘোষণা আসে। ২০১১ সালেই শুরু হয় হল প্রকল্পের কাজ। পরে ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি লিয়াকত অ্যাভিনিউয়ের ২৩ কাঠা জায়গা থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা ওই সময় ছাত্রী হলের ব্যানার টানিয়ে জায়গাটির দখল নেন।
২০১৩ সালের ২৫ আগস্ট জায়গাটিতে ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ ছাত্রী হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। ওই দিন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বৈঠকে এক হাজার ছাত্রীর আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে ২০ তলা ফাউন্ডেশনের দুটি টাওয়ার নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।
২০১৩ সালের ২২ অক্টোবর এ হলটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এর এক বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হলটির নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয়। হল নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম দফায় মেয়াদ ছিল ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত। দ্বিতীয় মেয়াদ ২০১৩ সালের জুন থেকে ২০১৬ সালের জুন। তৃতীয় দফা ২০১৬ সালের জুন থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।
২০১৯ সালেও কাজ শেষ না হলে ২০২০ সালেও অতিরিক্ত সময়ে কাজ চলতে থাকে। শুরুতে এই হলের নির্মাণ ব্যয় ৩৩ কোটি টাকা ধরা হলেও কাজ শেষ করতে ৩৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান হলটি নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশনের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাৎ হোসেন।
চলতি মাসের ৭ অক্টোবর থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আটকে থাকা সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হবে। তবে পরীক্ষা শুরুর আগে হলে ছাত্রী তোলার ব্যাপারে কোনো আশ্বাস নেই প্রশাসনের।
আরও পড়ুন:প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন) যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটি ব্যর্থ হবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘দেশের নির্বাচনে আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।’
সভায় দেশের সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা।
টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজে সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাচসাস সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানা ক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেন তাদেরকে আমরা মননশীল মনে করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন?
নারকীয় এই হামলায় নেতৃত্ব দেয়া জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বোসহ হামলায় জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে আরও অংশ নেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বোর নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন চারজন।
তদন্ত কমিটি
এদিকে হামলার ঘটনা তদন্তে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।
দশজনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয় ও আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল ও রত্না রয়েছেন।
আরও পড়ুন:উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী ও এমপিদের স্বজনরা সরে না দাঁড়ালে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার দলের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
কাদের বলেন, ‘দলীয় সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে নির্দেশনা, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি।
‘নির্বাচন কমিশনে সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে কেউ ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারেন। এ বিষয়টা চূড়ান্ত হতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখানে কেউ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে দলে; সময়মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয়টি আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রত্যাহার করবে না, এ ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত সময়মতো নেয়া হবে।’
চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেও কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাধারণ ক্ষমা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দলীয় রণকৌশল। সেটা হতেই পারে। সেটা দলের সভাপতি নিতে পারেন। নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে।’
বিএনপির সমাবেশের দিনে আওয়ামী লীগেরও সমাবেশ থাকে—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাস থেকে জনগণকে রক্ষায় কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকেই যায়। জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আছে।
‘আমরা মাঠে থাকলে তারা এসব অপকর্ম করতে মানসিকভাবে চাপে থাকবে। সে জন্য আমরা কর্মসূচি দিই। বিএনপির চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করতে জনগণের স্বার্থে আমাদের কর্মসূচি থাকা উচিত।’
আরও পড়ুন:গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য বুধবার তিন ঘণ্টা রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় গ্যাস থাকবে না।
এদিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজ করবে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তথ্য অনুযায়ী, যেসব এলাকায় সব শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে সেগুলো হলো- শনির আখড়া, বড়ইতলা, ছাপড়া মসজিদ, দনিয়া, জুরাইন, ধোলাইরপাড় ও কদমতলী।
আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে জানিয়ে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস গ্যাস।
রাজধানীর সদরঘাটের শ্যামবাজার ঘাটে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ওই আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এমভি বাঙালি নামের লঞ্চটিতে কোনো যাত্রী ছিল না।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চারটি ইউনিট। পরে যোগ দেয় আরও একটি ইউনিট।
তিনি জানান, দুপুর পৌনে ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। লঞ্চটির তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত। আগুনের কারণ ও বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, লঞ্চটি নোঙর করা ছিল। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) গেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা আমিরকে টাইগার গেটে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। খবর বাসসের
তারা সেখানে একান্ত বৈঠকেও মিলিত হবেন। পরে তারা দুই দেশের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করবেন।
পিএমও ত্যাগের আগে আমির টাইগার গেটে রক্ষিত ভিজিটরস বুকেও সই করবেন। এরপর তিনি বঙ্গভবনে যাবেন যেখানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কাতার আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন।
সন্ধ্যায় আমির একটি বিশেষ বিমানে কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে কাতারের আমির সোমবার দু দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা এসেছেন।
আগামী ২৬ এপ্রিলের (শুক্রবার) শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থগিত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।’
প্রসঙ্গতঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
রোববার (২১ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ৩টা থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করা হবে।
অবশ্য এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ২৬ এপ্রিল বিকেলে নয়াপল্টনে সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। পরে তাপপ্রবাহের কারণ দেখিয়ে সোমবার তা স্থগিত করে দলটি।
মন্তব্য