গ্রিনফিল্ড বা এখনও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে আসেনি এমন কোম্পানি আর ওটিসে থেকে আসা মিলিয়ে এসএমই প্ল্যাটফর্মের লেনদেন শুরুর দিন সব কটি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়ে দিনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে। তবে এসব শেয়ারের লেনদেন হয়েছে নগণ্য সংখ্যক। অর্থাৎ এখন যে দাম, সে দামে বিক্রি করতে রাজি নন শেয়ারধারীরা।
বৃহস্পতিবার ছয়টি কোম্পানিকে নিয়ে এই এসএমই বোর্ড উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫টির শেয়ার দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ। একটির লেনদেন হয়নি।
পুঁজিবাজারের অন্য সব কোম্পানির শেয়ারদর দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারলেও এই প্লাটফর্মের কোম্পানির ক্ষেত্রে দর বৃদ্ধি বা কমার সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা আছে দ্বিগুণ, অর্থাৎ ২০ শতাংশ।
এই প্ল্যাটফর্মে মূলত পুঁজিবাজারের যোগ্য বা প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনা বেচা করতে পারবে। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যাদের পুঁজিবাজারে এক কোটি টাকা বা তার বেশি বিনিয়োগ আছে তারও শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবে।
ওটিসি মার্কেট থেক ফেরা কোম্পানিগুলোর শেয়ার যেসব সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে থাকবে তিনি তার শেয়ার এই মার্কেটে বিক্রি করতে পারবেন। কিন্ত শেয়ার ক্রয় করতে পারবেন না।
ডিএসইর পাশাপাশি চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (সিএসই) এর ইনডেক্স বোর্ড - এ ‘সিএসই এসএমই ইনডেক্স’ নামে একটি নতুন ইনডেক্স যুক্ত করেছে। এই প্ল্যাটফর্মে পাঁচটি কোম্পানির প্রথম ট্রেডিং হয়েছে।
২০১৯ সালে এসএমই প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করা হলেও লেনদেন শুরু হয়েছে দুই বছর পর।
কেমন ছিল লেনদেন
যে ছয়টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়ে লেনদেন শুরু করেছে, তার মধ্যে দুটি নতুন অনুমোদন পাওয়া। এবং চারটি ওটিসি মার্কেট থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।
নতুন অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিগুলো হলো মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেক ও অরিজা এগ্রো। ওটিসি থেকে এসেছে হিমাদ্রি, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজ, বেঙ্গল বিস্কুটস ও অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস।
লেনদেনে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে তালিকাভুক্ত অরিজা অ্যাগ্রোর শেয়ার দর দিনের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১২ টাকা। এদিন কোম্পানিটির দুটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৬ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার ৫০০টি।
কোম্পানিটিও প্রাতিষ্ঠানিক বা যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ কোটি শেয়ার ছেড়ে ১০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। এই টাকায় কোম্পানিটি ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, কার্যকরী মূলধন এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করবে।
গত ৩০ ডিসেম্বর সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ০২ পয়সা। এই কোম্পানিটির এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেনের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩ বছর ইস্যুয়ার কোম্পানি কোনো বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না।
মাস্টারফিড অ্যাগ্রোটেকের শেয়ারদরও বেড়েছে সমপরিমাণ। ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত শেয়ারদর বেড়ে হয়েছে ১২ টাকা। হাতবদল হয়েছে কেবল তিনটি শেয়ার।
কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১ কোটি শেয়ার ছেড়ে ১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। উত্তোলিত অর্থে কোম্পানির কার্যকরী মূলধন এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করা হবে।
গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৮ পয়সা।
ওটিসির চার কোম্পানি
ওটিসি থেকে ফেরা চার কোম্পানির মধ্যে বেঙ্গল বিস্কুট কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ১৮.৫০ শতাংশ। শেয়ার দর ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১৩ টাকা ৩০ পয়সা। মোট দুটি লেনদেনে ২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে বৃহস্পতিবার।
এই কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দিনে এরচেয়ে বেশি বাড়া সম্ভব ছিল না।
খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতে এই কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
প্রকৌশল খাতের ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজের শেয়ার দর নির্ধারণ করা হয় ১৬ টাকা ৬০ পয়সা। সেখান থেকে লেনদেনে প্রথম দিনে দিনের সর্বোচ্চ ১৯.৮৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৯ টাকা ৯০ পয়সা। একদিনে এর চেয়ে বেশি বাড়া সম্ভব ছিল না। এই দামে হাতবদল হয়েছে দুটি শেয়ার।
কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১০ কোটি টাকা।
বস্ত্র খাতের অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিশিংয়ের দর ১২ টাকা থেকে দিনের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৪ টাকা ৪০ পয়সা। এই দরে বিক্রি হয়েছে ৫টি মাত্র শেয়ার।
কোম্পানিটির রিজার্ভ ঘাটতি আছে ৮৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
হিমাদ্রির শেয়ার দর ৮ টাকায় শুরু হলেও কোনো লেনদেন হয়নি।
কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৭৫ লাখ টাকা। বিবিধ খাতের এই কোম্পানিটির রিজার্ভে জমা আছে ১৩৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
তালিকাভুক্তির অপেক্ষায় যেগুলো
নিয়ালকো এলয়েজ
এসএমই খাতে প্রথম কোম্পানি হিসেবে এটিকে অনুমোদন দেয়া হয় ১৫ এপ্রিল। যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কোম্পানিটি ৭৫ লাখ শেয়ার বরাদ্দ করবে।
উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ভূমি উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
কোম্পানিটির ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯১ পয়সা।
মোস্তফা মেটাল
বিএসইসির ৭৮০তম কমিশন সভায় মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজকে ১১ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১ কোটি ১০ লাখ শেয়ার বিক্রির অনুমোদন দেয়া হয়। পুঁজিবাজারের যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে এই পরিমাণ শেয়ার বরাদ্দ করবে মোস্তফা মেটাল।
উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, কার্যকরী মূলধন এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে।
কৃষিবিদ ফিড
কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ২ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ২২ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এই টাকা ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, কারখানা ভবন নির্মাণ, যন্ত্রপাতি ক্রয়, ডিজেল জেনারেটর ক্রয়, ডেলিভারি ভ্যান ক্রয় এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে।
৩০ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ১ টাকা ৬৭ পয়সা।
ওটিসি থেকে এসএমই বোর্ডে যাচ্ছে যেগুলো
ওটিসিতে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৩টি যাবে এসএমই বোর্ডে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে উৎপাদনে থাকা চারটি ইতোমধ্যে লেনদেন শুরু করেছে। ফলে ওটিসির আরও ১৯টি কোম্পানি পর্যায়ক্রমে এই বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।
এছাড়া এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে উৎপাদনে থাকা কোম্পানির মধ্যে আছে বাংলাদেশ হোটেল লিমিটেড, গচিহাটা অ্যাকোয়াকালচার, ইউসুফ ফ্লোর মিলস।
উৎপাদনে না থাকা ১৬ কোম্পানির মধ্যে আছে আল আমীন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিস, আলফা ট্যোবাকো, আমান সি ফুড, আশরাফ টেক্সটাইল মিলস, বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক্স মিটার কোম্পানি, বাংলাদেশ লিফ ট্যোবাকো কোম্পানি, বেঙ্গল ফাইন সিরামিক, বায়োনিক সি ফুড এক্সপোর্ট, ঢাকা ফিশারিজ, লেক্সকো লিমিটেড, মেঘনা শিম্প কালচার লিমিটেড, রাসপিড ডাটা ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেলিকম, রাঙ্গামাটি ফুড, থ্যারাপিউটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড ও জাগো কররেশনও লেনদেন শুরু করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য