করোনার প্রভাবে দেড় বছর ধরে দেশের অর্থনীতি প্রায় বিপর্যস্ত হলেও এই সময়ে কায়িক শ্রমের চাহিদা বেড়েছে। দিন আনে দিন খায় এমন শ্রমিক ও দিনমজুরদের মজুরি বাড়ার তথ্য পাওয়া গেছে এক গবেষণায়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বা বিবিএস বলছে, গত আগস্ট মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি) জাতীয় মজুরির হার বেড়েছে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।
অর্থাৎ গত বছরের আগস্টে শ্রমিক ও দিনমজুররা গড়ে ১০০ টাকা মজুরি পেলে এই বছরের আগস্টে পেয়েছেন ১০৫ টাকা ৮০ পয়সা।
অবশ্য মজুরি বাড়লেও আয় বেড়েছে এমনটি বলার সুযোগ নেই। কারণ, প্রতিদিন কাজ পেয়েছেন কি না, এই বিষয়টি গবেষণায় স্পষ্ট করা হয়নি।
বিবিএসের হিসাব বলছে, আগস্ট মাসে একসময়ের মঙ্গাকবলিত রংপুর বিভাগের শ্রমিক-দিনমজুরদের মজুরি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে; ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের আগস্টে রংপুর অঞ্চলের শ্রমিক ও দিনমজুররা ১০০ টাকা মজুরি পেলে গত আগস্টে পেয়েছেন ১০৬ টাকা ৬৭ পয়সা।
আর কম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে যে অঞ্চলে, সেই সিলেট বিভাগে; ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এ তথ্য বলছে, গত বছরের আগস্টে সিলেট অঞ্চলের শ্রমিক ও দিনমজুররা ১০০ টাকা মজুরি পেলে গত আগস্টে পেয়েছেন ১০৫ টাকা ৫৪ পয়সা।
তবে অর্থনীতির গবেষক সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান এই গবেষণার ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এ তথ্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, কেউ বিশ্বাস করবে না।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকার চেয়ে রংপরের শ্রমিক-দিনমজুররা বেশি মজুরি পান, এটা কীভাবে সম্ভব? বিবিএসের গবেষণা পদ্ধতিতেই গোলমাল আছে। প্রথম কথা হচ্ছে, এই মহামারিতে কোনো শ্রমিক-দিনমজুরেরই মজুরি বাড়েনি; তারপর আবার রংপুর বিভাগের দিনমজুর-শ্রমিকদের মজুরি বেশি বেড়েছে, এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’
এ প্রসঙ্গে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মাঠপর্যায় থেকে যে তথ্য পাই, সেটাই প্রকাশ করি।’
পরিসংখ্যান ব্যুরো বুধবার মজুরি সূচকের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, গত আগস্ট মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে জাতীয় মজুরি বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। এর অর্থ হলো, আগস্ট মাসে গত বছরের আগস্টের চেয়ে বিভিন্ন খাতের দিনমজুর-শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। আগের চার মাস জুলাই, জুন ও মে মাসে এই হার ছিল যথাক্রমে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ, ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
বছরের শুরু থেকে মজুরি বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের ওপরে থাকলেও গত জুনে তা ৬ শতাংশের নিচে নেমে যায়। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে মজুরি বৃদ্ধির গড় হার ছিল ৬ দশমিক ১২ শতাংশ।
অর্থনীতির পরিভাষায়, মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বৃদ্ধির হার বেশি হলে কারও কাছে হাত পাততে হয় না। নিজেদের ক্রয়ক্ষমতা দিয়েই বাজার থেকে বেশি দামে পণ্য কেনা যায়। আগস্ট মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এতে দেখা যাচ্ছে, আগস্টে মজুরি বৃদ্ধির হার মূল্যস্ফীতির চেয়ে বেশি।
বিবিএসের হিসাব ধরলে, দিনমজুরদের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজার থেকে বেশি দামে তাদের পণ্য কিনতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি; বরং কর্মহীন হয়ে যাওয়া গরিব মানুষের জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা ধরনের সহায়তা কর্মসূচি নিতে হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেনও এই গবেষণার ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অর্থনীতি শাস্ত্রের কোনো যুক্তিতেই বিবিএসের মজুরি হার বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব নয়। সাধারণত যখন শ্রমিকের চাহিদা বাড়ে, সরবরাহ কম থাকে, তখন মজুরি বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এই মহামারির সময়ে শ্রমিকের চাহিদা বেশ কমেছে। অনানুষ্ঠানিক খাতে বেকারের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। তাহলে মজুরি বাড়ল কোন ভিত্তিতে?’
তিনি বলেন, ‘মজুরি যদি বাড়ত, তাহলে এই করোনাকালে সরকারকে এত সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি নিতে হতো না। বিবিএস হয়তো অতীতের মজুরি বৃদ্ধির প্রবণতা দেখে পরিসংখ্যানভিত্তিক বিশ্লেষণ করে এই তথ্য দিয়েছে, যা কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয়।’
সরকারি সংস্থা পরিসংখ্যান প্রতি মাসে কৃষিশ্রমিক, পরিবহন কর্মী, বিড়িশ্রমিক, জেলে, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিকসহ ৪৪ ধরনের পেশাজীবীর মজুরির তথ্য সংগ্রহ করে মজুরি হার সূচক তৈরি করে। এসব পেশাজীবীর মজুরি খুব কম এবং দক্ষতাও কম। শুধু দৈনিক ভিত্তিতে মজুরি পান বা নগদ টাকার পরিবর্তে অন্য সহায়তা পান, তার ভিত্তিতে কোন মাসে মজুরি হার কত বাড়ল, তা প্রকাশ করে বিবিএস। অথচ করোনায় এসব শ্রমিকই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বিবিএস যে ৪৪ ধরনের পেশাজীবীর মজুরির তথ্য নেয়, তার মধ্যে ২২টি শিল্প খাতের এবং ১১টি করে কৃষি ও সেবা খাতের পেশা। বেতনভোগী কিংবা উচ্চ আয়ের পেশাজীবীদের বিবিএসের মজুরি সূচকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।
করোনাকালে মজুরির হার বাড়ল কীভাবে— এই প্রশ্ন জাতীয় মজুরির হার সূচক তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিবিএসের জাতীয় আয় শাখার একাধিক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা নিউজবাংলাকে বলেন, মাঠপর্যায়ে যে তথ্য পাওয়া গেছে, এর ভিত্তিতে মজুরি সূচকের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
করোনাকালে দিন আনে দিন খায় এমন মানুষের আয় কমে যাওয়ার বিষয়টি দেশের একাধিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় উঠে এসেছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) এক যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে অতি গরিব, গরিব, গরিব হয়ে যাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষ এবং গরিব নয় এমন মানুষের দৈনিক আয় ৬৫ থেকে ৭৫ শতাংশ কমেছে। এর মধ্যে গরিব মানুষের আয় ৭৫ শতাংশ ও অতি গরিবের আয় ৭৩ শতাংশ কমেছে। আয় কমে যাওয়ায় সার্বিকভাবে ২৩ শতাংশ মানুষ নতুন করে গরিব হয়েছে।
মহামারিতে দারিদ্র্য দ্বিগুণ বেড়ে ৪২ শতাংশ হয়েছে বলে গত জানুয়ারিতে হিসাব দিয়েছিল সানেম।
আরেক বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) হিসাবে, করোনার কারণে দারিদ্র্যের হার বেড়ে ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৯ সাল শেষে দারিদ্র্যের হার ছিল সাড়ে ২০ শতাংশ। করোনাকালে আয়বৈষম্যও বেড়েছে বলে মনে করে সিপিডি।
গবেষণা সংস্থাগুলোর গবেষণা প্রতিবেদনে করোনাকালে সমাজের সবচেয়ে নিচের দিকে থাকা মানুষের আয় বা মজুরি কমার তথ্য উঠে এলেও বিবিএসের জাতীয় মজুরি হার সূচকে উল্টো চিত্র দেখা যায়। সে জন্য সরকারি সংস্থাটির তথ্য-উপাত্তের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে।
পরিসংখ্যান ব্যুরো ২০১৬-১৭ সালের শ্রমশক্তি জরিপের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের কর্মসংস্থানের বড় অংশই হচ্ছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। মোট শ্রমশক্তির ৮৫ দশমিক ১ শতাংশই এ খাতে নিয়োজিত। আর ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে।
অন্যদিকে কৃষিক্ষেত্রে নিয়োজিত মোট শ্রমশক্তির ৯৫ দশমিক ৪ শতাংশই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত। শিল্প খাতের ৮৯ দশমিক ৯ শতাংশ, সেবা খাতের ৭১ দশমিক ৮ শতাংশ শ্রমিক অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত।
বিবিএসের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে মজুরি বেড়েছে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। চট্টগ্রামে ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ, রাজশাহীতে ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ, বরিশালে ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং খুলনায় বেড়েছে ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
পরিবেশবান্ধব স্মার্ট রান্নার প্রসারে ব্র্যাক ব্যাংক ও ভিশন এম্পোরিয়ামের উদ্যোগ
দেশে পরিবেশবান্ধব রান্নার প্রসারে আরএফএল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের রিটেইল চেইন ভিশন এম্পোরিয়ামের সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এই চুক্তির আওতায় ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা জ্বালানি-সাশ্রয়ী হোম অ্যাপ্লায়েন্স কেনাকাটায় বিশেষ সুবিধা উপভোগ করবেন, যা গ্রাহকদের পরিবেশবান্ধব হোম অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করবে।
এই সহযোগিতার ফলে ব্র্যাক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা দেশের বিভিন্ন জেলায় ভিশন এম্পোরিয়ামের নিজস্ব শোরুম থেকে ভিশন ইনডাকশন কুকার, ইনফ্রারেড কুকার এবং রাইস কুকার কেনাকাটায় ১৫% ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট উপভোগ করবেন। অফারটি চলবে ৩১ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত।
ইনডাকশন ও ইনফ্রারেড কুকার প্রচলিত রান্নাব্যবস্থার তুলনায় অধিক নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও কার্যকর হওয়ায় দেশে এগুলোর জনপ্রিয়তা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব জ্বালানি-সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব আধুনিক অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবহারে গ্রাহকদের উৎসাহিত করতে ব্র্যাক ব্যাংক এই উদ্যোগ নিয়েছে, যা গ্রিন ব্যাংকিংয়ের ব্যাপারে ব্যাংকটির ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
এ ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম বলেন, “এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক গ্রাহকদের পরিচ্ছন্ন ও জ্বালানি-সাশ্রয়ী রান্নার দিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করছে, যা আর্থিক দিক থেকেও অনেক সাশ্রয়ী। গ্রিনার হাউজহোল্ড ও টেকসই ভবিষ্যতের যাত্রায় এটি একটি সহজ, কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ।”
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ অপারেটিং অফিসার সাব্বির হোসেন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম, হেড অব মার্চেন্ট অ্যাকোয়ারিং খাইরুদ্দিন আহমেদ বাপ্পি, হেড অব অ্যালায়েন্সেস মো. আশরাফুল আলম এবং অ্যালায়েন্সের অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার নাহিয়ান খান।
ভিশন এম্পোরিয়ামের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আরএফএল গ্রুপের চিফ মার্কেটিং অফিসার মুরশেদ মুনীম, আরএফএল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং এজেডএম ওবায়াদুল্লাহ এবং আরএফএল রিটেইল চেইন্সের হেড অব মার্কেটিং শফিকুল ইসলাম।
জীবনধারার সুবিধার সঙ্গে টেকসই উন্নয়নকে যুক্ত করার মাধ্যমে নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার পথে এটি ব্র্যাক ব্যাংকের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি গ্রাহকদের আর্থিক সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি নিশ্চিত করবে দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক প্রভাব।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ১০০টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
মৌলভীবাজারের ব্যাংকারদের জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও প্রাইম ব্যাংক পিএলসি. কর্তৃক আয়োজিত এএমএল/সিএফটি শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি লীড ব্যাংক হিসেবে “মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন (এএমএল এবং সিএফটি) প্রতিরোধ” শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের মোট ৯০ জন ব্যাংকার অংশগ্রহণ করেন।
এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউ এর পরিচালক মো. মোস্তাকুর রহমান। কর্মশালার সেশনসমূহ পরিচালনা করেন বিএফআইইউ এর দক্ষ ও অভিজ্ঞ রিসোর্স পার্সনগণ, যাদের মধ্যে ছিলেন অতিরিক্ত পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, যুগ্ম পরিচালক মো. ইমানুর হাসান এবং উপ-পরিচালক মো. মুশফিকুল ইসলাম।
এতে সভাপতিত্ব করেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসির ডিএমডি ও প্রধান মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রাইম ব্যাংকের ডিএমডি মো. ইকবাল হোসেন এবং প্রাইম ব্যাংকের সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান মো. হুমায়ুন কবির।
কর্মশালায় মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়, যেমন: আইন ও বিধির নির্দেশাবলী, কেওয়াইসি, লেনদেন মনিটরিং, ক্রেডিট ও ট্রেড বেইজড মানিলিন্ডারিং প্রতিরোধে বিষয়ে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়। প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানটি ইন্টারেক্টিভ এবং আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য, প্রশিক্ষণ সেশনের পরে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেরা পারফর্মারদের পুরষ্কার প্রদান এবং সকল অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। পরিশেষে, প্রাইম ব্যাংক পিএলসি এবং বিএফআইইউ জাতীয় আইন এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসী অর্থায়ন ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যাংকিং খাতের প্রস্তুতি আরও জোরদার করার জন্য এই ধরনের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে নারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এইচপিভি টিকা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইসিডিডিআর,বি -কে সহায়তা দিচ্ছে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি।
‘নারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা প্রদান, সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রতিবন্ধকতা নিরসন’ শীর্ষক বিশেষ উদ্যোগে এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দেশের নারীদের অন্যতম বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে এই প্রকল্প নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্পে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী সশস্ত্র পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এএফপিবি) মোট ১৮৮ জন নারী সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কিশোরী মেয়েদের জন্য চলমান কর্মসূচির বাইরে প্রাপ্তবয়স্ক কর্মজীবী নারীদের টিকা প্রদানের মধ্য দিয়ে এ উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ শূন্যতা পূরণ করবে।
আইসিডিডিআর,বি এর সহকারী বিজ্ঞানী ডা. রিজওয়ানা খানের নের্তৃত্বে সাত ধাপে এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। এতে নৈতিক অনুমোদন, প্রাথমিক জরিপ, সচেতনতা কর্মসূচি, টিকা প্রদান, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন এবং চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পাশাপাশি নারীদের মাসিক স্বাস্থ্যবিধি ও সামগ্রিক সুস্থতা সম্পর্কেও সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।
এ উপলক্ষে আইসিডিডিআর,বি -তে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কমিউনিটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রতীকী চেক হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ও কমিউনিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান জনাব বাহারুল আলম বিপিএম, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত এবং আইসিডিডিআর,বি -এর নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ও কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র চেয়ারম্যান জনাব বাহারুল আলম, বিপিএম বলেন: “আমাদের নারী পুলিশ সদস্যরা দেশের জন্য নিরলস কাজ করছেন। তাঁদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা আমাদের অগ্রাধিকার। আইসিডিডিআর,বি -এর সঙ্গে এই উদ্যোগ সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে একটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং কর্মক্ষেত্রভিত্তিক টিকা কার্যক্রমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।”
কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত বলেন, “এই গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উদ্যোগে আইসিডিডিআর,বি -এর পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। এটি কেবল শুরু; সামনের দিনে আমরা আরও অর্থবহ উদ্যোগে সহযোগিতা করে সমাজে দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব রাখতে চাই।”
ডা. তাহমিদ আহমেদ ব্যাংকটির অবদানের প্রশংসা করে বলেন, “কর্মক্ষেত্রভিত্তিক টিকা কার্যক্রম নিয়ে গবেষণা জাতীয় নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। এতে করে বাংলাদেশে আরও অনেক নারী সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা পাবেন।”
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এবং মেডবক্স সল্যুশন লিমিটেড এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে দেশের ফার্মেসিগুলোকে সহজে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল পাওয়ার সুযোগ দিতে এমবেডেড ফাইন্যান্স প্রোগ্রাম চালু করা হবে।
এক্সক্লুসিভ ফাইন্যান্সিং পার্টনার হিসেবে কমিউনিটি ব্যাংক দ্রুত ও তথ্য-ভিত্তিক ঋণ সুবিধা প্রদান করবে মেডবক্সের বিটুবি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে যুক্ত ফার্মেসি ব্যবসায়ীদের। ফলে প্রথাগত আর্থিক প্রতিবন্ধকতা দূর হয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়তা পাবে ফার্মেসিগুলো।
চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিমিয়া সাআদত বলেন, “এই অংশীদারিত্ব আমাদের জন্য একটি মাইলফলক। আমরা এমন একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করছি; যেখানে ফার্মেসিগুলো নির্ভরযোগ্য অর্থায়নের মাধ্যমে টেকসই সমাধান পাবে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের, হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম; হেড অব এডিসি অ্যান্ড হেড অব এমডি’স কোঅর্ডিনেশন টিম মো. মামুন-উর রহমান। অন্যদিকে মেডবক্সের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কাজী আশিকুর রাসেল, আহমেদ আরফিন রাফি, মো. আমিনুর রশিদ, মো. নাজমুল আহসান এবং এইচ.এম আসিফ ইমতিয়াজ আলম।
আয়োজকেরা জানান, প্রথমে পাইলট প্রোগ্রামের মাধ্যমে উদ্যোগটি শুরু হবে। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে এই অংশীদারিত্ব।
বৃহত্তর নতুন পরিসরে গ্রাহকদের সবচেয়ে আধুনিক এবং সর্বোত্তম সেবা প্রদানে সম্প্রতি দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি’র স্থানান্তরিত কলাকোপা শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে।
দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি’র স্বতন্ত্র পরিচালক ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান, মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানান্তরিত শাখার উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ আবুল হাশেম, এফসিএ, এফসিএমএ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও); সৈয়দ সাফকাত রাব্বি, ইভিপি ও প্রধান, জেনেরাল সার্ভিসেস ডিভিশন (জিএসডি) এবং মো. তারেক উদ্দিন, ইভিপি ও প্রধান, ব্র্যান্ড মার্কেটিং ও কমিউনিকেশনস ডিভিশন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মো. হামিদুল্লাহ, অধ্যাপক, ডি. এন. কলেজ, নওয়াবগঞ্জ, ঢাকা; মানবেন্দ্র দত্ত, সাবেক অধ্যক্ষ, সরকারি দোহার-নওয়াবগঞ্জ কলেজ; মো. আমির হোসেন, অ্যাডভোকেট এবং মায়ারানি বাউল, এআইপি পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষাণী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ব্যাংকের অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তা, শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন হওয়া স্থানান্তরিত কলাকোপা শাখায় (হক প্লাজা, কলেজ রোড, নবাবগঞ্জ বাজার, নবাবগঞ্জ, ঢাকায়) পুরোদমে ব্যাংকিং সেবা চালু হয়েছে।
ফ্যাশন সবসময় পরিবর্তনশীল। সেই পরিবর্তনের সাথেই তাল মিলিয়ে ট্রেন্ডি ও ইউনিক কালেকশন নিয়ে আসে ‘ভারগো’। প্রতি সিজনেই ভারগো তার সেরা স্টাইল তুলে ধরে, আর এবারের শরৎ ও পূজার আয়োজনও তার ব্যতিক্রম নয়। আরাম ও স্টাইলের নিখুঁত সমন্বয়ে তৈরি এই কালেকশন আপনাকে করবে মুগ্ধ। উৎসবমুখর ও আভিজাত্যপূর্ণ স্টাইল সবসময়ই Virgo–র বিশেষত্ব। বিশেষ করে পূজা ও শরতের জন্য আনা কালেকশনগুলোতে পাওয়া যায় নরম, ঝলমলে ফ্যাব্রিক, সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারি স্ক্রিন প্রিন্ট , ডিজিটাল প্রিন্ট, সাবলিশন প্রিন্ট আর আধুনিক ডিজাইনের সমন্বয়। প্রতিটি পোশাক যেন একেকটি উৎসবের অনুপ্রেরণা। ২০২৫ সালের ফলের কালার প্যালেটেও আছে নানা চমক। যেমন—
পুরুষদের জন্য পূজার ও শরতের আভিজাত্য
শরতের মৌসুমে স্টাইল আর আভিজাত্যের নিখুঁত সমন্বয় নিয়ে এসেছে আমাদের বিশেষ পুরুষদের কালেকশন। এখানে আছে এমন সব পোশাক, যা একদিকে আরামদায়ক আবার অন্যদিকে আপনার লুককে দেবে এক্সক্লুসিভ স্টেটমেন্ট।
স্টাইলিশ পাঞ্জাবি, ফর্মাল ও ক্যাজুয়াল শার্ট
উৎসবের দিনে পাঞ্জাবি থেকে শুরু করে অফিস বা আড্ডার জন্য ফর্মাল ও ক্যাজুয়াল শার্ট—সবই থাকছে নতুনত্বে ভরপুর ডিজাইনে।
প্রিমিয়াম ফেব্রিক কালেকশন
স্প্যানডেক্স, ব্যাম্বু কটন ও জ্যাকার্ড কাপড়ে তৈরি প্রতিটি পোশাক শুধু আরামদায়কই নয়, বরং স্টাইলেও আনে পরিপূর্ণতা। এছাড়া ইউনিক ফ্যাব্রিক কালেকশন যেটা শুধু ভারগোতেই পাওয়া যায়।
ট্রেন্ডি ডিজাইন
ফ্যাশনে যোগ হয়েছে বৈচিত্র্য—স্ট্রাইপ, চেক থেকে শুরু করে ফ্লোরাল শার্ট, যা আপনাকে দেবে আধুনিক ও ট্রেন্ডি লুক।
আরাম ও স্টাইল একসঙ্গে
ডে-টু-ডে স্টাইলের জন্য থাকছে সুইফট শার্ট, রিল্যাক্স প্যান্ট, টুইল প্যান্ট ও হাই-কোয়ালিটি ডেনিম। প্রতিটি পোশাক তৈরি হয়েছে এমনভাবে, যাতে আরাম ও আভিজাত্য একসঙ্গে উপভোগ করতে পারেন।
মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খান এনআরবিসি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) এবং চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) হিসেবে রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে যোগদান করেছেন। দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে তিনি দেশের ব্যাংকিংখাতে ডিজিটাল পণ্যের উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত সুশাসন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কমপ্লায়েন্স পরিপালন মডেল তৈরি, গ্রাহককেন্দ্রিক বিজনেস মডেল তৈরি, সেবার ডিজিটাল রুপান্তর, ডিজিটাল সেলস ও সার্ভিস নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে নেতৃত্বে দেন।
এনআরবিসি ব্যাংকে যোগদানের পূর্বে তিনি কমিউনিটি ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (সিআইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একজন নেটওয়ার্ক এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজার হিসেবে ২০০৫ সালে ব্র্যাক ব্যাংকে তাঁর ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। কাইয়ুম খান ব্যাংক এশিয়া এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে আইটি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এক্সিম ব্যাংকেও কাজ করেন।
নটরডেমিয়ান মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সে (ইইই) ইঞ্জিনিয়ারিং এ বিএসসি ডিগ্রি এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদ থেকে এমবিএ অর্জন করেন। পেশাগত জীবনে সেমিনার অংশগ্রহণ ও প্রশিক্ষণের জন্য তিনি আমেরিকা, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমন করেন।
মন্তব্য