গত এক বছরে উত্থানের কারণে দ্বিগুণ বেড়ে বার্ষিক দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির এক পঞ্চমাংশে পরিণত হয়েছে দেশের পুঁজিবাজার।
২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে জিডিপিতে ১১ শতাংশ অবদান ছিল পুঁজিবাজারের। সেটি বেড়ে এখন ২০ শতাংশের কাছাকাছি চলে এসেছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইর এসএমই প্ল্যাটফর্মের লেনদেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘নতুন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর পুঁজিবাজারে পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রমাণ হচ্ছে এখন পুঁজিবাজারে নতুন নতুন প্রোডাক্ট আসছে।’
২০১০ সালের মহাধসের পর পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে হিমশিম খাচ্ছিল। গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি পুনর্গঠনের পর গত জুলাই থেকে পুঁজিবাজারে নতুন আশার সঞ্চার হয়।
নিয়িস্ক্র হয়ে থাকা বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হতে শুরু করেন। হারিয়ে যাওয়া শেয়ার দর বাড়তে শুরু করায় যারা উচ্চমূল্যে শেয়ার কিনে আটকে গিয়েছিলেন, তারা টাকা ফিরে পেতে শুরু করেন। আর একটি শেয়ার বিক্রি করে অন্য শেয়ার কিনতে শুরু করার কারণে টাকার প্রবাহ বাড়তে শুরু করে।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে পুঁজিবাজারে স্থগিত থাকা লেনদেন যখন ৩১ মে থেকে লেনদেন যখন আবার চালু হয়, সেদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এর অবস্থান ছিল ৪ হাজার ৮ পয়েন্ট।
পরে ধারাবাহিকভাবে বাড়তে বাড়তে সেই সূচক এখন দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩২৯ পয়েন্ট। সোয়া এক বছরে সূচক বেড়েছে ৩ হাজার ২২১ পয়েন্ট।
কেবল সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে বাজারের গতিশীলতা বোঝা যাবে না। সাধারণ ছুটি শেষে ১ জুন লেনদেনে মোট শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে ১৯৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধনের মধ্যে বৃহস্পতিবার এক লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের লেনদেনই হয়েছে ২০০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫০২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
গত বছরের ১ জুন বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ১২ হাজার ২৮৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা। সেটি বেড়ে এখন হয়েছে ৫ লাখ ৮১ হাজার ৫৪৩ কোটি ১২ লাখ টাকা।
দর সংশোধনের মধ্যেও এখন সূচক পড়ছে না, বরং খাত ধরে সংশোধনের কারণে এক খাতের শেয়ারদর কমলে অন্য খাতে বাড়ছে। এ কারণে বুদ্ধিমান বিনিয়োগকারীরা খাত পাল্টে লাভবান হতে পারছেন।
এখনও অনেক খাতের শেয়ারদর বাড়েনি সেভাবে। ফলে বাজার আরও এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদী বিনিয়োগকারীরা। করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার মধ্যে অর্থনীতিও চাঙা হতে শুরু করেছে। ফলে কোম্পানিগুলোর আয় বাড়লে পুঁজিবাজারেও এর প্রভাব পড়বে।
এর মধ্যে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে এসএমই প্ল্যাটফর্ম। এখানে কেবল বড় বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করবেন। ফলে ব্যক্তিশ্রেণির ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি নেই।
ডিএসইস চেয়ারম্যান চাইছেন কোম্পানিগুলো মূলধনের জন্য পুঁজিবাজারে আসুক। এতে বাজার আরও গতিশীল হবে। তিনি বলেন, ‘ব্যাংক কখনও দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের মাধ্যম হতে পারে না। এর একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে পুঁজিবাজার। স্বল্পমূলধনি কোম্পানিগুলো কীভাবে পুঁজিবাজারে থেকে তাদের মূলধন সংগ্রহ করবে তার একটি নির্দেশনা এসএমই ফাউন্ডেশনে দেয়া আছে। তাদের মাধ্যমেই এই প্ল্যাটফর্ম আরও বড়ো হবে।’
ডিএসই মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএসইসি কমিশনার মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান।
বিএসইসি কমিশনার বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটিতে পরিণত হয়েছে। এটি সামনে আরও এগিয়ে যাবে।
পুঁজিবাজারে এলে কোম্পানির সুশাসন বৃদ্ধি পায় পানিয়ে তিনি বলেন, বিএসইসি পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন পরিপালনে জোরদার করে। উদ্যোক্তাদেরকে দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক হিসাব মান অনুযায়ী আর্থিক হিসাব তৈরি ও উপস্থাপন করতে হয়। যা কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসা উন্নয়নে সহযোগিতা করে।
ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া বলেন, ‘যে কোনো দেশের অর্থনীতি বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আর্থ সামাজিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান বা এসএমই খাত।
‘এসএমই মার্কেট পুরোপুরি চালু হলে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এক নতুন উচ্চতায় পৌছাবে। আরজেএসসির নিবন্ধিত লক্ষাধিক এসএমই প্রতিষ্ঠানের মূলধন সংগ্রহের জন্য পুঁজিবাজার হতে পারে বৃহৎ মাধ্যম।’
আরও পড়ুন:তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য