বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণা দিতে যাচ্ছে আরও একটি দল।
মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস শুক্রবার দলের কেন্দ্রীয় শুরার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবে বলে জানিয়েছেন একাধিক শীর্ষ নেতা।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দলের মজলিসে শুরার বৈঠক রয়েছে। সেখান থেকে ২০ দলীয় জোট ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে জোট ছাড়ার সম্ভাবনা আছে। আবার যেহেতু কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি, তাই বলা যেতে পারে এখনই নিশ্চিত কিছু বলা যায় না।’
আবদুল জলিল জানান, মজলিসে শুরার বৈঠকের পর বিকেল চারটায় পল্টনের সিগ্যাল রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
কী কারণে জোট ছাড়ার আলোচনা-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি যেহেতু এখনও চূড়ান্ত নয়, তাই এখনই বলা যাবে না। সংবাদ সম্মেলনে আসুন, সব জানতে পারবেন।’
দলের প্রচার সম্পাদক আব্দুল হাফিস খসরু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মজলিসে শুরার বৈঠকে জোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সর্বশেষ রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে শুরায় বৈঠক হবে।’
১৯৯৯ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি, গোলাম আজমের জামায়াতে ইসলামী ও শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয় বিএনপি।
২০০১ সালে এই জোট ক্ষমতায় আসার পাঁচ বছর পর ২০০৬ সালে আজিজুল হক জোট থেকে বেরিয়ে যান। ইসলামী ঐক্যজোট থেকে বের হয়ে যায় তার দল খেলাফত মজলিস।
সে সময় মাওলানা ইসহাক খেলাফত মজলিস থেকে বের হয়ে একই নামে আরেকটি দল গঠন করে জোটে থেকে যান। সঙ্গে আসেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি আহমাদ আবদুল কাদের। আশির দশকে ইরান বিপ্লবের পর শিবিরে যে ভাঙন ধরে, সে সময় কাদের শিবির থেকে বের হয়ে যান।
ইসহাক মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষে গঠিত গভর্নর আবদুল মুতালিব মালেকের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তার কারাদণ্ড হয় দালালির কারণে। তবে পরে উচ্চ আদালতের রায়ে তিনি মুক্তি পান।
২০ দলীয় জোটের শরিক হিসেবে খেলাফত মজলিস কখনও কোনো সংসদীয় আসনে জিততে পারেনি। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হবিগঞ্জের একটি আসন থেকে দলের সভাপতি আহমাদ আবদুল কাদেরকে গত সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হলে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারেননি।
গত মার্চ ও এপ্রিলের শুরুতে হেফাজতে ইসলামের সহিংসতার পর কাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে হেফাজতের নেতৃত্ব থেকেও বাদ দেয়া হয়। তিনি জুনায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বে কমিটির নায়েবে আমির ছিলেন।
এর আগে যারা জোট ছেড়েছে
এই দলটি জোট ছেড়ে গেলে জোট ছাড়বে মোট পাঁচটি দল। এর আগে ২০১৬ সালের ৭ জুন ২০ দলীয় জোট ছেড়ে যায় মুফতি ফজলুল হক আমিনীর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী ঐক্যজোট। ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর ২০ দলীয় জোট ছেড়ে যায় লেবার পার্টি। ২০১৯ সালের ৬ মে ২০ দল ছাড়ে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি- বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ। সবশেষ গত ১৪ জুলাই জোট ছেড়ে যায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম।
জোটের আরেক শরিক কল্যাণ পার্টিও ২০ দল ছেড়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপিকে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর দলটির প্রধান সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘প্রধান শরিক বিএনপি যদি জোটকে সক্রিয় করতে চায়, যদি অতীতের ভুলগুলো আত্মসমালোচনা করে পরিবেশ ভিন্ন করতে পারে, তাহলে আমরা একসঙ্গে পথ চলব। না হলে যদি প্রয়োজন পরে আমরা নিশ্চিতভাবে গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের আন্দোলনে আলাদা ভূমিকা রাখব।’
ইবরাহিম ছাড়াও অলি আহমদের এলডিপিও জোটে থাকতে চায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা আছে প্রায় দুই বছর ধরেই।
২০১৯ সালের জুনের শেষে অলি আহমদের নেতৃত্বে ২০ দলের কয়েকটি শরিক দল মিলে গঠন করা হয় ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’ নামে একটি মোর্চা। এতে কল্যাণ পার্টি ছাড়াও ২০ দলের আরেক দল জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপাও ছিল।
এই মঞ্চ গঠন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে এসব দলের নেতাদের দূরত্বের সংবাদ আসে গণমাধ্যমে। তবে পরে বিষয়টি আর খুব একটা আগায়নি।
বিএনপির শরিকরা জোট ছেড়ে গেলেও তাতে জোটে দলের সংখ্যায় কোনো হেরফের হয়নি। কারণ, যখনই কোনো দল জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে, তখনই দলের অন্য একজন নেতার নেতৃত্বে একাংশ একই নামে আলাদা দলের ঘোষণা দিয়ে ২০ দলে থেকে গেছেন।
অবশ্য বিএনপি এখন তার ২০ দলীয় জোট নিয়ে আগাতে চাইছে না বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর এসেছে। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীকে ছেঁটে ফেলতে দলের ভেতরে দাবি জোরালো হয়েছে।
সম্প্রতি দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে আলোচনায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন বলে জানাচ্ছেন নেতারা। এখন চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মতের অপেক্ষায় আছে বিএনপি।
২০ দলে জামায়াত ছাড়া বলার মতো শক্তি নেই অন্য কোনো দলের। ফলে জামায়াত ত্যাগ করলে বিএনপির বাকিদের বিষয়ে আগ্রহ থাকার কথা নয়।
২০ দলের পাশাপাশি গত নির্বাচনের আগে গড়ে তোলা নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নিয়েও বিএনপি আর আগাতে চাইছে না। এর বদলে তারা এককভাবে আগাতে চায়। আর আন্দোলনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দলের সঙ্গে যুগপৎ কর্মসূচি দেয়া যায় কি না, তা নিয়ে ভাবছেন নেতারা।
আরও পড়ুন:জাতীয় সংসদের ঝিনাইদহ-১ শূন্য আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে ৩২তম কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
তিনি বলেন, এই উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৭ মে। এছাড়া মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে ও আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে।
এই সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা।
ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই। থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ মার্চ মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ৫৫টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন। এর মধ্যে দুটি উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার নির্বাচনে ভবনে ৩২তম কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ মে এবং বাছাই ১২ মে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১৩ থেকে ১৫ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৬ থেকে ১৮ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৯ মে ও প্রতীক বরাদ্দ ২০ মে। আর ভোটগ্রহণ হবে ৫ জুন।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় এসব পদে ভোটের প্রয়োজন পড়ছে না।
মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা ওই প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা।
তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে সাতজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নয়জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ইসির তথ্য অনুযায়ী বালিয়াডাঙ্গি (ঠাকুরগাঁও) উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, হাকিমপুরে (দিনাজপুর) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সাঘাটায় (গাইবান্ধা) চেয়ারম্যান, বেড়ায় (পাবনা) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সিংড়ায় (নাটোর) চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, বাগেরহাট সদরে সব পদ, মুন্সীগঞ্জ সদরে সব পদ, শিবচরে (মাদারীপুর) সব পদ, বড়লেখায় (মৌলভীবাজার) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পরশুরামে (ফেনী) সব পদ, সন্দ্বীপে (চট্টগ্রাম) ভাইস চেয়ারম্যান, কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান, রোয়াংছড়িতে (বান্দরবান) চেয়ারম্যান, কাউখালীতে (রাঙামাটি) ভাইস চেয়ারম্যান এবং চুয়াডাঙ্গার ডামুহুদায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটের প্রয়োজন পড়বে না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় এসব পদে একক প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রথম ধাপে দেড়শ’ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা পদত্যাগ না করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক। তিনি সাংবাদিকদের আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই আদেশের ফলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইউপি চেয়ারম্যানদের পদত্যাগ করতে হবে না।
কুষ্টিয়া ও সিলেটের দুটি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রশ্নে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের আনা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এমন আদেশ দিল উচ্চ আদালত।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবারের জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক থাকার পরও দেশি-বিদেশি চক্র অপপ্রচার মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরে তো বটেই বাইরেও নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরে দেখছি।
মঙ্গলবার সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি চিহ্নিত অপশক্তি দেশের গণতন্ত্র এবং জনগণের ভোটাধিকার নস্যাৎ করতে নির্বাচনবিরোধী অপতৎরতায় লিপ্ত রয়েছে। গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।
তিনি বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ট করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
আগামী ২৬ এপ্রিলের (শুক্রবার) শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থগিত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।’
প্রসঙ্গতঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
রোববার (২১ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ৩টা থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করা হবে।
অবশ্য এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ২৬ এপ্রিল বিকেলে নয়াপল্টনে সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। পরে তাপপ্রবাহের কারণ দেখিয়ে সোমবার তা স্থগিত করে দলটি।
কুমিল্লায় ছাত্রদল নেতাকে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৫ মাসের সাজার রায় ঘোষণা করা হয়।
সোমবার কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় ১১ জন আসামি উপস্থিত থাকলেও পলাতক ছিলেন তিনজন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শরীফুল ইসলাম।
নিহত মো. পারভেজ হোসেন সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কালিবাজার এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সেকান্দর আলী, যুবলীগ নেতা মো. শাহীন, স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মফিজ ভান্ডারী, মো. কামাল হোসেন, আব্দুল কাদের, মো. ইব্রাহীম খলিল, আনোয়ার, মো. মেহেদী হাসান রুবেল ও জয়নাল আবেদীন। এবং পলাতক তিন আসামী হলেন- মো. কাওছার, মো. রিয়াজ রিয়াদ ও বিল্লাল।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম জানান, ২০২০ সালের ১০ জুন সন্ধ্যায় কমলাপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে পারভেজকে আটক করেন সিকান্দার চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত তাকে এলোপাতাড়ি মারধরে গুরুতর আহত করা হয়। মারধরে গুরুতর আহত হয়ে পারভেজের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে ১৫০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। পরে পারভেজের মাও বাদী হয়ে মামলা করেন। এ ঘটনায় তদন্ত করে সিআইডি ১৪ জনকে আসামি করে প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে একজন আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও ৩০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য