অবৈধভাবে বিক্রির জন্য রাজধানীর পিকক বারের গোপন কুঠুরিতে দেশি-বিদেশি মাদক দ্রব্যের স্তুপ খুঁজে পেয়েছে র্যাব ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দল। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
শাহবাগে বারটিতে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালানোর পর বুধবার নিউজবাংলাকে বিস্তারিত জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক।
তিনি জানান, কুঠুরিতে ১ হাজার ৪১৬টি দেশি বিয়ারের ক্যান, ২ হাজার ৪৯৬ বিদেশি বিয়ারের ক্যান, ১১৫টি বিদেশি মদের বোতল ও ১ হাজার ৪২৮টি দেশি মদের বোতল জব্দ করা হয়। এসব মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য কোটি টাকার ওপরে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বারের সংশ্লিষ্টরা অভিনব কায়দায় অবৈধ মদ ও বিয়ার মজুদ করে রেখেছিল। যেগুলো যাদের পারমিট নেই তাদের কাছে বিক্রি করা হতো। অভিযানের সময় বারের মালিক, ম্যানেজার ও দায়িত্বশীলদের পাওয়া না গেলেও কুঠুরি ও অন্যান্য জায়গায় থাকা অবৈধ মাদক রক্ষণাবেক্ষণে ছিল এমন চারজনকে আটক করা হয়েছে।’
আটক চারজন হলেন মজিবুর রহমান, মো. লিটন, ওলিউর রহমান ও জহিরুল ইসলাম।
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাব জানায়, যাদের মাদকের লাইসেন্স নেই, যারা বাসায় বসে মদ্যপান করে এবং বাসায় বিভিন্ন মিনিবার পরিচালনা করে তাদেরকে বিভিন্ন সময় এখান থেকে মদ-বিয়ার সাপ্লাই দেয়া হতো।
অভিনব কায়দা প্রসঙ্গে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘পিকক বারের নিচতলায় ঢুকতে ডানপাশে কয়েকটা কয়লার বস্তা ফেলে রেখেছিল। যেগুলো আড়ালে একটি ছোট কুটুরি, যা দিয়ে একজনে বেশি প্রবেশ করা যায় না। এর ভেতর শত শত মদের বোতল ও বিয়ার মজুদ করে রেখেছিল। চারতলায় কর্মচারীদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানেও বক্স খাটের পাটাতনের নিচে কৌশলে মদ ও বিয়ার লুকিয়ে রেখেছিল।’
র্যাব থেকে বলা হয়েছে, বারের মালিক ও বাড়ির মালিকসহ গ্রেপ্তার চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হবে বলে জানান মোজাম্মেল হক। বারের মালিককে আসামি করা হবে। আর বাড়ির মালিকও আসামি হবেন। কারণ তার অনুমতি ছাড়া নিশ্চয়ই তার বাড়ির স্ট্রাকচার পরিবর্তন করা হয়নি।’
অভিযানের সময় র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমন্ডার খন্দকার আল মঈন দাবি করেন, কোটি টাকার অবৈধ মদ ও বিয়ার উদ্ধার হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নিচতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত বারের অনুমোদন ছিল, কিন্তু তারা চারতলা পর্যন্ত বারের কাজে ব্যবহার করত। আমরা অভিযানে এসে বারের স্বত্বাধিকারী, ম্যানেজারসহ অনেককেই পাইনি। স্টোররুম ও মালামাল তালাবদ্ধ ছিল।
‘চারতলায় দুয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা জানতে পারি, অবৈধ কিছু মাদক রয়েছে। সেখানে গিয়ে আমরা বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদক পেয়েছি। আমরা নিচে এসে সুরঙ্গের মতো একটি পেয়েছি। সেখান থেকেও বিপুর পরিমাণ মাদক পেয়েছি। যেগুলোর কোনো বৈধ কাগজ নেই।’
হজযাত্রীদের জন্য জরুরি বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স। এতে, হজযাত্রীদের ফিরতি যাত্রাসহ যাবতীয় কার্যক্রমের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে বিমানের বিক্রয়কেন্দ্রে এবং অতি জরুরি প্রয়োজনে জেদ্দা বা মদিনার অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
আজ বুধবার বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিবছর হজযাত্রীরা হজ পালন শেষে ফিরতি যাত্রা সুষ্ঠু, সুন্দর এবং নিরবিচ্ছিন্ন করার জন্য মক্কা ও মদিনায় অস্থায়ী অফিস স্থাপন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মক্কা ও মদিনায় অস্থায়ী অফিস স্থাপনের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
এতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি সৌদি আরবের ভিসা নীতিমালায় বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের নাগরিকদের জন্য সাময়িক ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যার ফলে বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সৌদি ভিসা আবেদনসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত তারা হাজীদের সেবায় দেশটিতে যেতে পারছেন না।’
হজযাত্রীদের ফিরতি যাত্রায় টিকিট পরিবর্তনসহ যাবতীয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হজ এজেন্সি ও প্রতিনিধিদের নিম্নলিখিত ঠিকানায় অফিস চলাকালীন সময়ে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।
এছাড়া, অতি জরুরি প্রয়োজনে বিমান জেদ্দা সিটি অফিস বা বিমান মদিনা সিটি অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া ঠিকানা—
জেলা বিক্রয় অফিস, মতিঝিল, ঢাকা
বিমান ভবন
মতিঝিল, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮০২-২২৩৩৫৭০০২, +৮৮০১৭২৭৯৯০৯২২
ই-মেইল: [email protected]
জেলা বিক্রয় অফিস, চট্টগ্রাম
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, চট্টগ্রাম
বিমান ভবন, ১/২ সিডিএ এভিনিউ, পূর্ব নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম।
ই-মেইল: [email protected]
ফোন: +৮৮০১৭৭৭৭১৫৭০০
+৮৮০১৭৭৭৭১৫৭২৩
+৮৮০১৭৭৭৭১৫৭২৫
জেলা বিক্রয় অফিস, সিলেট
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সিলেট বিমান ভবন, মজুমদারি, এয়ারপোর্ট রোড, সিলেট।
ই-মেইল: [email protected]
ফোন: +৮৮০১৭৭৭৭১৫৭১০
+৮৮০১৭২৫২৩৫৬৬৪
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৭০ জন। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ।
করোনা আক্রান্ত হয়ে আজ কেউ মারা যায়নি। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৫০০ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৮০ জন। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তিনি পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের অংশ হতে আগ্রহী নন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তাদের কাজ হলো নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করা।
নির্বাচনের পরে দায়িত্ব গ্রহণকারী পরবর্তী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের অংশ হওয়ার কোনো ইচ্ছা তার আছে কিনা এবং কোনো পদে থাকবেন কিনা—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে ড. ইউনূস বলেন, ‘কোনো উপায় নেই, কোনো উপায় নেই। আমার মনে হয়, আমাদের উপদেষ্টা পরিষদের কোনো সদস্য এটি করতে চান না।’
অধ্যাপক ইউনূস স্পষ্টভাবে বলেন, তাদের কাজ হলো ক্ষমতা হস্তান্তর সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার সময় জনগণ যাতে খুশি হয়—তা নিশ্চিত করা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
প্রশ্নোত্তর পর্বের পর তিনি লন্ডনের চ্যাথাম হাউসের রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে তিনি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আওয়ামী লীগ যদি তরুণদের হত্যা, গুম করতে এবং অর্থ চুরি করতে পারে। তাই একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের পরিচয় নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আপনি কি এখনও এটিকে রাজনৈতিক দল বলবেন? তাহলে, এটি একটি বিতর্কিত বিচার নয়।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তারা মনে করেন, ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সেই অধ্যায় বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু যারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন (আওয়ামী লীগ) - তাদের কেউই ভুল স্বীকার করেননি বরং তারা জনগণকে উত্তেজিত করছেন।
তিনি বলেন, জাতি আপাতত দেশের নিরাপত্তা ও রাজনীতির সুরক্ষায় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম আপাতত স্থগিত থাকবে। আমরা কেবল এটাই করেছি।’
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অতীতে গণমাধ্যম কখনও এত স্বাধীনতা ভোগ করেনি।
আরেকজন সাংবাদিক ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরটি ‘সিটি করপোরেশনের বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা’ এবং ‘প্রশাসনের নীরবতা’ ও কিছু দল বা ব্যক্তির জমায়েত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
উত্তরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অনেক বিষয় ও প্রশ্ন একসঙ্গে এসেছে এবং তারা সবকিছু সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেননি। ‘এটা এমন এক সময় ছিল—যা আমরা অতিবাহিত করেছি। পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল এবং এখন বিষয়গুলো শৃঙ্খলায় এসেছে...। দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা আমাদের জন্য একটি বড় কাজ ছিল।’
দেশে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়তে থাকায়, হাসপাতালগুলোতে সীমিত পরিসরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
প্রাথমিকভাবে যে সব মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে আরটি পিসিআর ল্যাব রয়েছে, সেখানেই এই পরীক্ষা শুরু করা হবে।
আজ বুধবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশীদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, স্থানীয় কোম্পানিগুলো থেকে পরীক্ষার কিট সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশ থেকেও কিট আমদানির জন্য সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপো (সিএমএসডি)-কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
হালিমুর রশীদ আরো বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাসপাতালগুলোতে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা আবার চালু করা যাবে- তবে তা সীমিত পরিসরে হবে।
তিনি বলেন, যে সব হাসপাতালে আরটিপিসিআর ল্যাব রয়েছে, করোনা পরীক্ষা পুনরায় চালু করার প্রস্তুতি নিতে তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহসহ বিভাগীয় শহরের হাসপাতালগুলোতে করোনা পরীক্ষা চালু করা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাদের করোনা উপসর্গ থাকবে, পরীক্ষা শুধু তাদের জন্যই চালু করা হবে। সে অনুযায়ী তারাই এ পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত হবেন- যাদের শরীরে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ (জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট) রয়েছে অথবা চিকিৎসক যাদের করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেবেন।
হালিমুর রশীদ আরও বলেন, সংক্রমণের হার যদি আরও বাড়ে, তাহলে পরীক্ষার পরিধিও বাড়ানো হবে।
জনগণকে মাস্ক পরা, হাত ধোয়ার পাশাপাশি উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ডা. রশীদ আরো বলেন, আমরা চাই না যে, পরিস্থিতি আবারো হাতের বাইরে চলে যাক। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এডিস মশার বিস্তার রোধে তাৎক্ষণিক ফল পেতে ১৪ জুন থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন(ডিএসসিসি) এলাকায় দ্বিগুণহারে কীটনাশক প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এডিস মশার বিস্তার রোধে করণীয় নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও করোনা প্রতিরোধে ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে আজ রাজধানীর ওয়াসা ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় অ্যাডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমে (ফগার মেশিন দ্বারা পরিচালিত) বর্তমানে ব্যবহৃত ৩০ লিটার কীটনাশকের পরিবর্তে দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থাৎ ৬০ লিটার কীটনাশক প্রতিদিন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ ছাড়া অঞ্চলভিত্তিক ডেঙ্গু মনিটরিং টিম গঠন ও জনবল ঘাটতি পূরণে উদ্যোগসহ জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় মশক কর্মীদের সকাল ও বিকেলে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা, সঠিক অনুপাতে কীটনাশক প্রয়োগ যাচাই, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং মশক কর্মী দ্বারা বাড়ির ভিতর, আঙিনা ও ছাদের জমানো পানিসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক এবং সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে অঞ্চল ভিত্তিক ডেঙ্গু মনিটরিং টিম গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া, ডেঙ্গু ও করোনা বিষয়ে ডিএসসিসি সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফারিয়া ফয়েজকে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে মনোনীত করা হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি মাসের মধ্যে কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে নগর ভবনে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতিদিনের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের হালনাগাদ তথ্য ডিএসসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। মশক নিধনে জনবল ঘাটতি পূরণে নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখাসহ ডেঙ্গু ও করোনা রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত পারভীনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বোরহানউদ্দিন উপজেলা শাখার আওতাধীন ৯টি ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সভাপতি ও সম্পাদকের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো: হাফিজ ইব্রাহিম।
বুধবার ( ১১ জুন ) সকাল ১১টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাফরুজা সুলতানার সভাপতিত্বে উপজেলা সড়কে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় আগামী নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ৯টি ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সভাপতি-সম্পাদকবৃন্দ তাদের মতামত তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব মো: হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, বিগত ১৭ বছর আপনারা যেভাবে দলের জন্য কাজ করেছেন তা সকলের জন্য অনুপ্রেরণা। অনেক সংগ্রাম করে দলের দুঃসময়ে প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রাম সফল করেছেন। ইনশাআল্লাহ্ আগামী নির্বাচনে যে যার অবস্থান থেকে নিজের সেরাটা দিয়ে দলের জন্য কাজ করে যাবেন। আমাদের নেতা তারেক রহমান যে নির্দেশনা দিয়েছে তা মেনে চলবেন। এ সময় তিনি উপস্থিত নেতাদের আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনামূলক পরামর্শ প্রদান করেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. কাজী মো: আজম, সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক সরোয়ার আলম খাঁন, যুগ্ন আহ্বায়ক হাসান হাওলাদার, যুগ্ন আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম ফিরোজ কাজী, যুগ্ন আহ্বায়ক শহীদুল আলম নাসিম কাজী, যুগ্ন আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সেলিম, উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক শিহাবউদ্দিন হাওলাদার, সদস্য সচিব জসিমউদ্দিন খাঁন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আহ্বায়ক লিটন শিকদার, সদস্য সচিব আতিফ আসলাম রুবেল, উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি দানিশ চৌধুরী, সম্পাদক তানজিল হাওলাদার, উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ইশরাত জাহান বনি সহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মূল বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, ও ছাত্রদলের সভাপতি সম্পাদক বৃন্দ।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮৮ জন।
বুধবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ২৮৮ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৫ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৭৩ জন।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫ হাজার ৩০৩ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
মন্তব্য