× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The index is rising and the share price is falling
google_news print-icon

সূচক বাড়ছে, শেয়ার মূল্য কমছেই

সূচক-বাড়ছে-শেয়ার-মূল্য-কমছেই
পুঁজিবাজারে দর সংশোধন অব্যাহত থাকায় ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়ে পড়ছেন। ছবি: নিউজবাংলা
সূচক ৫ পয়েন্ট বাড়লেও ১১৫টি শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২২৩টি শেয়ারের দর। আগের দিনও ১৬৪টি শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ১৭২টির দরপতনেও সূচক বেড়েছিল ৪৫ পয়েন্ট। তারও আগের দিন ১৪১টি শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছিল ২০১টির দর। সূচক বেড়েছিল ১৪ পয়েন্ট।

টানা তিন দিন সূচক বাড়ল পুঁজিবাজারে। তবে এতে ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীরা স্বস্তিতে, এমন নয়। সূচক বাড়ছে বড় মূলধনি অল্প কয়েকটি শেয়ারের দর বৃদ্ধির কারণে। কিন্তু স্বল্প মূলধনি, লোকসানি কিছু কোম্পানি, যেগুলোতে গত কয়েক মাসে বিনিয়োগ করে আটকে গেছেন ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীরা, সেগুলোর দাম ক্রমেই কমছে।

সপ্তাহের চতুর্থ দিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট। কিন্তু ১১৫টি শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২২৩টি শেয়ারের দর।

আগের দিনও বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতনের পরও সূচক বেড়েছিল উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। সেদিন ১৬৪টি শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ১৭২টির দরপতনেও সূচক বেড়েছিল ৪৫ পয়েন্ট।

তারও আগের দিন ১৪১টি শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছিল ২০১টির দর। সূচক বেড়েছিল ১৪ পয়েন্ট।

এ অবস্থা চলছে বলতে গেলে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই।

বড় মূলধনি বেশ কিছু কোম্পানি, সঙ্গে বহুজাতিকের দর বৃদ্ধিতে সূচকে এই সময়ে পয়েন্ট যোগ হলেও বেশির ভাগ কোম্পানি দর হারিয়ে ফেলায় বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিওর স্বাস্থ্য ক্রমেই কমছে।

বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা বেশি বলে সেগুলোর দর বৃদ্ধির কারণে সূচকে যোগ হয় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পয়েন্ট। কিন্তু যেগুলোর শেয়ার দর কম, সেগুলোর প্রভাব সূচকে পড়ে খুবই কম। আর জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের দর বৃদ্ধি বা হ্রাসে সূচকে কোনো প্রভাবই পড়ে না। এ কারণে এমনটি ঘটছে।

গত বছরের জুলাই থেকে শুরু হওয়া পুঁজিবাজারের উত্থানে সূচক বেড়েছে ৮০ শতাংশের মতো। এর মধ্যে সবশেষ উত্থান পর্ব শুরু হয় গত জুলাই থেকে।

এ সময়ে এসে স্বল্প মূলধনি ও লোকসানি বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ে অস্বাভাবিক হারে। এর পেছনে কাজ করে নানা গুঞ্জন।

পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে হবে এবং সে ক্ষেত্রে শেয়ার ছাড়তে হবে, এমন খবরে কেবল শেয়ার সংখ্যা কম, এ কারণে বিনিয়োগকারীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন নানা কোম্পানিতে।

বেশ কিছু লোকসানি ও বন্ধ থাকা কোম্পানি আবার চালু করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি উদ্যোগ নেয়ার পর ঢালাওভাবে দাম বেড়েছে এমন সব কোম্পানিরও, যেগুলো আবার চালু করা নিয়েই আছে অনিশ্চয়তা।

সূচক বাড়ছে, শেয়ার মূল্য কমছেই
বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

বারবার সতর্কতার পরেও জুলাই ও আগস্ট মাসে এসব শেয়ারে বিনিয়োগ ক্রমেই বাড়িয়ে চলার মধ্যে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক, এমনকি বিএসইসি চেয়ারম্যানও সতর্ক করেছেন। বলেছেন মৌলভিত্তির শেয়ারে থাকতে। কিন্তু সে সময় পাত্তা দেননি ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীরা।

শেয়ার দর দ্বিগুণ, তিন গুণ হবে, এমন প্রচার চলতে থাকে পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক বিভিন্ন ফেসবুক পেজে। আর প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে এখন আটকে গেছেন তারা।

এর আগে বিমা খাতেও একই চিত্র দেখা গেছে। গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এই খাতে কোনো কোনো কোম্পানির শেয়ার দর চার গুণ, কোনোটির পাঁচ গুণ, কোনোটির ১০ গুণ বা তার চেয়ে বেশি হয়েছে। এর পরেও আরও বাড়বে ভেবে ক্রমাগত শেয়ার কিনে এখন হতাশা তারা।

বিমা ও স্বল্প মূলধনি বা লোকসানি বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার দর ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে কোম্পানিভেদে। আর অল্প অল্প করে প্রায় প্রতিদিনই কমছে শেয়ার দর।

আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সবচেয়ে বেশি দর হারানো ১০টি কোম্পানির মধ্যে আটটিই হয় লোকসানি, নয় স্বল্প মূলধনি নয় বিমা খাতের।

আগের দিন ব্যাংক খাতের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সূচকে বড় ধরনের উত্থান হয়েছিল। তবে এই খাতটি নিয়ে বিনিয়োগকারীরা মাসের পর মাস ধরে হতাশ এ কারণে যে, কোনো এক দিন দল বেঁধে শেয়ারের দর বাড়লেও পরের দিন আবার কমে। সেই চিত্র আবার দেখা গেল।

আগের দিন এই খাতের ৩টি কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে বেড়েছিল ২৪টির দর। পরের দিন চারটি কোম্পানির শেয়ার দর ১০ পয়সা আর একটির ২০ পয়সা বৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২২টি।

সিংহভাগ শেয়ারের দরপতন হয়েছে প্রকৌশল, খাদ্য, জ্বালানি, বিমা, তথ্যপ্রযুক্তি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ওষুধ ও রসায়ন খাতেও।

খাত হিসেবে কেবল স্বস্তিতে ছিল ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাত। এই খাতের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।

সূচক বাড়ছে, শেয়ার মূল্য কমছেইসূচক বাড়ছে, শেয়ার মূল্য কমছেই

বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক বৃদ্ধি ও কমার পেছনে ভূমিকা রাখা ১০টি করে কোম্পানি

সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে আইসিবি, লাফার্জ হোলসিম, পাওয়ার গ্রিড, ইউনিক হোটেল, এমকি ল্যাবরেটোরিজ, ডেল্টালাইফ, তিতাস গ্যাস , ওরিয়ন ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার ও প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের দর বৃদ্ধি।

এই ১০টি কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে সূচকে যোগ হয়েছে ১৭.৭২ পয়েন্ট।

অন্যদিকে সূচক সবচেয়ে বেশি কমেছে যে ১০টি কোম্পানির কারণে, সেগুলো হলো গ্রামীণ ফোন, ওয়ালটন, বেক্সিমকো ফার্মা, বেক্মিমকো লিমিটেড, সাবমেরিন কোম্পানি, ব্র্যাক ব্যাংক, সাউথ বাংলা ব্যাংক, রবি, ঢাকা ব্যাংক ও এনআরবিসির কারণে।

এই ১০টি কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হওয়ায় সূচক কমেছে ৭.৬৮ শতাংশ।

স্বল্প মূলধনি, লোকসানির আরও পতন

লভ্যাংশ দেয়ার ইতিহাস না থাকা, লোকসানি সাভার রিফ্রাকটরিজের দর আরও কমেছে। দুর্বল কোম্পানি হলো অভিহিত মূল্যের প্রক পর্যায়ে ৩৭ গুণ দামে বিক্রি হচ্ছিল। সেখান থেকে কমতে কমতে বুধবার দর দাঁড়িয়েছে ২৩১ টাকা। এক দিনে দাম কমেছে ১৩ টাকা ৮০ পয়সা বা ৫.৬২ শতাংশ।

সবচেয়ে বেশি দরপতনের দ্বিতীয় নম্বরে থাকা বিএনআইসিএল বিমা খাতের কোম্পানি। এর দাম কমেছে ৪.৫০ শতাংশ।

স্বল্প মূলধনি দেশ গার্মেন্টসের দর কমেছে ৪.৪৫ শতাংশ। লোকসানি ও স্বল্প মূলধনি রেনউইক যগেশ্বরের কমেছে ৪.২৫ শতাংশ। বিমা খাতের আরেক কোম্পানি ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স দর হারিয়েছে ৪ শতাংশ।

ওটিসি মার্কেট থেকে মূল বাজারে আসার পর থেকে পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা মনোস্পুল পেপার দর হারিয়েছে ৩.৯৯ শতাংশ। এই কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের পকেট ফাঁকা করেছে ব্যাপকভাবে।

গত এক মাসে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর ছিল ২৪৮ টাকা ৮০ পয়সা। সেটি কমে এখন হয়েছে ১৬৪ টাকা।

আরেক লোকসানি কোম্পানি ইভেন্স টেক্সটাইলের দর কমেছে ৩.৯৭ শতাংশ। ওটিসি থেকে আসা পেপার প্রসেসিং শেয়ার প্রতি ৬ টাকা ৮০ পয়সা হারিয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৬৫ টাকা ৪০ পয়সা।

গত এক মাসে এই কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর ছিল ২৪৭ টাকা। ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে আসার পর এটিরও দর বাড়ছিল অস্বাভাবিক হারে।

বিএসইসি কোম্পানি পুনর্গঠন করে দেয়ার পর উৎপাদন শুরুর চেষ্টায় থাকা এমারেল্ড অয়েল দর হারিয়েছে ৩.৭১ শতাংশ। লোকসানি, ৫ বছর ধরে লভ্যাংশ না দেয়া তাল্লু স্পিনিং দর হারিয়েছে ৩.৭০ শতাংশ। আরেক লোকসানি কোম্পানি বিচ হ্যাচারি দর হারিয়েছে ৩.৪৭ শতাংশ।

লেনদেনে সবচেয়ে এগিয়ে বস্ত্র, এরপর ওষুধ রসায়ন

বুধবার খাতওয়ারি লেনদেনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল বস্ত্র খাত। টানা তিন দিন লেনদেনের দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা কোম্পানিটি ওষুধ ও রসায়ন খাতকে ঠেলে উঠে এসেছে শীর্ষে। লেনদেন হয়েছে ৩১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৯৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

এই খাতের ২৩টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ২৮টির দর। অপরিবর্তিত ছিল বাকি সাতটির।

এই খাতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ড্রাগন সোয়েটারের দর। শেয়ার মূল্যে যোগ হয়েছে ৬.৩৮ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ৪.৭৩ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা শাসা ডেনিমের দর বেড়েছে ৪.৩৬ শতাংশ। চতুর্থ অবস্থানে থাকা মালেক স্পিনিংয়ের দর বেড়েছে ৪.১৫ শতাংশ।

এই খাতের শেয়ারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে দেশ গার্মেন্টস, এরপরই ছিল ইটিএল, তারপর তাল্লু স্পিনিং।

সূচক বাড়ছে, শেয়ার মূল্য কমছেই
গত কয়েকদিন ধরে লেনদেনে ওষুধ ও রসায়ন খাত শীর্ষে থাকলেও বস্ত্র খাত উঠে এসেছে এবার

গত কয়েকদিন টানা লেনদেনের শীর্ষে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাত নেমে গেছে দ্বিতীয় স্থানে। লেনদেন হয়েছে ৩১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৩১৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

আগের দিনের মতোই বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতন হয়েছে খাতটিতে। মোট ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ১৯টি, বেড়েছে ১১টির দর। একটির লেনদেন দীর্ঘদিন ধরেই স্থগিত।

এই খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫.৪ শতাংশ বেড়েছে একমি ল্যাবরেটরিজের দর। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এএফসি অ্যাগ্রো বায়োটেকের দর বেড়েছে ৩.৯৩ শতাংশ, তৃতীয় অবস্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মর দর আরও ৩.৫৯ শতাংশ বেড়ে ৯০ টাকা ছাড়িয়েছে। লভ্যাংশ ঘোষণার পর দর কমে যাওয়া ইবনে সিনা কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দর বেড়েছে ১.৬১ শতাংশ।

এই খাতের কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১.৯৪ শতাংশ কমেছে স্বল্প মূলধনি লিব্রা ইনফিউশন, যার দাম গত এক মাসে হঠাৎ করেই লাফ দিয়েছিল। এছাড়া অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেনের দর ১.৭১ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার দর ১.৫৭ শতাংশ, ফার্মা এইডের দর কমেছে ১.৫৫ শতাংশ।

তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাত। ২৫৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে খাতটিকে, আগের দিন যা ছিল ১৬৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

এ খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দরও ছিল উর্ধ্বমুখী। ১৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে তিনটির, পাল্টায়নি চারটির দর। একটির লেনদেন ছিল অপরিবর্তিত।

এই খাতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আর সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে আইসিবির দর। ৬.৯৪ শতাংশ বেড়ে দাম দাঁড়িয়েছে ১৫০ টাকা ৮০ পয়সা।

দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জিএসপি ফাইন্যান্সের দর বেড়েছে ২.৬৪ শতাংশ, তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিআইএফসির দর বেড়েছে ২.৫৯ শতাংশ আর চতুর্থ অবস্থানে থাকা ফিনিক্স ফাইন্যান্সের ২.৪৭ শতাংশ।

ব্যাংকের হতাশা কাটেনি

টানা দরপতনের মধ্যে থাকা ব্যাংক খাত সোমবার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিলেও পরদিনই আবার হতাশ করেছে। দামের সঙ্গে লেনদেনও কমেছে। লেনদেন হয়েছে ১০৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১১৭ কোটি ২০ লাখ।

ব্যাংক খাতের ৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ২২টির পর, পাল্টায়নি ৫টির।

সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ইস্টার্ন ব্যাংকের ১ শতাংশ। আর সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে ঢাকা ব্যাংক ৩.৪১ শতাংশ। রেকর্ড ডেট শেষে সাউথবাংলা ব্যাংকের দর কমেছে ৩.৩২ শতাংশ।

সিমেন্ট খাতে নতুন আগ্রহ

হঠাৎ করেই এই খাতের কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের বাড়তি আগ্রহ দেখা গেছে। খাতটিতে লেনদেন হয়েছে মোট ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আগের দিন যা ছিল ১২৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

এ খাতে তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানির মধ্যে দুটির দর কমেছে। বেড়েছে চারটির। আর একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।

দিনের সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া লাফার্জ হোলসিমে ২০৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা হাতবদলই এর কারণ। এছাড়া কনফিডেন্স সিমেন্টের লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ১০ লাখ টাকা।

অন্যান্য খাতের লেনদেন

প্রধান অন্যান্য খাতগুলোর মধ্যে প্রকৌশল খাতের ২৮টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। বিপরীতে বেড়েছে ১২টি কোম্পানির। আগের দিন এ খাতে মোট লেনদেন হয়েছিল ২৫৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। বুধবার লেনদেন হয়েছে ২১৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দরপতনের সঙ্গে লেনদেন ও কমেছে।

এই খাতে হাতবদল হয়েছে ১৭৭ কোট ৬৪ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ২০৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

২৩টি কোম্পানির মধ্যে ৯টির দর বেড়েছে, ১৩টির কমেছে আর একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।

বিমা খাতের ১৮টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। ৩১টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। দর পাল্টায়নি দুটির। এদিন বিমা খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১৬৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৭৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

সূচক বাড়ছে, শেয়ার মূল্য কমছেই
আলোচিত খাতগুলোর মধ্যে বিমা, ব্যাংক খাত আবার হতাশ করেছে বিনিয়োগকারীদের

বিবিধ খাতের ১৪টি লেনদেন হয়েছে ১৫৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৩৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

এই খাতে ১৪টি কোম্পানির মধ্যে চারটির দর বেড়েছে, দশটির কমেছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে এক বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১০৯ কোটি ২৫ লাখ টাকার। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে দশমিক ৬৪ শতাংশ।

তথ্য প্রযুক্তি খাতের মোট তিনটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে বুধবার। দর কমেছে সাতটির। বাকি একটি কোম্পানির শেয়ার দর পাল্টায়নি।

লেনদেন হয়েছে মোট ৫৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৬ কোটি ২০ লাখ টাকা।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪টির, কমেছে ১৬টির।

লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ইউনিটগুলোর মধ্যে ২০টি ফান্ডের দর কমেছে, ২ টির দর বেড়েছে আর বাকি ১৪টির দর আগের দিনের মতোই আছে।

হাতবদল হয়েছে ১৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি ৫ লাখ টাকা।

সূচক ও লেনদেন

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩০২ পয়েন্টে।

শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১ দশমিক ৬২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৮৩ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৫ দশমিক ০৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৯৬ পয়েন্টে।

দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৩৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এক দিনে লেনদেন বেড়েছে ১৩৪ কোটি টাকা।

চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১১ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৩২৩ দশমিক ১০ পয়েন্টে।

৩১৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৮টির, কমেছে ১৬৮টির ও পাল্টায়নি ৩৭টির।

লেনদেন হয়েছে ৯১ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৭ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
স্বল্প মূলধনির আরও পতনে সূচক বাড়াল ব্যাংক
সংশোধনের পুঁজিবাজারে নিষ্প্রভ আরও এক দিন
দীর্ঘ হচ্ছে সংশোধন, আবার সপ্তাহ শুরু পতনে
দর সংশোধনে নতুন প্রবণতায় পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার: পাকিস্তান থেকে খানিকটা ভারত থেকে অনেক পিছিয়ে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market With the fall of transactions in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market Most companies have decreased major collapse in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Transaction in Dhaka is going on in Chittagong

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।

দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

মন্তব্য

p
উপরে