জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র খেলার মাঠ ধূপখোলায় মাটি খননের কাজ শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। মার্কেট ও পার্ক নির্মাণের জন্য গভীর রাতেও জোরেশোরে চলছে খনন।
বিষয়টি নজরে আসার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ধূপখোলা মাঠের আয়তন প্রায় ৭ দশমিক ৪৭ একর এবং মাঠটি তিন ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ, ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব খেলার মাঠ এবং সবার জন্য উন্মুক্ত একটি মাঠ। ১৯৮২ সাল থেকে মাঠটি ব্যবহার করছে জবি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে না জানিয়েই মাঠে মাটি খননের কাজ করছে ডিএসসিসি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, ধূপখোলা মাঠটি সিটি করপোরেশনের। এ মাঠ এখন মেগা প্রজেক্টের মধ্যে রয়েছে। এখানে একটি বহুতল মার্কেট, খেলার মাঠ, হাঁটার ব্যবস্থা, ক্যাফেটরিয়া ও পার্কিং স্থান করা হবে বলে জানায় সূত্রটি।
স্থানীয়রা জানান, রোববার ও সোমবার মধ্যরাতে ধূপখোলা মাঠের জবি অংশে সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ফেলেছে মাঠের সংস্কারের দায়িত্বে থাকা ডিএসসিসির ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো মাঠটির তিনটি অংশের প্রতিটির সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ফেলা হয়েছে। মাঠের দুই পাশে থাকা দুটি গোল পোস্টও তুলে ফেলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশের গেটের সামনে ফেলা হয়েছে খোঁড়াখুঁড়ির মাটিও। এতে গেটটি বন্ধ হয়ে গেছে।
এ সময় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাঠটি জবি শিক্ষার্থীদের একমাত্র খেলার জায়গা। যদিও এটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং ডিএসসিসির ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের খেলা এখানে অনুষ্ঠিত হয়। এ মাঠেই ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র সমাবর্তন। ডিএসসিসির এ প্রজেক্টের কারণে একমাত্র খেলার মাঠ বেহাত হওয়ায় ক্ষুব্ধ জবির সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা। মাঠ রক্ষায় কয়েক দফা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এরই মাঝে তারা ফেসবুকে একটি গ্রুপ (জবিয়ান, মাঠ বাঁচাও) খুলে সেখানে সকলকে একত্রে করার চেষ্টা করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. লিমন ফুটবলার ও সেরা অ্যাথলেট।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘জবির একমাত্র খেলার মাঠ, বিশ্ববিদ্যালয়েরই থাকতে হবে। খেলার মাঠের প্রয়োজনীয়তা আপনার আমার সবার জানা। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এলাকার লোকজনও এখানে খেলাধুলা করেন। তাই বৃহত্তর স্বার্থে মাঠটি রক্ষা করা অপরিহার্য।
‘খেলার মাঠের জায়গায় বহুতল শপিং মল কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বহুতল শপিং মল বানানো যদি উন্নয়ন হয় তাহলে কয়েক বছর পর প্রতিটা খেলার মাঠে আমরা এ ধরনের মার্কেট দেখতে যাচ্ছি- যা কখনোই নীতিসংগত নয়।’
১১তম ব্যাচের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভলিবল টিমের ক্যাপ্টেন হৈমন্তী রাণী ক্ষোভ প্রকাশ করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শকুনের চোখ পড়েছে সব ভালো কিছুতে। পুরান ঢাকায় নিঃশ্বাস নেয়ার মতো কোনো জায়গা নেই। অথচ এই একটা মাঠ ছিল সেটিও নিয়ে যাচ্ছে। সামনের প্রজন্ম শুধু বই থেকেই জানবে ‘মাঠ’ কাকে বলে।’
ডিএসসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মাঠ রক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগের কথা ভাবছে তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষাকেন্দ্রের সহকারী পরিচালক গৌতম কুমার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশন ধূপখোলায় তিনটির পরিবর্তে একটি মাঠ নির্মাণ করতে চাইছে। এতে কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। আমাদের স্বকীয়তা হারিয়ে যাবে এবং আমাদের খেলাধুলা বাধাগ্রস্ত হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘মাঠটির কোনো কাগজপত্র আমাদের কাছে নেই। এর আগেও আমরা মাঠটি রক্ষার চেষ্টা করেছি৷ মাঠের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে, প্রয়োজনে আবারও পাঠানো হবে।’
মাঠটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবহারের জন্য আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার কথা বলছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা ট্রেজারার ও ক্রীড়া কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশন সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ফেলেছে সেটি জেনেছি। আমরা আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার কথা ভাবছি। উপাচার্য ৯ অক্টোবর দেশে আসবেন, তার সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। এখন আমাদের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার আছেন, তার সঙ্গেও পরামর্শ করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাঠের বিষয়ে মেয়রের সঙ্গে দেখা করেছি, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। মেয়রকে বলেছিলাম, জবি ক্যাম্পাস কেরানীগঞ্জে যাওয়া পর্যন্ত মাঠটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবহার করতে দিতে। তিনি না করেছেন। আমাদের ডকুমেন্টস না থাকায় বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।’
সিটি করপোরেশনের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ও প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা হরিদাস মল্লিক বলেন, ‘মাঠের উন্নয়নে আমরা কাজ শুরু করেছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি সিটি করপোরেশনের মাঠ। তাই আমরা কাজ শুরু করেছি।’
এর আগে গত ২১ জুন খেলার মাঠের চলমান সমস্যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বৈঠক শেষে জানান, মাঠের সংস্কার হলেও শিক্ষার্থীরা খেলতে পারবেন। কিন্তু এখন সে কথা রাখছেন না মেয়র। তার এ আশ্বাসকে ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’ মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।
পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠটির আয়তন প্রায় ২১ বিঘা। এ মাঠে খেলেই তৈরি হয়েছিলেন জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন নামীদামি ফুটবলার-ক্রিকেটার। এ মাঠে মার্কেট নির্মাণের জন্য গত ১০ জুন ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জোহা ও সিটি করপোরেশনের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হরিদাস মল্লিক ম্যাপ অনুযায়ী মাঠের চার কোনায় খুঁটি বসিয়ে এর দখল নেন। এরপরই তারা প্রকল্পের কাজ শুরু করেন।
জানা যায়, ডিএসসিসি এলাকায় মোট নয়টি মাঠ রয়েছে। এর মধ্যে আগা সাদেক রোডের বাংলাদেশ মাঠ, লালবাগ শ্মশানঘাট মাঠ, কিল্লার মোড় মাঠ, বেগমগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা খেলার মাঠ, গোলাপবাগ মাঠ পড়েছে পুরান ঢাকা এলাকায়।
পণ্যের ওপর যে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার, সেটিকে ‘হঠকারী সিদ্ধান্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
দলটির ভাষ্য, এ সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষকে ব্যাপক ভোগান্তিতে ফেলবে। যদিও অন্তবর্তী সরকারের দাবি, ‘এতে ন্যূনতম প্রভাব পড়বে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের অফিসে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার যে ভ্যাট ও পরোক্ষ কর বাড়িয়েছে, তাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।’
দেশের চলমান অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও মুদ্রাস্ফীতির কথা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। কিছু কিছু পণ্যের ওপর থেকে কর অব্যাহতিও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে খাদ্য, পোশাক, ওষুধ ও মোবাইল ইন্টারনেট সেবাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যও রয়েছে।’
এতে সাধারণ মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে গরিব ও মধ্যবিত্তদের ব্যাপক দুর্ভোগে পড়তে হবে।’
এসব ভোগান্তি থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে বিকল্প পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর পরিবর্তে সরকার যাতে অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন খরচ কমিয়ে দেয়, অন্তবর্তী সরকারকে সেই পরামর্শও দিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক বলেন, ‘জবাবদিহিতাপূর্ণ একটি প্রশাসনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত একটি জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা।’
এর আগে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ায় সরকার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরেক দফা বেড়ে যেতে পারে সাধারণ মানুষের। উদাহরণ হিসেবে তারা বলেছেন, মুঠোফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাড়বে। আবার পোশাক–আশাকের দামও বাড়তে পারে ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে।
এ ছাড়া মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে মিষ্টি, ওষুধ, এলপি গ্যাস, ফলের রস, ড্রিংক, বিস্কুট, চশমার ফ্রেম, সিগারেটসহ নানা পণ্যের।
গেল ৯ জানুয়ারি রাতে এ–সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। অধ্যাদেশ দুটি হলো মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দি এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫।
এ ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের ওপর তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম শনিবার ইউএনবিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২ জানুয়ারি মাসুদ বিশ্বাসের নামে মামলা করে দুদক।
এ মামলায় মাসুদ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে সংস্থার একটি দল তাকে আদালতে হাজির করবে।
এর আগে ২ জানুয়ারি দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এক কোটি ৮৭ লাখ ৭২ হাজার ৬২২ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।
মাসুদ বিশ্বাসের স্ত্রী কামরুন নাহারের সম্পদের বিবরণীও চেয়েছে দুদক। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে বলে দুদক জানিয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ২ জানুয়ারি তার নামে মামলা হয়।
মূলত অর্থ পাচার প্রতিরোধেই কাজ করে বিএফআইইউ। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মাসুদ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন:রাজধানীর বনানীতে শনিবার নিজ বাসায় গ্যাস লাইটার বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতি কাজী বাবুল (৫৯)।
তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।
ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে বনানীর বাসায় ওয়াশরুমে ধূমপানের জন্য গ্যাস লাইটার বিস্ফোরণে দগ্ধ হন বাবুল কাজী। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাকে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের ৭৪ শতাংশ দগ্ধ হয়।
তিনি জানান, আইসিইউতে ভর্তি রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
যুদ্ধবিধস্ত লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ৪৭ বাংলাদেশি।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে পৌঁছান তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
ফেরত আসা এসব নাগরিককে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম কর্মকর্তারা।
আইওএমের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা পকেটমানি, কিছু খাদ্যসামগ্রী ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
বিমানবন্দরে ফিরে আসা বাংলাদেশিদের খোঁজ নেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এখন পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
এ পর্যন্ত ১৯ ফ্লাইটে ১ হাজার ২৪৬ বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়।
আরও পড়ুন:‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
শেখ হাসিনার শাসনামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ডের যথাযথ বিচার ও সন্ত্রাসীদের সাজা নিশ্চিত করার দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামীকাল বেলা দুইটায় এ কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি।
ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আগামীকাল ১৮ জানুয়ারি, শনিবার দুপুর দুইটায় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ কর্তৃক সংঘটিত সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের যথাযথ বিচার ও সন্ত্রাসীদের সাজা নিশ্চিত করার দাবিতে এবং জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর হিসেবে ভূমিকা পালনকারী শিক্ষকদের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।”
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
নেতারা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সকল নেতা-কর্মীসহ আপামর ছাত্রসমাজকে মিছিলে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
গত বছরের ৩১ জুলাই দেশের সব আদালত, ক্যাম্পাস ও রাজপথে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করেছিল কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। আটক করা হয় অনেককে।
সারা দেশে ‘ছাত্র-জনতা হত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলার’ প্রতিবাদে ও জাতিসংঘের অধীনে ঘটনার তদন্ত করে বিচার এবং ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ওই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন:রাজধানীর হাজারীবাগে শুক্রবার একটি চামড়ার গুদামে আগুন ধরার খবর জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বাহিনীটির মিডিয়া সেল জানায়, হাজারীবাগের ট্যানারি কাঁচাবাজারের একটি সাত তলা ভবনের পঞ্চম তলায় বেলা দুইটা ১৪ মিনিটে আগুন ধরার খবর আসে। সে খবর পেয়ে চামড়ার গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট বেলা দুইটা ২৩ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
মিডিয়া সেল আরও জানায়, বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে ছয়টি ইউনিট কাজ করছে। সাহায্যের জন্য যাচ্ছে আরও চারটি ইউনিট।
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বৃহস্পতিবারের সংলাপে অংশ নেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বিএনপি এ বিষয়ে আলোচনার জন্য যথেষ্ট সময় পায়নি উল্লেখ কর দলটির মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শায়রুল বলেন, আজ বিকাল ৪টা থেকে ৭টা পর্যন্ত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
‘জাতীয় ঐকমত্যের’ ভিত্তিতে ‘জুলাই ঘোষণা’ চূড়ান্ত করা হবে।
এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের বিষয়ে একটি ঘোষণাপত্র তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে।
প্রধান উপদেষ্টার (সিএ) প্রেস উইং জানায়, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গড়ে ওঠা জনগণের ঐক্যকে সুদৃঢ় করার জন্য এ ঘোষণাপত্র গৃহীত হবে। এটি তার ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা ও রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দাবিকে তুলে ধরবে।
ঘোষণার খসড়ায় গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ সব রাজনৈতিক দল ও শিক্ষার্থীদের মতামত অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এ ঘোষণাপত্রে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, ঐক্যের ভিত্তি ও জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার চিত্র ফুটে উঠবে বলে জানিয়েছে প্রেস উইং।
সরকার আশা করছে যে, ঘোষণাপত্রটি সব অংশীজনের অংশগ্রহণে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তুত করা হবে এবং তারপর জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য