× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Money is losing value
google_news print-icon

মান হারাচ্ছে টাকা

মান-হারাচ্ছে-টাকা
ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। ফাইল ছবি
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একই জায়গায় ‘স্থির’ ছিল ডলারের দর। গত ৫ আগস্ট থেকে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়তে শুরু করে। এখন প্রায় প্রতিদিনই ৫-৭ পয়সা করে বাড়ছে।

টাকার মান কমছেই। দেড় মাসের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের বিপরীতে দশমিক ৬৫ শতাংশ দর হারিয়েছে বাংলাদেশের মুদ্রা টাকা। তবে পর্যাপ্ত রিজার্ভ থাকায় এতে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই বলে মনে করছেন অর্থনীতির গবেষকরা।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একই জায়গায় ‘স্থির’ ছিল ডলারের দর। গত ৫ আগস্ট থেকে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়তে শুরু করে। এখন প্রায় প্রতিদিনই ৫-৭ পয়সা করে বাড়ছে।

এই দেড় মাসে ডলারের বিপরীতে টাকা ৫৫ পয়সা দর হারিয়েছে। ৫ আগস্ট আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় বিক্রি হয়। রোববার বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকা ৩০ পয়সায়। আমদানি বাড়ায় ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় শক্তিশালী হচ্ছে ডলার; বিপরীতে দুর্বল হচ্ছে টাকা।

মাঝে এক বছর ছাড়া প্রতি বছরই বাংলাদেশি টাকার মান কমেছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করে থাকে ডলারে। অনেকটা ‘রক্ষণশীল নীতি’ অবলম্বন করলেও আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১২ বছরে সেই ডলারের তুলনায় টাকার মান কমেছে প্রায় ২৪ শতাংশ।

অর্থাৎ ১২ বছর আগে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে যে পণ্য বা সেবা কিনতে ১০০ টাকা লাগতো, বর্তমানে তা কিনতে ১২৪ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এটি সরকারি হিসাবের তথ্য। বেসরকারি হিসাবে এই এক যুগে টাকার মূল্যমান আরও বেশি অর্থাৎ ২৯ শতাংশ কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুদ্রা বিনিময় হারের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে এ তথ্য মিলেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতি ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যেত ৬৯ টাকা। আর রোববার প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা ৩০ পয়সা দরে। অথচ ২০১৭ সালের শুরুর দিকে প্রতি ডলারের মূল্যমান ছিল ৭৯ টাকা ৭৫ পয়সা।

তবে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক রোববার ৮৭ টাকা ২০ পয়সা দরে ডলার বিক্রি করেছে। কিনেছে ৮৫ টাকায়।

অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যাংকের বাইরে (কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে) প্রতি ডলার ৮৯ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে রোববার।

বাংলাদেশে ডলার ও টাকার বিনিময় হার স্বাধীনতার পর থেকে সরকার নির্ধারণ করে দিত। টাকাকে রূপান্তরযোগ্য ঘোষণা করা হয় ১৯৯৪ সালের ২৪ মার্চ। আর ২০০৩ সালে এই বিনিময় হারকে করা হয় ফ্লোটিং বা ভাসমান। এর পর থেকে আর ঘোষণা দিয়ে টাকার অবমূল্যায়ন বা পুনর্মূল্যায়ন করা হয় না।

তবে বিনিময় হার ভাসমান হলেও পুরোপুরি তা বাজারভিত্তিক থাকেনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময়ই এতে পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ রেখে আসছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে অনুসরণ করে আসছে ‘ম্যানেজড ফ্লোটিং রেট’ নীতি।

ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

এদিকে বাজার স্থিতিশীল করতে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রোববার পর্যন্ত ৬০ কোটি ডলারের মতো বিক্রি করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বাজারে ডলারের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় অস্বাভাবিক দাম বাড়ার শঙ্কা নেই। রিজার্ভে পর্যাপ্ত ডলার জমা আছে। প্রয়োজনমতো সেখান থেকে ডলার বাজারে ছাড়া হবে।

অর্থনীতিবিদরা কী বলছেন

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টাকার অবমূল্যায়ন হলে রপ্তানিকারকরা সুবিধা পান, কিন্তু আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে মূল্যস্ফীতিতে চাপ পড়ার আশঙ্কা থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন কৃত্রিমভাবে ডলার কেনাবেচা করে পরিস্থিতি ঠিক রাখার চেষ্টা করছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত হবে এ বিষয়ে একটি সমীক্ষা করা।

‘সমীক্ষায় যদি দেখা যায়, ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমলে মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাহলে আর কমতে দেয়া ঠিক হবে না। মহামারির কারণে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর সব দেশেই মূল্যস্ফীতি হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের এখানেও যেন তেমনটি না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমদানি বাড়ায় ডলারের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত অর্থবছরে প্রচুর রেমিট্যান্স আসায় ডলারের সরবরাহ বেড়ে গিয়েছিল। চলতি অর্থবছরে তেমনটি থাকবে বলে মনে হয় না। ইতিমধ্যে তার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে।

‘অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে রেমিট্যান্স কমেছে। অন্যদিকে আমদানি অনেক বেড়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। আর চাহিদা বাড়লে যে কোনো পণ্যের দাম যেমন বাড়ে, ডলারের দামও তেমনি বাড়ছে। এটাই স্বাভাবিক। আর এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে হস্তক্ষেপ করে ডলারের দাম বাড়ার সুযোগ করে দিয়ে ঠিক কাজটিই করছে বলে আমি মনে করি।

‘এর ফলে রপ্তানি খাতের ব্যবসায়ীরা সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সেও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। টাকার মান বেড়ে গেলে অর্থনীতির এই দুই সূচকে নেতিবাচক প্রভাব পড়ত।’

আহসান মনসুর বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে প্রবাসী আয় বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যদি রেমিট্যান্স প্রবাহ কমতে থাকে, তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এখানে এমন নিয়মিত হস্তক্ষেপ করতে হবে।

‘রেমিট্যান্স কমতে থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও ডলার বিক্রি করতে হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিল্পের কাঁচামাল, মূলধনী যন্ত্রপাতি– সব ধরনের পণ্যের আমদানি বাড়ছে। ইউরোপ-আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। বাংলাদেশে করোনা মহামারির মধ্যেই পুরোদমে উৎপাদন কর্মকাণ্ড চলছে।

‘সব মিলিয়ে আমদানি বাড়াটাই স্বাভাবিক। আর এটা অর্থনীতির জন্য মঙ্গল।’

তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী ডলার বিক্রি করছে। এতদিন বাজার স্থিতিশীল রাখতে ডলার কেনা হয়েছিল। এখন সেই একই কারণে বিক্রি করা হচ্ছে।

‘এই কাজটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময়ই করে থাকে। যখন যেটা প্রয়োজন, সেটাই করা হয়।’

রেমিট্যান্স বাড়া ও আমদানি কমায় বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে সব মিলিয়ে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার কিনেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, যা ছিল অতীতের যে কোনো বছরের চেয়ে বেশি।

মহামারির মধ্যে ব্যবসায় মন্দার কারণে আমদানি কমে যায়। পাশাপাশি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের উল্লম্ফন এবং রপ্তানি আয় বাড়ার কারণে দেশের ব্যাংকিং খাতে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত ডলার জমা হতে থাকে। এ পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ডলার কেনার এ রেকর্ড গড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এর আগে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫ দশমিক ১৫ বিলিয়ন (৫১৫ কোটি) ডলার কিনেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত অর্থবছরের আগে সেটিই ছিল সর্বোচ্চ ডলার কেনার রেকর্ড।

রপ্তানিকারকরা খুশি

টাকা অবমূল্যায়িত হওয়ায় খুশি দেশের রপ্তানিকারকেরা। কারণ এতে আগের তুলনায় বেশি আয় হচ্ছে তাদের। কিন্তু এই রপ্তানিকারকদের একটি অংশ যেখানে আমদানিকারক, সেই দিক থেকে তারা আবার নাখোশও।

সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, বাংলাদেশে রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেশি হচ্ছে। আবার প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের বড় অংশই আমদানিনির্ভর। তাই টাকার মূল্যমান কমে যাওয়ায় খুব বেশি লাভবান হতে পারছেন না এসব ব্যবসায়ী।

আর রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ডলারের বিপরীতে টাকা আরও খানিকটা অবমূল্যায়ন হলে করোনার এই কঠিন সময়ে রপ্তানি বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়ানো সহজ হতো।

তিনি বলেন, ‘আমরা আমদানি-রপ্তানি দুটিই করি ডলারে। রপ্তানির পরিপ্রেক্ষিতে বিবেচনা করলে একটু একটু করে ডলারের দাম বাড়লে আমাদের উপকার হয়।

প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম, তুরস্ক ও ভারত ডলারের বিপরীতে তাদের মুদ্রার অনেক অবমূল্যায়ন ঘটিয়েছে বলে উদাহরণ দেন ফারুক।

টাকার মান কমছে

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে নির্বোচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতি ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যেত ৬৯ টাকা। এরপর পাঁচ বছরে ডলারের বিপরীতে টাকা সাড়ে ৮ টাকার মতো দর হারায়।

আওয়ামীলীগ সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সালের আগস্টে ডলারের আন্তঃব্যাংক মুদ্রা বিনিময় হার ছিল ৭৭ টাকা ৪০ পয়সা। ২০১৫ সালের আগস্টে এই দর বেড়ে হয় ৭৭ টাকা ৮০ পয়সা। ২০১৬ সালের আগস্টে ডলারের দর ছিল ৭৮ টাকা ৪০ পয়সা।

২০১৭ সালের আগস্টে ডলারের দর বেড়ে হয় ৮০ টাকা ৭০ পয়সা। ২০১৮ সালের আগস্টে ডলারের দর ৮৩ টাকা ৭৫ পয়সা হয়।

২০১৯ সালের ১২ জানুয়ারি ডলারের দর ছিল ৮৪ টাকা ৯০ পয়সা। তবে এর পরপরই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে ডলারের দর আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসে।

ওই বছরের ডিসেম্বর নাগাদ ডলারের দর একটু একটু করে বেড়ে আবার ৮৪ টাকা ৯০ পয়সায় উঠে আসে।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ডলারের দর ছিল ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সা। জুনে ওই দর ৮৪ টাকা ৮৫ পয়সায় নেমে আসে। এর পর থেকে ডলারের দর চলতি বছরের ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৮৪ দশমিক ৮০ পয়সায় ‘স্থির’ ছিল।

অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন (দুই হাজার ৪৭৮ কোটি) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।

তবে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রবাহে ধীরগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ৩৬৮ কোটি ১৬ লাখ ডলার এসেছে। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৯ দশমিক ৩০ শতাংশ কম।

অন্যদিকে মহামারির মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবছরের পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৮ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন (তিন হাজার ৮৭৬ কোটি) ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।

ওই অর্থবছরে ৬৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন (ছয় হাজার ৫৬০ কোটি) ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের চেয়ে ১৯ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি।

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসের (জুলাই) আমদানির তথ্য প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাতে দেখা যায় এই মাসে ৬৫৬ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। যা গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি।

সন্তোষজনক রিজার্ভ

আমদানি বাড়ার পরও বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সন্তোষজনক অবস্থায় আছে। রোববার দিন শেষে রিজার্ভ ৪৬ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।

গত ২৪ আগস্ট আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ১৪৪ কোটি ৮০ লাখ (প্রায় ১.৪৫ বিলিয়ন) ডলার এসডিআর (স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস) ঋণ রিজার্ভে যোগ হওয়ায় এক লাফে রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অত্রিক্রম করে।

সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই-আগস্ট মেয়াদের আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।

আরও পড়ুন:
গ্রাহকের মৃত্যুর সুযোগে ব্যাংকে ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ 
জাল টাকা চক্রের ৪ সদস্য কারাগারে
ঘরের দরজায় টাকা-চিরকুট রাখল কে
টাকার মান এখন পাকিস্তানি রুপির দ্বিগুণ
কার্যালয় থেকে টাকা চুরির অভিযোগ তোলা পিআইওর বদলি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্ত ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্ত ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্ত ব্যাংকের উদ্যোগে শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) এবং টেকনাফ (কক্সবাজার) উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপনের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা হয় এবং বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করা হয়। শ্যামনগরের ৭টি এবং টেকনাফে ২টি বিদ্যালয়ে গাছের চারা রোপণ করা হয়।

সীমান্ত ব্যাংকের টেকনাফ শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হোসেন এবং শ্যামনগর উপশাখার ব্যবস্থাপক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম যথাক্রমে টেকনাফ এবং শ্যামনগরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী সমন্বয় করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীগন স্বতঃস্ফূর্তভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prime Bank stands next to ICDDR B for life saving tuberculosis in Sylhet

সিলেটে জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা চিকিৎসায় আইসিডিডিআর,বি-এর পাশে দাঁড়ালো প্রাইম ব্যাংক

সিলেটে জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা চিকিৎসায় আইসিডিডিআর,বি-এর পাশে দাঁড়ালো প্রাইম ব্যাংক

বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজারো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে যক্ষ্মা (টিবি)। কেবল ২০২৩ সালেই ৪৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে- ফলে প্রতি ১২ মিনিটে একজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন যক্ষ্মায়। এই জাতীয় সংকট মোকাবেলায় সাহসী উদ্যোগ নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করতে প্রাইম ব্যাংক বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি-এরর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে।

আজ (০৯ সেপ্টেম্বর) গুলশানে প্রাইম ব্যাংকের করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রাইম ব্যাংক এক বছরের জন্য আইসিডিডিআর,বি-এর সিলেট টিবি স্ক্রিনিং অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার (TBSTC)-এর যক্ষ্মা পরীক্ষার ও চিকিৎসা সেবার ধারাবাহিকতায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। প্রাইম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান ও. রশীদ এবং আইসিডিডিআর,বি-এর নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমীদ আহমেদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

দেশে যক্ষ্মা প্রতিরোধে দীর্ঘদিনের আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৫ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে স্ক্রিনিং করেছে। এ সময়ে শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজারের বেশি টিবি রোগী, যার মধ্যে ১৮ হাজার শিশু। পাশাপাশি ৫,৫০০-এরও বেশি ওষুধ-প্রতিরোধী টিবি রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এই সহযোগিতার মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কমিউনিটির কল্যাণে তাদের অঙ্গীকার আরও জোরদার করছে। ব্যাংকটি প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু হ্রাস এবং একটি সুস্থ, সহনশীল বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bonded Warehouse Licensed

বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানিকৃত পণ্যচালান শুল্কায়নের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা প্রদান

বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানিকৃত পণ্যচালান শুল্কায়নের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা প্রদান

উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো।

০২। সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কাস্টমস হাউস/স্টেশনে আমদানিকালে দাখিলকৃত পণ্য ঘোষণায় প্রদত্ত পণ্যের বর্ণনা ও HS Code কায়িক পরীক্ষায় পণ্যের নমুনা কিংবা শুল্কায়ন পরবর্তী সময়ে পণ্যের ঘোষিত বর্ণনা পরিবর্তিত হয়, যা ক্ষেত্রবিশেষে প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স অথবা প্রাপ্যতা শীট বা সংশ্লিষ্ট Utilization Declaration (UD) তে অন্তর্ভূক্ত থাকে না। ফলে শুল্কায়নকালে উহা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে যথাসময়ে কাঁচামাল/পণ্য খালাস না হওয়ায় রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য জাহাজীকরণে বিঘ্ন ঘটছে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অবগত হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বর্তমানে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ও রপ্তানি বাণিজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে জরুরি বিবেচনায় নিম্নরূপ নির্দেশনা প্রদান করা হলো:

(ক) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন HS Code নিরূপণ করলে এবং নিরূপিত HS Code এর প্রথম ৪ ডিজিট বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত HS Code এর প্রথম ৪ ডিজিট এর সাথে মিল থাকলে; আমদানিকারক পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে এই নিরূপিত HS Code বন্ড লাইসেন্সে ও ইউডিতে অন্তর্ভূক্ত করবেন মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউস এর কমিশনার এর নিকট দাখিল করবেন যার বিপরীতে কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।

(খ) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন বর্ণনা নিরূপণ করলে; আমদানিকারক পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উক্তরূপ নিরূপিত পণ্যের বর্ণনা বন্ড লাইসেন্সে ও ইউডিতে অন্তর্ভূক্ত করবেন মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউস এর কমিশনার এর নিকট দাখিল করবেন যার বিপরীতে কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।

গ) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভিন্ন HS Code নিরূপণ করা হলে এবং বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কাস্টমস বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটের মাধ্যমে তার প্রাপ্যতায় উক্ত HS Code অন্তর্ভুক্ত করলে কাস্টমস হাউস এর কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করবেন এবং পণ্য চালান খালাসের তথ্য সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।

০৩। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে; এবং বর্তমানে উক্তরূপ কারণে শুল্কায়ন নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষমান পণ্যচালানসমূহের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Uttara Bank PLCs New Additional Managing Director

উত্তরা ব্যাংক পিএলসি. এর নতুন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক 'মাকসুদুল হাসান'

উত্তরা ব্যাংক পিএলসি. এর নতুন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক 'মাকসুদুল হাসান'

জনাব মাকসুদুল হাসান গত ০৯/০৯/২০২৫ তারিখে উত্তরা ব্যাংক পিএলসি. এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। এর আগে তিনি একই ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৯ সনে প্রবেশনারী অফিসার হিসেবে উত্তরা ব্যাংক পিএলসি. এ তার ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং এখন পর্যন্ত তিনি একই ব্যাংকে কর্মরত আছেন। তিনি শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে ব্যাংকের নন-এডি এবং এডি শাখায় দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে তিনি প্রধান কার্যালয়ে ২০০৬ সনে যোগদান করেন। প্রধান কার্যালয়ে যোগদানের পর থেকে তিনি বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ও ডিভিশন যেমন- হিউম্যান রিসোর্সেস ডিভিশন, ইন্টারন্যাশনাল ডিভিশন, ব্যাংকিং কন্ট্রোল এন্ড কমন সার্ভিসেস ডিভিশন, ইন্টারনাল কন্ট্রোল এন্ড কমপ্লায়েন্স ডিভিশন, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট, জেনারেল সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট, ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট ও পাবলিক রিলেশন্স ডিপার্টমেন্টে কাজ করেছেন।

তিনি ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও ইন্দোনেশিয়ায় অফিসিয়াল বিভিন্ন সভা, কর্মশালা ও সম্মেলনে অংশ নেন। ২৬শে জুন ২০১৯ থেকে ৫ই জুন ২০২৩ পর্যন্ত তিনি ব্যাংকের প্রধান ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ব্যাংকের ইন্টিগ্রিটি রিওয়ার্ড পুরষ্কার লাভ করেন।

জনাব হাসান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসাবে ইংরেজী বিভাগ থেকে ১৯৮৫ সনে বি.এ (স্নাতক) ডিগ্রী এবং একই বিষয়ে ১৯৮৬ সনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি নেত্রকোনা জেলার মদন থানাধীন শিবপাশা গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Members of the Orange Club of Banglalink will enjoy special discounts at Walton Plaza across the country

দেশজুড়ে ওয়ালটন প্লাজায় বিশেষ ছাড় উপভোগ করবেন বাংলালিংকের অরেঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা

দেশজুড়ে ওয়ালটন প্লাজায় বিশেষ ছাড় উপভোগ করবেন বাংলালিংকের অরেঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা

নিজেদের অরেঞ্জ ক্লাব মেম্বারদের বিশেষ ছাড় সুবিধা দিতে সম্প্রতি ওয়ালটন প্লাজার সাথে এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটির বাংলালিংক। সম্প্রতি, রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

এক্সক্লুসিভ লয়্যালটি প্রোগ্রাম ‘অরেঞ্জ ক্লাব’ -এর মাধ্যমে বাংলালিংক এর বিশেষ গ্রাহকদের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো থেকে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন আকর্ষণীয় সুবিধা দিয়ে থাকে। নতুন এই অংশীদারিত্ব গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

এ অংশীদারত্বের ফলে, বাংলালিংকের অরেঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা এখন থেকে দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা আউটলেটে সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ ছাড় পাবেন।

অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলালিংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির লয়্যালটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ম্যানেজার জাইন জামান ও লয়্যালটি পার্টনারশিপ ম্যানেজার শাহাদাত এইচ মজুমদার। ওয়ালটন প্লাজার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রায়হান, নির্বাহী পরিচালক (এইচআরএম প্রধান) মো. ফয়সাল ওয়াহিদ এবং উপনির্বাহী পরিচালক ও প্রধান বিক্রয় নির্বাহী (প্লাজা সেলস-ওয়েস্ট) মীর মো. গোলাম ফারুক।

মার্কেটিং অপারেশনস ডিরেক্টর মেহেদী আল আমীন বলেন, “দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে আমরা সবসময়ই আমাদের অরেঞ্জ ক্লাব সদস্যদের জন্য নতুন নতুন সুবিধা প্রদান করার চেষ্টা করি। ওয়ালটনের সঙ্গে এই অংশীদারিত্বের ফলে অরেঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য আরো সাশ্রয়ী মূল্যে কিনতে পারবে।”

ওয়ালটন প্লাজার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রায়হান বলেন, “বাংলালিংকের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত। ওয়ালটন সবসময় গ্রাহকদের জন্য সহজলভ্যতা ও সাশ্রয়ী দামে পণ্য দেওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। নতুন এই অংশীদারিত্ব আমাদের সেই লক্ষ্যকে আরও শক্তিশালী করবে। বাংলালিংকের সবচেয়ে বিশ্বস্ত গ্রাহকরা এখন আমাদের নানান মানসম্মত পণ্য অতিরিক্ত সুবিধাসহ উপভোগ করতে পারবেন।”

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Settlement Bank Partnership in NPSB Platform Memorandum of Understanding Between Pubali Bank PLC and Software Shop Limited SSL

পূবালী ব্যাংক পিএলসি. ও সফটওয়্যার শপ লিমিটেড (SSL) এর মধ্যে Settlement Bank Partnership in NPSB Platform সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

পূবালী ব্যাংক পিএলসি. ও সফটওয়্যার শপ লিমিটেড (SSL) এর মধ্যে Settlement Bank Partnership in NPSB Platform সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

পূবালী ব্যাংক পিএলসি. ও সফটওয়্যার শপ লিমিটেড (SSL) এর মধ্যে ঝবঃঃষবসবহঃ ইধহশ চধৎঃহবৎংযরঢ় রহ ঘচঝই Settlement Bank Partnership in NPSB (National Payment Switch Bangladesh) Platform সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সম্প্রতি স্বাক্ষরিত হয়েছে। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারক হস্তান্তর করেন পূবালী ব্যাংক পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আলী ও সফটওয়্যার শপ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম। সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে পূবালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শাহনেওয়াজ খান, সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট বিভাগ প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক ইন্দ্র মোহন সূত্রধর, কার্ড অপারেশন বিভাগ প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার রায় এবং অলটারনেটিভ ডেলিভারি চ্যানেল বিভাগ প্রধান ও উপমহাব্যবস্থাপক মো. রবিউল আলম এবং সফটওয়্যার শপ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার আলম ইসহাক, গ্রুপ এডভাইজার আহমেদ কামাল খান চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপক মোঃ মহিউদ্দিন তৌফিক-সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BRAC Bank brought success in the countrys first digital SME loan success

দেশের সর্বপ্রথম ডিজিটাল এসএমই লোন ‘সাফল্য’ নিয়ে এলো ব্র্যাক ব্যাংক

দেশের সর্বপ্রথম ডিজিটাল এসএমই লোন ‘সাফল্য’ নিয়ে এলো ব্র্যাক ব্যাংক

প্রান্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) জন্য দেশের প্রথম ইনস্ট্যান্ট ডিজিটাল ঋণসুবিধা ‘সাফল্য ই-লোন’ চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এই সুবিধার ফলে এখন থেকে ছোট ব্যবসায়ী, দোকানদার এবং প্রান্তিক উদ্যোক্তারা মাত্র কয়েক মিনিটেই সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন।
এসএমই-কেন্দ্রিক ব্যাংক হিসেবে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য দেশের প্রথম এই ই-লোন সুবিধা চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক, যা প্রান্তিক অঞ্চলের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে ব্যাংকটির ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
প্রান্তিক এসএমইদের বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড বলা হলেও কাগজপত্রের ঝামেলা, জটিল শর্তাবলি এবং ঋণ প্রদানে দীর্ঘসূত্রতার কারণে এই খাত দীর্ঘদিন ধরে ফরমাল ঋণসুবিধার বাইরে ছিলো। ফলে, তাঁরা একপ্রকার বাধ্য হয়েই উচ্চসুদে স্থানীয় ঋণদাতাদের কাছ থেকে ঋণ নিতেন, যেখানে তাঁদের আয়ের বড় একটি অংশই চলে যেতো। আবার, প্রতিটি ঋণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জনবল, ব্যয়বহুল ম্যানুয়াল প্রক্রিয়া ও বিলম্বের কারণে ব্যাংকের দিক থেকেও গ্রাহকসেবা বিঘ্নিত হতো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমতিতে ব্র্যাক ব্যাংক ‘সাফল্য ই-লোন’ মডেল তৈরি করেছে, যাতে যাদের প্রয়োজন, তাঁদের কাছে খুব দ্রুত ও সহজেই এই আনুষ্ঠানিক ঋণসুবিধা পৌঁছে যায়। এখানে নেই ব্রাঞ্চে যাওয়া বা কাগজপত্রের ঝামেলা। গ্রাহকরা কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েই এই ডিজিটাল ঋণ নিতে পারবেন। আবেদনের কয়েক মিনিটের মধ্যেই অনুমোদিত অর্থ সরাসরি গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা ব্যাপক উপকৃত হবেন।
ঋণ পরিশোধ প্রক্রিয়াটিও অত্যন্ত সহজ ও সুবিধাজনক। উদ্যোক্তারা তাঁদের সুবিধামতো চ্যানেল, যেমন- এজেন্ট পয়েন্ট, বিকাশ, ব্যাংকের শাখা বা উপশাখা, ব্যবহার করে ছয় মাসের সহজ কিস্তিতে ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন।
ইতিমধ্যে শেরপুর, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, জামালপুর, সাতক্ষীরাসহ দেশের দুর্গম চরাঞ্চলের ৫,০০০-এরও বেশি মানুষের কাছে এই ঋণসুবিধা পৌঁছে গেছে। পর্যায়ক্রমে এ সেবা আরও সম্প্রসারণ করা হবে। গ্রাম ও হাটবাজারে এখন আর ঋণের জন্য সপ্তাহের পর সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয় না; মাত্র কয়েক মিনিটেই ঋণের টাকা পোঁছে যাচ্ছে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে ব্যাংকটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, “প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন সুবিধা সহজ করার লক্ষ্যে ‘সাফল্য ই-লোন’ চালু ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ঋণ প্রক্রিয়া ডিজিটাল করার মাধ্যমে আমরা এখন দ্রুততম সময়ে এবং কম খরচে উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে পারছি। এই উদ্ভাবনী সেবার ফলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দৈনন্দিন সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি তাঁদের ব্যবসায়ের উন্নয়নও নিশ্চিত হবে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। প্রযুক্তি ও গ্রাহককেন্দ্রিক প্রোডাক্টের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি কোণে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ১০০টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

মন্তব্য

p
উপরে