সাভারের বক্তারপুরে একটি ভাড়া বাসায় এক নারীর মরদেহ। ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে কেউ হত্যা করেছে। মরদেহের পাশে পড়ে আছে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি। দৃশ্যত হত্যাকারী ভুলে সেটা ফেলে গেছে।
এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য ভেদ করা কোনো কঠিন কাজ হওয়ার কথা নয়, বিশেষ করে হত্যাকারী যখন নিজেই নিজের পরিচয় জানান দিয়ে গেছে।
সমস্যা হলো, যার পরিচয়পত্র, তিনি থাকেন ঘটনাস্থল থেকে বহু দূরে, বাগেরহাটের মোংলায়। আর পুলিশ তদন্তে নেমে নিশ্চিত হয়, ঘটনার দিন ওই পরিচয়পত্রধারী ব্যক্তি মোংলাতেই ছিলেন, সাভারে নয়। তাহলে?
পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী শাখা পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) এই ভীষণ ঘোরালো হত্যারহস্যের কিনারা করেছে। তাতে উদঘাটন হয়েছে স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে শত্রুতা কতদূর যেতে পারে। সেই সঙ্গে ফুটে উঠেছে পারুল নামে সাভারের এক অসহায় নারীর করুণ পরিণতি, যার সঙ্গে দেশের অপর প্রান্তে চলা এক স্থানীয় নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো যোগ নেই। পারুল নিতান্ত দৈবচক্রে খুন হয়েছেন। হত্যাকারীরা দৈবচয়নে তাকে বেছে নিয়েছিল। কারণ পারুল ছিলেন নিঃসঙ্গ।
সাভারে পারুলের মরদেহ
পারুল বেগম সাভারে বসবাস করলেও তার আদি নিবাস মেহেরপুর গাংনী উপজেলার সিন্দুরকোটা মটমোড়া গ্রামে। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর সাভার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি। ফেরি করে কাপড় বিক্রি করে দিন কাটত তার।
আগস্টের শেষ সপ্তাহে জামাল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পারুলের পরিচয় হয়। জামালের মিষ্টি কথায় ভুলে তার প্রেমে পড়ে যান পারুল। ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেন নি, জামাল আসলে প্রেমের ফাঁদ পেতেছে। পারুলকে হত্যা করাই তার উদ্দেশ্য।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পারুল বেগম অজ্ঞাতনামা এক পুরুষকে স্বামী পরিচয় দিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে সাভারের বক্তারপুরে (নামা বাজার) ভাড়া বাসায় ওঠেন।
ওই রাতেই পারুল বেগম খুন হন। অজ্ঞাতনামা এক দুষ্কৃতকারী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে তাকে হত্যা করে।
মরদেহের পাশে হত্যাকারী একটি কাগজ ফেলে যায়: একটি এনআইডি কার্ডের ফটোকপি। এনআইডি কার্ডটি বিল্লাল সরদার নামের এক ব্যক্তির।
নিহতের ভাই মমিনুল হক বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় ৯ সেপ্টেম্বর মামলা করেন।
থানা পুলিশেরই মামলার তদন্ত করার কথা। তবে কৌতুহলী পিবিআই স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটির তদন্তভার নেয়। সাভার থানা পুলিশের ১১ দিনের তদন্ত শেষে ২০ সেপ্টেম্বর পিবিআই এটির দায়িত্ব নেয়।
এনআইডির সূত্র ভুল
পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা জানান, তদন্তকাজ দৃশ্যত সহজ ছিল। এনআইডির সূত্র ধরে পিবিআইর তদন্ত দল বিল্লাল সরদারকে খুঁজে বের করে। কিন্তু বিল্লালকে পাওয়ার পরই জট লেগে যায়। বিল্লাল জানান, ঘটনার সঙ্গে তার যে শুধু কোনো যোগ নেই। তাই নয়, তিনি ঘটনার সময় মোংলাতেই ছিলেন। নিহতকে তিনি চেনেন না, চেনার কারণও নেই।
ফোনকল রেকর্ডসহ আরও বিভিন্ন প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ও অন্যান্য সাক্ষ্যপ্রমাণে পিবিআই নিশ্চিত হয়, বিল্লাল সত্যি কথাই বলছেন। হত্যার সঙ্গে তার কোনো যোগ নেই। তাহলে তার এনআইডি কার্ড সাভারে পারুল বেগমের মরদেহের পাশে পাওয়া গেল কেন?
পিবিআই তদন্তকারীর সন্দেহ হয়, বিল্লালকে কেউ ফাঁসানোর জন্যে এতো আয়োজন করে থাকতে পারে। ফাঁসানোর জন্যেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়ে থাকতে পারে।
শুরু হয় বিল্লাল সরদারের প্রতিদ্বন্দ্বী বা প্রতিপক্ষ অনুসন্ধানের কাজ। ২০ সেপ্টেম্বের ওই এলাকায় (মোংলা থানার ৬ নং চিলা ইউনিয়নের) ইউপি নির্বাচন হয়ে গেছে। আর তাতে ৫ নং ওয়ার্ড থেকে সদস্যপদে দাঁড়িয়েছিলেন বিল্লাল সরদার। ওই আসনে তার প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হালিম হাওলাদার। হালিম অবশ্য নির্বাচনে হেরে যান। বিল্লালও হেরেছেন। তবে বিল্লালকে হারাতে মরিয়া ছিলেন হালিম। ফলে বিল্লাল ও পিবিআই উভয়ের সন্দেহের তীর গিয়ে পড়ে হালিম হাওলাদারের ওপর।
অনুসন্ধান করে পিবিআই জানতে পারে, এ হত্যাকাণ্ডের আগে-পরে হালিম হাওলাদারের সঙ্গে ঢাকায় এক ব্যক্তির ফোনে সন্দেহজনক যোগাযোগ হয়েছিল। যার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, তার নাম জামাল হাওলাদার। এই জামালই সেই ব্যক্তি, পারুল যাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় উঠেছিলেন।
পিবিআই জামাল হাওলাদারের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাকে ঢাকার লালবাগের শহীদনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর জামালকে নিয়ে সাভারের বক্তারপুরের ওই ভাড়া বাসার কেয়ারটেকারের কাছে যায় পুলিশ, যে বাসায় খুন হয়েছিলেন পারুল বেগম। কেয়ারটেকার জামালকে শনাক্ত করে।
জামালকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং এ পরিকল্পনায় জড়িত হালিম মেম্বারসহ অন্যান্য সহযোগী আসামির নাম বলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জামালের পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয় তার সহযোগী দর্জি মাস্টার মশিউর রহমানকে। তিনিও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের দুজনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হালিম হাওলাদারকে বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার নিজ বাড়ি থেকে গত রোববার গ্রেপ্তার করা হয়।
জামাল হাওলাদার ওরফে সামাদুজজামাল পিরোজপুর থানার ধুপপয়সা গ্রামের অধিবাসী ও মশিউর রহমান মিলন বাগেরহাটের শরণখোলার থানার ২ নম্বর তাফলিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
যেভাবে হত্যা পরিকল্পনা করা হয়েছিল
পথের কাঁটা নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বী বিল্লাল সরদারকে সরাতে তাকে কোনো হত্যা মামলায় ফাঁসানোর ফন্দি আঁটেন হালিম হাওলাদার নিজেই।
হত্যাকাণ্ডের আনুমানিক ২০ দিন আগে হালিম মোংলায় দেখা করেন জামালের সঙ্গে। জামাল তার পূর্বপরিচিত। দুজন মিলে ঠিক করেন, দৈবচয়ন ভিত্তিতে সুবিধাজনক একজনকে খুন করা হবে। এই খুনের জন্য ৩০ হাজার টাকার চুক্তি হয় দুজনের মধ্যে। হালিম জামালকে অগ্রিম ৫ হাজার টাকা এবং বিল্লাল সরদারের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দেন।
জামাল বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ঢাকায় দারুসসালাম এলাকায় তার বন্ধু দর্জি মাস্টার ওরফে মশিউর রহমান ওরফে মিলন কবিরাজের সঙ্গে। মিলনকে তিনি একটি সহজ টার্গেট খুঁজে দিতে অনুরোধ করেন, যাকে অনায়াসে হত্যা করা যাবে। তখন মশিউর রহমান তার পরিচিত পারুলকে টার্গেট হিসেবে বেছে নেয়ার পরামর্শ দেন। পারুল সাভারে একা থাকেন। ঝামেলা কম।
জামাল তখন পারুল বেগমের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করেন। তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে সাভারের বক্তারপুরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিতে প্রলুব্ধ করেন।
বক্তারপুরের ওই বাসায় তারা উঠেছিলেন ৭ সেপ্টেম্বর। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ওই রাতেই পারুল বেগমকে হত্যা করেন জামাল। নিহতের পাশে বিল্লাল সরদারের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ফেলে রেখে যান তিনি।
তাদের টার্গেট ছিল একাধিক খুন
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই-এর এসআই সালেহ ইমরান বলেন, ‘ওই নারীকে হত্যার পর জামাল ও হালিম বেশ কয়েকবার ফোনে কথা বলেছেন। জামাল ফোনে বলছিলেন, বিল্লাল যদি গ্রেপ্তার না হন, তাহলে তারা আরও দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটাবেন।’
এসআই সালেহ ইমরান বলেন, ‘তারা মূলত একাধিক খুন করার চিন্তা করেছিলেন। ২০ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের আগে বিল্লাল গ্রেপ্তার না হওয়ার কারণে তারা এই খুনগুলি করার চিন্তা করেন। তবে আমরা তার আগেই তাদের গ্রেপ্তার করি। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আগে কোনো মামলার রেকর্ড নাই।’
সোমবার দুপুরে হালিম মেম্বারকে আদালতে তোলা হয়। আদালত তাকে তিন দিনের রিমান্ডে দিয়েছে।
আরও পড়ুন:থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
রবিবার (৮ জুন) দিবাগত রাত ১টা ২৫ মিনিটে থাই এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। রাত তিনটার দিকে তিনি বিমানবন্দর ছাড়েন বলে বিমানবন্দরের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ৮ মে গভীর রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি ।
আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলাটি দায়ের হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে।
আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শককে (প্রশাসন) প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়া এই ঘটনায় ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) তাহসিনা আরিফকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে মো. আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের সদর থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আজহারুল ইসলাম ও এসবির এটিএসআই মো. সোলায়মাকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ সিপিএসসি নরসিংদীর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গত ৯ জুন সোমবার রাত ৩ ঘটিকার সময় নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলায় এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। র্যাব-১১ সিপিএসসি নরসিংদী এর অভিযানে শিবপুর থানাধীন কারারচর এলাকার এপেইস ফিলিং স্টেশনের সন্নিকটে একটি প্রাইভেটকার আটক করে এবং এর ভিতর থেকে ৯ হাজার ৭শত ৫০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট, দুটি মোবাইল সেট ও মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার আটক করে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মো: মানিক মিয়া (৪৮) পিতা: মো: আব্দুল বারিক সাং-চাউরা, থানা-বিজয়নগর-জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-১১ সিপিএসসি নরসিংদী ক্যাম্প কমান্ডার জুয়েল রানা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ধৃত: আসামী মানিক মিয়া জানায়, সে দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর নিকট সরবরাহ করে আসছিলো। এব্যাপারে শিবপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দেশের ৬ অঞ্চলে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে। রাজশাহী, রংপুর, খুলনা বিভাগসহ ফেনী ও ময়মনসিংহ জেলায় প্রচন্ড গরম। এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টা এমন অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। একইসঙ্গে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বাড়তে পারে। ফলে দেশজুড়ে গরমের অনুভূতি আরও কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ সোমবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এমন অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বুধবার (১১ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে ওইদিন সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। ওইদিনও সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। একইসঙ্গে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য কমতে পারে।
অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহের শেষদিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই উৎসব ত্যাগ, উদারতা ও ঐক্যের চেতনায় মানুষকে একত্রিত করে—এমন অভিন্ন বার্তা উঠে এসেছে দুই নেতার শুভেচ্ছাবার্তায়।
গতকাল রোবরার অন্তর্বর্তী সরকারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে উভয় নেতার শুভেচ্ছাবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার ( ৬ জুন) মোদিকে পাঠানো চিঠিতে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার এই চেতনা আমাদের দুই জাতিকে জনগণের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঈদুল আজহা হচ্ছে এমন একটি সময়, যা মানুষকে আত্মবিশ্লেষণের সুযোগ দেয় এবং বৃহত্তর মানবিকতার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।’
প্রধানমন্ত্রী মোদির চিন্তাশীল বার্তা, আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ঈদের অভিনন্দন তাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।
চিঠিতে তিনি আরও লেখেন, ‘আমি আপনাকে ও আপনার মাধ্যমে ভারতের জনগণকে এই পবিত্র উপলক্ষে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাতে চাই।’
এ ছাড়াও, মোদির সুস্বাস্থ্য ও সুখ এবং ভারতের জনগণের জন্য শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন অধ্যাপক ইউনূস।
এর আগে, ৪ জুন বাংলাদেশের জনগণ ও অধ্যাপক ইউনুসকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানান নরেন্দ্র মোদি।
তিনি বলেন, ‘এই পবিত্র উৎসব ভারতের সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশব্যাপী ইসলাম ধর্মাবলম্বী কোটি কোটি মানুষের মধ্যে বিপুল আনন্দ ও উৎসাহের সঙ্গে এই উৎসব উদযাপিত হয়।’
শুভেচ্ছাবার্তায় তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমাদের ত্যাগ, সহানুভূতি ও ভ্রাতৃত্বের চিরন্তন মূল্যবোধের কথা মনে করিয়ে দেয়, যেটি একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।’
এ ছাড়া, বার্তায় তিনি অধ্যাপক ইউনূসের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনাও করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পারিবারিক কলহ ও কোরবানির মাংস কাটাকাটি নিয়ে বাগবিতাণ্ডার জেরে বড় ভাই দুলাল মিয়াকে (৫০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুই ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
রবিবার (৮ জুন) জেলার বিজয়নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুলাল মিয়া উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পুইতারা উত্তরহাটি এলাকার মৃত ওমর আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, কোরবানির মাংস কাটার সময় মাংসের আকার ছোট বড় করা নিয়ে দুলাল মিয়ার সঙ্গে তার ভাইদের তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে রুবেল ও আলমগীর দুলাল মিয়াকে মারধর করেন।
মারধরের এক পর্যায় দুলাল মিয়ার মুখে বিষ ঢেলে দেন তার ভাইয়েরা। পরে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম বলে, ‘এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ঘটনাটির তদন্ত চলছে। ঘটনার পর থেকে দুই ভাই রুবেল ও আলমগীর পলাতক রয়েছেন।’
পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
খুলনা নগরীতে ট্রাক ও ইজিবাইকের মুখোমখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আর চারজন।
সোমবার (৯ জুন) সকাল ৬টার দিকে নগরীর খানজাহান আলী সেতুর (রূপসা সেতু) পশ্চিম প্রান্তে দারোগার লীজ নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— ইজিবাইক চালক রফিকুল ইসলাম (৫৬) ও যাত্রী তানজিল (১২)।
লবণচরা থানার লবনচরা ক্যাম্প ইনচার্জ (আইসি) উপপরিদর্শক মো. আব্দুর রহিম জানান, সোমবার ভোরে চাঁদপুর থেকে কয়েকজন খুলনায় আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। বাস থেকে নেমে তারা ইজিবাইকে করে রং সাইডে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে বাগেরহাট থেকে আসা একটি ট্রাক তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইক চালক রফিকুল ও যাত্রী তানজিল নিহত হন। আহত হন আরও চার যাত্রী।
আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাছাড়া, নিহতদের লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান আব্দুর রহিম।
চার দিনের সরকারি সফরে আজ সোমবার যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সফরকালে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা রাজা চার্লসের হাত থেকে গ্রহণ করবেন ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’।
এছাড়া বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি যুক্তরাজ্যের নীতিগবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউস আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নেবেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানিয়েছে, তাঁর এ সফরে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাজ্যের সমর্থনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এর পাশাপাশি পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়টিতে প্রাধান্য দেবে বাংলাদেশ।
আগামী ১৪ জুন প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
মন্তব্য