× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Manipulation of shares Munnu has to pay a fine of Tk 15 crore
google_news print-icon

শেয়ারে কারসাজি: মুন্নুকে দিতেই হচ্ছে ১৫ কোটি টাকা জরিমানা

শেয়ারে-কারসাজি-মুন্নুকে-দিতেই-হচ্ছে-১৫-কোটি-টাকা-জরিমানা
২০১৯ সালে কারসাজি করে দাম বাড়িয়ে মুন্নু সিরামিক ও মুন্নু স্টাফলারের শেয়ার বিক্রির প্রমাণ পেয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসি তদন্ত করে দেখতে পায় মুন্নু সিরামিকের শেয়ার কারসাজি করে ১১ গুণ বেশি দামে শেয়ার বিক্রি করেছে ফাউন্ডেশন। পরে এই বর্ধিত দামে কোম্পানির ১৩১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করে মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।

কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করার অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনকে করা জরিমানার ১৫ কোটি পরিশোধ করতেই হচ্ছে।

২০১৯ সালে মুন্নু সিরামিক ও মুন্নু স্টাফলারের (বর্তমানে মুন্নু অ্যাগ্রো) শেয়ারের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই জরিমানা করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে ফাউন্ডেশন। কিন্তু বিএসইসি সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি যেহেতু তদন্তের বিষয়ে ছিল সেহেতু এটি ইনফোর্জমেন্ট বিভাগের। সেখান থেকে সবকিছু করা হয়েছে। তাদের জরিমানা করাসহ, জরিমানা মওকুফ না হওয়ার বিষয়টিও সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

মুন্নু সিরামিকের কোম্পানি সচিব নাসির উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমার কাছে তেমন কোনো তথ্য নেই। আমি খোঁজ নিয়ে জানাতে পারব।’

যে সময় কোম্পানিটিকে বিএসইসি জরিমানা করেছিল, সে সময় তিনি নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘আমাদের মূল উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, যেখানে মুন্নুর সিংহভাগ শেয়ার রয়েছে। সাত লাখ শেয়ার পাবলিক মার্কেটে বিক্রি করা হয়েছে। তবে পরবর্তীতে যে ২৮ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেয়া হয়েছিল তার পুরোটি বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা যা করেছি বিএসইসিকে জানিয়ে করেছি।’

বিএসইসি জরিমানার সিদ্ধান্ত নিলেও সেখানে কোনো অনিয়ম হয়নি বলে মনে করেন মুন্নুর কোম্পানি সচিব। বলেন, ‘২৮ লাখ শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করা হয়েছে। ফলে এখানে কারসাজি বা অন্যায়ের কী হয়েছে তা বোধগম্য নয়।’

যে কারণে জরিমানা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের পক্ষ থেকে শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত থাকলে আগাম ঘোষণা থাকতে হয়। কিন্তু বিএসইসি ঘোষণা ছাড়া শেয়ার বিক্রির প্রমাণ পায়।

এ জন্য কোম্পানির করপোরেট উদ্যোক্তা মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন শেয়ার বিক্রির তথ্য পর্যালোচনা করে মুন্নু সিরামিক, ফাউন্ডেশন ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়।

তারই অংশ হিসেবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কমিশনের ৭৬১তম কমিশন সভায় কোম্পানিটিকে ১৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

বিএসইসি তদন্ত করে দেখতে পায় মুন্নু সিরামিকের শেয়ার কারসাজি করে ১১ গুণ বেশি দামে শেয়ার বিক্রি করেছে ফাউন্ডেশন। পরে এই বর্ধিত দামে কোম্পানির ১৩১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করে মুন্নু ওয়েলয়েফার ফাউন্ডেশন।

মোট ৩৫ লাখ শেয়ার বিক্রি করা হয় সে সময় অভিহিত মূল্যে, যার দাম সাড়ে তিন কোটি টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির লাভ হয়েছে ১২৮ কোটি টাকার মতো।

দাম বাড়ানোর আগে যদিও প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ৪০ টাকার মতো। কিন্তু সেই শেয়ার বিক্রি করা হয় ৪০০ টাকারও বেশি দামে। এই হিসাব করা হলে কোম্পানির লাভ হয়েছে ১০০ কোটি টাকার কিছু বেশি।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির তদন্তে বের হয়ে এসেছে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপনে ফাঁস করে, হিসাব বাড়িয়ে দেখিয়ে কারসাজি করে মুন্নুর দুটি কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বাড়ানো হয় সে সময়।

ওই বছরে ৪০ টাকার মুন্নু সিরামিকের দাম কারণ ছাড়াই বেড়ে হয় ৪৪১ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ১৫৯ টাকা ৯০ পয়সা।

দুই বছরের তদন্ত শেষে ফাউন্ডেশনকে ১০ কোটি টাকা আর মুন্নু সিরামিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সমস্ত পরিচালককে (স্বতন্ত্র পরিচালক বাদে) ১ কোটি টাকা করে জরিমানা করে বিএসইসি। অর্থাৎ মোট জরিমানা ১৫ কোটি টাকা।

বিএনপি নেত্রী আফরোজা খান রিতা এই কোম্পানিটির মালিক। তিনি বিএনপির সাবেক মন্ত্রী হারুনার রশীদ খান মুন্নুর মেয়ে।

সে সময় একই কোম্পানির মালিকানাধীন আরেক কোম্পানি মুন্নু স্টাফলার, যা পরিবর্তীতে হয় মুন্নু এগ্রো অ্যান্ড জেনারেল মেশিনারির দাম ৩৫০ টাকা থেকে বেড়ে সে সময় হয় পাঁচ হাজার ৮০০ টাকায়।

এই কোম্পানিটি পড়ে প্রতি দুটি শেয়ারের বিপরীতে তিনটি বোনাস শেয়ার দেয়। কিন্তু দর ধরে রাখতে পারেনি।

এখন শেয়ারটির দাম ৭৭৫ টাকা ৫০ পয়সা।

যেভাবে শেয়ার বিক্রি

দাম সর্বোচ্চ পরিমাণে বাড়ার পর মুন্নু সিরামিকের বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেয় মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।

২০১৯ সালের ৪ মার্চ ঘোষণা আসে মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজের করপোরেট ডিরেক্টর মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন তাদের কাছে থাকা মুন্নু সিরামিকের এক কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার ৩৩০টি শেয়ার থেকে সাত লাখ শেয়ার পাবলিক মার্কেটে বাজার দরে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিক্রি করা হবে।

তার ৫ কার্যদিবসে বিক্রি হয়ে যায় ৭ লাখ শেয়ার।

এই সময়ে অর্থাৎ ৪ মার্চ কোম্পানির শেয়ারে সর্বোচ্চ দর ছিল ৪৪১ টাকা। এটাই মুন্নু সিরামিকের গত দুই বছরের সর্বোচ্চ দর। তার এক দিন পর ৫ মার্চ শেয়ার প্রতি দর ছিল ৪৩০ টাকা। ৬ তারিখে দর হয়ে ৪১৭ টাকা। আর ৭ মার্চ দর কমে হয় ৩৮৮ টাকা।

৮ ও ৯ মার্চ সরকারি ছুটি থাকায় লেনদেন হয়ে ১০ মার্চ। সেদিন ৪১০ টাকা ২০ পয়সা।

এ সময় কোম্পানিটির গড় দর ছিল ৪১৭ টাকা। এই হিসাবে সাত লাখ শেয়ার বিক্রি করা হয় ২৯ কোটি ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকায়।

১১ মার্চ আবারও ঘোষণা করা হয় মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ২৮ লাখ শেয়ার বিক্রি করবে হাতে থাকা এক কোটি ৩৫ লাখ ৪০ হাজার ৩৩০টি শেয়ারের মধ্যে।

সেদিন সর্বোচ্চ দর ছিল ৩৬৯ টাকা ১০ পয়সা। এভাবে ২৮ লাখ শেয়ারের দাম আসে ১০৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

অর্থাৎ মুন্নু সিরামিকের ৩৫ লাখ শেয়ার বিক্রি করে ১৩১ কোটি টাকার মতো আয় করে মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।

লেনদেনের হিসাবেও দেখা গেছে, ৪ মার্চ মুন্নু সিরামিকের মোট লেনদেন হয়েছে সবচেয়ে বেশি ২১ লাখ ৮৮ হাজার ৩৫৯টি।

আর ৫ মার্চ লেনদেন হয়েছে ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৭৯১টি। ছয় মার্চ লেনদেন হয়েছে ৭ লাখ ৯২ হাজার ৬১৭টি।

এই কোম্পানির আহামরি কোনো লভ্যাংশ দেয়ার ইতিহাস নেই। কোম্পানিটি ২০১৭ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০১৮ সালে ৩০ শতাংশ বোনাস আর ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ প্রদান করে।

১০০ কোটি টাকা চোরামি করে ১৫ কোটি টাকা দিলে লস কী?

‘কম’ জরিমানা নিয়ে প্রশ্ন

কারসাজি করে শতাধিক কোটি টাকা মুনাফা করলেও সাত ভাগের এক ভাগ জরিমানা করা নিয়ে প্রশ্ন ‍ছিল আগে থেকেই।

এভাবে শাস্তি দিলে কোনো লাভ হবে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিএসইসি থেকে বলা হয়েছে, আইন অনুযায়ী যতটুকু করা যায়, ততটুকুই শাস্তি দেয়া হয়েছে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক দেবপ্রিয় সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই ধরনের কারসাজিতে অবশ্যই আরও বেশি জরিমানা করা উচিত। কিন্তু আইনে যেহেতু সর্বোচ্চ এটাই বলা আছে, তাই এর চেয়ে বেশি জরিমানা করলে হয়তো আদালতে গিয়ে আটকে যেতে পারত।’

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ তুলেছেন আরেক প্রশ্ন। তিনি বলেন, ‘যে কোম্পানির কিছুই নেই, বছরে ভালো লভ্যাংশ দিতে পারে না, সেই কোম্পানির শেয়ার কেন ৪০০ টাকায় কিনবে। এ ধরনের কোম্পানির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদেরও সচেতন হওয়া উচিত।’

আরও পড়ুন:
মীর আখতারের দর কারসাজি তদন্তে কমিটি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market With the fall of transactions in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market Most companies have decreased major collapse in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Transaction in Dhaka is going on in Chittagong

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।

দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

মন্তব্য

p
উপরে