× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The tourism sector is turning around
google_news print-icon

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন খাত

ঘুরে-দাঁড়াচ্ছে-পর্যটন-খাত
করোনায় বিধ্বস্ত দেশের পর্যটন খাত আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা
করোনার বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ছেন পর্যটকরা। দেশের পর্যটন এলাকাগুলোয় উপচে পড়া ভিড়। পর্যটক ফেরায় এই খাতসংশ্লিষ্টদের মুখে হাসিও ফিরেছে। যে খাত পথে বসার উপক্রম হয়েছিল, সেই খাত নিয়ে আবারও আশাবাদী হয়ে উঠেছেন সংশ্লিষ্টরা।

করোনাভাইরাসের কারণে গভীর সংকটে পড়েছিল দেশের পর্যটনশিল্প। প্রায় দেড় বছরের দীর্ঘ অচলাবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়ে সম্ভাবনাময় এই খাত। মানুষের আয় কমে যাওয়া, প্রণোদনা নিয়ে জটিলতাসহ নানা কারণে এই খাতের পুনর্জাগরণ নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন উদ্যোক্তারা।

তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটনশিল্প। সরকারি প্রণোদনা কিংবা বড় বড় বিনিয়োগ নয়, বরং সাধারণ পর্যটকরাই চাঙা করে তুলছেন এই খাত। করোনার বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পরই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ছেন পর্যটকরা। দেশের পর্যটন এলাকাগুলোয় উপচে পড়া ভিড়।

পর্যটকদের কাছে দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় জায়গা চট্টগ্রাম ও সিলেট। এই দুই বিভাগের বিভিন্ন জেলায় সারা বছরই পর্যটক সমাগম লেগে থাকে। তবে করোনার বিধিনিষেধ ওঠার পর পর্যটকদের ঢল আরও বেড়েছে। ঘরবন্দি থেকে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষ দীর্ঘদিন পর মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছেন।

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন খাত

কক্সবাজারের সমুদ্র, বান্দরবানের পাহাড়, সুনামগঞ্জের হাওর কিংবা সিলেটের টিলা ও জলাবন– সবখানেই এখন পর্যটকদের ভিড়। ছুটির দিনগুলোতে এসব জায়গায় জট লেগে যায়।

পর্যটক ফেরায় এই খাতসংশ্লিষ্টদের মুখে হাসিও ফিরেছে। টাঙ্গুয়ার নৌকাচালক, জাফলংয়ের ফটোগ্রাফার, বিছনাকান্দির প্রসাধনসামগ্রী বিক্রেতা থেকে শুরু করে বড় রিসোর্টের উদ্যোক্তারাও এখন দুর্দিন কাটিয়ে উঠছেন। তবে সব জায়গাতেই উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। উপেক্ষিত থাকছে পরিবেশের সুরক্ষা।

অবাধে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পেয়ে পর্যটকরা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। বেশির ভাগই পরছেন না মাস্ক। আবার বন-হাওর-নদী-সমুদ্রে দল বেঁধে হইহুল্লোড় করে, শব্দযন্ত্র ব্যবহার করে গান বাজিয়ে আর ময়লা-আবর্জনা ফেলে পর্যটকরা নষ্ট করছেন পরিবেশ। ফলে করোনাকালীন পর্যটনকেন্দ্রগুলোর পরিবেশের উন্নতি হলেও বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর তা আবার হুমকিতে পড়েছে।

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন খাত

এসব প্রসঙ্গে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, পর্যটনকেন্দ্রগুলো আবার পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। তবে সবাইকেই পরিবেশের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে হবে। প্রশাসনের তরফ থেকেও এ ব্যাপারে কঠোর নজরদারি থাকবে।

চট্টগ্রাম

গত আগস্টে পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার পর থেকেই চট্টগ্রামে ক্রমান্বয়ে বাড়তে শুরু করেছে পর্যটক সমাগম। তাতে চাঙা হয়ে উঠেছে পর্যটন ব্যবসা। প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে খাতসংশ্লিষ্টদের মাঝেও।

মূলত সেপ্টেম্বর মাস থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে শুরু হয় পর্যটন মৌসুম, চলে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরই মধ্যে পাহাড়ি তিন জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের প্রায় সব পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রে ভ্রমণপিপাসুদের সমাগম বাড়তে শুরু করেছে।

রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালি, পলওয়েল পার্ক, সুবলং ঝরনা, খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহা, বান্দরবানের নীলাচল, নীলগিরি, কক্সবাজারের সৈকত, হিমছড়ি, রামু, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা, ফয়’স লেকসহ অন্যান্য পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা।

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন খাত

ঢাকা থেকে বান্দরবানে বেড়াতে আসা কনক হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লকডাউনে একপ্রকার ঘরবন্দি ছিলাম। এর মধ্যে করোনাতেও আক্রান্ত হয়েছি। জীবনটা বিষণ্ন হয়ে উঠছিল। তাই পাহাড় দেখতে এলাম। বিশাল পাহাড় মানসিকতা পরিবর্তন করে দেয়।’

দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থেকে অবসাদে ভুগছিলেন সেলিম উদ্দিন। ঘুরতে এসেছেন রাঙ্গামাটির সাজেকে।

সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘করোনায় বাসাবাড়িতে বন্দি থেকে মানসিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছি। সেই অবসাদ কাটাতে সাজেক এলাম। সাজেকের প্রেমে আমরা মুগ্ধ।’

খাগড়াছড়িতে বেড়াতে আসা খুলনার বাসিন্দা সুমন মজুমদার বলেন, ‘দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। সেই ছুটিতে পাহাড়ে এসে ঘুরে বেড়ালাম। ঝরনার জলধারায় শরীর জুড়ালাম। মনটা শান্তিতে ভরে গেল।’

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন খাত

কক্সবাজারে সৈকতে বেড়াতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সুলতান আহমদ বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে বছরে কয়েকবার সমুদ্র দেখতে আসি। করোনার কারণে সেটি হয়ে উঠছিল না। অনেক দিন পর সুযোগ পেয়ে সৈকতে চলে এলাম।’

এদিকে পর্যটন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু হোটেল-মোটেল মালিকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

রাঙ্গামাটির হোটেল প্রিন্সের স্বত্বাধিকারী নেছার উদ্দিন বলেন, ‘করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে আমরা চেষ্টা করছি। মোটামুটি পর্যটকদের রাঙ্গামাটিতে সমাগম বাড়ছে। আশা করছি, শীত বাড়লে পর্যটক আরও বাড়বে।’

পর্যটক সমাগমে সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে বান্দরবানের হোটেল লেক সিটির স্বত্বাধিকারী জাফর আহমদ বলেন, ‘বান্দরবানে প্রতিদিনই কমবেশি পর্যটক আসেন। তবে শুক্র-শনিবারে এ সংখ্যা বেড়ে যায়। যেভাবে পর্যটকরা আসছেন, আমরা সন্তুষ্ট।’

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন খাত

এদিকে চট্টগ্রামে দূরদূরান্ত থেকে পর্যটক তেমন না এলেও স্থানীয় বিনোদনপ্রেমীরা পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন প্রতিনিয়ত। নগরের ফয়’স লেক, পতেঙ্গায় প্রতিদিন বিনোদনপ্রেমীদের ভিড় লেগে থাকছে।

পতেঙ্গা এলাকার ব্যবসায়ী আল আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লকডাউনে সৈকত বন্ধ ছিল। এখন চালু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন পিকনিক বাস আসছে। আমরা এখন ভালো আছি।’

ফয়’স লেক কনকর্ডের ব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘লকডাউনের সময় কর্মীদের বেতন দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়েছে। তবু আমরা টিকে আছি। এখন লোকসমাগম বেড়েছে। এভাবে চললে আমরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারব।’

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন খাত

তবে করোনার ক্ষতি দ্রুত পোষানো সম্ভব নয় জানিয়ে কক্সবাজারের ‘হোটেল লেক ভিউ’-এর স্বত্বাধিকারী রায়হান উদ্দিন বলেন, ‘করোনার কারণে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, সেটি পোষানো সম্ভব নয়। তবে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর আবার পর্যটন খাত চাঙা হয়ে উঠেছে। আসছে শীত মৌসুমে আশা করি ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে ওঠা যাবে।’

কক্সবাজার হোটেল মালিক সমিতির নেতা এস এম কিবরিয়া বলেন, কক্সবাজারে এখন সব হোটেলে পর্যটকরা উঠছেন। অনেকেই অগ্রিম বুকিং মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। বলা যায়, করোনার ধাক্কা সামলে কক্সবাজার মোটামুটি চাঙা হয়ে উঠেছে।

সিলেট

চট্টগ্রামের মতো সিলেটেও সারা বছর পর্যটক সমাগম থাকে। তবে এখানে পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি আসেন বর্ষায়।

এখানকার হাওর, ঝরনা, পাথুরে নদী আর জলার বন বর্ষাকালেই দেখা দেয় সবচেয়ে মনমুগ্ধকর রূপে। বর্ষায় সিলেট অঞ্চলের চা-বাগানগুলো হয়ে ওঠে আরও সজীব। তবে এবার বর্ষার প্রায় পুরোটা কেটেছে ঘরবন্দি হয়ে করোনার বিধিনিষেধে।

বর্ষা শেষ হলেও সিলেটে এখনও অব্যাহত আছে বৃষ্টি। ফলে এখনও জলে টইটুম্বুর হাওর আর নদী, পাহাড়ের গায়ের ঝরনাগুলোও এখনও দৃশ্যমান। পাথুরে নদীতেও সাঁতার কাটা যায় অনায়াসে। ফলে পর্যটকরাও এই সময়ে ভিড় করছেন সিলেটের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে।

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন খাত

এখন পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি ভিড় করছেন সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে। এ ছাড়া সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখাল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর ও নগরের চা-বাগানগুলোতে প্রতিদিনই পর্যটকদের সমাগম হচ্ছে।

মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, শ্রীমঙ্গলের চা-বাগান, বড়লেখার মাধবকুণ্ড, কমলগঞ্জের হামহাম জলপ্রপাত, হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানেও বিধিনিষেধ ওঠার পর থেকে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। বিশেষত শ্রীমঙ্গলে পর্যটক সমাগম হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। ছুটির দিনগুলো ছাড়াও অন্যান্য দিনেও এই উপজেলার হোটেল-রিসোর্টে কক্ষ খালি মিলছে না।

নগরের আম্বরখানা এলাকার ব্রিটানিয়া হোটেল অ্যান্ড পার্টি সেন্টারের কর্মকর্তা কাওসার চৌধুরী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ প্রায় তিন মাস হোটেল বন্ধ রাখা হয়েছিল। বড় অঙ্কের ক্ষতি গুনতে হয়েছে। এখন পুরোদমে চালু রয়েছে। অতিথিরাও আসছেন। এখন ছুটির দিনগুলোতে হোটেলে কক্ষ খালি থাকে না।’

গত শুক্রবার সকালে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি ও বিকেলে রাতারগুল গিয়ে দেখা যায়, দুই জায়গায়ই পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। পাহাড় থেকে নেমে আসা বিছনাকান্দির পাথুরে নদীতে গা ভেজাচ্ছে নানা বয়সী মানুষ। আবার রাতারগুলে গিয়ে দেখা যায়, নৌকায় চড়ে এই জলার বন ঘুরে দেখছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা।

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন খাত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিছনাকান্দিতে ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অমিত রায়হান বলেন, ‘অনেক দিন ধরে ঘরে আটকে থেকে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। এখন পর্যটনকেন্দ্র খোলায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পেয়েছি। তাই সুযোগ পেয়েই ছুটে এসেছি।’

সিলেটের রাতারগুলের নৌকাচালক সামছু মিয়া। সাহের বাজার থেকে নৌকায় করে পর্যটকদের রাতারগুল জলার বন ঘুরিয়ে আনেন তিনি।

সামছু মিয়া বলেন, ‘অনেক দিন পর আবার পর্যটকরা এখানে আসা শুরু করেছেন। দীর্ঘদিন বেকার থাকার পর আবার কাজ শুরু করেছি।’

ছুটির দিনগুলোতে রাতারগুলে দেড় থেকে দুই হাজার পর্যটক সমাগম হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ রকম দিনে আমি প্রতিদিন ৩-৪ হাজার টাকা রোজগার করতে পারি। তবে টাকার বেশির ভাগ অংশই ঘাটের ইজারাদারকে দিয়ে দিতে হয়।’

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন খাত

শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরের শাহজালাল (রহ.) মাজার ও লাক্কাতুরা চা-বাগানেও পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়। এসব এলাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় পর্যটকদের।

লাক্কাতুরায় বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের টাকার বিনিময়ে ছবি তুলে দেন সুয়েব আহমদ। তিনি বলেন, গত চার মাস এখানে কেউ আসেনি। ফলে কোনো আয়ও হয়নি। এখন মাসখানেক ধরে মানুষজন আসছে।

তার আক্ষেপ, সবার হাতে স্মার্টফোন থাকায় এখন লোকজন আগের মতো ছবি তোলাতে চায় না।

পর্যটক সমাগম বাড়ায় প্রায় দেড় বছর পর ব্যবসা চাঙা হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের হিমাচল রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী সাজু আহমদ।

তিনি বলেন, ‘যে ক্ষতি হয়েছে তা সহজে পুষিয়ে নেয়ার নয়। তবে এখন প্রচুর লোকজন ঘুরতে আসছেন। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না পারলেও পর্যটকদের কারণে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছি।’

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন খাত

তবে পর্যটক সমাগম বাড়ার পেছনে ভিন্ন এক যুক্তি দিয়েছেন সিলেট চেম্বার অফ কমার্সের সহসভাপতি ও হোটেল নির্ভানা ইন-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহমিন আহমদ। তিনি বলেন, ভারতের ভিসা বন্ধ থাকায় এখন দেশের ভেতরেই ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে অনেককে।

তার দাবি, আগে পর্যটকরা সিলেটে এসে থাকতেন না। সিলেট হয়ে ভারতের মেঘালয়ে চলে যেতেন। এখন ভারতে পর্যটন ভিসা বন্ধ থাকায় তারা যেতে পারছেন না। ফলে দেশের ভেতরেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা।

দুই সপ্তাহ ধরে জাফলংয়ে পর্যটক সমাগম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ জাফলং সাব-জোনের পরিদর্শক মো. রতন শেখ। তিনি বলেন, ‘জাফলংয়ে এখন প্রচুর পর্যটকরা আসছেন। তাদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আমরা সহযোগিতা করছি।’

সিলেট বিভাগে পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই পর্যটকনির্ভর। করোনার সময়ে একেবারে অতিথিশূন্য হয়ে পড়েছিল এসব হোটেল-রিসোর্ট। তবে এখন আবার অতিথিরা আসতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সিলেটের সভাপতি সুমাত নুরী জুয়েল।

তবে ব্যবসা এখনও আগের অবস্থানে ফেরেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষের আয় কমে গেছে। ফলে এখন যারা বেড়াতে আসছেন, তারা কম খরচে থাকতে চাচ্ছেন। এতে করে একটু ভালো মানের হোটেলগুলোতে অতিথি কম আসছেন। তাদের বিভিন্ন ছাড় দিয়ে অতিথি আকর্ষণ করতে হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
পর্যটন মহাপরিকল্পনা হবে কবে?
বিদেশি পর্যটক টানতে নতুন কৌশল
সুনীল জলের হাতছানি দিচ্ছে সাবরাং
করতোয়া তীরে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা
পর্যটনের হোটেল বুকিং অনলাইনে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
During the illegal infiltration the Bangladeshi detained with the smugglers on the Garo Hill border

অবৈধ পথে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে পাচারকারীসহ ৭ বাংলাদেশী আটক

অবৈধ পথে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে পাচারকারীসহ ৭ বাংলাদেশী আটক

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর নিরাপত্তাহীনতায় পুনরায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যসহ ৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি।

সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল পৌণে সাতটার দিকে শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার নকশি সীমান্ত পথে নকশি ক্যাম্পের টহলরত বজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে বিকেলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

বিষয়টি ২৬ আগষ্ট সকালে বিজিবি পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।

আটককৃতরা হলো মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রমজান আলী (২৪) ও আসমত আলীর ছেলে রাসেল (১৬)। আটক অনুপ্রবেশকারীরা হলো, নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বোমবাঘ গ্রামের শামীম শেখ (২৩), আফসানা খানম (২২), রুমা বেগম (৩২), মিলিনা বিশ্বাস (২৮) ও তিন বছর বয়সী শিশু কাশেম বিশ্বাস।

বিজিবি এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, মাথাপিছু ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে গত ২৩ আগস্ট রাতের আধারে নালিতাবাড়ীর সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ পথে নারী এবং শিশুসহ ৫ বাংলাদেশীকে ভারতে পাঠায় মানব পাচারকারী রমজান আলী ও রাসেল। কিন্তু ভারতীয় পুলিশের তৎপরতায় নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে এ পাঁচ বাংলাদেশী। এ কারণে ২৫ আগষ্ট সোমবার সকাল পৌণে সাতটার দিকে ঝিনাইগাতির নকশি সীমান্তের কালিমন্দির এলাকা দিয়ে পুনরায় তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা টের পেয়ে সবাইকে আটক করে। পরে মানব পাচারে জড়িত দুইজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে এবং অন্য ৫ জনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অপরাধে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং সবাইকে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ময়মনসিংহ বিজিবি’র ৩৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Police Super Ujjal Kumar Roy inaugurated the Loto Showroom in Jhalakathi

ঝালকাঠিতে লোটো শোরুম উদ্বোধন করলেন পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়

ঝালকাঠিতে লোটো শোরুম উদ্বোধন করলেন পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়

ঝালকাঠিতে গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় এনে ব্রান্ডশপ লোটো ও লি কুপার প্রতিষ্ঠানটি তাদের ১৩২তম ফ্লাগশিপ আউটলেট উদ্বোধন করেছে।

এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্ট লিঃ এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী জাভেদ ইসলাম সহ কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে নিয়ে ফিতা কেটে আউটলেটটি উদ্বোধন করেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়।

পৌর শহরের সাধনার মোড়ে মঙ্গলবার ২৬ আগষ্ট সকাল ১০টায় লোটো ও লি কুপারের ফ্ল্যাগশিপ আউটলেটদ্বয়ের শুভ উদ্বোধন আনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ঝালকাঠিতে কোম্পানীর এ যাত্রার প্রথম দিনে স্থানীয় ফ্যাশন সচেতন তরুণ তরুণীরা তাদের পছন্দের পন্য কালেকশন বেছে নিতে ভীর জমায়।

কোম্পানীর পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রথম তিনদিনের প্রতিদিন প্রথম ৩০ জন পাবেন ৫০% ছাড়, ২য় ৩০ জন পাবেন ৪০% ছাড়, ৩য় ৩০ জন পাবেন ৩০% ছাড়, ৪র্থ ৩০ জন পাবেন ২০% ছাড় এবং তৎপরবর্তী সকল কাস্টমার পাবেন ১০% ছাড়। এই বিশেষ ছাড় ২৬শে আগষ্ট থেকে শুরু হয়ে ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে

মন্তব্য

সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ, আসামীর যাবজ্জীবন

সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ, আসামীর যাবজ্জীবন

নওগাঁয় সপ্তম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ মামলায় আ: সালাম (৩৮) নামে এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আ: সালাম সদর উপজেলার বর্ষাইল মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম ওই শিক্ষার্থীর পরিবার পত্নীতলা উপজেলায় ভাড়া থাকতেন। ভাঙ্গারী ব্যবসার সুবাদে আসামী আ: সালামও পাশাপাশি একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভিকটিম মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে আ: সালাম বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতো এবং রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো। বিষয়টি জানাজানি হলে আসামী আ: সালাম ওই ভিকটিমের পরিবারকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখাতো। এরই একপর্যায়ে ২০২২ সালের ১১ জুলাই বিকেল তিনটার দিকে আসামী আ: সালাম একটি বাজার এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীপুর দক্ষিন পাড়া গ্রামের মোজাফ্ফর রহমানের ভাড়া বাড়িতে আটক রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা পত্নীতলা থানায় অভিযোগ করলে র‌্যাব ওই বাড়ি থেকে আসামিকে গ্রেফতার ও মেয়েকে উদ্ধার করে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামী আ: সালামসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ আ: সালামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। বাকি আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়।

মামলার এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম সন্তোষ প্রকাশ করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী ফাহমিদা কুলসুম উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।

মন্তব্য

হিল্লা বিয়ে না করার জেরে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' দম্পতি

হিল্লা বিয়ে না করার জেরে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' দম্পতি

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামে রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পুনরায় তাকে বিয়ে করায় এক দম্পতিকে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে নালিশ দেওয়ার জের ধরে পেটানো হয় দিনমজুর আব্দুল জলিল প্রামানিককে। প্রতিপক্ষের লোকজনের মারধরে এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে গেছে।

এঘটনায় তিনি একটি থানায় অভিযোগ করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে সেটি মামলাটি হিসেবে রের্কড করা হয়। তবে মামলার এজাহারে সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।

সরেজমিনে বালুকাপাড়া গ্রামে গিয়ে আব্দুল জলিলকে ১৮ মাস ধরে সমাজচ্যুত করে রাখার তথ্য জানা গেছে। আব্দুল জলিলের সমাজচ্যুত করার ঘটনাটি স্থানীয় রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশীদ মন্ডলও অবগত আছেন। তিনি দুই পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকেও সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি সমাধান করতে পারেনি।

গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক কলহের কারণে আব্দুল জলিল প্রামানিক রাগের মাথায় তার স্ত্রীকে তালাক দেন। এঘটনার ২৯ দিন পর তিনি আবারও স্ত্রীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় গ্রাম্য মাতব্বরেরা ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল জলিল প্রামানিকের পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রাখেন। সেই সময় জলিল প্রামানিক বিষয়টি আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে জানান। ইউএনও রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মণ্ডলকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেন। ইউপি চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। তবে কার্যত কোন কোনো সমাধান করতে পারেননি। এতে গ্রাম্য মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলের ওপর আরও ক্ষুব্ধ হন। সমাজচ্যুত করে রাখা আব্দুল জলিল গত ১৫ আগস্ট রাত আটটার দিকে গ্রামের মসজিদের দিকে রওনা হন। এসময় মাতব্বরেরা তাকে দুই দফায় প্রচন্ড মারধর করেন। এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে যায়। তিনি চিকিৎসা নিয়ে থানায় আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

বালুকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেড় বছর আগে আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। কয়েক দিন পর আবার সংসার শুরু করেন। এনিয়ে গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিল প্রামানিককে সমাজচ্যুত করেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় বৃদ্ধা লুৎফন নেছা বলেন, আমি কাজ করতে পারিনি। আব্দুল জলিলের বউ আমার বাড়িতে এসে জবাই করা মুরগির তরকারি রান্না করে দিয়েছিল। আমি জলিলের বাড়িতে গিয়ে এক বাটি মুরগির মাংসের তরকারি দিয়ে এসেছি। এতে আমাকেও সমাজচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিল।

বালুকাপাড়া গ্রামের মোড়ের দোকানি হাফিজার রহমান বলেন, বউকে তালাক দেওয়ার ঘটনায় আব্দুল জলিল প্রামানিককে গ্রামের মাতব্বরেরা সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল গ্রামের সামাজিক কোন কর্মকান্ডে অংশ নিতে দেয় না।

আব্দুল জলিল প্রামানিক বলেন, আমি রাগের মাথায় স্ত্রী তালাক দিয়েছিলাম। ২৯ দিন পর আবার বিয়ে পড়ে নিয়েছি। একারণে গ্রামের মাতব্বর রকি খান, মিল্টন খাঁ, আবু সুফিয়ানসহ আরও ১০-১২ জন আমাকে সমাজচ্যুত করেছেন। রাগের মাথায় স্ত্রীক। তালাক দিলে পুনরায় বিয়ে করা যাবে ঢাকার একজন মুফতির মতামত নিয়ে আসার পরও তারা মানেনি। তারা বলছে হিল্লা বিয়ে ছাড়া আমার বিয়ে বৈধ হবে না। তারা আমাকে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে গ্রামের মসজিদে নামাজ আদায়ে করতে ও জানাজায় শরিক হতে বা দেননি। মিলাদ মাহফিল দাওয়াত দেওয়ার মাতব্বরদের চাপে পর ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি গ্রামের কারও জমিতে দিনমজুরি কাজও করতে পারব না বলে লোকজন জানিয়ে দেন। একারণে কেউ আমাকে কাজে নেয় না। সমাজচ্যুত করার জের ধরে মসজিদে যাওয়ার সময় মাতব্বরদের একাংশের লোকজন আমাকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছেন।

গ্রামের মাতব্বদের একজন মো. মিল্টন খাঁ। তিনি আব্দুল জলিলের দায়ের করা মামলার দুই নম্বর আসামি। তাকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কাজ করেছেন। একারণে গ্রামের লোকজন তাকে সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কি কাজ করেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবার স্ত্রীকে নিয়েছেন। এটা সমাজ বিরোধী কাজ।

আক্কেলপুর রায়কালী ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মন্ডল বলেন, আব্দুল জলিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। এঘটনায় গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলকে সমাজচ্যুত করেন। আব্দুল জলিল ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। ইউএনও স্যার আমাকে ঘটনাটি সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। উভয়পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছি। আব্দুল জলিল যেন সামাজিকভাবে মিশতে পারে সেটি বলেছি। সমাজচ্যুতের ঘটনার জের ধরে আব্দুল জলিলকে মারধর করা হয়েছে। এতে তার বাম হাত ভেঙেছে বলে জেনেছি।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আব্দুল জলিল প্রামানিক থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সেটি মামলা হিসেবে রের্কড করা হয়েছে। আসামি আট জনের মধ্যে ইতিমধ্যে আদালত থেকে পাঁচজন আসামি জামিন নিয়েছেন, অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In July 2021 the growth rate of revenue collection is about 20 percent 

জুলাই-২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ 

জুলাই-২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৭,২৪৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। বিগত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের একই মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১,৯১৬ কোটি টাকা। জুলাই-২০২৫ মাসে বিগত জুলাই-২০২৪ মাসের তুলনায় ৫,৩৩৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। জুলাই ২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২৪.৩৩%।

জুলাই’২৫ মাসে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক থেকে। এ খাত থেকে আদায় হয়েছে ১১,৩৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায়ের পরিমান ছিল ৮,৫৭১ কোটি টাকা। জুলাই ২০২৫ মাসে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ৩২.৪৫%।

আয়কর ও ভ্রমন কর খাতে জুলাই’২৫ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬,২৯৫ কোটি টাকা যা জুলাই’২০২৪ মাসের একই খাতে আদায়কৃত ৫,১৭৫ কোটি টাকার চাইতে ১,১২০ কোটি টাকা বেশি। আয়কর ও ভ্রমন করের ক্ষেত্রে জুলাই ২০২৫ মাসের আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২১.৬৫%।

২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে আমদানি ও রপ্তানি খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯,৬০২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায় ছিল ৮,১৭০ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির হার ১৭.৫২%।

রাজস্ব আদায়ের এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার জন্য আয়কর, মূল্য সংযোজন কর এবং কাস্টমস শুল্ক-কর আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানাবিধ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

সম্মানিত করদাতাগণ আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করে যথাযথ পরিমান কর পরিশোধের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজের অন্যতম অংশীদার হবেন মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The main accused arrested in the murder of UP member

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র‍্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন

র‍্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।

মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।

এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।

পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।

কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।

ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

p
উপরে